নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীদের প্রশ্নোত্তর

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৬


পর্ব-১৭
নাস্তিক :- কোন ধর্মই মানুষকে খাটি মানুষ হতে বলে না, খাটি মানুষ হতে গেলে ধর্ম বর্ণ জাতিভেদ ইত্যাদির উর্দ্ধে উঠতে হবে। ধর্ম বর্ণ নিয়ে পড়ে থাকব , আবার আশা করব সমাজ উন্নত হবে , দূর্নীতিমুক্ত ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে - সেটা অমাবশ্যার চাঁদের মতই ব্যপার।
উত্তরঃ-একমাত্র ইসলাম ধর্মই কাউকে সত্যিকারের মানুষ বানাতে পারে। আর খাটি মানুষ হতে গেলে বর্ণ জাতিভেদ ইত্যাদির উর্দ্ধে উঠতে হবে। আর এগুলোর উর্দ্ধে কেউ তখনি উঠতে পারবে যখন তার মাঝে ধর্মীয় শিক্ষা থাকবে অর্থাৎ ধার্মিক হবে। কেউ যদি খাটি মানুষ হতে চেয়ে ধর্ম এর উর্দ্ধে উঠতে চায় তবে সে হয় ধর্মহীন উদাহরণসরুপ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভংগি হতে ধর্মহীন কোন বস্তুকে আমরা যেমন অপদার্থ বলে আক্ষায়িত করি অনেকটা তেমনি । এখন প্রশ্ন হল দুনিয়ায় অনেক ধর্ম রয়েছে এখন সব ধর্মই বলে আমরা সঠিক অন্যরা ভুল বা অধার্মিক তবে এক ধরনের সমস্যা থাকে কিন্তু সমাধানও আছে। এখন কিছু সমস্যা থাকবে বলেই তো আর পুরো ব্যপারটাকে ইগনোর করা ঠিক হবে না। যেমন- ঐষধ খেলে আপনার রোগ সারার পাশাপাশি কিছু ক্ষতিও হবে সাইড ইফেক্ট হিসেবে তাই বলে তো আর আপনি রোগকে জিইয়ে রেখে ঐষধ খাওয়াই পরিত্যাগ করতে পারেন না। অনেক ধর্ম যেহেতু বিকৃত বা ভেজাল হয়েছে তাই সবগুলো ধর্মই ভেজাল ও ভ্রান্ত? আপনাকে সহজ ১টি প্রশ্ন করি বাজারে যে জিনিসটির ভেজাল বের হয় সেটা দেখে কি আপনা এই বিশ্বাস জন্মাবে যে , ঐ জিনিস বলতে যত পন্য আছে সবই ভেজাল? বরং ভেজাল যেটার আছে খাটিও সেটার আছে বরং খাটি জিনিসটি আগে বের হবে, জনপ্রিয় বেশী হলেই ভেজাল টা বেরোয় পরে। ভেজাল দেখে যে বলবে খাটি জীবনেও ছিল না সে আসলে গরু। আর বুদ্ধিমানরা ভেজাল দেখে বলবে তবে খাটি কোনটা? কিন্তু নাস্তিক বলদরাই কেবল বলে-আহ হা ! তাহলে খাটি বলতে এই জীবনে কিছুই নেই…ভুল …সবই ভুল…ভুল সবই ভুল।ধর্ম ছেরে যারা উন্নত হয়েছে সেসব বিশ্বের অভ্যন্তরে একটু তাকান তারা কি সত্যিকারের দূর্নীতিমুক্ত ন্যায় ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত করেছে ? নাকি এইডস রোগের ছরাছরি , নগ্নতা অশ্লীলতা, প্রত্যহ দাংগা হাংগামাসহ পর পর দুটি বিশ্ব যুদ্ধে কোটি কোটি মানুষের নেয়া সহ সীমাহীন ভোগবিলাসের ফলে সুসাইডেড হয়ে জীবন দিচ্ছে। তারা শুধু টেকনোলজিতে এবং বস্তুগত উন্নতি সাধন করেছে মাত্র কিন্তু এগুলো সত্যিকারের শান্তি বয়ে আনবে যখন মানুষগুলো ধার্মিক হয়ে ভাল হবে কেননা এসকল কিছু তো মানুষই পরিচালনা করে আর তাদেরই যদি কোন ধর্ম না থেকে থাকে অথবা হয় বিকৃত ধর্মের অনুসারি তবে কখনও এসব কিছু শান্তি আনতে
