নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীদের প্রশ্নোত্তর

১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২


পর্ব-১০

জৈনক নাস্তিকের প্রশ্নঃ- মুসলিমরা সবকিছুতে ইহুদী-নাসারা খুজে পায় কেনো?

উত্তরঃ- বর্তমানের টেকনোলজী হতে শুরু করে গনতন্ত্র নামক ধোঁকাবাজি জীবন ব্যাবস্থা দ্বারা সারা পৃথিবী কারা কনট্রোল করছে ? উত্তর পশ্চিমা খ্রীষ্টান-ইহুদিরাই। সামাজিক ধ্যান ধারনা, কালচার, পোশাক-পরিচ্ছদ হতে সকল কিছুই ওদের অনুকরন করা হচ্ছে। এই যে আপনিসহ আপনার পিতাও ক্লিন সেভ করেন এটা কি আপনার দাদার পুর্ব যুগে ছিল ? আজ বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ ক্লিন সেভসহ শার্ট প্যান্ট পরিধান করে এগুলো কাদের কালচার ? মুসলিমদের ধর্ম সত্য বিধায় এই সত্য ভবিষ্যৎবাণী করেছে। এখন যারা স্রষ্টার দাস না হয়ে পরিপুর্নভাবে ইহুদী-নাসারাদের গোলাম হতে চায় তাদের মনেই এমন প্রশ্ন আসবে।


নাস্তিকঃ-কোরানে রয়েছে অনেক ভুল তথ্য ! তারমধ্যে এখানে আমি কোরানের ১১ টি মহাকাশ বিজ্ঞান সংক্রান্ত ভুল ধরেছি।আমার ওপেন চ্যালেঞ্জ!! কেও যদি আমার যুক্তি-প্রমান খণ্ডন করতে পারেন, তাকে ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে !!! কোরানের ভ্রান্ত মত ১ – আগে পৃথিবী এবং পরে আকাশ সৃষ্টি হয়েছে। বি:দ্রঃ ড. জাকীর নায়েক ২:২৯ আয়াত টির “সুম্মা ” শব্দের অর্থ করেন “এ ছাড়াও” (moreover ). অর্থাৎ তিনি বলতে চান যে আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, এ ছাড়াও আকাশ সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু এই তাফসীর ভুল কারণ ৪:১১ এবং ৪১:১২ আয়াতে পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ আছে যে আগে পৃথিবী এবং তারপর আকাশ সৃষ্টি করা হয়েছে। সমস্ত সাহাবী,তাবেঈন এবং তবে-তাবেঈন গণ এ ব্যাপারে একমত।

