নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনায় করনীয় কি ?

২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩০


সহী হাদিসে আছে ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নাই। বিজ্ঞান বলছে করোনা ভাইরাসে হাত ছুলেই রোগ হয় তবে কি হাদিস ভুল ? আসলে ইসলাম সম্পর্কে অল্প জানা কিন্তু বেশি বুঝা বা হাদিসের মর্মার্থ না বুঝা এগুলোই এখন বেশি হচ্ছে। সহী বুখারীতে এসেছে যে- ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই। সেটাও একটি সঠিক তথ্য এবং বিজ্ঞান সমর্থিত আবার অপর সহী হাদিসে আছে- প্লেগ বা মহামারি জাতীয় রোগ যদি কোন এলাকায় ছরিয়ে পরে তবে সেই এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় যাবে না আর অন্য এলাকার লোকও মহামারি এলাকায় যাবে না। মুসলিম আক্রান্ত ব্যাক্তি যদি আল্লাহর উপর ভরসা করে মারা যায় তবে শহীদের মর্যাদা। এই হাদিসের মর্মার্থ প্রধানত দুটি - প্রথমত হল নিজের আত্মিয়-স্বজনদের অসুস্থ অবস্থায় রেখে স্বার্থপরের মত না পালিয়ে তাদের সেবা করা কেননা দেরীতে হলেও মরতে তাকেও হবেই। দ্বিতীয়ত একই এলাকায় বা পাশাপাশি থাকার ফলে তার শরীরেও উক্ত রোগের জীবানু ঢুকতে পারে, প্রাথমিকাবস্থায় সে না বুঝে অন্য এলাকায় গেলে কিন্তু তার কারনে সেসব এলাকাতেও উক্ত রোগের সংক্রামন হয়ে মহামারি আকার ধারন করতে পারে। মোটকথা এই হাদিস থেকে প্রমাণ হয় দুনিয়াতে সংক্রামক রোগের অস্থিত্ব আছে তা নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ছালামই বলে গেছেন তবে সহী বুখারীতে তিনি ছোঁয়াচে রোগ নেই বলে কি বুঝাতে চেয়েছেন ?
আসলে বুখারীর উক্ত হাদিসের তথ্যই বেশি গুরুত্বপূর্ন যা বর্তমান বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে বেশি উন্নতি করায় আরও ভালভাবে প্রমান করা যায় যে কাউকে স্পর্শ করার মাধ্যমে কোনদিনই রোগ হয় না। সত্যিকার্থে ছোঁয়াচে আর সংক্রামক এই দুটি জিনিসের সাথে অনেকে তালগোল পাঁকিয়ে ফেলে তাই এই দুটি শব্দ আগে ভালভাবে জানতে হবে। ছোঁয়াচে রোগ এর অর্থ হল কাউকে স্বাভাবিকভাবে স্পর্শ করার মাধ্যমে যে রোগ ছরায় কিন্তু না ছুলেই এই রোগ হতে বাঁচা যায় আবার সংক্রামক রোগ হল- আক্রান্ত ব্যাক্তিকে স্পর্শ না করেও এই রোগ হতে বাঁচা যায় না সুতারাং কাউকে স্পর্শ করলেই কি আর না করলেই কি এমনকি বাতাস বা অন্য কোনকিছুর মাধ্যমেও এই রোগ আশপাশে সংক্রামিত হয় অর্থাৎ কাউকে ছোঁয়া বা না ছোঁয়ার সাথে এর কোনই সম্পর্ক নাই তবে সংক্রামিত এলাকা হতে অনেক দূরে অবস্থান করলে এই রোগ সেখানে যায় না।
সংক্রামক রোগের জীবানুর নেচার আল্লাহ সুবঃ এমনই সৃষ্টি করেছেন যে তার কাজই হল আক্রমন করা , কেউ কাউকে না ছুলেও সে আক্রমন করে ঠিকই অসুস্থ করে ফেলবে , অনেকে ভাবতে পারে তাহলে মেডিক্যাল সাইন্স যে বলছে একে অপরকে ছোঁয়ার মাধ্যমেও রোগ হয়? আসলে তারা বেশিরভাগ সেসব রোগের কথাই বলছে যেসব রোগ আসলে সংক্রামক রোগ আর এগুলো স্পর্শ ছারাই ছরায় সুতারাং হাদিসের শুধুমাত্র শাব্দিক অর্থ ধরেই বুঝা গেল সংক্রামক রোগ ছোঁয়াচে নয় কেননা এটি না ছুয়েও ছরায়। যদিও হাদিসের শাব্দিক অর্থ ধরে এমন মনে হতে পারে যে তাহলে তো সত্যিই শুধু ছোঁয়ার দ্বারাই কোন জীবানু একজনের শরীর হতে অন্যজনের শরীরে একদম যায়ই না?
