নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বো-লোগার

ইফতেখার রাজু

বো-লোগার

ইফতেখার রাজু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইত্তেফাক সম্পাদকের ইসলাম কটূক্তি

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

এক অনুষ্ঠানে সরকারের পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর স্ত্রী, দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমীমা হোসেন ইসলাম ধর্মের আচার নিয়ে বিষোদগার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘শহরে যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, তাবলিগ বন্ধ করা উচিত। মাইকে উচ্চ শব্দে আজান দিয়ে শব্দ দূষণ করা হচ্ছে.......ইত্যাদি।’ কিন্তু একটি প্রতিনিধিত্বশীল অবস্থানে থেকে এ ধরনের একপেশে বক্তব্য সমাজের বৃহত্তর ধর্মীয় সংস্কৃতিতে আঘাত। আস্তিকতা বা নাস্তিকতা তখন পর্যন্ত ভালো যতক্ষণ পর্যন্ত এটি মানবিক থাকে। নিজের ব্যক্তিগত বিশ্বাস যখন কোনো সমষ্টিগত আচার ও কৃষ্টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তখন সমাজ অনিশ্চয়তার দিকে যায়। প্রগতি থেমে যায়, পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রযন্ত্রের চরিত্রে প্রীতি কমে যায়। আর যে সমাজে কেউ যখন অন্যদের বিশ্বাস ও ইশ্বর বৈচিত্র্য অগ্রাহ্য করে তখন চাপাতি চালাচালি হয়।

পারস্পরিক সোহার্দ, সহমত, ধর্মীয় সহঅবস্থান নিশ্চিত করতে না পারলে পুরো জাতির গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে উঠবে না। সমাজে ধর্মীয় ধারাটা হবে এমন যে, ভিন্ন ভিন্ন উৎস হতে উৎসারিত হবো আমরা, কিন্তু প্রবাহিত হবো একটি স্রোতধারা দিয়ে। ঠিক ঝর্ণা ধারার মতো। অর্থাৎ রাষ্ট্রে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় থাকবে, যারা বিভিন্ন দিবস ও ঋতুতে আলাদা আলাদা উৎসব করবে কিন্তু কেউ কারো মেরুদণ্ড ভেঙে দেবে না। আর আমাদের মধ্যে কেউ অথবা একটা বিশাল অংশেরও যদি পৃথিবীর কোনো ধর্মই ভালো না লাগে, তাও ভালো। তবে এটা মনে রাখা জরুরি ধর্ম না মানা দলের কোনো নাস্তিক যেন, মানলেওয়ালাদের জন্য ক্ষতিকারক না হয়। পাশাপাশি ধর্মের ধ্বজ্বধারী যারা তারাও যেন অতিমাত্রায় নিজেদের আস্তিক্য প্রতিষ্ঠিত করতে গীয়ে বাকিদের ধর্মানুভূতিতে চাপাতিঘাত না করি। অনেকসময় হজুগেরা নিজেকে জানান দেয়ার জন্য ধর্মকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। অথচ ধর্ম কারো জন্য অস্ত্র নয় বরং অলংকার স্বরুপ। কারণ ধর্মকে লালন করলে, ঠিক মতন পরতে জানলে, মানুষের আত্মিক ও শারিরীক সৌন্দর্য দুইই বাড়ে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৭

এম.এ.জি তালুকদার বলেছেন: আপনার কথা স্বাভাবিক দৃষ্টিতে চরম সত্য কথা।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৩

ইফতেখার রাজু বলেছেন: স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক সব পরিস্থিতেই সবকিছুর সমান্তরাল সহ অবস্থান দরকার। আর ধর্মের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিতে আরো বেশি জরুরি। ধন্যবাদ।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
পোস্টে এ +++++

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৪

ইফতেখার রাজু বলেছেন: ভাই সহমতের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫১

Mahfuz ahmmed বলেছেন: হুঁ

৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩৩

ইফতেখার রাজু বলেছেন: thank you vai


৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫২

ইফতেখার রাজু বলেছেন: সহঅবস্থানের কথা বলা কোনোভাবেই বিষোদগার না।আমি আমার লেখায় সমাজ রাষ্ট্রে একটা কালচারাল হারমোনি তৈরির কথা বলতে চেয়েছি।এতদিনে সেটা তৈরি হলে আজ আমাদের এত বাহাস করতে হতো না। ইত্তেপাক সম্পাদক যেটা বলেছেন, তা বলার অধিকার অবশ্যই তার রয়েছে। আর আমি যেটা বলেছি তা হচ্ছে, ধর্ম মানেন না এমন কোনো ব্যক্তি যেন, যারা ধর্ম মানেন তাদের জন্য ক্ষতিকারক না হন। পাশাপাশি ধর্মের ধ্বজ্বধারী যারা তারাও যেন অতিমাত্রায় নিজেদের আস্তিক্য প্রতিষ্ঠিত করতে গীয়ে যারা কোনো ধর্ম বা ইশ্বরে বিশ্বাস করেন না তাদের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত না হন। অথচ তাসমীমা হোসেন না ধার্মিক না অবিশ্বাসি। তিনি জন্মেছেন আযানের শব্দ শুনে, মরণে শবকার্য সম্পাদনও করা হবে ইসলামিক রীতি মেনে। যেহেতু তিনি এখনো মুসলমান, আর মৃত্যুকালে যদি কোনো শেষ ইচ্ছার কথা বলে যান সেটা ভিন্ন কথা। আস্তিক-নাস্তিক দুইয়ের মাঝখানে থাকা আসলেই বিপজ্জনক। সেজন্যই তিনি মুসলমানদের যাপিত ধর্মীয় কালচার নিয়ে কটূক্তি করে ফেললেন। কিন্তু, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক দিবসে শহর আর গ্রামের এ প্রান্ত হতে ওই প্রান্ত সরাক্ষণ যে মাইকের আওয়াজ হয়, তাতে কি শব্দদূষণ হয় না। আর তাসমীমারা যে শ্রেণির মানুষ তাদের বাসা-বাড়ি-গাড়ি-পার্টিতে যে উচ্চস্বরে হিপহপ বাজানো হয় তার সুর বুঝি অনেক সুরেলা, শব্দ দূষণ হয় না তাতে। এ মানুষগুলো মূলত সমাজে একটা সাম্রদায়িক বিভেদ তৈরি করতেই এসমস্ত কথা বলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.