নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীদের প্রশ্নোত্তর

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৩



পর্ব-১৬
নাস্তিকঃ- চাঁদের যে নিজস্ব আলো নেই সেটা আসলে কুরানে উল্লেখই নেই , যদি উল্লেখ থাকত তবে অবশ্যই আল্লাহ সরাসরি সূর্য্যের প্রতিফলিত আলোই বলতেন শুধুই মুনির বলতেন না।
আস্তিকঃ- সরাসরি বলেন নাই সূর্যের প্রতিফলিত আলো কারন আল্লাহ সুবহানা তায়ালা মহা জ্ঞানী - আপনাদের কথার আসল তাৎপর্য এই যে কেন কুরানে বিশ্বের সব কিছুই পাই টু পাই বিস্তারিত বলা হল না ? আসলে কুরান এ সবকিছুরই মুল থিম বা সুত্র , যা এমন ভাবে বর্ননা করা হয়েছে বা কোরআনের ভাষা এমনভাবে এসেছে যে লেখাপড়া না জানা অতিব মুর্খ মানুষের কাছেও যেনো সহজে বোধগম্য হতে পারে। কারন আল্লাহ সুবহানা তায়লা বানী প্রেরন করেছেন সবার জন্যই , তাই শুধু জ্ঞানীদের জন্য তিনি কুরান নাজিল করলে মুর্খদের কাছে তা হত দুর্বধ্য , কিন্তু মুর্খরা বুঝলে জ্ঞানীদের তা দুর্বধ্য হবে এমন না । তাই অতি সাধারন কিছু শব্দের মাঝে এতকিছুর সুত্র তিনি একসাথে এমনভাবে বর্ননা করেছেন যে তা জ্ঞানীরা ঠিকই ধরতে পারে , আবার মুর্খদের উদ্দেশ্যে এও বলা আছে যে , তোমরা না জানলে যে জানে বা বুঝতে পারে তার কাছে জিজ্ঞাসা কর । সুতারাং এখানে মুনির ঠিক সেই ধরনেরই শব্দ। মুর্খ জ্ঞানী উভয়ের বুঝার জন্যই আল্লাহ সংকুচিত শব্দ ব্যাবহার করেছেন। আল্লাহ সুবহানাতায়ালা মুনির বলায় মুর্খ জ্ঞানী উভয়ের জন্যই বুঝা সহজ হয়েছে আবার অল্প শব্দে বিস্তারিতও বলছেন । আর যাদি আপনাদের দাবী অনুযায়ি কুরানে পাই টু পাই সব যুগের প্রচলিত ভাবানুযায়ি কুরান রচনা করা হত তবে এই কুরান পৃথিবীর স্থলভাগ শুধু নয় জলভাগেই আটানো সম্ভব হত না , তখন মানুষ পড়বে আর কি ? এত বড় স্রষ্টার বানী মানুষ দেখেই বেহুশ হয়ে যেত । যেহেতু মানুষ বুদ্ধিমান প্রানী তাই তাদের কাছে এতবড় প্রসারিত বিষয় সুমহকে তিনি সংকোচিত করে মাত্র ছয় হাজারের বেশী বাক্যে প্রকাশ করে আল কুরানের অলৌকিকতাকেই তুলে ধরছেন যা আপনারা বদ্ধমনে বুঝতে অক্ষম।তাছারাও কুরান হল মুল থিম বা সুত্রের মত আর হাদিস হল সেই থিমেরই আরেকটূ বিস্তারিত আলোচনা এরপরই আছে আরো বিস্তারিত বা তফছির বা ব্যখ্যা যা কিছুটা ভুলও হতে পারে কিন্তু কুরান হাদিসের ভুল নেই।
নাস্তিকঃ- আমরা ইন্টারনেটে শুধু ইংলিশ ট্রান্সলেট কুরানই পড়ি না বরং বাসায় বাংলা অনুবাদের কুরানও পড়ি এবং পড়ে খুব ভালভাবেই বুঝতে পারি যে কুরান কত ভুল আর অসংগিতে ভরপুর একটি গ্রন্থ।
আস্তিকঃ- কুরানকে বুঝতে হবে আরবী দিয়েই যেভাবে ইংরেজি কবিতাকে বুঝতে হয় ইংরেজি দিয়েই ? নচেত সরাসরি বংগানুবাদ করলে অনেক ভুল হবে।
