নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম, ভালবাসা, বিয়ে এবং নর-নারী প্রসংগ

০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৫৮


-----(পর্ব- ১)--------
বর্তমানে প্রেম, ভালবাসা এবং নর-নারী প্রসংগ নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই এবং এসব বিষয় নিয়ে লেখা-লেখি হয়েছেও মাত্রারিক্ত কিন্তু এত সাহিত্য উপন্যাস প্রবন্ধ লেখার পরও মানুষ এসকল বিষয়ে সঠিক ও পরিপূর্ন তথ্য পেতে ব্যার্থ হয়েছে আর কেন হয়েছে তাও পরে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। সাধারনত নারীদের নিয়ে পুরূষদের এবং পুরুষদের নিয়ে নারীদের মাত্রারিক্ত কৌতুহল সৃষ্টির মুল কারন হল অনেক দেশেই সাধারনত বিপরীত লিংগের খুব কাছাকাছি আসা শুরু হয় অনেক বিলম্বে আর যেসব দেশে এর বিপরীত অবস্থা তারাও কিন্তু বিপরীত লিংগের মানুষকে একান্তভাবে দীর্ঘ সময় কাছে পাওয়ার সুযোগ পায় অনেক দেরীতে। আর বিপরীত লিংগের মানুষকে একান্তভাবে দীর্ঘ সময় কাছে পাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল বিয়ে কিন্তু প্রায় একশ বছর হল মানুষ বিয়ে করে অনেক দেরীতে। পশ্চিমা দেশে অল্পবয়স হতেই ফ্রি মিক্সিং এর সুযোগ পেলেও এর মাধ্যমেও দীর্ঘ সময়ব্যাপী বিপরীত লিংগের কাছাকাছি অবস্থান হয়ে উঠে না । কিন্তু বিপরীত লিংগ সম্পর্কে পরিস্কার এবং সঠিক ধারনা থাকা খুবই জরুরী এখানে এসব বিষয়ে সত্য তথ্য তুলে ধরা হবে, অনেকে এসব তথ্য উপাত্ত জেনে খুবই অবাক হবে আবার অনেকের বিশ্বাস করতেও কষ্ট হবে ।

