নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের জন্য পরিবর্তন

রাড্ডা

নাম:- ইকবাল জিল্লুল মজিদপেশা:- চাকুরী ও চিকিৎসা পেশার সাথে জড়িতহবি:- সমাজ উন্নয়ন মূলক কাজে নিয়মিত অংশ নেওয়া, প্রতিদিন কিছু বিষয় ভিত্তিক লিখা,নিয়মীত মেডিটেশন করা

রাড্ডা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুদ হারাম লাভ হালাল বিষয়টা বুঝতে পারি নাই

৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

ব্লগ থেকে সংগ্রহ: চিন্তা করুন এবং বিষটি গবেষনা করা দরকার।
সুদ হারাম... সুদ হারাম.... সুদ হারাম।
লাভ হালাল.... লাভ হালাল... লাভ হালাল।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশী মুসলমানদের বিরাট অংশকে কাবু করে দিয়েছে এই বানীতে। ইসলাম বিষয়ে তরলপ্রান মানুষ তা বিশ্বাসও করেছে। বিশ্বাস করছে, ভালো করছে। ইসলামী ব্যাংকের ব্যাবসা রমরমা হইছে!! দেশে ইসলামী ব্যাংকের বিরাট জোয়ার বইতেছে। বিদেশী ব্যাংকগুলিও ইসলামী ট্যাগ লাগিয়ে ব্যাংকিং করতে আগ্রহী হচ্ছে। কারন বাজার বলে কথা। সুতরাং ইসলামের উপকার হোক বা না হোক। ব্যাংকিং ব্যবসায় প্রতিযোগীতা বাড়ছে।
আমার কিছু আলগা কথা আছে এই প্রসঙ্গে। যৎসামান্য ব্যাংকিং জ্ঞানের প্রভাবে এগুলো বেরিয়ে যায় মাঝে মাঝে।
আচ্ছা সুদ কি? সুদের সংজ্ঞা কি? সুদ শব্দটা কেন আসলো। interest শব্দটার বাংলা সুদ। তো.....এই অনুবাদ কি কোন হুজুর করে দিয়েছে? কোন সে মওলানা?
ইসলাম যখন কায়েম হয়, তখন কি ব্যাংক ছিল? ব্যাংক প্রথা চালু হয়েছে কোথা থেকে, কখন থেকে?
ইসলামী ব্যাংক সুদ আর লাভের মধ্যে হালাল হারামের মাজেজা দেখিয়ে ব্যাবসা চাঙ্গা করেছে বছরে পর বছর, আম জনতা বেহেশতের লোভে আকাম কুকামে টাকা কামিয়েও ইসলামী ব্যাংকে জমিয়েছে। ইসলামী ব্যাংক হারাম বলে সুদ দেয় না লাভ দেয়, তো যারা ওই ব্যাংকে টাকা জমা রাখে তাদের কামাইগুলা কি হারাম না হালাল তা কি কখনো যাচাই করে রাখা হয়? নাকি হারাম টাকা ইসলামী ব্যাংকে রাখলে ইসলামী ফিল্টারে হালাল হয়ে বেরিয়ে আসে?
ইসলামী ব্যাংক বৈদেশিক বানিজ্যে আছে কি না। বিদেশে যখন কোন লেনদেন করে, তখন সুদ বাদে লেনদেন করে, নাকি ইসলামী ফিল্টার করে? সারা বিশ্বে ব্যাংকগুলো আন্তঃব্যাংকিং সুদের হার নির্ধারন করে LIBOR কিংবা SIBOR নামে দুটো পথে। ইসলামী ব্যাংকের কী নিজস্ব কোন চ্যানেল আছে বৈদেশিক লেনদেনে? যদি না থাকে তাহলে দেশী টাকা জমা রাখার বেলায় হালাল শ্লোগান, আর বিদেশী লেনদেনে হারাম কারবার। একই ব্যাংকের এই দুইরকম লেনদেন কি মোনাফেকীর লক্ষন নয়?
যদি তথাকথিত সুদ আর লভ্যাংশ হাদিস মেনে ব্যাংকিং করতে হয়, ইসলামী ব্যাংকের কোন অধিকারই নেই ব্যবসা চালানোর। বান্দারে সাত-পাচ চৌদ্দ বুঝিয়ে পার পাওয়া যাবে, কিন্তু আল্লাহর কাছে কি জবাব দেবে। তাইলে কি ইসলামী ব্যাংকওয়ালারা আল্লাহ খোদায় বিশ্বাস করে না? নইলে এখনো গলা ফুলিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে কি করে?
এখন একটু গিয়ানী কতা কই। ইসলাম যখন কায়েম হচ্ছিল তখন দুনিয়াতে ব্যাংকিং প্রথা ছিল না। প্রথম ব্যাংকিং ব্যবস্থার উদ্ভব হয় ইউরোপে। নাসারাদের দেশে। নাসারাদের অন্যতম ভাষা ইংরেজী। ভারতবর্ষে ওদের শাসন নাজিল হয় দুশো বছরের জন্য। সেই সুবাদে এই দেশেও আমদানী হয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা। ব্যাংকিং ব্যবস্থায় লেনদেনের হার নির্ধারিত হয় ইন্টারেষ্ট নামক উপাদন দিয়ে। ইংরেজী 'ইন্টারেষ্ট' শব্দটাকে কোন এক বঙ্গসন্তান অনুবাদ করেন 'সুদ' বলে। সেই থেকে চলে আসছে ব্যাংক ও সুদ। সেই আদম সন্তান যদি অনুবাদ করার সময় সুদ না বলে 'ভুষি' করতো তাহলে সেটা হারাম হতো না বলে মনে হয় না।
আপনার বলেন, ভুষি হারাম এই কথা কোন মুসলমান মওলানা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে?? সুতরাং সুদ ব্যাপারটা যতটা হালাল হারাম সমস্যা তার চেয়ে বেশী শব্দানুবাদের সমস্যা। সংগৃহিত।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:২৭

