নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আব্দুল্লাহ্ ইবনে জাহান

হে বণী আদম!!! যাও এলেমের আঁচল শক্ত করে ধর, কেননা এলেম তোমাকে দারুল ক্বারার (জান্নাতে) পৌঁছিয়ে দেবে। __________শেখ সা'দী (রাহঃ)

আব্দুল্লাহ্ ইবনে জাহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নামায না পড়ার শাস্তিঃ

২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:১৬

যারা নামায পড়েনা তাদের জন্য আল্লাহ্ পাক

পনেরটি আজাব নির্দিষ্ট করিয়া রাখিয়াছেন।

পনেরটি আজাবের মধ্যে ছয়টি দুনিয়ায়,

তিনটি মৃত্যুর সময়, তিনটি কবরের মধ্যে

এবং বাকি তিনটি হাশরের মধ্যে দেয়া হইবে।



দুনিয়াতে ছয়টি আযাবঃ



১. তাহার জীবনে কোনরূপ বরকত পাইবেনা।

২. আল্লাহ্ তার চেহারা হইতে নেক লোকের

চিহ্ন উঠাইয়া লইবেন।

৩. যে যাহা কিছু নেক কাজ করবে, তাহার

ছওয়াব পাইবেনা।

৪. তাহার দোয়া আল্লাহ্ পাকের নিকট কবুল

হইবে না।

৫. আল্লাহ্ পাকের সমস্ত ফেরেশতা তাহার

উপর অসন্তুষ্ট থাকবে।

৬. ইসলামের মূল্যবান নেয়ামত সমূহ হইতে

বঞ্চিত করা হইবে।



মৃত্যুর সময় আজাব তিনটিঃ



১. অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত হইয়া মৃত্যুবরণকরিবে।

২. ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করিবে।

৩. মৃত্যুকালে তাহার এত পিপাসা পাইবে যে,

তাহার ইচ্ছা হইবে দুনিয়ার সমস্ত পানি পান

করিয়া ফেলিতে।



কবরের মধ্যে তিনটি আজাবঃ



১. তাহার কবর এমন সংকীর্ণ হবে যে তাহার

এক পাশের হাড় অপর পাশের হাড়ের সংগে

মিলিত হইয়া চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া যাইবে।

২. তাহার কবরে, দিনরাত্রি সবসময় আগুন

জ্বালাইয়া রাখা হবে।

৩. আল্লাহ্ তাহার কবরে একজন আজাবের

ফেরেশ্তা নিযুক্ত করিবেন। তাহার হাতে লোহার

মুগুর থাকবে। সে মৃত

ব্যক্তিকে বলতে থাকবে যে,দুনিয়ায় কেন

নামায পড় নাই। আজ তাহার ফল ভোগ

কর। এইবলিয়া ফজর নামায না পড়ার জন্য

ফজরহইতে জোহর পর্যন্ত,

জোহর নামাযের জন্য জোহর থেকে আছর

পর্যন্ত, আছরের নামাযের জন্য আছর থেকে

মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাযের জন্য

মাগরিব হইতে এশা পর্যন্ত এবংএশারনামাযের

জন্য এশা হইতে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর

দ্বারা আঘাত করতে থাকবে।



আমাদের মদ্ধে যারা মুসলিম আছে আসুন

ভাই আমরা সকল ভাই ও বোনেরা নিয়মিত

এবং সময়মত নামাজ পড়ি, অপর ভাইদেরও

বলি নামাজ পরার জন্য। তাহলেই একমাত্র

আমাদের সমাজ এ প্রকৃত শান্তি ও মুক্তি

আসবে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:৩০

উড়োজাহাজ বলেছেন: একটা শাস্তিও দেখি মানুষ দেবে না। সব শাস্তির ভার আল্লাহর হাতে। তাহলে সৌদি পুলিশ মানুষকে পিটায় কেন? এই অধিকার তারা কোথায় পেল?

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ৭:৫২

মনিরুল হাসান বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। সৌদি পুলিশের পিটুনিকেই মানুষের ভয়, তাহলে আল্লাহর শাস্তি কত ভয়াবহ হবে সেটা চিন্তা করে মানুষ যদি একটু ভয় পেত।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:১৩

গোবর গণেশ বলেছেন: দুনিয়াতে যে ছয়টি আযাবের কথা বলা আছে তার একটিও মনেহয় ঠিক না, কারণ নামাজ পড়েনা এমন লোক দেখেযান যার উন্নতির শেষ নাই, সুন্দর চেহারা, ইসলামী/অনাইসলামী সব ধরণের বরকত দিয়ে ভরা তার জীবন।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:৩১

অণুজীব বলেছেন: :(

৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ ভোর ৬:৪৮

আব্দুল্লাহ্ ইবনে জাহান বলেছেন: ‏«ﺍﻟُّﺪْﻧَﻴﺎ ﺳِﺠْﻦُ ﺍﻟﻤُﺆْﻣِﻦِ ﻭﺟَﻨﺔ ﺍﻟْﻜَﺎﻓﺮ ‏»

“দুনিয়া মুমিনদের জন্য জেলখানা আর কাফেরদের
জন্য জান্নাত” [মুসলিম: ]

একজন মুমিন
ইচ্ছা করলে দুনিয়াতে যা ইচ্ছা তা করতে পারে
না। তাকে একটি নিয়ম কানুন এবং বিধি-বিধান
মেনে চলতে হয়। পক্ষান্তরে একজন কাফেরকে কোন
বিধি-বিধান কিংবা নিয়ম কানুনের
পাবন্দি করতে হয় না, সে যখন যা ইচ্ছা তাই
করতে পারে। এ কারণেই
হাদিসে দুনিয়াকে মুমিনদের জন্য
জেলখানা বলা আর কাফেরদের জন্য জান্নাত
বলা হয়েছে। এ ছাড়া কাফেররা যখন
মারা যাবে তাদের মৃত্যুর পর তাদের জন্য
জাহান্নাম অবধারিত। আর জাহান্নামের
শাস্তি যে কত ভয়াবহ তা আমাদের
কারো অজানা নয়। জাহান্নামে নিদারুন
বেদনাদায়ক শাস্তির তুলনায় দুনিয়া কাফেরদের
জন্য জান্নাত স্বরূপ আর মুমিনদের জন্য জাহান্নাম।
মুমিনরা তাদের মৃত্যুর পর তাদের গন্তব্য
হবে জান্নাত। জান্নাতে তারা পরম সুখ ও অনাবিল
আনন্দ ভোগ করতে থাকবে। চিরদিন তারা আল্লাহ
রাব্বুল আলামীনের দেয়া নাজ-নেয়ামত ভোগ
করতে থাকবে। তা হতে তারা বের হবে না।
জান্নাতের এ পরম সুখের তুলনায় দুনিয়ার
জীবনটি তাদের জাহান্নাম তথা কারাগারের মত।
তাই হাদিসে দুনিয়াকে মুমিনদের জন্য কারাগার
বা জেলখানা বলা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.