নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম, ভালবাসা, বিয়ে এবং নর-নারী প্রসংগ

০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৫৯


পর্ব-২
সাধারণত প্রেম, ভালবাসা এবং বিয়ে ইত্যাদি বিষয়ের ক্ষেত্রে মানুষের রুপ সৌন্দর্য্য নির্ধারনের ব্যাপারটি এক বড় ধরনের ভূমিকা পালন করে থাকে তাই এই আলোচনার প্রথমেই মানুষের রুপ সৌন্দর্য্য বা চেহারা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে । উপরের আলোচনা থেকে কিছুটা হলেও ধারনা পাওয়া গেছে যে মানুষের সৌন্দর্য্য নির্ধারনের ব্যাপারটি আসলে আপেক্ষিক ।
মানুষের পছন্দ আসলে তিনটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে নির্ধারন হয়ে থাকে যেমন- ১) বংশগতি বা জেনেটিক্যাল কারন ২) পরিবেশগত প্রভাব এবং ৩) অভ্যাসগত বা অভ্যস্থতার কারন । তবে মানুষের পছন্দের ক্ষেত্রে বংশগতি বা জেনেটিক্যাল কারনটাই বেশী দায়ী। এই জেনেটিক্যাল কারনেই মানুষ সাদা-কালো, লম্বা-বেটে, মোটা-চিকোন ইত্যাদি হয়ে থাকে এমনকি চুল থেকে শুরু করে দাঁতের গঠন পর্যন্ত জেনেটিক্যালী নির্দেশনার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে । আর এই জিনগত বৈশিষ্ট নির্ভর করে সম্পূর্নভাবে ব্যাক্তির পিতা মাতার জিনগত বৈশিষ্টের উপরে অর্থাৎ পিতার এবং মাতার জিনগত বৈশিষ্টের সমন্বয়ে তাদের সন্তানের জেনেটিক বৈশিষ্ট তৈরী হয় আর এই ধরনের বংশগত গঠনলাভ মাতৃগর্ভ হতেই শুরু হয়। সাধারনত এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নিরিক্ষার উপর ভিত্তি করে দেখা যায় যে প্রজননের সময় পিতা হতে আসে শুক্রানু আর মাতার থাকে ডিম্বানু আর এই ডিম্বানু আর শুক্রানু মিলেই সন্তানের জন্ম হয় তবে পিতার শুক্রানুর মাঝে থাকে (xy) ক্রোমোজোম আর মাতার ডিম্বানুর মাঝে থাকে (xx) ক্রোমোজোম। যদিও আমরা পূর্বে জানতাম যে পিতার x বা y ক্রোমোজোমের প্রভাবেই চুরান্ত লিংগ নির্ধারন হয় যে, সন্তানটি ছেলে হবে না মেয়ে হবে । কেননা পিতার শুধুমাত্র x বা y ক্রোমোজোমের যেকোন একটি দিয়েই মাতার ডিম্বানু নিষিক্ত হয় আর যেহেতু মাতার থাকে শুধুই (xx) ক্রোমোজোম তাই মাতার যেকোন একটি x ক্রোমোজোম এর সাথে পিতার y ক্রোমোজোমের মিলিত হয়ে যে সন্তানটি জন্ম নেয় তা হয় ছেলে সন্তান(xy) অন্যথায় পিতা থেকে যদি y ক্রোমোজোম না আসে তবে x ক্রোমোজোম আসে আর তখন পিতার x এবং মাতার x মিলে মেয়ে সন্তানের (xx) জন্ম হয় অর্থাৎ বিজ্ঞানের অতীত জ্ঞান আমাদের যে ধারনা দেয় তা হল সন্তান এর লিংগ নির্ধারনে মাতার কোন ভূমিকাই নেই যেহেতু সন্তানটি ছেলে না মেয়ে হবে তা নির্ভর করে y ক্রোমোজোমের পাওয়া এবং না পাওয়ার উপর আর এটি থাকে একমাত্র পিতার শুক্রানুতেই তাই এক্ষেত্রে নারীদের একেবারেই সৃষ্টিগতভাবে সম্পূর্ন নির্দোষ ধরা হত । কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে দেখা যায় নারীদের ডিম্বাণু এমন কিছু রাসায়নিক রস নিঃসরণ করে যার ফলে শুক্রাণু আকৃষ্ট হয়, এবং