নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীদের প্রশ্নোত্তর

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৩


পর্ব-১১
জৈনক নাস্তিকঃ- নামাজের দিক পরিবর্তনই বলে দেয় নবী যে পৃথিবীর বর্ননা দিয়েছেন সেই পৃথিবী গোল নয়। পৃথিবী যে গোল এমন একটা শব্দ আমাকে কেউ কোরআন থেকে দেখান।

উত্তরঃ-আল্লাহ্‌ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেনঃ
" وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا

পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন। " (AL - QURAN - 79-30)!

এখানে আরবী শব্দ دَحَاهَا এসেছে আরবী শব্দ دحية থেকে, যার অর্থ হলো (ostrich egg) উটপাখির ডিম।

আর এখন বিজ্ঞানীদের কাছে যদি প্রশ্ন করেন, যে পৃথিবী দেখতে কেমন, তখন তারা পৃথিবীকে উটপাখির ডিমের মতই বর্ননা দিবেন।


জৈনক নাস্তিকঃ- কোরআনে আপনার দাহাহা তো প্রথম থেকেই ছিল তাই না? আপনি আমাকে দেখান তখনকার সময়ের কোন তফসির কারক এটা বলেছে , ভণ্ড জাকিরের অনুবাদ থেকে নয়।

উত্তরঃ-তখনকার সময়ের তফসির কারক হতেই ডাঃ জাকির অনুবাদ করেছে এটা উনার নিজের ব্যাখ্যা না

নাস্তিকঃ-আপনি বাংলা বোঝেন না? জাকিরের তথ্য ইনভ্যালিড।কারন সবার তো একই কথা বলার কথা তাই না?

আস্তিকঃ-জাকিরের তথ্য ইনভ্যালিড হবে কেন? সে কি মুসলিম না সে কি গবষক নয় ? আর মানুষের ভুল হতেই পারে বিশেষ করে অন্যভাষায় কুরান বুঝতে চাইলে তবে আরবী ভাষীদের কম ভুল হয় এবং তারা প্রায় সবাই একই ধরনের কথাই বলে আর তাদের থেকেই জাকির নিয়েছে তবে তারপরও একটি কথা থেকে যায় যে একটা সুত্র হতে সবারই একই ধরনের অংক হবে না কিন্তু মূল সুত্র ঠিক আছে কিনা তাই দেখতে হবে।

নাস্তিকঃ-আপনি এত পেঁচান কেন ভাই জাকিরের তথ্য কি সবার কাছে গ্রহনযোগ্য? দ্বিতীয়ত এই অনুবাদ আগে যারা করেছে তারা কি আরবি জানে না? যদি তারা আরবি জেনেই থাকে তাহলে তারা কি এটা জানে না যে দাহাহা মানে উটপাখির ডিম। যদি তারা জেনেই থাকে তাহলে তাদেরও কি একই তথ্য দেবার কথা না? তাই যদি হয় তাহলে জাকিরের আগে যারা অনুবাদ করেছে সেখান থেকে দেখান।

আস্তিকঃ-১মত সত্য একটু তিতা বলে সবার কাছে গ্রহনযোগ্য হয় না । ২য়ত আপনি বেছে বেছে সেসব তাফসিরকারীদের কেন খুজছেন যারা দাহাহা মানে সরাসরি উটপাখির ডিম করেন নাই তবে যা করেছেন সেটাও ভুল নয়। কুরানের আয়াত কাব্যিক হওয়ায় একেকটা শব্দের একাধিক অর্থ হয় এবং সবগুলোই সঠিক হয় এগু্লোকে বলা হয় বহুল অ্থজ্ঞাপক, যাদের কাব্য সাহিত্য সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রয়েছে তারা বুঝবে ব্যাপারটা।৩য়ত আল কুরান সর্বকালের জন্যই পথ প্রদর্শক হওয়ায় কিছু কিছু আয়াতের অর্থ পরবর্তীগন যা বের করবে দেখা যায় পূর্ববর্তীগন তা কখনও বুঝতে পারেনি কিন্তু তারা যা করেছেন সেটাও ভুল নয়।কারন তাদের যুগের জন্য সেই অর্থই আল্লাহ সুবহানাতায়ালা রেখে দিয়েছিলেন উক্ত শব্দের মাঝে অর্থাৎ কুরানের অনেক শব্দই এমনভাবে তিনি সংকুচিত করে নাজিল করেছেন যার প্রসারন সম্ভব আর তা বিভিন্ন যুগে যুগে বিভিন্ন তাফসিরকারীরা করেছেনও(ঈশ্বরের গ্রন্থ বলেই এটা সম্ভব) আর এই ধরনের প্রসারন বা বহুল অ্থজ্ঞাপক শব্দের সঠিক অর্থ বের করারও মুলনীতি কুরান এবং হাদিসেই রয়েছে যা কিনা সব মুসলিম স্কলাররাই অবগত, তাই কেউ কোন শব্দের ভুল অর্থ বের করলে অন্য স্কলাররা ঠিকই বুঝতে পারে যে সে ভুল করেছে কিন্তু মুসলিমদের বাধ্যতামূলক খলিফা না থাকায় তার কার্যকারীতা নেই , তাই অনেকেই বিভিন্ন ভুল তাফসির করেই যাচ্ছে আর ইসলা্মবিরোধীরা সেসব ভুল তফসিরকে হাইলাইট করছে। কিন্তু সত্যিকারের মুসলিমরা ঠিকই সঠিক তাফসির অধ্যয়ন করে এবং ভুল শুধরিয়ে দেয়। এখন আপনার দরকার সুদূর অতীতের তাফসিরকারীদের শাব্দিক অর্থ অথচ তখনকার যুগের মুসলিমরা এমন ছিল যে কিভাবে তারা মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি নিবে এতেই তারা সর্বদা ব্যাস্ত থাকত, পৃথিবী গোল না লম্বা বা আকাশ চ্যাপ্টা না ভোঁতা তা ভাবতে গিয়ে নিজেদের মাথার চুল ছিরা কিন্তু ভাল মানুষ হবার ক্ষেত্রে কোনই ভুমিকা ছিল না । এখন বর্তমান যুগে অবিশ্বাসীরা যেহেতু মহাবিশ্ব নিয়ে ভুল ভাল বককানী করেই যাচ্ছে তখন স্রষ্টার গ্রন্থ কুরান থেকে তাফসিরকারীরা অবশ্যই সঠিক তথ্য বের করবে এটাই স্বাভাবিক এবং এখন আর এটা পুরোপুরি সময়ের অপচয় না হয়ে বরং দাওয়াতের অংশ হবে। তাই শুধুই পুর্বের তাফসিরকারীদের অর্থ খোজাও এক চোখা নীতি। যদিও ডাঃ জাকির নায়েক এর অর্থ বের করেননি করেছেন মোটামুটি মধ্য যুগের তাফসিরকারীরা যে যুগে মুসলিমরা ছিল বিজ্ঞানী আর ইউরোপের লোকেরা বাগদাদ এবং ইস্তাম্বুলে জড় হত জ্ঞানার্জনের জন্য।


