নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীদের প্রশ্নোত্তর

২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৯


পর্ব-১২

জৈনক নাস্তিকের প্রশ্নঃ- যখন আগুন আবিষ্কার হয়নি তখন নরক,দোযক বা জাহান্নাম কীভাবে ব্যাখা করা হতো বলে ধর্ম বিশারদরা মনে করেন?

উত্তরঃ-মানুষ আবার কবে আগুন আবিস্কার করল? তারপূর্বে কি আগুন ছিল না? তবে কিছু আবাল নাস্তেক ইতিহাসবিদরা যখন চারদেয়ালের মাঝে বসে চোখ বন্ধ করে কল্পনার সাগরে ডুব দিয়ে মনে মনে ভাবল- হয়ত ঝড়ের কারনে গাছের সাথে গাছ সংঘর্ষ হয়ে যে আগুন জ্বলে উঠত তা দেখে মানুষেরা কাঠ বা পাথর ঘসে আগুন আবিস্কার করেছে, এরপূর্বে মানুষ আগুনের ব্যাবহার জানত না।পাঠ্যবইয়ের এমন গাঁজাখোরী গল্প যারা সত্যিই বিশ্বাস করেছে তারাই এমন প্রশ্ন করতে পারে। আবার ভাবতে পারেন সূর্য্য ছিল কিন্তু আগুন ছিল না এটা আপনি এবং কল্পকাহিনীর ঐতিহাসিকরা জানলেন কিভাবে ? মানুষ তখন এই ভাবত, এই করত, সেই করত, তা তিনি কি করে ভাবলেন?


নাস্তিকঃ-এত অগ্রগতি কেন হয়েছে জানেন? মানুষের অসীম চাওয়ার জন্য।আগে মানুষ কাচা মাংস খাইতো,ওকান থেকে আরেকটু ভালো খাওয়ার জন্য আগুন আবিষ্কার করে মাংস পুড়িয়ে খাওয়া শিখেছে। আর ধর্ম সবসময় মানুষকে পিছনে টেনে ধরে।

আস্তিকঃ-মানুষ আগে গুহাতেই বাস করতো কাচা মাংস খাইতো,ওখান থেকে আরেকটু ভালো খাওয়ার জন্য আগুন আবিষ্কার করে মাংস পুড়িয়ে খাওয়া শিখেছে এই তথ্য আপনি জানলেন কিভাবে? এসব গাজাখুরি তথ্য কয়েকশ বছর পূর্বে নাস্তেকরা ঘরের মধ্যে বসে কল্পনা করে লিখেছে যার কোন সত্যতা নাই এবং যা বর্তমানে সিলেবাসে পড়িয়ে মানুষকে গবেট বানানো হয়। ধার্মীকরাই উন্নতি করে আর অতীত হতেই নাস্তেকরাই ছিল গোঁরা অসভ্য এবং কর্মবিমুখ এক সম্প্রদায়। এরাই মানুষকে পিছনে টানে আর আগে বাড়াবার নামে নিয়ে যায় চরম অসভ্যতার দিকে। তাছারা আদিম গুহামানব যে পাথরে পাথরে ঠুকে আগুন জ্বলে আবিস্কার করেছিল সেটা আপনি কি টাইম মেশিনে গিয়ে দেখেছিলেন বা কোন প্রমান দিতে পারবেন ? এটা বর্তমান মানুষের ধারনা যে তারা নিশ্চয় পাথরে পাথরে ঠুকে আগুন আবিস্কার করেছিল যেহেতু ঘর্ষনেও আগুন জ্বালানো সম্ভব । এটা হল কিছু মাথামোটা নাস্তেকদের কল্পনা যা পাঠ্যবইয়ে ঢুকানো হয়েছে কমলমতি শিশুদের ব্রেইন ওয়াশ করার জন্য।


নাস্তিকঃ- কাপড় আবিষ্কারের আগে ধর্ম কই ছিল। পরে ধর্ম এসে ফরজ, নফল, বেদাত এবং পর্দাপ্রথা ফতোয়া দিল।

আস্তিকঃ-তারমানে আপনি বিশ্বাস করেন যে মানুষের মত উন্নত বুদ্ধিমান প্রানী আগের যুগে উলংগ থাকত? এত ট্যাকনোলজীর যুগেও যখন কিছু আদিবাসীরা আজও উলংগ থাকে ঠিক তখনও একদল ধার্মীক সভ্য জাতীরা ঠিকই পোশাক পরিধান করত কিন্তু অধার্মীক নাস্তেক অসভ্যরা ঠিকই উলংগ থাকত । তার উদাহরন দেখা যায় আজও তারা পর্দা প্রথাকে বর্বর আখ্যা দিয়ে অর্ধ নংগ্ন থাকার জন্য প্রচারনা চালায়। তাদের আচরনে অতীত অসভ্য আদিম স্বভাবের লক্ষন আজও প্রকাশিত হয়। অর্থাৎ মানুষ সর্বদাই দুইভাগে বিভক্ত ছিল। ধার্মীক বা সভ্য আর অধার্মীক নাস্তেক বা অসভ্য। তাই দুনিয়াতে মানুষ আসার পর হতেই পোশাক ব্যাবহার করত পাশাপাশি ফরজ, নফল ইবাদত করত।

নাস্তিকঃ-আমি তো খুজেই পাইনা ভাষা আবিস্কারের আগে ইব্লিশ, সাপ, আদম, হাওয়া কোন ভাষায় শলা পরামর্শ করে আকাম টা করছিলো...

আস্তিকঃ-আপনার ধারনা ভাষার আগেই মানুষ এসেছে? আপনি জন্মের পর যে ভাষায় কথা বলেন তা কি আপনি জন্মানোর পর আবিস্কার করছেন নাকি পূর্ব হতেই ছিল?



জৈনক নাস্তিকের প্রশ্নঃ- সূরা পড়ে ফুঁ দিলে করোনা ভাইরাস মারা যাচ্ছে না কেন?

উত্তরঃ- সূরা পড়ে ফুঁ দিলে করোনা ভাইরাস মারা যাবার প্রধান শর্ত হল যাকে ফু দেয়া হবে তার বিশ্বাস থাকতে হবে ১০০ভাগ যে ফু দিবে তারও নূন্যত্তম ইমানদার হতে হবে।একবার বিজ্ঞানীরা মুসলিমদের পানি পড়ায় ক্যান্সার রোগ ভাল হওয়ায় ঐ পানি পরীক্ষাগারে টেষ্ট করে দেখে ঐ পানির মধ্যে অসংখ্য এমন ব্যাকটেরিয়া আছে যাদের কাজ হল- ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করা। ব্যাকটেরিয়া দিয়ে শুধু ক্যান্সারের কোষই না আপনার শক্ত দাত , হাড়কেও খেয়ে শেষ করে দিতে পারে।


নাস্তিকঃ- সহী হাদিসে আছে ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নাই। বর্তমান বিজ্ঞানের যুগে এটা কতই না হাস্যকর।

