নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পর্ব-১৮
নাস্তিকঃ-ইসলাম নামের ধর্মটির পুরো সিস্টেমটাই দাঁড়িয়ে আছে সম্পূর্ণ মিথ্যার ভিতের উপর। বলা হয়, চার-কলেমা না কি ইসলামের মূল ভিত্তি। একটু দেখি, কি আছে ঐ চারের ভেতর। আছে আল্লা আল্লার রছুল জ্বীন ফেরেস্তা বেহেস্ত দোজখ রোজহাসর রোজ কেয়ামত ইত্যাদী এগুলি সম্পূর্ণ না দেখে একদম চোখ বুজাইয়া, 'হ' আমি সবকিছু সত্য বইলা মনে-প্রাণে মাইনা লইলাম' কইয়াই ধর্মের গণ্ডির ভিতরে ঢুকতে হয়।কোটি কোটি প্রমাণিত জিনিসগুলার কিছু কিছু কলেমার মইধ্যে ক্যান রাখা নাই?
আস্তিকঃ- আর কালিমায় বিশ্বাস করা মানে চোখ বুঝে অন্ধভাবে মেনে নেয়া নয়, এইভুল ধারনাটা মুসলিমদের মাঝেও আছে। আর কালেমার মাঝেই সবকিছুর মূলমন্ত্র রয়েছে কালেমার ২য় অংশ হল নবী সাঃ যে আল্লাহর দূত বা বার্তাপ্রেরক তা বিশ্বাস করা আর এ বিশ্বাস করা মানে তিনি আল্লাহর তরফ হতে যা কিছু বলবেন তা সত্যি আল্লাহই বলেছেন আর আল্লাহ সব নবীকেই মানুষের সকল প্রকার সমস্যা ও প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন সেখানে কোটি কোটি প্রমানিত জিনিসগুলোও বলা হচ্ছে অর্থাৎ নবী সাঃ কে রসুল মানলেই তার কাছ থেকেই সব কিছুর বিস্তারিত জানা যাচ্ছে সুতারং বুঝা গেল এই কালেমার মধ্যেই সকল কিছুর সমাধান আছে। এছারা আরো বিস্তারিত কালেমা সম্পর্কে জানতে নিচের প্রশ্নের উত্তরটি লক্ষ্য করুন।
নাস্তিকঃ- ইসলামের মূলই হল অন্ধ আনুগত্য।আসলে ধর্মে অন্ধবিশ্বাসের পুরষ্কার জান্নাত, ধর্মে অবিশ্বাসের পুরষ্কার জাহান্নাম। ভাল আর মন্দ কাজের পুরষ্কার জান্নাত বা জাহান্নাম নয়। যেমন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জিবরীল (আঃ) আমার নিকট এসে এই সুসংবাদ দেন যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার সাথে কিছু শারীক না করে মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি প্রশ্ন করলাম, সে যদি ব্যভিচার করে থাকে, সে যদি চুরি করে থাকে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ (তবুও সে জান্নাতে যাবে)। বুখারী ও মুসলিম। আবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমান ঈমান থাকবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। আর যে ব্যাক্তির অন্তরে এক সরিষার দানা পরিমাণ অহমিকা থাকবে সেও জান্নাতে প্রবেশ করবে না। অর্থাৎ অল্প ঈমান থেকে আমি হাজারও পাপ কাজ করলেও আমার মুক্তি আর বিশ্বাস না করে যদি আমি আমি অনেক ভাল কাজ করেও থাকি তবু আমাকে নরকবাসী হতে হবে অর্থাৎ আমার সৎ কর্মের কোন দামই নেই ইত্যাদি অবিচারমুলক ব্যাপারগুলো লক্ষ্য করেই বুঝা যায় ধর্ম গুলি আসলে ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।
