নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বারবার ১/১১!

হুমায়ুন কবীর হুমা

হুমায়ুন কবীর হুমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোন কোন মুক্তিযোদ্ধাকে ডাকাত বলে মনে হচ্ছে !

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

ইরাকে বোমা মেরে যদি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়, আফগানিস্হানে এক যুগ ধরে জঙ্গি বিরোধী যুদ্ধ চলে, তিউনিসিয়াতে যদি বেন আলী পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়, লিবিয়াতে গাদ্দাফীর করুণ পরিণতি দেখেছে বিশ্ব , সমগ্র মিশর যদি হয়ে উঠেছিল তাহরীর স্কয়ার । ইয়েমেনের সালেহ গুলি খেয়ে চলে গেছে অন্তরালে, আসাদের সিরিয়া হয়েছে খুনের রাজ্য । তবে আমরা বিএনপি-জামায়াত কে ক্ষমতার মসনদে যাওয়ার পথ তৈরি করে দিয়ে বর্তমান বিশ্ব পরিস্হিতিতে কোন ধরনের গণতন্ত্রেকে আহ্বান জানাবো? কোন ধরনের গণতন্ত্র ও সেক্যুলারিজম প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি- জামাত?

পর পর পাঁচ বছর দুর্নিতীতে প্রথম,ঢাকায় নির্বাচিত ১০ জন কমিশনার হত্যা, সারা বাংলাদেশ জুড়ে বাংলা ভাইয়ের বোমা বিস্ফোরণ, শিল্প মন্ত্রী রাজাকার নিজামীর ফোকলা হাসি, দশ ট্রাক অস্ত্র, হাওয়া ভবনের রাজত্ব, শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও ব্রিটিশ অ্যাম্বাসেডর আনোয়ার চৌধুরীর উপর বোমা হামলা, ২১-এ আগাষ্টের বর্বর বোমা হামলা, ইয়াজুদ্দিনের সাজানো নাটক , এম এ আজিজের একগুঁয়েমি, ভোটার লিস্টে দেড়-কোটি ভুয়া ভোটার ,১৫-ই ফ্রেব্রুয়ারীর নির্বাচন,রাজকুমারদের অর্থপাচার ইত্যাদি সহজ স্মরণ যোগ্য বিষয়গুলো কি হারিয়ে গেছে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে?

অনেকেই ফিরিস্তি দিবেন বর্তমান সরকারের, তা অবশ্যই দেওয়া যাবে এবং এ তালিকাও ছোট হবেনা সে আর এক অধ্যায় ।

বিএনপি-জামায়াতের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য একটি সুষম পথ তৈরি করে দিলেই কি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে ? বিএনপি কি এখনো পর্যন্ত তাদের কৃত অন্যায়ের কোন দোষ স্বিকার করেছে? অনুতপ্ত হয়েছে? বলেছে কি পূর্বের ভুল গুলো তারা আর করবে না? আওয়ামী আমলের বিঘ্নিত জনস্বার্থ নিয়ে কোন আন্দোলনটি তারা করেছে? তাদের একটাই আন্দোলন পুনরায় কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায় ! বর্তমান সময়ে যুদ্ধাপরাধী বিচার নিয়ে বিএনপির যে ভয়ংকর রূপ প্রকাশ পেয়েছে তাতে নির্দ্বিধায় বলা যায়, বিএনপি বাংলাদেশের স্বাধীনতার কোন চেতনার সাথেই আর নাই। অনেক রাজাকার আওয়ামীলীগে আছে বলে তারা অভিযোগ করে, বাংলাদেশের সামাজীক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটা সম্ভব,সামাজীক ভাবে প্রচারে থাকলেও রাষ্ট্র এখন পযর্ন্ত তাদের চিহ্নিত করতে পারে নাই হয়তো সময়ে করবে । অথচ ২০১৩ সালে রাষ্ট্রীয় ভাবে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের তীব্র পক্ষ নিয়ে বিএনপি কি প্রমান করতে চায়? তারা বাংলাদেশের সব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে? এটা কি হিসাবে মিলে?