আস্তিকঃ- ইসলাম সম্পর্কে অল্প জানা কিন্তু বেশি বুঝা বা হাদিসের মর্মার্থ না বুঝা এগুলোই এখন বেশি হচ্ছে। সহী বুখারীতে এসেছে যে- ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই। সেটাও একটি সঠিক তথ্য এবং বিজ্ঞান সমর্থিত আবার অপর সহী হাদিসে আছে- প্লেগ বা মহামারি জাতীয় রোগ যদি কোন এলাকায় ছরিয়ে পরে তবে সেই এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় যাবে না আর অন্য এলাকার লোকও মহামারি এলাকায় যাবে না। মুসলিম আক্রান্ত ব্যাক্তি যদি আল্লাহর উপর ভরসা করে মারা যায় তবে শহীদের মর্যাদা। এই হাদিসের মর্মার্থ প্রধানত দুটি - প্রথমত হল নিজের আত্মিয়-স্বজনদের অসুস্থ অবস্থায় রেখে স্বার্থপরের মত না পালিয়ে তাদের সেবা করা কেননা দেরীতে হলেও মরতে তাকেও হবেই। দ্বিতীয়ত একই এলাকায় বা পাশাপাশি থাকার ফলে তার শরীরেও উক্ত রোগের জীবানু ঢুকতে পারে, প্রাথমিকাবস্থায় সে না বুঝে অন্য এলাকায় গেলে কিন্তু তার কারনে সেসব এলাকাতেও উক্ত রোগের সংক্রামন হয়ে মহামারি আকার ধারন করতে পারে। মোটকথা এই হাদিস থেকে প্রমাণ হয় দুনিয়াতে সংক্রামক রোগের অস্থিত্ব আছে তা নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ছালামই বলে গেছেন তবে সহী বুখারীতে তিনি ছোঁয়াচে রোগ নেই বলে কি বুঝাতে চেয়েছেন ?
আসলে বুখারীর উক্ত হাদিসের তথ্যই বেশি গুরুত্বপূর্ন যা বর্তমান বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে বেশি উন্নতি করায় আরও ভালভাবে প্রমান করা যায় যে কাউকে স্পর্শ করার মাধ্যমে কোনদিনই রোগ হয় না। সত্যিকার্থে ছোঁয়াচে আর সংক্রামক এই দুটি জিনিসের সাথে অনেকে তালগোল পাঁকিয়ে ফেলে তাই এই দুটি শব্দ আগে ভালভাবে জানতে হবে। ছোঁয়াচে রোগ এর অর্থ হল কাউকে স্বাভাবিকভাবে স্পর্শ করার মাধ্যমে যে রোগ ছরায় কিন্তু না ছুলেই এই রোগ হতে বাঁচা যায় আবার সংক্রামক রোগ হল- আক্রান্ত ব্যাক্তিকে স্পর্শ না করেও এই রোগ হতে বাঁচা যায় না সুতারাং কাউকে স্পর্শ করলেই কি আর না করলেই কি এমনকি বাতাস বা অন্য কোনকিছুর মাধ্যমেও এই রোগ আশপাশে সংক্রামিত হয় অর্থাৎ কাউকে ছোঁয়া বা না ছোঁয়ার সাথে এর কোনই সম্পর্ক নাই তবে সংক্রামিত এলাকা হতে অনেক দূরে অবস্থান করলে এই রোগ সেখানে যায় না।
সংক্রামক রোগের জীবানুর নেচার আল্লাহ সুবঃ এমনই সৃষ্টি করেছেন যে তার কাজই হল আক্রমন করা , কেউ কাউকে না ছুলেও সে আক্রমন করে ঠিকই অসুস্থ করে ফেলবে , অনেকে ভাবতে পারে তাহলে মেডিক্যাল সাইন্স যে বলছে একে অপরকে ছোঁয়ার মাধ্যমেও রোগ হয়? আসলে তারা বেশিরভাগ সেসব রোগের কথাই বলছে যেসব রোগ আসলে সংক্রামক রোগ আর এগুলো স্পর্শ ছারাই ছরায় সুতারাং হাদিসের শুধুমাত্র শাব্দিক অর্থ ধরেই বুঝা গেল সংক্রামক রোগ ছোঁয়াচে নয় কেননা এটি না ছুয়েও ছরায়। যদিও হাদিসের শাব্দিক অর্থ ধরে এমন মনে হতে পারে যে তাহলে তো সত্যিই শুধু ছোঁয়ার দ্বারাই কোন জীবানু একজনের শরীর হতে অন্যজনের শরীরে একদম যায়ই না?
কিন্তু হাদিসের মর্মার্থ কিন্তু একথাও বলছে না কারন হাদিসের প্রেক্ষাপট বলছে যে তখনকার জাহেলী যুগে সংক্রামক রোগ হলে রোগীকে সেবা না করে একঘরে করে রাখত অথবা অন্য জায়গায় ফেলে রাখত কেউই ভয়ে কাছে ঘেঁসত না অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসা বা দেখতে যাওয়া তো দূরে থাক খাবার পর্যন্ত দিত না, ইসলামের শত্রু আবু লাহাবের এমন পরিনতি হয়েছিল। সেজন্য “ছোঁইয়াচে রোগ নেই” এই হাদিসেরও প্রধান দুটি মর্মার্থ পাওয়া যায় ১টি হল- রোগীর সেবা-যত্ন করলে বা তাকে ছুলেই রোগ হবে ভেবে অমানবিক আচরন না করা।
আরেকটি প্রধান মর্মার্থ হল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন- আর তা হল আক্রান্ত ব্যাক্তিকে ছোঁয়ার দ্বারা যদি জীবানু কারও কাছে গিয়েই থাকে তবে সেই জীবানুর দ্বারা তারও যে রোগ হবে এমন কিন্তু না । যেখানে করোনার মত ভাইরাসের জীবানু দ্বারা মৃত্যুর চেয়ে সুস্থ হবার সংখ্যাই বেশি তাছারা অনেকের ছোঁয়ার দ্বারা জীবানু হাতে এলেও সে চোখে মুখে হাত না দিয়ে হাত ধুয়ে ফেললে তো এই জীবানু ভিতরেই ঢুকল না তবে রোগ হল কিভাবে? তাছারা এমনও হয়েছে অনেকের যে ১মে গলায় গিয়ে আটকে থাকায় হালকা কাশি অনুভব করে তাই সে লেবু বা গরম পানি খেয়েছে নিজের অজান্তেই ফলে গলার মাঝেই সেই ভাইরাস মরে গেছে তাই তার শরীরে ভেতর ডুকেও রোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। তাহলে ফলাফল কি দ্বাড়াল? তাদের ছোঁয়ার মাধ্যমে রোগ হল না।
তাছারা পরীক্ষাগারে যন্ত্রের দ্বারা দেখলে দেখা যাবে দুইজন ব্যাক্তির মাঝে একজনের হাতে যদি কিছু জীবানু থাকে আর অপর ব্যাক্তির হাত স্পর্শ করে তবে সেই জীবানু কিছুটা হলেও ২য় ব্যাক্তির হাতে যেতে পারে এখানেও কিন্তু সম্ভাবনা অর্থাৎ যাবেই যে তা একশতভাগ নিশ্চিত না, এরপর যদি যায়ও তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় উক্ত জীবানু তার বাহু হতে শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার আগেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এই সম্ভাবনাকেও যদি অতিক্রম করে শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশও করে দেহের প্রাথমিক সুরক্ষা দেয়াল ভেদ করে তবু জীবানুদের টেকা খুবই কঠিন। কারন বর্তমান বিজ্ঞানীরা দেখেছে সব মানুষের শরীর এমনভাবে অভ্যন্তরিনভাবে প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা দ্বারা সুরক্ষিত যে তা যেকোন শক্তিশালী রাষ্টের সেনা-ব্যাবস্থার চাইতেও নিখুত।
শুধু তাই না এই রোগ প্রতিরোধ ব্যাবস্থা আবার আপেক্ষিকও যেমন সব সময় এই ব্যাবস্থা একই রকম থাকে না অর্থাৎ অনেক দূর্বল ব্যাক্তিও যেকোন সময় অনেক বেশী রোগ প্রতিরোধকারী হয়ে উঠতে পারে আবার শুধুমাত্র মানষিক বিশ্বাসের উপর নির্ভর করেই এই রোগ প্রতিরোধ ব্যাবস্থার অর্ধেক নিয়ন্ত্রনই হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে অর্থাৎ কেউ যদি মানষিকভাবে ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস হারিয়ে মনবল হারিয়ে ফেলে তবে অনেক ছোট রোগেও অনেক ক্ষতি হতে পারে আবার কেউ যদি একজন জটিল সংক্রামক রোগীকেও ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রেখে সেবা- করে আর ভাবে এতে আমার কিছু হবে না তবে দেখা যায় সত্যি তার কিছু হয়নি। আবার সাধারন জীবানুর ভয়ে আস্থা হারিয়ে সু-সাস্থবান যুবকও অসুস্থ হতে পারে। তাই উপরের আলোচনা হতে খুব সহযেই বুঝা যায় যে একজনের হাত হতে জীবানু অন্যজনের দেহে যাবে অতঃপর ভিতরে ঢুকে সরাসরি রোগের সৃষ্টি করবে এটার সম্ভাবনা একদমই নাই।
তবে এরপরেও যেসবে রোগ সৃষ্টি হয় সেগুলো খুবই শক্তিশালী আর এসব জীবানু বেশী শক্তিশালী বলেই কাউকে শুধুমাত্র স্পর্শ করার দ্বারাই এরা আসে না বরং ছোঁয়া ব্যাতীতই এরা আক্রমন করে তাই এদের বলা হয় সংক্রামক রোগ আর এক্ষেত্রে নবী সাঃ বলেছেন অন্য এলাকাতেও না যেতে কারন এসব শক্তিশালী সংক্রামক রোগ ছোঁয়া তো দূরের কথা আশেপাশে অবস্থান করলেও হতে পারে কিন্তু হবেই যে এমন বিশ্বাসও করা যাবে না অর্থাৎ সম্ভাবনা বেশী বিধায় সাবধানতা অবলম্বন করতে হাদিসে এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।
তাই হাদিসের মর্মার্থ অনেকটাই এরকম যে-“ ঔষধ খেয়েই যে রোগী সুস্থ হবে এমন না বরং আল্লাহ সুবঃ যখন উক্ত ঐষধকে কার্যকরি করবেন তখনি সুস্থতা আসবে অর্থাৎ আরোগ্যদাতা হিসেবে বিশ্বাস তাঁকেই করতে হবে ঐষধকে নয় কেননা অনেকেই পাওয়ারফুল ঐষধেও ভাল হয় না।
ঠিক একইভাবে ছোঁয়াচে রোগ বলতে কিছু নেই মানে জীবানুর অস্তিত্ব নেই তা নয় বরং ঐসব জীবানুর কোন ক্ষমতা নেই রোগ সৃষ্টি করার বরং রোগসৃষ্টিকারীও একমাত্র তিনিই । তাই এই বিশ্বাস মনে রেখে সাবধনতা অবলম্বন করা গেলেও নিজের আত্মীয় রোগীর ক্ষেত্রে জীবানুকে বেশী ভয় পেয়ে সেবা বাদ দেয়া যাবে না আর অন্যত্র তো যাওয়াই যাবে না।
আর এমন শক্তিশালী সংক্রামক জীবানুর দ্বারা মহামারী এলাকাতেও যদি কেউ ভাবে যে সরাসরি রোগীকে ছুলেই সে আক্রান্ত হবে নিশ্চিত তবে সে ভাইরাসের ক্ষমতাকে প্রাধান্য দিল বলে শিরক করল। আল্লাহর ক্ষমতাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে যদি সে আক্রান্ত হয়ে মারাও যায় তবে সে শিরকহীন অবস্থায় মৃত্যু হলে তাকে পুরস্কার-স্বরুপ শহীদদের মর্যাদা দেয়া হবে।
তবে এমন নয় যে কেউ ভাইরাসের কোন ক্ষমতা নেই এই কথা ভেবে সংক্রামক রোগীর সেবা করবে আর আল্লাহর ক্ষমতায় বিশ্বাসি থাকায় তাকে কিছুতেই ভাইরাস সংক্রামন করবে না, তবে অনেক ক্ষেত্রে আল্লাহ সুস্থ করলেও তিনি বাধ্য নন এমন করতে আর করেনও না কেননা এসবের উচিলাতেই তো তিনি বেশীরভাগ মানুষের মৃত্যু দেন । মুমিনদের বড় পাওয়া এটাই যে- ভাইরাসের কোন ক্ষমতা নেই এই বিশ্বাস করেও আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার জন্য বড় পুরস্কার আছে।
যাইহোক ছোঁয়াচে রোগের ১ম হাদিসটির বানী মুসলিমদের অন্তরের বিশ্বাসমূলক আর ২য় হাদিস(মহামারীর স্থানে না যাওয়া) হল- কর্মক্ষেত্রে প্রয়োগমূলক কিন্তু মুসলিমরা দেখা যায় বিশ্বাসের ক্ষেত্রে ২য় হাদিস মানে আর বাস্তব কর্মক্ষেত্রে অসচেতনভাবে ১ম হাদিস অনুসরন করার চেষ্টা করে অনেকে। বেশিরভাগ মুমিনরা এগুলো পূর্ব হতেই জানে এবং মানেও কিন্তু নাস্তেকরা জানে না আর সর্বশেষ কথা এটাই যে – রোগীকে ছুলেই রোগ হবে বা কারও ছোঁয়াচে রোগ আছে এটা হল আগের যুগের কুসংস্কার যা কিনা বর্তমান বিজ্ঞানীরাও নবসংস্করন করে মানুষকে বিশ্বাস করাচ্ছে। তাই মুসলিমদের উচিৎ এই নব্য কিন্তু অত্যান্ত সূক্ষ কুসংস্কার হতেও নিজে বাঁচা এবং অন্যদেরও বাঁচান।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৪

