নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমগ্র মানবজাতিকে ঐক্যে আনবে যে পদ্ধতি

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ২:৪৭



১ম ভাগ(আস্তিক+নাস্তিক ঐক্য)
মানবজাতির জন্য সামনে অপেক্ষা করছে বিরাট এক বিপদ, সচেতন কিছু ব্যক্তিবর্গ যদিও ইতিমধ্যে আগত পরিস্থিতির ভয়াভহতা বুঝতে সক্ষম হয়েছে তবু গোটাবিশ্বের সিংহভাগ জনগনই এব্যাপারে এখনও উদাসীন। কিন্তু তাই বলে আমাদের তো আর বসে থাকলে চলবে না বরং আগত ভবিষ্যতে যেকোন পরিস্থিতি কেটে উঠার জন্য পুর্ব হতেই প্রস্তুতি গ্রহন করতে হবে। এখন পরিস্কারভাবে সবারই জানা উচিত ভবিষ্যতে আসলে কোন ধরনের দূর্যোগ বা বিপদের মুখোমুখি হতে পারে বিশ্বের জনগন ? ১মত এই দূর্যোগ কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ নয় বরং মানব সৃষ্ট বিপদ যার ফলে মহা বিপর্যয় নেমে আসতে পারে মানুষের নিজেদেরই ভুলের কারনে কেননা এখনকার বর্তমান বিশ্বব্যাবস্থা যোগাযোগ ও প্রযুক্তিগত ব্যাপক উন্নতির কারনে সবাই এক গোষ্টির ন্যায় হয়ে গেছে , পৃথিবীর এক প্রান্তের দেশ হতে অন্য প্রান্তের দেশে নিমিষেই যাওয়া যাচ্ছে এবং বিশ্বের কোথায় কে কি করছে তা যে কেউই ঘরে বসে স্যাটালাইট টিভি ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেখতে এবং যোগাযোগ করতে পারছে তাই মানবজাতি ১টি বৃহৎ গোষ্টির ন্যায় হয়ে গেলেও মানবজাতির ব্যাক্তিগত বিশ্বাস আর নৈতিক কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে পরস্পরবিরোধী ব্যাপক অন্তরায়। এমনকি নিজের বিশ্বাসকে সঠিক অন্যদেরটা ভুল এই মনোভাবের জন্য এবং অন্যদেরকে মনে মনে ঘৃনা করার পাশাপাশি পুরোপুরি ধংস কামনা করার জন্য এবং সর্বপরি এই ধরনেরই মানুষিকতা সম্পন্ন মানবজাতি যদি আবার পরস্পরকে ধংস করার জন্য বানিয়ে থাকে পারমানবিক বোম, হাইড্রোজেন বোম বা জীবানু বোমসহ আরো অনেক বিধ্বংসী অস্ত্র তবে এটা নিশ্চিত যে আজ মানবজাতি সত্যি হুমকির মুখে। আর অতীতেও যদি এই একই মানবজাতি দু-দুবার বিশ্বযুদ্ধ ঘটিয়ে লাখ লাখ মানুষ নিঃশেষ করে থাকে আর এরপরেও যদি বর্তমানেও দেখা যায় যে,তলে তলে ৩য় বিশ্বযুদ্ধ লাগার পায়তারা চলছে বিশ্বের পরাশক্তি্গুলোর মাঝে তবে কিন্তু আর হেলায় খেলায় মেতে থাকার প্রশ্নই আসে না। তাই সময় থাকতেই আমাদের শুধরাতে হবে আর এজন্য যে জিনিসটি প্রয়োজন তা হল দল মত ধর্ম নির্বিইশেষে সকল মানুষের মাঝেই ঐক্য, ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি এবং সংঘাতপূর্ন রাস্তা পরিহার করে সকলেরই শান্তিকামি হওয়া । আর দল মত আলাদা হওয়া সত্তেও এ সকল গুন মানবজাতির মাঝে কিভাবে আসবে সে আলোচনা করার পুর্বে ১মে জানা উচিত এসব আসলে কেন করব ? এর প্রধান কারনই হল পরস্পর শান্তিতে বসবাস করা উদ্দেশ্য। কিন্তু গোটাবিশ্বে দেখা যায় বর্তমানে দুটি প্রধান দলে মানুষ বিভক্ত হয়ে গেছে যেমন- একদল হল নির্দিষ্ট কোন না কোন ধর্মে বিশ্বাসি অপর দল যেকোন ধর্মে অবিশ্বাসি । আর এই দুই দলের মাঝেই রয়েছে জীবনধারনের জন্য পরস্পরবিরোধী ব্যাবস্থা এবং তারা নিজেরা নিজেরা সবাই চায় যেন তাদের মতাদর্শেই চলুক সব কিছু , এজন্য এই দুই দল আজ এমন একটি পর্যায়ে চলে এসেছে যে তারা সবাই চায় বিপক্ষ দল পৃথিবী থেকে একেবারে নিশ্চিন্ন হয়ে যাক। তাই বিশ্বজুরে সর্বত্রই আজ ধর্ম আর অধর্মের নিরব যুদ্ধ লেগেই আছে যেটি পরবর্তিতে খুব শীঘ্রই ৩য় বিশ্বযুদ্ধে রুপ নিতে যাচ্ছে। এখন এই নিশ্চিত যুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা জানার পরও এই দুই পক্ষের কিছু লোক