নাস্তিকঃ-হাজরে আসওয়াদ- কাবা শরীফের অপরাপর ৩৬০টি মূর্তির মতোই একটি মূর্তি।মুসলিমরাও কাবা শরীফ এবং কাল পাথরের পুজা করে।

আস্তিকঃ-মূর্তি আর ষ্টোনের পার্থক্য বুঝেন না ? সাধারনত মূর্তিতে কারও অবয়বকে আংশিক বা পুরোপুরি আকার দেয়া হয়, সেটা হতে পারে পাথর মাটি বা অন্য যেকোন কিছুরই । পাথর দিয়ে মূর্তি তৈরী হয় বলেই পাথর আর মূর্তিকে একাকার করে আপনি ইসলামবিদ্বেসী হয়ে যে কল্পনার জাল বুনেছেন তার সঠিক জবাব অতীতেও অনেক মুসলিমই দিয়েছেন। সাধারনত মূর্তির কাছে মাথা অবনত করা হয় পূজা করা হয় কিন্তু কোন মূর্তিকে কি কোন পুজারীকে দেখেছেন চুম্বন করতে? আর কাবার ঐ জান্নাতি পাথরকে চুমা দেওয়া ঐচ্ছিক সুন্নাহ এটি না করলেও হজ্ব বা তায়াফের কোন ভুল হবে না। উমর রাঃ বলেন- এই পাথর ভাল মন্দ কোন কিছুরই ক্ষমতা রাখে না আর আর পূজনীয় মূর্তির ব্যাপারে কি মূর্তিপুজারীরা এই ধারনা পোষন করে ? আর যারা ভাবে কাবা ঘরকে পুজা করে মুসলিমরা তাদের জেনে নেয়া উচিত বেলাল রাঃ কাবা ঘরের উপর দ্বারিয়ে আযান দিয়েছিল তাছারা এখনও কাবার উপর দ্বারিয়ে পরিস্কার করা হয় । স্বাভাবিক জ্ঞানেও চিন্তা করলে বুঝা যায় যারা কাবাকে পূজা করবে তারা কি করে সেই কাবার মাথায় পা তুলে দ্বারাবে ?

নাস্তিকঃ- ইসলাম যদি স্রষ্টার ধর্ম হত তবে অবশ্যই স্রষ্টা নারীর মন বুঝত কেননা কোন নারীই চায় না তার স্বামীর ভাগ অন্য কাউকে দিতে। তাই যদি কারও খুব প্রয়োজন হয়ে পরে তখন যদি তার ১ম স্ত্রী অনুমতি দেয় তখন সে ২য় বিয়ে করলে কিছুটা কম দোষ দেয়া যেতে পারে।

আস্তিকঃ- স্ত্রী চাইবেই যেন স্বামী বহু বিবাহ না করে আর শুধু তাকে নিয়েই যাতে পরে থাকে । এমনকি স্বয়ং নবী সাঃ স্ত্রীরাও নবী সাঃ এর বহু বিবাহকে মন থেকে ভালবাসতে পারে নাই । কারও মন ব্যাক্তিগতভাবে কি চাইল তার উপর নির্ভর করে ঈশ্বর কখনই বিধান দেন না বরং ব্যাক্তিগত এবং সার্বিক দিক বিবেচনা করেই তিনি বিধি-বিধান দিয়েছেন। এমনকি নবী সাঃ এরও ব্যাক্তিগত মনের ইচ্ছা আল্লাহ সুবঃ সকল ক্ষেত্রে পূরন করেননি যেমন- তিনি চেয়েছিলেন তিনি বেঁচে থাকতে পৃথিবীর কেউই যেন ঈমানহারা হয়ে না মৃত্যুবরন করে আর এর প্ররিপ্রেক্ষিতে অনেক আয়াতও নাজিল করা হয় যাইহোক তিনি নবী হওয়ায় আল্লাহর আদেশের সংগে সঙ্গে তা মন হতেই মেনে নিয়েছেন কিন্তু আমাদের মন না চাইলেও জোড় করেই মানতে হবে আল্লাহর ভয়ে আর ইসলামে একে বলা হয় মুত্তাকী বা আল্লাহভীরু। তাই নিজের কারও নিজের মনের ব্যাক্তিগত ইচ্ছার উপর ছেরে দিলে সে আযগুবি অনেক কিছুই চেয়ে বসবে তাই ইসলামে ২য় বিয়ের জন্য ১ম স্ত্রীর অনুমতিকে বাধ্যতামূলক বা সুন্নত কোনটিই করা হয় নাই তাই কারও ১ম বউ অনুমতি দিবে আর তারপর আরেকটি বিয়ে করবে এই আশায় থাকলে সে আসলে ভেড়া , তবে বর্তমানে এই আইন সরকার তৈরী করেছে, ইসলামের নয়। আর সাধারনত আমাদের দেশে একই সংসারে দুই বউ রাখে যা ইসলামে সিদ্ধ নয় ফলে সারাদিন ঝগড়া ঝাটি হৈ চৈ লেগেই থাকে এমন করলে অন্য নারীর উপকারের চেয়ে আরো ফিতনার দরজা খুলে দেয়া হবে , একাধিক বিয়ে করলে সংসার বা বাড়ি ফ্লাটও একাধিক করার সমর্থ থাকতে হবে শারীরিক সমর্থের পাশাপাশি । যাইহোক ইসলাম কেন বহুবিবাহের অনুমতি দেয় তার কারনগুলি ইসলামিষ্টদের কাছ থেকে জানলে সবাই স্বিকার করতে বাধ্য হবে যে ইসলামের বহুবিবাহ প্রথা একটি সুন্দর ভারসম্যপূর্ন ব্যাবস্থা।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই সময়টা অপ্রয়োজনীয় পোস্ট

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৪

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয় পোস্ট মনে হতে পারে। আপনি কি সারাদিন করোনা টপিক নিয়েই পরে থাকতে চান?