কিন্তু হাদিসের মর্মার্থ কিন্তু একথাও বলছে না কারন হাদিসের প্রেক্ষাপট বলছে যে তখনকার জাহেলী যুগে সংক্রামক রোগ হলে রোগীকে সেবা না করে একঘরে করে রাখত অথবা অন্য জায়গায় ফেলে রাখত কেউই ভয়ে কাছে ঘেঁসত না অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা বা দেখতে যাওয়া তো দূরে থাক খাবার পর্যন্ত দিত না, ইসলামের শত্রু আবু লাহাবের এমন পরিনতি হয়েছিল। সেজন্য “ছোঁইয়াচে রোগ নেই” এই হাদিসেরও প্রধান দুটি মর্মার্থ পাওয়া যায় ১টি হল- রোগীর সেবা-যত্ন করলে বা তাকে ছুলেই রোগ হবে ভেবে অমানবিক আচরন না করা।
আরেকটি প্রধান মর্মার্থ হল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন- আর তা হল আক্রান্ত ব্যাক্তিকে ছোঁয়ার দ্বারা যদি জীবানু কারও কাছে গিয়েই থাকে তবে সেই জীবানুর দ্বারা তারও যে রোগ হবে এমন কিন্তু না । যেখানে করোনার মত ভাইরাসের জীবানু দ্বারা মৃত্যুর চেয়ে সুস্থ হবার সংখ্যাই বেশি তাছারা অনেকের ছোঁয়ার দ্বারা জীবানু হাতে এলেও সে চোখে মুখে হাত না দিয়ে হাত ধুয়ে ফেললে তো এই জীবানু ভিতরেই ঢুকল না তবে রোগ হল কিভাবে? তাছারা এমনও হয়েছে অনেকের যে ১মে গলায় গিয়ে আটকে থাকায় হালকা কাশি অনুভব করে তাই সে লেবু বা গরম পানি খেয়েছে নিজের অজান্তেই ফলে গলার মাঝেই সেই ভাইরাস মরে গেছে তাই তার শরীরে ভেতর ডুকেও রোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। তাহলে ফলাফল কি দ্বাড়াল? তাদের ছোঁয়ার মাধ্যমে রোগ হল না।
তাছারা পরীক্ষাগারে যন্ত্রের দ্বারা দেখলে দেখা যাবে দুইজন ব্যাক্তির মাঝে একজনের হাতে যদি কিছু জীবানু থাকে আর অপর ব্যাক্তির হাত স্পর্শ করে তবে সেই জীবানু কিছুটা হলেও ২য় ব্যাক্তির হাতে যেতে পারে এখানেও কিন্তু সম্ভাবনা অর্থাৎ যাবেই যে তা একশতভাগ নিশ্চিত না, এরপর যদি যায়ও তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় উক্ত জীবানু তার বাহু হতে শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার আগেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এই সম্ভাবনাকেও যদি অতিক্রম করে শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশও করে দেহের প্রাথমিক সুরক্ষা দেয়াল ভেদ করে তবু জীবানুদের টেকা খুবই কঠিন। কারন বর্তমান বিজ্ঞানীরা দেখেছে সব মানুষের শরীর এমনভাবে অভ্যন্তরিনভাবে প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা দ্বারা সুরক্ষিত যে তা যেকোন শক্তিশালী রাষ্টের সেনা-ব্যাবস্থার চাইতেও নিখুত।
শুধু তাই না এই রোগ প্রতিরোধ ব্যাবস্থা আবার আপেক্ষিকও যেমন সব সময় এই ব্যাবস্থা একই রকম থাকে না অর্থাৎ অনেক দূর্বল ব্যাক্তিও যেকোন সময় অনেক বেশী রোগ প্রতিরোধকারী হয়ে উঠতে পারে আবার শুধুমাত্র মানষিক বিশ্বাসের উপর নির্ভর করেই এই রোগ প্রতিরোধ ব্যাবস্থার অর্ধেক নিয়ন্ত্রনই হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে অর্থাৎ কেউ যদি মানষিকভাবে ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস হারিয়ে মনবল হারিয়ে ফেলে তবে অনেক ছোট রোগেও অনেক ক্ষতি হতে পারে আবার কেউ যদি একজন জটিল সংক্রামক রোগীকেও ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রেখে সেবা- করে আর ভাবে এতে আমার কিছু হবে না তবে দেখা যায় সত্যি তার কিছু হয়নি। আবার সাধারন জীবানুর ভয়ে আস্থা হারিয়ে সু-সাস্থবান যুবকও অসুস্থ হতে পারে। তাই উপরের আলোচনা হতে খুব সহযেই বুঝা যায় যে একজনের হাত হতে জীবানু অন্যজনের দেহে যাবে অতঃপর ভিতরে ঢুকে সরাসরি রোগের সৃষ্টি করবে এটার সম্ভাবনা একদমই নাই।
