নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীদের প্রশ্নোত্তর

২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:০৬


পর্ব-২০
বিজ্ঞান মনষ্কঃ- পত্র-পত্রিকায় প্রায়ই খবর আসে মুসলমানরা অবৈধ্য যৌনকর্মের কারনে হাতে নাতে ধৃত হয়েছে অনেকে ধর্ষনও করে আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল ইদানিং মাদ্রাসার ছাত্রদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও পুরুষে পুরুষে যৌনকর্মের কারনে ধরা পরছে। ইসলাম যদি এতই ভাল ধর্ম হয় তবে তারা এমন কর্ম করে কিভাবে?
ধর্ম মনষ্কঃ- সাধারন মুসলিম বা মাদ্রাসা পড়ুয়া মুসলিম যেই হোক না কেন ? ১মত দেখতে হবে- সে যে অবৈধ্য যৌনকর্মে লিপ্ত হয়েছে এটাকে সে পাপ কাজ মনে করে কিনা? এবং সে এতে কোনভাবে বাধ্য ছিল কিনা ? এমনকি উক্ত ঘটনা তার জন্য এক ধরনের এক্সিডেন্ট ছিল কিনা ? অর্থাৎ উক্ত কর্মকে সে নাস্তিকদের মতন মন থেকে সাপোর্ট না করে মনে মনে ঘৃনা করে কিনা ? ২য়ত দেখতে হবে- এই সমাজ ব্যাবস্থা হালাল যৌন কর্মকে কঠিন করে হারাম অবৈধ্য যৌনকর্মকে সহজ করে রেখেছে কিনা? ৩য়ত দেখতে হবে- সে সত্যিই মুমিন মুসলিম নাকি নামধারী মুসলমান? বা পরিবারের চাপে মাদ্রাসায় পড়লেও ভিতরে ভিতরে সে ছুপা নাস্তিক কিনা ? নামের প্রথমে মোঃ দেখলেই ভাবেন মুমিন ? ইসলামে মুসলিম তাকেই বলে যে ৫ওয়াক্ত নামাজ পড়ে এবং ইসলামি বিধান মূটামুটিভাবে মানার চেষ্টা করে । জন্মসুত্রে মুসলিম হওয়া যায় না । আপনি যেসব মুসলিম নামধারীদের দেখেছেন আপনি কি জানেন তারা ৫অয়াক্ত নামজী বা তারা মুসলিমদের ঘরে জন্ম নিয়ে পিতামাতার ভুলে ইসলামের শিক্ষা হতে বঞ্চিত বেনামজী নাস্তিকরা কিনা?
আবার মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের মাঝেও কিছু কুলঙ্গগার থাকতে পারে উদাহরনস্বরুপ অনলাইনেই কয়জন নাস্তিক মাদ্রাসা পাশ স্বিকার করেছে কিন্তু তারা ধর্মীয় বিধান মানে না এবং সমাজে তারা যে নাস্তিক তাও প্রকাশ করে না, এখন তারা যদি এমনটি করে তবে কিন্তু ধরা পরার পরে তারা কেউ ই বলবে না যে আমরা মনে মনে অধার্মিক বা নাস্তিক ছিলাম , বরং পত্রিকায় আসবে এক মাদ্রাসার ছাত্র ধর্ষন করেছে।
৪র্থ দেখতে হবে- এসব অপকর্ম মুসলিম সমাজে বেশি নাকি অমুসলিম সমাজে বেশি? জরিপ বলছে বেশীরভাগ জিনা-ব্যাভিচারই অমুসলিমরা করে আর বেশিরভাগ ধর্ষন নাস্তিকরাই করে কারন জবাব্দিহিতা নেই পরকালে এই বিশ্বাসই তাদের এসব করতে বাধ্য করে। কিন্তু কারও নাম এর শেষে তো আর কেউ নাস্তিক লিখে না যে ধর্ষক ১জন নাস্তিক ছিল তা প্রকাশ পাবে.. আচ্ছা আপনিও তো আপনার এস এস সি এর ফরম পুরুনে নিজের ধর্ম পরিচয় এর ঘরে একটি ধর্মের নাম দিয়েছেন এখন যদি আপনি ধর্ষন করেন তবে কে বলবে আপনি নাস্তিক ছিলেন??? বরং বলবে আপনি অমুক ধর্মের লোক......
