নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসপাত কঠিন

আমি কোন দলের নই। আমি একান্তই আমার।

ইসপাত কঠিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়

০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:১৮

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অংগন যথেষ্ট অস্থিতিশীল হবার পথে রয়েছে। এমন কি সামনের সাধারন নির্বাচন নিয়ে শংকার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তন করলেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? আমি কিন্তু তা মনে করি না। চলুন, বিষয়টি একটু বিশ্লেষন করি।



ধরুন বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নিলো। বিরোধীদল কি তখনই শান্ত হয়ে আন্দোলন বন্ধ করে দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিবে? জ্বী, না। আমার তা মনে হয় না। কারন তখন কে ঐ সরকারের প্রধান হবে তা নিয়ে নতুন যুদ্ধ শুরু হবে। সংবিধানের বাতিলকৃত ধারা পূনঃপ্রবর্তন করলে ঐ সরকারের প্রধান হবেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। বিরোধীদল তাঁকে মেনে নিতে কতটুকু প্রস্তুত? আদৌ কি তাকে মেনে নিবে? আমার তা মনে হয় না। শুরু হবে নতুন আন্দোলন, জ্বালাও পোড়াও।



অপরদিকে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এবং সেই নির্বাচনে বিরোধী দল জয়লাভ করলে তার ৫ বছর পরের নির্বাচনের সময় তখনকার বিরোধীদল (বর্তমান সরকার দল) তখনকার সরকারের (বর্তমান বিরোধীদল) অধীনে নির্বাচনে কতটুকু প্রস্তুত থাকবে?



এই প্রশ্নসমুহের উত্তর খুঁজলে বেরিয়ে আসবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বর্তমান সংকট নিরসনে কতটুকু স্থায়ী ভূমিকা রাখবে। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আসলে এই সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলের দিকে তাকিয়ে থাকার কোন অর্থ নেই। আসলে তাদের হাতে কোন ভূমিকা নেই। প্রকৃত ক্ষমতা ভোটারদের হাতে। যারা সঠিকভাবে নৈতিকতার সাথে বিচার-বিবেচনা প্রয়োগ করে ভোট দিয়ে বিকল্প নেতৃত্ব সৃষ্টি করলে হয়ত এই জিম্মি অবস্থা থেকে দেশ মুক্তি পাবে। পর্যায়ক্রমে ক, খ, ক, খ, ক, খ কে ভোট না দিয়ে চ, ছ, জ এর দিকে নজর দিলে ক, খ শিক্ষা পাবে এবং নিজেদের শুধরে নিবে। তাবলে চ, ছ, জ বলতে যেন আর যাই হোক রাজাকার না বোঝানো হয়।



শেষ কথা্‌ : যে জাতি যেমন তার নেতৃত্ব তেমন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৪২

ফুরব বলেছেন: ধরুনঃ- জনগন বিএন পি কে ভোট দিল সরকার গঠন করার জন্য কিন্তু আওয়ামীলিগ ক্ষমতায় থেকে নির্বাচনী ফলাফল নিজেদের পক্ষে ঘোষনা দিল।তখন আম জনতা বাল ফেলাবে কার????

[ যেমন টা ঘোষনা দেয়া হয়ে ছিল মইন ইউ আহাম্মদ কে দিয়ে বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিগত নির্বাচনে । যাহা আওয়ামীলিগের বিদ্রোহী নেতারা বলেছিল পরবর্তিতে। আব্দুল জলিল সাহেব তাদের অন্যতম।
আর এ কথার সত্যতার প্রমান মেলে মইন এর দেশ থেকে পলায়ন।



হাসিনার ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দেয়ার এই একটাই উদেশ্য ।

উল্লেখ্যঃ বাংলাদেশের জনতার ভোটে সরকার পরিবর্তন হয় না । এটা লোক দেখানো মাত্র। ক্ষমতাসীন ব্যাক্তিরাই সিধান্ত নেয় কে সরকার চালাবে।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৩৩