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: ভাই আমি নামাজ পরি না। রোজাও রাখি না- আমি কি নাস্তিক??

২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ইচ্ছে করে নামাজ না পড়লে তাকে হাদিসে কাফের বলা হয়

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চালিয়ে যান। তবে মানুষ পড়ে না শুনে না।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: হ্যা

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০২

নতুন বলেছেন: মানুষ এখন আপনি যেই সব বিষয়ে পড়ে আছেন তার চেয়ে অনেক বেশি জানে।

আপনার ফোনে বা কম্পিউটরে ইন্টারনেট আছে। একটু গুগুল করে দেখুন এর উপরে আরো তথ্য পাবেন।

খৃস্টপূ`ব` ৫ম শতাব্দীতেই এই নিয়ে দাশ`নিকেরা আলোচনা করেছে। এটা
https://en.wikipedia.org/wiki/Spherical_Earth

আর ধমের নিয়মের পক্ষে কথা বলবেন এটা জানা কথাই। যদি ১০টা বিয়ের নিয়ম থাকতো তবে আপনি ১০টা বিয়ের উপকারিতা খুজে পেতেন। =p~

যেমন মানুষ বায়ূ ত্যাগ করলে অযু ভেঙ্গে যায় এবং অজু করতে হয় কিন্তু যেখান দিয়ে বায়ু বের হবে সেটা ধোয়ার দরকার নাই। B:-)

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৭

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: অন্যদের ছোট মনে করে নিজের মাথাটাকে সর্বদাই ইন্টারন্যাশনাল ইয়ারপোর্ট ভাবা বাদ দিন তো !! //ধমের নিয়মে ১০টা বিয়ের নিয়ম থাকতো // ঈশ্বর ধর্মে অপ্রয়োজনীয় নির্দেশ কেন দিবেন? মানুষ যখন গ্যাস ছারে তখন অসংখ্য খারাপ ব্যাকটেরিয়া বের হয় । পাখিরা যেমন গাছের ডালেই বসতে পছন্দ করে ঠিক একইভাবে বেশীরভাগ খারাপ ব্যাকটেরিয়া মানুষের হাত, পা, মুখ এমনকি নাকের যে লোম থাকে সেখানে বসে। ওযু করলে মানুষের এসব মৌলিক জিনিস ধোয়া হয় ফলে পবিত্র হয় ফলে রহমতের ফেরেশতাদেরও কষ্ট হয় না মুমিনের সাথে থাকতে অন্যথায় গাস ছারার সাথে সাথে তারা দূরে চলে যায়।এখন মনে হতে পারে শুধুই অযু না করে গোছল করে গুপ্তাংগ সহ পরিস্কার করলে তো আরও ভাল । হ্যা ! তাহলে গোছলের দ্বারা তা হত পরিপূর্ন পবিত্র কিন্তু অযু হল মৌলিক বা বেসিক পবিত্রতা। আর গ্যাস ছারলে শুধুমাত্র তার বেসিক পবিত্রতা অর্জন করলেই হবে আর এতেই সে সুস্থও থাকবে । আল্লাহ মানুষকে অতিরিক্ত কষ্ট করা হতে রেহাই দিয়েছেন। অর্থাৎ কেউ গ্যাস ছারলে জীবানু ঐ জায়গায় বিরাজ না করে বেশি বিরাজ করে যেসব জায়গায় সেসব অংগই ধোয়া ইসলাম শিখিয়েছে। অনেকে ভাবতে পারেন গরমকালেও বগল থেকে ঘামের দুর্গন্ধ বের হয় তবে এক্ষেত্রে যেসব ব্যাকটেরিয়া থাকে সেসব ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে মানুষের গ্যাসের ব্যাকটেরিয়া বেশী ক্ষতিকর যদি মৌলিক অংগগুলো না ধোওয়া হয় বা অযু না করা হয়।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৩

সোনালি কাবিন বলেছেন: যেমন মানুষ বায়ূ ত্যাগ করলে অযু ভেঙ্গে যায় এবং অজু করতে হয় কিন্তু যেখান দিয়ে বায়ু বের হবে সেটা ধোয়ার দরকার নাই
:|| :||

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৭

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: মানুষ যখন গ্যাস ছারে তখন অসংখ্য খারাপ ব্যাকটেরিয়া বের হয় । পাখিরা যেমন গাছের ডালেই বসতে পছন্দ করে ঠিক একইভাবে বেশীরভাগ খারাপ ব্যাকটেরিয়া মানুষের হাত, পা, মুখ এমনকি নাকের যে লোম থাকে সেখানে বসে। ওযু করলে মানুষের এসব মৌলিক জিনিস ধোয়া হয় ফলে পবিত্র হয় ফলে রহমতের ফেরেশতাদেরও কষ্ট হয় না মুমিনের সাথে থাকতে অন্যথায় গাস ছারার সাথে সাথে তারা দূরে চলে যায়।এখন মনে হতে পারে শুধুই অযু না করে গোছল করে গুপ্তাংগ সহ পরিস্কার করলে তো আরও ভাল । হ্যা ! তাহলে গোছলের দ্বারা তা হত পরিপূর্ন পবিত্র কিন্তু অযু হল মৌলিক বা বেসিক পবিত্রতা। আর গ্যাস ছারলে শুধুমাত্র তার বেসিক পবিত্রতা অর্জন করলেই হবে আর এতেই সে সুস্থও থাকবে । আল্লাহ মানুষকে অতিরিক্ত কষ্ট করা হতে রেহাই দিয়েছেন। অর্থাৎ কেউ গ্যাস ছারলে জীবানু ঐ জায়গায় বিরাজ না করে বেশি বিরাজ করে যেসব জায়গায় সেসব অংগই ধোয়া ইসলাম শিখিয়েছে। অনেকে ভাবতে পারেন গরমকালেও বগল থেকে ঘামের দুর্গন্ধ বের হয় তবে এক্ষেত্রে যেসব ব্যাকটেরিয়া থাকে সেসব ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে মানুষের গ্যাসের ব্যাকটেরিয়া বেশী ক্ষতিকর যদি মৌলিক অংগগুলো না ধোওয়া হয় বা অযু না করা হয়।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধর্ম বিশ্বাস মানুষের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। দেশে ৯৫% মানুষ কমবেশি নামাজ রোজা করে ধর্ম মেনে চলছে।
এরপরও নিজস্ব মতামত চাপিয়ে দেয়ারও কোন প্রয়োজনা আছে বলে আমার মনে হয় না।
কিন্তু আশেপাশে তাকালেই দেখা যায় নিজস্ব মৌলবাদি তথা পরিত্যাক্ত জাকিরিও .. মৌদুদিও মতামত চাপিয়ে দেয়ার কি প্রানান্তকর প্রচেষ্টা নাই চলছে?

