নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীদের প্রশ্নোত্তর

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১


পর্ব-১৪


জৈনক নাস্তিকের প্রশ্নঃ- কুরানে আল্লাহ বলেন যে তিনি যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দিয়ে থাকেন যাকে ইচ্ছা গোমরাহী করে থাকেন। সুতারাং আমি নাস্তিক বা ভুল পথে রয়েছি সেটা তো আল্লাহই করেছেন সুতারাং আমার দোষ কোথায় ?

উত্তরঃ-কুরানে আল্লাহ দুই ধরনের শক্তির কথা বলেছেন যাতে বুদ্ধিমান মানুষ সন্তুষ্ট হয়, ১ম ধরনের শক্তি হল তাঁর ইচ্ছাশক্তি নির্ভর যা অনেকটা নিরপেক্ষ ধরনের । আর তাই আল্লাহর ইচ্ছাতেই যে কেউ ই পাপ কাজ করতে পারে এবং শয়তানও শয়তানি করতে পারে আবার কেউ ভাল কাজও করতে পারে কিন্তু যদি তিনি ইচ্ছা না করতেন তবে কেউ ই পাপ করতে পারত না । আর তাঁর এই ১ম ধরনের শক্তি্র কথাও কুরানে তিনি হতাশাগ্রস্ত দাওয়াতদানকারীদের এজন্য বলেছেন যেন তারা মানুষকে দাওয়াত দেবার পরও বেশীরভাগ মানুষ সুপথে না আসলে যেন হতাশ না হয় কেননা এসব তাঁর সেই নিরপেক্ষ ইচ্ছাতেই ঘটে তিনিই মা্নুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন এমন ভাবে যে কেউ যদি তাঁর বিরুদ্ধেও লাগে তবে সেটা করার জন্যও পথ তৈরী করে রেখেছেন, তার মানে দ্বারাল ১ম শক্তির বলে কেউ পাপ করলে সেটিও কিন্তু তিনিই করাচ্ছেন কেননা তাঁর ইচ্ছা না থাকলে তো আর কেউ করতে পারত না । আর ২য় ধরনের শক্তি যেটাতে তিনি নিরপেক্ষ নন বরং একটি পক্ষ নিয়েছেন আর এই ধরনের রহমতের শক্তির কারনে তিনি মানুষকে ভাল পথে আকৃষ্ট করার ব্যাবস্থা করেছেন তুলনামূলক বেশী এবং পূন্যের পরিমানও দশগুন করেছেন কিন্তু পাপের ক্ষেত্রে তা শুধু একটি, আবার মাফ চাইলেও খুব দ্রুত মাফ পাওয়া যায়। এখন প্রশ্ন হল তিনি পাপ করতে দেন কেন ? কারন পরীক্ষা করা। যদি প্রশ্ন করা হয় পরীক্ষা করার দরকার কি বা সৃষ্টি না করলেই হত ? হ্যাঁ এমনও এক সময় ছিল যখন কোন সৃষ্টিই ছিল না এবং আবারও এমন হবে কিছুকালের জন্য কিন্তু তখন তো কোন প্রশ্নকারিও থাকবে না। আর কোন কিছু সৃষ্টি করলেই তা অবশ্যই জোড়ায় জোড়ায় হবে কখনও শুধুই ভাল বা শুধুই খারাপ এমন সৃষ্টি করবেন না, আর কেন তা করবেন না বা তার দ্বারা কি ধরনের ভারসম্য রক্ষা করবেন তা সম্ভবত নাস্তিকদের মাথায় কখনও খেলবে না।
পাল্টা প্রশ্নঃ- আপনি যা বললেন তা কি কুরান-হাদিস থেকে বলেছেন নাকি নিজস্ব যুক্তি?
উঃ-আমি যে যুক্তি-ব্যাখ্যার অবতারণা করেছি তা কুরান ও হাদিস সম্মত আর সব আলেমই তা জানেন আর তার সঠিক উদাহরন হল- কোন পিতা তার ছেলেদের মাঝে বা কোন রাজা তার সৈন্যদের মাঝে যদি তাদের সামর্থের সীমারেখা তৈরী করে একটি খেলার আয়োজন করে যে সেই খেলায় তারা ভাল বা খারাপ দুটোই করতে পারবে আর ভাল করলে পূরস্কার আর খারাপ করলে সাস্তি পাবে আর তারা যাই করুক পিতা বা রাজার দৈহিক কোন ক্ষতি করতে পারবে না শুধুমাত্র সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট হবে( অনুরুপ মানুষ পাপ পূন্য যাই করুক এতে আল্লাহ সুবহানা তায়ালার কোন ক্ষতিই হয় না যা হবার নিজের সাথেই হয়, এরকম বর্ননা কুরানে আছে খুজে দেখুন) । তাহলে উক্ত খেলায় কেউ খারাপ করলে তাদের সাস্তি দিলে কি তা রাজার দোষ হবে ? বা ঐ খেলার আয়োজন করার জন্যে কি দোষ দেয়া যাবে যদি সেচ্ছায় তারা নিজেরাই খেলায় অংশ নেয় ? মানুষ দুনিয়াতে আসার পূর্বে নিজের ইচ্ছাতেই সে মানুষ হতে চে্যেছে জোড় করা হয়নি সে পশু পাখি হলে তার সাস্তির সম্ভাবনা থাকত না যদিও আমাদের সেই ইচ্ছার কথা আমরা মনে করতে পারি না কারন আমরা দুনিয়াতে মস্তিষ্কের সৃতির মাঝেই সীমাবদ্ধ।
পাল্টা প্রশ্নঃ- খেলার আয়োজকের ইচ্ছায় এক দল জিতবে আর এক দল পরাজিত হবে আয়োজন কারীর ইচ্ছা না থাকলে কেউ খেলতেই পারত না সুতারাং আয়োজকের একধরনের ইচ্ছায় এক দল পরাজিত হয়েছে সুতারাং এখানে কি ঈশ্বরও দায়ী নয়?