আহা রুবন বলেছেন: জৈনক কিবা বাহে?

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৩

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: একজন

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: লেখা পড়ে মনে হয়,অনেক কিছু আপনার সাথে পরামর্শ করে বাস্তবায়ন করে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৮

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: অনলাইনের যুগে আপনি এসব কি বকছেন?

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি কোন করোনা ভাইরাস রোগীকে ধরেছেন

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৭

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: করোনা ভাইরাস রোগীকে এখনও পাইনি তবে সকলের সাথেই আমি হ্যান্ডসেক করি।

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৩

নতুন বলেছেন: জৈনক নাস্তিকের প্রশ্নঃ- সূরা পড়ে ফুঁ দিলে করোনা ভাইরাস মারা যাচ্ছে না কেন?

উত্তরঃ- সূরা পড়ে ফুঁ দিলে করোনা ভাইরাস মারা যাবার প্রধান শর্ত হল যাকে ফু দেয়া হবে তার বিশ্বাস থাকতে হবে ১০০ভাগ যে ফু দিবে তারও নূন্যত্তম ইমানদার হতে হবে।একবার বিজ্ঞানীরা মুসলিমদের পানি পড়ায় ক্যান্সার রোগ ভাল হওয়ায় ঐ পানি পরীক্ষাগারে টেষ্ট করে দেখে ঐ পানির মধ্যে অসংখ্য এমন ব্যাকটেরিয়া আছে যাদের কাজ হল- ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করা। ব্যাকটেরিয়া দিয়ে শুধু ক্যান্সারের কোষই না আপনার শক্ত দাত , হাড়কেও খেয়ে শেষ করে দিতে পারে।


B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-)) B-))

৭ বিলিওন মানুষের মাঝে ২ জন মানুষ পাওয়া যাবেনা যে ফু দিয়ে করোনা ভাইরাস সারাতে পারবে?