বর্তমানে বিএনপির রাজনৈতিক আচরণের দিকে তাকালে স্পষ্টত বলে দেওয়া যায় বিএনপিতে কোন মুক্তিযোদ্ধা নাই! যখন তকমাওয়ালা মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীন বাংলাদেশের মূল ভিত্তির উপর পা- মাড়িয়ে ৬- ই এপ্রিল হেফাজতের সমাবেশে সামিল হয়ে মধ্যযুগীয় বর্বরতার আমল বাস্তবায়নের কল্পনা করে। যখন বলে, "হরতাল বিরোধীদের পুনরায় ফটিকছড়ির মত ধ্বংস করে দিতে হবে" তখন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে প্রশ্ন উঠে, থুতু দিতে ইচ্ছে করে! স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কত মুক্তিযোদ্ধা অস্ত্র জমা না দিয়ে ডাকাতি করেছিল, তারপর নিজেদের মধ্যে মারামারি-গুলাগুলি করে নিহত হয়েছিল, কতজন বেঁচে গিয়েছিল তার হিসাব রাষ্ট্র রাখে নাই কিন্তু কেউ কেউ রেখেছে। মুক্তিযোদ্ধা মানেই আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয়, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ একটি চেতনার যুদ্ধ, যে যোদ্ধা সেই চেতনা থেকে সরে দাঁড়াবে সে আর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শ্রদ্ধা কেন পাবে? সে ডাকাত বলে পরিচিত হবে, বিএনপির কোন কোন মুক্তিযোদ্ধাকে ডাকাত বলে মনে হচ্ছে ।

আওয়ামীলীগ থেকে আমরা আর কি পাবো আমরা জানিনা কিন্তু আওয়ামীলীগ থেকে ৭-ই মার্চ পেয়েছিলাম, হাজার বছরের পরাধীন জাতি সশস্ত্র যুদ্ধের নেতৃত্ব পেয়েছিল প্রতিষ্ঠিত করেছিলো বাংলাদেশ । আওয়ামীলীগ এখনো স্বাধীনতার চেতনা ও অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশের কথা বলছে, তাতে কেউ বিশ্বাস রাখুক বা না রাখুক কিন্তু বিএনপি-জামাত সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মরণ-পণ চেষ্টা চালাচ্ছে,তাদের আচরণে এ বিষয়টি দিনের আলোর মত পরিষ্কার । বিএনপি আর জামাত এখন একি চেতনার মিলেমিশে একাকার । সেনা-ছাউনিতে জন্ম নেওয়া বিএনপি ৯০ এর গণআন্দোলনে খালেদা জিয়ার হাত ধরে যে গণতান্ত্রিক চেহারা পেয়েছিলো, সেই বিএনপি কে আজকে আর কেউ খুঁজে পাবে না। বিএনপির সেই নেতৃবৃন্দ কোথায়? খালেদা জিয়ার উপদেষ্টারা এখন স্বাধীনতা বিরোধী জামাতেরও অধিক জামাত ! বিএনপির মুক্তিযুদ্ধের সমর্থকেরা হারিয়েছে একজন নেত্রী কে,খালেদা জিয়া বিএনপির সর্মথকদের করে তুলেছে ঘৃণ্য যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থক-তুল্য।

বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতি র্নিলজ্জ সমর্থন থেকে সরে না দাঁড়ানো পর্যন্ত তাদের জন্য ক্ষমতার পথ তৈরি করে দেওয়া কখনোই গণতন্ত্র হবে না, যদি হয় তবে এমন গণতন্ত্র চাই না । গণতন্ত্র মানে রাষ্ট্রবিরোধীদের দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা নয়, তখন পুরো রাষ্ট্রটি ই ভেঙ্গে যাবে হয়ে উঠবে আফগানিস্হান, পাকিস্হান। ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে আর রাক্ষসদের হাতে তুলে দেওয়া হবে না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

জাতির চাচা বলেছেন: জ্বী বিএনপি যেসব মুক্তিযোদ্ধা করে তারা ডাকাত।আম্লীগ করলে ফেরেশতা।জামায়াত/হেফাজত করলেতো খারাপের খারাপ।আর শাহবাগী ভেক ধরলে যুদ্ধ না করলেও বিরাট দেশ প্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধা। সরকার শাহবাগী কোটা চালু করতেছেনা ক্যান??

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.