তবে এরপরেও যেসবে রোগ সৃষ্টি হয় সেগুলো খুবই শক্তিশালী আর এসব জীবানু বেশী শক্তিশালী বলেই কাউকে শুধুমাত্র স্পর্শ করার দ্বারাই এরা আসে না বরং ছোঁয়া ব্যাতীতই এরা আক্রমন করে তাই এদের বলা হয় সংক্রামক রোগ আর এক্ষেত্রে নবী সাঃ বলেছেন অন্য এলাকাতেও না যেতে কারন এসব শক্তিশালী সংক্রামক রোগ ছোঁয়া তো দূরের কথা আশেপাশে অবস্থান করলেও হতে পারে কিন্তু হবেই যে এমন বিশ্বাসও করা যাবে না অর্থাৎ সম্ভাবনা বেশী বিধায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হাদিসে এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।
তাই হাদিসের মর্মার্থ অনেকটাই এরকম যে-“ ঔষধ খেয়েই যে রোগী সুস্থ হবে এমন না বরং আল্লাহ সুবঃ যখন উক্ত ঐষধকে কার্যকরি করবেন তখনি সুস্থতা আসবে অর্থাৎ আরোগ্যদাতা হিসেবে বিশ্বাস তাঁকেই করতে হবে ঐষধকে নয় কেননা অনেকেই পাওয়ারফুল ঐষধেও ভাল হয় না।
ঠিক একইভাবে ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই মানে জীবানুর অস্তিত্ব নেই তা নয় বরং ঐসব জীবানুর কোন ক্ষমতা নেই রোগ সৃষ্টি করার বরং রোগসৃষ্টিকারীও একমাত্র তিনিই । তাই এই বিশ্বাস মনে রেখে সাবধনতা অবলম্বন করা গেলেও নিজের আত্মীয় রোগীর ক্ষেত্রে জীবানুকে বেশী ভয় পেয়ে সেবা বাদ দেয়া যাবে না আর অন্যত্র তো যাওয়াই যাবে না।
আর এমন শক্তিশালী সংক্রামক জীবানুর দ্বারা মহামারী এলাকাতেও যদি কেউ ভাবে যে সরাসরি রোগীকে ছুলেই সে আক্রান্ত হবে নিশ্চিত তবে সে ভাইরাসের ক্ষমতাকে প্রাধান্য দিল বলে শিরক করল। আল্লাহর ক্ষমতাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে যদি সে আক্রান্ত হয়ে মারাও যায় তবে সে শিরকহীন অবস্থায় মৃত্যু হলে তাকে পুরস্কার-স্বরুপ শহীদদের মর্যাদা দেয়া হবে।
তবে এমন নয় যে কেউ ভাইরাসের কোন ক্ষমতা নেই এই কথা ভেবে সংক্রামক রোগীর সেবা করবে আর আল্লাহর ক্ষমতায় বিশ্বাসি থাকায় তাকে কিছুতেই ভাইরাস সংক্রামন করবে না, তবে অনেক ক্ষেত্রে আল্লাহ সুস্থ করলেও তিনি বাধ্য নন এমন করতে আর করেনও না কেননা এসবের উচিলাতেই তো তিনি বেশীরভাগ মানুষের মৃত্যু দেন । মুমিনদের বড় পাওয়া এটাই যে- ভাইরাসের কোন ক্ষমতা নেই এই বিশ্বাস করেও আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার জন্য বড় পুরস্কার আছে।
যাইহোক বেশিরভাগ মুমিনরা এগুলো পূর্ব হতেই জানে এবং মানেও কিন্তু নাস্তেকরা জানে না আর সর্বশেষ কথা এটাই যে – রোগীকে ছুলেই রোগ হবে বা কারও ছোঁয়াচে রোগ আছে এটা হল আগের যুগের কুসংস্কার যা কিনা বর্তমান বিজ্ঞানীরাও নবসংস্করন করে মানুষকে বিশ্বাস করাচ্ছে। তাই মুসলিমদের উচিৎ এই নব্য কিন্তু অত্যান্ত সূক্ষ কুসংস্কার হতেও নিজে বাঁচা এবং অন্যদেরও বাঁচান।

