নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধর্মপুত্রযুধিষ্ঠিররা সাবধান

ইমরোজ

হমপগ্র

আমার আমি।

হমপগ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

শফি হুজুরদের বাড়তে দিয়েছি এখন আগাছাই গাছে পরিণত হয়েছে!

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১২

শফি হুজুরের একটি ওয়াজের ভিডিও ক্লিপ দেখলাম ইউটিউবে। পুরোটা দেখার পর আমার মনে হলো, নাহ! এবার কিছু একটা বলতেই হবে। এভাবে আর চলতে পারে না।



একটা জিনিস খুব পরিষ্কার বুঝতে পারলাম। শুধু ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা করলে ধর্মের বারোটাই বাজে। ধর্মের নামে যাতা রটানো যায়, যাতা করা যায়। আমাদের দেশে এক শ্রেণীর ধার্মিকের উদ্ভব হয়েছে। যারা ইসলামকে হেফাজতে রাস্তায় নেমেছেন। আমাদের দেশে যখন কেউ নামাজ পড়তে বাঁধা দেয় না, রোজা রাখতে বাঁধা দেয় না সেখানে কেন ইসলামের হেফাজত করতে নামতে হবে?



যাদের কথা বলছি এরা খুব চতুর প্রকৃতির মানুষ। এরা মাদ্রাসায় পড়া একগুচ্ছ মানুষ যাদের শিক্ষার দৌড় বেশি নয়। অথচ, এই শিক্ষা নিয়ে এরা চায় মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে। মানুষকে শাসন করতে। সুতরাং একজন অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত মানুষ যখন শাসন করবেন তখন তার সাবজেক্ট বা প্রজাদেরও হতে হবে তার চেয়েও অশিক্ষিত।



ধর্মীয় শিক্ষার জালে ফেলে এরা ঠিক সেটাই করছে। একগুচ্ছ অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরী করছে। এর ফলে শিক্ষার অভাবে এরা গোয়ার হয়ে উঠছে। আর অশিক্ষিত দরিদ্র্য মানুষের কাছে ধর্মই একমাত্র অবলম্বন। সুতরাং ধর্মকে ট্রাম কার্ড হিসেবে খেললেই হয়ে গেল।



বর্তমানে এদের নেতা হলেন শফি হুজুর। তিনি তার বয়ানে পরিষ্কার করে দিয়েছেন মহিলাদের প্রতি তাদের মনোভাব কি।



যাদের সামনে বসে তিনি বলছেন, "মার্কেটিং করার জন্য বাইরে যাওয়ার কি দরকার, ছেলে আছে, স্বামী আছে তাদেরকে বললেই তো হয়"। তারা এতটাই অশিক্ষিত গন্ডমূর্খ যে উল্টো প্রশ্ন করতে পারে না। আমি সেখানে থাকলে ওনাকে একটা প্রশ্ন করতাম। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ ) এর প্রথম স্ত্রী বিবি খাদিজা (রাঃ ) কিভাবে ব্যবসা করতেন? তিনি কি তাঁর স্বামী বা ছেলেকে দিয়ে ব্যবসা করাতেন? সেটাকি সম্ভব?



আমি জানি হযরত আয়েশা (রাঃ ) একজন যোদ্ধা ছিলেন। তিনি যুদ্ধে গিয়েছেন। আমার প্রশ্ন শফি হুজুরের কাছে সেটা কেমনে সম্ভব ছিল?