আস্তিকঃ-ইনশাহ আল্লাহ সব মিথ্যারই জবাব দেয়া যাবে আপাদত ১ম টা দেই। ১ম মিথ্যাচারের জবাব--- এখানে মিছেমিছি যে ১১ টি ভুল ধরা হয়েছে কুরানের তার ১ নং সহ প্রথমদিকের বেশ কয়েকটিই হল বৈজ্ঞানিক ভুল তাই সুচনাতেই বিজ্ঞান নিয়ে কিছু কথা না বললে একদমই উলুবনে মুক্তা ছরানোর মত ব্যাপার হবে, এরপর সংক্ষেপেই নির্ভুলতার প্রমান দেয়া হবে। যেহেতু এখানে বৈজ্ঞানিক ভুল ধরা হয়েছে তাই ১মেই বিজ্ঞান কি এটা ভালভাবে জানা জরুরী । সাধারনত বিজ্ঞানের আওতায় পড়তে হলে উক্ত জ্ঞানটিকে সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণিত হতে হবে। আর একই শর্তের অধীনে যে গবেষকই পরীক্ষণটি করুন না কেন ফলাফল একই হতে হবে। অর্থাৎ ব্যক্তি চেতনা অনুযায়ী বিজ্ঞানভিত্তিক পরীক্ষণের ফলাফল কখনও পরিবর্তিত হতে পারে না।বর্তমান বিজ্ঞানের দুটি স্তর রয়েছে যেমন- ১) শুধুই পর্যবেক্ষন স্তর, ব্যাক্তি মতবাদ স্তর বা কাল্পনিক স্তর। ২) পরীক্ষণের মাধ্যমে বহুলভাবে প্রমাণিত স্তর যেমনঃ- নিউটনের গতিসূত্র, পরমানুর মৌলিক গঠন, ডিএনএ তত্ত্ব ইত্যাদি। যদিও বিজ্ঞান বইয়ে ১ম স্তরের অনেক কিছুই লিপিবদ্ধ থাকে - ওমুকের মতবাদ তমুকের মতবাদ তারপরেও এটা সর্বজন স্বিকৃত যে ২য় স্তর বা পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণিত স্তরই হল সত্যিকারের বিজ্ঞান বা বাস্তব পরীক্ষিত সত্য কিন্তু তারপরেও ১ম স্তর বিজ্ঞান বইয়ে উল্লেখ থাকার কারন হল এটিও গুরুত্বপূর্ন কেননা ১ম স্তরের অনেক কিছুই ২য় স্তরে উন্নীত হয়েছে অর্থাৎ মতবাদ প্রতিষ্ঠিত সত্যে পরিনিত হয়েছে। তাছারা ১ম স্তর অর্থাৎ মতবাদ বা থিউরীগুলো বিজ্ঞান বইয়ে রাখার আরেকটি কারন হল- এতে কিছুটা এভিডেন্সও থাকে, এরপূর্বে থিউরীগুলোও শুধুই হাইপোথিসিস অবস্থায় থাকে, তবে যত এভিডেন্সই থাকুক ভালভাবে প্রমান না হওয়া পর্যন্ত মতবাদগুলো ১ম স্তরেই থাকে। তাই বলে সব মতবাদই কিন্তু সত্য বা পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় না বরং এমন গাঁজাখুরি মতবাদও আছে যা সত্য থেকে অনেক দূরে অর্থাৎ একে সম্পুর্নই ভুল প্রমান করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল সম্পূর্নভাবে ভুল প্রমান করতেও অনেক সময় লেগে যেতে পারে আর সাধারনত দেখা যায় এইধরনের গাঁজাখুরি মতবাদ যদি ধর্মের বিরুদ্ধে যায় তবে উক্ত মতবাদ নিয়ে সবচেয়ে নাস্তেকদেরই বেশি লম্ফ ঝম্ফ করতে দেখা যায় এমনকি ভুল প্রমান হবার পরও নাস্তেকদের লাফালাফি তেমন কমেনা এমনটাই ইতিহাস সাক্ষী দেয়। শুধু তাই নয় এটি বড়ই পরিতাপের বিষয় যে বর্তমান একবিংশ শতাব্দীতে এসেও নাস্তেকরা ধর্মকে কিছু অপ্রমানিত বৈজ্ঞানিক মতবাদের সাথে দাঁত কেলিয়ে আজও চ্যালেঞ্জ করেই যাচ্ছে।
এবারে আসা যাক মূল কথায়, বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা আছে যেমন-জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জ্যোতির্বিজ্ঞান ইত্যাদি। জ্যোতির্বিজ্ঞান বা মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে অনেক গবেষনা করার পর বিজ্ঞানীরা একবাক্যে স্বীকার করেছে যে - আমরা এখনও মহাবিশ্বের অনেক কিছুই জানতে পারিনি আর মহাবিশ্বের দৃশ্যমান কিছুর পরিমানই হল মাত্র ৫% এর মত অর্থাৎ এগুলো হল মেটার।যেহেতু মহাবিশ্বের অনেক কিছুই জানতে পারিনি তাই মহাবিশ্ব নিয়ে চলছে অনেক বেশি পর্যবেক্ষন ও গবেষনা আর এসবের ভিত্তি করে অনেক বেশি মতবাদ দিয়ে চলেছে বিভিন্ন বিজ্ঞানীগন।এত বেশি আয়োজনের ফলে কিছু সত্য উপাত্ত বের হয়ে আসলেও বেশিরভাগ মতবাদই রয়েছে কল্পকাহিনীর মতন তার উপর নাস্তেক মহলের অতিরিক্ত লম্ফ ঝম্ফের দরুন ধর্মের সাথে বিরোধমূলক থিউরীগুলোই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
যদি আমরা মহাবিশ্ব এর ব্যাপারে পর্যাপ্ত সঠিক তথ্য উপাত্ত পেতে চাই তবে বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতির ভান্ডার আরো উন্নত এবং বৃদ্ধি করতে হবে নির্ভুল ও নিখুতভাবে পর্যবেক্ষনের সার্থে পাশাপাশি আমাদেরও মহাকাশের খুব কাছাকাছি থেকে পর্যবেক্ষন চালাতে হবে কিন্তু এক্ষেত্রেও বর্তমান বিজ্ঞান তেমন এগুতে পারেনি তবে যতটুকু অভিযানের কথা বলা হয় সেখানেও রয়েছে বিজ্ঞমহলের অনেক সন্দেহ ( সম্প্রতি ফাস হয়েছে যে মানুষ মংগলে দূরে থাক চাঁদেই যেতে পারেনি, আমেরিকার এরিয়া ৫১তে সুটিংই ছিল বিজ্ঞানীদের চন্দ্রাভিযান এই ভন্ডামী ফাস হলে বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের লোক যারা পশ্চিমাদের গোলামী করে তারা আমেরিকাকে পূর্বের মত প্রভু মানবে না তাই মিথ্যা অভিযানের কাহিনী বিশ্বাস করাতে তারা নতুন প্লান করে, এবারে তৃতীয় বিশ্বের দেশ ইন্ডিয়াকে অত্যান্ত অল্প খরচে মংগলাভিযান নামক আরেক মিথ্যার অবতারনা করে। সত্যিকারের ঘটনা হল ইন্ডিয়ার রকেট ইন্ডিয়ার মাটি হতে উড়েছিল ঠিকই কিন্তু তা হয়ত গিয়ে পরেছে সেই এরিয়া ৫১তেই আর সেই রকেটের সমস্ত কমিউনিকেশন সিস্টেম হ্যাক করে সফট ওয়্যারের মাধ্যমে ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীদের দেখানো হচ্ছে যে তোমাদের পিকুলিয়ার মহাকাশযান মংগলের চারিপথে ঘুরছে আর সেই গ্রহের ছবি তুলছে। এই ঘটনাকে আরো বিশ্বাসযোগ্য করতে তারা মুভিও বানিয়েছে, এটাও যদি ফাস হয়ে যায় তবে পূর্বের সবগুলোই বিশ্বাসযোগ্য বানাতে হয়ত দেখা যাবে বাংলাদেশের মত গরীবদেশ বঙ্গবন্ধু রকেট- ১ এর মাধ্যমে সূর্যের ভিতরে গিয়ে সফলভাবে ফিরে আসছে ) আর যদি এসব সম্পূর্নই গুজব হয় তবু বলতে হবে আমাদের আরো বেশী দূরের সফল অভিযান চালাতে হবে বেশি বেশি সঠিক তথ্য পেতে।
মোটকথা মহাকাশের ব্যাপারে আশানুরুপ পর্যাপ্ত সঠিক তথ্য পেতে আমাদের আরো সময় লাগবে। অতএব বলতেই হয় মহাকাশ নিয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান এখন শিশু হতে বালকে উন্নিত হয়েছে মাত্র ।তাছারা জ্যোতির্বিজ্ঞান বা মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাস হল এর উৎপত্তিই হয়েছে ধর্মীয় তথ্য হতে। মাত্র কয়েশত বছর হলে জ্যোতির্বিজ্ঞানে মানুষ কিছুটা উন্নতি করলেও এখনও বিজ্ঞান এক্ষেত্রে সবেমাত্র বালক পর্যায়ে অথচ ধর্ম জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে যুগ যুগ ধরে তথ্য দিয়ে আসছে। সুতারাং বর্তমান বালক পর্যায়ের বিজ্ঞান যদি বৃদ্ধ ধর্মের ভুল ধরতে যায় তবে এক্ষেত্রে আমার একটি প্রবাদ মনে পরছে- "দুদিনের বৈরাগী, ভাতকে বলে অন্ন "। তবে সত্য এটাই যে অন্তত জ্যোতির্বিজ্ঞান বা মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ধর্মকে চ্যালেঞ্জ করার পূর্বে বিজ্ঞানকে সেই যোগ্যতা অর্জন করতে হবে, আর তা করতে আরো সময় লাগবে।
তবে হ্যা ! মহাকাশ বিজ্ঞানের যেসব বিষয় একদম প্রতিষ্ঠিত সত্য সেসব বিষয় নিয়ে চ্যালেঞ্জ করাই যেতে পারে।এখন দেখা যাক উপরে কুরানের যে ভুলটি ধরা হয়েছে, তাতে বুঝানো হচ্ছে আগে পৃথিবী পরে আকাশ সৃষ্টি এটি বৈজ্ঞানিক ভুল, আর কিসের ভিত্তিতে এই ভুল ধরা হচ্ছে ? হ্যা ! নাস্তেকদের অতীতের বদাভ্যাস অনুযায়ি সেই অপ্রমানিত মতবাদ বা থিউরী অনুযায়ি ভুল বলা হচ্ছে আর এক্ষেত্রে নাস্তেক প্রতিবন্ধী স্টিফেন হকিং এর বিগ ব্যাং থিউরী এবং এরই কাছাকাছি অনান্ন সব পিকুলিয়ার থিউরীর উপর ভর করে স্রষ্টার ভুল ধরা হচ্ছে।
পারমানবিক বোমা আবিস্কারের যুগে স্টিফেন হকিং এর মহা বিস্ফোরণ তত্ত্ব মার্কেট পেলেও বাস্তবতার সাথে তার কতটা মিল? যদিও এই থিউরীতেও কিছু সত্য উঠে এসেছে বলে ইসলামি স্কলার ডাঃ জাকির নায়েকসহ অনেকেই এই মতের সাথে মিল দেখানোর চেষ্টা করেন কিন্তু প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক সত্য ছারা ইসলাম ধর্মের মিল দেখানো মেনে নেয়া হবে না। উপরের চ্যালেঞ্জে আরো বলা হয়েছে ড. জাকীর নায়েক ২:২৯ আয়াত টির “সুম্মা ” শব্দের অর্থ করেন “এ ছাড়াও” (moreover ). অর্থাৎ তিনি বলতে চান যে আল্লাহ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, এ ছাড়াও আকাশ সৃষ্টি করেছেন।
মূলত ড. জাকির নায়েক এর তথ্য মিছে নয় কারন- আরবী ছুম্মা শব্দের অর্থ যথাক্রমে- অতঃপর, এ ছাড়াও , একই সাথে ইত্যাদি বাক্যের ধারা অনুযায়ি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নটা বসে যা আরবরা অথবা আরবী ভাল গ্রামার জানা ব্যাক্তিরা বুঝে। এক্ষেত্রে দুটি অর্থই একই কথাই বলছে। উদাহরন স্বরুপ- আমি যদি কাউকে বলি, আমি একতলা বাড়ি বানিয়েছি(নিজে থাকার জন্য) , এছারাও দুতলাও বানিয়েছি(ভাড়া দেওয়ার জন্য)। আবার কাউকে একই কথাই যদি বলি- ১মে আমি একতলা বাড়ি বানিয়েছি(বেশি অর্থ ছিল না তাই), অতপর আমি দুতলা বানিয়েছি(অর্থ যোগার হলে)। এখানে বাক্যের ভাবভংগি অনুযায়ি বিভিন্ন সুম্মা এর অর্থ বিভিন্ন অর্থ হতে পারে যা একজন বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রের চেয়ে ভাষা সাহিত্যে পড়ুয়া ছাত্র ভাল বুঝবে। অর্থাৎ মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে যাইহোক ড. জাকীর নায়েক যদি বিগ ব্যাং থিউরীর সাথে গুলিয়ে ফেলে বুঝাতে চান যে আগে ভূমি পরে আকাশ সৃষ্টি হয়নি বরং দুটো একই সাথে হয়েছে হুবহু মহা বিস্ফোরণ তত্ত্ব এর মত তবে তিনি কিছু ক্ষেত্রে ভুল বললে ইসলামের কি যায় আসে ? এখন দেখতে হবে ১মে যমিন পরে আকাশ সৃষ্টি এটি ভুল কিনা?

