![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এরশাদ যা যা করেছে এবং যেসব উপাধি পেয়েছে তার বাস্তবতা এখনো মুছে যায়নি,যাবেও না! এরশাদ স্বৈরাচার! ধরা যাক আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক, বিএনপি ও গণতান্ত্রিক! তাহলে (এরশাদ+ আওয়ামী লীগ) =স্বৈরাচারী গণতন্ত্র এবং (এরশাদ+ বিএনপি) = স্বৈরাচারী গণতন্ত্র! এরশাদ আওয়ামী লীগের আরাধ্য এবং পূজনীয়! এরশাদ বিএনপির ও আরাধ্য এবং পূজনীয় এ কথা ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নাই! তোফায়েল আহমেদ, সুরন্জীত সেন গুপ্ত, ওবায়দুল কাদেরের এরশাদের পুনরায় পাল্টি মারার আকাঙ্ক্ষা থেকে আওয়ামী লীগের এরশাদ কামনার তীব্রতা পরিষ্কার হয়ে গেছে! আর এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগের নিকট এরশাদের গুরুত্ব কতটুকু তা বলার অপেক্ষা রাখেনা! আর ঐ পক্ষের মিষ্টি বিতরণ থেকেও অনুধাবন করা যায় এরশাদ তাদের কাছে কতটুকু মিষ্টি!
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাথে ঘর সংসার করে করে এরশাদ স্বৈরাচার থেকে হয়ে উঠেছে আরো এক স্বৈরাচারী গণতন্ত্র!
তাহলে আমাদের হাতে এখন তিন তিনটে স্বৈরাচারী গণতন্ত্র!
বর্তমান রাজনৈতিক আবহে ,সাধারন মানুষের কথা বাদ দিলেও আওয়ামী লীগ কে সং শেখ হাসিনাও পর্দার অন্তরালে গণতান্ত্রিক বলবেন না! সংসদ,আদালত,প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন , দুর্নীতি দমন কমিশন, মন্ত্রী পরিষদ,নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি ও নিয়োগ এর কোন জায়গাটিতে গণতন্ত্রের ছায়া রয়েছে কেউ বলতে পারবে কি?
চলমান সহিংসতার শুরু কবে থেকে,কেন? সহিংসতা দুর করার জন্য কতটুকু গণতান্ত্রিক আচরণ প্রয়োগ করা হয়েছে তা দেশবাসী দেখেছে। যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে তা নির্ভেজাল স্বৈরাচারী ও এক নায়কতান্ত্রীক আচরণ!
এরশাদ সর্বশেষ যে কাজটি করলো, ইতিহাসের পাতায় এ পাল্টিটি মোটা অক্ষরে লেখা থাকবে। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ূবের সামরিক শাসন-বিরোধী আন্দোলন, ৬৪-এর দাঙ্গায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন ও ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা কারী ৬৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী আওয়ামীলীগ বর্তমানে কোন অংশেই এরশাদের থেকে পিছিয়ে নেই। মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে। এরশাদ স্বৈরাচারী গণতন্ত্রের মোড়ক থেক এবার পাল্টি মারলো! তাতে সে পবিত্র হবে কিনা জানি না, তার হাত নূর হোসেনের রক্তে রঞ্জিত!
এরশাদ বোধ করি ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগ কে একটা সুযোগ করে দিয়েছে গণতন্ত্রের পথে পুনরায় হাটার। অথবা এরশাদ সব হিসাব নিকাষ পাল্টে দেওয়ার মূল নিয়ামকের ভূমিকা গ্রহন করলো। আমরা এই তিনটি স্বৈরাচারী গণতন্ত্রের চরম রূপ দেখছি, এই রূপ আমাদের মর্মে গ্রন্থিত হাসিনা-খালেদা ভক্তি থেকে উঠে আসতে সাহায্য করবে!
১৯৯০ থেকে সমাগত ২০১৪ সাল, একজন স্বৈরাচারী প্রাক্তন রাষ্ট্র নায়কের হত্যা এবং আরো কয়েকটি মামলা শেষ হতে হাসিনা-খালেদার কত কাল লাগবে? আদালত সেই রকম স্বাধীন ছিল তাই না?
বাংলাদেশ তাঁর ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে ভেজা মঞ্চে কিছু লোভী অসৎ দের অভিনয় দেখছে, এ অন্ধকার নাটকের সমাপ্তি আসন্ন! হয়তো আমরা আরো তীব্র অন্ধকারে পতিত হবো এবং হয়তো
একমাত্র তখনি ১৬ কোটি মানুষের অন্তরে জেগে উঠবে আলোর জন্য পবিত্র হাহাকার! "গণতন্ত্র মুক্তি পাক স্বৈরাচার নিপাত যাক" এটিই হয়ে উঠুক আমাদের সর্বস্তরের প্রজন্ম সংলাপ।
©somewhere in net ltd.