তিনি আরও বলেছেন লক্ষ লক্ষ টাকা মেয়েরা আয় করছে কিন্তু সংসারে শান্তি নাই। শান্তি নাই কারণ আল্লাহর রহমত নাই। আমি এরকম অনেক পরিবারকে চিনি যারা মায়ের আয় করা টাকা দিয়ে সংসার চালায়। আমি এমনও পরিবারকে চিনি যে পরিবারের বড় মেয়েটি চাকরি না করলে পুরো পরিবার না খেয়ে থাকবে। আমার পেটে ভাতের দরকার আগে, আল্লাহর রহমত পরে দিয়েন শফি হুজুর।



এটা কোন বাস্তব সম্মত কথা, মেয়েরা কাজ না করলে ওদের উপর নির্ভরশীলদের কি হবে? এরকম কত কত পরিবার আছে বাংলাদেশে তাঁর হিসাব কি শফি হুজুর রাখেন? মেয়েদেরকে চার দেয়ালে বন্দী করে রাখলে কি হবে পরিবারগুলোর? নাহ! আমি আল্লাহকে দেখি নাই অভাগার মুখে খাবার তুলে দিতে। কেননা তিনিই বলেছেন, মানুষের ভাগ্যের নির্ধারক সে নিজেই।



ব্রেইন ওয়াশ করা এই মানুষগুলো দেশের ক্ষমতায় গেলে কি হবে জানেন? দেশটা সিরিয়া, মিশর, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, পাকিস্তানের মত সংকটে পড়বে। মেয়ে ভর্তি স্কুল বাসে বোমা ফাটবে। আফগানিস্তানের মেয়েদের চাকরি থেকে নিষিদ্ধ করে দেওয়ার পর, কত মেয়ের পরিবারের অবস্থা খারাপ হয়েছে আমরা সে হিসেব কোনদিন করেছি?



ধর্মের কথা বললে শান্তি লাগার কথা। আল্লাহর কথা খোদার কথা, রাসূলের কথা শুনতে সবারই প্রাণ জুড়িয়ে যাওয়ার কথা নয় কি? অথচ এরা ধর্মের নামে ওয়াজ করে হেইট্রেট, ঘৃণা ছড়িয়ে যাচ্ছে মানুষের ভেতর। সরল সাধারণ মানুষের ভেতরে তারা গ্রোথিত করছে অশান্তির বিজ। এটি যেদিন জ্বলে উঠবে সেদিন কেউই রক্ষা পাবে না।



মানুষে মানুষে হানাহানি মারামারি লেগেই থাকবে। আজকে ধর্মের এই অবস্থার কারণ হলো আরবে গোত্রে গোত্রে সংঘাত। সেখানে তারা গোত্রে গোত্রে যুদ্ধবিগ্রহের রাজনৈতিক কারণে ধর্মকে ইচ্ছামত নিজেদের কাজে ব্যবহার করেছে। এইজন্য আসল ধর্মের কোন ছিটেফোটাও আজ নেই।



আজ ধর্মের নামে ওয়াজ শুনলে মনে হয় আমার পাশে বসা হিন্দুটি মানুষ নয়। আজ ধর্মের নামে ওয়াজ শুনলে মনে হয় নিজের বউকে কাল থেকে ঘরে তালা বন্ধ করে দেই। কারণ ছাড়াই তাকে বলি, কেন উলঙ্গ চলাফেরা করো? কেন বাইরে যাও। তুমি জানো না একটি কড়িও তোমার নিজে থেকে কেনার হুকুম নাই?



দিন পার হয়েছে, অনেক অনেক যুগ চলে গেছে অথচ এই ধর্মান্ধদের কোন বিকার নাই। তারা বসে আছে সেই যুগে ফিরে যাবে। সেসময় কি শেয়ার মার্কেট ছিল? মোবাইল, টেলিফোন, টেলিভিশন, ইন্টারনেট, ফ্যান, এসি, গাড়ি, শপিং মল, রকেট প্লেন, ক্যামেরা কিছুই কি ছিল?



