নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীদের প্রশ্নোত্তর

০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১


পর্ব-৭


সংশয়বাদীঃ- আপনারা ধর্ম আর বিজ্ঞান এ দুটি বিষয়কে একসাথে মিলান কেন ? তাছারা ধর্ম বা স্রষ্টা তো বিজ্ঞানের কোন বিষয় এর মধ্যে পরে না।
মুসলিমঃ- দুটি বিষয়ের সাথে মিলায় তারাই যাদের দুটি বিষয় সমপর্কেই ভাল জ্ঞান রয়েছে। বিজ্ঞান থাকবে বিজ্ঞানের জায়গায় ধর্ম থাকবে ধর্মের জায়গায়, এই ধরনের ধারনা পোষন করে তারাই যাদের দুটো বিষয় সম্পর্কেই কম জানা থাকে । আর তারা কিছু জানলেও তা হয় মুখস্ত বিদ্যা ও চিন্তা বিবেচনাহীন বিদ্যা। এক্ষেত্রে ফ্রান্সেস ব্রেকনের সুরে বলা যায়-" তুমি যদি বিজ্ঞান সম্পর্কে কম জান তবে তুমি হবে একজন নাস্তিক আর বেশি জানলে বিজ্ঞান তোমাকে স্রষ্টায় বিশ্বাসি করে তুলবে"। আর ইসলাম ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্য বা “ল” এর কোন বিরোধ নাই । কিন্তু অনেক থিউরি আছে যেগুলো শতভাগ প্রমান হয়নি সেগুলোর সাথেই কুরানের অমিল পাওয়া যায় , কারন সেগুলোর বেশিরভাগই মাথামোটা কিছু বিজ্ঞানীদের ধারনামাত্র । আর সবশেষে বলি- ধর্ম বা স্রষ্টা বিজ্ঞানের কোন বিষয় না হলেও ইসলাম ধর্মে কিন্তু বিজ্ঞানসহ সবকিছুই আলোচিত বিষয়।
নাস্তিকঃ- আমরা ঈশ্বরেও বিশ্বাস করি না আত্মাকেও বিশ্বাস করি না। কারন ঈশ্বরের মত আত্মা বা প্রানে বিশ্বাসও হল একটি অবৈজ্ঞানিক বিশ্বাস। আর মন বলেও কিছু নেই সবই মস্তিস্কের মাঝে নিউরনের খেলা।
আস্তিকঃ- আত্মা বা প্রানে বিশ্বাস হল সঠিক বিশ্বাস এমনকি বৈজ্ঞানিক বিশ্বাসও বলা যায় কিন্তু আত্মায় অবিশ্বাস শুধু হাস্যকরই নয় বরং বিজ্ঞানবিরোধীও কেননা নাস্তিক তথা স্রষ্টায় অবিশ্বাসী হতে হলে এটা বিশ্বাস করতেই হবে যে, জড় বস্তু থেকে এমনি এমনি জীব সৃষ্টি হয়েছে (Spontaneous generation)। কিন্তু বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর ইতোমধ্যে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, জড় বস্তু থেকে এমনি এমনি জীব সৃষ্টি হতে পারে না। সুতারং প্রানের অস্তিত্ব আছে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সত্য। কাজেই নাস্তিকদের এই বিশ্বাস আসলে বিজ্ঞান-বিরোধী তথা অন্ধ বিশ্বাস।
মন হল তাই যা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত তৈরী করে প্রিয় বা অপ্রিয় যাই হোক, আর আত্মা যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করে । আত্মা কল্পনাকে পরিচালনা করে আর মন কল্পনা করে । মন থাকে মস্তিস্কের নিউরনে আর আত্মা থাকে হার্টের মাঝে অর্থাৎ সহজ কথায় মাথাকে মন বলতে পারেন । আরবীতে আত্মাকে বলে রুহ আর মনকে বলে নফস । মোটকথা আত্মা হল আপনি আর মন হল আপনার ।
আত্মার জ্ঞান নেই আছে শুধু অনুভুতি । আর এই অনুভুতিও দুই প্রকার - এক ভাল লাগা , দুই খারাপ লাগা । এই ভাল বা খারাপ লাগালাগির উপর ভিত্তি করেই মন বা ব্রেনের মাধ্যমে আত্মা যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারে । কারন আত্মা হার্টের মাঝে থাকে আর হার্ট এর সাথে রক্তের মাধ্যমে মাথাসহ সমস্ত অংগের কানেকশন। মানুষের আত্মা ৫টি ইন্দ্রিয় এর দ্বারা বাহ্যিক সমস্তকিছু সম্পর্কে অবগত হয়। তাই কোন কর্ম বা সিদ্ধান্ত আত্মার কাছে মূলত ৫টি ইন্দ্রিয় এর দ্বারা আসে যা রক্ত বা কোন ধরনের হরমোনের মাধ্যমে উক্ত অনুভুতি হার্টের মাঝে আত্মায় ট্রান্সফার হয় এবং খুবই দ্রূত সেই অনুভুতিকেই ভাল লাগা বা খারাপ লাগা হিসেবে মস্তিস্কে প্রেরীত হয়। তারপর তৎক্ষণাৎ বা বিচার বিশ্লেষন করে যেকোন একটি সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়ে যায় আর সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়িই ঐ ব্যাক্তি কোন কথা বলে, কর্ম করে ইত্যাদি । মেডিক্যাল সাইন্স শুধু মাত্র এসব বাহ্যিক ব্যাপারের কিছু কিছু আবিস্কার করতে পারলেও এখনও অনেক কিছুর ব্যপারেই অন্ধকারে রয়েছে । আর আত্মা এমনি একধরনের ব্যপার যা স্বয়ং দেবতা ফেরেশতারাই দেখে নাই এবং দেখতে পারবেও না । অ্থাৎ আত্মা এমন জিনিস যার অস্তিত্ব আছে এবং ওজনও আছে কিন্তু দেখা সম্ভব নয়। কিছুদিন পূর্বে এক ডাক্তার বিজ্ঞানী মৃত্যুর পূর্বের এবং পরের মানুষের ওজন করে ভরের পার্থক্য খুজে পান আবার আরেক বিজ্ঞানী ইদুরকে নিয়েও এমনি পরীক্ষা করে এবং আশ্চর্য্যজনক ভাবে সেও লক্ষ্য করে যে মৃত্যুর পর পরই ইদুরগুলোর ওজন কমে যাচ্ছে । আর হাদিসে আছে - আজরাইলকে বলা হয়েছিল যে, সে কি আত্মাকে দেখতে পারে কিনা? সে বলে যে আমি তা কোনদিনই দেখি নাই তবে আত্মা নিয়ে আসার সময় আমার হাতের উপর হালকা ওজন অনুভব করি । অর্থাৎ আত্মাকে দেখা না গেলেও এর ওজন আছে হাদিস হতে প্রমাণিত। তাই ফেরেশতারাও যাকে দেখতে পারে নাই তাকে বিজ্ঞানীরাও কোনদিন দেখতে পারবে না কিন্তু বিশ্বাস করতেই হবে কেননা দেখা না গেলেও বিজ্ঞানী লুই পাস্তুরসহ বর্তমানের অনেক বিজ্ঞানীই আত্মাকে প্রমান করেছে।
নাস্তিকঃ- হাদিসে আছে নবীর ছেলেবেলায় নাকি এক ফেরেশতা এসে বুক চিরে শয়তানি খারাপ সবকিছু বাহির করে ভাল কিছু তার ভিতরে প্রবেশ করিয়ে বুক সেলাই করে দিয়ে যায়। এই বিজ্ঞানের যুগে কি সব অবৈজ্ঞানিক কথা ।
আস্তিকঃ- রসুল সাঃ এর যখন বয়ঃসন্ধি কাল শুরু হচ্ছিল তখন ফেরেশতা এসে তাকে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এমন কিছু হরমন শরীর হতে বের করে দেন যেগুলো একজন মানুষ প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া শুরু করলে এই খারাপ হরমনগুলোর তৈরী হয় এবং ক্রিয়া শুরু হয় । আরবীতে যেকোন ধরনের খারাপকে শয়তানি জিনিস আখ্যা দেয়া হয় । বর্তমান মেডিক্যাল সাইন্সে কেবল মাত্র দৈহিক ক্ষেত্রে কিছু হরমন চেঞ্জ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে , ভবিষ্যৎ এ বিজ্ঞান আরও উন্নত হলে মানুষের হরমন চেঞ্জের মাধ্যমে তার নৈতিক চরিত্রকে আরো ভাল করা সম্ভব হতে পারে যেমন - জেনেটিক্যালী যেসব হরমন মিথ্যা বলা, ছলনা করা বা যৌন হয়রানী, সমকামী ও চুরি করতে মজা তৈরী করার জন্য দায়ী বা এসবে যেসব হরমনের ভুমিকা আছে সেগুলো হ্রাস করার মাধ্যমে মানুষকে তুলনামুলক ভাল ব্যাক্তিত্বের অধিকারি বানানো শুরু হতে পারে । এবার আসা যাক মুল কথায় ডাক্তাররা যদি এটা করে তবে নাস্তিকরা খুশিতে লাফালাফি করবে আর ফেরেশতা এমন করেছিল নবী সাঃ কে বুক চেরার মাধ্যমে (যাতে তিনি ভাল ব্যাক্তিত্বের অধিকারী হতে পারেন যাকে ফলো করবে গোটা মানব জাতি) তবে এসব শুনে নাস্তিকরা বলছে - এই বিজ্ঞানের যুগে কি সব অবৈজ্ঞানিক কথা wow!
নাস্তিকঃ- বিজ্ঞান ভাইরাস আবিস্কারের পূর্বে ধার্মিক লোকেরা জানতই না যে কি কি কারনে মানুষের রোগ হয়।
আস্তিকঃ- বিজ্ঞানীরা কিছুদিন হল ভাইরাস এর নাম যে ভাইরাস দিয়েছে এটা কি ভাইরাসরা জানে ? এর নাম ভাইরাস দেয়ার পুর্বে কি এর অস্তিত্ব ছিল না ? তবে হ্যা! কুরানে আল্লাহ সুবঃ বলেছেন- তারাই মুমিন যারা অদেখা বিষয়ে বিশ্বাষ করে। কিন্তু নাস্তেকরা অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিস্কার করে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস পরীক্ষাগারে দেখার আগে বিশ্বাসই করত না , কিন্তু আমরা আগে থেকেই বিশ্বাস করি। কেননা হাদিসে নবী সাঃ বলে গেছেন- রাত্রে তোমরা খাবারের পাত্র ভালভাবে ঢেকে রাখবে তাহলে তারা প্রবেশ করবে না।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১১

রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়াতে নাস্তিকেরা বেশি ভালো লাগে থাকে।

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: অল্প কয়েকদিনে দুনিয়ায় ভাল থেকে কি লাভ? পরকালের অনন্ত জীবনে আযাবে থাকবে

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: নামাজ কালাম পড়ুন, মসজিদে যান আল্লাহকে ডাকুন। বিজ্ঞান না উনিই সব সমস্যা দিয়েছেন সব সমস্যা সমাধান উনিই করবেন। খামোকা বিজ্ঞানের উপর নির্ভর করা ঠিক না।

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫০

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: সব সমস্যা সমাধান উনিই করবেন ভাল কথা কিন্তু আল্লাহ তো আর মানুষকে বসে থাকতে বলেন নি । ইসলাম অনুযায়ি যা করনীয় তাই করতে হবে।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৩

সোনালি কাবিন বলেছেন: নূর আলম হিরণ বলেছেন: নামাজ কালাম পড়ুন, মসজিদে যান আল্লাহকে ডাকুন। বিজ্ঞান না উনিই সব সমস্যা দিয়েছেন সব সমস্যা সমাধান উনিই করবেন। খামোকা বিজ্ঞানের উপর নির্ভর করা ঠিক না।

১১ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫০

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: সব সমস্যা সমাধান উনিই করবেন ভাল কথা কিন্তু আল্লাহ তো আর মানুষকে বসে থাকতে বলেন নি । ইসলাম অনুযায়ি যা করনীয় তাই করতে হবে।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৫০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Good

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.