সুতারাং সেই তুলনায় হাজারে একজন ইমাম-মুয়াজ্জিন বা মাদ্রাসার হুযুররদের কথা বলে কি আর পার পাওয়া যায়??? মুসলমানের মধ্যে দু একটা খারাপ লোক থাকলেই কি আর সব মুসলিম বা ইসলাম ধর্মই খারাপ হয়ে যায়??? দু একটি বেগুনে পোকা থাকে বলে বেগুন খাওয়াই তো আর পরিত্যাগ করেন না??? এটা কিন্তু সবাই জানে, হাজারে একজন মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন বা মাদ্রাসার হুযুররা সমকামিতা বা রেপ করলেও নাস্তিকরা করে হাজারে ৯৯৯জন। শুধু কি তাই??? সমকামিতা, ফ্রী কালচার, অবৈধ বিয়ের জন্য মিছিলও করে । আর হুজুরদের মধ্যে এটি বেশী না সাধারনের মধ্যে এটি বেশী?
আচ্ছা আপনি গত দশ বছরে ১০০ জন হুজুরের ধর্ষনের প্রমান দিতে পারবেন ? অথচ গত দশ বছরে লাখ লাখ হয়েছে এরা কারা করল কারা দোষি বেশী ? হাজারে দু-একজন ইমাম মুয়াজ্জিন করলেও এটা তাদের দোষ ধর্মের দোষ নয় , ইসলামের দোষ তখনই দেয়া যাবে যখন ইসলাম ধর্ম গ্রন্থে লেখা থাকবে এবং মুসলিমরাও সেটা ধর্মীয় ভিত্তিতে মেনে চলবে । ধর্ষন ইসলামে পাপ, এই অপরাধের সাস্তিও বড়, মুসলিমদের মাঝে এটি খুব কমই দেখা যায় আর হুজুরদের মধ্যে হাজারে ১ জনও পাওয়া যায় না। কিন্তু নাস্তিক প্রধান দেশে এটা অহরহ হয়, আর এতই সাধারন ব্যাপার মনে করে এগুলোকে যে খবরে তেমন আসেই না আসলেও ছোট করে পাতার একদম শেষে ।
ইসলামে এটি নিষিদ্ধ এবং সাস্তি দেবার বিধান আছে। এখন আপনিই বলুন তার এই কাজের জন্য সে নিজে দায়ী না ইসলাম দায়ী?
নাস্তিকঃ- আমরা নাস্তিক এ্যালকোহল পানকে বৈধ ভাবি তাই মাতাল হয়ে ধর্ষন করি কিন্তু আপনাদেরতো আর এ্যালকোহল নিতে হয়না..! তবু আপনাদের অবস্থা এমন কেন...?
