নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বারবার ১/১১!

হুমায়ুন কবীর হুমা

হুমায়ুন কবীর হুমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০১৩ হোক বাঙ্গালীর সামাজিক জাগরণের সূচনা কাল

১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ৭:৫৪



বলা হয় আত্ম-উপলব্ধি আর কার্যসিদ্ধি ভিন্ন ভিন্ন বিষয় এ দুটোর জন্য দুটো পথ । ধর্ম মানুষের আত্ম উপলব্ধির নিয়ামক বলে প্রচারিত, আর রাজনীতি অনেকটা কার্যসিদ্ধির প্রক্রিয়া । ধর্ম ঐশী, পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের পালনীয় ধর্মগুলো অপরিবর্তনীয়, এগুলোর আয়ুষ্কাল ও দীর্ঘ । এই অপরিবর্তনীয় ধর্মীয় বিধি-বিধান ধর্মানুসারীদের জন্য জীবন-বিধান সরূপ যা অবশ্যপালনীয় । এই বিধান সমূহের পরিবর্তন পরিবর্ধন দন্ডনীয় । রাজনীতি রাষ্ট্র পরিচালনার নিয়ামক, সময়ের সাথে সাথে মানব সমাজ ক্রম পরিবর্তিত হয়েছে পরিবর্তিত হয়েছে রাষ্ট্র পরিচালনার ধরন ।

ধর্ম আত্ম উপলব্ধির মাধ্যম হলেও পৃথিবির ইতিহাসে এই মাধ্যমকে কার্যসিদ্ধির উপায় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, সময় বা সমাজের ভুল থেকে দীক্ষা নিয়ে আত্ম উপলব্ধির মাধ্যমে মানুষ পরিবর্তিত হবে যেখানে ধর্ম পথ দেখাবে, পথ দেখানোর উদাহারন পৃথিবীতে দেওয়া হয় । কিন্তু দেখা গেছে সমাজ বা মানুষের আপেক্ষিক ভুল থেকে ধর্মীয় নেতারা তাদের কার্যসিদ্ধি করতে বেশি তৎপর থাকেন, এই তৎপরতা ইরানের আয়াতুল্লা খোমেনী থেকে শুরু করে হালের যোনায়েদ বাবু নগরীদের আচরণে আমরা দেখতে পাই ।

রাজনীতির সাথে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন শব্দ গুলি ভীষণ ভাবে জড়িত সময় ও মানুষের প্রয়োজনে তা করা হয়, যেহেতু তা ঐশী কোন বিষয় নয় । রাজনীতি মর্ত্যের ধুলা-বালির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত । ধর্ম ও রাজনীতি তাই সম্পূর্ন বিপরীতধর্মী বিষয় । কিন্তু ধর্ম নিয়ে রাজনীতির করা হয়, আমরা তা দেখছি । এই উপমহাদেশে কাঙ্ক্ষিত সুস্হ ধারার রাজনীতির স্থায়িত্বকাল খুবি অনিয়মিত। এখানকার সচেতন মানুষ রাজনীতির সাথে একটি শব্দ যোগ করে দেন তা হলো, 'নোংরা' এখানকার রাজনীতি পরিক্ষিত নোংরা । এখানে রাজনীতির প্রধান উপজীব্য রাষ্ট্র ও তার অধিবাসীদের বেশির ভাগ সময়ে থাকতে হয় অপ-রাজনীতির পরিমন্ডলে । রাজনীতির নামে এখানে চলে যাবতীয় অনাচার ও অনিয়ম, চলে সব অমানবিক আচার । সেই অসুস্হ ধারার রাজনীতির সংস্পর্শে ধর্ম তার আত্ম উপলব্ধির সরল পথ থেকে সরে গিয়ে ভিড়ে যায় কার্যসিদ্ধির তমসাচ্ছন্ন অলি-গলিতে ! আত্ম উপলব্ধি এবং এ পদ্ধতিতে পরিবর্তনের ঐচ্ছিক পন্থা থেকে সরে গিয়ে কার্যসিদ্ধির যাবতীয় নিয়মের ভিতর গিয়ে আশ্রয় নেয় ধর্ম । হয়ে উঠে প্রভাবশালী ক্ষমতাবান, হয়ে উঠে রাজনীতি; ধর্মরাজনীতি! তখন আত্ম উপলব্ধি আর কার্যসিদ্ধি একাকার হয়ে মিশে যায় তৈরি হয় এক গোঁজামিলের মিথ!