এই যুদ্ধকে কামনাও করছে যাতে বিপক্ষ একেবারেই শেষ হয়ে যায়। ধার্মীক পক্ষের আত্মবিশ্বাস এটাই যে তাদের ধর্মগ্রন্থে এই মহাযুদ্ধের কথা উল্লেখ আছে এবং তারাই বিজয়ী হবে সেটিও বলা আছে আর ধর্মে অবিশ্বাষী পক্ষ মনে করে সারাবিশ্ব আজ ধর্মনিরপেক্ষবাদী বা ধর্মবিরধীদের হাতে এবং শক্তিশালী সব অস্ত্র এবং লোকবলও আজ তাদের মতবাদীদের হাতেই তাই তাদের বিজয় সুনিশ্চিত । আর এই পক্ষই ২০৫০সালের মধ্যে দুনিয়া থেকে ধর্মকে পুরোপুরি ধংস করতে বদ্ধ পরিকর এবং সেই প্লান অনুযায়িই তারা সর্বক্ষেত্রেই কাজ করে যাচ্ছে । কিন্তু বিশ্বের পরাশক্তিগুলো যেকোন একমুখী থাকলে বা ২য় বিশ্বযুদ্ধের মত শুধু এক দেশের কাছেই পারমানবিক বোম থাকলে হয়ত বিপদের আশংকা কিছুটা কম করা যেত কিন্তু হটাৎ করেই বেশকিছুদিন হল বিশ্ব পরিস্থিতি পালটে গেছে যেমন- বিশ্বের বেশ কয়েকটি পরাশক্তি রহস্যজনকভাবে এখন ধার্মিকদের পক্ষে, আর তা ধীরে ধীরে সবার কাছেই পরিস্কার হয়ে উঠছ যেমন পরাশক্তিবলে খ্যাত বর্তমান রাশিয়া(সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন), চীন , উত্তর কোরিয়া , ইরান এমনকি আরবেরও কিছু রাষ্ট্র মিলে বিশ্বের অপর মেরূর মত আচরন করছে আর এরা সবাই পারমানবিক শক্তিধর কিন্তু অতীতে এই রাশিয়া,চীন, উত্তর কোরিয়াও ছিল ধর্মবিরোধী রাষ্ট্র কিন্তু হটাত করেই সমাজতন্ত্রের বড় ভাই রাশিয়া নাস্তিকতাকে বিসর্জন দিয়ে অর্থোডক্স খ্রীষ্টান, মুসলমান এবং বৌদ্ধদের পক্ষ নিয়ে নিরবে কাজ করে যাচ্ছে যা অনেকের দৃষ্টিতে এখনও পরছে না আর এরকম নাকি ধর্মগ্রন্থেও লেখা ছিল বলছে কিছু ধার্মিকপক্ষ। আর বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর আরেক প্রান্তে রয়েছে আমেরিকা, ফ্রান্স, ইসরায়েল, দক্ষিন কোরিয়া , জাপান ইত্যাদি। এই প্রান্তকে মদদ দিতে সর্বদিক দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আবার ধর্মবিমুখ ইহুদী সম্প্রদায়রা । এভাবে বিশ্বে দুইটি পরস্পর বিরোধী শক্তি তৈরী হয়ে গেছে যা দিনের পর দিন আরো জোড়ালো হবে। সুতারাং বিশ্ব পরিস্থিতির বিবেচনায় বুদ্ধিমান মাত্রই একথা বুঝতে সক্ষম যে সামনে আমাদের জন্য ভয়ানক এক পরিস্থিতি ধেয়ে আসছে । এখন আসল কথায় আসা যাক- আমরা কি শুধু এজন্যই সবার মাঝে ঐক্য, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং শান্তির পন্থা জাগিয়ে তুলব যে আমাদের সামনে অপেক্ষা করছে এক মহাযুদ্ধ যার ক্ষয়ক্ষতি সর্বত্র ছরিয়ে পরবে, ব্যাপক গনহত্যা হবে, দুর্ভিক্ষে হাজার হাজার মানুষের প্রান যাবে? না তা কখনই নয় শুধুমাত্র এজন্যেই আমরা শান্তিকামীদের দলে আসব এমন নয় বরং এমনটি যদি না ঘটে বিশ্বপরিস্থিতি উল্টোও হয় তবুও সকল মানব সম্প্রদায় পরস্পর শান্তিকামী না হলে বেশীদিন টিকতে পারবে না আর কিছুদিন টিকলেও তা শান্তিময় হবে না। তাই সর্বকালের জন্যই সকল মানুষকে শান্তির পথে থেকে ঐক্য এবং ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখতে হবে। আর মানবজাতির সবাই কিন্তু একই দলের যেমন-সবাই হোমো সাপিয়েন্স এর অন্তর্ভুক্ত আর ধার্মিকদের মতে সবাই একই পিতার সন্তান বা একই ঈশ্বরের সৃষ্টি। তাহলে আমরা কেন নিজেদের সম্প্রদায়ের মাঝে নিজেরা নিজেরাই মারামারি করে ধ্বংস হয়ে যাব? তাছারা ধার্মিক হোক আর অধার্মিক নাস্তিক হোক ঢালাওভাবে সবাই কিন্তু নিজেদের মাঝে খুনোখুনি চায় না উদাহরণস্বরুপ একজন পিতার যদি ৫জন সন্তান থাকে আর সেই সন্তানদের মাঝে যদি ২জন হয় নাস্তিক ৩য় জন হয় খ্রীষ্টান ৪র্থ জন হয় মুসলিম আর ৫ম জন হয় অন্য ধর্মের তবে কি এটা উচিত হবে যে ২জন নাস্তিক সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে তারা দুজনে দল বেধে তাদের অন্নান্য ধার্মিক ভাইদের হত্যা করবে? আর পিতাও যদি ইহুদি বা