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৯

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: এখানে কে মতামত চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা করছে? আপনাকে জোর করে সত্য বুঝানোর দায় ঈশ্বরই বারন করেছেন।

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৫

এভো বলেছেন: ৭৯---৩০
Sahih International: And after that He spread the earth.

Pickthall: And after that He spread the earth,

Yusuf Ali: And the earth, moreover, hath He extended (to a wide expanse);

Shakir: And the earth, He expanded it after that.

Muhammad Sarwar: After this, He spread out the earth,

Mohsin Khan: And after that He spread the earth;

Arberry: and the earth-after that He spread it out,

পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন।

======================================================================

জাকির নায়েকের অনুবাদ কি ঠিক ?
দাহিয়া শব্দের অর্থ খুজে পেলাম ডিম সদৃশ্য -- এখানে যে শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে সেটা হোল দাহাহা

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১২

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: জাকির নায়েকের অনুবাদ ঠিক আছে অর্থাৎ-- পৃথিবীকে এর পরে ডিম সদৃশ্য করে বিস্তৃত করেছেন।

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৯

সোনালি কাবিন বলেছেন: আপ্নার কুযুক্তির সংগা জানা হয়ে গিয়েছে। আপ্নার ধর্মের পক্ষে যাবে না যএ যুক্তি সেটা কুযুক্তি এজন্যই সব ইংরেজি ট্রান্সলেটর ভুল, আর আপ্নার জাকির নায়েক উটপাখির ডিম সঠিক। কারণ বিজ্ঞান পরমাণ কইরালছে এইডা গোল। এক্টু বিবেক দিয়ে ভাবুন তো, যে পৃথিবীকে গোলই মনে করবে, সে বিছানার চাদরের মত সম্প্রসারণ করবে কেন.? বিছানা কি গোল? আর উপমা দিয়া যখন কথা কন, তখন গোল জিনিসের উপর কল্পনায় বিছানার চাদর বিছাইতে থাকেন?
১৩. ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৫০

সোনালি কাবিন বলেছেন: এভোরে যে গতবাধা উত্তর দিসেন প্লিজ অইটা দিয়েন না। মুখস্থ বুলির মত কয়া যান জাকির সঠিক। আরে জাকিরের বহু আগে থেকেই বহুত তরজমা, টিরান্সলেশন হইসে। অকে? জাকির বহুত পরে আইয়া এক্কেরে গুপ্তার্থ বাইর কইরালছে!!