এই রকমের বিশ্বাসের কারনেই তো আমি বলেছিলাম আপনি আধুনিক বিজ্ঞানের ১% জানেন না। :((

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩১

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আরে ভাই ফু দেয়া তো দূরেই থাকল অধিকাংশ রোগীকে আল্লাহ শরীরের সাধারন ক্ষমতার দ্বারা এমনিতেই আরোগ্য করেছেন। আর আপনি বিজ্ঞানের এত কিছু যেহেতু জেনেই ফেলেছেন তাই প্রো পিকে বিজ্ঞানী নামটা যুক্ত করুন না অন্তত।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১৪

এ্যাক্সজাবিয়ান বলেছেন: চিন্তাবিদ মনে হয় প্রতিদিন গাধার সাথে জিং জিং করে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৩

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: কেন ? সবই কি মাথার উপর দিয়ে গেল ?

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১৮

সোনালি কাবিন বলেছেন: লকডাউনে পাবনা যাবার রাস্তা বন্ধ হওয়াই লেখকের জন্য কাল হল।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৪

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ভাই খুউব চ্যাতছেন মনে হয়।

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: প্রভু তুমি দেখা দাও। দেখা দিয়ে সমস্ত নাস্তিকদের আস্তিক বানিয়ে দাও।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৫

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: প্রভু দেখা দিলেই কি মানবেন?

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৩৯

শের শায়রী বলেছেন: ভাই ইসলাম নিয়া আপনার চিন্তা অনেকেরই দুশ্চিন্তার কারন হয়ে দাড়াচ্ছে এবং দাঁড়াবে। নির্ধিদ্ধায় যে জ্ঞান বিতরন করছেন কয়জন হজম করতে পারছে আমার সন্দেহ হচ্ছে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৫

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ইতিহাস সাক্ষী- অপ্রিয় সত্য সর্বদাই মিথ্যুকদের দুশ্চিন্তার কারন হয়ে দারিয়েছে। যে জ্ঞান বিতরন করছি তা বেশীরভাগ ধার্মীক আস্তিকরা সাপোর্ট করলেও নাস্তিকদের বদ-হজম হচ্ছে খুব তাই ইনশাহ আল্লাহ সামনে আনছি নাস্তিকদের জন্য স্পেশাল স্যালাইন।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:৫২

নগরবালক বলেছেন: জনাব আপনাকে জনৈক নাস্তিক যেই লেভেলের প্রশ্ন করে,আর আপনি যে লেভেলের উত্তর দেন, আমার জানতে ইচ্ছা করে ওই নাস্তিক কি খায়, আর আপনি কি খান। বস্তুটার জিনিশ সেই লেভেলের। সিনথেটিক নাকি ন্যাচারাল ব্রো?? পোড়ায়া ধোয়া নেন, নাকি সিরিঞ্জ দিয়া ডাইরেক্ট মারেন

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৮

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: আগে বলুনতো স্টিফেন হকিং কেন বাংলাদেশে আসে নাই ?

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০২

সোনালি কাবিন বলেছেন: @ নগর বালক, কি আর বলবেন? খেয়াল করলেই দেখবেন, ব্লগের সবচে জ্ঞানী ধর্মান্ধটাও চিন্তাবিদের গাঞ্জুট্টি চিন্তার প্রেমে পড়ে গেছে

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫০

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: তাই নাকি?

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৮

সোনালি কাবিন বলেছেন: ভাই, যদি নিরপেক্ষ মন থাকে আর ইংরেজিতে নিশ্চয় আপ্নি দক্ষ, তাহলে বিরোধীদের লেখা পড়ে দেখেন তারা যা বলছে তাতে সিংহভাগ যুক্তি আছে কীনা।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৩

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: ১মে আপনাকে যুক্তি চিনতে হবে, যুক্তিও কিন্তু দুই প্রকার- ১/ সঠিক যুক্তি ২/ ভুল যুক্তি বা কুযুক্তি। বিরোধীদের লেখা পড়তে পড়তে আর তাদের সিংহভাগ কুযুক্তি শুনতে শুনতে বাধ্য হয়ে প্রতিউত্তর লেখা শুরু করেছি।

১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৪

সোনালি কাবিন বলেছেন: আপ্নার কুযুক্তির সংগা জানা হয়ে গিয়েছে। আপ্নার ধর্মের পক্ষে যাবে না যএ যুক্তি সেটা কুযুক্তি এজন্যই সব ইংরেজি ট্রান্সলেটর ভুল, আর আপ্নার জাকির নায়েক উটপাখির ডিম সঠিক। কারণ বিজ্ঞান পরমাণ কইরালছে এইডা গোল। এক্টু বিবেক দিয়ে ভাবুন তো, যে পৃথিবীকে গোলই মনে করবে, সে বিছানার চাদরের মত সম্প্রসারণ করবে কেন.? বিছানা কি গোল? আর উপমা দিয়া যখন কথা কন, তখন গোল জিনিসের উপর কল্পনায় বিছানার চাদর বিছাইতে থাকেন?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৯

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: টোটাল পৃথিবী উটপাখির ডিম এর মত গোল হলেও আমাদের চারপাশকে বিছানার মত সমতল করেছেন যাতে মানুষ ও অন্নান্য সৃষ্টির চলাচল সুবিধা হয় আল্লাহ সুবঃ এখানে এটাই বুঝিয়েছেন, আর মাথামোটা নাস্তেক এটাকেও ভুল ভাবছে অনেকটা ছাত্র হয়ে শিক্ষকের ভুল ধরার মত।

১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৫

সোনালি কাবিন বলেছেন: এভোরে যে গতবাধা উত্তর দিসেন প্লিজ অইটা দিয়েন না। মুখস্থ বুলির মত কয়া যান জাকির সঠিক। আরে জাকিরের বহু আগে থেকেই বহুত তরজমা, টিরান্সলেশন হইসে। অকে? জাকির বহুত পরে আইয়া এক্কেরে গুপ্তার্থ বাইর কইরালছে!!

২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১২

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: জাকিরও বহু আগের তরজমা থেকেই বলেছে যারা আরবী ভাষাভাষি তাদের থেকেই বলেছে কিন্তু অনারবসহ অনেকেই কুরানের ভুল তরজমা করেছে তাদেরকে হাইলাইট করলে কুরানের ভুল প্রমান হয় ফলে নাস্তিকরা সেটাই বেছে নিচ্ছে।