অন্যধর্মের হত তবে কি সে পারত তার অবাধ্য নাস্তিক এবং অন্য ধর্মের সন্তানদের হত্যা করতে? না এমনটি কেউই সাধারনত করে না বরং অতিরিক্ত হলে এতটুকু করতে পারে যে তাদেরকে সে শাষন করবে আর এর চাইতেও শান্তিময় ব্যাবস্থা গ্রহন করলে সে হয়ত তার ছেলেদের বা তার বিপরীত বিশ্বাসি ভাইদের বুঝাবে, আলোচনা করবে অথবা বিতর্ক চালিয়ে যাবে ভুল দূর করার স্বার্থে। সত্য মিথ্যা যাইহোক খবরে আবার শুনা যায় দু একজন ধর্মবিরোধী নাস্তিককে কিছু ধার্মিক জংগীরা একদম হত্যাই করে ফেলে এখন যদি ঐ নাস্তিকটি হত্যাকারী জংগীর আপন বড় ভাই বা পিতা হত তবে কি সে এমন করার চিন্তা করত? নাকি সে তখন ভাবত আমার ভাইকে হত্যা না করে ১মে দাওয়াত দিব বা সে যে ভুল পথে আছে সেটা তাকে বুঝাব। এখন তার ভাইকে অন্য জংগীরা ঠিকই মারতে চাইলেও সে কিন্তু মনে মনে হত্যার বিপরীত কিছু চাইবে, সুযোগ দিতে চাইবে, এমনকি নাস্তিকতা থেকে আর না ফিরলেও কিন্তু জংগীটির অন্তর সায় দিবে না যে এবার তাকে শেষ করে ফেলা হোক বরং সে চাইবে- সে তার মত চলুক আমি আমার মত চলি। কিন্তু ধর্মবিরোধী যদি নিজের বাপ ভাই না হয়ে অন্য কেউ হয় তবেই কিন্তু দেখা যায় ঐ একই জংগী তাকে শেষ সুযোগও দিতে চাইবে না ধর্মের দোহাই দিয়ে (যদিও কোন ধর্মগ্রন্থে এমন নীতি নেই, এই নীতিগুলো পরে ধার্মিকরা ধর্মের স্বার্থে অতিরিক্ত মতবাদ যুক্ত করেছে)সুতারাং এখানে একটু ভালভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় নাস্তিক ব্যাক্তিকে আপন ভাই না ভাবার কারনে কিন্তু তার মনোভাব পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ এখানেই মানুষের স্বার্থপরতা কাজ করছে অর্থাৎ পরস্পরের প্রতি ভ্রাতৃত্ববোধ এবং শান্তিকামী স্বভাবের অনুপস্থিতি। সুতারাং আমরা বলতে পারি যে বেশীরভাগ এসব হত্যাযোগ্যে এবং যুদ্ধ বিগ্রহে স্বার্থপরতাই(আপন না ভাবা) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী। এখন দেখতে হবে কিভাবে আমরা এই ধরনের স্বার্থপরতা এবং অন্যের প্রতি আক্রমনাত্বক মনোভাব দূর করে পরস্পর ভ্রাতৃত্ববোধ, ক্ষমা, দয়া, ত্যাগ এবং শান্তিপ্রিয় মনোভাব তৈরী করে ঐক্যে থাকতে পারি । সুতারং এজন্য আমাদের যা যা করনীয় তা হল-
১) শুধুমাত্র ধর্মে বিশ্বাসি বা অবিশ্বাসি এমনকি ধর্মবিরোধী মনোভাবের কারনে কেউ কাউকে আঘাত তো দূরে থাক যেকোন ধরনের ক্ষতি পর্যন্তও করতে পারবে না। শুধুমাত্র মৌখিক বা লিখিতভাবে একে অন্যের সাথে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক এবং আহব্বান করবে মাত্র আর এতে যতদুর সম্ভব পারস্পরিক ভদ্রতা বজায় রাখার চেষ্টা করবে এবং দুই দল এর নীতি সম্পুর্ন বিপরীতমুখী সত্তেও একে অপরের প্রতি মানবিক অধিকারের ক্ষেত্রে ঠিকই দায়িত্বশীল থাকবে যেমনঃ- আত্মীয়তার এবং প্রতিবেশীর অধিকার রক্ষা করবে , অর্থনৈতিক বা মানবিক ব্যপারে পরম বন্ধুসুলভ আচরন না করতে পারলেও শত্রুসুলভ আচরন করতে পারবে না উদাহরনস্বরুপ- শুধু নাস্তিক বলেই তাকে টাকা কর্য না দেয়া বা দিলেও পরিশোধের ক্ষেত্রে মাত্রারিক্ত চাপ আবার নাস্তিকের সামনে কোন নির্দিষ্ট ধর্মের লোক রাস্তায় আহতবস্থায় পরে আছে কিন্তু ধার্মিক বুঝার পর তাকে হাসপাতালে পৌছানোর দায়িত্ব অবজ্ঞা করে চলে যাওয়া ইত্যাদি।