আস্তিকঃ- আসলে আমাদের এমন অবস্থা এমন না বলে বলতে পারেন -আমাদের এমন খবর শোনা যায় । কারন মুসলমান ঘরের কেউ যদি একটা গ্যাসও ছারে তবে আজকের মিডিয়া তাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে এটম বম সদৃশ করে প্রচার করছে। আমি বলছি না যে মুসলমান সন্তানদের মধ্যে এগুলো একেবারেই নেই , বরং বলছি যে আপনি মুসলিম দেশ আর অমুসলিম দেশের এসব অপরাধ জরিপ করে দেখবেন যে মুসলিম দেশে এসব অনেক কম , আর যে কারনে কম সেটাই হল কতটুকু ইসলাম মানা হয়েছিল । আর সবচেয়ে বড় কথা হল- মুসলিম সমাজে যদি এ্যালকোহল পানকে বৈধও করা হয় তবুও জরিপ করলে দেখা যাবে যে ধর্ষন অনেক কম অমুসলিম সমাজের চাইতে কারন তারা মাতাল হলেও নাস্তিক বা পূর্ন ইমানহারা হয় না বরং তবুও মনে করে পরকালে ঠিকই জবাব দিতে হবে কিন্তু আপনাদের সেই অনুভুতি নেই।
জনৈক নাস্তিকের প্রশ্নঃ-মৃত্যুর পরে জীবন আছে তার প্রমান দিন।
উত্তরঃ- মৃত্যুর পরে জীবন আছে তার অনেক প্রমান থাকলেও তবে সর্বসাধারনের বুঝার জন্য উ্তকৃষ্ট উদাহরন হল-ঘুমের মাঝের স্বপ্ন । বস্তুত জীবিত মানুষ মৃতেরই ন্যায় কিন্তু মৃত্যুর পরেই সবাই সত্যিকারে জেগে উঠবে।
ঘুমের মাঝের স্বপ্ন যেমন ভিন্ন আরেকটি জগত অনুভুত হয় তেমনি মৃত্যুর পর মানুষ ভিন্ন এক ডাইমেনশানে চলে যাবে , যেখানে দেহ নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। তবে যেসব নাস্তিক দেহকে শুধুমাত্র একটি জড় যন্ত্র মনে করে তাকে এসব বুঝানো যাবে না কারন সে তো নিজেকেই অস্বীকার করে।
পালটা প্রশ্নঃ- সেই ভিন্ন ডাইমেনশনে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আপনার বা অন্য কারো আছে কি না?
উত্তরঃ- আপনি বললেন-সেই ভিন্ন ডাইমেনশনে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আপনার বা অন্য কারো আছে কি না? হ্যা আছে, নবী সাঃ এর আর তিনি যে সত্যবাদী তা তার বিরোধীরাই বলত,
পালটা প্রশ্নঃ-
আপনি যে ঘুমের সাথে মৃত্যুর তুলনা করলেন,সেই ঘুম কি দেহ ছাড়া সম্ভব ?
উঃ-ঘুম হল অর্ধ মৃত অবস্থা তাই ঘুম দেহ নিয়েই আর মৃত্যু দেহ ছারাই সম্ভব ,
পালটা প্রশ্নঃ-
দেহ নিয়ে যাওয়া সম্ভব না হলে সেই তথাকথিত জগতে যাবেন কিভাবে?
উঃ- ঠিক যেভাবে আপনি দেহ ছারা এই অনলাইনে অস্তিত্ব রাখছেন অনেকটা সেরকমই ভাবতে পারেন। দেহ দ্বারা প্রানকে কিছু সীমাবদ্ধতায় আনা হয়েছে মাত্র। আর ইসলাম ধর্ম মতে বেশীর ভাগ স্বপ্নই হয় মনের কল্পনা যেগুলো বেশিরভাগই মূল্যহীন আর কিছু জ্বীন জাতি মস্তিস্কে প্রোগ্রাম ঢুকায় যার বেশীরভাগই মিথ্যা আর কিছু ফেরেশতা দেখায় যার সবই সত্য হয়
নাস্তিকঃ- ঈশ্বর কেন ভাল কিছুর পাশাপাশি মন্দও সৃষ্টি করল আবার নিজেই সৃষ্টি করে নিজেই আবার সাস্তি দেন তারচেয়ে সৃষ্টি জগত না থাকলেই ভাল হত । আর পুর্বেই যদি ভাগ্যের দ্বারা সব নির্ধারিত হয়ে থাকে তবে আমাদের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি থেকেই বা লাভ কি ?