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২১

সোনালি কাবিন বলেছেন: কুরআনের আয়াতকে নিয়ে জাকির নায়েক মনগড়া ব্যাখ্যা এবং জাহিলিয়াতিতে নাম্বার ১
.
======== =======
.
# ডাঃ_জাকিরের_কুরআনের_অর্থ_বিকৃতির
রহস্য কি..... ?
.
যেখানে দাহাহা(ﺩﺣﺎﻫﺎ ) শব্দের অর্থ সকল হাদীস,তাফসীর ও আরবী অভিধানে "তিনি তাকে বিস্তৃত করেছেন" করা হয়েছে,কোথাও "উটপাখীর ডিম" করা হয়নি, সেখানে ডাঃজাকির "দাহাহা( ﺩﺣﺎﻫﺎ "( অর্থ "উটপাখীর ডিম" কোত্থেকে আমদানি করল?
.
# প্রকৃত_পক্ষে_ﺩﺡﺍﻫﺎ _শব্দের_অর্থ_কি ?
.
দাহাহা(ﺩﺣﺎﻫﺎ ) শব্দে ﺩﺣﺎ হচ্ছে ক্রিয়া,ক্রিয়ামূল ﺩﺣﻮ অভিধানসমূহে এর অর্থ লেখা হয়েছে : ﺑﺴﻂ،ﻭﺳﻊ،ﻣﺪ তিনি বিস্তৃত করেছেন, বিচিয়েছেন, প্রলম্বিত করেছেন।
.
(দ্রষ্টব্যঃ লিসানুল আরব, ২২৭ পৃষ্টা/ আল ক্বামুসুল মুহীত, ৩৩২ পৃষ্ঠা/ লুগাতুল কোরআন ২৭৬ পৃষ্টা প্রভৃতি)
.
আর ﻫﺎ হচ্ছে ﺿﻤﻴﺮ ﻣﻨﺼﻮﺏ ﻣﺘﺼﻞ বা যুক্ত কর্মবাচক সর্বনাম।
.
অর্থঃ "তাকে" সব মিলিয়ে শব্দটির অর্থ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত আরবী বিশারদ আল্লামা আবু হাইয়্যান (রহ) বলে_____________
.
” ﺩﺣﺎﻫﺎ “ ﺑﺴﻄﻬﺎ ﻭﻣﻬﺪﻫﺎ ﻟﻠﺴﻜﻨﻲ ﻭﺍﻻﺳﺘﻘﺮﺍﺭ ﻋﻠﻴﻬﺎ
.
দাহাহা(ﺩﺣﺎﻫﺎ ) অর্থ --আল্লাহতা'লা পৃথিবীকে বসবাস ও অবস্থানের জন্য বিস্তৃত করেছেন এবং বিচিয়েছেন।
.
(আজওয়াউল বায়ান, ৩য় খন্ড,৪২২ পৃষ্টা)
.
এ আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুফাসসীর ইমাম আবুল ফিদা ইসমাঈল ইবনে উমর কাসীর (রহ.) বলেন____________
.
ﺗﻔﺴﻴﺮﻩ ﻣﺎ ﺑﻌﺪﻩ : ” ﺍﺧﺮﺝ ﻣﻨﻬﺎ ﻣﺎ ﺀﻫﺎ ﻭﻣﺮﻋﻬﺎ ﻭﺍﻟﺠﺒﺎﻝ ﺍﺭﺳﻬﺎ “
.
এ আয়াতের তাফসীর হচ্ছে পরবর্তি আয়াতদ্বয়: তিনি এর মধ্য থেকে নির্গত করেছেন তার পানি ও তার চারনস্থল এবং পাহাড়কে দৃঢ়ভাবে স্থাপন করেছেন।
.
(তাফসীর ইবনে কাসীর, ৮ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩১৬)
.
এ কথার ব্যাখ্যা করে রঈসূল মুফাসসীরিন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন________
.
” ﺩﺣﺎﻫﺎ ﻭﺩﺣﻴﻬﺎ ﺍﻥ ﺍﺧﺮﺝ ﻣﻨﻬﺎ ﺍﻟﻤﺎﺀ ﻭﺍﻟﻤﺮﻋﻲ ﻭﺷﻘﻖ ﻓﻴﻬﺎﺍﻻﻧﻬﺎﺭ ﻭﺟﻌﻞ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺠﺒﺎﻝ ﻭﺍﻟﺮﻣﺎﻝ ﻭﺍﻟﺴﺒﻞ ﻭﺍﻻﻛﺎﻡ ﻓﺬﻟﻚ ﻗﻮﻟﻪ “ ”_____ ﻭﺍﻻﺭﺽ ﺑﻌﺪ ﺫﻟﻚ ﺩﺣﺎﻫﺎ “
.
দাহাহা (ﺩﺣﺎﻫﺎ ) অর্থ__আল্লাহ পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন এর ব্যাখ্যা হলোঃ_____তিনি যমিনে পানি ও চারণক্ষেত্র নির্গম করেছেন এবং সেখানে নদী-নালা তৈরী করেছেন আর সেখানে পাহাড়সমূহ, উপত্যকাসমূহ, রাস্তাঘাট এবং তরিতরকারি ও ফল-ফলাদি সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কুরআনের বাণী__ “ ﻭﺍﻻﺭﺽ ﺑﻌﺪ ﺫﻟﻚ ﺩﺣﺎﻫﺎ ” দ্বারা এটাই বুঝানো হয়েছে।
.
(দ্রষ্টব্যঃ তাফসীর ইবনে কাসীর,৮ম খন্ড, ৩১৫ পৃষ্ঠা)
.
এভাবে হাদীস ও তাফসীরে (ﺩﺣﺎﻫﺎ ) দাহাহা শব্দের অর্থ "আল্লাহ পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন" করা হয়েছে। কোথাও "উটপাখীর ডিম" করা হয়নি।
.
(প্রমানের জন্য আরো দেখুনঃ তাফসীরে তাবারী,১৪ খন্ড, ২০৮ পৃষ্ঠা/ তাফসীরে বাগাবী, ৮ম খন্ড, ৩২৯পৃষ্ঠা/ তাফসীরে কাবীর, ৮ম খন্ড, ৪১৮ পৃষ্ঠা/ তাফসীরে ঈযাহুল কোরআন, ৯ম খন্ড, ৪২৪ পৃষ্টা প্রভৃতি)
.
কিন্তু কোথাও একথার উল্লেখ নাই যে,( ﺩﺣﺎﻫﺎ ) এর অর্থ "উটপাখীর ডিম"।
.
কিন্তু জাকির সাহেব নিজের থিউরি প্রমান করতে গিয়ে পবিত্র কোরআনকে বিকৃত করে মনগড়া অর্থ ও ব্যাখ্যা করে। এটা ডাঃ জাকিরের মূর্খামী ছাড়া নয়তো কি...?
.
জাকির নায়েক তাঁর বইতে বলেন, ১৫৯৭ সালে “স্যার ফ্রান্সিস ডেইকই”
.
প্রথম পৃথিবীর চারপাশে ভ্রমণের পর প্রমাণ করেন যে, পৃথিবী গোলাকার। আমি ফ্রান্সিস ডেইকই বলে কাউকে খুঁজে পাইনি।
তবে যিনি এই ইতিহাসখ্যাত নৌকাভ্রমণটি সম্পন্ন করেন, তিনি “ফ্রান্সিস ড্রেক”; সেটিও আবার ১৫৯৭ সালে নয়, ১৫৫৭ সালে। অনেকে ভাবতে পারেন, এটা ছোটখাটো ভুল। না, যে-ব্যক্তি কোরআন, গীতা, বাইবেলের কোথায় কোন কথা লেখা আছে, গরগর করে বলে দিতে পারে, তার পক্ষে এই ভুল কোনো ছোট ভুল নয়।
.
যাই হোক, এখানে তিনি এই আয়াতটি তুলে ধরেন:
.
"তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন? তিনি চন্দ্র ও সূর্যকে কাজে নিয়োজিত করেছেন।
.
প্রত্যেকেই নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত পরিভ্রমণ করে। তুমি কি আরও দেখ না যে, তোমরা যা কর, আল্লাহ তার খবর রাখেন?" (কোরআন ৩১:২৯)
.
‘আল্লাহ রাত্রিকে দিবসে প্রবিষ্ট করেন এবং দিবসকে রাত্রিতে প্রবিষ্ট করেন’ - এ থেকে বোঝা গেলো পৃথিবী গোলাকার। বড়োই হাস্যকর! ঠিক যেমন, ব্রাজিলে এক প্রজাপতি পাখা ঝাপটালো আর টর্নেডো তৈরি হল টেক্সাসে। জাকির নায়েক এখানে যে-যুক্তিটি তুলে ধরেন, তা হলো - রাত ধীরে ধীরে এবং ক্রমশ দিনে রূপান্তরিত হয়।
.
এ ঘটনা কেবল পৃথিবী গোলাকার হলেই সম্ভব। পৃথিবী চ্যাপ্টা হলে নাকি রাত দিনের এই পরিবর্তন আকস্মিক হয়ে যেত। জিনিসটা ক্লিয়ারলি বোঝা গেলো না। পৃথিবী চ্যাপ্টা হলে এই পরিবর্তন কেন আকস্মিক ঘটতো, তার ব্যাখ্যা জাকির নায়েকের কাছে জানতে চাই। তিনি এর পর এই আয়াতটি তুলে ধরেন:
.
"তিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যথাযথভাবে। তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং তিনি সুর্য ও চন্দ্রকে কাজে নিযুক্ত করেছেন প্রত্যেকেই বিচরণ করে নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত। জেনে রাখুন, তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাশীল।" (কোরআন ৩৯:৫)
.
এখানেও সেই একই যুক্তি, পৃথিবী গোলাকার না হলে নাকি রাতকে দিন দ্বারা ও দিনকে রাত দ্বারা আচ্ছাদিত করা সম্ভব নয়।
.
আমি জাকির নায়েককে Gods of Egypt মুভিটা দেখার অনুরোধ জানাবো। যেখানো পৃথিবী চ্যাপ্টা হওয়া সত্ত্বেও দিন রাতের পরিবর্তন সুষমভাবে (যেমনটা এখন হয়) হয়। এবং সম্পূর্ণ যৌক্তিক পদ্ধতিতেই। এখানে সেই কল্পিত দেবতা আর কোরআনের আয়াতের মধ্যে পার্থক্য নেই। এর পরের যে-আয়াত জাকির নায়েক উল্লেখ করেন, সেটি হলো:
.
"পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন।" (কোরআন ৭৯:৩০)
.