২) ধর্মীয় বা নাস্তিকদের যেসব কর্মকান্ডের প্রভাব শুধু তাদের নিজেদের মধ্যেই বিরাজ করবে অপর পক্ষের উপর কোন প্রভাব পরবে না সেগুলোর জন্য কেউ সেই পক্ষের চরম বিরোধী হতে পারবে না বরং এক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় ভুমিকা পালন করবে। তবে আলোচনা, তর্ক বিতর্ক বা ভুল ধরিয়ে দেয়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। আর উভয় পক্ষের যেসব কর্মকান্ড বিপরীত পক্ষের উপরও বর্তাবে সেসব কর্মকান্ডের জন্যেও কেউ কাউকে আঘাত তো দূরে থাক যেকোন ধরনের ক্ষতি পর্যন্তও করতে পারবে না শুধুমাত্র মৌখিকভাবে বাধা বা আদেশ নিষেধ, প্রতিবাদ, আলোচনা , তর্ক- বিতর্ক বা ভুল ধরিয়ে দেয়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকতে হবে আর এক্ষেত্রে যদি ধার্মিকদের ধর্মমতে সাস্তির বিধানও দেয়ার কথা থাকে তবুও তারা এর বিচার বড় আদালত তথা পরকালে ঈশ্বরের উপর ছেরে দিয়ে ধৈর্যধারন করবে এবং মৌখিক বিরোধীতার মাধ্যমে দায়িত্ব থেকে কোনমতে মুক্তি পেয়েছে ভাবতে হবে অর্থাৎ চরমপন্থী হওয়া যাবে না। তারপরেও যদি কেউ বিপরীত পক্ষ বা নিজেদের পক্ষেরই কারও শারীরিক বা আর্থিক কোনরকম ক্ষতি (যেমন- হত্যা, চুরি-ডাকাতি, লুন্ঠন, ধর্ষন)করে থাকে তবে নির্দিধায় তাকে তার প্রাপ্য সমপরিমান সাস্তি দিলেও এর ফলে তার পক্ষের অন্য নির্দোষদের প্রতি শত্রুতাভাবাপন্ন হওয়া যাবে না এমনকি অপরপক্ষের যদি ১০০ জনের মধ্যে ৯৯জনই যদি সেই ধরনের অপরাধ করে থাকে আর ১জনও নিরাপরাধ থাকে তবে সেই ১জনকেও কখনই সংখ্যাগরিষ্টতার কাতারে ফেলে দোষী করে সাস্তি দেয়া বা শত্রুতা করা যাবে না বরং ঐ ১জনের সাথে ঠিকই পুর্বের ন্যায় আচরন করতে হবে।
৩) অপরিচিত কিন্তু এই ধরনের শান্তিকামী ব্যাক্তি, দূরে অবস্থানকারী এই ধরনের শান্তিপ্রিয় ব্যাক্তি বা আগান্তুক, মুসাফির টুরিষ্টদের মাঝে যারাও এই ধরনের সার্বজনীন ভ্রাতৃত্বে বিশ্বাষী তাদের ক্ষেত্রেও উপরে উল্লেখিত নীতিতে চলতে হবে যদি কোন কারনে তারা আমাদের কাছাকাছি অবস্থান করতে আসে, হোক তা অল্পদিনের জন্য বা বেশীদিনের জন্য। আর দূরে অবস্থানকারীদের সাথেও দূর থেকেই ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব বর্তমান মিডিয়া এবং টেকনোলজির মাধ্যমে।
এখন দেখা যাক এই ধরনের ইউনাইটেড প্যাচিফিক গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত হলে আমাদের কি কি লাভ হবে। যেমন- ১) ভিন্নমতাদর্শী হওয়া সত্তেও পরস্পর এর মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ থাকবে ফলে কেউ কারও ক্ষতি করবে না উপকার না করতে পারলেও এছারাও যদি কখনও শান্তিপ্রিয় দলের বহির্ভূতদের মাঝে মতাদর্শভিত্তিক মহাযুদ্ধও সংঘটিত হয়ে যায় তবুও ইউনাইটেড প্যাচিফিক গ্রুপের জন্য মানবজাতি পুরোটাই হুমকির মুখে পরবে না এবং কিছু লোকের মাঝে বা কিছু এলাকায় শান্তি বিরাজ করবে। ২) ভিন্নমতাদর্শীদের পাশাপাশি থাকার ফলে এবং পরস্পর আলোচনা বিতর্ক করার ফলে অন্য মতাদর্শদের ব্যাক্তির কাছে খুব সহযেই নিজেদের মতবাদকে প্রচার করা সম্ভব সর্বত্তম পন্থায়, এতে অনেকেই অপর পক্ষ হতে নিজেদের পক্ষে চলে আসতে পারে আর তা না হলেও অপর পক্ষের মতাদর্শ সন্মন্ধে ভালভাবে জানা যাবে ফলে বিপরীত মতবাদের জ্ঞান অর্জন হবে আর তখন সেই মতবাদ হতে নিজেদেরকে দূরে রাখাও সহয হবে। ৩) এভাবে চলতে থাকলে একসময় যেটি সত্য মতাদর্শ সেটি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে এবং পাশাপাশি মিথ্যা মতবাদটিও হ্রাস পেতে পেতে এক সময় সম্পূর্ন বিলুপ্ত হয়ে যাবে কোন রকম জোরজবরদস্তি বা শক্তি প্রয়োগ ছারাই এমনকি মিথ্যে মতবাদে বিশ্বাসিরা নিজেরাই একে বিলুপ্ত করবে মিথ্যে জানার পর কারন সম্পূর্ন বিপরীতমুখী দুটি মতাদর্শ আস্তিকতা এবং নাস্তিকতা একইসাথে সত্য হতে পারে না বরং ১টি সত্য হলে অপরটি অবশ্যই মিথ্যে হতে হয় তারপরেও কোন মতাদর্শ টিকে থাকলে থাকবে, জোর করে কোন মতবাদকে শেষ করা হবে না। এছারাও সম্পূর্ন বিপরীতমুখী দুটি মতাদর্শের লোক এভাবে চলতে থাকলে অবশ্যই আর্থ-সামাজিক দিক দিয়েও ব্যাপক উন্নতি করতে পারবে।