ইসপাত কঠিন বলেছেন: শেষ কথা্‌ : যে জাতি যেমন তার নেতৃত্ব তেমন।

২| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:৪১

ভিটামিন সি বলেছেন: বেশ বুদ্ধির ছড়াছড়ি দেখলাম পোষ্টে। "যদি" দিয়ে পোষ্ট করে একেবারে তত্বাবধায়কের প্রয়োজন নেই প্রমান করে দিলেন। গাজীপুরের মতো নির্বাচনে সরকার যেভাবে লেগেছে তাকে কি আপনার কাছে কোন বার্তা যায় না যে একটা স্থানীয় নির্বাচনে সরকারের এমন ভুমিকা হলে জাতীয়টা কেমন হবে তাও যদি আবার সেই সরকারের অধীনে হয়। "যদি" দিয়ে সব সমস্যার সমাধান হয় না। আপনার ক্থা মতো যদি খায়রুল মিয়া প্রধান হন, তাহলে তো বিএনপি মানবেই না। কারণ দলকানা লোককে কে মানবে। আপনি যার সাথে প্রেম করেন, তার মামা আপনার ছায়াও দেখতে পারে না। এখন তার কাছে আপনার বিয়ের দায়িত্ব দিবেন??? এটা তো এর চেয়েও বড় কিছু।
যদি তত্বাবধায়ক সরকার না আসে, তাহলে বিএনপি, জাপা, কেউ নির্বাচনে যাবে না। হাসিনা আবার স্বৈরাচার সরকার হিসেবে দল (ওটাকে সরকার বলা যাবে না) গঠন করবে। সেটা নির্বাচিত সরকার হবে না; হবে সৈরাচার অনির্বাচিত সরকার। তারা ২/৩ মাস আবার ক্ষমতায় থাকবে। তারপর আমাদের দক্ষ সেনা/নৌ বাহিনী প্রধানরা (হাসিনার দুলাভাই, দেশের শত সমস্যা সত্বেও যাদেরকে বাটেজের বেশির ভাগ টাকা দেয়া হচ্ছে সমরাস্ত্র কেনার জন্য, তোষামোদি আরকি) হাসিনাকে হটিয়ে আবার এরশাদের মতো ক্ষমতা দখল করবেন। তারাও অনির্বাচিত সরকার। সংবিধান সংশোধন করার ক্ষমতা তাদের ও থাকবে না। দেশে বৈদেশিক সাহায্য-বিনিয়োগ কমে যাবে। তারপরও তারা ৫ থেকে ৯ বছর ক্ষমতায় থাকবেন। যদিও এই সময় আমরা আমজনতা সুখেই থাকবো। সমস্যা হবে রাজনীতির লেঞ্জাদের। রাজপথে আন্দোলন হবে, আবার মারা যাবে আসাদ, নুর হোসেন রা। লাল শার্ট নিয়ে আবারও মিছিল। সব শেষে আবার নির্বাচন ২০২১/২০২২ সালে। ততদিনে হাসিনা-খালেদা-এরশাদ-মুহিত-ফকরুল রা আর রাজনীতির মাঠে থাকবেন না। কেউ কেউ হয়তবা চলে যাবেন অসীম শুন্যে অথবা কেউ কেউ বার্ধক্যে লাঠি নিয়ে কুজো হয়ে হাটবেন।

০২ রা জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

ইসপাত কঠিন বলেছেন: আমার উপরে রাগ করে লাভ নেই। আমি ভোট দেই না। আমি যা বললাম তা আমার বিচার-বিবেচনা থেকে এসেছে। আমি কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার না দিলে আর বিএনপি ক্ষমতায় এলে তার পরের নির্বাচনে কি হাল হবে তাও বলেছি। আপনাকে কষ্ট করে লেখার ভাবার্থ বুঝতে হবে।

আর আপনার উল্লেখিত দুলাভাইদের যা সমরাস্ত্র কিনে দেওয়া হচ্ছে তা থেকে কি দেশের কোন উপকার হবে না? আপনি কি দেখেন না উত্তর কোরিয়ার মারাত্নক অর্থনৈতিক দুরবস্থা থাকা সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তির কারনে তাদের বিরুদ্ধে মনমত ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তো দুলাভাইদের সমরাস্ত্র কিনে দিলে কি দেশের ভালো হয় না? আপনি হয়ত বলবেন আমাদের দেশে কখনো যুদ্ধ লাগবে না। আপনি কোথা থেকে এ নিশ্চয়তা দিবেন। আরেকটি কথা হলো, We may not engage into war in hundred years but we can not remain unprepared for one day.

আরেকটা কথা, বিভিন্ন প্রকল্পে বরাদ্দকৃত টাকা দূর্নীতি না করে সঠিকভাবে ব্যবহার করলে আজ আমরা অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী থাকতাম, দেশ উন্নত হতো এবং এই মুহুর্তে আরো আধুনিক সমরাস্ত্র কিনতে পারতাম। কিন্তু যখন হচ্ছে না এবং অদুর ভবিষ্যতে আমাদের অভ্যাস পরিবর্তনের তেমন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না তাই এর মধ্যেই আমদের চালিয়ে নিতে হবে। পছন্দ না হলে কিছু করার নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.