শুক্রাণুর সাতারের গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে ডিম্বাণুর দিকে যায়। তবে সব শুক্রাণু প্রভাবিত হয় না অর্থাৎ নারীদের ডিম্বানু হতে নিসৃত রাসায়নিক রস কিছু শুক্রানুকে ঠিকই প্রভাবিত করে আর তাই এই রসেরও ভূমিকা রয়েছে শুক্রানু বাছাই করে নিজের ডিম্বানুকে নিষিক্ত করাতে । তাই এই রাসায়নিক রস নিঃসরণ করার মাধ্যমে শুধুই ওয়াই ক্রোমোজোম সম্বলিত বা শুধুই এক্স ক্রোমোজোম সম্বলিত শুক্রানুকে আকৃষ্ট করে নারীরাও লিংগ নির্ধারনে এক ধরনের ভুমিকা পালন করতে পারে । (Richard E. Jones and Kristin H. Lopez, Human Reproductive Biology, Third Edition, Elsevier, 2006, page 238)
১৯৯০ সালে তারা ওয়াই ক্রোমোজমের এমন একটা এলাকা খুজে বের করেন,যা সন্তান ছেলে হবে কিনা তা নির্ধারণ করে। এর নাম রাখা হয় SRY (sex-determining region of the Y chromosome)। নারীদের একই রকম দুইটা সেক্স ক্রোমোজোম (XX) থাকে, যাকে বলা হয় হোমোগ্যামেটিক সেক্স(একইরকম গ্যামেট)। পুরুষে ভিন্ন রকম দুইটা সেক্স ক্রোমোজোম (XY) থাকে, যাকে বলা হয় হেটারোগ্যামেটিক সেক্স(ভিন্ন গ্যামেট) অর্থাৎ নারীদের যেখানে একইরকম দুইটাই (xx) সেখানে পুরুষের একটি X তো আছেই বরং অন্যরকম আরো একটি Yও আছে অর্থাৎ নারীদের মাঝে যা আছে তা পুরুষের মাঝেও আছে আর পুরুষদের মাঝে যা আছে( Y) তা নারীদের মাঝে নেই তাই বাস্তবে দেখা যায় যে নারীদের মন-মানষিকতাও পুরুষ ভালভাবে বুঝতে পারে এক্স ক্রোমোজোম থাকার কারনে কিন্তু নারীদের ওয়াই না থাকার কারনে পুরূষদের মন-মানষিকতা ভালভাবে বুঝতে পারে না পুরোপুরি, আর এজন্যই সম্ভবত অতীতের সকল ধর্মেই পুরুষদেরকে নারীদের উপর দেখভালের দায়িত্ব বা কর্তৃত্ব দেয়া হত আর এতে করে মানবসমাজে ভারসম্য বজায় থাকত সবচেয়ে বেশী।
যাইহোক এখন ধর্মের কথা যদি নাও বলি তবু বাস্তবে দেখা যায় যে পিতা মাতার জিনগত বৈশিষ্টের সমন্বয়ে জন্ম নেয়া সন্তানের শারীরিক গঠন সবসময়ই পরিপূর্ন আদর্শ হয় না বা স্বাভাবিক গঠনের পিতা মাতার মাধ্যমে জন্ম নেয়া সন্তানটির শারীরিক গঠন স্বাভাবিক না হয়ে অস্বাভাবিক হয়।যেমনঃ- বেশীরভাগ ক্ষেত্রে যা হয় তা হল স্বাভাবিক পিতামাতার দ্বারা যদি নারী সন্তান হয়, দেখা যায় যে তার নারী হিসেবে সবই অংগই ঠিক আছে সুতারাং তার সব অংগই নারীসুলভই হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বাস্তবে তা না হয়ে তার কিছু দৈহিক গড়ন পুরুষের মত হয়েছে অর্থাৎ ভালভাবে পর্যবেক্ষন করলে দেখা যাবে যে তার পিতার হাতের মত তারও হাত পেশীবহুল হয়েছে, অর্থাৎ এক্ষেত্রে তার মাতার হাতের ন্যায় কোমল হাত সে পায়নি, শুধু তাই না আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় তার পিতার ন্যায় তার ত্বকও তুলনামূলক পুরুষালী লোমস টাইপ হয়েছে মোটকথা তার মাতার শরীরের ন্যায় পরিপূর্ন লোমহীন শরীর হয়নি এমনকি দৈহিক গড়নও নারীসুলভ বাঁকা গড়ন না হয়ে পিতার মত সোজা সাপটা ধরনের হয়েছে যদিও