উত্তরঃ- প্রশ্নটা অনেকটা এরকম যে- সময় ধাবিত হয় বলেই কিছু মানুষ খারাপি করে আবার কিছু ভাল করে , যদি সময় সামনে ধাবিত না হত তবে কিছু মানুষ খারাপি করতে পারত না, তাই সেই দোষটা আসলে সময়েরই তাই সময় থাকাই উচিত না । অথচ সময় যদি ধাবমান না ই হত তবে সবই বিনাশ, অকেজো থাকত তখন তো এই প্রশ্ন করার মত কোন লোকই থাকত না বা ভাল-মন্দ বোঝার কোন অনুভুতিই থাকত না তাই সময় না থেকে ভাল-মন্দ হওয়ায় কি এসে যায় বা কার লাভ তাও তো বুঝা যাবে না। আর সবকিছুই আল্লাহ সুবাহানাতায়ালার প্ল্যান অনুসারে হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে । তাই যদি হয় তবে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি থেকেই বা লাভ কি ? অর্থাৎ খারাপ কিছুর জন্যে আমাদের দোষ না দিয়ে আল্লাহকে দোষ দেয়া যায় যেহেতু তার প্লান অনুসারেই সব হয় । হ্যা ! এমন প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক । তবে আল্লাহ সুবাহানাতায়ালার প্ল্যান এর মধ্যেই যেহেতু মানুষ এর স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দেয়া আছে এবং প্ল্যানের মাঝেই তিনি নিজেই মানুষকে কিতাব, নবী রাসুল, ফেরসতাদের দিয়ে সাহায্যও করছেন এবং সবশেষে ভাল-মন্দের উপর অনন্তকালের প্রতিফল দেবার ব্যাবস্থাও তার প্ল্যানের মাঝেই রেখেছেন তাই তাঁকে দোষ দেয়া যায় না । আর স্রষ্টার প্ল্যান আর মানুষের ইচ্ছাশক্তি দুটোই একই সাথে চলছে যেভাবে দুটি পায়ে ভর করে মানুষ সামনে চলছে ।তাছারা মানুষের দেখা উচিত যে আমি যে পাপ কাজ করছি, সেটার জন্য আমি কি বাধ্য ছিলাম ? এবং এই পাপ কাজের বিপরীতে অন্য ভাল কাজ করার আমার সুযোগ ছিল কিনা ? মনে কি চাইল সেটা আসল কথা না কারন মন বেশিরভাগই উল্টো বা খারাপই চায় ।
জনৈক নাস্তিকঃ- বিশ্বাস আর যুক্তি যে একসাথে চলতে পারে না
উত্তরঃ-বিশ্বাস আর যুক্তি যে একসাথে চলতে পারে না, এটা ভুল । বরং বিশ্বাসও একধরনের যুক্তির উপরেই গড়ে উঠে । আর বিশ্বাস যদি হয় সত্য যুক্তি নির্ভর তবে সেই ধরনের বিশ্বাসই ঈমানের স্থায়িত্ব বাড়ায়।
নাস্তিকঃ- আসলে ধর্মে বিশ্বাস মানেই অন্ধভাবে বিশ্বাস সুতারাং বুঝাই যায় যে ধর্ম মিথ্যা।
উত্তরঃ-বিশ্বাস মানে হল না দেখা জিনিস সমুহে নিজের জ্ঞান দ্বারা বিশ্বাস( আল্লাহ, ফেরশতা এবং নবীদের সততা ইত্যাদি অদেখা ব্যাপারসমুহ) ,ইসলামি বিশ্বাস মানে এমন অন্ধ বিশ্বাস নয় যা মানুষের বিবেকে ও মস্তিষ্কে ধরার মত না সেগুলোকে জোর করিয়ে বিশ্বাস করানো। বরং ইসলামই দেয় মানুষকে মৌলিকসহ সকল প্রশ্নের উত্তর ও সমধান ।
যারা্ সত্ত্যিকারের জ্ঞানী তারা সৃষ্টি দেখেই স্রষ্টাকে চিনে আর যারা আপনাদের মত, তারাই যা দেখা সম্ভব না তাই দেখতে চায় যা শোনা সম্ভব নয় তাই শুনতে চায়। আচ্ছা মানুষের চোখ দিয়ে দেখার সীমা কত? ও কান দিয়ে শোনার যে শ্রাব্যতার পাল্লা তা কত?? বলতে পারবেন ? অন্তত্য এটা তো সবারই জানা আছে যে মানুষের চোখ দিয়ে দেখার এবং কান দিয়ে শুনারও একটা নির্দিষ্ট সীমা আছে, যা আবার অন্নান্য প্রানীদের আমাদের থেকেও বেশী তাই নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করে অসীম ক্ষমতার অধিকারীকে দেখতে চাওয়া এমনকি মানব সৃষ্ট ব্যাকডেটেড ল্যাবরেটরিতে তা প্রমান করতে চাওয়া কতবড় বোকামী চিন্তা করা যায়?