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২১

সোনালি কাবিন বলেছেন: কুরআনের আয়াতকে নিয়ে জাকির নায়েক মনগড়া ব্যাখ্যা এবং জাহিলিয়াতিতে নাম্বার ১
.
======== =======
.
# ডাঃ_জাকিরের_কুরআনের_অর্থ_বিকৃতির
রহস্য কি..... ?
.
যেখানে দাহাহা(ﺩﺣﺎﻫﺎ ) শব্দের অর্থ সকল হাদীস,তাফসীর ও আরবী অভিধানে "তিনি তাকে বিস্তৃত করেছেন" করা হয়েছে,কোথাও "উটপাখীর ডিম" করা হয়নি, সেখানে ডাঃজাকির "দাহাহা( ﺩﺣﺎﻫﺎ "( অর্থ "উটপাখীর ডিম" কোত্থেকে আমদানি করল?
.
# প্রকৃত_পক্ষে_ﺩﺡﺍﻫﺎ _শব্দের_অর্থ_কি ?
.
দাহাহা(ﺩﺣﺎﻫﺎ ) শব্দে ﺩﺣﺎ হচ্ছে ক্রিয়া,ক্রিয়ামূল ﺩﺣﻮ অভিধানসমূহে এর অর্থ লেখা হয়েছে : ﺑﺴﻂ،ﻭﺳﻊ،ﻣﺪ তিনি বিস্তৃত করেছেন, বিচিয়েছেন, প্রলম্বিত করেছেন।
.
(দ্রষ্টব্যঃ লিসানুল আরব, ২২৭ পৃষ্টা/ আল ক্বামুসুল মুহীত, ৩৩২ পৃষ্ঠা/ লুগাতুল কোরআন ২৭৬ পৃষ্টা প্রভৃতি)
.
আর ﻫﺎ হচ্ছে ﺿﻤﻴﺮ ﻣﻨﺼﻮﺏ ﻣﺘﺼﻞ বা যুক্ত কর্মবাচক সর্বনাম।
.
অর্থঃ "তাকে" সব মিলিয়ে শব্দটির অর্থ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত আরবী বিশারদ আল্লামা আবু হাইয়্যান (রহ) বলে_____________
.
” ﺩﺣﺎﻫﺎ “ ﺑﺴﻄﻬﺎ ﻭﻣﻬﺪﻫﺎ ﻟﻠﺴﻜﻨﻲ ﻭﺍﻻﺳﺘﻘﺮﺍﺭ ﻋﻠﻴﻬﺎ
.
দাহাহা(ﺩﺣﺎﻫﺎ ) অর্থ --আল্লাহতা'লা পৃথিবীকে বসবাস ও অবস্থানের জন্য বিস্তৃত করেছেন এবং বিচিয়েছেন।
.
(আজওয়াউল বায়ান, ৩য় খন্ড,৪২২ পৃষ্টা)
.
এ আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুফাসসীর ইমাম আবুল ফিদা ইসমাঈল ইবনে উমর কাসীর (রহ.) বলেন____________
.
ﺗﻔﺴﻴﺮﻩ ﻣﺎ ﺑﻌﺪﻩ : ” ﺍﺧﺮﺝ ﻣﻨﻬﺎ ﻣﺎ ﺀﻫﺎ ﻭﻣﺮﻋﻬﺎ ﻭﺍﻟﺠﺒﺎﻝ ﺍﺭﺳﻬﺎ “
.
এ আয়াতের তাফসীর হচ্ছে পরবর্তি আয়াতদ্বয়: তিনি এর মধ্য থেকে নির্গত করেছেন তার পানি ও তার চারনস্থল এবং পাহাড়কে দৃঢ়ভাবে স্থাপন করেছেন।
.
(তাফসীর ইবনে কাসীর, ৮ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩১৬)
.
এ কথার ব্যাখ্যা করে রঈসূল মুফাসসীরিন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন________
.
” ﺩﺣﺎﻫﺎ ﻭﺩﺣﻴﻬﺎ ﺍﻥ ﺍﺧﺮﺝ ﻣﻨﻬﺎ ﺍﻟﻤﺎﺀ ﻭﺍﻟﻤﺮﻋﻲ ﻭﺷﻘﻖ ﻓﻴﻬﺎﺍﻻﻧﻬﺎﺭ ﻭﺟﻌﻞ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺠﺒﺎﻝ ﻭﺍﻟﺮﻣﺎﻝ ﻭﺍﻟﺴﺒﻞ ﻭﺍﻻﻛﺎﻡ ﻓﺬﻟﻚ ﻗﻮﻟﻪ “ ”_____ ﻭﺍﻻﺭﺽ ﺑﻌﺪ ﺫﻟﻚ ﺩﺣﺎﻫﺎ “
.
দাহাহা (ﺩﺣﺎﻫﺎ ) অর্থ__আল্লাহ পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন এর ব্যাখ্যা হলোঃ_____তিনি যমিনে পানি ও চারণক্ষেত্র নির্গম করেছেন এবং সেখানে নদী-নালা তৈরী করেছেন আর সেখানে পাহাড়সমূহ, উপত্যকাসমূহ, রাস্তাঘাট এবং তরিতরকারি ও ফল-ফলাদি সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কুরআনের বাণী__ “ ﻭﺍﻻﺭﺽ ﺑﻌﺪ ﺫﻟﻚ ﺩﺣﺎﻫﺎ ” দ্বারা এটাই বুঝানো হয়েছে।
.
(দ্রষ্টব্যঃ তাফসীর ইবনে কাসীর,৮ম খন্ড, ৩১৫ পৃষ্ঠা)
.
এভাবে হাদীস ও তাফসীরে (ﺩﺣﺎﻫﺎ ) দাহাহা শব্দের অর্থ "আল্লাহ পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন" করা হয়েছে। কোথাও "উটপাখীর ডিম" করা হয়নি।
.
(প্রমানের জন্য আরো দেখুনঃ তাফসীরে তাবারী,১৪ খন্ড, ২০৮ পৃষ্ঠা/ তাফসীরে বাগাবী, ৮ম খন্ড, ৩২৯পৃষ্ঠা/ তাফসীরে কাবীর, ৮ম খন্ড, ৪১৮ পৃষ্ঠা/ তাফসীরে ঈযাহুল কোরআন, ৯ম খন্ড, ৪২৪ পৃষ্টা প্রভৃতি)
.
কিন্তু কোথাও একথার উল্লেখ নাই যে,( ﺩﺣﺎﻫﺎ ) এর অর্থ "উটপাখীর ডিম"।
.
কিন্তু জাকির সাহেব নিজের থিউরি প্রমান করতে গিয়ে পবিত্র কোরআনকে বিকৃত করে মনগড়া অর্থ ও ব্যাখ্যা করে। এটা ডাঃ জাকিরের মূর্খামী ছাড়া নয়তো কি...?
.
জাকির নায়েক তাঁর বইতে বলেন, ১৫৯৭ সালে “স্যার ফ্রান্সিস ডেইকই”
.
প্রথম পৃথিবীর চারপাশে ভ্রমণের পর প্রমাণ করেন যে, পৃথিবী গোলাকার। আমি ফ্রান্সিস ডেইকই বলে কাউকে খুঁজে পাইনি।
তবে যিনি এই ইতিহাসখ্যাত নৌকাভ্রমণটি সম্পন্ন করেন, তিনি “ফ্রান্সিস ড্রেক”; সেটিও আবার ১৫৯৭ সালে নয়, ১৫৫৭ সালে। অনেকে ভাবতে পারেন, এটা ছোটখাটো ভুল। না, যে-ব্যক্তি কোরআন, গীতা, বাইবেলের কোথায় কোন কথা লেখা আছে, গরগর করে বলে দিতে পারে, তার পক্ষে এই ভুল কোনো ছোট ভুল নয়।
.
যাই হোক, এখানে তিনি এই আয়াতটি তুলে ধরেন:
.
"তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন? তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন।
.
প্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে। তুমি কি আরও দেখ না যে, তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন?" (কোরআন ৩১:২৯)
.
