নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মো: ইমরান হোসেনস

আমি খুব সাধারন মানুষ,বলার মত তেমন কিছু আমার মধ্যে নেই।

মো: ইমরান হোসেনস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবেগ থেকে নিজেকে বাঁচান!

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৫৪



আবেগ থাকা ভালো, কিন্তু বেশি মাত্রায় আবেগ থাকা এবং আবেগ প্রকাশ করা ভালো নয়। যেসব মানুষ আবেগপ্রবণ হন তারা জীবনে অনেক বেশি মাত্রায় কষ্ট ভোগ করে থাকেন। আবেগ প্রবণ মানুষ যে কাউকে বেশি মাত্রায় বিশ্বাস করেন খুব সহজেই। যখন এই বিশ্বাস ভাঙে তখন বিশ্বাস ভাঙার কষ্টটা শুধুমাত্র আবেগ প্রবণ মানুষটিই ভোগ করে থাকেন।

আবেগ মানুষের জীবনযাপনের জন্য বেশ ক্ষতিকর একটি অনুভূতি যদিও এটি ভেতরের পবিত্রতা প্রকাশ করে। আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেকে অনেক ভুল করে ফেলেন যার ফলে পরবর্তীতে অনেক পস্তাতে হয়।

কারো সামনে আবেগ প্রকাশ করার অর্থ হলো অন্য একজন মানুষের কাছে নিজেকে ধ্বংস করে দেয়ার অস্ত্র দিয়ে দেয়া। মাত্রাতিরিক্ত আবেগের কারণে বিষণ্ণতা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন অনেকে। কিন্তু নিজেকে তিলে তিলে বিষণ্ণতার দিকে ঠেলে দেয়া সমাধান নয়। আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে জীবনকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনা সম্ভব। তাই জানতে হবে নিজের আবেগটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়।

# নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন
বেশি আবেগপ্রবণ মানুষ আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন না। তাই প্রথমে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিন। এতে আবেগের মাত্রা কমে আসবে। স্বার্থপর হতে বলা হচ্ছে না, শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছেটাকে সামান্য গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। এতে করে নিজের প্রতি বিশ্বাস ফিরে পাবেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণে আনতে শিখুন।

# নিজেকে চিনুন
নিজেকে জানার চেষ্টা করুন। চিন্তা করে বের করেন আপনি কোন জায়গায় সব চাইতে বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কোন মানুষটি আপনার আবেগ প্রবনতার কারণ কিংবা কোন কাজটি আপনাকে বেশি মাত্রায় আবেগী করে তোলে। আগে নিজের দুবৃল জাযগাটি বের করুন। যদি সম্ভব হয়ে কারণটিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার অতিরিক্ত আবেগ কমে আসবে এবং দুঃখ কম পাবেন।

# নিজেকে সময় দিন
অনেকক্ষেত্রে সময় মনের ক্ষত পূরণ করতে সহায়তা করে। তেমনই নিজেকে সময় দিন আবেগটাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। এতে করে আপনার নিজের মন ঠিকই খুঁজে নেবে আপনার কষ্টের কারণ এবং নিয়ন্ত্রণে আনবে আপনার আবেগ।

# 'না' বলা শিখুন
আবেগপ্রবণ মানুষের সব চাইতে বড় সমস্যা তারা সহজে কাউকে না বলতে পারেন না। ‘অনুরোধে ঢেঁকী গেলা’ প্রবাদ মুলত আবেগপ্রবণ মানুষের জন্যই তৈরি হয়েছে। এ কারণে অনেকে আবেগপ্রবণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে নিজের কাজ উদ্ধার করে নেয়। তাই সবার প্রথমে না বলা শিখুন যত কষ্টই হোক না কেন? এতে করে অযথা কোনো ঝামেলায় পরে আবেগী হয়ে ভুল করার প্রবণতা কমবে।

# জীবন থেকে চলে যেতে দিন ক্ষতিকর মানুষগুলোকে
আবেগ প্রবণ মানুষের প্রধান সমস্যা তারা যতই কারো কাছ থেকে কষ্ট পাক না কেন তাদের জীবন থেকে চলে যাওয়া সহ্য করতে পারেন না। অনেক ক্ষেত্রে তাদের ভুলকে ক্ষমা করে আবার নতুন করে ভুল করে বসেন।

এই কাজটি কখনো করবেন না। এতে আপনি নিজের আবেগ প্রবণতাকে কখনো অতিক্রম করতে পারবেন না। নিজের জন্য ক্ষতিকর এই সকল মানুষের ভুল চাইলে ক্ষমা করতে পারেন কিন্তু পরবর্তীতে তাদেরকে আগের মত গুরুত্ব দেবেন না। এতে আপনি শান্তিতে থাকবেন এবং আবেগটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

কানিজ রিনা বলেছেন: সব চেয়ে বেশী ক্ষতি হয় দৈহিক আবেগ
দৈহিক আবেগ নিয়ন্ত্রন যারা রাখতে পারেনা
তাদের কোনও ভালকাজ প্রশংসা পায়না।
ধন্যবাদ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৬

মো: ইমরান হোসেনস বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যাবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.