পরবর্তীতে বয়ঃসন্ধির প্রভাবে নারী হরমনের জনিত কারনে তার দেহ পরিপূর্ন নারীদের মতই হয়েছে। তাছারা সেই নারী পুর্নাংগ যুবতী হবার পরও সূক্ষ দৃষ্টিতে দেখা যাবে যে তার দৈহিক গড়ন পুরূষদের কাছে খুবই আকর্ষিক মনে হচ্ছে না বা কোথায় জানি পুরূষালী পুরূষালী ভাব রয়েই গেছে । আমাদের সমাজে এমন নারীর সংখ্যা অনেক আছে যদিও সে মানুষ হিসেবে পরিপূর্ন একজন নারীই কখনই হিজরা নয় তবু সে পুরুষদের চোখে তুলনামূলকভাবে কম আকর্ষনীয় হতে বাধ্য । বুঝার সুবিধার্থে এইধরনের নারীদের আপাদত নামকরন করা হল- হ্যান্ডসাম নারী । আবার ঠিক একইভাবে স্বাভাবিক পিতামাতার মাধ্যমে জন্ম নেয়া অনেক ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রেও একই রকম ঘটনা অনেক ঘটে যেমন- স্বাভাবিক গঠনের পিতা মাতার মাধ্যমে জন্ম নেয়া ছেলে সন্তানটির শারীরিক গঠন বা চেহারার ক্ষেত্রে দেখা যায় যে পুরুষালীভাবের চেয়ে মেয়েলীভাবেরই আধিক্য আর এক্ষেত্রেও দেখা যাবে যে পিতার মত গঠন ও চেহারা যেসব অংশ তার শরীরে থাকলে পুরূষ হিসেবে বেশী মানানসই হত, তা না হয়ে সেসব অংশে মাতার মতন গঠন ও চেহারা সে জেনেটেক্যালীভাবে পেয়েছে, তবুও কিন্তু সে একজন পরিপূর্ন ছেলে হিসেবেই জন্মেছে এমনকি যুবক বয়সে এসেও তার হরমন ঘটিত কোন সমস্যাই(যৌন দূর্বলতা, কন্ঠ মেয়েলী হওয়া বা দারিগোফ না গজানো) ঘটেনি বরং সে পরিপূর্নই পুরূষই হয়েছে। তবে শুধুমাত্র সে দেখতে অনেকটা মেয়েদের মতই বেশী নমনীয় কোমল টাইপ হয়েছে যা কিনা মেয়েদের ক্ষেত্রেই বেশী মানানসই পাশাপাশি সে সুন্দরও হয়েছে। বুঝার সুবিধার্থে এই ধরনের ছেলেদের আপাদত নামকরন করা হল- সুন্দরী ছেলে। যদিও স্বাভাবিক সুন্দর অর্থাৎ হ্যান্ডসাম ছেলে বা সুন্দরী মেয়ে না হয়ে উল্টো হ্যান্ডসাম মেয়ে বা সুন্দরী ছেলে হবার সমস্যা খুব বড় কোন সমস্যা না তবুও সন্তানদের জীবনে কিছুটা বিরুপ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে পরবর্তিতে তাদের জীবনে। আর ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে পিতার পুরুষালী গঠন লাভ এবং মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে মাতার মেয়েলী গঠন লাভ করা হল স্বাভাবিক নিয়ম কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে কেন এমন উল্টো নিয়মে সন্তানদের শারীরিক গঠন তৈরী হয় তা পরে আলোচনা করা হবে এবং এখন আলোচনা করা হচ্ছে এই ধরনের তুলনামুলক অস্বাভাবিক গঠন পেলে পরবর্তিতে তাদের জীবনে কি কি বিরুপ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে?