উঃ- খেলার আয়োজকের ইচ্ছায় এক দল জিতবে আর এক দল পরাজিত হবে আয়োজন কারীর ইচ্ছা না থাকলে কেউ খেলতেই পারত না সুতারাং আয়োজকের একধরনের ইচ্ছায় এক দল পরাজিত হয়েছে এটা বলা গেলেও কোন পাগলও তো মনে হয় বলবে না যে পরাজিত দলের জন্য আয়োজকও দায়ী। এখানে দেখতে হবে খেলা আয়োজন করার পর আয়োজক সব ব্যাবস্থা করে তারপর নিরপেক্ষ থেকেছে কিনা ? আল্লাহর ইচ্ছাতে পরাজিত বা পথভ্রষ্ট হয়েছে কিন্তু আল্লাহ সুবহানা তায়ালা কাউকে পরাজিত বা পথভ্রষ্ট করতে একপক্ষ অবলম্বন করেননি এমনকি তিনি শুধুমাত্র খেলার আয়োজক হয়ে শুধু নিরপেক্ষ থেকেই ক্ষান্ত হননি বরং মানুষকে এক্সট্রাভাবে ভাল কাজের দিকে ধাবিত হবার ব্যাবস্থাই বেশি করেছেন। এর পরও আপনি না বুঝলে আমি আর সময় নষ্ট করব না।

নাস্তিকঃ- অন্য ধর্মের মানুষেরা যখন ধর্মের শিকল ছিঁড়ে সামনের দিকে আগায় ইসলাম তখন সবাইকে নিজেই ১৪০০ বছর আগের মরুভূমিতে ফেরত যেতে চায়।
আস্তিকঃ-সব ব্যাপারেই কিন্তু সামনের দিকে আগানো জিনিসটা মোটেই ভাল জিনিস না। যেমন ধরা যাক , ১জন সন্ত্রাসী পূর্বে ১০জনকে খুন করেছিল , বর্তমানে সে আরো আধুনিক হয়ে সামনের দিকে এগিয়েছে কারন সে বর্তমানে ১০০ জনকে আধুনিক কায়দায় হত্যা করেছে । ঠিক একই ভাবে বলা যায় পূর্বে মানুষ বাচত বেশীদিন , গাছপালা প্রাকৃতিক সম্পদ ছিল বেশী এবং সব জিনিসই সুস্বাধু ছিল কিন্তু এখন মানুষ সামনে এগিয়েছে গাছপালা কেটে প্রকৃতির ভারসম্য নষ্ট করে কৃত্রিম হাজার প্রকারের ফুড তৈরী করেছে কিন্তু স্বাধ নেই একটিরও আর মানুষের গড় আয়ু আধুনিক হবার কারনে আরো কমছে । এই হল সামনের দিকে এগোনো তাছারা মানুষ জাতির আরও সামনে আগানোর খারাপ উদাহরন হল আগের যুদ্ধে মানুষ মরত যা এখনকার এটম বোমার যুদ্ধে নিরিহ লোকসহ, পশু গাছপালাও রেহাই পাচ্ছে না । উদাহরনস্বরুপ- এক বাচ্চা ছাদের উপর খেলতে খেলতে আরো সামনে এগুতে চাচ্ছে কিন্তু সামনে আর ছাঁদ নেই কিন্তু বাচ্চা ছেলে তো তা বুঝবে না সে সামনে এগুবেই , তাই পেছন হতে যেভাবে তার বাবা তাকে ফেরত নিতে চাইছে ঠিক সেভাবেই অবুঝ মানুষকে স্রষ্টা ধর্মের মাধ্যমেই আধুনিকতার নামে সামনে আগানো ঐ বাচ্চার মতই পরে গিয়ে মরার হাত হতে বাচাতে পেছনে ডাকছে ।

নাস্তিকঃ- জীবরাইল ওহী নিয়া আসতে এই দুনিয়ার কেউ দেখেনাই, তবুও মুহম্মদের চাপাবাজি বিশ্বাস করে???
আস্তিকঃ- যদিও জীবরাইল আঃ কে অনেক সাহাবী দেখেছিলেন , তবু কথা হল- নাস্তিকরা যেভাবে এককোষী হতে বান্দর জাতীয় কিছুতে এর পর মানুষে রুপান্তরিত হতে কোন টাইম মেশীনে করে গিয়ে অতীতে দেখে আসেনি এমনকি বর্তমানে এই ধরনের বিবর্তনের কোন প্রমান স্বচোক্ষে প্রত্যক্ষ্য করেনি অথচ শুধুই কিছু লজিক্যাল প্রমান ও চিন্তাভাবনারা দ্বারা এবং কিছু কিছু ফসিল দেখে(যদিও এটার দ্বারা প্রমান হয় না) এতবড় একটি সিদ্ধান্তে পৈছে যে মানুষের মত একটি প্রানীর পেছনে একসময় লেজ ছিল । ঠিক আমরাও অনেকটা সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই জিবরাইল এবং আল্লাহ সুবঃ স্বচোক্ষে না দেখেও কিছু কিছু বাস্তব সম্মত প্রমানের উপর ভিত্তি করে বিশ্বাস করি । যেমন- নবী সাঃ জীবনে কখনই মিথ্যে বলেননি তা তার বিরধীরাই বলেছে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.