পারবে না।
নাস্তিক :- রবীন্দ্রনাথ তাঁর 'কালান্তর' প্রবন্ধে বলেছেন, "যুক্তি আছে বলে বিশ্বাস করি এটা কম ক্ষেত্রেই, বরং বিশ্বাস করি বলেই যুক্তি জুটিয়ে আনি এটাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে।"
উত্তরঃ-এটা তো নাস্তিকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য আর সৃষ্টি যেহেতু আছে তাই স্রষ্টাও থাকবেন এটাই যৌক্তিক বিশ্বাস।
নাস্তিকঃ-এটা নাস্তিকদের জন্য প্রযোজ্য তা মোটেই ঠিক নয়। কারণ নাস্তিকরা কোনো কিছু অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করে না। নাস্তিকরা বিজ্ঞানে আস্থাশীল। আর বিজ্ঞান বাস্তব কর্মকান্ডের জ্ঞান- কোনো ভাব কল্পনার স্থান এখানে নাই। বাস্তবতা বিশ্বাস নিরপেক্ষ।
"সৃষ্টি যেহেতু আছে তাই স্রষ্টাও থাকবেন", কিন্তু মহাবিশ্ব যে সৃষ্টি হয়েছে তার প্রমাণ কী?
উত্তরঃ- নাস্তিকরা বিজ্ঞানে বিশ্বাসি বলেই অন্ধ বিশ্বাসি। কারন বিজ্ঞান ১মে অজানা কোন কিছুকে একটা কিছু হবে ভেবে ১মে থিউরী দেয় অতঃপর সে তার জীবদ্দশায় অথবা পটল তোলার পরে অন্য কেউ হয় ভুল প্রমান করে অথবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সঠিক প্রমান হয়। এরপূর্বে অন্ধ বিশ্বাসই থেকে যায় অথচ নাস্তিকরা এর উপরই বিশ্বাস করে কর্ম সম্পাদন করে যায় যেমন- বিজ্ঞানীরা যখন পরীক্ষা করে ঘোষনা দিল- ডিম হাফ বয়েল করে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল তখন নাস্তিকরা অন্ধ বিশ্বাসি হয়ে গো-গ্রাসে তাই খেতে লাগল অতঃপর পরিক্ষার যন্ত্রপাতি যখন আরো উন্নত হল তখন বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে ঘোষনা দিল- ডিম হাফ বয়েল করে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল না , তখন তারা তাই করতে লাগল অথচ মুমিনরা পূর্ব হতেই এমন করত। আর বিজ্ঞান এ কোনো ভাব কল্পনার স্থান যদি নাই থাকত তবে বিজ্ঞানীরা থিউরী জীবনেও দিতে পারবে না আর থিউরী না দিলে বিজ্ঞান এর আবিস্কার সম্ভব না ।মহাবিশ্ব যে সৃষ্টি হয়েছে তার প্রমাণ হল মহাবিশ্ব যে অবিরাম পরিবর্তন হচ্ছে এটাই কারন যেটা সৃষ্ট না তাকে অবশ্যই ফিক্সড থাকতে হবে অর্থাৎ পরিবর্তন সাধিত হলেই বুঝতে হবে সেটি সৃষ্ট এবং তার বিনাশও অবসম্ভাবী আর তা হতে পারে খুবই দ্রুত অথবা খুবই মন্থর গতিতে।
নাস্তিক :- ১মদিকে মুসলিমদের মদীনায় হিজরতই যদি সমাধান হয়ে থাকে, তাহলে পুনরায় মক্কাতে যাবার কি দরকার ছিল? আল্লাহ চাইলে একটা কাবা মদিনাতেই তৈরী করাতে পারতেন। মক্কা বিজয়ের মানে কি ছিল? আর ধর্ম যদি যুদ্ধ আর হত্যার উপর দিয়েই প্রতিষ্ঠা করতে হয়, তাহলে তা শান্তির ট্যাগ কিভাবে পাবে?
