নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসপাত কঠিন

আমি কোন দলের নই। আমি একান্তই আমার।

ইসপাত কঠিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম নিরপেক্ষতা, বাক স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা : আমরা এর অর্থ কতটুকু বুঝি?

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

হালের সবচেয়ে আলোচিত শব্দ ধর্ম নিরপেক্ষতা, বাক স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তা ইত্যাদি। কিন্তু আমরা এর মর্মার্থ কতটুকু বুঝতে পেরেছি। আমরা ধর্ম নিরপেক্ষতাকে বানিয়েছি ভিন্ন ধর্মালম্বীদের প্রতি মানসিক ও সহিংস আক্রমন এবং জঘন্য ভাষায় কটুক্তি করা। বাক স্বাধীনতাকে বানিয়েছি অন্যের অনুভূতিকে বাজে ভাবে আক্রমন। মুক্তচিন্তা বলতে বানিয়েছি বাজে চিন্তা করে তার বিষবাষ্প দিয়ে অন্যকে আঘাত করা। এর বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বিপদ। তখন আবার আন্দোলনের হুমকি। আমরা ব্লগিং বুঝি, কিন্তু দায়িত্বশীল ব্লগিং কি বুঝি? আমরা শিক্ষিত, কিন্তু সুশিক্ষিত হতে পেরেছি কি? কর্পোরেট যুগের কর্পোরেট শিক্ষা কি আমাদের মানুষ বানাতে পেরেছে? আমরা মানুষ হবার জন্য পড়াশুনা করি না। পড়াশুনা করি উচ্চ বেতনে চাকরীর জন্য।



আমার কোন কথাটা মিথ্যা? একবার ভাবুন তো?

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

রিমন রনবীর বলেছেন: আপনার সবগুলা কথাই সত্য। তবে আরো বিস্তারিত লিখলে ভাল করতেন।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

ইসপাত কঠিন বলেছেন: বিস্তারিত আর কি লিখবো বলুন? একজন নাস্তিক হতে পারে। আমার কোন আপত্তি নেই। একজন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হতে পারে। আমার তার প্রতি সম্মান আছে। কিন্তু তাই বলে সে বা তারা আমার ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করবে এটা গ্রহনযোগ্য নয়। আবার এজন্য তাকে বা তাদের কে গ্রেফতার করলে আমাদের কেউ কেউ বলবে বাক স্বাধীনতার উপর কুঠারাঘাত, মুক্তচিন্তার প্রতি অপঘাত.... এগুলো আমাদের সমাজের জন্য ক্ষতিকর। সমাজ আমাকে বাক স্বাধীনতা দিয়েছে, আমি তাকে শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু আমি যদি আমার বাক স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থেকে, আমাকে দেওয়া বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার করে সমাজে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করি, তাহলে বাক স্বাধীনতা আমার জন্য বানরের গলায় মুক্তার মালার মত ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় না?

যে মুক্তচিন্তা আমাদের মধ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরী করে, সেই মুক্তচিন্তার দরকার কি আমাদের প্রয়োজন আছে?

আমরা কি বাক স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তার জন্য উপযুক্ত হতে পেরেছি?

বাক স্বাধীনতার অপব্যাবহারকারীদের গ্রেফতার করার কারনে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক-ছাত্র আন্দোলনের হুমকি দিলেন। তারা কি অপরাধীদের রক্ষা করতে চেষ্টা করলেন না? নাকি তারা বাকস্বাধীনতা, মুক্তচিন্তার সঠিক মর্মার্থ বুঝতে অক্ষম? আর যদি তাই হয়, তাহলে তারা সুশিক্ষিত? যেসব শিক্ষক এই আন্দোলনের হুমকিতে জড়িত, তারা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের কোন মুখে ন্যায়-নৈতিকতার শিক্ষা দিবেন? আমরা আসলে কোথায় যাচ্ছি?

২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

রওনক বলেছেন: ধর্ম নিরপেক্ষতা = আমার ধর্ম বা নবীকে কেহ সমালোচনা চকবে না।
বাক স্বাধীনতা = আমাকে কোন কুটু বাক শুনতে হবে না।
মুক্তচিন্তা = সবার চিন্তা ধার স্বার্থপরতা মুক্ত হবে।

৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪

কে বা কারা বলেছেন: যে কোনো সূত্র থেকে সংজ্ঞা খুঁজলে দেখবেন, sec·u·lar·ism মানে ধর্মহীনতা বা ধর্মকে অস্বীকার করা। বাংলাদেশের ভণ্ডরা অর্থ দিয়েছে ধর্মনিরপেক্ষতা। একদিকে ওরা ধর্মের কোনো কথা শুনবে না; অন্য দিকে দাবি করবে আমরা মুসলমান।

৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: সত্য কথাটা বলছেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে বিয়াল্লিশ বছর স্বাধীনতা এনেছি কিন্তু রক্ষা করেত পারিনাই । অর্থাৎ স্বাধীনতা কোথায় কি ভাবে ব্যবহার করতে হবে সেটা জানিনা । মুক্ত মনের বলতে রাস্তায় বর্তমান রাষ্টের সম্পদ জ্বালিয়ে নষ্ট করা ।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

ইসপাত কঠিন বলেছেন: ঠিক তাই হচ্ছে। ব্যাক্তি স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা সবকিছুরই অপব্যাবহারের চুড়ান্ত উদাহরন আমরা দিয়ে চলেছি।

৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

অপরিপক্ক বলেছেন: সহমত, সহমত, সহমত, আসলে ভাই, নিয়তে প্রবলেম থাকলেতো বাহিরে এর প্রকাশ এমনই হবে।

০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৫

ইসপাত কঠিন বলেছেন: নিয়তে প্রবলেম থাকলেতো বাহিরে এর প্রকাশ এমনই হবে।

৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

তাহিতি তাবাসুম বলেছেন: ++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.