কুরানের অন্নান্য আয়াতে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেন তিনি আকাশকে ছাদস্বরুপ বানিয়েছেন এখন স্বাভাবিক দৃষ্টিভংগিতেই বুঝা যায় যেকোন স্থাপত্য নির্মানে প্রথমেই কিন্তু ভিত দেওয়া হয় অর্থাৎ নিচের কাজ সম্পূন্ন হলেই পরে ছাদের কাজ করা হয় কিন্তু বিজ্ঞান সম্পর্কে যারা কম জানে তারা বলবে- পৃথিবী হতে আসমান পর্যন্ত তো কোন খুটি বা এজাতীয় কিছু দেখা যাচ্ছে না, কুরানে আল্লাহ সুবঃ বলেন আমি আসমানকে(দৃশ্যমান) বিনা খুটিতেই স্থাপন করেছি, তার অর্থ হল তিনি জমিন হতে আসমান এর মাঝে খুটি ছারা অন্য কোন মাধ্যমের দ্বারা সংযোগ রেখেছেন।
বর্তমান বিজ্ঞান বলছে যেখানে বাতাস বা কোনকিছুই নেই সেখানে যে আসলেই কোনকিছুই নেই এই ধারনা ভুল, সুতারাং আসমান আর জমিনের মাঝে এমন অজানা অনেক শক্তি, ডার্ক এনার্জি, পরস্পর একে অপরকে আকর্ষন করার মতন ম্যাগনেটিক ফোর্স জাতীয় অনেক বল দ্বারা হয়ত ঈশ্বর এই সংযোগ স্থাপন করে ভারসম্য বজায় রেখেছেন যেগুলো বিজ্ঞান বালক হতে যুবকে উন্নিত হলে পরিপূর্ন প্রমান করতে পারবে। তবে অনেক নাস্তেকের মনে এই প্রশ্নও জাগতে পারে যে পৃথিবীর চেয়ে অসংখ্য গুন বড় এই মহাকাশ কিভাবে ছোট্ট এই পৃথিবীর পরে তৈরী করা হল ? যাদের মনে এই প্রশ্ন জাগবে তারা বর্তমান বিজ্ঞানে আলোচিত স্ফিতিতত্ত্বটি একটু ভালভাবে চোখ বুলিয়ে নিন। পরিশেষে এই কথাই বলি যারা প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক সত্য বাদ দিয়ে মতবাদ বা থিউরী নিয়ে চরম সত্য ইসলামের ভুল ধরে তাদের এই অসৎ মনকে কিভাবে সত্য দিয়ে পরিতৃপ্ত করা যাবে, যতই সত্য দ্বারা তাদের অপবাদের জবাব দেওয়া হোক না কেন তারা আবারও সেই অপ্রমাণিত হাজারও মতবাদ নিয়ে স্রষ্টার ভুল ধরবে। এখানকার ২য় প্রশ্নের বেলাতেও একই নিয়ম অনুসরন করা হয়েছে।