ফাস্টার বলেছেন: তারা তাদের স্বপক্ষে কিছু বই লিখেছেন। পড়ে দেখতে পারেন।

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

কানিজ রিনা বলেছেন: ভাল বলেছেন আম জনতা আকাম কুকামের
টাকা ইসলামীক ব্যাংকে জমিয়েছে বেহেস্তের
লোভে। ইসলামীক ব্যাংক লাভ দেয় সুদ দেয়না। তাহলে আকাম কুকামের টাকা
ইসলামীক ব্যাংকে রাখলে ফিল্টার হয়ে
হালাল হয়ে বেড়িয়ে আসে। দারুন কথা।
হি হি হি দাড়ি টুপি পড়া লোক হজ করে
আশা মানুষই তো ইসলামীক ব্যাংকে টাকা
রাখে ব্যাংক কর্মকর্তারা কি করে বুঝবে
এদের টাকাগুল আকাম কুকামের। খুব ভাল
বলেছেন ধন্যবাদ।

৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২১

ওমেরা বলেছেন: আপনার কথায় একটু ভুল আছে কথাটা সুদ হারাম ব্যাবসা হালাল ।

৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ ভোর ৬:২৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ইসলাম বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যাতিত সুদ ও ব্যাবসার মতো জটিল বিষয়ে এহেন আবালীয় পোস্ট , বানরের হাতে খন্তার সাথে তুলনা করা যাইতে পারে !
ইসলাম বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা ইসলামী ব্যাংক কে সাময়িক পদ্ধতি হিসেবে যে ব্যবস্থা দিয়াছিলেন , ইসলামী ব্যাংক উহাও অনুসরণ করিতে পারে নাই ! ইসলামী ব্যাংক ইসলাম অনুসরণ করে বলিয়া মনে হয় না !
সুদযুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থা ইউরোপ থেকেই আসিয়াছে কোনো সন্দেহ নাই ! তবে ইসলামের ব্যাংকিং ব্যবস্থা এই আকারে না থাকিলেও, হালাল ব্যাবস্থায় ইমাম আবু হানিফার আমলেই ছিল ! পড়িতে পারেন 'ইসলামী ব্যাঙ্কিং ও অর্থায়ন পদ্ধতি- মুফতি মুহাম্মদ তাকী উসমানী - মাকতাবুল আশরাফ থেকে প্রকাশিত'
ইসলামী অর্থনীতির আধুনিক রূপায়ণ-লেখক: মাওলানা আবুল ফাতাহ মুহা. ইয়াহ্ইয়া-প্রকাশনী: আল-আমীন রিসার্চ একাডেমী !