আস্তিকঃ- এই প্রশ্নের ১ম অংশ বিশ্বাস বা ঈমান নিয়ে আসলেই ভুল ধারনা রয়েছে এমনকি মুসলিমদের মাঝেও অনেকেই ঈমান মানেই অন্ধ বিশ্বাস এর সাথে তালগোল পাকিয়ে ফেলে।বিশ্বাস বা ঈমান মূলত দেখা যায় তিন প্রকারের। ১) না দেখে বিশ্বাস, ২) অন্ধ বিশ্বাস আর ৩) নিজের মনের উপর জোর করে বিশ্বাস । এই তিনটাই আলাদা ধরনের যেমন- ১মটার উদাহরন হল- কোনভাবেই না দেখে শুধুমাত্র একজন সৎ এবং সত্যবাদী বন্ধুর মুখে শুনেই আমেরিকা দেশের অস্তিত্বে বিশ্বাস , এখানে একটা শক্তিশালী লজিক থাকে যে- আমার সত্যবাদী বন্ধু নিশ্চয় মিথ্যা বলবে না। ২য়টার উধাহরন হল- আমাদের ইমাম কোনভাবেই ভুল করতে পারে না অথবা আমার সতী হিজাবী স্ত্রী যদিও কলেজের প্রফেসারী করে তবু সে জীবনেও পরকীয়া করবে না। ৩য়টার উদাহরন- যদিও আমার বাপ দাদার ধর্মের সাথে বাস্তবতার অনেক অমিল খুজে পাওয়া যায় এবং নিজের কাছেও কিছু কিছু ব্যাপার ইলজিক্যাল মনে হয় তবুও আমার মনে হয় আমাদের ধর্ম পরিপূর্ন সঠিকই হবে, আর সঠিক না হলেও এমন ভাবাই আমার জন্য ভাল হবে অর্থাৎ আমরা সঠিক না ভুল এই চিন্তা না করে আমাদের কি করনীয় তাই করা উচিৎ । এখানে ১মটা হল ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস।
আর হ্যা এটাই সত্য যে ভাল আর মন্দ কাজের পুরষ্কার জান্নাত বা জাহান্নাম নয় বরং কর্ম হল কারেন্সির মত একটা ব্যাপার এগুলো দ্বারা জান্নাত বা জাহান্নামে যাওয়ার সম্পর্ক নেই, জান্নাত বা জাহান্নামে যাবার সার্টিফিকেট মুলত নির্ভর করে শিরকের উপর অর্থাৎ আল্লাহ সুবহানা তায়ালাকে মানা বা প্রত্যাখ্যান এর উপর । তাহলে সৎ কর্ম কি ফল আনবে ? হ্যা কেউ যদি শিরক না করে অর্থাৎ মনে সামান্য পরিমানেও এই বিশ্বাস নিয়ে মৃত্যবরন করে যে একমাত্র আল্লাহই হলেন ইলাহ, তবে সে জাহান্নাম ভোগ করে হলেও একদিন না একদিন ঠিকই জান্নাতে যাবে অর্থাৎ শিরক এর উপর নির্ভর করে সে শুধুমাত্র তার চুরান্ত বাসস্থান পাবে মাত্র কিন্তু সেই জান্নাত নামক বাসস্থানে সে কি খাবে, কি পান করবে, কি পরিধান করবে সর্বপরি সে কেমন ধরনের জীবন যাপন করবে তা তার আমল বা