জৈনক নাস্তিকের প্রশ্নঃ- মানুষ কষ্ট পেলে কি আল্লাহ কষ্ট পায়? কি করে তখন উনি?

উত্তরঃ-মানুষ হোক নাস্তেক,কাফের তারা যেমন কষ্ট পায় আল্লাহও কষ্ট পায় আর এটা তিনি অনুভব করেন তাদের মাঝে থাকা রুহ এর কারনে। কাল হাশরের মাঠে যখন আল্লাহ সুবঃ বলবেন- আমাকে খাবার দাও নি, বস্ত্র দাও নি, সেবা করনি (অর্থাৎ কষ্টে রেখেছ) । তখন বান্দা বলবে - আপনি তো এসব হতে মুক্ত । তখন আল্লাহ বলবেন- তোমার প্রতিবেশী অভুক্ত ছিল(কাফের হলেও) তোমার আরেক ভাই(নাস্তেক) অসুস্থ ছিল। অতএব মানুষ কষ্ট পেলে আল্লাহ যেমন কষ্ট পায় একই ভাবে মানুষ কোনকিছুতে সুখ পেলে তিনিও সুখ পান।আপনি আরও বলেছেন যে আল্লাহও কষ্ট পেয়ে কি করেন তখন উনি? আসলে তিনি তার কষ্ট গুলো জমা রাখেন, বিচার দিবসে বিচার করে তার প্রতিফল দেন।এতদিন তিনি ধৈর্য্য ধরেন এবং মুমিনদেরও ধৈর্য্য ধরতে বলেন।


মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১৩

নতুন বলেছেন: এক্ষেত্রেও বর্তমান বিজ্ঞান তেমন এগুতে পারেনি তবে যতটুকু অভিযানের কথা বলা হয় সেখানেও রয়েছে বিজ্ঞমহলের অনেক সন্দেহ ( সম্প্রতি ফাস হয়েছে যে মানুষ মংগলে দূরে থাক চাঁদেই যেতে পারেনি, আমেরিকার এরিয়া ৫১তে সুটিংই ছিল বিজ্ঞানীদের চন্দ্রাভিযান এই ভন্ডামী ফাস হলে বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের লোক যারা পশ্চিমাদের গোলামী করে তারা আমেরিকাকে পূর্বের মত প্রভু মানবে না তাই মিথ্যা অভিযানের কাহিনী বিশ্বাস করাতে তারা নতুন প্লান করে, এবারে তৃতীয় বিশ্বের দেশ ইন্ডিয়াকে অত্যান্ত অল্প খরচে মংগলাভিযান নামক আরেক মিথ্যার অবতারনা করে। সত্যিকারের ঘটনা হল ইন্ডিয়ার রকেট ইন্ডিয়ার মাটি হতে উড়েছিল ঠিকই কিন্তু তা হয়ত গিয়ে পরেছে সেই এরিয়া ৫১তেই আর সেই রকেটের সমস্ত কমিউনিকেশন সিস্টেম হ্যাক করে সফট ওয়্যারের মাধ্যমে ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানীদের দেখানো হচ্ছে যে তোমাদের পিকুলিয়ার মহাকাশযান মংগলের চারিপথে ঘুরছে আর সেই গ্রহের ছবি তুলছে। এই ঘটনাকে আরো বিশ্বাসযোগ্য করতে তারা মুভিও বানিয়েছে, এটাও যদি ফাস হয়ে যায় তবে পূর্বের সবগুলোই বিশ্বাসযোগ্য বানাতে হয়ত দেখা যাবে বাংলাদেশের মত গরীবদেশ বঙ্গবন্ধু রকেট- ১ এর মাধ্যমে সূর্যের ভিতরে গিয়ে সফলভাবে ফিরে আসছে ) আর যদি এসব সম্পূর্নই গুজব হয় তবু বলতে হবে আমাদের আরো বেশী দূরের সফল অভিযান চালাতে হবে বেশি বেশি সঠিক তথ্য পেতে।

=p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~


তবে অনেক নাস্তেকের মনে এই প্রশ্নও জাগতে পারে যে পৃথিবীর চেয়ে অসংখ্য গুন বড় এই মহাকাশ কিভাবে ছোট্ট এই পৃথিবীর পরে তৈরী করা হল ? যাদের মনে এই প্রশ্ন জাগবে তারা বর্তমান বিজ্ঞানে আলোচিত স্ফিতিতত্ত্বটি একটু ভালভাবে চোখ বুলিয়ে নিন। পরিশেষে এই কথাই বলি যারা প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক সত্য বাদ দিয়ে মতবাদ বা থিউরী নিয়ে চরম সত্য ইসলামের ভুল ধরে তাদের এই অসৎ মনকে কিভাবে সত্য দিয়ে পরিতৃপ্ত করা যাবে, যতই সত্য দ্বারা তাদের অপবাদের জবাব দেওয়া হোক না কেন তারা আবারও সেই অপ্রমাণিত হাজারও মতবাদ নিয়ে স্রষ্টার ভুল ধরবে।

আপনি পৃথিবির পরে মহাবিশ্ব সৃস্টি হয়েছে এই থিউরিটা প্রমান করার চেস্টা করুন। এই থিউরি পৃথিবি বদলে দেবে। এন্টারকটিক হুজুর আর আপনি মিলে অবশ্যই এই থিউরি প্রমান করতে পারবেন বলেই আমার বিশ্বাস।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৯

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: পৃথিবী ইনশাহ আল্লাহ কয়েকবছরের মধ্যেই বদলাবে নাস্তিকতারও অবসান হবে আর আপনি লেখা থেকে অল্প কিছু কাট-পিছ করে কমেন্ট করেছেন কেন? আসল অংশটাই বাদ রাখলেন কেন-- কুরানের অন্নান্য আয়াতে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেন তিনি আকাশকে ছাদস্বরুপ বানিয়েছেন এখন স্বাভাবিক দৃষ্টিভংগিতেই বুঝা যায় যেকোন স্থাপত্য নির্মানে প্রথমেই কিন্তু ভিত দেওয়া হয় অর্থাৎ নিচের কাজ সম্পূন্ন হলেই পরে ছাদের কাজ করা হয় কিন্তু বিজ্ঞান সম্পর্কে যারা কম জানে তারা বলবে- পৃথিবী হতে আসমান পর্যন্ত তো কোন খুটি বা এজাতীয় কিছু দেখা যাচ্ছে না, কুরানে আল্লাহ সুবঃ বলেন আমি আসমানকে(দৃশ্যমান) বিনা খুটিতেই স্থাপন করেছি, তার অর্থ হল তিনি জমিন হতে আসমান এর মাঝে খুটি ছারা অন্য কোন মাধ্যমের দ্বারা সংযোগ রেখেছেন।
বর্তমান বিজ্ঞান বলছে যেখানে বাতাস বা কোনকিছুই নেই সেখানে যে আসলেই কোনকিছুই নেই এই ধারনা ভুল, সুতারাং আসমান আর জমিনের মাঝে এমন অজানা অনেক শক্তি, ডার্ক এনার্জি, পরস্পর একে অপরকে আকর্ষন করার মতন ম্যাগনেটিক ফোর্স জাতীয় অনেক বল দ্বারা হয়ত ঈশ্বর এই সংযোগ স্থাপন করে ভারসম্য বজায় রেখেছেন যেগুলো বিজ্ঞান বালক হতে যুবকে উন্নিত হলে পরিপূর্ন প্রমান করতে পারবে। তবে অনেক নাস্তেকের মনে এই প্রশ্নও জাগতে পারে যে পৃথিবীর চেয়ে অসংখ্য গুন বড় এই মহাকাশ কিভাবে ছোট্ট এই পৃথিবীর পরে তৈরী করা হল ? যাদের মনে এই প্রশ্ন জাগবে তারা বর্তমান বিজ্ঞানে আলোচিত স্ফিতিতত্ত্বটি একটু ভালভাবে চোখ বুলিয়ে নিন।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৬