মানব সমাজের প্রধান অংশ নারীর মৌলিক ও মানবিক সব প্রয়োজন স্বাভাবিক ভাবেই পূরণ করার সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো রাষ্ট্র । সে সমস্ত প্রয়োজন হালনাগাদ করার কথা ছিল রাজনীতির । কিন্তু রাজনীতি থমকে আছে কেবল ঐ ঐশী ভাবনা ও নিয়মের বেড়াজালে,যেহেতু রাজনীতির ভেতর আসন গেড়ে বসেছে ধর্ম । রাজনীতি তথা রাষ্ট্রের চরিত্র হয়ে উঠেছে অতি দুর্বল, ভীত, কূটকৌশলী এবং আপোষ-কামী ।

বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এ দেশ থেকে ধর্মের নামে যে কোন প্রথা বা কার্যসিদ্ধির অবৈধ প্রক্রিয়া যে কোন মূল্যে থামিয়ে দিতে হবে । চাপিয়ে দেয়া ধর্মরাজনীতির প্রথম শিকার হচ্ছে নারী। ধর্মীয় দেশ বা রাষ্ট্র একটি প্রতারণার ভাবনা যেহেতু রাজনীতি ও ধর্মের উদ্দেশ্য ভিন্ন, আত্ম উপলব্ধি আর কার্যসিদ্ধি । আর যদি একি হয়ে থাকে তবে বর্তমানের রাজনীতির যে চরিত্র তা থেকে ধর্মকে রাজনীতি থেকে আলাদা করার প্রক্রিয়া হবে বিস্ময়কর! চাপিয়ে দিয়ে ধর্ম পালন করার চেষ্টা যে কোন মূল্যে থামাতে হবে কেননা এ পথে ধর্মের সৌন্দর্য নষ্ট হয় । ধর্ম হয়ে উঠবে আন্তরিক আত্ম উপলব্ধির বিষয় মানুষ তা আপন ইচ্ছায় পালন করবে । ধর্মরাজনীতির অপরিবর্তনীয় ও আগ্রাসী ক্ষমতাময় আচরণের প্রথম ও তীব্র শিকার হাজার বছর ধরে পিছিয়ে পড়া নারী সমাজ।

মানুষের সাম্য প্রতিষ্ঠিত হোক, মুক্তি পাক মানব সমাজ, লৈঙ্গিক বৈষম্য দুর হোক মানুষের পরিচয় হয়ে উঠুক শুধুই মানুষ । নারী মুক্তি পাক নানা রকম কুসংস্কার ও তমসাচ্ছন্নতা থেকে। ১১ তারিখের ঢাকা নারী সমাবেশ সফল হোক, খুলে যাক নতুন পৃথিবী তথা বাংলাদেশের দুয়ার । ২০১৩ হোক বাঙ্গালীর সামাজিক জাগরণের সূচনা কাল ।বলা হয় আত্ম-উপলব্ধি আর কার্যসিদ্ধি ভিন্ন ভিন্ন বিষয় এ দুটোর জন্য দুটো পথ । ধর্ম মানুষের আত্ম উপলব্ধির নিয়ামক বলে প্রচারিত, আর রাজনীতি অনেকটা কার্যসিদ্ধির প্রক্রিয়া । ধর্ম ঐশী, পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের পালনীয় ধর্মগুলো অপরিবর্তনীয়, এগুলোর আয়ুষ্কাল ও দীর্ঘ । এই অপরিবর্তনীয় ধর্মীয় বিধি-বিধান ধর্মানুসারীদের জন্য জীবন-বিধান সরূপ যা অবশ্যপালনীয় । এই বিধান সমূহের পরিবর্তন পরিবর্ধন দন্ডনীয় । রাজনীতি রাষ্ট্র পরিচালনার নিয়ামক, সময়ের সাথে সাথে মানব সমাজ ক্রম পরিবর্তিত হয়েছে পরিবর্তিত হয়েছে রাষ্ট্র পরিচালনার ধরন ।

ধর্ম আত্ম উপলব্ধির মাধ্যম হলেও পৃথিবির ইতিহাসে এই মাধ্যমকে কার্যসিদ্ধির উপায় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, সময় বা সমাজের ভুল থেকে দীক্ষা নিয়ে আত্ম উপলব্ধির মাধ্যমে মানুষ পরিবর্তিত হবে যেখানে ধর্ম পথ দেখাবে, পথ দেখানোর উদাহারন পৃথিবীতে দেওয়া হয় । কিন্তু দেখা গেছে সমাজ বা মানুষের আপেক্ষিক ভুল থেকে ধর্মীয় নেতারা তাদের কার্যসিদ্ধি করতে বেশি তৎপর থাকেন, এই তৎপরতা ইরানের আয়াতুল্লা খোমেনী থেকে শুরু করে হালের যোনায়েদ বাবু নগরীদের আচরণে আমরা দেখতে পাই ।