প্রথমেই আলোচনা করা হবে মানুষের রুপ-সৌন্দর্য্য বা চেহারা নিয়ে। সাধারণত রুপ-সৌন্দর্য্য বা চেহারা নিয়ে আমাদের মাঝে বেশীরভাগ মানুষেরই আছে ভুল ধারনা । মানব সমাজে যেটি প্রচলিত আছে তা হল – মানুষ সাধারনত সুন্দর বা কুৎসিত হয়, আসলে এটি একটি বড় ধরনের ভুল ধারনা । সত্যিকার্থে মানুষ সুন্দর বা কুৎসিত বিবেচিত হয় মাত্র, অর্থাৎ অন্য ব্যাক্তির পছন্দের ভিত্তিতে কাউকে সুন্দর বা কুৎসিত বলে বিবেচিত করা হয় কিন্তু আসলেই চেহারার দিক দিয়ে কোন এক পর্যায়ে বিবেচিত ব্যাক্তি মোটেও তা নয় । তারমানে হল সে আসলে সুন্দর বা কুৎসিত কোনটাই নয়, এটি সাধারন ভাবে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি । এখন প্রশ্ন হল তাহলে কি সুন্দর বা কুৎসিত বলতে কোন কিছুই নেই ? যদিও স্বাভাবিকভাবে বললে বলতে হবে- হ্যা আছে, সুন্দর বা কুৎসিত এর ব্যাপার রয়েছে যদিও সামগ্রিক দৃষ্টিতে তারও অস্তিত্ব নেই আর এই বিষয়টা পরে আলোচনা করা হবে তবে ১মে যেটা নিয়ে আলোচনা করা হবে তা হল মানুষের সৌন্দর্য্য নিয়ে আর মানুষের সৌন্দর্যের আলোচনা যখন আসবে তখন বলতে হবে মানুষের চেহারার ক্ষেত্রে সুন্দর বা কুৎসিত বলতে আসলেই কিছু নেই , সামগ্রিক দৃষ্টিতে তো নেই ই এমনকি মানবিক দৃষ্টিতেও নেই, আছে শুধুমাত্র ব্যাক্তিকেন্দ্রিক পছন্দের ক্ষেত্রে আর এই ছোট্ট পরিসরে মানুষের সুন্দর বা কুৎসিত হবার ব্যাপারটা এতই অগুরুত্বপূর্ন যে তা প্রকাশ্যভাবে অবশ্যই অগ্রহনযোগ্য । আর চেহারা নির্ধারনের ক্ষেত্রে এক কথায় যা বলা যায় তা হল- মানুষের সৌন্দর্যের ব্যাপারটা আসলে আপেক্ষিক ব্যাপার বা বিভিন্ন মানুষের পছন্দের ভিত্তি অনুসারে বিভিন্ন রকম বা সোজা কথায় একই মানুষ কারও কাছে হতে পারে সুন্দর আবার কারও কাছে হতে পারে কুৎসিত । এই তথ্যগুলো যে ধ্রব তারার মত সত্য, তা সকলেই বুঝতে সক্ষম হবে নিচের আলোচনা হতে ।