আমাদের মতন সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যাক্তিরা বুঝিতে চাহেনা, জেনারেল শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত হইলেই ইসলামী বিষয়ে বিজ্ঞ হওয়া যায় না ! উহার জন্য ইসলাম বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন হয় ! ইহা বুঝিতে না পারার কারণেই আবালীয় মন্তব্য করিয়া বসে " সুদ ব্যাপারটা যতটা হালাল হারাম সমস্যা তার চেয়ে বেশী শব্দানুবাদের সমস্যা।"

আপনি যার কাছ থেকে এই আবালীয় পোস্ট সংগ্রহ করিয়াছেন , তাহাকে আবাল ছাড়া আর কিছু কহিলে মডুর কলিজায় আঘাত লাগিতে পারে ! তাই এখানেই ক্ষান্ত হইলাম !

৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৭

এ আর ১৫ বলেছেন: : সুরা আল ইমরান আয়াত ১৩০ -- হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো।---- এখানে চক্রবৃ্‌দ্ধি সুদের কথা বলা হয়েছে তার মানে সরল সুদের মাত্রা কম হলে গ্রহন যোগ্য। ১৪০০ বৎসর আগে অবস্থা ছিল এমন যদি কেহ ১০০ টাকা ধার নিত তাহোলে তাকে বৎসর শেষে ২০০০ টাকা দিতে হোত আর এখন দিতে হয় ১১০ টাকা তাহোলে ঐ দুই সুদ কি এক ?? প্রফিট মাত্রই হালাল হবে সেটা বলা যাবে না । কেউ যদি ১০০ টাকার জিনিস ২০০০ টাকায় বেচে ১৯০০ টাকা আয় করে তাহোলে কি ঐ আয় হালাল হবে ?? যে ভাবে ইসলামী ব্যাংকে হালাল সিল মারা হয়েছে সে ভাবে জিহাদে নিকাকে হালাল করেছে আই এস এস। ইসলামী ব্যাংক যদি লোকশানের ভাগ শেয়ার করে তাহোলে ইসলামিক হয় কিন্তু তারা তো তা করে না

৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:১৯

এ আর ১৫ বলেছেন: ইসলামি ব্যাংক যে কায়দায় ইসলামি হয়েছে যৌনপল্লীকেও সে কায়দায় ইসলামি করা যায়।

ইসলামি ব্যাংকের প্রতি আমার কোন বিদ্বেষ নেই। তারা ব্যবসা করতে চায় করবে। কিন্তু সমস্যাটা তখনি বাঁধে যখন তারা জনগনকে বুঝায় যে সাধারণ ব্যাংকে টাকা রাখা গুনাহর কাজ। এমনকি সাধারণ ব্যাংকে চাকরি করাও কবিরা গুনাহ। এ কারণে অনেক ব্যাংকারই নিদারূন মনোকষ্টে ভোগেন এবং উপায় না পেয়ে চাকরিও ছাড়তে পারেননা।

আমরা জানি যে ইসলামে সুদকে হারাম করা হয়েছে। কিন্তু কোরান হাদিস পড়লে বুঝা যায় সেটা ছিল আসলে গরিবের উপর আপতিত অতি উচ্চ দরের মহাজনি সুদ। আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার সুদের সাথে ইসলামের বিরোধ থাকার কোন যৌক্তিকতা নেই। তবুও সুদ হারাম এই যুক্তিতে কিছু ইসলামি বুদ্ধিজীবি ইসলামি ব্যাংকের আইডিয়া ফেঁদে বসেছে। মূলত ইসলামি ব্যাংক আর সাধারণ ব্যাংক এর মধ্যে কোন পার্থক্যই নেই, শুধু কাগজে কলমে একটু কারসাজি করে সুদকে মুনাফা আর ঋণকে ব্যবসা বলে এটাকে ইসলামি ব্যাংক বলে চালানো হয়। যেমন আপনি সাধারণ ব্যংকে ১০০ টাকা জমা রাখলে ১২.৫% সুদে বছর শেষে পাবেন ১১২.৫ টাকা। আর ইসলামি ব্যংকে ১০০ টাকা জমা রাখলে তারা ১০.৫% লাভের গ্যারান্টি দেবে, আর বলে দেবে ব্যাংকের লাভ হলে আপনি আরও বেশি পাবেন। বছর শেষে দেখা যায় ইসলামি ব্যংকের লাভ সাধারণ ব্যাংকের সুদের মত সেই ১২.৫% এর মতই থাকে। আবার ধরুন সাধারণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে আপনাকে ১৫% সুদ দেয়া লাগে। ইসলামি ব্যাংক থেকে টাকা পেলেও আপনাকে সেই ১৫% ই লাভ দেয়া লাগবে তবে তারা এর মাঝে শুধু একটু কায়দা করবে। সেটা হল আপনি যদি ১ লক্ষ টাকা দিয়ে ১ টি বাইক কিনতে চান তাহলে আপনাকে ইসলামি ব্যাংকের মালিকানায় ইসলামি ব্যাংকের টাকায় বাইকটি কিনতে হবে। পরে ১৫% লাভ হিসেবে কিস্তিতে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে বাইকটির মালিকানা আপনি নিজের নামে করে নিতে পারবেন। তাই বুঝতেই পারছেন যে প্র্যাক্টিক্যালি সাধারণ ব্যাংক আর ইসলামি ব্যাংকের মাঝে কোন পার্থক্য নেই।