রাজনীতির সাথে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন শব্দ গুলি ভীষণ ভাবে জড়িত সময় ও মানুষের প্রয়োজনে তা করা হয়, যেহেতু তা ঐশী কোন বিষয় নয় । রাজনীতি মর্ত্যের ধুলা-বালির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত । ধর্ম ও রাজনীতি তাই সম্পূর্ন বিপরীতধর্মী বিষয় । কিন্তু ধর্ম নিয়ে রাজনীতির করা হয়, আমরা তা দেখছি । এই উপমহাদেশে কাঙ্ক্ষিত সুস্হ ধারার রাজনীতির স্থায়িত্বকাল খুবি অনিয়মিত। এখানকার সচেতন মানুষ রাজনীতির সাথে একটি শব্দ যোগ করে দেন তা হলো, 'নোংরা' এখানকার রাজনীতি পরিক্ষিত নোংরা । এখানে রাজনীতির প্রধান উপজীব্য রাষ্ট্র ও তার অধিবাসীদের বেশির ভাগ সময়ে থাকতে হয় অপ-রাজনীতির পরিমন্ডলে । রাজনীতির নামে এখানে চলে যাবতীয় অনাচার ও অনিয়ম, চলে সব অমানবিক আচার । সেই অসুস্হ ধারার রাজনীতির সংস্পর্শে ধর্ম তার আত্ম উপলব্ধির সরল পথ থেকে সরে গিয়ে ভিড়ে যায় কার্যসিদ্ধির তমসাচ্ছন্ন অলি-গলিতে ! আত্ম উপলব্ধি এবং এ পদ্ধতিতে পরিবর্তনের ঐচ্ছিক পন্থা থেকে সরে গিয়ে কার্যসিদ্ধির যাবতীয় নিয়মের ভিতর গিয়ে আশ্রয় নেয় ধর্ম । হয়ে উঠে প্রভাবশালী ক্ষমতাবান, হয়ে উঠে রাজনীতি; ধর্মরাজনীতি! তখন আত্ম উপলব্ধি আর কার্যসিদ্ধি একাকার হয়ে মিশে যায় তৈরি হয় এক গোঁজামিলের মিথ!

মানব সমাজের প্রধান অংশ নারীর মৌলিক ও মানবিক সব প্রয়োজন স্বাভাবিক ভাবেই পূরণ করার সুনির্দিষ্ট লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো রাষ্ট্র । সে সমস্ত প্রয়োজন হালনাগাদ করার কথা ছিল রাজনীতির । কিন্তু রাজনীতি থমকে আছে কেবল ঐ ঐশী ভাবনা ও নিয়মের বেড়াজালে,যেহেতু রাজনীতির ভেতর আসন গেড়ে বসেছে ধর্ম । রাজনীতি তথা রাষ্ট্রের চরিত্র হয়ে উঠেছে অতি দুর্বল, ভীত, কূটকৌশলী এবং আপোষ-কামী ।

বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে এ দেশ থেকে ধর্মের নামে যে কোন প্রথা বা কার্যসিদ্ধির অবৈধ প্রক্রিয়া যে কোন মূল্যে থামিয়ে দিতে হবে । চাপিয়ে দেয়া ধর্মরাজনীতির প্রথম শিকার হচ্ছে নারী। ধর্মীয় দেশ বা রাষ্ট্র একটি প্রতারণার ভাবনা যেহেতু রাজনীতি ও ধর্মের উদ্দেশ্য ভিন্ন, আত্ম উপলব্ধি আর কার্যসিদ্ধি । আর যদি একি হয়ে থাকে তবে বর্তমানের রাজনীতির যে চরিত্র তা থেকে ধর্মকে রাজনীতি থেকে আলাদা করার প্রক্রিয়া হবে বিস্ময়কর! চাপিয়ে দিয়ে ধর্ম পালন করার চেষ্টা যে কোন মূল্যে থামাতে হবে কেননা এ পথে ধর্মের সৌন্দর্য নষ্ট হয় । ধর্ম হয়ে উঠবে আন্তরিক আত্ম উপলব্ধির বিষয় মানুষ তা আপন ইচ্ছায় পালন করবে । ধর্মরাজনীতির অপরিবর্তনীয় ও আগ্রাসী ক্ষমতাময় আচরণের প্রথম ও তীব্র শিকার হাজার বছর ধরে পিছিয়ে পড়া নারী সমাজ।

মানুষের সাম্য প্রতিষ্ঠিত হোক, মুক্তি পাক মানব সমাজ, লৈঙ্গিক বৈষম্য দুর হোক মানুষের পরিচয় হয়ে উঠুক শুধুই মানুষ । নারী মুক্তি পাক নানা রকম কুসংস্কার ও তমসাচ্ছন্নতা থেকে। ১১ তারিখের ঢাকা নারী সমাবেশ সফল হোক, খুলে যাক নতুন পৃথিবী তথা বাংলাদেশের দুয়ার । ২০১৩ হোক বাঙ্গালীর সামাজিক জাগরণের সূচনা কাল ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.