কর্ম অনুযায়িই হবে। মোটকথা সৎ কর্ম বা পুন্য এগুলো তার হবে কারেন্সি বা অর্থ-সম্পদের মত একটি ব্যাপার। এখন জীবনে সবারই কম বেশী ভাল আমল থাকেই তাই সর্বনিম্ন যে জান্নাতী হবে সেও ভালই সুখে থাকবে শুধুমাত্র জান্নাতে গিয়ে বসে বসে অন্যদের তামাসা দেখবে না। এখন দেখতে হবে অনেক পাপ ও অন্যায় করার পরও শুধুমাত্র শিরক না করার কারনে বা কালেমার প্রতি বিশ্বাসের কারনেই তাকে জান্নাতের সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে অর্থাৎ চিরমুক্তি এটা কি ধরনের ন্যায় বিচার ? এক্ষেত্রে দেখতে হবে শিরক না করা বা কালেমায় বিশ্বাস এটা আসলে কি ধরনের ব্যাপার? আসলে কালেমার ১ম অংশটুকুই হল শিরকের সাথে সম্পর্কিত অর্থাৎ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বা আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই অথবা আরো ভালভাবে বললে দ্বারায় আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ইলাহ মানা তো দূরের কথা এটি বিশ্বাসও করা যাবে না মনে মনে। আর আল্লাহকে যখন ইলাহ মানা হবে তখন সে নিজেকে সম্পুর্নভাবে আল্লাহর কাছে সমর্পন করবে অর্থাৎ তখন সে আর মোটেও স্বাধীন নয় আবার অন্য কারও কাছে পরধীনও নয় বরং সম্পূর্নরুপে একমাত্র আল্লাহর কাছে অধীন মোটকথা সে তখন আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পন করল তখন তাকে বাংলায় বলা যাবে আত্মসমর্পনকারী আর আরবীতে বললে দ্বারায় মুসলিম। একজন ব্যাক্তি যখন একমাত্র আল্লাহকেই ইলাহ হিসেবে মানে তখন সে আসলে তাঁকে মাবুদ মানে বা একমাত্র প্রধান মাননীয় সর্বচ্চ সত্ত্বা হিসেবেই মানে। আর মনে মনে সরিষা পরিমানও কেউ যদি আল্লাহকে এমন মানে তবে অবশ্যই সে দুনিয়াতে তাঁর ভয়ে ভীত হয়ে যথাসম্ভব পাপ থেকে দূরে থেকে পূন্য এবং ভাল কাজ করার চেষ্ট করবেই এরপরও অনেক অন্যায় এবং পাপ তার দ্বারা হয়েও যাবে দূর্বল ঈমানের কারনে আর যদি এই পাপগুলি আল্লাহ ভিন্ন অন্য কোন বান্দার সাথে সম্পর্কিত হয় তবে সেগুলো আল্লাহ নিজে ক্ষমা করবেন না বরং যার সাথে অন্যায় করা হয়েছে তার উপর নির্ভর করবে আর ইত্যাদি কারনে সেই নূন্যত্তম ঈমানদার ব্যাক্তি জাহান্নামে সাস্তি ভোগ করে তার অন্যায় কাজের প্রতিফল সম্পূর্ন ভোগ করে তারপরে জান্নাতে যাবে তার পূন্য কাজগুলির প্রতিফল ভোগ করতে। আর যারা উচুস্তরের ঈমানদার তাদের এমন পাপ থাকবে না আর অনেক পাপ থাকবে যেগুলোর সাথে আল্লাহর হক্ব সম্পর্কিত যেমন- অনেক ওয়াজিব কাজ না করা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফরজ আমলও বাদ পড়া এগুলো আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন ইনশাহ আল্লাহ।
এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হল অনেকেই মনে করে ঈমান বা বিশ্বাস অনেকটা লজেন্স খাওয়ার মতই সহজ একটি ব্যাপার মন চাইল আর ঈমান আনলাম কিন্তু আল্লাহ তা বলেন না বরং ঈমান আনা বড় কঠিন তাই উল্লেখ করেছেন। নাস্তিকসহ অনেকেই মনে করে শুধুমাত্র অন্তরে বিশ্বাস এ এমন কি কঠিন কাজ ? কিন্তু নিজের অহংকার সম্পূর্ন শেষ করে একমাত্র আল্লাহকেই ইলাহ হিসেবে যখন কেউ মনে বিশ্বাস আনবে তখন থেকেই সে নিজের স্বয়ংসম্পূর্ন ইচ্ছাকে ত্যাগ করবে তখন আল্লাহর ইচ্ছাই তার ইচ্ছা আল্লাহর চাওয়াই তার চাওয়া হবে। ১ম দিকে যখন এটা সে অন্তরে বিশ্বাস স্থাপন করবে তখন হতেই তার কর্মকান্ডও পরিবর্তন হবে অর্থাৎ যার মনে যে ধরনের বিশ্বাস সে সেইধরনেরই কর্ম করবে এবং সমাজে সেই ধরনেরই আউটপুট দিবে মোটকথা বিশ্বাস যেমন কর্মও তেমন । তাহলে যা দ্বারাল তা হল মনে ঈমান বা বিশ্বাস আনা মানে কোন ছেলেখেলা নয় বরং একজন মানুষের মুল ফরমেটই পরিবর্তন হয়ে যায় এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে কিন্তু ধর্ম সবসময় আম মানুষকে সহজ সরলরুপে সবকিছু বর্ননা করে তাই বলা হয় বিশ্বাস থাকলেই মুক্তি আসলে এই ধরনের কথা সহজ-সরলীকরনের পাশাপাশি খুবই বুদ্ধিদৃপ্ত কৌশলিমূলক কথাবার্তা কারন বিশ্বাস করলেই সে ভাল কাজ করে এমনকি খুব দূর্বল মানের বিশ্বাসি হতেও অন্নান্য মানুষ ও সমাজ তুলনামূলক বেশী নিরাপদে থাকে কেননা তারা একান্ত নিভৃত্বেও মনে করে আল্লাহ তাকে দেখছে এবং এর জবাবদিহীতা পরকালে ঠিকই করতে হবে কিন্তু নাস্তিকরা এমন ভাববে না এটাই ঠিক। তাছারা আস্তিক হলেও এমনকি নামাজী ধার্মীক হবার পরও যদি কেউ আল্লাহকে স্রষ্টা হিসেবে বিশ্বাস করে পরকাল বিশ্বাস করেও যদি তাঁকে ইলাহ(মাবুদ/আইনদ্বাতা) হিসেবে না মানে অর্থাৎ সামগ্রিক ক্ষেত্রে যদি সে গনতন্ত্র মানে তবে সে শিরককারী বিধায় সে মুসলিম নয় এবং চিরজাহান্নামী। অতএব এক যাররা পরিমান ঈমানও চারটিখানি কথা নয়।
