![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে খুঁজে পেতে ভালবাসি। ভালবাসি গান , কবিতা , আর গল্পের বইএর পাতায় হারিয়ে যেতে তবে প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটাতে পারলে এ সব তুচ্ছ।
-জানেন ক্যাম্পাসে আমার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস কি?
(কোন এক অদ্ভুত কারণে এই লোকটার সাথে কথা বলার সময় কোন ভাবেই আমি আমার উচ্ছ্বাস লুকাতে পারিনা, প্রতিবার ভাবি একটু ভাব নিয়ে কথা বলবো।ছেলেরা নাকি আবার প্রাণোচ্ছ্বল মেয়েদের বেশী আধুনিক আর গায়ে পড়া ভাবে, যদিও এই তথ্যও আমাকে এই লোক সরবরাহ করেছে। যতই আমি তার প্রতিটা হাইপোথেসিস নিয়ে ঝগড়া করি, কেন যেন দিন শেষে তার কথাগুলো না মেনেও পারি না। এন্ড আই ডোন্ট লাইক দিজ থিং অ্যাট অল।)
-কি ভাল লাগে? ফুচকা?
-ফুচকা তো ভাল লাগেই কিন্তু সেটা তো ক্যাম্পাস ছাড়াও পাওয়া যায়,আর আমার সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে কৃষ্ণচূড়া, স্পেশালি এই টাইমে যখন গাছগুলোতে আগুন লেগে যায় তখন। আপনি কি কখনো দেখেছেন সেন্ট্রাল লাইব্রেরী থেকে ডাকসুর সামনে দিয়ে রাস্তাটা কেমন লাল কার্পেট হয়ে থাকে?
- দেখেছি হয়তো খেয়াল করিনই।
-আপনি ফটোগ্রাফি করেন আর এটা খেয়াল করেননি? কিভাবে সম্ভব?
এই কথা শুনে কেন যেন সে একটু লজ্জা পেয়ে গেল,
আর বলল , তোমাকে কি কখনো বলেছি আমি কালার ব্লাইন্ড?
আমি –(খুব অবাক হয়ে) আসলেই?
সে- হ্যাঁ , ক্যাম্পাসের এই লাল কৃষ্ণচূড়া আমি কখনোই খেয়াল করতাম না, যখন কেউ বলতো ,তখন খেয়াল করে দেখতাম বাহ তাইতো। বাদামী রঙ ও আলাদা করতে পারিনা আমি।গাছের গুড়ি আর পাতা একই রঙ মনে হয়।
আমি- তাহলে সেদিন কিভাবে বুঝলেন আমার চুল বাদামী? কেউ বলে দিয়েছিল? আপনি আমার চোখের রঙও আলাদা করতে পারেননা?
সে- নাহ, সেদিন সানসেটের সময় চারুকলার সামনে দিয়ে ড্রাইভ করে ঢুকছিলাম, ওই ডাস্কলাইটে বোঝা যাচ্ছিল যে তোমার চুলের চারটা শেড , (একটু হেসে) এত বড় চুল তো হাইলাইট করার কথা না :p
আমি- আর কি রঙ দেখেননা বলেনতো?
সে-হুম্ম, দেখিতো সবই কিন্তু, আলাদা করতে পারিনা। সব শুধু তিনটা রঙের মনে হয়, নীল/বেগুনী, লাল/কমলা সব লাল, আর সাদা। সবগুলো শেড বুঝি কিন্তু রঙ এই তিনটাই। ধরো সূর্যাস্তের সময় লাল,কমলা,হলুদ সবগুলো রঙ যখন মাখামাখি হয়ে থাকে আমি দেখি একটা রঙ হয় লাল নাহয় কমলা। রংধনুতে দেখি তিনটা রঙ লাল/কমলা মিলে শুধু লাল, নীল/বেগুনী আর সবুজ হলুদ মিলে মিশে একাকার।জানো টেনিস বল হলুদ ভাবতাম আগে।
আমি খুব অবাক হয়ে ভাবছিলাম এত কিছু খেয়াল করে কেউ? জিজ্ঞাসা করার আগেই বলে দিল যে ছোট বেলায় পেইন্টিং করার সময় তার মনে হত এতগুলো রঙ কেন! পরে ক্লাস টেনে চোখের ডাক্তারকে ব্যাপারটা বললে তিনি বুঝিয়ে বলেন সমস্যাটা জেনেটিক।আমি যখন এই অদ্ভুত মানুষটার সাথে কথা বলা শুরু করি তার কিছুদিন আগেই নিজে এইচ এস সি পাশ করেছি।লাল-সবুজ বর্ণান্ধতার কথা পড়েছি কেবল বইয়ে।কিন্তু সেদিন সারারাত ভেবেছি এত কিছু খেয়াল করার জন্য কতখানি অবসারভেন্ট হতে হয়! আমাদের এই কথোপকথোনগুলো আমাদের মাঝে তার তুলে রাখা দেয়ালের মাঝে ছোট ছোট ফোকরের মত ছিল, যেখানে আমি পুরোপুরি অন্য মেরুর একজনের জন্য চোখ পেতে রাখতাম। কেন দেয়াল তোলা ছিল আর কেনই বা আমি নেশাগ্রস্তের মত ছুটে যেতাম সে কথা আর নাই বা বললাম।হয়তো নিজেও জানিনা কিন্তু এটুকু জানি যে স্ফুলিঙ্গের মত কিছু একটা অনুভব করতাম---
২| ১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:১৭
ইমা সুলতানা চারু বলেছেন:
৩| ২৬ শে মে, ২০১৫ রাত ১:১৩
স্বপ্ন সতীর্থ বলেছেন: দারুণ লেগেছে। আরো একটু বড় হলে আরো ভালো হতো
৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার লিখেন আপনি
খুব ভালো লাগছে আমার পরিচিত ক্যাম্পাসে এখন আপনাদের পদচারনা। নস্টালজিক হলাম
৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৫
ইমা সুলতানা চারু বলেছেন: খুব বেশী দিন নেই ক্যাম্পাসে ভাবলেই মন খারাপ হয়ে যায়
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:০০
পাজল্ড ডক বলেছেন: "স্ফুলিঙ্গের মত কিছু একটা অনুভব "----------ভুলেই গেছি এখন সেটা।