সাধারনত নারী পুরূষের পরস্পরকে পছন্দ করার ভিত্তি অনুসারে মানুষের সৌন্দর্য্যকেও আবারও অন্যভাবে ভাগ করতে হবে, এই ভিত্তি অনুসারে আবারও সুন্দরকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- ১) আকর্ষনীয়/কামাদ্বীপ্ত সুন্দর বা স্বাভাবিক গঠন । ২) পবিত্র/মায়াবী/দরদী টাইপ সুন্দর বা দুর্লভ গঠন এবং ৩) বিকর্ষনীয়/অকামাদ্বীপ্ত সুন্দর বা অস্বাভাবিক গঠন। ১ম ধরনের সুন্দর স্বাভাবিক গঠনের হওয়ায় বিপরীত লিংগের কাছে খুব সহযেই আকর্ষনীয় এবং কামাদ্বীপ্ত মনে হয় ফলে এই ধরনের মেয়েদের ছেলেমহলে কদর একটু বেশি অর্থাৎ শুধু ছেলেমহলেই মার্কেট বেশী কিন্তু মেয়েমহলে তুলনামূলক কম মার্কেট হলেও মেয়েরা কিন্তু এই ধরনের নারীদেরকেও মোটামুটি সুন্দরীই বলতে বাধ্য হয়। ঠিক একইভাবে স্বাভাবিক গঠনের ছেলেদেরও মেয়েমহলে দারুন মার্কেট পুরুষালী চেহারার কারনে কিন্তু ছেলেমহলে আবার তাদের তেমন মার্কেট নেই অর্থাৎ বেশী আকর্ষনীয়/কামাদ্বীপ্ত সুন্দর বা স্বাভাবিক গঠনের ছেলেমেয়েদের শুধুমাত্র বিপরীত লিংগের কাছেই বেশি সুন্দর মনে হয় কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় হলেও এটাই সত্যি যে এরা আবার সমলিংগের মানুষের কাছে বেশি সুন্দর মনে হয় না, আর কেন এমনটি হয় সেটি একটু পরেই আলোচনা করা হবে । এখন আলোচনা করা হচ্ছে ২য় প্রকার সুন্দর বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ৩য় প্রকার সুন্দর নিয়ে- বিকর্ষনীয়/অকামাদ্বীপ্ত সুন্দর বা অস্বাভাবিক গঠন অর্থাৎ তৃতীয় ধরনের সুন্দর(হ্যান্ডসাম নারী বা সুন্দরী ছেলে) অস্বাভাবিক গঠনের হওয়ায় বিপরীত লিংগের কাছে তেমন আকর্ষনীয় নয় বরং বিকর্ষনীয় এবং অকামাদ্বীপ্ত টাইপ মনে হয় তাই এই ধরনের মেয়েদের ছেলেমহলে মার্কেট নেই কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় হলেও সত্যি যে এই টাইপ মেয়েদের আবার মেয়েমহলে ভালই মার্কেট। ঠিক একইভাবে এই অস্বাভাবিক গঠনের ছেলেদেরও মেয়েমহলে তেমন মার্কেট নেই কিন্তু ছেলেমহলে আবার ভালই মার্কেট বা মূল্য পেয়ে থাকে শুধুমাত্র বাহ্যিক চেহারার কারনে। আর কেনই বা এমন হয় এর কারণ খুজতে গিয়ে দেখা গেছে যে সাধারনত একজন পুরূষের কাছে খুবই সুন্দর মনে হয় একজন নারীকেই আর একইভাবে একজন নারীর কাছেও সৌন্দর্য্যের প্রতিক হল পুরুষ মানুষ তাই যেসব নারীরা দেখতে অনেকটা পুরূষালী টাইপের তাদেরকেই নারীদের কাছে বেশী সুন্দরী নারী মনে হয় পক্ষান্তরে বেশি নারীসুলভ চেহারার মেয়েদের আবার নারীদের কাছে তেমন সুন্দরী মনে হয় না, আবার যেহেতু তাদের চেহারা ও মৌলিক গঠন মোটামুটি স্বাভাবিকই তাই সরাসরি খুব বেশি কুৎসিতও মনে হয় না বরং ছেলেমহলে বেশি মার্কেটের কারনে এবং পরিবেশ ও অভ্যস্থতার প্রভাবে এদেরকেও মেয়েরা সুন্দরী নারীই মানতে বাধ্য হয়। একইভাবে সুন্দরী ছেলেদের চেহারা অনেকটাই মেয়েসুলভ হওয়ায় শুধুমাত্র পুরুষদের কাছেই তাদের সুন্দর মনে হলেও মেয়েদের বেলায় ঘটে তার ঠিক উল্টো অর্থাৎ সুন্দরী ছেলেদের মেয়েমহলে তেমন মার্কেট থাকে না কিন্তু ছেলেমহলে আবার ভালই মার্কেট থাকে পক্ষান্তরে মেয়েদের চোখে আকর্ষনীয় ছেলেদের মেয়েমহলে বেশি মূল্য পেলেও ছেলেমহলে থাকে কম মার্কেট যদিও উপরে উল্লেখিত মানুষের পছন্দের ৩টি ভিত্তির উপর নির্ভর করে কিছুটা হেরফের হতে পারে আর এ সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হবে পরে তা পূর্বেই একবার বলা হয়েছে।