জনৈক নাস্তিকঃ- আস্তিকতা আসলে এক ধরনের অন্ধ বিশ্বাস
উঃ-আমরা আস্তিকরা নাস্তিকদের অন্ধ ভাবি।নাস্তিকরাও আমাদের আস্তিকদের অন্ধ মনে করে । এটাই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।হ্যা ঠিকই । এখন এই দুই দলের মধ্যে কোন দলের কনসেপ্ট সমাজে এপলাই করলে সমাজে শান্তি ও ভারসম্য ফিরে আসে এবং কোন দল এর হর্তা কর্তা বা নেতারা সত্যের পথিক বা কোন দল জীবনের গুরত্বপুর্ন বিষয় গুলিকে মুল্য দিচ্ছে এসবের উপর নির্ভর করেই আপনি বুঝতে পারবেন আসলে কোন দল অন্ধ আর কারা চোখওয়ালা ।
নাস্তিকঃ-ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্যের দায়ভারের দৃষ্টিভঙ্গীগুলো শ্রেণিগত বিষয়।
উঃ-ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্যের দায়ভারের দৃষ্টিভঙ্গীগুলো শ্রেণিগত আসলে মানুষ করে নিয়েছে। কিন্তু ন্যায়-অন্যায়ের দৃষ্টিকোণও ১টিই আর তা ঈশ্বর হতেই এসেছে । কিন্তু নাস্তিকতা হাজারও ন্যায়-অন্যায়ের স্কেল তৈরী করেছে যার সবটাই ত্রুটিপুর্ন ও স্বার্থহীন নয়! স্বার্থহীন ন্যায়-অন্যায়ের স্কেল দেখতে চাইলে নাস্তিকতা হতে বেরিয়ে সত্য ধর্মে ফিরে আসতে হবে।
জনৈক নাস্তিকঃ- ধর্মগুলো যে মিথ্যা তার বড় প্রমান হল অসংখ্য ধর্ম এই পৃথিবীতে রয়েছে । ধর্ম সত্য হলে একটাই ধর্ম হত।
উঃ-একই ধর্ম ধিরে ধিরে রুপ নিয়েছে বিভিন্ন ধর্মে ১মে এক ধর্মই ছিল পরে মানুষ নিজেদের কিছু স্বার্থের কারনে কিছু পরিবর্তন করে । তারপর স্রষ্টা আবার নতুন করে নবীদের পাঠান কিন্তু পুর্বের লোকের বেশিরভাগই তাদের বাপ দাদার বিকৃত ধর্মেই থাকে এইভাবেই বিভিন্ন ধর্মের তৈরী হয় ।একই ঈশ্বরকে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন ধর্মে ডাকে , ঈশ্বর কিন্তু ঐ একজনই। মা কে কেউ বলে মাদার কেউ আম্মু কেউ মম বা মাম্মি তারপরও মা যেমন একটাই তেমনি ধর্মও একটিই আর ধর্মকে পরিবর্তনশীল মানুষ ভুল করে করেছে সত্য ধর্ম কিন্তু একটাই আছে
পালটা প্রশ্নঃ-
যদি পৃথীবিতে সত্য ধর্ম একটা হয়, বাকি ধর্ম গুলো কীভাবে শত শত বছর টিকে আছ ?