সাধারনত পৃথিবীর মাঝে উদ্ভিদ এবং প্রানী এই দুটোরই প্রাণ আছে আর যাদের প্রাণ আছে তাদের তুলনায় মানুষের গঠন বা চেহারা অন্নান্য সকল প্রানীর তুলনায় সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে অথবা বলা যায় আকার-আকৃতি, কন্ঠস্বরের মাত্রা, দৈহিক শক্তি , চলাফেরার গতি ইত্যাদি বিভিন্ন দিক দিয়ে মানুষ অন্নান্য প্রানীর তুলনায় মাঝামাঝি অবস্থানে আছে। আর এই মধ্যম অবস্থানকেই উত্তম অবস্থান হিসেবে সামগ্রিক দৃষ্টিতে দেখা হয় এমনকি মানবিক দৃষ্টিতেও এই মধ্যম আকৃতিকে উত্তম আকৃতি বা সবচেয়ে সুন্দর আকৃতি হিসেবে পরিগনিত করা হয়ে থাকে। অন্নান্য সকল প্রানীর দৃষ্টিতে তাদের নিজেদের শ্রেনীর চেহারাকেই বেশী সুন্দর মনে হলেও মানুষকে কিন্তু অন্নান্য সকল প্রানীর দৃষ্টিতে তাদের কাছে সহনীয় পর্যায়ের আকৃতি-চেহারা মনে হয় বা মধ্যম আকৃতির মনে হয় অর্থাৎ বেশীরভাগ প্রানীদের দৃষ্টিতে তাদের নিজেদের পর পরই মানুষকে সুন্দর প্রানী মনে হয় তবে সকল প্রানীর দৃষ্টিতে মানব প্রজাতিকে সহনীয় মধ্যম চেহারার প্রানী মনে হলেও কিছু কিছু প্রানীর কাছে আবার মানুষকে তাদের নিজেদের প্রজাতির পর পরই সুন্দর প্রজাতি মনে নাও হতে পারে বরং কুৎসিত/ভয়ংকর/লোভনীয়ও মনে হতে পারে যেমনঃ- সাপ বা এই ধরনের লম্বা মেরুদন্ডহীন জাতিয় কিছু প্রানী । বর্তমানে বিজ্ঞান উন্নত হবার কারনে এবং বিশেষ করে গবেষনা যন্ত্রের উন্নয়নের ফলে আমরা এসব বিষয়ে আরো নিশ্চিত হতে পারছি । অন্নান্য প্রানীদের আকৃতির তুলনায় যে মানুষ সর্বদিক দিয়েই মাঝামাঝি অবস্থানে আছে তার উদাহরন অনেক আছে যেমন- শারীরিক দিক দিয়ে তো মধ্যম আকৃতির আছেই এমনকি দৃষ্টি, শ্রবন, ঘ্রান এবং দৈহিক শক্তির দিক দিয়েও মানুষের অবস্থান মাঝামাঝি, উদাহরণস্বরুপ মানুষের দৃষ্টিশক্তি পেঁচা বা ঈগলের মত তিক্ষ্নও নয় আবার বাঁদুড়ের মতন অন্ধও নয় আবার মৌমাছি বা কুকুরের মতন খুব বেশী ঘ্রান শক্তিও নেই আবার একেবারে কমও নয়। তবে অন্নান্য প্রানীর তুলনায় মানুষের শুধুমাত্র জ্ঞান-বুদ্ধির শক্তি অনেক বেশী , অন্নান্য প্রানীর তুলনায় মানুষের বুদ্ধি বেশী হবার কারন বিজ্ঞানীরা যা নির্ধারন করেছে তা হল- একমাত্র মানুষেরই চিন্তাশক্তি বেশী বা ভাবুক ও কৌতুহলী প্রবৃত্তি বেশী রয়েছে যেমন- সাধারন একটি প্রানীর সামনে তার পছন্দের কোন খাবার রাখলে সে কোন চিন্তা-ভাবনা ছারাই সেটি গ্রহন করতে চাইবে কিন্তু মানুষ গ্রহন করার পুর্বে তার অতীত সৃতির সাথে বিবেচনা করে তার পর গ্রহন করবে এমনকি উক্ত খাবার নিয়ে বিভিন্ন চিন্তাভাবনায় উপতিত হয়ে তার উপর ভবিষ্যত পরিকল্পনাও করবে। তাই মানুষ এবং অন্নান্য প্রানীর মাঝে জ্ঞানের এই তারতম্যের বড় কারন হল চিন্তাশীলতার পার্থক্য আর মানুষের নিজেদের মাঝেও জ্ঞানের তারতম্যও হয়ে থাকে চিন্তাশীলতার পার্থক্যের জন্য অর্থাৎ মানুষের মাঝে যে যত বেশী চিন্তাশীল সেই ততোই বেশী জ্ঞান বুদ্ধির অধিকারী, আর সাধারনত কবি-সাহিত্যিক, ধর্মীয় ব্যাক্তিত্ব , বিজ্ঞানীগন বেশী চিন্তাশীল প্রকৃতির হয়ে থাকে তাই তারা সাধারন মানুষের তুলনায় বেশী জ্ঞান-বুদ্ধির অধিকারী ।