যাইহোক এবারে দ্বিতীয় প্রকারের সুন্দর নিয়ে আলোচনা করা হবে- সাধারনত এদের গঠনও স্বাভাবিকই হয়ে থাকে তবে এদের গঠনের মাঝে অনেক বৈচিত্রতা থাকার কারনে এবং সংখ্যায় কম হওয়ায় বলা যায় দুর্লভ গঠন কেননা অতীত হতেই এই শ্রেনীর মানুষের সংখ্যা সমাজে কম বর্তমানে ব্যাপক হারে মিশ্রনের প্রভাবে একটু বেশী দেখা গেলেও মোট হিসেব করলে তবু সংখ্যালঘুই প্রমাণ হবে । এই প্রকারের সুন্দর মানুষ দেখতে পবিত্র/মায়াবী/দরদী টাইপ হয়ে থাকে তবে বর্তমানে ব্যাপক হারে মিশ্রনের প্রভাবে এই প্রকারের মানুষও আবার তিন ধরনের হয়ে থাকে যেমন- ১মত কিছু কিছু মানুষ আছে দেখতে এতই সুন্দর যে তাকে দেবদূত বা সাক্ষাত ফেরেশতার মতন লাগে তাই সর্বসাধারনের চোখে এদেরকে সৌন্দর্য্যের সীমা অতিক্রম করেছে বলে মনে হয় আর বেশী সুন্দর বা ফেরেশতা টাইপ মনে হওয়ায় এদের প্রতি সর্বসাধারনের মাঝে যারা বিপরীত লিঙ্গের তারা সাধারনত কামবোধ করতে পারে না বা কামের ভাবাবেগ তৈরীই হয় না। তাই এদেরকে ধরা যায় পবিত্র সুন্দর হিসেবে আবার যুগে যুগে মিশ্রনের প্রভাবে উক্ত পবিত্র সুন্দরই আবার আরো ৩টি ভাগে রুপ নিয়েছে যেমন- ২য় ভাগে যাদের দেখা যায় তাদের গঠন পবিত্র সুন্দর হলেও স্বাভাবিক আর অস্বাভাবিক সুন্দরেরও মিশ্রন থাকে তারপরেও মোটামুটিভাবে এদের গঠন প্রনালীও দুর্লভই হয়ে থাকে কিন্তু দেখতে সর্ব সাধারনের চোখে ১ম প্রকারের মত এত বেশী সুন্দর মনে না হলেও মোটামুটি সুন্দরই মনে হয় আর সাধারনত এদেরকে বলা হয় মায়াবী সুন্দর। সাধারণ শ্রেনীর মাঝে বিপরীত লিঙ্গরা মায়াবী সুন্দর ছেলেমেয়েদের উপরও তেমন একটা ফিজিক্যাল আকর্ষণ বা কামবোধ করে না চেহারায় একটু বেশি ইননোছেন্ট ইননোছেন্ট ভাব থাকায়। আবার বর্তমানে ব্যাপক হারে মিশ্রনের প্রভাবে ৩য় আরেক ধরনের দরদীটাইপ সুন্দর দেখা যায় যাদের সংখ্যা আবার উপরের দুই প্রকারের চাইতে সমাজে অনেক বেশী বলে খুব বেশী দুর্লভ বলা যায় না। সাধারনত এদের গঠন প্রনালী মোটামুটি মিশ্রই তবে এদের চেহারায় একটা দরদী দরদী ভাব থাকে আর সাধারনের চোখে এদের এত বেশি সুন্দর মনে না হলেও কেউই কুৎসিত ভাবে না। এদের প্রতি সাধারন মানুষের মাঝে বিপরীত লিঙ্গরা উপরেউল্লেখিত পছন্দের ৩টি ভিত্তির উপর নির্ভর করে একেক জন একেক হারে আকর্ষন ও কামবোধ করে যা নিচে বিস্তারিত আলোচনা হতে ভালভাবে বুঝা যাবে। এই পবিত্র/মায়াবী/দরদী টাইপ সুন্দর মানুষদের বেলায় যা দেখা যায় তা হল- ছেলে এবং মেয়ে উভয় মহলেই এদের সমানভাবে কদর আছে যা অন্য দুই(স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক) ধরনের