উত্তর - যেভাবে এই পথিবীতে সত্যবাদীদের পাশাপাশি মিথ্যাবাদিরাও টিকে আছে । ঈশ্বর যদি সব খারাপ ও মিথ্যাকে দূর করেন তবে আমাদের পরীক্ষা করবেন কিভাবে ?
নাস্তিকের প্রশ্ন ঃ-আপনি প্রতিদিনকার মত কাজে যাচ্ছেন, হটাৎ দেখলেন চৌ-রাস্তার মোড়ে এক ব্যাক্তি মাইক উঁচিয়ে সুন্দর ভাবে বলে যাচ্ছে আমরা এতদিন যত ধর্ম পালন করে আসছিলাম সব ভুল। সে একটি নতুন ধর্ম নিয়ে এসেছে তাই আগের সব বাতিল। আপনি তখন কি করবেন? নতুন ধর্ম গ্রহন করবেন না ঐ লোকটাকে পিটিয়ে দেশ ছাড়া করবেন? আপনার কি মনে হয় না ১৪০০ বছর আগে ঠিক এরকমই কিছু ঘটেছিল? নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করুন প্লিজ।
উত্তরঃ- না আমার তা মনে তো হয়ই না বরং ১৪০০ বছর আগে এরকমই কিছু ঘটেনি । নবী সাঃ পেছনের ধর্মের নবী যিশু , মসেস এদের সবাইকে সত্যবাদীই বলেছেন এবং পরবর্তীতে তাদের অনুসারিরা অতিভক্তির বশে বা ধর্মব্যাবসার উদ্দেশ্যে যেসব ভুল জিনিস সংযোগ করেছে তার বিরুদ্ধে বলেছেন এবং আল্লাহ সুবহানা তায়ালা সেসব ভুল শুধরিয়ে নতুন করে বিধান দিয়েছে তাই হল ইসলাম । আর রাস্তার মোড়ে এক ব্যাক্তি মাইক উঁচিয়ে সুন্দর ভাবে বলে যাচ্ছে আমরা এতদিন যত ধর্ম পালন করে আসছিলাম সব ভুল। সে একটি নতুন ধর্ম নিয়ে এসেছে তাই আগের সব বাতিল। আপনি তখন কি করবেন? আমি তখন তার দেয়া তথ্য সত্যের মাপকাঠিতে বিচার করে দেখব সত্য হলে মানব না হলে মানব না , আপনার মত নিজের বাপ দাদারা এজাবত যা করে এসেছে তা কিছুতেই ভুল হতে পারে না এই অন্ধ বিশ্বাসের উপর থেকে ঐ লোকটাকে পিটিয়ে দেশ ছাড়া করব না , প্রথমে যাচাই বাছাই করব ।
জনৈক নাস্তিকের প্রশ্নঃ-১) যাদুর কি প্রকৃতপক্ষে কোন ক্ষমতা আছে ? ,২) যদি থাকেই তো সে ক্ষমতা কার? আমরা জানি সব ক্ষমতা আল্লাহর -৩) যাদুর ক্ষমতায় বিশ্বাস করলে তো ঈমান থাকার কথা নয়!