এখন যদি কেউ ইউনাইটেড প্যাচিফিক গ্রুপে থাকতে চায় তবে তাকে কয়েকটি বিশেষ শান্তি চুক্তির ভিত্তিতে থাকতে হবে যেমন-
১) দুই দল কখনই পরস্পর দাঙ্গা হাঙ্গামায় বা যুদ্ধে জরাতে পারবে না বরং পরস্পর নিরাপত্তা রক্ষা করার চেষ্টা করবে। এই শান্তিপ্রিয় দলের মানুষকে যদি কেউ ক্ষতি করতে আসে তবে উভয় পক্ষ মিলে তার প্রতিরোধ করবে যদি বড় কোন শক্তি প্যাচিফিক দলের বড় ধরনের ক্ষতি করতে আসে তবে প্রয়োজনে সবাই মিলে নিজ এলাকা ছেরে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ জায়গায় চলে যাবে তবু ঐসকল শক্তির সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতে পারবে না কিন্তু যদি ঐ ধরনের শক্তি শান্তিকামীদের হত্যা করতে বা এই দলের সম্পূর্ন বিনাশ করতে উদ্যত হয় তখন সব পক্ষকেই একত্র হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আত্মরক্ষা করতে হবে।
২) বর্তমান বিশ্বে বেশিরভাগ দেশে যে ধর্মহীন এবং মানব রচিত নাস্তিক নিয়ম নীতি অনুযায়ি রাষ্ট্র চলে যা কোন ধর্ম মতাদর্শেরই নীতি নয় অথচ এই আইনকেই বিভিন্ন ধার্মিক গোষ্ঠিদেরও তাদের সমাজে মানতে বাধ্য করা হয় এছারা শুধুমাত্র ধর্মীয় কিছু অনুষ্ঠানগুলোই মাত্র তাদের আলাদা আলাদা মানার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা দেয়া হয় কিন্তু শান্তিকামী দলের কাজ হল সর্বদাই আস্তিক ও নাস্তিক মিলে একটা ইউনাইটেড প্যাচিফিক সমাজ গড়ার চেষ্টা করবে যে সমাজের নিয়ম নীতি হবে একেক পক্ষের জন্য একেক রকম অর্থাৎ আস্তিক এবং নাস্তিকদের জন্য তাদের নিজেদের আলাদা মতাদর্শ অনুযায়ি আলাদা আলাদা নীতি প্রয়োগ করে আলাদা আলাদা ভাবে মানবে কিন্তু সামগ্রিক ক্ষেত্রের সমাজ নীতি হবে- ১মত এখানে উল্লেখিত সর্বচ্চ নীতি অনুযায়ি এবং ২য়ত পরবর্তীতে আলোচনার প্রেক্ষিতে নির্ধারিত আস্তিক-নাস্তিক চুক্তি অনুযায়ি। যেহেতু বর্তমান পৃথিবীতে প্রায় সব জায়গাতেই ধর্মহীন মানব রচিত নাস্তিক নীতি অনুযায়ি দেশ ও সমাজ চলছে তাই এসব দেশের মাঝে অবস্থানকালে সামগ্রিক নীতির বেশীরভাগই রাষ্ট্র নির্ধারিত হতে বাধ্য হচ্ছে তাই এসব ক্ষেত্রে তেমন কিছু করার নেই। আর বর্তমান বিশ্বে এখন প্রতিটা জায়গাতেই নাস্তিকদের প্রিয় গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রকাশ্য যুদ্ধ চলছে এবং ধর্মকে পৃথিবী হতে নিশ্চিন্ন করতে গোপন যুদ্ধ এবং পরিকল্পনার বাস্তবায়ন চলছে তাই সম্পূর্নরুপে ভীন্নমতাদর্শীদের চিরতরে শেষ করার এই যুদ্ধ এবং পরিকল্পনার কোনটাতেই শান্তিকামী দলের নাস্তিকরা অংশগ্রহন করতে পারবে না, ঠিক একইভাবে ধার্মীকদের যে দল এই উদ্দেশ্যে কখনও যদি যুদ্ধ শুরু করে যে, নিজেদের দল ব্যাতীত অন্যসব ধর্ম এবং মতাদর্শ চিরতরে শেষ করে দিবে তবে শান্তিকামী দলের অন্তর্ভুক্ত সেই ধর্মের ধার্মিকও ঐসব ধার্মিকদের সাথে অংশগ্রহন করতে পারবে না কিন্তু নিজেদের ধর্মকে একেবারে নিঃশেষের হাত থেকে বাচাতে যদি আত্মরক্ষামুলক প্রতিরোধে এমন সব দলের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে যারা শুধু নিজেদের বাচাতে প্রতিরোধ করছে এবং পরে জয়ী হলে নিরিহ বেসামরিক ভীন্নমতাদর্শীদের ধ্বংস চায় না তবে ব্যাক্তিগতভাবে শান্তিবাদী ধার্মীকদের মাঝেকার যে কেউ ইচ্ছে করলে সেই দলের সাথেও একাত্মতা করতে পারে এমনকি শান্তিবাদী নাস্তিকরাও ইচ্ছে করলে করতে পারে কিন্তু বাধ্য নয় অর্থাৎ কোন নির্দিষ্ট ধর্ম বা মতাদর্শকে বাচানোর সংগ্রামে প্যাসিফিক