‘আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন’ - এ থেকে বোঝা গেলো পৃথিবী গোলাকার। বড়োই হাস্যকর! ঠিক যেমন, ব্রাজিলে এক প্রজাপতি পাখা ঝাপটালো আর টর্নেডো তৈরি হল টেক্সাসে। জাকির নায়েক এখানে যে-যুক্তিটি তুলে ধরেন, তা হলো - রাত ধীরে ধীরে এবং ক্রমশ দিনে রূপান্তরিত হয়।
.
এ ঘটনা কেবল পৃথিবী গোলাকার হলেই সম্ভব। পৃথিবী চ্যাপ্টা হলে নাকি রাত দিনের এই পরিবর্তন আকস্মিক হয়ে যেত। জিনিসটা ক্লিয়ারলি বোঝা গেলো না। পৃথিবী চ্যাপ্টা হলে এই পরিবর্তন কেন আকস্মিক ঘটতো, তার ব্যাখ্যা জাকির নায়েকের কাছে জানতে চাই। তিনি এর পর এই আয়াতটি তুলে ধরেন:
.
"তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।" (কোরআন ৩৯:৫)
.
এখানেও সেই একই যুক্তি, পৃথিবী গোলাকার না হলে নাকি রাতকে দিন দ্বারা ও দিনকে রাত দ্বারা আচ্ছাদিত করা সম্ভব নয়।
.
আমি জাকির নায়েককে Gods of Egypt মুভিটা দেখার অনুরোধ জানাবো। যেখানো পৃথিবী চ্যাপ্টা হওয়া সত্ত্বেও দিন রাতের পরিবর্তন সুষমভাবে (যেমনটা এখন হয়) হয়। এবং সম্পূর্ণ যৌক্তিক পদ্ধতিতেই। এখানে সেই কল্পিত দেবতা আর কোরআনের আয়াতের মধ্যে পার্থক্য নেই। এর পরের যে-আয়াত জাকির নায়েক উল্লেখ করেন, সেটি হলো:
.
"পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন।" (কোরআন ৭৯:৩০)
.
জাকির নায়েক এখানে বলেছেন, এই আয়াতে ব্যবহৃত আরবি শব্দ "দাহাহা" (ﺩَﺣَﺎﻫَﺎ ) অর্থ উটপাখির ডিম, যা দ্বারা কোরআনে পৃথিবীর আকার বোঝানো হয়েছে। অর্থটি এমন হলে ঠিকই ছিলো, কিন্তু দাহাহা নিয়ে ডাহা মিথ্যাচার করেছেন তিনি।
.
দাহাহা অর্থ উটপাখির ডিম নয়। দাহাহা অর্থ হলো বিস্তৃত করা বা ছড়িয়ে দেয়া।
.
ডাক্তার জাকির নায়েকের থিউরি “যদি তা বিজ্ঞানের সাথে মিলে, তাহলে বুঝে নিন–তা আল্লাহর বাণী”–এ থিউরি অনুযায়ী তো যে কেউ বিজ্ঞানের থিউরি অনুযায়ী কথা বানিয়ে তাকে ‘আল্লাহর বাণী’ বলে দাবী করতে পারে! কেননা, ডাক্তার জাকির নায়েকের থিউরি মতে তা আল্লাহর বাণী হওয়ার তো প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে, তা বিজ্ঞানের সাথে মিলেছে! তখন তার বানানো কথাকে আল্লাহর বাণী নয় বলবেন কী করে? (নাউযুবিল্লাহ)
.
আর বাস্তবেও ডাক্তার জাকির নায়েক এমন অপকীর্তিই করেছেন। তিনি (কুরআনের আয়াতের অর্থ বর্ণনায়) নিজের পক্ষ থেকে কথা বানিয়ে তাকে ‘আল্লাহর বাণী’ বলে দাবী করেছেন এবং তাকে আল্লাহর বাণী বলে প্রমাণ করতে তিনি তাকে তার কথিত বিজ্ঞানের সাথে মিল করে দেখিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)।
.
উদাহরণ স্বরূপ, পবিত্র কুরআনে সূরাহ নাযি‘আত-এর ৩০ নং আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন– ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﺑَﻌْﺪَ ﺫَٰﻟِﻚَ ﺩَﺣَﺎﻫَﺎ অর্থ–“আসমান সৃষ্টির পর আল্লাহ পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন”। কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক মনে করেছেন–কুরআনের এ আয়াত দ্বারা পৃথিবী সমতল হওয়া বুঝা যাচ্ছে–যা তার ধারণানুযায়ী বিজ্ঞানের সাথে মিলতেছে না। বিজ্ঞানের থিউরির সাথে মিলতে হলে এ আয়াতে পৃথিবীকে গোল বুঝাতে হবে।
.
তাই ডাক্তার জাকির নায়েক এ আয়াতের অর্থকে পরিবর্তন করে নিজের পক্ষ থেকে এ আয়াতের অর্থ বানিয়ে বলেন যে, এ আয়াতের অর্থ হলো–“He made the earth egg-shaped (আল্লাহ পৃথিবীকে ডিম্বাকৃতি করে সৃষ্টি করেছেন)।” এরপর মনগড়া তথ্য দিয়ে ডাক্তার জাকির নায়েক টিকা টেনে বলেন,
.
“The Arabic word ‘dahhaahaa’ is derived from ‘Dahhyah’ which means ‘egg’ ”
.
(এখানে আরবী ﺩَﺣَﺎﻫَﺎ (দাহাহা) শব্দ ‘দাহইয়া’ থেকে এসেছে যা ডিম বুঝায়)।” এভাবে ডাক্তার জাকির নায়েক বলেন যে, “ ﺩَﺣَﺎﻫَﺎ শব্দের অর্থ উটপাখির ডিম।
.
এখানে কুরআন বলছে, উটপাখির ডিমের আকৃতি হচ্ছে পৃথিবীর ভূ-গোলকীয় আকৃতির ন্যায়।”
.
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ১, পৃষ্ঠা নং ৭৭ ॥ প্রকাশনায় : পিস পাবলিকেশন–ঢাকা)
.
ডাক্তার জাকির নায়েকের উক্ত বক্তব্যের ভিডিও-স্ক্রিপ্ট ইন্টারনেটের ইউটিউবে “Quran & Modern Science Conflict or Conciliation | Dr Zakir Naik” নামে রয়েছে।
.
এ ছাড়াও ডাক্তার জাকির নায়েকের উক্ত বক্তব্যের বাংলা ডাবিংকৃত ভিডিও ইউটিউবে “Bangla! Qur’an and Modern Science-Conflict Or Conciliation By Dr.Zakir Naik” নামে রয়েছে।
.