উত্তরঃ- আপনি বললেন- যাদুর কি প্রকৃতপক্ষে কোন ক্ষমতা আছে ? হ্যা আছে ,আবার বলেছেন --যদি থাকেই তো সে ক্ষমতা কার? আমরা জানি সব ক্ষমতা আল্লাহর!---হ্যা সব ক্ষমতা তাঁরই তবে জাদুর ক্ষমতা যেগুলো আল্লাহর ইচ্ছাতেই শয়তান আনায়ন করে, ঠিক যেভাবে সব ক্ষমতা আল্লাহ সুবহানা তায়ালার তারপরেও আপনি ইচ্ছে করলেই কাউকে খুন করতে পারে্ন।
আর যাদুর ক্ষমতায় বিশ্বাস করলে ঈমান থাকার কথা নয়! এটি ইসলামের কথা নয়, যাদুর ক্ষমতা আল্লাহ সুব;ই দিয়েছেন কিন্তু যাদুকারির সাস্তি মৃত্যুদন্ড, আপনি যদি কাউকে খুন করেন তবু আমি ভাবব আল্লাহর ইচ্ছাতেই এবং তার ক্ষমতার কারনেই আপনি তা পেরেছেন আর যদি ভাবি শুধু আপনার ক্ষমতাতেই খুন করেছেন তবে শিরক করা হল
আপনি জাদু বলতে আসলে কি বুঝায় সেটিই বুঝেন না এবং কুংস্কার আর জাদুকে এক করে গুলিয়ে ফেলছেন । কালো জাদু কি তা জানতে হলে আগে বিজ্ঞান কি সে্টা জানতে হবে। বিজ্ঞান হল- বস্তুর উপর সরাসরি মানুষের প্রভাব ও কর্তৃত্ব । এটি সম্ভব হয়েছে অনেক কাল মানুষের বস্তুর উপর গবেষনা ও চেষ্টার ফলে ঠিক একইভাবে এই পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবের পূর্বে বুদ্ধিমান প্রানীর মধ্যে শুধু এলিয়েন বা জ্বিনদের অবস্থান ছিল তারাও মানুষের মত এমন যুগের পর যুগ গবেষনা ও চেষ্টার ফলে বস্তুর উপর সরাসরি তাদের প্রভাব ও কর্তৃত্ব ফলিয়েছে বা বিজ্ঞানী হয়েছে কিন্তু পরবর্তীতে মানুষ আসলে বিজ্ঞানে জ্বিন বা এলিয়েনরাই মানুষদের চেয়ে এগিয়ে ছিল কিন্তু জ্বিনরা ছিল বেশীরভাগই বর্তমান বিজ্ঞান মনষ্ক নাস্তিকদের মত স্রষ্টা বিরোধী , এরা সেসব মানুষদেরই অদৃশ্য ভাবে সাহায্য করত যারা স্রষ্টাকে বাদ দিয়ে তাদের কল করত যেমন- বর্তমানে ধর্মনিরপেক্ষ গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র হলে পশ্চিমারা বৈজ্ঞানিক , টেকনোলজি দিয়ে সাহায্য করে । অর্থাৎ জাদু হল মানুষের জিনদের ডাকার মাধ্যমে জ্বিনদের টেকনোলজির ব্যাবহার করানো বা মানুষের প্রভাব জ্বিনদের উপর যায় অতঃপর সেই জিনদের প্রভাব যখন পরে বস্তুর উপর তখনই সেটা হয় এবং তাকে বলা হয় কালো জাদু যা ইসলামে হারাম আর যদি একই ব্যাপারে স্রষ্টাকে কল করলে ফেরেশতার প্রভাব যখন কোন বস্তু বা শরীরের উপর পরে তখন তাকে অলৌকিকতা বলে যা ইসলামে সিদ্ধ , একই জিনিস আজকে মানুষ হাতে কলমে করলে তাকে বলে বিজ্ঞানের কৌশল , কিন্তু আজও মানুষ টেকনোলজির দিক দিয়ে জ্বিনদের ধারে কাছেও নয় , যেমনঃ- সহবাসের সময় দুয়া না পড়লে সন্তানের মৌলিক গঠনই জিনেরা গর্ভাশয়ে চেঞ্জ করে হিজরায় রুপান্তর করে দিতে সক্ষম । আর জিনদের মধ্যে সর্ব প্রথম ক্লোনিং শুরু করে ইবলিস তার নিজের দেহ হতে , বর্তমানে মানুষই