এভো বলেছেন: ভাই আমি এর জবাব খুজছি , আপনি কাইন্ডলি নীচের লিংকে গিয়ে পড়ে , আমাদেরকে সঠিক উত্তর দিন প্লিজ , কারন এর উত্তর আমাদের জানা নেই । বিগ ব্যাঙ্গ তো কোন হাইপোথিসিস নয় এটা থিউরী , তবে প্রথমে এটা হাইপোথিসিস ছিল কিন্তু প্রমাণীত হওয়ার পর এটা থিউরীর মর্যাদা পেয়েছে , বিগ ব্যাঙ্গ এখন আর মতবাদের পর্যায়ে নেই , এটাকে থিউরি হিসাবে গ্রহন করা হয়েছে ।

পৃথিবী আগে সৃষ্টি নাকি মহাকাশ?

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৪

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: বিগ ব্যাঙ্গ এ কিছুটা এভিডেন্স আছে বলেই যে তা ১০০ ভাগ সত্য নয় বরং থিউরীতে স্থান পেয়েছে। তাই বলে সব থিউরীই কিন্তু সত্য বা পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় না।

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আইনেইস্টাইন, হকিং আপনার ব্যাখ্যার কাছে বাচ্চা। আপনাকে নভেল দেওয়া হোক।
আর হা, আপনাদের এসব ব্যাখ্যাই ইসলামের ক্ষতি করে বেশি। নাস্তিকদের হাতে অস্ত্র তুলে দেন এসব বাচ্ছাসুলভ ব্যাখ্যা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৮

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: তাই নাকি ? তো আপনার গুরু বয়ঃবৃদ্ধসুলভ ব্যাখ্যাটা এখানে উল্লেখ করুন । নয়ত অযোথা নাক গলাতে আসবেন না।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: দুনিয়াটাকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে ধর্ম।
আজ মসজিদে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ। রমজানের তাড়াবীও হয়তো মসজিদে পড়া হবে না। এমন কি ঈদের নামাজও।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৯

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: কি ক্ষতি করল তা একটূ উল্লেখ করুন

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৬

সোনালি কাবিন বলেছেন: নাহ, আপ্নার নোবেল পাওয়া কেউ ঠেকায় রাখতে পারব না।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৩

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: তাই নাকি ?

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৫

ঊণকৌটী বলেছেন: Clap clap ভাই আপনি এতদিন কোথায় ছিলেন? আপনাকে পেয়ে ধন্য আমরা। তা পাবনা থেকে কবে আসলেন?

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩৬

সোনালি কাবিন বলেছেন: তোমাদের জন্য তিনি ভূ-মন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভোমন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভোমন্ডলের প্রতি দৃষ্টি দিয়া ইহাকে সাত স্তরে বিভক্ত করিয়াছেন, তিনিই সকল বস্তু সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।
কুরআন ২ঃ২৯

বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
কুরআন ৪১ঃ৯-১২

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৫

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: তো কি ? এগুলো ভুল আর প্রতিবন্ধি হকিং সইত্য !!!

৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

এভো বলেছেন: এই বিষয়ে আপনার ৯ নং পর্বে আমি যে কমেন্টি করেছিলাম সেই কমেন্টি এখানে আবার পোস্ট কোরলাম , ধন্যবাদ
======================================================================
আপনি কি আমাকে এই ব্যপারে ব্যাখা দিয়ে সাহায্য করতে পারবেন. .