ইসলামি ব্যাংকের কায়দা কাজে লাগিয়ে একটি যৌনপল্লীকেও ইসলামি যৌনপল্লী হিসেবে ঘোষনা দেয়া যায়। ইসলামে দাসীর সাথে সঙ্গম করা বৈধ। বাংলাদেশের যৌনপল্লীগুলোতে যৌনকর্মীরা দাসীর মতই অন্যের মালিকানায় থাকে। তাই কোন মুসলিম চাইলে সেখানে গিয়ে দাসী কিনে আমোদ করার কিছুক্ষণ পর কিছুটা কমদামে দাসীর আগের মালিকের কাছে বিক্রি করে দিতে পারে। কতক্ষণের জন্য দাসী কিনবে, কত দামে কিনবে আর কত দামে বিক্রি করবে সেই চুক্তিটা ইসলামী ব্যাংকের টেকনিক্যাল চুক্তির মত আগে থেকেই ঠিক করে নিতে হবে আরকি।

এক্ষেত্রে আপনার মনে অনেকগুলো প্রশ্ন চলে আসাটা স্বাভাবিক, তাই সম্ভাব্য প্রশ্নগুলো পয়েন্ট করে দিয়ে সেগুলোর জবাবও এখনই দিয়ে দেয়া যায়।

১) ইসলামে তো দাসীকে বেশ্যালয়ে পাঠিয়ে উপার্জন করতে নিষেধ করা আছে।
উত্তরঃ কাগজে কলমেতো দাসীকে বেশ্যালয়ে পাঠানো হচ্ছেনা, বরং দাসী কেনাবেচা করে ব্যবসা করা হচ্ছে যা ইসলামিক ভাবে বৈধ। আর দাসীর মালিক দাসীর সাথে চাইলেই সঙ্গম করতে পারে।

২) এখনতো দাস প্রথা নাই তাই যৌনপল্লীর মেয়েরা কোনভাবেই দাসী নয় বরং কর্মী। দাসী না হলে এটা ইসলামিকও নয়।
উত্তরঃ প্রাচীনকাল থেকেই দাসের পরিচয়, সুযোগ সুবিধা, অধিকার, দাস সম্পর্কিত নিয়ম নীতি ইত্যাদি একেক সমাজে একেক রকম ছিল। সরকারী ভাবে বর্তমানে সারাবিশ্বে দাসপ্রথা নিষিদ্ধ হলেও বেআইনি ভাবে মডার্ণ স্লেভারি নামে দাসপ্রথা আজও চালু আছে। বিশ্বব্যাপি প্রায় ৩ কোটি লোক এখন আধুনিক দাসত্বের স্বীকার। গ্লোবাল স্লেভারি ইনডেক্সে এসম্পর্কে প্র্যাক্টিক্যাল তথ্য উপাত্ত পাওয়া যাবে। ভিজিট করুন Click This Link

৩) সরকারী ভাবে দাসপ্রথা অবৈধ তাই বর্তমানে মডার্ণ স্লেভারির অস্তিত্ব থাকলেও একটি অবৈধ ব্যাপার ইসলামে বৈধ হতে পারেনা।
উত্তরঃ সরকারী ভাবে অনেক দেশে একাধিক বিয়ে করা অবৈধ তাই বলে কি ইসলামে চার বিয়ে করা অবৈধ হয়ে যাবে? আবার অনেক দেশে মদ কেনা বেচা বৈধ বলে কি ইসলামেও তা বৈধ হয়ে যাবে? ইসলামে দাসপ্রথা বৈধ এটাই সবচেয়ে বড় কথা নয় কি?

৪) সমস্ত আলেমগণ ইজমা বা ঐক্যমতের ভিত্তিতে দাসপ্রথা অবৈধ ঘোষণা করতে পারে।
উত্তরঃ তাহলে সমস্ত আলেমগণের জন্য ইজমার মাধ্যমে সুদি ব্যাংকিং সিস্টেমকে বৈধ ঘোষনা করতে অসুবিধা রইল কোথায়?