আসতাগফিরুল্লাহ, ডাক্তার জাকির নায়েক পবিত্র কুরআনের আয়াতের অর্থকে কীভাবে পরিবর্তন করে বিকৃত করে দিলেন! যেখানে আয়াতে বলা হয়েছে, পৃথিবীকে (বিছানার ন্যায়) বিস্তৃত বা সমতল বানানো হয়েছে, ডাক্তার জাকির নায়েক তাকে উল্টিয়ে বললেন, আয়াতে বলা হয়েছে, পৃথিবীকে ডিমের মতো গোল বানানো হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ)
.
এক্ষেত্রে মজার ব্যাপার হলো, ডাক্তার জাকির নায়েক যে কুরআনের আরবী কিছুই বুঝেন না, এখানে তিনি তার সেই জাহালাতের পরিচয় দিয়েছেন যে, এ আয়াতে যেখানে ﺩَﺣَﺎﻫَﺎ (দাহাহা) শব্দটি হচ্ছে কর্মপদের সর্বনাম যুক্ত অতীতকালের ক্রিয়াপদ–যার অর্থ–“তিনি তাকে বিস্তৃত করেছেন”, অথচ ডাক্তার জাকির নায়েক ﺩَﺣَﺎﻫَﺎ শব্দের অর্থ করেছেন–“উটপাখির ডিম”–যার কারণে এ ক্রিয়াপদটি বিশেষ্যপদ হয়ে যায় । বলা বাহুল্য, পৃথিবীর কোন অভিধানে এ শব্দের এ অর্থ নেই এবং আরবী ব্যাকরণ অনুযায়ী এ শব্দের এ অর্থ কখনো হতে পারে না।
.
তা ছাড়া এরপরের তিনটি আয়াতে পৃথিবীর বিস্তৃতির স্বরূপ ব্যাখ্যা করা হয়েছে–যার সাথে ﺩَﺣٰﻯﮩَﺎ (দাহাহা) অর্থ–“তিনি তাকে বিস্তৃত করেছেন”-এর মিল রয়েছে, কিন্তু এর সাথে উটপাখির ডিমের কোন সম্পর্ক নেই। সুতরাং ডাক্তার জাকির নায়েকের অর্থ এ্খানে কোনভাবেই খাটে না।
.
অথচ ডাক্তার জাকির নায়েক শুধুমাত্র তার ধারণা মতে কথিত বৈজ্ঞানিক থিউরির সাথে কুরআনের তথ্যকে মিলানোর নামে কুরআনের উপর এমন মারাত্মক হস্তক্ষেপ করে তার অর্থকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন। যা কুরআনকে বিকৃত করার শামিল।
.
কিন্তু আাসল ব্যাপার হলো, এভাবে অর্থ বিকৃতি করার কারণে ডাক্তার জাকির নায়েকের উক্ত তথ্য বিজ্ঞানের সাথে মিলার পরিবর্তে তা বিজ্ঞানের থিউরির বাইরে চলে গিয়েছে। কারণ, বিজ্ঞান পৃথিবীকে কমলালেবুর মতো গোলাকার বলেছে–যা উত্তরমেরু ও দক্ষিণ মেরুর দিকে কিছুটা চাপা এবং মধ্যভাগ স্ফীত। বিজ্ঞান পৃথিবীকে উটপাখির ডিমের মতো বলেনি–যা কিছুটা লম্বাকৃতির মসৃণ গোলাকার হয়ে থাকে।
.
অপরদিকে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পৃথিবীর গোলাকার হওয়া সাব্যস্ত হয় পৃথিবীর সামগ্রিক আয়তন বা বৃহৎ দুরত্বের বিবেচনায়। কিন্তু মানুষের দৃষ্টিসীমার মধ্যকার পৃথিবীর ছোট দুরত্বের অংশ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে গোলাকার নয়, বরং তা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সমতল বলেই গণ্য হয়েছে। এ আপেক্ষিত তত্ত্বে মানুষের দৃষ্টিসীমার পৃথিবীকে বিজ্ঞান কুরআনের বর্ণনার মতোই বিছানার ন্যায় সমান্তরালে বিস্তৃত বলে উল্লেখ করেছে। অর্থাৎ বৃহাদাকার পৃথিবীর গোলাকারের সুদূর পরিধি ক্ষুদ্র দৃষ্টিসীমার ছোট দুরত্বে প্রকাশ পায় না। যে কারণে তখন তা সমান্তরাল বলেই গণ্য হয়।
.
এ ব্যাপারে বিজ্ঞানের বিস্তারিত তথ্য উইকিপিডিয়ার নিম্নোক্ত লিঙ্কে দেখুন–
.
https://bn.wikipedia.org/wiki/সমতল_পৃথিবী
.
বলা বাহুল্য, মানুষ সাধারণত খালি চোখে পৃথিবীকে বিস্তৃত ও সমতলই দেখে থাকে। আর আধুনিক বিজ্ঞানও মানুষের সাধারণ দৃষ্টিসীমার দেখা পৃথিবীকে সমতলই বলেছে। পবিত্র কুরআনের উক্ত আয়াতে মানুষের এ দৃষ্টিসীমার পৃথিবীর কথাই বলা হয়েছে যে, আল্লাহ পৃথিবীকে (বিছানার ন্যায়) বিস্তৃত করেছেন।
.
(দেখুন : তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৮ম খণ্ড, ৩১৬ পৃষ্ঠা)
.
সুতরাং এক্ষেত্রে কুরআনের সাথে বিজ্ঞানের কোন বিরোধ নেই। বিজ্ঞানের কথা কুরআনের মতোই রয়েছে। তাই এ নিয়ে মাথা নষ্ট করার কিছু নেই।
.
কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক বিজ্ঞানের সাথে মিলানোর নামে মনগড়াভাবে কুরআনের অর্থকে পরিবর্তন করে কুরআনের সেই সঠিক তথ্যকে ভুল বানিয়ে দিয়েছেন এবং তাকে বিজ্ঞানেরও বিরোধী বানিয়ে ফেলেছেন।
.
এভাবে তিনি কুরআনের আয়াতকে উল্টিয়ে জাল কুরআন বানিয়ে মারাত্মক ফিতনার জন্ম দিয়ে মানুষকে গোমরাহ করার ব্যবস্থা করেছেন এবং বিজ্ঞান গবেষকদেরও হাসির খোরাক যুগিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)।
.
অধিকন্তু শিউরে ওঠার মতো ব্যাপার হলো, ডাক্তার জাকির নায়েক উক্ত সূরাহ নাযি‘আত-এর ৩০ নং আয়াতের সেই অর্থ অর্থাৎ “He made the earth egg-shaped” এবং সেই সাথে তার বর্ণনাকৃত টিকা
.
“The Arabic word ‘dahhaahaa’ is derived from ‘Dahhyah’ which means ‘egg’
.
” এসব কালেক্ট করেছেন মিথ্যুক ভণ্ড নবী দাবীদার কুখ্যাত রাশেদ খলীফার কাছ থেকে–যিনি মূল কুরআন থেকে অনেক আয়াত ছাটকাট করে বাদ দিয়ে মনগড়া নতুন কুরআন তৈরী করেছেন এবং আল্লাহর থেকে ওহী পাওয়ার নামে বিভিন্ন আয়াতের মনগড়া অর্থ করেছেন (নাউযুবিল্লাহ)। উল্লিখিত অর্থটিও সেই ধরনেরই তার ভণ্ডামিপ্রসূত অর্থ। এভাবে জাকির নায়েকের বর্ণনাকৃত উক্ত অর্থ টিকাসহ হুবহু ভণ্ড নবী দাবীদার রাশেদ খলীফার বানানো অনুবাদে রয়েছে।