দল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অংশগ্রহনে বাধ্য নয় ঐচ্ছিক মাত্র। কিন্তু যেকোন ধর্মের পুরোপুরি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে যে যুদ্ধ এখন বিশ্বে চলছে তাতে কেউই অংশগ্রহন করতে পারবে না তারপরেও দূরে অবস্থানবশত কারনে কেউ যদি বড় ধরনের কোন কারনে সাময়িক বাধ্য হয় বর্তমানের অশান্তিকামী নাস্তিকদের কাতারে যুদ্ধ করতে আর তার বিপরীতে যদি থাকে শান্তিবাদী দলের কেউ তবে নিম্নে উল্লেখিত শান্তিবাদী দলের চিহ্ন অনুযায়ি যদি একে অপরকে চিনতে সক্ষম হয় তবে তারা একে অপরকে হামলা না করে উলটো আরও সাহায্য করার চেষ্টা করবে।
শান্তিবাদী দলের চিহ্নঃ ইউনাইটেড প্যাসিফিক গ্রুপের সাইন হল সম্পূর্ন সাদা রং এর কাপড় বা পেপার, যা কেউ ইচ্ছে করলে ফ্লাগ হিসেবে, হাতের ব্রেসলেট আকারে, মাথায় বা গলায় পেচিয়ে বা গোপনে রাখতে চাইলে রুমাল হিসেবেও পকেটে পুরে রাখতে পারে এবং যেকোন প্রয়োজনে পকেট হতে বের করে নিজেকে শান্তিকামী হিসেবে প্রমান করতে পারে তবে এই ধরনের সাইন সর্বসময়ই নিজের কাছে রাখার চেষ্টা করাই শ্রেয়।
এখন প্রশ্ন হল কিভাবে মানুষগুলো এই প্যাসিফিক দলে ভীরবে বা অন্য মানুষদের এই দলে ভীরানোর জন্য আমাদের করনীয় কি? ১মেই আমরা যারা বিশ্বমানবতার ঐক্যের এই পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত হলাম তাদেরই প্রধান দায়িত্ব যে আমরা কিভাবে তা অন্যদের মাঝে পৌছাব। এজন্য ১মত আমরা সরাসরি মৌখিক বা লিখিতভাবে এই পদ্ধতি অন্যদের মাঝে প্রচার করে বুঝাব মুখোমুখি এবং পারলে ইন্টারনেটসহ যেকোন মিডিয়া ব্যাবহার করে অর্থাৎ যে যেভাবে সম্ভব এই পদ্ধতিগুলো শেয়ার করবে ২য়ত ঐক্যের এই পদ্ধতিগুলো জানার পর কেউ একমত হলে তার সাথে ভ্রাতৃত্বমুলক সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি তাদের সাথে সময় করে সপ্তাহ বা মাস অন্তর অন্তর আলোচনা এবং বিতর্ক চালানোর ব্যাবস্থা করতে হবে যেহেতু বিপরীত মতাদর্শের ব্যাক্তিরাও থাকবে তাই এই বিতর্ক আলোচনার মাধ্যমেই একে অপরকে ভালভাবে বুঝতে পারবে এবং এক ধরনের সম্পর্কও তৈরী হতে বাধ্য। ৩য়ত যতদুর সম্ভব প্যাসিফিক দলের লোকদের বিপরীত মতাদর্শের হলেও পাশাপাশি স্থায়ীভাবে অবস্থান করার চেষ্টা করতে হবে এতে মন মাসকিতা উদার হবার সম্ভাবনা বেশী আর তা সম্ভব না হলেও দূরে থাকলেও মাঝে মাঝে মিলিত হওয়া এবং খোজ-খবর রাখাসহ বিভিন্নভাবে সাহায্যও করার চেষ্টা করতে হবে মোটকথা ইউনাইটেড গ্রুপের মেম্বারদের অবশ্যই নিজেদের মাঝে পরিচিতি এবং মেলামেশা অব্যহত রাখতে হবে।
আর সবশেষে যেটি জানা গুরুত্বপূর্ন তা হল কারা এই পদ্ধতি আবিস্কার করল আর কারা এটি পরিচালনা করবে আর কিভাবে এটি পরিচালিত হবে? আসলে মানুষের মাঝে হিংসা, অশান্তি এবং একে অপরের মাঝে স্বার্থপরতার ক্ষতির দিক চিন্তা করে এই পদ্ধতি আমরাই আবিস্কার করেছি যা শুধু আমাদের চিন্তাতেই ছিল না বরং শান্তিকামী প্রতিটা মানুষেরই মনের কথাগুলোই এখানে উল্লেখ করা হয়েছে আর আমরা শুধুমাত্র একে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করে অন্যদের মাঝে তা আহব্বান করছি মাত্র। আর এটি পরিচালনার দায়িত্ব সবারই যারা যারা এই দলে অন্তর্ভুক্ত হবে এবং কারা বেশি দায়িত্বশীল হবে তার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত হবে। যেকোন কিছুই পরিচালনা করতে অর্থের ১টি ব্যাপার এসে যায় তবু এই ধরনের মানব কল্যানমুলক কাজে অর্থ দিয়ে সাহায্য করা শুধুমাত্র ঐচ্ছিক রাখা