আমার পোস্টের মূল উদ্দেশ্য যৌনপল্লীকে হালাল প্রমাণ করা নয়, আমাদের কমন সেন্সই বলে এটা কোনভাবেই হালাল হতে পারেনা। এনালজি করে আমি শুধু এটাই বুঝাতে চাইলাম যে আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে কেউ যেন হারাম না ভাবে আর আলেমগণ যাতে সত্বর এব্যাপারে একটি ঐক্যমত্যে পৌঁছায়। ইসলামি ব্যংকের আইডিয়াটিই আলেমদের ঐক্যমতে পৌঁছানোর সবচেয়ে বড় বাঁধা।
ইসলামি ব্যাংক যে কায়দায় ইসলামি হয়েছে যৌনপল্লীকেও সে কায়দায় ইসলামি করা যায়।

৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

আবু ছােলহ বলেছেন:



প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই ইসলামি ব্যাংকিং বিষয়ে পোস্ট দেয়ায়। আপনি দয়া করে নিচের লিঙ্কগুলোতে থাকা বইগুলো পড়ার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। আশা করি, আপনার অনেক প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন।

১। ইসলামী ব্যাঙ্কিং ও অর্থায়ন পদ্ধতি- মুফতি মুহাম্মদ তাকী উসমানী- ১ম খন্ড Islamic Banking And Finance Process - Part 1

২। ইসলামী ব্যাঙ্কিং ও অর্থায়ন পদ্ধতি- মুফতি মুহাম্মদ তাকী উসমানী- ২য় খন্ডIslamic Banking And Finance Process - Part 2

৩। সুদবিহীন ব্যাংকিং, জাস্টিক মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী

৪। [link|https://ia601201.us.archive.org/31/items/kawmi/MT-Islami-Orthonitir-Adhunik-Rupayon[Almodina.com].pdf|Islami-Orthonitir-Adhunik-Rupayon[Almodina.com].pdf]

৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:২৭

মোগল সম্রাট বলেছেন: ইসলামি ব্যাংকিং সিসটেমটা হলো সারা বিশ্বের ইসলামিক স্কলারদের সমন্বিত ইজমা, কিয়াস ও গবেষনা দ্বারা প্রনিত একটা হালাল ব্যংকিং ব্যাবস্হা।এখানে জামাতের বিরোধিতা করতে গিয়ে পখ্যান্তরে বিশ্বের ইসলামিক স্কলারদের বিরোধিতা করা হচ্ছে। ইসলামি অর্থব্যাবস্হার বিরধিতা করে থাকে যারা সামাজতান্ত্রিক অর্থ ব্যাবস্হাকে গোর সমর্থক। ইসলামি ব্যাংকিং ব্যাবস্হা কি শুধু বাংলাদেশেই নাকি অন্যান্য মুসলিম দেশে ও আছে!! ভাই, সমালোচনা করার আগে ইসলামি শরিয়ার ভিতর থেকে ইসলামিক স্কলারদের চ্যালেন্জ করে ব্যাংকিং ব্যাবস্হার একটা পদ্ধতি বের করে দেখান। আমার মনে হয় আপনার উদ্দেশ্য ইসলামি অর্থব্যাবস্হাকে বিতর্কিত করা ছাড়া আর কিছুই না।

৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩

এ আর ১৫ বলেছেন: ইসলাম চক্রবৃদ্ধি সুদকে নিশিদ্ধ করেছে রেফারেন্স --- সুরা এল ইমরান আয়াত ১৩০ ( ৫ নং কমেন্টে সেটা বিশ্লেষন করা হয়েছে ) । সুরা আল বারাকাতে সুদ নিশিদ্ধের কথা বলা হয়েছে কিন্তু সুদের ধরনের কোন গাইড লাইন দেওয়া হয় নি কিন্তু সুরা আল ইমরানের ১৩০ নং আয়াতে স্পেসিকভাবে চক্রবৃদ্ধি সুদের কথা বলা হয়েছে, সুতরাং অল্প মাত্রার সরল সুদে কোন সমস্যা নেই ।