.
প্রমাণের জন্য রাশেদ খলীফার বানানো কুরআন সাইট থেকে তার উক্ত সূরাহ নাযি‘আত-এর ৩০ নং আয়াত
ﻭَﺍﻟۡﺎَﺭۡﺽَ ﺑَﻌۡﺪَ ﺫٰﻟِﮏَ ﺩَﺣٰﻯﮩَﺎ
-এর অর্থ দেখুন নিম্নবর্ণিত লিঙ্কে (৬ষ্ঠ লাইনে ডানে আরবী ও বামে তার অর্থ ও টিকা দেখতে পাবেন) :
.
http://submission.org/QI#79:25-46
.
দুঃখজনক যে, নির্ভরযোগ্য মুফাসসিরগণের শত শত সহীহ অনুবাদ ও তাফসীর থাকতে সেগুলো বাদ দিয়ে ডাক্তার জাকির নায়েক পবিত্র কুরআনের অর্থ করতে পথভ্রষ্ট ভণ্ড নবী দাবীদার কাফির রাশেদ খলিফার দারস্থ হয়েছেন এবং তার পথ ধরে কুরআনকে বিকৃত করে ফেলেছেন। এভাবে তিনি নিজেও পথভ্রষ্ট হয়েছেন এবং মানুষকেও পথভ্রষ্ট করেছেন।
.
এভাবে নানারূপ বিপথগামিতার মধ্য দিয়ে নানারূপ ভ্রান্ত মতবাদ সৃষ্টির ন্যায় ডাক্তার জাকির নায়েক বিজ্ঞানের দ্বারা কুরআনের সত্যতা যাচাইয়ের মনগড়া মতবাদ দ্বারা মহাফিতনার জন্ম দিয়েছেন। যা মানুষের ঈমানধ্বংসের মারাত্মক ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
.
ডাক্তার সাহেবের তাফসীর সংশ্লিষ্ট হাদীসের ব্যাপারে অজ্ঞতা এতটাই সীমাহীন যে, হাদীস ভান্ডার ও তাফসীরের মৌলিকত্ব পর্যন্ত পৌছার চেষ্টার বদলে মনগড়া ব্যাখ্যা করতে শুরু করেছেন।
.
ডাক্তার জাকির নায়েক
.
ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﺑَﻌْﺪَ ﺫَﻟِﻚَ ﺩَﺣَﺎﻫَﺎ ﺍﻟﻨﺎﺯﻋﺎﺕ 30 - )
.
এ আয়াতে কারীমা সম্পর্কে বলেন-এখানে ডিমের জন্য ব্যবহৃত শব্দ ‘দাহা ’। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল উটপাখির ডিম। উটপাখির ডিম জমিনের সাথে সাদৃশ্য রাখে।
.
তাই পবিত্র কুরআন বিশুদ্ধভাবে পৃথিবীর আকৃতির ব্যাখ্যা করছে। অথচ কুরআন নাযিলের সময় পৃথিবীকে (Flat) সমতল মনে করা হতো।
.
{ খুতুবাতে জাকির নায়েক , কুরআন আওর জাদিদ সায়েন্স-৭৩-৭৪ }
.
এখানে ডাক্তার সাহেব বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রভাবিত হয়ে , সেই সাথে পবিত্র কুরআনের মূল আলোচ্য বিষয় (তথা তাওহীদ ও রিসালত , আর বাকি প্রাকৃতিক বিষয়াদির আলোচনা প্রাসঙ্গিক মাত্র) না বুঝার কারণে পৃথিবীর আকৃতির বিশ্লেষণ করার জন্য আয়াতে কারীমা দিয়ে ভুল দলিল দিতে আয়াতের মনগড়া তাফসীর করেছেন।
.
কেননা , আরবী ভাষায়- ﺩﺣـــﻮ শব্দটি এবং তার মূল উৎস বিস্তৃত ও বিস্তীর্ণ করার অর্থ প্রদান করে। এই অর্থ হিসেবে ‘দাহাহা’- এর অনুবাদ ও তাফসীর হল
‘ পৃথিবীকে বিস্তৃত করা ও তাতে বিদ্ধমান বস্তু সমূহকে সৃষ্টি করা ’।
.
(দ্রষ্টব্য: তাফসীরে ইবনে কাসীর) এই শব্দটি ও তার মূল উৎস ‘ডিমের’ অর্থে আসে না।
.
বাংলা অনুবাদে তো বটেই, কোরানের ছ'টি স্বীকৃত ইংরেজি অনুবাদেও উটপাখির ডিমের কথা উল্লেখ নেই, সব অনুবাদেই বিস্তৃত করার কথা বলা হয়েছে। সব ইহুদি-নাছারাদের ষড়যন্ত্র!
.
তাই মুফাসসিরের জন্য বেশ কিছু শর্তাবলী রয়েছে। যেমন ,
.
১- কুরআনের সকল আয়াতের উপর দৃষ্টি থাকতে হবে।
.
২- হাদীসের ব্যাপারে থাকতে হবে অগাধ পান্ডিত্ব।
.
৩. আরবী ভাষা ও ব্যকরণ তথা নাহু , ছরফ, ইশতিক্বাক্ব, এবং অলঙ্কার শাস্ত্রে রাখতে হবে গভীর পাণ্ডিত্য।
.
ডাক্তার সাহেবের মধ্যে এ সকল শর্তের একটিও যথাযথভাবে পাওয়া যায় না। তার না আছে আরবী ভাষা ও আরবী ব্যকরণ সর্ম্পকে যথাযথ পারঙ্গমতা।
না আছে হাদিস ভাণ্ডারের উপরকোন সুগভীর পড়াশোনা।
আর আরবী সাহিত্য ও অলঙ্কার শাস্ত্রেও নন তেমন জ্ঞানী।
.
হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে-
.
ﻣﻦ ﻗﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺑﺮﺃﻳﻪ ﻓﺄﺻﺎﺏ ﻓﻘﺪ ﺃﺧﻄﺄ
.
অর্থ: যে ব্যক্তি কুরআনের তাফসীর কেবল নিজের জ্ঞান দিয়ে করে , তাহলে সে ঘটনাচক্রে সঠিক বললেও তাকে ভুলকারী সাব্যস্ত করা হবে। (তিরমিযি শরিফ-হাদীস নং-২৯৫২)
.
অন্য বর্ণনায় এসেছে যে,
.
ﻭﻣﻦ ﻗﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺑﺮﺃﻳﻪ ﻓﻠﻴﺘﺒﻮﺃ ﻣﻘﻌﺪﻩ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺎﺭ
.
অনুবাদ- যে ব্যক্তি স্বীয় যুক্তি দিয়ে কুরআনের তাফসীর করে সে তার আবাস জাহান্নামকে বানিয়ে নিল।
.
{ সুনানে তিরমিযী , হাদীস নং-২৯৫১ }
.
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে কুরআন সুন্নাহর সঠিক জ্ঞান ধান করুক।। আমিন.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.