হয়েছে কেউ সারাজীবন কোন রকম অর্থ দান না করেও শুধুমাত্র শান্তিচুক্তি মেনেই সবার সাথে নির্দিধায় দলে থাকতে পারবে। আর এটি আসলে কোন দল বা সেরকম পার্টিও নয় শুধুমাত্র শান্তির উদ্দেশ্যে একে অপরের সাথে একত্রে থাকবে কিছু নিয়ম মেনে। আর বিভিন্ন ধর্মের মাঝে যারা শান্তিকামী তাদের সেসব প্রতিটা ধর্মের জন্যই ১জনই সর্বচ্চ নেতা থাকবে ঠিক একইভাবে নাস্তিকদের মাঝেও যেসব বিভিন্ন দল আছে সেসব দলের বিভিন্নতা অনুযায়ি প্রতি দলেরই ১জন করেই নেতা থাকবে এবং সব দলের নেতার প্রতিনিধিত্বকারী আরেকজন নেতা থাকবে যে সব শান্তিপ্রিয় নাস্তিকদের হয়েই কাজ করবে
বিঃদ্রঃ শান্তিকামী ধার্মীক এবং শান্তিকামী নাস্তিকদের এই মিলন মেলার সনদ দেখে কখনই কোন ধার্মীক গোষ্ঠির যাতে মনে না হয় যে এটি ধর্মবিরোধীদের ১টি চক্ত্রান্ত যে বিতর্ক আলোচনার মাধ্যমে আমাদের ধর্মকে অবমাননা করা হবে। আর যারা সত্যিকারের ধর্মে বিশ্বাসী হওয়া সত্তেও ভাবে যে তারা ছারা অন্যকারও দুনিয়াতে থাকার অধিকার নাই তাদের ভালভাবে এটা জানা উচিত যে তাদের ধর্মগ্রন্থগুলোতেই কিন্তু বলা আছে ঈশ্বর বিশ্বাসি অবিশ্বাসি ধর্মবিরোধী সবাইকেই দুনিয়াতে জীবিত রাখেন এবং তিনিই ভাল-মন্দ পাশাপাশিই রাখেন দুনিয়াতে যাতে শিক্ষা নিতে পারে মানুষ এবং তিনিও পরীক্ষা করতে পারেন তাই অবিশ্বাসিদের দুনিয়াতে না রাখার সিদ্ধান্ত ধর্মকর্তৃক স্বিকৃত নয়। আর যেসব নাস্তিকরা মনে মনে ভাববে আসলে এসব আস্তিক নাস্তিকদের ঐক্যের আয়োজন করা হয়েছে কারন বর্তমানে ধর্ম প্রায় বিলুপ্তির পথে আর রাষ্ট্রীয় দিক ও শক্তির দিক দিয়েও ধার্মিকরা দুর্বল তাই এসব আয়োজনের মাধ্যমে ধার্মিকরা নাস্তিকদের সাথে ঐক্য করে টিকে থাকতে চাচ্ছে, যারা এমন ভাববে তাদের অবগতির জন্য এটা জানানো হচ্ছে না যে বেশীরভাগ ধর্মগ্রন্থে বর্তমান সময়ে ধর্ম অধর্মের যুদ্ধে ধর্মই বিজয়ী হবার কথা উল্লেখ আছে এমনকি বিভিন্ন ধর্ম ঐক্যও করবে এমনও উল্লেখ আছে। বরং নাস্তিকদের পেছনের ইতিহাস দেখতে বলা হচ্ছে ইতিহাস খুললেই তারা দেখতে পাবে- কিভাবে অতীতে দূর্বল ও নির্জাতিত জনগোষ্ঠির দলই এক সময় জয়ী হয়েছে যেমন- ইহুদী সম্প্রদায় অনেক নিপিরনের পরে বর্তমানে তারা এমনই অবস্থানে আছে যে পুরো বিশ্বকে ধ্বংস করে শুধুমাত্র নাস্তিক ইহুদিরাই অন্য আরেকটি তারকা রাজ্যে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে কিন্তু মানুষের জন্য বসবাস করার মত জায়গা এই পৃথিবী ছারা আর কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ইতিহাসই বলে যে বেশী নির্যাতিতরাই এক সময় জয়ী হয় আর বর্তমানে ধর্মিক ব্যাক্তিবর্গ ছারা আর কারা বেশী নির্যাতিত? আর ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি বার বারই ঘটে থাকে। সুতারং আস্তিক নাস্তিক নির্বিশেষে সকলকেই একত্রে যতদুর সম্ভব শান্তিতে বসবাসের উদ্দেশ্যেই সারাবিশ্বের মানবজাতিকে আহব্বান করা হচ্ছে যার বাস্তবতা আমাদের সাথে আলোচনা করলেই ধীরে ধীরে বুঝা যাবে। এছারাও আস্তিকদের মধ্য থেকে কতজন এই শান্তিকামীদের দলে এসেছে আর নাস্তিকদের মধ্য থেকে কতজন এসেছে সেই সংখ্যার আধিক্যের পরিমান অনুযায়ি এটা নির্নয় করা যাবে যে আসলে কারা বেশী শান্তিকামী ? আস্তিকরা নাকি নাস্তিকরা?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৮ ভোর ৪:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেনে ঐক্য এসে গেছে; পাকিস্তানে ঐক্য গঠন চলছে; সৌদী ও ইরানের ঐক্য হবে শীঘ্রই