বিজ্ঞান বলে ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে বিগ ব্যাঙ্গের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্ঠি হয়েছিল , এর ৮.৭ বিলিয়ন বৎসর পরে সূর্যের সৃষ্ঠি হয় এবং ৯ বিলিয়ন বৎসর পর পৃথিবীর সৃষ্ঠি হয় -- কিন্তু কোরান অনুযায়ী আল্লাহতালা সবার আগে পৃথিবী তারপর আকাশ মন্ডলি নক্ষত্ররাজি সৃষ্ঠি করেছেন , যদি তাই হয় তাহোলে পৃথিবীর জন্ম ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে হওয়ার কথা ।

এই বিষয়ে নাস্তিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে পারি নি , কাইন্ডলি একটু সাহায্য করবেন


আল্লাহ পৃথিবী, গাছপালা প্রাণিজগত আগে সৃষ্টি করেছেন, এরপরে সপ্ত আকাশ বা মহাকাশ।

বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
কুরআন ৪১ঃ৯-১২

তোমাদের জন্য তিনি ভূ-মন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভমন্ডলের যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করিয়াছেন, অতঃপর নভোমন্ডলের প্রতি দৃষ্টি দিয়া ইহাকে সাত স্তরে বিভক্ত করিয়াছেন, তিনিই সকল বস্তু সম্পর্কে পরিজ্ঞাত।
কুরআন ২ঃ২৯

৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫২

এভো বলেছেন: বিগ ব্যাঙ্গ বা মহাসম্পরসারন ১০০% সত্য নহে এটা আপনি কিভাবে বল্লেন ? মহাবিশ্ব এখনো সম্প্রসারিত হচ্ছে । বিগ ব্যাঙ্গ বাদ দিলাম , এই থিউরি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই প্রমাণীত হয়েছে গ্রহ সমুহ ছিল এক সময়ে নক্ষত্রের অংশ এবং এক সময়ে নক্ষত্র থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ।
পৃথিবীর চেয়ে বয়স্ক গ্রহের অস্তিত্ত পাওয়া গেছে ।
তাহোলে আপনার ঐ কথা বলে কোন নাস্তিককে সন্তষ্ঠ করা যাবে না ।
পৃথিবী সৃষ্ঠি হওয়ার পর যদি সব কিছু সৃষ্ঠি হয় তাহোলে পৃথিবীর বয়সতো সবে চেয়ে বেশি হওয়ার কথা ।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:২৬

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: টাইমিং এর ব্যাপারটা বিজ্ঞান বুঝতে ব্যার্থ

১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

নতুন বলেছেন: আমার কমেন্টটা পড়ে একটু বুঝে নেবেন।

আপনি বলছেন আগে পৃথিবি সৃস্টি হয়েছে। পরে মহাবিশ্ব সৃস্টি করেছেন। মানুষ চাদে যায়নাই। মঙ্গলে সেটেলাইট পাঠায়নাই।

একটা অনুরোধ করবো সেটা হলো প্লিজ ধম`কে হাস্যকর বানাবেন না।

আগে বত`মান দিন দুনিয়া সম্পকে জানুন। বিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্পকে আপনার ১% ধারনা নাই সেটা আপনার লেখা দেখেই বোঝা যায়।

বিজ্ঞানীরা ধম` নিয়ে পড়ে থাকেনা। তারা নতুন রহস্যভেদের চেস্টা করে। সমস্যা সমাধানের চেস্টা করে।

ধম` ইতিমধ্যেই একটা অলংকারের মতন একটা জিনিসে পরিনত হয়েছে বিভিন্ন সমাজে। হিন্দু, বৌদ্ধ,খৃস্টানেরা ধম`কে সিরিয়াসলি নেয় না।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৩

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: মানুষ চাদে যায়নাই। মঙ্গলে সেটেলাইট পাঠায়নাই। এটা আমি কি করে বলব ? আর গেলেই কি না গেলেই কি ? আমি কিভাবে লিখেছি ব্যাপারটা বুঝতে পারেন নাই। তারা যে সত্যি সত্যিই চাঁদে গেছে এটা অনেকেই বিরোধীতা করছে সুতারাং নাও যেতে পারে । এখানে আমি কোনটাই নিশ্চিত করে বলিনি। আবার দেখা যাচ্ছে আপনি না জানি কি কারনে রেগে গিয়ে মন্তব্য করলেন- বিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্পকে আমার ১% ধারনা নাই। তো আপনার এত এত বেশী ধারনা তাহলে আপনি এই মামুলী ব্লগে কি জন্যে পরে রয়েছেন। আপনার তো চান্দে থাকার কথা নাহলে নাসাতে জব করার কথা।

১১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:২৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ধর্মকে ধর্মের জায়গায় থাকতে দিন, বিজ্ঞানের সাথে সমন্বয় করার চেষ্টা করবেন না। বিজ্ঞানের সাথে সমন্বয় করতে গেলে ধর্ম আর ধর্ম থাকে না। আল্লাহ সোবাহানু তাহলা যদি ধর্মকে বিজ্ঞানময় করতে চাইতেন তিনি আরো সহজ সহজ করে বিজ্ঞানের সকল সূত্র বলে দিতেন। ধর্মকে বিশ্বাস করতে হয় এর বাহিরে কিছু করতে গেলে ধর্মেরই ক্ষতি করবেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৮