আমার কমেন্ট নং ৬ তে বলা হয়েছে----- যদি তারপর ও যারা মনে করেন সব ধরনের সুদ হারাম, তাহোলে যে কৌশলে সুদের নাম পরিবর্তন করে লাভাংশ রেখে এটাকে হালাল করা হয়েছে তাতে কিন্তু হারাম হারামি থাকে হালাল হয় না , যেমন মদ হারাম সুতরাং মদের নাম পরিবর্তন করে সরবতি রাখলে সেটা হালাল হয়ে যাবে না এবং শূওরের নাম পরিবর্তন করে ডগা রাখলে সেটা হালাল হবে না এবং বিসমিল্লাহ বলে মদ বা শুওরের মাংস খেলে সেটা হালাল হয়ে যাবে না । ইসলামি ব্যাংক যে কৌশলে সুদের নাম লাভাংশ দিয়ে সুদকে হালাল করে ফেলেছে ঠিক একই ভাবে যৌন পল্লিকে হালাল করা যায় ( আমার কমেন্ট নং ৬ ) .

ইসলামি ব্যাংকের ব্যাংকিং গ্রহন যোগ্য হোত যদি তারা ইনভেস্টমেন্ট পাটনার হিসাবে লাভ লোকসানের শেয়ার করতো কিন্তু সেটা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে , বস্তুত তারা করে বেচা কিনার বিজনেস । যদি কেউ তাদের কাছে ৫ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে একটা যন্ত্র কিন্তে চায় তখন তারা ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ঐ যন্ত্রটা কিনে তার কাছে সাড়ে পাচে বিক্রি করে এবং বলা হয় ১০ বা ১৫ বা ২০ কিস্তিতে একটা নির্দিষ্ঠ সময় সীমায় তা জমা দিতে হবে ।
সুতরাং সাধারন ব্যাংক থেকে লোন নিলে গ্রাহকের যে দায় ইসলামী ব্যাংক থেকে নিলেও একই দায় । যদি পৃথিবীর সব ব্যাংকই ইসলামী ব্যাংকিং ফরমুলা গ্রহন করে তাহোলেও গ্রাহকের দায়ে হের ফের হবে না ।
সুদ যদি হারাম হয় সেই সুদের নাম লাভাংশ করলেই সেটা হালাল হয়ে যায় না , যে কায়দায় সুদকে হালাল করে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবসা শুরু হয়েছে ঠিক একই কায়দায় যৌন পল্লিকে হালাল করা যায় ( দেখুন মেহেদি পরাগের আর্টিকেল লিংক সহ , আমার ৬ নং কমেন্ট) .

১০| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৫

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: মানলাম ইসলামি ব্যাংক সুদমুক্ত। কিন্তু লাভের ভাগ নিলেও লোকসানের দায়ভার না নেয়াটা এক ধরনের চোট্টামি।

১১| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুতরাং সুদ ব্যাপারটা যতটা হালাল হারাম সমস্যা তার চেয়ে বেশী শব্দানুবাদের সমস্যা। +++

এ আর ১৫ ৬ এবং ৯ নং কমেন্টে বিস্তারিত থঅকায় রিপিট করলাম না।
ইসলামে রিবাকে হারাম ঘোষনা করেছে যার অনুবাদ চক্রবৃদ্ধি সুদ!

আর প্রকৃত ইসলামের যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, বায়তুল মাল ভিত্তিক সুষম, সাম্যতার যে বাস্তবতা খোলাফায়ে রাশিদায় ছিল তা পুরা ভিন্ন জিনিষ। কর্পোরেট পূজি তার বড় শত্রু। তা কায়েমের চেষ্টা খোদ ইসলামের ইমামদের মাঝৈই নেই! আমজনতা পাবে কোথায়?

১২| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

আবু ছােলহ বলেছেন:



পূর্বোক্ত কমেন্টে প্রদত্ত ৪ নং বইয়ের লিঙ্কটি সম্ভবত: কোন মিসটেকের কারনে কাজ করছিল না। তাই ঠিক করে আবার দেয়া হল।

[link|https://ia801201.us.archive.org/31/items/kawmi/MT-Islami-Orthonitir-Adhunik-Rupayon[Almodina.com].pdf|Islami-Orthonitir-Adhunik-Rupayon[Almodina.com].pdf]

১৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬

আবু ছােলহ বলেছেন:



আবারও সমস্যা দেখা যাচ্ছে। পুনরায় দিচ্ছি।

[link|https://archive.org/stream/kawmi/MT-Islami-Orthonitir-Adhunik-Rupayon[Almodina.com]#page/n0/mode/2up|Islami-Orthonitir-Adhunik-Rupayon[Almodina.com].pdf]

১৪| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

এ আর ১৫ বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.