এই এত বিপ্লবের মধ্য দিয়ে একটি জাতি কিভাবে অন্ধকারে পরে থাকতে চাইতে পারে আমি এখনও বুঝি না। ইসলাম আসার আগে নাকি মেয়েদেরকে জ্যান্ত পুতে মেরে ফেলা হত কারণ সমাজে এতই অনাচার ছিল। এখন দেখছি আমার কোন মেয়ে সন্তান হলে আমাকেও তাই করতে হবে। কেননা, হাজার হাজার মানুষ এটা বিশ্বাস করে নারীরা পাপী, তারা তেতুলের মত, তাদের দেখলে জিবে পানি আসতেই হবে।



আমার মেয়েকে আমি চার দেয়ালে বন্দী জীবনযাপন করতে দিতে চাই না। এর থেকে ভালো সে মরে যাবে। কোন দরকার নাই এই সমাজে কোন মেয়ের বাস করা। এত ঘৃণার মধ্যে কেমন করে বাস করবে একটি মেয়ে? কেমন করে জন্ম দিবে আরেকটি সত্ত্বাকে? নিজের বিবেকের কাছে একবার প্রশ্ন করে দেখুন না!



আমার বউ চাকরিজীবী, আমিও চাকরি করে খাই। আমাদের টোনাটুনির সংসারে কোন মারামারি হানাহানি নাই। আমরা বেশ সুখেই আছি, ভাল আয় করছি ভাল খাচ্ছি। এটাই কি রহমত নয়? আমার বউকে বন্দী করে আমি সাইকোপ্যাথ বানিয়ে রহমত খুজতে চাই না। এটা আমাকে দিয়ে হবে না।



সুতরাং শফি হুজুর, আধুনিকতা মানেই উলঙ্গ চলাফেরা নয়, ছেলেমেয়ে একসাথে পড়াশোনা করা মানেই সেক্স করা নয়, ছেলেমেয়ে পাশাপাশি চাকরি করা মানেই কিন্তু পরোকিয়া নয়। দেয়ার ইজ এ লাইন ড্যাট ইউ ডোণ্ট ওয়ান্ট টু সি বিকোজ ইউ আর ব্লাডি ব্লাইন্ড!

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৯

কষ্টবিলাসী বলেছেন: আপনি যে রাজনীতিকের দ্বারা শাসিত হচ্ছেন সেও তো আপনার চেয়ে কম শিক্ষিত, তবুও তো চামচামো করে যাচ্ছেন। উপায় কি?

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২২

হমপগ্র বলেছেন: ফালতু কথা কম বলেন। আমি কার চামচামো করলাম? প্রগতিশীলতা চামচামো হয়ে গেল?

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৪

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: সব শালা ভণ্ড

ভণ্ড ভণ্ড ভণ্ড
Click This Link

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৪

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: সব শালা ভণ্ড

ভণ্ড ভণ্ড ভণ্ড
Click This Link

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:২৮

হিংস্র ঈগল বলেছেন: চরম সত্য কথা বলেছেন। তবে খারাপ লাগে এই সব খেজুর(হুজুর না) দের কথা শুনলে। এদের ওয়াজ মনে হয় আমার আপনার পরিবারের মেয়েদের জন্যই প্রযোজ্য। যারা সংসদে যেয়ে চু*মা*নি গালি দেয় তাদের নিয়ে এরা একটা বয়ানও দেয় না। X( X( X( এই হেলিকপ্টার শাফি এখন অনেকের কাছে রক স্টারদের মত ক্রেজে পরিণত হয়েছে। ২০০০ সালের শুরুতে মুফতি আমিনিও এইরকম জ্বালাময়ী বয়ান দিয়ে মতিঝিল গরম করে ফেলেছিল পরে ব্রাম্নন বাড়িয়ায় ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলো। এই হেফাজতিরাও শেষ পর্যন্ত তাই করবে।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩১

হমপগ্র বলেছেন: বিষয়গুলোকে রাজনীতির বাইরে যদিও চিন্তা করার অবকাশ নেই, তবুও বলি সামাজিক বিপর্যয় একটা হতে বাধ্য!

৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩০

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: ধর্ম নিয়ে চরম বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

হমপগ্র বলেছেন: যুক্তি দেখা পারলে! লেখার বিষয় বস্তু নিয়ে পারলে লেখ! ফাতরামি তো বহুত হইছে তোগো! আর কত করবি?

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩০

ছািব্বর বলেছেন: http://www.youtube.com/watch?v=R-cd6P-u4WY

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

হমপগ্র বলেছেন: ধন্যবাদ!

৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

আরিফ আহমেদ বলেছেন: আরব আমিরাতে তো দেখে আসলাম মেয়েরা নিজের গাড়ি নিজে চালিয়ে বেড়ায়, নিজের ব্যবসা পরিচালনা করে।সেখানে যেয়ে ওদেরকে শিখে আসতে বলেন ইসলাম কাকে বলে।অত কথা না বলে সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ান মেয়েরা হাজার বাইরে বেড়ালেও আর কোন সমাস্যা হবে না।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

হমপগ্র বলেছেন: ওদেরকে কিছু শিখতে বলা যায় না। তাহলে নাস্তিক হয়ে যাই!

৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: হে হে হে, এখন অনেক অন্ধ এসে আপনাকে ভার্চুয়ালি হয়রানি করবে

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

হমপগ্র বলেছেন: করুক সমস্যা নাই। এইবার আমি জুতা মারতে শিখছি :)

৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

বঙ্গদর্পণ বলেছেন: আপনি যত সুন্দর ও ভদ্র ভাষায় শফি হুজুরের বয়ানের সমালোচনা করলেন তা শুনার মতো লোক এখন খুব কম- এটি দুঃখজনক হলেও সত্য। আপনি যা বলছেন তা সত্য ও সঠিক জেনেও এব্যাপারে কারো মাথা ব্যাথা নেই, বরংচ ওরা আপনাকে এখন আওয়ামী লীগের চামচা বলে অভিহিত করবে। এসব দলবাজ লোকেরা তাদের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার জন্য শফি হুজুরের মত অর্ধ-শিক্ষিত লোকদেরকে বাড়ার সুযোগ দিয়েছে। আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতারাও কিছু অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত ও ধর্মান্ধ লোককে ক্ষমতায় যাবার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। যারা জেগে জেগে ঘুমায় তাদেরকে কেউ জাগাতে পারে না।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

হমপগ্র বলেছেন: আমি জানি। সেজন্যই আবার কলম হাতে নেওয়া। জাগুক না জাগুক, অন্তত একবার পড়ুক এইটাই এখন চাই!

১০| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৩

পুকুরপাড় বলেছেন: যে মাওলানা নামধারী আহাম্মক শফীর মুখে চরম অশ্লীল কথা বের হয় সে কি ইসলাম নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা রাখে ???

১১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৮

গেস্টাপো বলেছেন: ডাডা
এইবাবে কেললে ওবে না
নউকু তো ডুবে যাচ্ছে গাজিপুরে :) :)

কিচুদিন পরে চামুও ডুবে যাবে কিন্টু B-)) B-))

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

হমপগ্র বলেছেন: দেশটা ডুববে যখন তখন কেলাইয়েন! বুঝতাছেন না তো! পাকিস্তানের মত বোমা পড়লেও বুঝবেন না!

১২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৩

উচ্ছল বলেছেন: যাদের কথা বলছি এরা খুব চতুর প্রকৃতির মানুষ। এরা মাদ্রাসায় পড়া একগুচ্ছ মানুষ যাদের শিক্ষার দৌড় বেশি নয়। অথচ, এই শিক্ষা নিয়ে এরা চায় মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করতে। মানুষকে শাসন করতে। সুতরাং একজন অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত মানুষ যখন শাসন করবেন তখন তার সাবজেক্ট বা প্রজাদেরও হতে হবে তার চেয়েও অশিক্ষিত।

কিন্তু যেসব আধুনিক শিক্ষিত ভদ্রলোকেরা চাচ্ছেন সমাজের পরিবর্তন ও সুগঠন। যারা চাচ্ছেন সুষ্ঠু আইনের শাসন। এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আল্লাহর আইন তাদেরকেও আমরা অগ্রাহ্য করছি আমাদের কূপমুন্ডুক চিন্তার ফসল হিসেবে।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫০

হমপগ্র বলেছেন: জানি না ঠিক কি বলতে চাইলেন!

১৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৩

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: একটি ছাগু কাব্য: উৎসর্গ মোমের মানুষ ও গেস্টাপো।


এই নাস্তিক সরকার থাকলে
থাকবে না ঈমান, থাকবে না মান
করো সবে জামায়াতের জয়গান

ধর্ম থাক বা না থাক, মাথায় থাকবে টুপি
সাঈদীর মতো কামনা মেটাব চুপি চুপি

ইহকালে নারী, পরোকালে হুর
ভোগের বস্তু থাকবে ভরপুর

করো সবে জামায়াতের জয়গান
যদি থাকে তিল পরিমাণ ঈমান

১৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৪

সাইফ বারী বলেছেন: :| :-/

১৫| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৫

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: কয়েকটা ছাগলকে ভিডিওটা দেখেলাম , তার পরেও তারা বিশ্বাস করছেনা , তাদের বললাম তর জন্মদাতা বাপকে দেখিয়ে শফি হজুর যদি বলে এইটা তোমার বাপ নয় তার পরেও তোমরা তোমার বাপের কথা বিশ্বাস না করে বিশ্বাস করবা শফি হজুরের কথা ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫১

হমপগ্র বলেছেন: কথা সত্য! শফি হুজুরের কথায় এরা বাপকেও অস্বীকার করবে!

১৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:১৫

খেয়া ঘাট বলেছেন: পুরো ভিডিওটা দেখলাম। যেহেতু আমি একজন নামাজি মানুষ। ওদের প্রতি আমার একটু দূর্বলতা ছিলো । শাপলা চত্বরের ঘটনায় খুব মর্মাহয় হয়েছিলাম। এখনো আছি।

কিন্ত এ ভিডিওতে উনি যা বললেন- এগুলো যদি কোনো সুস্থ মনের মানুষ শোনে ইসলামের প্রতি মানুষের মনে খুব নেতিবাচক ধারনার সৃষ্ঠি হবে। এতো অশ্লীলভাবে কেউ বয়ান করতে পারে-তা আমার চিন্তারও বাইরে ছিলো। মেয়েদের এভাবে বন্ধী করে রাখার কথা ইসলামের কোথাও বলেনি। অথচ উনি ইসলামি পন্ডিত হিসাবে এসব বলে ইসলামের খুব ক্ষতি করলেন।

আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা- যারা আধুনিক , বিগ্গান মনস্ক শিক্ষায় শিক্ষিত তারা ধর্মের অনুশাসন ভালো করে মেনে চলেনা, আর যার কাঠমোল্লা তারা গ্যান কি, মুক্তমন কি, প্রগতিশীলতা কি তা বুঝেনা। ইসলামকে এরা খুব জগন্যভাবে একেবারে ফুটপাথে যারা যৌনবর্ধক ঔষধ বিক্রি করে তাদের মতো ব্যবহার করছে।

আধুনিক প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীরা মনে করেন, আমি সব বুঝে ফেলেছি। আমি পূর্ণ বিগ্গানমনস্ক এর উর্ধ্বে কিছু নাই। আর এরাও মনে করে- মক্তবের আমপারা, সিপারা আর বড়জোড় দেওবন্দ মাদ্রাসার কিতাবের ভিতরেই পুরো দুনিয়া রয়েছে - এর বাইরেও কিছু নাই।

আর আপনি শেষের লাইনটা ইংরেজীতে লিখলেন কেন?

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

হমপগ্র বলেছেন: আধুনিক গণতন্ত্রের মানে বুঝতে হবে আগে। যিনি জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করেন সেটা তার অধিকার। যিনি ধর্ম পালন করেন সেটাও তার অধিকার। একজন জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চাকারী ধর্ম পালন করবেন কি না করবেন সেটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।

সেটাকে সম্মান করা উচিৎ। ধর্মীয় অনুশাসন ধর্মের স্থানে থাক। কারো ক্ষতি না করলেই তো হলো। এই বিজ্ঞানমনস্করা কিন্তু ধার্মিকদের বিরক্ত করে না। করে কখন জানেন? যখন এইধরণের অস্রাব্য কথা ধার্মিকরা প্রচার করে। কেননা এটাতে আধুনিকতায় আঘাত আসে, মুক্তচিন্তায় বাধার সৃষ্টি হয়।

