![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসার নামে আমরা এসব কী করছি?
কোথায় নিয়ে যাচ্ছি প্রিয়জনদের? এ ভালোবাসার
কী পরিণাম অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য?
চিন্তা করে দেখেছি কি ভালোবাসতে গিয়ে
আমরা নিজ হাতে অবচেতনমনে প্রিয়জনকে
জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করছি!!
সমাজে অনেক বাবা-মা'ই এমন আছেন যারা
সন্তানের সিয়াম সাধনা বরদাশত করতে পারেন
না! তরুণ বয়সে অনাবিল চেহারায় দাড়ি রাখা
সহ্য করতে পারেন না। শেষ রাতে ঘুম ভাঙ্গতে
তকলিফ হবে ধারণা করে ফজর নামাজের জন্য
তাদের জাগিয়ে দেন না। বাড়ির বাইরে গিয়ে
কিভাবে রাত কাটাবে সে চিন্তায় সন্তানকে আবাসিক
ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেন না। (অবশ্য বিস্ময়কর
হলেও সত্য, এরাই আবার পরীক্ষার সময় সন্তানকে
ভোরবেলা জাগিয়ে দেন। মর্নিং শিফটে ক্লাস
থাকলে প্রত্যুষেই বিছানা থেকে আদরের সন্তানকে
জোরবকরে তুলে দেন। বড় চাকুরির আশায় তাকে
শুধু জেলার বাইরে নয় দেশের বাইরে পর্যন্ত
পড়াশোনার জন্য পাঠিয়ে দেন!)
এসব অভিভাবক কি একটু গভীরভাবে চিন্তা করে
দেখেছেন, তাদের এমনতর ভালোবাসা আত্মজ-
প্রিয়জনের জন্য কতোটা বিপদের কারণ হতে পারে?
তাদের নিজেদেরই জন্যই বা কী পরিণাম বয়ে
আনতে পারে? আজ যারা সন্তানের বা পিতার
সাময়িক সুখের জন্য আল্লাহর অবাধ্য হওয়া মেনে
নিচ্ছেন তারা কি মহাবিচার প্রাঙ্গণে তাদের
থেকে আল্লাহর অসন্তোষ এড়াতে পারবেন?
কিংবা আদরের এই সন্তানরা বা ভক্তির এই
বাবা কি তাদের কোনো কাজে আসবে? যেই
কুরআনের প্রতি ঈমান আনার কারণে আমরা
মুসলমান সেই কুরআন কী বলছে শুনুন—
ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺟَﺎﺀَﺕِ ﺍﻟﺼَّﺎﺧَّﺔُ (33 ) ﻳَﻮْﻡَ ﻳَﻔِﺮُّ ﺍﻟْﻤَﺮْﺀُ ﻣِﻦْ ﺃَﺧِﻴﻪِ (34 )
ﻭَﺃُﻣِّﻪِ ﻭَﺃَﺑِﻴﻪِ ( 35) ﻭَﺻَﺎﺣِﺒَﺘِﻪِ ﻭَﺑَﻨِﻴﻪِ ( 36) ﻟِﻜُﻞِّ ﺍﻣْﺮِﺉٍ
ﻣِﻨْﻬُﻢْ ﻳَﻮْﻣَﺌِﺬٍ ﺷَﺄْﻥٌ ﻳُﻐْﻨِﻴﻪِ (37 )
'অতঃপর যখন বিকট (কিয়ামতের) আওয়াজ
আসবে, সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই
থেকে, তার মা ও তার বাবা থেকে, তার স্ত্রী ও
তার সন্তান- সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের
প্রত্যেকেরই একটি গুরুতর অবস্থা থাকবে, যা
তাকে ব্যতিব্যস্ত রাখবে।'
অন্যত্র কুরআন আমাদের বিবেকের
দুয়ারে কড়া নেড়ে বলছে,
ﻭَﻟَﺎ ﺗُﺨْﺰِﻧِﻲ ﻳَﻮْﻡَ ﻳُﺒْﻌَﺜُﻮﻥَ ( 87) ﻳَﻮْﻡَ ﻟَﺎ ﻳَﻨْﻔَﻊُ ﻣَﺎﻝٌ ﻭَﻟَﺎ ﺑَﻨُﻮﻥَ
( 88)
'আর যেদিন পুনরুত্থিত করা হবে সেদিন
আমাকে লাঞ্ছিত করবেন না। যেদিন ধন-
সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোনো উপকারে
আসবে না।'
ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍ ﻳَﻮْﻣًﺎ ﻟَﺎ ﺗَﺠْﺰِﻱ ﻧَﻔْﺲٌ ﻋَﻦْ ﻧَﻔْﺲٍ ﺷَﻴْﺌًﺎ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﻘْﺒَﻞُ
ﻣِﻨْﻬَﺎ ﺷَﻔَﺎﻋَﺔٌ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺆْﺧَﺬُ ﻣِﻨْﻬَﺎ ﻋَﺪْﻝٌ ﻭَﻟَﺎ ﻫُﻢْ ﻳُﻨْﺼَﺮُﻭﻥَ
( 48)
'আর তোমরা সে দিনকে ভয় কর, যেদিন কেউ
কারো কোনো কাজে আসবে না। আর কারো
পক্ষ থেকে কোনো সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না
এবং কারও কাছ থেকে কোনো বিনিময় নেয়া
হবে না। আর তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না।'
অতএব শুধু ভালোবাসলেই হবে না; ভালোবাসার
উপায়টি আখেরে কল্যাণ বয়ে আনবে কি-না তাও
মাথায় রাখতে হবে। আমাদের কোনো ভালোবাসাই
যেন আল্লাহর হুকুম পালনে অন্তরায় না হয়
সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। আল্লাহ আমাদের
তাওফীক দিন। আমীন
©somewhere in net ltd.