নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসপাত কঠিন

আমি কোন দলের নই। আমি একান্তই আমার।

ইসপাত কঠিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারায়নগন্জ্ঞে অভিযুক্ত র‌্যাব কর্মকর্তাদের অকালীন/বাধ্যতামূলক অবসর। আর কি ই বা করার ছিলো?

০৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৬

নারায়নগন্জ্ঞে ৭ জন অপহরণ এবং খুনের ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের শ্বশুর র‌্যাব-১১ এর প্রাক্তন অধিনায়ক ও অন্য ২জন অফিসারের বিরুদ্ধে ৬ কোটি টাকা ঘুষের নিনিময়ে এই অপহরণ ও খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। এই অভিযোগ তোলার আগেই নারায়নগন্জ্ঞের প্রশাসন পূনর্বিন্যাসের অংশ হিসাবে র‌্যাব এর অভিযুক্ত অফিসারদেরকে অন্যান্য কর্মকর্তাদের মতই প্রত্যাহার করা হয় এবং র‌্যাব এর অফিসারদের স্ব স্ব বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়। এর পরপরই নিহত নজরুল ইসলামের শ্বশুর আলোড়ন সৃষ্টিকারী অভিযোগটি তোলেন। এরই মধ্যে গত ৫ই মে ২০১৪ তারিখে উক্ত অফিসারদের অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধাসহ অকালীন/বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। এতে মানুষের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।



এবার আমরা নৈর্ব্যাক্তিক দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাপারটি পর্যালোচনা করে দেখি এ ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর আর কি বা করার ছিলো। Manual of Bangladesh Military Law অনুসারে সামরিক বাহিনীর সদস্যগন কর্তৃক অসামরিক পরিমন্ডলে সংঘটিত হত্যা ও ধর্ষন ব্যাতীত অন্যান্য অপরাধসমূহের বিচার সামরিক আদালতে করা যাবে। হত্যা ও ধর্ষনের মামলার বিচার অসামরিক আদালতে হবে। এ বিষয়টিকে বলে Concurrent Jurisdiction. নারায়নগন্জ্ঞের ঘটনাটি একটি হত্যা মামলা। এর বিচার করার এখতিয়ার সামরিক বাহিনীর নেই। অতএব এর বিচার হতে হবে অসামরিক আদালতে।



সেনাবাহিনীতে একটি অলিখিত অনুশীলন হলো যখন কারো নামে একটি অভিযোগ আসে, তখন প্রথমে এর সত্যতা যাচাই করা হয়, আর যদি সত্যতা যাচাই করে অসত্য প্রতীয়মান তখন এর মূলে যাওয়া হয় এটা জানতে যে কেন এই অভিযোগ এসেছে। অনেকক্ষেত্রে এমনও হয়েছে কোন একটি অগ্রহনযোগ্য আচরনের ফলে কেউ কোন মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে যা মিথ্যা বলে প্রমানিত হয়েছে কিন্তু তদন্তে দেখা গেলো ঐ অগ্রহনযোগ্য আচরনের ফলে এমনটা হয়েছে, তখন অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হলেও ঐ অগ্রহনযোগ্য আচরনের জন্যই উক্ত সেনাসদস্য শাস্তি পেয়েছে। এখন, লেঃ কর্ণেল তারেক এর ক্ষেত্রে কি হয়েছে তা জানা নেই। তবে সেনাবাহিনী এখতিয়ার না থাকার কারনে তাকে বিচার করতে পারছে না। কিন্তু কোন কারনেই হোক, কর্তৃপক্ষ হয়ত তাকে সেনাবাহিনীতে রাখা সমীচীন বলে মনে করছে না। তাই তাকে এই অকালীন/বাধ্যতামূল অবসরে পাঠানো হয়েছে।



পৃথিবীর সব আইনই বড়ই নিষ্ঠুর। সব আইনই প্রথমে আসামীর সুরক্ষার ব্যাবস্থা করে। আসামীকে তার অপরাধের প্রমান হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযুক্ত বলে। তার উপরেই স্বাক্ষ্য-প্রমান চলে। এখানে লেঃ কর্ণেল তারেক একজন অভিযুক্ত। যে অভিযোগের বিচার করার এখতিয়ার সেনাবাহিনীর নেই। এখন তাকে বিচার ছাড়া কিভাবে সুযোগ-সুবিধা ছাড়া অবসর দেওয়া সম্ভব? তাকে সুযোগ-সুবিধা ছাড়া বাধ্যতামূলক অবসর দিলে সেটা শাস্তি হয়ে যায়। তাকে যদি সুযোগ-সুবিধা ছাড়া বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়, সে কিন্তু আদালতে দাবী করে বসতে পারে যে এই অপরাধে তাকে আগেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং এ কারণে একই অপরাধে পূণরায় তার বিরুদ্ধে বিচার চলতে পারে না। খেয়াল করুন, এটি কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হত তার বিচার থেকে রেহাই পেতে।



এখন বলুন, তাকে অবসরকালীন সুযোগ-সুবিধাসহ অকালীন/বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া ছাড়া সেনাবাহিনীর আর কিই বা করার ছিলো?