কবিতার অনুবাদ যেমন ভাষান্তর সম্ভব নয় ঠিক তেমনি মহাগ্রন্থ আল কুরান রুপক এবং কাব্যময় হওয়ায় ভাষান্তর সম্ভব নয় । আবার সব ভাষারই একটা নিজস্ব বৈশিষ্ট আছে ফলে সরাসরি অনুবাদ যদি সম্ভবই হত তাহলে ট্রান্সলেটর সফটওয়ার দ্বারাই সব ভাষা ডাইরেক্ট অনুবাদ করা যেত, ভাষায় অনার্স করার আর কারও দরকার হত না । তাই কুরান হাদিস যদি কেউ সরাসরি ভাষান্তর করে তবে অবশ্যই আসংখ্য ভুল হতে বাধ্য ।যার ফলে পশ্চিমারা ইংরেজিতে অনুবাদ করে ভুল অর্থ করে অনেক ভুল ধরেছে বোকার মতন আর তাদের ধরা ভুল দেখে পাতি নাস্তিকরা আরও ভুল বুঝে । একারনেই ১ম দিকে কোন মুসলিম আলেম বাংলায় কুরানের অর্থ করতে সাহস পায় নাই কিন্তু ১ম বাংলা করল একজন হিন্দু। যেকারনে বাংলা কুরানে অনেক ভুল আছে যা কিনা অনুবাদজনিত কারনেই হয়েছে কিন্তু কুরানের ভুল না । খুবই উন্নতরুপে
ভাষান্তর করলে ৯০ ভাগ সঠিক হতে পারে তবে সেটা অনুবাদকের আরবী জ্ঞান অনুযায়ি । তবু ১০০ ভাগ সম্ভব নয় । আর যেগুলো নিয়ে বেশিরভাগ বিতর্ক বাধে, দেখা গেছে সেগু্লোতেই অনুবাদক না বুঝেই ভুল অ্থ করেছে । আপনি ডাক্তার বা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে আপনাকে ইংলিশ মিডিয়ামে তা হতে হয় আর কুরানের বেলায় যা ইচ্ছা তাই, অনুবাদ আর চটি বই পড়ে কুরান বুঝতে চান? ভুল তো পাবেনই।
নাস্তিকঃ- আল্লায় কোন নবী বানায় না ... নবী বানায় মানুষে ।
আস্তিকঃ- মানুষই যদি বানাত তবে বেশীরভাগ মানুষই তাকে অস্বিকার করেছিল মারারও স্বরযন্ত্র করেছিল , আর যারা তার বিরোধিতা করেছিল তারা সবাই ক্ষমতাধরও ছিল অথচ তার যেসব অনুসারি জুটেছিল তাদের সংখ্যা যে শুধুই কমই ছিল তা নয় বরং অসহায়ও ছিল । এতেই প্রমান হয় আল্লাহ সুবাহানাতায়ালাই সাহায্য করেছিল ।
নাস্তিকঃ- সহজ পদ্ধতিতে নবী হতে চাইলে ... নতুন কাহিনী না বলে .... যে টা সবচেয়ে বেশী প্রচলিত ... ঐ ধর্মের কাহিনীটাই একটু ঘষামাজা করে ... দুই একটা শব্দ এদিক ওদিক করে ... ( ঐ ধর্ম বিকৃত হয়েছে দাবী করে) নতুন করে ..তা সমাজে প্রচার করতে হয়।
আস্তিকঃ- আপনি দেখি ইসলাম বিরোধী লেখা পড়ে ইসলাম সম্পর্কে খুব সাধারন নলেজটুকুই নিতে পারেন নি । আপনার জানা নাই যে তখনকার প্রচলিত কুসংস্কার মুলক ধর্মের বেশিরভাগেরই তিনি বিরোধীতা করেছিলেন এমনকি যেসব কিছুর উপর তাদের ধর্ম দ্বারিয়ে থাকত তার প্রায় সবগুলোরই চরম বিরোধীতা করা হত আল্লাহর হুকুমে । আপনাদের মতে ঐ ধর্মের কাহিনীটাই একটু ঘষামাজা করে ... দুই একটা শব্দ এদিক ওদিক করে নতুন ধর্ম আনলে কেউ এমন বিরোধিতা করত না বরং ইহুদি খ্রিষ্টানরা যেমন মক্কা মদিনার মুশরেকদের পাশাপাশি থাকত তেমনি ইসলামের পাশেও থাকত আর সকলেই সাহায্য সহযোগিতাই করত। কিন্তু বাস্তবতা হল তাকে আর তার সাথীদেরকে শেষ করে দেয়ার জন্যই নবী-সাহাবীরা হিজরত করেছিল আর তা করেছিল আল্লাহ সুবহানাতায়ালারই হুকুমে ।
নাস্তিকঃ- ভন্ড মানুষই নবী দাবী করে যুগে যুগে সহজ সরল মানুষদের বোকা বানিয়ে সমাজে উচু স্থান করে আছে । তারা কিছু ব্যাবিলনীয় মিথোলজির কথা আর গ্রীক, ইহুদী-খ্রিষ্টানদের ধর্ম-গ্রন্থ পড়ে নতুন ধর্ম বানিয়ে নিজেদেরকে নবী প্রচার করত।