শেষ লাইনটা ইচ্ছা করেই ইংরেজিতে করেছি।

১৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২০

গেস্টাপো বলেছেন: যে আমারে ছাগু কয় ওর জন্মদাতা বাপে ছাগু

*uck আওয়ামী লীগ এন্ড জামাতি X(( X((

১৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৩০

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: ইসলামে মেয়েরা শুধু উত্তরাধিকারের মাধ্যমে সম্পদের অধিকারী হয় না, নিজেরাও ব্যবসা করে সম্পদের মালিক হতে পারে। এই কথা উনার মত আল্লামার মাথায় না থাকলে বলতে হবে শফি হুজুর আসলে যে ইসলাম প্রচার করতে চান, তা এমন কি আরব দেশেও নাই।

আরেকটা প্রচলিত বাঙলা প্রবাদ মনে পড়ে গেল। যার মনে যা, ফাল দিয়া উঠে তা। হুজুর এবং উনার তালেবাদের ক্ষেত্রে এইটা ১০০% প্রযোজ্য।

আশাকরি হেফাজতের সমর্থকরা এই ভিডিও দেখার পরে হেফাজতের উদ্দেশ্য সমন্ধে পরিস্কার ধারণা পাবেন। কথা হচ্ছে, শফি হুজুরের এই বাঙলাদেশ আপনারা চান, না যে বাঙলাদেশে বাস করেন তার কন্টিনিউয়েশন চান?

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৫

হমপগ্র বলেছেন: অবশ্যই বর্তমান বাংলাদেশের কন্টিনিউয়েশন চাই।

১৯| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫০

মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: ছাগুদের ঐতিহাসিক মিলন মেলা। দলে দলে ছাগুরা একত্রিত হয়েছে একটি ধর্মীয় ওয়াজের ভিডিওকে কেন্দ্র করে। ছাগুদের ছাগলামির কারনেই ৪ সিটিতে আওায়মিলীগের ভরাডুবি হয়েছে। তাদের অতিরিক্ত ছাগলামির কারনেই গাজীপুরের জনগন প্রত্যাখ্যান করেছে। তারপরও যদি ছাগু আর হনুদের একটু হুষ হয়!

২০| ০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৭

জগ বলেছেন: জামায়াতে ইসলামের মত কমপ্রোমাইজড ইসলামের কথা শফি হুজুররা বলেন না, উনারা তিক্ত সত্য কথা বলেন। শফি হুজুররা সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই একই কথা বলে আসতেছে, কিন্তু আমরা যাহেতু এখন সুশীল হইছি, তাই আমাদের কাছে কথাগুলো তিতা মনে হয়।

প্রচন্ড জ্বর হইলে যেমন মিঠা জিনিসও তিতা লাগে, তেমনি প্রচন্ড ব্রেইন ওয়াশের শিকার "সুশীল রোগে আক্রান্ত" আমাদের তরুন প্রজন্মের কাছে শফি হুজুরের স্বাভাবিক কথা বিষতুল্য মনে হচ্ছে।

শফি হুজুরদের বাড়তে দিয়ে ভূল হইছে - টাইপ গুপ্তকেশ বিসর্জন টাইপ আব্লামি কথা বলা খুব সহজ, কিন্তু বাস্তবতা হইল হেফাজতি ঝড়ে আওয়ামি সরকারের উড়ে যাওয়ার গ্রাউন্ড রিয়েলিটি।

আপনার মত নীতি-প্রতিবন্ধী সুশীল লেখকেদের প্রতি আমার করুনা হয়।

০৭ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪০

হমপগ্র বলেছেন: শফি হুজুরের কথামত মেয়েরা ঘরে বন্দী হয়ে থাকলে তাদের ফ্যামিলিকে কি তোর বাপে খাওয়াবে? আর্থসামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টা কত হাস্যকর!