এবারে মুল আলোচনায় আসা যাক, মানুষের সৌন্দর্যের সীমা নির্ধারিত হয় শুধুমাত্র ব্যাক্তি পর্যায়ের পছন্দের ভিত্তিতে এছারা সত্যি সত্যিই মানুষের সুন্দর বা কুৎসিত হবার ব্যাপার বলতে আসলে কিছুই নেই অর্থাৎ মানুষের সৌন্দর্যের ব্যাপারটা আপেক্ষিক ব্যাপার মাত্র বা বিভিন্ন মানুষের পছন্দের ভিত্তি অনুসারে বিভিন্ন রকম উদাহরণস্বরুপ- একই মানুষ কারও কাছে হতে পারে সুন্দর আবার কারও কাছে হতে পারে কুৎসিত অর্থাৎ আপনার চোখে যে সুন্দর, সে শুধুমাত্র আপনি এবং আপনার মতই আরো কিছু মানুষের চোখে সুন্দর অথচ ঐ একই ব্যাক্তি কিন্তু আরো অনেকের কাছেই মোটেই সুন্দর নয় বিশেষ করে যেসব ব্যাক্তির পছন্দের সাথে আপনার পছন্দের কোন মিল নেই । এর একটা সহজ উদাহরণ আপনি খুজে পাবেন আপনার আশে পাশেই বিশেষ করে অনেক প্রেমিক-প্রেমিকাকে আপনি হয়ত বলতে শুনবেন যে তার চোখে তার প্রেমিক বা প্রেমিকা খুবই সুন্দর যদিও তাকে আপনার চোখে তেমন সুন্দর মনে হচ্ছে না, আর এটি যে শুধুমাত্র প্রেমের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য তাও নয় বরং এটি সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য কিন্তু আমরা তা গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারি না । সাধারনত কোন মানুষ ফর্সা, লম্বা, মোটা হওয়া যেমন সুন্দর হবার মাপকাঠি নয় ঠিক তেমনি কোন মানুষ কালো, বেটে, চিকোন হওয়াটাও কুৎসিত হবার মাপকাঠি নয় । আর তাই যদি হত তবে যাদের কাছে মোটা, ফর্সা, লম্বাই হল সুন্দর হবার মাপকাঠি তাদেরকে বলতে চাই আপনার কাছে হাতির ন্যায় মোটা, পাউডারের ন্যায় ফর্সা আর তালগাছের ন্যায় লম্বা মানুষ কি সুন্দর বলে বিবেচিত হবে? আপনি বলবেন না ! তা কেন? এত বেশী মোটা,ফর্সা, লম্বা তো অস্বাভাবিক, স্বাভাবিক হতে হবে। হ্যা এবার লাইনে এসেছেন, স্বাভাবিক হতে হবে । আপনি কি জানেন, আপনার দৃষ্টিতে যা স্বাভাবিক বা সাধারন তা শুধুমাত্র আপনার দৃষ্টিতেই সীমাবদ্ধ ? অপরের চোখে আপনার এই সাধারন বা মধ্যম হবার কোয়ালিটি নাও টিকতে পারে অর্থাৎ আপনি যাকে সাধারন আখ্যা দিচ্ছেন তা অনেকের কাছেই সাধারন না হয়ে অস্বাভাবিক বা মাত্রারিক্ত বা কমও হতে পারে। মনে করুন- আপনি যদি এশিয়া মহাদেশের লোক হয়ে থাকেন তবে আপনার চোখে যেটা স্বাভাবিক ফর্সা বা সুন্দর ফর্সা সেই একই ফর্সা কিন্তু ইউরোপের শ্বেতাংগদের কাছে ঈসৎ ফর্সা বা কম ফর্সা এমনকি এশিয়া দেশেও যারা শেতাংগদের মত দেখতে তাদের কাছে আপনার বিবেচিত "স্বাভাবিক সুন্দর ফর্সা" পরিগনিত হবে কম ফর্সা হিসেবে, আর মোটা বা লম্বার ব্যাপারটাও একই রকমভাবে আপেক্ষিক হবে। ঠিক একইভাবে এটাও প্রমান করা সম্ভব যে সবাই ফর্সা, মোটা , লম্বা পছন্দ না করে উলটো আরো কালো, বেটে এবং চিকোনকেও অনেকেই সুন্দর বলতে পারে যেটা নিচে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে তবে এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে সৌন্দর্য্য নির্ণয়ে মানুষের দৃষ্টিভংগি একেক জনের একেক রকম। যদিও নিচের আলোচনা হতে এই সত্য আরো ভালভাবে বুঝা যাবে
(চলবে)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক কষ্ট করে টাইপ করেছেন, না লিখলেও চলতো

০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১:১০

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: হা হা হা

২| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মূল বক্তব্য অল্প কথায় লেখা যেত।
কি লেখা যেত না?

০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আপনার কাছে এমনটি মনে হলেও আসলে তা সম্ভব নয়

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ২য় পর্বের লিংক Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.