জাকির নায়েক এখানে বলেছেন, এই আয়াতে ব্যবহৃত আরবি শব্দ "দাহাহা" (ﺩَﺣَﺎﻫَﺎ ) অর্থ উটপাখির ডিম, যা দ্বারা কোরআনে পৃথিবীর আকার বোঝানো হয়েছে। অর্থটি এমন হলে ঠিকই ছিলো, কিন্তু দাহাহা নিয়ে ডাহা মিথ্যাচার করেছেন তিনি।
.
দাহাহা অর্থ উটপাখির ডিম নয়। দাহাহা অর্থ হলো বিস্তৃত করা বা ছড়িয়ে দেয়া।
.
ডাক্তার জাকির নায়েকের থিউরি “যদি তা বিজ্ঞানের সাথে মিলে, তাহলে বুঝে নিন–তা আল্লাহর বাণী”–এ থিউরি অনুযায়ী তো যে কেউ বিজ্ঞানের থিউরি অনুযায়ী কথা বানিয়ে তাকে ‘আল্লাহর বাণী’ বলে দাবী করতে পারে! কেননা, ডাক্তার জাকির নায়েকের থিউরি মতে তা আল্লাহর বাণী হওয়ার তো প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে, তা বিজ্ঞানের সাথে মিলেছে! তখন তার বানানো কথাকে আল্লাহর বাণী নয় বলবেন কী করে? (নাউযুবিল্লাহ)
.
আর বাস্তবেও ডাক্তার জাকির নায়েক এমন অপকীর্তিই করেছেন। তিনি (কুরআনের আয়াতের অর্থ বর্ণনায়) নিজের পক্ষ থেকে কথা বানিয়ে তাকে ‘আল্লাহর বাণী’ বলে দাবী করেছেন এবং তাকে আল্লাহর বাণী বলে প্রমাণ করতে তিনি তাকে তার কথিত বিজ্ঞানের সাথে মিল করে দেখিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)।
.
উদাহরণ স্বরূপ, পবিত্র কুরআনে সূরাহ নাযি‘আত-এর ৩০ নং আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন– ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﺑَﻌْﺪَ ﺫَٰﻟِﻚَ ﺩَﺣَﺎﻫَﺎ অর্থ–“আসমান সৃষ্টির পর আল্লাহ পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন”। কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক মনে করেছেন–কুরআনের এ আয়াত দ্বারা পৃথিবী সমতল হওয়া বুঝা যাচ্ছে–যা তার ধারণানুযায়ী বিজ্ঞানের সাথে মিলতেছে না। বিজ্ঞানের থিউরির সাথে মিলতে হলে এ আয়াতে পৃথিবীকে গোল বুঝাতে হবে।
.
তাই ডাক্তার জাকির নায়েক এ আয়াতের অর্থকে পরিবর্তন করে নিজের পক্ষ থেকে এ আয়াতের অর্থ বানিয়ে বলেন যে, এ আয়াতের অর্থ হলো–“He made the earth egg-shaped (আল্লাহ পৃথিবীকে ডিম্বাকৃতি করে সৃষ্টি করেছেন)।” এরপর মনগড়া তথ্য দিয়ে ডাক্তার জাকির নায়েক টিকা টেনে বলেন,
.
“The Arabic word ‘dahhaahaa’ is derived from ‘Dahhyah’ which means ‘egg’ ”
.
(এখানে আরবী ﺩَﺣَﺎﻫَﺎ (দাহাহা) শব্দ ‘দাহইয়া’ থেকে এসেছে যা ডিম বুঝায়)।” এভাবে ডাক্তার জাকির নায়েক বলেন যে, “ ﺩَﺣَﺎﻫَﺎ শব্দের অর্থ উটপাখির ডিম।
.
এখানে কুরআন বলছে, উটপাখির ডিমের আকৃতি হচ্ছে পৃথিবীর ভূ-গোলকীয় আকৃতির ন্যায়।”
.
(দ্রষ্টব্য : ডা. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ভলিয়াম নং ১, পৃষ্ঠা নং ৭৭ ॥ প্রকাশনায় : পিস পাবলিকেশন–ঢাকা)
.
ডাক্তার জাকির নায়েকের উক্ত বক্তব্যের ভিডিও-স্ক্রিপ্ট ইন্টারনেটের ইউটিউবে “Quran & Modern Science Conflict or Conciliation | Dr Zakir Naik” নামে রয়েছে।
.
এ ছাড়াও ডাক্তার জাকির নায়েকের উক্ত বক্তব্যের বাংলা ডাবিংকৃত ভিডিও ইউটিউবে “Bangla! Qur’an and Modern Science-Conflict Or Conciliation By Dr.Zakir Naik” নামে রয়েছে।
.
আসতাগফিরুল্লাহ, ডাক্তার জাকির নায়েক পবিত্র কুরআনের আয়াতের অর্থকে কীভাবে পরিবর্তন করে বিকৃত করে দিলেন! যেখানে আয়াতে বলা হয়েছে, পৃথিবীকে (বিছানার ন্যায়) বিস্তৃত বা সমতল বানানো হয়েছে, ডাক্তার জাকির নায়েক তাকে উল্টিয়ে বললেন, আয়াতে বলা হয়েছে, পৃথিবীকে ডিমের মতো গোল বানানো হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ)
.
এক্ষেত্রে মজার ব্যাপার হলো, ডাক্তার জাকির নায়েক যে কুরআনের আরবী কিছুই বুঝেন না, এখানে তিনি তার সেই জাহালাতের পরিচয় দিয়েছেন যে, এ আয়াতে যেখানে ﺩَﺣَﺎﻫَﺎ (দাহাহা) শব্দটি হচ্ছে কর্মপদের সর্বনাম যুক্ত অতীতকালের ক্রিয়াপদ–যার অর্থ–“তিনি তাকে বিস্তৃত করেছেন”, অথচ ডাক্তার জাকির নায়েক ﺩَﺣَﺎﻫَﺎ শব্দের অর্থ করেছেন–“উটপাখির ডিম”–যার কারণে এ ক্রিয়াপদটি বিশেষ্যপদ হয়ে যায় । বলা বাহুল্য, পৃথিবীর কোন অভিধানে এ শব্দের এ অর্থ নেই এবং আরবী ব্যাকরণ অনুযায়ী এ শব্দের এ অর্থ কখনো হতে পারে না।
.
তা ছাড়া এরপরের তিনটি আয়াতে পৃথিবীর বিস্তৃতির স্বরূপ ব্যাখ্যা করা হয়েছে–যার সাথে ﺩَﺣٰﻯﮩَﺎ (দাহাহা) অর্থ–“তিনি তাকে বিস্তৃত করেছেন”-এর মিল রয়েছে, কিন্তু এর সাথে উটপাখির ডিমের কোন সম্পর্ক নেই। সুতরাং ডাক্তার জাকির নায়েকের অর্থ এ্খানে কোনভাবেই খাটে না।
.
অথচ ডাক্তার জাকির নায়েক শুধুমাত্র তার ধারণা মতে কথিত বৈজ্ঞানিক থিউরির সাথে কুরআনের তথ্যকে মিলানোর নামে কুরআনের উপর এমন মারাত্মক হস্তক্ষেপ করে তার অর্থকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন। যা কুরআনকে বিকৃত করার শামিল।
.
কিন্তু আাসল ব্যাপার হলো, এভাবে অর্থ বিকৃতি করার কারণে ডাক্তার জাকির নায়েকের উক্ত তথ্য বিজ্ঞানের সাথে মিলার পরিবর্তে তা বিজ্ঞানের থিউরির বাইরে চলে গিয়েছে। কারণ, বিজ্ঞান পৃথিবীকে কমলালেবুর মতো গোলাকার বলেছে–যা উত্তরমেরু ও দক্ষিণ মেরুর দিকে কিছুটা চাপা এবং মধ্যভাগ স্ফীত। বিজ্ঞান পৃথিবীকে উটপাখির ডিমের মতো বলেনি–যা কিছুটা লম্বাকৃতির মসৃণ গোলাকার হয়ে থাকে।
.
অপরদিকে বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে পৃথিবীর গোলাকার হওয়া সাব্যস্ত হয় পৃথিবীর সামগ্রিক আয়তন বা বৃহৎ দুরত্বের বিবেচনায়। কিন্তু মানুষের দৃষ্টিসীমার মধ্যকার পৃথিবীর ছোট দুরত্বের অংশ বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে গোলাকার নয়, বরং তা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সমতল বলেই গণ্য হয়েছে। এ আপেক্ষিত তত্ত্বে মানুষের দৃষ্টিসীমার পৃথিবীকে বিজ্ঞান কুরআনের বর্ণনার মতোই বিছানার ন্যায় সমান্তরালে বিস্তৃত বলে উল্লেখ করেছে। অর্থাৎ বৃহাদাকার পৃথিবীর গোলাকারের সুদূর পরিধি ক্ষুদ্র দৃষ্টিসীমার ছোট দুরত্বে প্রকাশ পায় না। যে কারণে তখন তা সমান্তরাল বলেই গণ্য হয়।
.
এ ব্যাপারে বিজ্ঞানের বিস্তারিত তথ্য উইকিপিডিয়ার নিম্নোক্ত লিঙ্কে দেখুন–
.
https://bn.wikipedia.org/wiki/সমতল_পৃথিবী
.