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: দুটি বিষয়ের সাথে মলায় তারাই যাদের দুটি বিষয় সম্পর্কেই ভাল জ্ঞান রয়েছে। বিজ্ঞান থাকবে বিজ্ঞানের জায়গায় ধর্ম থাকবে ধর্মের জায়গায়, এই ধরনের ধারনা পোষন করে তারাই যাদের দুটো বিষয় সম্পর্কেই কম জানা থাকে । আর তারা কিছু জানলেও তা হয় মুখস্ত বিদ্যা ও চিন্তা বিবেচনাহীন বিদ্যা। এক্ষেত্রে ফ্রান্সেস ব্রেকনের সুরে বলা যায়-" তুমি যদি বিজ্ঞানসম্পর্কে কম জান তবে তুমি হবে একজন নাস্তিক আর বেশি জানলে বিজ্ঞান তোমাকে স্রষ্টায় বিশ্বাসি করে তুলবে"। আর ইসলাম ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্য বা “ল” এর কোন বিরোধ নাই । কিন্তু অনেক থিউরি আছে যেগুলো শতভাগ প্রমান হয়নি সেগুলোর সাথেই কুরানের অমিল পাওয়া যায় , কারন সেগুলোর বেশিরভাগই মাথামোটা কিছু বিজ্ঞানীদের ধারনামাত্র । আর সবশেষে বলি- ধর্ম বা স্রষ্টা বিজ্ঞানের কোন বিষয় না হলেও ইসলাম ধর্মে কিন্তু বিজ্ঞানসহ সবকিছুই আলোচিত বিষয়।

১২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আর আপনি কি জানেন আপনি যেটা প্রমান করতে চাচ্ছেন যে, পৃথিবী আগে সৃষ্টি হয়েছে। আর এটা যদি সত্যি হয় তাহলে পদার্থ বিজ্ঞানের সকল সূত্র ভুল হয়ে যাবে! সবার আগে ভুল হয়ে হয়ে যাবে বিগ ব্যাং থিউরি এর পর আলোর গতির হিসেব এরপর থিউরি অব রিলিটিভিটি এবং বাকি গুলো। পৃথিবী আগে সৃষ্টি হয়েছে এটা প্রমান করতে হলে আপনাকে এই সূত্র/থিউরি গুলো ভুল প্রমান করতে হবে। এই যে বিমানে চড়েন, জাহাজে চড়েন, মোবাইল টিপেন, স্যাটেলাইট পাঠান এগুলো কোনো কিছুই সম্ভব হতো না আবিষ্কার করা পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্র গুলো ভুল হলে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: বিগ ব্যাং থিউরি ভুল এটাতো অনেক বিজ্ঞানীই বলছে। বিমানে চড়েন, জাহাজে চড়েন, মোবাইল টিপেন, স্যাটেলাইট পাঠান এগুলো কোনো কিছুই সম্ভব হতো না আবিষ্কার করা পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্র গুলো ভুল হলে।বিগ ব্যাং থিউরি ভুল হলে মোটেই পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্র গুলো ভুল হবে না , বিগ ব্যাং থিউরিকে হাইপোথিসিসিস হতে থিউরী বানিয়ে ফুলিয়ে ফাপিয়ে প্রমোট করার মূল উদ্দেশ্যই হল ধর্মকে ভুল প্রমান করা কিন্তু হল উল্টোটা বিগ ব্যাং ই ভুল বলে প্রমানিত হবে ইনশাহ আল্লাহ। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার পোষ্টে চোখ রাখুন- সত্যিই কি ঈশ্বর আছে ? এর ২য় পর্বের শেষাংশে।

১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৭

নতুন বলেছেন:
আপনি যেই ভাবে বিজ্ঞান সম্পকে বলতেছেন তাতেই বোঝা যায় আপনি ১% ও জানেন না বিজ্ঞানের বত`মানের অগ্রগতি সম্প`কে।

আমি ভাই ভালো জায়গাতেই আছি।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৮

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: বিজ্ঞানের বত`মানের অগ্রগতি সম্প`কে আপনি এত জানেন তো এবার বলুন- ফ্লাইং সোসার এটা কাদের বাহন ?

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫২

নতুন বলেছেন: :-B :-B :-B :-B

ফ্লাইং সসার বইলা কিছু নাই। আমোরিকার এরিয়া ৫১ এর মতন কিছু স্হানে এডভান্সড কন্সেপটের বিমান দেইখা কিছু জনগন এই গুলান ফ্লাইং সসার কইয়া চিল্লায়।

বাংলাদেশের উপরে কেউ সসার দেখছে? দেখেনাই।

ভীন গ্রহের প্রানী থাকার সম্ভবনা আছে কিন্তু সেটা মানুষের মতন এবং মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এমন হবার সম্ভবনা কতটুকু?

বিশ্বে এতো প্রানী আছে তাদের মাঝে কত প্রানী মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারে?

https://en.wikipedia.org/wiki/Fermi_paradox

মহাবিশ্বে অন্য কোন বুদ্ধিমান প্রানী আছে কি না বা থাকলে কেন এখনো দেখা হয়নাই্ সেটা নিয়ে একটা থিউরি আছে সেটাকে ফারমি প‌্যারাডক্স বলে....

১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: বুঝলাম আপনি বিজ্ঞান সম্পর্কে অনেকটাই ব্যাকডেটেড এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রাধান্যের উপর ভিত্তি করে জ্ঞানার্জন করেন। নিজের চিন্তা শক্তি খাটানোর চাইতে না বুঝেই গলঃধরনের বদাভ্যাস আছে। আমার উপরের প্রশ্নের উত্তরে আপনি যে ধরনের ইনফো দিলেন তাতেই এই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে। মুলতঃ ঐ প্রশ্নটি ছিল এক ধরনের সাইকোলজিক্যাল টেষ্ট। আর মেয়েদের মত জেদী স্বভাব আর রাগ ত্যাগ করার অভ্যাস করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.