আস্তিকঃ- মক্কা থেকে বার বার মদীনায় আশ্রিতদের বিনাশের চেষ্টা করছিল এমনকি মক্কায় যারা ইসলাম গ্রহন করেছিল তাদেরকেও নির্যাতন হত্যা করা শুরু করে অর্থাৎ স্বাধীন ভাবে তাদের মত প্রকাশ তো দূরের কথা ব্যাক্তিগতভাবে নিজে নিজেও অন্যমত অবলম্বনের অধিকারটুকুও হরন করা হত ইত্যাদি বিভিন্ন কারনে রক্তপাতহীন একটি অভিযান চালিয়ে মক্কার নিয়ন্ত্রন নিতে বাধ্য হয়, এটা ছিল আসলে একধরনের আত্মরক্ষামুলক হস্তক্ষেপ। সবাই যদি আপনার মত সাধু না হয় তখন শক্তি প্রয়োগ করতেই হয় এটা আসলে শান্তির উদ্দেশ্যেই এখন সব দেশেই পুলিশ আর্মি থাকে এবং প্রয়োজনে হত্যাও করে, এটাকে আপনি মানবতাবিরোধী বলেন না কারন ওদের শক্তি প্রদর্শনের কারনেই হয়ত আপনি রাত্রে শান্তিতে থাকতে পারেন। সব মানুষই কখনই একমতের হবে না অনেক অসাধু ব্যাক্তি থাকবে বলেই ধর্মে শেষ উপায় হিসেবে এমন ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে।
নাস্তিক :- কোরানে আল্লাহ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এত লুকোচুরি খেলা করে কেন?(যেমন- চাঁদের ক্ষেত্রে সরাসরি প্রতিফলিত আলো না বলে মুনির বলেন) লুকোচুরি তো না এগুলো আপনাদের গুঁজামিল খেলা। সাইন্স নিয়ে লুকোচুরি খেল্লেও পালিত পুত্রের বউ কে বিয়ে করার ব্যাপারে কোন লুকোচুরি নাই। ওখানে ডাইরেক্ট একশন।
আস্তিকঃ- বিজ্ঞানের আরেক নাম বস্তুবাদ আর ঈশ্বর কুরান নাজিল করেছেন মানুষ নামের আবেগ জ্ঞান সম্পন্ন প্রানীর কাছে তাই কুরানে মানুষের জীবন বিধানগু্লো যেভাবে হাইলাইট করা হয়েছে ঠিক সেভাবে বস্তুবাদ নিয়ে হাইলাইট করা হয় নাই। উদাহরণস্বরুপ- চাঁদের নিজস্ব আলো আছে কি নেই এটা সারাজীবন না জেনেও একজন ব্যাক্তি সুখে শান্তিতে জীবন কাটাতে পারে অথচ কাউকে যদি সারাজীবন স্ত্রী না দিয়ে বিজ্ঞানের তৈরী কোটি ডলারের তৈরী খুবই উন্নত মানের সেক্সডল রোবটকে জীবন সংগী করা হয় তবে সে মোটেই সুখে থাকবে না সেক্ষেত্রে তাকে যদি গ্রামের গরীব একজন মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে দেয়া হয় তবে কিন্তু সে ঠিকই সুখে থাকবে। আর পালিত পুত্র কি সত্যিকারের ঐরসজাত পুত্র? আপনাদের বিজ্ঞান কি বলে পালিত পুত্রের ডিএনএ কি নিজের সাথে ম্যাচ করবে ? তখকার সময় পালিত সন্তানকেও আপন সন্তান ভাবার কুসংস্কার ছিল ফলে সমাজে অনেক বিশৃংখলার জন্ম নিত যেমন আপনি একজন পালিত সন্তানকে আপন সন্তান ভেবে ঘরে থাকতে দিলেন কিন্তু তার সাথে যেহেতু আপনার স্ত্রী এবং আপনার রক্তের সম্পর্ক নেই তাই আপনি ঘরের বাইরে গেলে বৈজ্ঞানিক এবং সাইকোলজিক্যাল দৃষ্টিতে আপনার পালিত যুবক সন্তান আপনার স্ত্রীর সাথে যৌন দূর্ঘটনা হবার সম্ভাবনা ৭০ ভাগ কেননা আপনার স্ত্রী তার আপন মা নয় এমনকি সৎ মা ও নয়।