বলা বাহুল্য, মানুষ সাধারণত খালি চোখে পৃথিবীকে বিস্তৃত ও সমতলই দেখে থাকে। আর আধুনিক বিজ্ঞানও মানুষের সাধারণ দৃষ্টিসীমার দেখা পৃথিবীকে সমতলই বলেছে। পবিত্র কুরআনের উক্ত আয়াতে মানুষের এ দৃষ্টিসীমার পৃথিবীর কথাই বলা হয়েছে যে, আল্লাহ পৃথিবীকে (বিছানার ন্যায়) বিস্তৃত করেছেন।
.
(দেখুন : তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৮ম খণ্ড, ৩১৬ পৃষ্ঠা)
.
সুতরাং এক্ষেত্রে কুরআনের সাথে বিজ্ঞানের কোন বিরোধ নেই। বিজ্ঞানের কথা কুরআনের মতোই রয়েছে। তাই এ নিয়ে মাথা নষ্ট করার কিছু নেই।
.
কিন্তু ডাক্তার জাকির নায়েক বিজ্ঞানের সাথে মিলানোর নামে মনগড়াভাবে কুরআনের অর্থকে পরিবর্তন করে কুরআনের সেই সঠিক তথ্যকে ভুল বানিয়ে দিয়েছেন এবং তাকে বিজ্ঞানেরও বিরোধী বানিয়ে ফেলেছেন।
.
এভাবে তিনি কুরআনের আয়াতকে উল্টিয়ে জাল কুরআন বানিয়ে মারাত্মক ফিতনার জন্ম দিয়ে মানুষকে গোমরাহ করার ব্যবস্থা করেছেন এবং বিজ্ঞান গবেষকদেরও হাসির খোরাক যুগিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ)।
.
অধিকন্তু শিউরে ওঠার মতো ব্যাপার হলো, ডাক্তার জাকির নায়েক উক্ত সূরাহ নাযি‘আত-এর ৩০ নং আয়াতের সেই অর্থ অর্থাৎ “He made the earth egg-shaped” এবং সেই সাথে তার বর্ণনাকৃত টিকা
.
“The Arabic word ‘dahhaahaa’ is derived from ‘Dahhyah’ which means ‘egg’
.
” এসব কালেক্ট করেছেন মিথ্যুক ভণ্ড নবী দাবীদার কুখ্যাত রাশেদ খলীফার কাছ থেকে–যিনি মূল কুরআন থেকে অনেক আয়াত ছাটকাট করে বাদ দিয়ে মনগড়া নতুন কুরআন তৈরী করেছেন এবং আল্লাহর থেকে ওহী পাওয়ার নামে বিভিন্ন আয়াতের মনগড়া অর্থ করেছেন (নাউযুবিল্লাহ)। উল্লিখিত অর্থটিও সেই ধরনেরই তার ভণ্ডামিপ্রসূত অর্থ। এভাবে জাকির নায়েকের বর্ণনাকৃত উক্ত অর্থ টিকাসহ হুবহু ভণ্ড নবী দাবীদার রাশেদ খলীফার বানানো অনুবাদে রয়েছে।
.
প্রমাণের জন্য রাশেদ খলীফার বানানো কুরআন সাইট থেকে তার উক্ত সূরাহ নাযি‘আত-এর ৩০ নং আয়াত
ﻭَﺍﻟۡﺎَﺭۡﺽَ ﺑَﻌۡﺪَ ﺫٰﻟِﮏَ ﺩَﺣٰﻯﮩَﺎ
-এর অর্থ দেখুন নিম্নবর্ণিত লিঙ্কে (৬ষ্ঠ লাইনে ডানে আরবী ও বামে তার অর্থ ও টিকা দেখতে পাবেন) :
.
http://submission.org/QI#79:25-46
.
দুঃখজনক যে, নির্ভরযোগ্য মুফাসসিরগণের শত শত সহীহ অনুবাদ ও তাফসীর থাকতে সেগুলো বাদ দিয়ে ডাক্তার জাকির নায়েক পবিত্র কুরআনের অর্থ করতে পথভ্রষ্ট ভণ্ড নবী দাবীদার কাফির রাশেদ খলিফার দারস্থ হয়েছেন এবং তার পথ ধরে কুরআনকে বিকৃত করে ফেলেছেন। এভাবে তিনি নিজেও পথভ্রষ্ট হয়েছেন এবং মানুষকেও পথভ্রষ্ট করেছেন।
.
এভাবে নানারূপ বিপথগামিতার মধ্য দিয়ে নানারূপ ভ্রান্ত মতবাদ সৃষ্টির ন্যায় ডাক্তার জাকির নায়েক বিজ্ঞানের দ্বারা কুরআনের সত্যতা যাচাইয়ের মনগড়া মতবাদ দ্বারা মহাফিতনার জন্ম দিয়েছেন। যা মানুষের ঈমানধ্বংসের মারাত্মক ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
.
ডাক্তার সাহেবের তাফসীর সংশ্লিষ্ট হাদীসের ব্যাপারে অজ্ঞতা এতটাই সীমাহীন যে, হাদীস ভান্ডার ও তাফসীরের মৌলিকত্ব পর্যন্ত পৌছার চেষ্টার বদলে মনগড়া ব্যাখ্যা করতে শুরু করেছেন।
.
ডাক্তার জাকির নায়েক
.
ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽَ ﺑَﻌْﺪَ ﺫَﻟِﻚَ ﺩَﺣَﺎﻫَﺎ ﺍﻟﻨﺎﺯﻋﺎﺕ 30 - )
.
এ আয়াতে কারীমা সম্পর্কে বলেন-এখানে ডিমের জন্য ব্যবহৃত শব্দ ‘দাহা ’। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল উটপাখির ডিম। উটপাখির ডিম জমিনের সাথে সাদৃশ্য রাখে।
.
তাই পবিত্র কুরআন বিশুদ্ধভাবে পৃথিবীর আকৃতির ব্যাখ্যা করছে। অথচ কুরআন নাযিলের সময় পৃথিবীকে (Flat) সমতল মনে করা হতো।
.
{ খুতুবাতে জাকির নায়েক , কুরআন আওর জাদিদ সায়েন্স-৭৩-৭৪ }
.
এখানে ডাক্তার সাহেব বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গিতে প্রভাবিত হয়ে , সেই সাথে পবিত্র কুরআনের মূল আলোচ্য বিষয় (তথা তাওহীদ ও রিসালত , আর বাকি প্রাকৃতিক বিষয়াদির আলোচনা প্রাসঙ্গিক মাত্র) না বুঝার কারণে পৃথিবীর আকৃতির বিশ্লেষণ করার জন্য আয়াতে কারীমা দিয়ে ভুল দলিল দিতে আয়াতের মনগড়া তাফসীর করেছেন।
.
কেননা , আরবী ভাষায়- ﺩﺣـــﻮ শব্দটি এবং তার মূল উৎস বিস্তৃত ও বিস্তীর্ণ করার অর্থ প্রদান করে। এই অর্থ হিসেবে ‘দাহাহা’- এর অনুবাদ ও তাফসীর হল
‘ পৃথিবীকে বিস্তৃত করা ও তাতে বিদ্ধমান বস্তু সমূহকে সৃষ্টি করা ’।
.
(দ্রষ্টব্য: তাফসীরে ইবনে কাসীর) এই শব্দটি ও তার মূল উৎস ‘ডিমের’ অর্থে আসে না।
.
বাংলা অনুবাদে তো বটেই, কোরানের ছ'টি স্বীকৃত ইংরেজি অনুবাদেও উটপাখির ডিমের কথা উল্লেখ নেই, সব অনুবাদেই বিস্তৃত করার কথা বলা হয়েছে। সব ইহুদি-নাছারাদের ষড়যন্ত্র!
.
তাই মুফাসসিরের জন্য বেশ কিছু শর্তাবলী রয়েছে। যেমন ,
.
১- কুরআনের সকল আয়াতের উপর দৃষ্টি থাকতে হবে।
.
২- হাদীসের ব্যাপারে থাকতে হবে অগাধ পান্ডিত্ব।
.
৩. আরবী ভাষা ও ব্যকরণ তথা নাহু , ছরফ, ইশতিক্বাক্ব, এবং অলঙ্কার শাস্ত্রে রাখতে হবে গভীর পাণ্ডিত্য।
.
ডাক্তার সাহেবের মধ্যে এ সকল শর্তের একটিও যথাযথভাবে পাওয়া যায় না। তার না আছে আরবী ভাষা ও আরবী ব্যকরণ সর্ম্পকে যথাযথ পারঙ্গমতা।
না আছে হাদিস ভাণ্ডারের উপরকোন সুগভীর পড়াশোনা।
আর আরবী সাহিত্য ও অলঙ্কার শাস্ত্রেও নন তেমন জ্ঞানী।
.
হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে-
.
ﻣﻦ ﻗﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺑﺮﺃﻳﻪ ﻓﺄﺻﺎﺏ ﻓﻘﺪ ﺃﺧﻄﺄ
.
অর্থ: যে ব্যক্তি কুরআনের তাফসীর কেবল নিজের জ্ঞান দিয়ে করে , তাহলে সে ঘটনাচক্রে সঠিক বললেও তাকে ভুলকারী সাব্যস্ত করা হবে। (তিরমিযি শরিফ-হাদীস নং-২৯৫২)
.
অন্য বর্ণনায় এসেছে যে,
.
ﻭﻣﻦ ﻗﺎﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺑﺮﺃﻳﻪ ﻓﻠﻴﺘﺒﻮﺃ ﻣﻘﻌﺪﻩ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺎﺭ
.
অনুবাদ- যে ব্যক্তি স্বীয় যুক্তি দিয়ে কুরআনের তাফসীর করে সে তার আবাস জাহান্নামকে বানিয়ে নিল।
.
{ সুনানে তিরমিযী , হাদীস নং-২৯৫১ }
.
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে কুরআন সুন্নাহর সঠিক জ্ঞান ধান করুক।। আমিন.....