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৩

লিমন আজাদ বলেছেন: যার পকেটে ছয় কোটি টাকা আছে সে কেন কষ্ট করে চাকরি করবে। নেন বাবা আপনি এখন নাকে রক্ত দিয়ে দিয়ে ঘুমান...

০৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

ইসপাত কঠিন বলেছেন: আমাকে নাকে রক্ত দিয়ে ঘুমানোর কথা যে বললেন, আমি এখানে কি করলাম। আর সেনাবাহিনীর কি বা করার ছিলো? বলুন আপনি। সাজেশন দিন। আমার ভুল হলে শুধরে নিবো। আর সঠিক জবাব না পেলে বুঝবো আপনি পুরোটা না পড়েই বাণী দিয়ে গেছেন।

২| ০৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: BNP যদি এদের কাছ থেকে পলেটিক্স শিখত।

০৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:২৯

ইসপাত কঠিন বলেছেন: মন্তব্য নেই।

৩| ০৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: সাত খুনের অভিযোগ থেকে রেবের ঐ তিনজন কি অব্যাহতি পেল? তবে পকেটে ৬ কোটি টাকা থাকলে মাস ছয়েকের জেলে যেতে মনে হয় তারেকের আপত্তি নেই!

০৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৩

ইসপাত কঠিন বলেছেন: অবশ্যই সেনাবাহিনী তাকে ৭ খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ও করেনি বা অব্যাহতিও দেয়নি।

৪| ০৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: সহমত...

০৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

ইসপাত কঠিন বলেছেন: এর অর্থ হলো আপনি লেখাটির পুরোটুকুই পড়েছেন। ধন্যবাদ।

৫| ০৭ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০৭

ইসপাত কঠিন বলেছেন: একটা বিষয় আমাকে অবাক করেছে। খুনীরা খুনের পর লাশগুলোর নাভীর নীচে ফুটো করে দিয়েছিলো যাতে লাশ ভেসে না ওঠে। এছাড়াও ১৬টি করে ইট বেধে লাশগুলো পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। এর পরও লাশগুলো ভেসে উঠেছে। একেই মনে হয় বলে পাপ চাপা থাকেনা। হয়ত বা আল্লাহর আরশ খেপে উঠেছিলো এমন নির্মমতা দেখে।

৬| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১৭

লিমন আজাদ বলেছেন: প্রিয় ব্লগার,
আপনাকে ঘুমাতে বলি নাই। ওই খুনিদের ঘুমাতে বলেছিলাম। কথাটা ঠিক মত বুঝাতে পারি নাই। দুঃখিত।

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:১৮

ইসপাত কঠিন বলেছেন: নো প্রবলেম।

৭| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:০৯

নিমচাঁদ বলেছেন: লজিক্যাল এক্সপ্লানেশন।
সহমত।
তবে যারাই এ কাজ করেছে , তারা মানুষ -এটা ভাবতে পারছিনা ।
এই দেশের সেনাবাহিনীর উপর এখন ও মানুষের আস্থার জায়গাটা অটুট।তবে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে তা হজম করা কষ্টকর হবে এবং সেনাবাহিনী ভবিষ্যত ফর্মেশন নিয়ে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং দেশের সরকারকে ভাবতে হবে ।
আমার মনে হয় দেশের কলুষিত রাজণীতি এই সাত খুনের জন্য দায়ী।

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:২৬

ইসপাত কঠিন বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটি ভালো করে পড়ার জন্য। আপনার মন্তব্যের সাথে একমত। তবে, সেনাবাহিনী থেকে বাইরের প্রভাব উঠিয়ে নিলে এর সদস্যরা অনেক অপরাধমূলক কাজ থেকে নিবৃত্ত হবেন।

৮| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৩৩

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
জানি তাদের কোন বিচার হবে না, যদি হয়ও তা হবে আই ওয়াস, যেমন হয়েছে রানার ক্ষেত্রে।

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১২

ইসপাত কঠিন বলেছেন: কি হবে কিছুই জানি না। তবে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। শহীদ চেয়ারম্যান কিভাবে জানলো ৬ কোটি টাকা লেনদেনের ব্যাপারে বা কর্ণেল জিয়ার নুর হোসেনকে কোলকাতায় পাঠানোর ব্যাপারে? প্রশ্নটা কিন্তু ভালো রকমের ক্রিটিক্যাল।

৯| ১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:৫২

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: ekmot

১২ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১৩

ইসপাত কঠিন বলেছেন: ধন্যবাদ সময় নিয়ে বুঝে পড়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.