এবার প্রশ্নের শেষাংশ হল- বিশ্বাস না করে যদি আমি আমি অনেক ভাল কাজ করেও থাকি তবু আমাকে নরকবাসী হতে হবে অর্থাৎ আমার সৎ কর্মের কোন দামই নেই। ১মত যেহেতু বিশ্বাস যেমন কর্মও তেমন আর বিশ্বাসের মাধ্যমেই একজন ব্যাক্তির মুল ফরমেট চেইঞ্জ হয় তাই বিশ্বাস বা ঈমান না থাকা মানে শুরুতেই গালত অর্থাৎ সেই ব্যাক্তির বেসিকেই সমস্যা আরও ভালভাবে বললে বলা যায় - যার বিশ্বাস নেই তার আসল জিনিসই নেই। সে একান্ত নিভৃত্বেও এমন কাজ করতে পারে যার পরিনতি অনেক ভয়াবহ হবে, তার থেকে সমাজ কখনই নিরাপদ নয়, সে যা করবে সে তার আপন কামনা বাসনা পূরনের জন্যই করবে কারন সে আল্লাহকে ইলাহ হিসেবে মানে না। তাই তার দ্বারা খারাপ কাজই বেশি হবে ভাল এর তুলনায়। অনেকে ভুল বুঝে যে অবিশ্বাসি হওয়ায় আমার ভাল কাজের কোন মুল্যই বুঝি আল্লাহ দেন না বরং এটিও এক ধরনের ভুল ধারনা বরং সকল ধরনের কাজেরই প্রতিদান দেয়া হয় তবে অবিশ্বাসীরা দুনিয়ায় যা ভাল কাজ করে তার প্রতিদান দুনিয়াতেই দিয়ে দেয়া হয় পরকালে নয়। আখিরাতে যে মিজানের পাল্লায় পাপ/পূন্যের মাপ করা হয় তা মূলত বিশ্বাসীর জন্যই কাফেরদের জন্য কোন ওজন করা হয় না ( কুরান-হাদিসে দ্রঃ) তবে তাদের সকল আমল তারা ঠিকই দেখতে পাবে।এখন একজন নাস্তিক হয়ত প্রশ্ন করবে কেন আমার ভাল কর্মের মূল্য পরকালে দেয়া হবে না বিশ্বাসীদের মতন ? কারন বিশ্বাসীরা পুন্য কর্ম এই উদ্দেশ্যে করেছিল যে তারা তার প্রতিদান পরকালে যেন পায় তাই তাদের সেখানেই দেয়া হবে কিন্তু একজন অবিশ্বাসী নাস্তিক কি কোন ভাল কাজের মূল্য পরকালের আশায় করে? না ! করে না। বরং তারা এজন্য ভাল কাজ করে বা কারও উপকার করে যেন সেও তার সহযোগিতা করে বা লোকে তাকে ভাল বলবে অথবা কিছু অন্যায় এজন্য সে করে না কারন অন্যায় করলে অন্যরা তাকে সাস্তি দিবে অর্থাৎ মানুষের ভয়ে। তারা যেহেতু তাদের ভাল কাজের প্রতিফল দুনিয়াতেই পেতে বেশী আগ্রহী তাই যদি আল্লাহ সুবঃ তাই করেন তবে এটাকে কিভাবে অবিচার বলা হবে? সুতারং অবিশ্বাসীদেরও ভাল কাজের প্রতিদান দেয়া হয় তবে তা দুনিয়াতেই। আসলে তারা ধর্ম মানবে না বিশ্বাস করবে না তাই এত সব কথা অথচ তারা পশ্চীমা নাস্তিক বিজ্ঞানীদের কথা ঠিকই বিশ্বাস করবে যদিও দেখে পরে এটাও ভুল প্রমানিত হচ্ছে আবার ভবিষ্যতেও ভুল হতে পারে।
নাস্তিকঃ- ইসলামে নিজেদের মধ্যেই দল উপদলের শেষ নেই। এরা একমাত্র নিজেদের দলকে সহীমুসলীম মনে করে ও অন্যান্য দলের অনুসারীদের সহীমুসলীম মনে করে না, ইসলামের শত্রু বলে মনে করে ও পরষ্পর হানাহানিতে লিপ্ত থাকে। কোন দলের অনুসারী যে আসলে সহি মুসলিম, এ এক বিরাট গোলক ধাধা!