বিঃদ্রঃ ২০২০ সালে ছরিয়ে পরা করোনা ভাইরাসও একধরনের মহামারী সংক্রামক রোগ যা সারাবিশ্বে ছরিয়ে পরছে দ্রুত, শুরু থেকেই নবী সঃ দেয়া মহামারীতে করনীয় নীতি মেনে চললে এমন হত না যাইহোক এখন যা করতে হবে তা হল- যখন বুঝা যাবে কোন এলাকায় এটি বেশী ছরিয়ে পরেছে তখন উক্ত এলাকায় যাওয়া যাবে না,
যে নিজে আক্রান্ত সে বাইরে যাবে না, আক্রান্ত না হয়েও যদি ঐরকম উপসর্গ দেখা দেয় বা সন্দেহ হয় তবুও সম্পুর্ন ভাল না হওয়া পর্যন্ত সে বাইরে যাবে না,
সুস্থ ব্যাক্তি বাহির হলে ঈশ্বরের উপর ভরসা করে স্বাভাবিক আচরন করতে হবে ভাইরাসের ভয় করা যাবে না,
যেসব এলাকায় মহামারী দেখা দেয় নাই সেখানে চলাচল-ব্যাবসা বানিজ্য স্বাভাবিক রাখতে হবে মসজিদ সর্বদাই খোলা রাখতে হবে, মহামারী এলাকায় কিছুতেই মসজিদ বন্ধ করা বা এইভয়ে জামাত বন্ধ করা যাবে না তবে যে নিজেকে রোগী সন্দেহও করবে সে ঘরেই থাকবে,
মুসলিমদের দ্বীনের বিধান অনুযায়ি চলতে হবে, চোখ বন্ধ করে WHO এর উপদেশ মানা যাবে না পাশাপাশি এসব মহামারীর আসল উদ্দেশ্য কি? মানব সৃষ্ট হলে তা কেন করা হল তা ভালভাবে জেনে চক্রান্ত হলে করনীয় কি তার জন্য প্রস্তুত হতে হবে আর সর্বদাই মৌলিক খাদ্য মজুদ লাভজনক মনে করতে হবে কম করে হলেও। আর মুসলিমদের মনে রাখতে হবে এসব মহামারীতে সাবধানতা অবলম্বনেরও ইসলামে একটা সীমা উল্লেখ করা আছে আর এই সীমা অতিক্রম হলেই কিন্তু শিরক হয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: একজনের ভালো কর্মের জন্য যেমন কোটি মানুষ সুবিধা ভোগ করতে পারে, একজনের খারাপ কর্মের জন্য তেমন কোটি মানুষ অসুবিধা ভোগ করতে পারে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। যে সকল ডাক্তার নিজের ও পরিবারের মায়া ত্যাগ করে নিরন্তর এই সংগ্রামে অগ্র নায়কের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তাদের জানাই সশ্রদ্ধ সালাম। তোমরা দিনরাত ছায়া দিয়ে আছ বলে আমরা শঙ্কাহীন নিদ্রা যেতে পারছি।

২| ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই মহামারী ছড়িয়ে পড়ার কারণে মক্কা মদিনাসহ সারা আরবজাহানে ১৪৪ ধারা চলছে।

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:০৯

নতুন বলেছেন: বিঃদ্রঃ ২০২০ সালে ছরিয়ে পরা করোনা ভাইরাসও একধরনের মহামারী সংক্রামক রোগ যা সারাবিশ্বে ছরিয়ে পরছে দ্রুত, শুরু থেকেই নবী সঃ দেয়া মহামারীতে করনীয় নীতি মেনে চললে এমন হত না

সংক্রামন হতে পারে এমন রোগীদের আলাদা করে রাখার বিষয়টা খৃস্টপূব` ৭০০ বছর বা তার আগের বই book of Leviticus, এ ও এসেছে, । এই রকমের অভ্যাস আরবদের আগেও মানুষের মাঝে ছিলৌ।

২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৪

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: পূর্ব হতেই ঐ একই ঈশ্বরই এসব বিধান দিয়ে আসছেন যা মানুষরা মেনে চলত।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:২৬

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: হাদিস সমূহ মহা নবী (সাঃ) র প্রয়ানের ২০০ বছর পর লিপিবদ্ধ করা শুরু হয়েছিল। এর পূর্বে হাদিস সমূহ মুখে মুখে সঞ্চালিত হয়ে আসছিল বলে জানা যায়।
ঐ লিপিবদ্ধ করনের সময়ে জানা যায় সয়ং বোখারী যার পুরা নাম মুহাম্মাদ আল বুখারী।
আল বুখার ১৬ বছর বয়স থেকে আব্বাসীয় খিলাফত জুড়ে ব্যপক ভ্রমণ করেছিলেন এবং এই ব্যপক ভ্রমনের সময়ে মহা নবী (সাঃ) র জীবনে তিনি যে সকল কথা বা বক্তব্য বা উপদেশ দিয়ে গিয়েছিলেন তা সংগ্রঃ শুরু করেন। যেহেতু আল বুখারী এগুলো সংগ্রহ করত লিপিবদ্ধ আকারে প্রকাশের কথা শোনা যাচ্ছিল তখন বহু ধর্ম প্রান মুসলিম গন প্রায় সহস্র ৬,০০,০০০ বর্ণনা (রসুল (সাঃ) এর আল বুখারীর নিকট জমা করেন বলে জানা যায়। এই ৬,০০,০০০ সংগ্রহ থেকে তাঁর "সহিহ"টিতে যে হাদীসগুলি অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন তা পালনের জন্য ১৬ বছর উত্সর্গ করেছিলেন।
এই টি সহিহ বুখারী এবং এর সংকলনে প্রায় ৬,০০,০০০ submission তথা উপস্থাপন বা জমা বা সংগ্রহের ৭, ৩৯৭ টি হাদিস "সহি" আছে বলে তার গবেষনায় জানা যায়।

আল বুখারী ৮৪৬খৃঃ /২২২ হিজরির দিকে তাঁর কাজ শেষ করেন এবং তাঁর জীবনের শেষ চব্বিশ বছর অন্যান্য নগর ও বিদ্বানদের ভ্রমণে কাটিয়েছিলেন এবং তাঁর সংগৃহীত হাদীসটি শিক্ষা দিয়েছিলেন। বুখারী যে প্রতিটি শহরে গিয়েছিলেন, সেখানে হাজার হাজার লোক তার বক্তব্য শোনার জন্য মূল মসজিদে সমবেত হতেন বলে জানা যায়।

এই হাদিসগুলি সচরাচর কোন পরিবর্তন তিনি আনেন নি বলে জানা যায়।

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:২৯

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: সংখ্যা সূত্রঃ - https://en.wikipedia.org/wiki/Sahih_al-Bukhari

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৩২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আজকের দিনে সকালের ঘটনা বিকালে ,নানান জনের কাছে নানান রকম শুনাযায়।তখনকার দিনে দুইশত বছরের আগের ঘটনা কতবার যে রংবদল হয়েছে তা একমাত্র আল্লাহই জানেন।

২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫০

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আজকের দিনে সকালের ঘটনা বিকালে ,নানান জনের কাছে নানান রকম শুনা যায়। এগুলো হল সাধারন কথা যা গুজব হয়েও ছরায়। কিন্তু হাদিস হল আধ্যাত্মিক জিনিস এগুলো পরিবর্তন করতে সবারই বুক কাপবে। তারপরও হাদিস সংকলনে এমনই নীতি অবলম্বন করা হয়েছে যে নীতি অনুসরন করলে অতীতের কোন ইতিহসাই টিকার কথা না।

৭| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৯

নায়লা যোহরা বলেছেন: আমাদের কে সর্বাধিক সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।।

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৩

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ছোঁয়াচে রোগের ১ম হাদিসটির বানী মুসলিমদের অন্তরের বিশ্বাসমূলক আর ২য় হাদিস(মহামারীর স্থানে না যাওয়া) হল- কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগমূলক কিন্তু মুসলিমরা দেখা যায় বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ২য় হাদিস মানে আর বাস্তব কর্মক্ষেত্রে অসচেতনভাবে ১ম হাদিস অনুসরন করার চেষ্টা করে অনেকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.