আস্তিকঃ- আপনার এই ধারনাটা বোকামীসুলভ এবং মোটেও তথ্যনির্ভর নয় । কারন আমাদের নবীর পরেও অনেকে ভন্ড নবী দাবী করেছে অতীতেও করেছে কিন্তু আল্লাহ সুবহানা তায়ালা তাদের বেশী দিন টিকিয়ে রাখেন নি । কিন্তু যারা ছিল সত্যিকারের নবী তাদের ধর্মানুসারিরাই আজ বিশ্বে প্রধান ধর্ম এর অন্তর্ভুক্ত যেমন- মুসলিম , খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ , সনাতন এবং ইহুদিরা । যুগে যুগে ভন্ডদের আবির্ভাব অবশ্যই হয়েছে তবে তা ক্ষনিকের জন্য তারা বেশীদিন টিকতে পারেনি উদাহরন স্বরুপ আপনি হিটলারের মত অত্যাচারী শাষককেও গন্য করতে পারেন।
আপনি মিথ্যা মিশ্রিত ইতিহাস পড়ে বিবর্তিত ব্যাবিলনীয় মিথোলজি আর ইহুদী-খ্রিষ্টানদের ধর্ম-গ্রন্থ বিশ্বাস করেন কিন্তু যে কুরান ১৪০০ বছরেও বিকৃত হয় নাই তার কথায় বিশ্বাস আসে না আবার বলছেন মহাম্মদ সা এসব পড়েই তো কুরানে লিখছে...যিনি কিনা লিখতে পড়তেই জানতেন না।যুগে যুগে আপনাদের মত নাস্তিকদের কথার উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্যই নবী সা কে আল্লাহ পাক নিরক্ষর বানিয়েছেন্‌। আবার ভাবেন না যেন নিরক্ষর ও মুর্খ এক জিনিস...
নাস্তিকঃ- আল্লাহ কেন আল্লাহ ও তাঁর রসুলের আদেশ মত চলতে বললেন , কেন বললেন না তোমরা শুধু আমার কথাই শুনো ? সুতারাং বুঝাই যায় আল্লাহ আর রসুল একই ব্যাক্তি সুতারাং সব ভন্ডামি।
আস্তিকঃ- ১মত বলি আল্লাহ সুবঃ যেহেতু পরীক্ষা করছেন এবং পাশাপাশি নিরপেক্ষ থাকতে মানুষকে সাহায্যও করছেন তাই তিনি সরাসরি মানুষের সামনে আসেন না এবং সরাসরি কথাও বলেন না কিন্তু তিনি রসুলদের মাধ্যমে বার্তা প্রেরন করেন । আর রসুল অর্থ সংবাদপ্রেরক । এবার একটি উদাহরন দেই- ধরুন আপনি ১টি রাজ্যের রাজা । এখন কোন এক দুরবর্তী এলাকায় শত্রুদের আক্রমন ঠেকাতে সৈন্য পাঠানোর পূর্ব হতেই যাতে সেই এলাকার জনগন অনেকটাই সুরক্ষিত থাকতে পারে তাই আপনি সেই এলাকার লোকজনের কাছে এক সংবাদপ্রেরককে পাঠালেন এজন্য যে পুর্ব হতেই নিজেরাই যেন সামরিকভাবে প্রস্তুত থাকতে পারে এবং সংবাদ পত্রে উল্লেখ করলেন - তোমরাও সৈন্যদের সংগে যুদ্ধ করবে এবং এর পুর্বেও যাতে নিজেরদের রক্ষ্যা করতে পার সেজন্য আমি আমার এক এমন বার্তাপ্রেরক সেনা প্রধানকে তোমাদের কাছে প্রেরন করলাম যে কিনা যুদ্ধবিদ্যায় খুবই পারদর্শী । সে তোমাদের প্রশিক্ষন দিবে । তাই আমি যা যা বললাম এবং আমার বার্তাপ্রেরক তোমাদের যা আদেশ করে তোমরা তা যদি ভালভাবে মান তবে আমি তোমাদের পূরস্কিত করব । এবার আপনিই বলুন আপনি কি বলতে পারবেন যে সেই রাজা আর বার্তাপ্রেরক একই ব্যাক্তি বা বার্তাপ্রেরক ভন্ডামি করতে তাদের প্রশিক্ষন দিতে চাচ্ছে ?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.