উঃ- আল্লাহ সুবহানা তায়ালা ইসলামের মাঝে অনেক দল তৈরী করতে বলেননি আর নবী সাঃও তা করেননি, তবে পরে অবশ্য সঠিক দল ছারাও বিভিন্ন দলের সৃষ্টি হয়েছে বর্তমানে সহী ১ দলের সংখ্যা খুবই কম আর তারা জামাত বদ্ধ নেই তাই পৃথিবীর এই দশা তবে ইনশাহ আল্লাহ শীঘ্রই আবার জামাত গঠন হবে যা ভবিষ্যৎবানী করা আছে। এটা আল্লাহ প্রদত্ত দুনিয়ারই একটি নিয়ম যে যখন পৃথিবীতে খুব বেশী বিশৃংখলা এবং ভারসম্যহীনতার সৃষ্টি হয় তখনই সত্যের দল একত্রিত হয়ে বিশৃংখলারোধ করে ভারসম্য আবারও ফিরিয়ে আনে এরপরও আবার তা নষ্ট হতে থাকে আবারও এমন করা হয় তবে যাই হোক না কেন পৃথিবীতে সর্বদাই হক্বপন্থি একটি দল অবশ্যই থাকে কখনও কম বা কখনও বেশী। ইসলামের সত্যের দল চিনতে হলে অনুসারিদের দিকে না তাকিয়ে ধর্মগ্রন্থের দিকে দেখাই বুদ্ধিমানের কাজ আর বিদায় হজের ভাষনে নবী সাঃ এই কথাই বলে গেছেন সর্বশেষে। তাই আপনি যদি ১ম কুরান এবং তারপরই হাদিস গুলো দেখেন কুরানেরই সাপেক্ষে তবে অবশ্যই আপনিও সত্য পথ পাবেন বা হক্বপন্থীদের চিনতে পারবেন তবে এই দুটো বিষয়ের পাশাপাশি নিজেকেও অবশ্যই নিরপেক্ষ হতে হবে আর অন্ধ অনুসারি হওয়া চলবে না।তাই যারা আসলে ধর্ম মানবে না বা ভাল লাগে না একমাত্র তারাই ইসলামের দলাদলীকে উচিলা বানিয়ে ধর্মবিমুখ হতে চায় কিন্তু সত্যিকারের পরকালের ভয় থাকলে নিজে ঠিকই সঠিক দল খুজে নিতে বাধ্য হবে।
নাস্তিকের প্রশ্নঃ- ইসলামে গান-বাজনা হারাম?
উত্তরঃ-ইসলাম সম্পর্কে যারা কম জানে তারা বলে- গান ও বাজনা দুটোই নিষিদ্ধ তবে গজল জায়েজ । আর যারা মোটামুটি জানে তারা বলে- শুধু ইসলামিক গান হতে হবে অন্য বাস্তবমুখী গানও জায়েজ তবে অশ্লীল হওয়া যাবে না আর বাদ্যযন্ত্রের ক্ষেত্রে তৎকালীন যুগে যে দফ ও একতারা ছিল এতটুকুই জায়েজ। আর যারা ইসলাম সম্পর্কে ভালভাবে জানে যদিও এদের সংখ্যা খুবই কম তারা বলে- বাদ্যযন্ত্রের কি দোষ মূল জিনিস তো গানের কথা আর সুর, তৎকালীন যুগে দফ ও একতারাই ছিল সেই অঞ্চলের সর্বচ্চ আবিস্কার আর সেটাই নবী সাঃ ইজাজত দিয়েছেন যদি দফের বদলে ড্রামস আর একতারার বদলে গিটার থাকত তবে সেটারও ইজাজত থাকত। বাদ্যযন্ত্র এখানে অতিরিক্ত রিদম তৈরী করে গানকে আরো তীব্রতা প্রদান করে এখানে যেরকম গান হবে মিউজিকও তেমনই হবে অর্থাৎ শুধুই বাদ্যযন্ত্র একটি নির্দোষ জড় বস্তু একে যেদিকে ধাবমান করা হয় সেই দিকেই ধাবিত হবে। তবে গানের কথা ইসলামিক হতে হবে এছারাও বাস্তবমুখী ও জীবনমুখী গানও জায়েজ তবে অশ্লীল হওয়া যাবে না আর স্বাবালিগ মেয়ের কন্ঠও হালাল নয় পর পুরুষদের জন্য। সত্যিকারের তথ্য হল ঈশ্বরই সর্বপ্রথম সংগীত নাজিল করেন এজন্য সকল ধর্মগ্রন্থই সুর দিয়ে পড়তে হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ইবলিস উক্ত সুর নকল করে অশ্লীল গান রচনা করে ঠিক যেভাবে আল্লাহ সুবঃ ব্যাবসা হালাল করেন ইবলিস তার উল্টোটা সুদ আবিস্কার করে।
©somewhere in net ltd.