২| ০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

নতুন বলেছেন: প্রথমত প‌্যারা করে লিখুন তবে পড়তে সুবিধা হবে।

আর আপনি ঐক্যের কথা বলছেন.... !!

ধম` প্রথমই যেটা করে সেটা হইলো বিভাজন....

খৃস্টান, মুসলমান,হিন্দু,

ক্যাথিলিক,প্রটেস্টান <<<

শিয়া,ছুন্নি <<<

যদি দুনিয়াতে সবাই সমান মানুষ... এই ভাবে চিন্তা করতো তবে এতো সমস্যা হইতো না।

০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: মানুষ হলে বিভাজন থাকবেই , যেমন একেক জনের একেক নাম থাকে, এখন আপনার নাম যদি ডেভিড হয় কিন্তু অন্য কেউ মফিজ ডাকে তবে আপনি কিন্তু ঠিকই কষ্ট পাবেন আপনার আসল নামে না ডাকায়। যে যেই ধর্ম বা মতবাদই মানুক তাকে সেই মতবাদেরই ভাবতে হবে নয়ত তাকেও অপমান করা হবে, তবে সকলকেই সম্মান এবং মৌলিক অধিকার ঠিকই দিতে হবে কারন সবাই একই স্রষ্ট্রার সৃষ্টি। চুরান্ত বিচার করবেন তিনিই আপনি আমি নই।

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

শহীদ আম্মার বলেছেন: আপনি যেটা আশা করছেন সেটা ভাল। তবে আপনার বাতানো পদ্ধতিতে এসবের সমাধান হবেনা।

২০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪০

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: এ ছাড়া শান্তিকামী অন্য কোন পদ্ধতি নাই।

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমি সহমত নই। তবুও আপনার মতামত কে আমি সম্মান করি।

২০ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ০১ লা মে, ২০২০ দুপুর ১২:২২

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ২য় পর্বের লিংক Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.