সুন্দরদের বেলায় সাধারনত দেখা যায় না। তবে সাধারন মানুষের মাঝে বিপরীত লিঙ্গরা এদের প্রতি তুলনামূলক কম কামবোধ করলেও শুধুমাত্র তাদের পর্যায়ের বিপরীত লিঙ্গরা কিন্তু তাদের প্রতি ভালভাবেই কাম ভাবাবেগে আকৃষ্ট হয়। আর এই ধরনের সুন্দর শ্রেনী সাধারনত বিভিন্ন বংশ পরম্পরায় ধার্মিক গোষ্টিদের(এর্যাাবিক কুরাইশ/জিউস/আর্য্য) মাঝে আজও লক্ষ্য করা যায় তাছারা এই শ্রেনীর সুন্দরদের মাঝেই সমস্ত নবী-রসুল বা অবতারগন অন্তর্ভুক্ত যা ডি এন এ টেষ্টসহ বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমানিত। তবে সুন্দরের প্রকারভেদ নির্নয়ে উপরে মানুষকে যে তিনটি ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়েছে তা আসলে প্রধানত তিন ক্যাটাগরি অর্থাৎ সুক্ষভাবে বিচার করলে উক্ত তিন ক্যাটাগরিকে আরো অনেক ভাগে ভাগ করতে হয় আর উপরে শুধুমাত্র ২য় বা মধ্যম প্রকারের সুন্দরকে আরও ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে বুঝার সুবিধার্থে। এখন পরিপূর্ন আলোচনা শেষে সকলেই বুঝতে বাধ্য যে মানুষের সৌন্দর্য্য নির্ধারনের ব্যাপারটি আসলে আপেক্ষিক কেননা মানুষের একে অপরকে পছন্দ করার নীতি আসলে তিনটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে নির্ধারন হয়ে থাকে যেমন- ১) বংশগতি বা জেনেটিক্যাল কারন ২) পরিবেশগত প্রভাব এবং ৩) অভ্যাসগত বা অভ্যস্থতার প্রভাব। এখন বংশগতির কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে
(চলবে)

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:১৯

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: আলোচনাটা যদিও অনেক বড়, তবে সহজবোধ্য করেই লিখেছেন।
সৌন্দর্য বিষয়টা আসলেই আপেক্ষিক। পছন্দ অপছন্দের বিষয়টাও তাই।

০৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ সত্য বুঝতে পারার জন্য।

২| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৯

নাজ রিটার্নস বলেছেন: ভাল লেগেছে।

০৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৩| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট। ভালো লাগলো।

০৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি বিজ্ঞানের ছাত্র?

০৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ভাই, আমি সবকিছুতেই ছাত্র

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৭

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ৩য় পর্বের লিংক Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.