১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৪

সোনালি কাবিন বলেছেন: সোনালি কাবিন বলেছেন: আপ্নার কুযুক্তির সংগা জানা হয়ে গিয়েছে। আপ্নার ধর্মের পক্ষে যাবে না যএ যুক্তি সেটা কুযুক্তি এজন্যই সব ইংরেজি ট্রান্সলেটর ভুল, আর আপ্নার জাকির নায়েক উটপাখির ডিম সঠিক। কারণ বিজ্ঞান পরমাণ কইরালছে এইডা গোল। এক্টু বিবেক দিয়ে ভাবুন তো, যে পৃথিবীকে গোলই মনে করবে, সে বিছানার চাদরের মত সম্প্রসারণ করবে কেন.? বিছানা কি গোল? আর উপমা দিয়া যখন কথা কন, তখন গোল জিনিসের উপর কল্পনায় বিছানার চাদর বিছাইতে থাকেন?
২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:০৯০

লেখক বলেছেন: টোটাল পৃথিবী উটপাখির ডিম এর মত গোল হলেও আমাদের চারপাশকে বিছানার মত সমতল করেছেন যাতে মানুষ ও অন্নান্য সৃষ্টির চলাচল সুবিধা হয় আল্লাহ সুবঃ এখানে এটাই বুঝিয়েছেন, আর মাথামোটা নাস্তেক এটাকেও ভুল ভাবছে অনেকটা ছাত্র হয়ে শিক্ষকের ভুল ধরার মত।.

## মাথাবিহীন আস্তেকে কয় কি

B-) B-)

১৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

সোনালি কাবিন বলেছেন: বহুত মজা পাইলাম। দিসে এক্টা ছাত্র শিক্ষক উপমা। রে বিদ্যাদিগগজ, এইটা কি ব্যাদে লেখা আছে যে ছাত্র কখনো শিক্ষকের চেয়ে বেশি জানতে পারবে না

১৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

সোনালি কাবিন বলেছেন: চেরি পিকিং এর জন্য আস্তেকদের সুনাম গোটা পৃথিবীতে

০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ২:২৬

ইসলামি চিন্তাবিদ বলেছেন: হে হে হে ! মাথামোটা নাস্তেক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.