নাস্তিক :- তাহলে আপনার কথার সারমর্ম দাড়ালো যদি পালিত পুত্র নিজের পুত্র না হয়, আর কোন দম্পতির কোন সন্তান না থাকে, তাহলে পালিত পুত্র কে পুত্র বলা যাবেনা। তাকে ভাই বলে ডাকতে হবে?? তাহলে সন্তানহীন দম্পতিরা কোনদিন পুত্র কন্যা এসব অনুভূতি নিয়ে বাচতে পারবেনা। আপনার আল্লাহ মানুষের জীবন বিধানের এতকিছু নিয়ে কত সমাধান দিয়েছেন অথছ সন্তানহীন দম্পতির একটা সন্তান পালার ব্যাপারে কোন সমাধান নাই কেন? পালিত পুত্র না থাকলে সন্তানহীনরা কাউকে দত্তক নিলে তাকে কি বলে ডাকবে??
দুলাভাই না শালী?
আস্তিকঃ- ইসলামের বিধান হল - দত্তক নেয়া যাবে না আর তা হারাম বা পালক সন্তান বলে কিছু নেই তবে অনাথ কাউকে বা গরীব কোন সন্তানকে প্রতিপালন খুবই পূন্যের কাজ কিন্তু তাই বলে সে নিজের সন্তান হয়ে যাবে এমন না বরং তার সাথে সদাচরন করতে হবে এবং পরিবারের মাঝে সে পরপুরুষ হিসেবেই বিবেচিত হবে। ইসলাম বলে দুনিয়াতে যে যত গরীব বা দুঃখী পরকাল তার জন্য ততই ভাল তাই সন্তানহীন দম্পতি দুঃখী বিধায় এটাও তাদের জন্য লাকি একটা ব্যাপার , ইসলামে দুনিয়াই সবকিছু না। আর এমন আশ্রিত কাউকে দুলাভাই না শালী বা ভাই বলে ডাকতে হবে কেন? তার কি নাম নেই ? কাউকে বাবা- ভাই বোন সন্মোধন শুধু উপমহাদেশেরই কালচার কিন্তু আরবসহ অন্নান্য দেশে বয়জৈষ্ঠদেরকেও তার নাম ধরেই সন্মোধন করা হয় আর এতে তাদের মোটেও অসম্মান করা হয় না ইংলিশ কালচারেও আপনি এমন দেখতে পাবেন। তাহলে সন্তানহীন দম্পতিরা কোনদিন পুত্র কন্যা এসব অনুভূতি নিয়ে বাচতে পারবেনা? কেন পারবে না , নিজের পছন্দমত যে কাউকেই তো পুত্র সমতুল্য ভাবতে পারবে কিন্তু পাশাপাশি এটাও খেয়াল রাখতে হবে যে সে কিন্তু তার সত্যিকারের রক্তের সম্পর্কের সন্তান না।উদাহরণস্বরুপ আপনিও আপনার নিজের স্ত্রী বাদে পৃথিবীর সমস্ত নারীদেরকে মা-বোন ভাবুন এতে কল্যানই রয়েছে কিন্তু এই অযুহাতে আপনি কাউকে বোনের মত ভাবি উচিলায় তার সাথে নিভৃতে সময় কাটাতে পারবেন না যদিও কিছু না হয় তবুও পাপ ঠিকই লেখা হবে ইসলামি বিধান না মানায় আর কোন কিছু হলে তার দায়ভার কে নিবে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.