![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছাত্রজীবনে ছেঁচড়ামির শেষ নাই । কোন কোন ঘটনা সারাজীবন আনন্দ দিয়ে থাকে ।গল্পটা আমার এক ভাইয়ার । গল্প না ঠিক সত্য কাহিনী । আমার নিরাপত্তার কারণে তার নাম নিলাম না । উনি ছিলেন ভালোনা ফের খারাপও না টাইপের ছাত্র । কারণ দুনিয়ার অন্য সকল আজেবাজে বিষয়ে খবর রাখলেও পড়াশুনার ব্যাপারে সর্বদা ১৪৮ধারা বহাল থাকত । তবে কোন পরীক্ষার ব্যাপারে তার কোন টেনসন কখনোই ছিল না । কেননা পরীক্ষার সময় ওনার আগে পিছে যারা বসত তাদের সাথে কয়েকদিনে সিরাম ভাব জমায়া ফেলত । ঘটনা সম্ভবত এইচ এস সি পরীক্ষার সময় । ভাইয়ার সামনে যে ছেলের ছিট বসেছিল সে গণিতে ভালো ছিল আর ভাইয়ার পেছনে যে বসেছিল সে ইংরেজী ভালো পারত । যেহেতু তারা একই কলেজে পড়ত সেহেতু তাদের সাথে আমার ভাইয়ার আগে থেকেই ভাব ছিল । পরীক্ষার সময় তো আরো ! পারলে কোলে করে রাখে । তো তারা তিনজন পরীক্ষার আগে ঠিক করল যে, যেহেতু সাব্বির (ভাইয়ার সামনের ছাত্র) গণিতে ভালো তাই গণিত পরীক্ষার সময় তার দেখে লেখবে বাকি দুইজন । আর যেহেতু আরমান (ভাইয়ার পেছনের ছাত্র) ইংরেজীতে ভালো তাই ইংরেজী পরীক্ষায় তার দেখে বাকি দুইজন লিখবে । আর ভাইয়াকিসে ভালো ? ভাব নেয়ার জন্য বলে,'আমি বাংলায় ভালো !' [যদিও কামের কাম কিছুই করতনা । ওদের দেখেই লিখত ।] তো এইচ এস সি পরীক্ষা শুরু হয়েছে । ওদের বুদ্ধি ভালোই কাজে লাগছে । বাংলা,ইংরেজী ভালোভাবেই শেষ করল ।শেষে সমস্যা করল গণিত টা । ঐদিন একটু কড়া স্যার গার্ড পড়েছিল । যদিও একটু সমস্যা হচ্ছিল তবুও ভাইয়া ভালোমত সাব্বির ভাইয়ার দেখে গণিত পরীক্ষা দিচ্ছিল । সাব্বির ভাইয়া মুল খাতা শেষ করে লুজ শিটে লেখছিল আর ভাইয়ার দেখার সুবিধার জন্য মুল খাতাটা একটু পাশে সরিয়ে রাখল ।সম্ভবত ভাইয়া সামনের খাতা ভালোভাবে দেখতে পাচ্ছিলনা ।এক সময় বিরক্ত হয়ে সে টান দিয়ে সাব্বির ভাইয়ার মুল খাতা নিয়ে লেখা শুরু করে । আর সাব্বির ভাইয়াকে হুমকি দেয়, পিছনে তাকাইস না ধরা পড়লে এক্সফেল । নিরাপত্তার খাতিরে উনি আর কিছু বললেন না । ভাইয়া দুটা খাতা খুলে রেখে আরামসে লেখছে । এক সময় এক গার্ড ওপাশ দিয়ে যাচ্ছিল । তিনি হঠাত্ ভাইয়াকে বললেন, তোমার কাছে দুইটা খাতা মনে হচ্ছে । শুনে তো দুজনেরই হার্টফেল করার মত অবস্থা । কিকরবে কি বলবে কিছুই বুঝে আসেনা । হঠাত্ ভাইয়া সাব্বির ভাইয়ার খাতার ঐ পেজে কলম দিয়ে দিল একটা টান । আর স্যারের দিকে তাকায় একটা ক্লোজাপ হাসি দিয়ে বলল, 'বলেন কি স্যার! এটা আমার লুজ শিট। অংক ভুল হয়েছিল এর জন্যঅন্য খাতায় তুলছি ।' স্যারও আর কিছু বলল না সামনে চলে গেল । বুকের উপর থেকে পাথর নামল । বেঞ্চে বসে যেই সামনে তাকাল সাব্বির ভাইয়ার অগ্নি চক্ষু দেখে ভাইয়া ভীষন বিষম খেল । কোনমতে নিজেকে সামলে আরেকটা ক্লোজাপ হাসি দিয়ে ভাইয়া বলল, "দোস্ত জানিস তো জান বাঁচান ফরজ ।"
পরিশেষ: বাকি পরীক্ষাগুলো ভাইয়ার একাই শেষ করতে হয়েছিল ।
২| ১৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪০
দড়ি বাবা বলেছেন: আপনি দেখি নিয়মিত আমার লেখা পড়েন !! খুব লজ্জা লাগে যখন এসব অপরিপক্ক হাতের লেখা আপনার মত কেউ পড়ে । তবুও পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৩৪
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: হা হা হা । মজার গল্প।
৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
দড়ি বাবা বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
অপ্রচলিত বলেছেন: হাহা। সুন্দর হইসে কিন্তু। বাস্তবে এমনটা ঘটে থাকলে আরও ভালো লাগবে
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৭
দড়ি বাবা বলেছেন: বলেন কি ?????? বিশ্বাস করেন এটা গল্প নয় !!
৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬
অপ্রচলিত বলেছেন: আচ্ছা বাই, করলাম রে বিশ্বাস!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:০৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা
+++++