আপনার মেয়ে, মা বোন কি ক্লাস ৪, ৫ পর্যন্ত পড়ান? নাকি এর বেশি পড়তে দেন?

ভন্ডকে এবার বল, আমি না তুই?

২১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: জগ , আপনার কথা সত্য,

জন্ম নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে মেয়েদের ব্যাপারে ইসলাম কি ধারণা পোষণ করে তা সফি হুজুর মনে হলো নতুন করে মডারেট মুসলিমদের দেখিয়ে দিয়েছেন।
মডারেট মুসলিমরা শফিদের চেয়ে বড় ভণ্ড। তারা বিশ্বাস দিয়ে আর মাসে চান্দে নামাজ পড়ে বেহেশতে যেতে চায়। তাদের অন্তরে থাকে একদিন না একদিন বেহেশতে যামু, ঈমান যেহেতু আছে। এটা একধরনের চতুর মানসিকতা। মাঝে মধ্যে এদের কাছে প্রশ্ন করতে মন চায়, আচ্ছা তোমরা যে এই ধারণা পোষণ করো এই কারনে মাসে চান্দে নামাজে যাও। এসব কি আল্লা বোঝে না??

মেয়েদের ব্যাপারে ইসলামে একটি দুটি অভিজ্ঞতার কথা রয়েছে। বিবি খাদিজা।
কিন্তু তখন মা ফাতিমা থেকে শুরু করে সমাজের ৯৯.৯৯ ভাগ মেয়ে ছিল ঘরের মধ্যে । এবং মেয়েরা পড়াশোনা করে ব্যাবসা বানিজ্যে এগিয়ে যাবে, সম্পদের মালিক হবে সে ব্যাপারে ইসলামে কোনো সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা নেই। বরং মা ফাতেমাকে মেয়েদের জন্য মডেল মনে করা হয়। খাদিজাকে নয়। সত্য এটাই । এটাই ইসলাম।

২২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:১৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট! প্রতিটি কথাই যুক্তিযুক্ত।
রাবিশ একটা ওয়াজ।


২৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

কসমিক রোহান বলেছেন: বলেছেন: আল-কুরআন এবং হাদীস এর আলোকেই তিনি (আল্লামা শফী) তার বক্তব্য দিয়েছেন। আমাদের আল-কুরআন এবং হদীসকে জানতে হবে রুট লেভেল থেকে বিশুদ্ধভাবে, অতপর নিজেই বুঝতে পারবেন ইনশা আল্লাহ্‌।
ইসলাম কে গোড়া বা রুট লেভেল থেকেজানতে হবে, মাঝখান থেকে ইসলাম কে বোঝা যাবেনা।
আলিফ , বা , তা, ছা থেকে শুরু করা যেতে পারে, বুঝতে পারবেন।
মাঝখান থেকে বুঝা যাবেনা কিছুই।
ইসলাম কে শিখতে হবে এমন কারো কাছে থেকে যার ইসলামী ইলম এসেছে উর্দ্ধক্রমে স্বয়ং রাসুলাল্লাহ (সাঃ) কাছ থেকে।
আপনি কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে যেতে পারেন। একদম রুট লেভেল থেকেশিখতে পারবেন।
অন্যথায় একজন আলেম এর কাছে যান, যিনি রুট থেকে ইসলাম জেনেছেন।
আমরা যারা জেনারেল সাবজেক্ট এর স্টুডেন্ট তাদের মেন্টালিক সেটাপ এবং লজিক তৈরী হয়েছে আলাদাভাবে যা আমাদেরকে আমাদের নিজেদের পছন্দমত লজিক গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আমাদের সুবিধা অনুযায়ী লজিক আমরা মানি।
কোন কিছুর উপর ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে অনুমান করে লজিক স্থাপন করলে সেটা অধিকাংশ সময়েই ভুল হয়।
একটা ছোট্ট ভুলেই অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।
তাই সাবধানী থাকা শ্রেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.