শয়তানের এই শিক্ষা গ্রহন করে মানুষেরও ক্লোন করতে পারে। সুতারাং জাদু বলতে যে জিনিস বুঝায় তা হল- ১মত জিনদের কল করা অতঃপর বস্তু বা শরীরের উপর জিনের প্রভাব আর বিজ্ঞান মানে হল- জিনদের কোনরুপ ডাকা ছারাই সরাসরি বস্তু বা কোন শরীরের উপর মানুষেরই প্রভাব । সুতারাং বিজ্ঞান আর জাদু একই জিনিস , সুতারং বৈজ্ঞানিক মাপকাঠি দিয়ে বেশিরভাগ জাদুরই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব হয় বলে মনে হয় জাদু বলতে আসলে কিছুই ছিল না অথচ বিজ্ঞানই একধরনের জাদু যা মানুষই জ্বিন জাতি ব্যাতীতই নিজেরাই অনেক সাধনার পর আবিস্কার করে চলছে ।
বিজ্ঞানের কাজ করতে আল্লাহ ভিন্ন জিনদের ডাকা হয় না বলে এটি হালাল , তবে কেউ যদি ভাবে আমরা মানুষরাই এতবড় বৈজ্ঞানিক কর্ম করে ফেললাম স্রষ্ট্রার সাহায্য ছারাই তবে তাও হবে হারাম - যেমন- কুরানের সুরা অক্বেয়াতে আল্লাহ সুবঃ বলেন- তোমরাই কর নাকি আমিই করি ? তোমরাই ফসল ফলাও নাকি আমিই ফসল ফলাই ? - বিজ্ঞানীরা কিই বা করে ? আর যা দিয়ে করে তার সব কিছুই তো আগে হতেই ছিল এমনকি এসব তারা করে পুর্বে প্রাপ্ত জ্ঞানের সমন্বয়েই অথচ পুর্বলব্ধ জ্ঞান কি সে নিজেই আবিস্কার করেছিল কারও সাহায্য ছারাই ? অথবা বস্তুর এবং মহাকাশের যেসব নিয়ম ও প্রনালী আবিস্কার করার কথা বলে বেড়ায় তা কি পুর্ব হতেই ছিল নাকি বিজ্ঞানিরা নিজের হাত দিয়ে মৌলিকভাবে সৃষ্টি করেছে । আমাদের তো কিছুই করতে সমর্থ নাই আসলে , তাহলে করল কে? বা আসলে কোথা হতে এসব এল ?
জনৈক নাস্তিকের প্রশ্নঃ- মুমিনদের মতে আলকুরানের প্রতিটা অক্ষর আল্লাহ কর্তৃক নাজিলকৃত। যদিও কুরানের কিছু আয়াত ছাগলে খেয়ে ফেলেছে। তবে আল্লাহ নিজের আয়াত ছাগলের হাত থেকে রক্ষা করতে চরমভাবে ব্যার্থ হয়েছে?
উত্তরঃ-বর্তমান আলকুরানের প্রতিটা অক্ষর আল্লাহ কর্তৃক নাজিলকৃত এবং যতটুকুই লিপিবদ্ধ আছে তার সবই আজও অবিকৃতই রয়েছে। মাত্র কয়েকটি আয়াত এর পান্ডুলিপি ছাগলে খেয়েছে ঐ অংশটুকুও আল্লাহ কর্তৃক নাজিলকৃতই ছিল যদিও সুন্নিরা নামাজে ঐ দুই আয়াত তেলায়ত হতে বঞ্চিত হচ্ছে তবু ঐ দুই আয়াতে কি নাজিল করেছিলেন তা ঠিকই জানে এবং বাস্তব জীবনে আমলও করে, এখন কোন মুসলিমরা শুধু ঐ দু আয়াত কেন কুরানের আরও সূরা যদি সারা জীবনে নাও তেলায়ত করতে করতে মারা যায় তবু তার কমতি হবে না কেননা কুরানের মূল বিষয়বস্তু বুঝতে মাত্র কয়েকটি সুরাই যথেষ্ট তবে কুরানে বিস্তারিত অনেক কিছুই আছে যা সকলের জন্য বা সর্বসময়ের জন্য মাননীয় নয় এমনকি কিছু রহিত আয়াত রয়েছে যা শুধুমাত্র তেলায়ত ও জ্ঞানার্জন করা গেলেও মানা যাবে না।
বিঃ দ্রঃ কুরানের যে কয়েকটি আয়াত ছাগলে খেয়েছিল তা আলী রাঃ লিপিবদ্ধ কুরানে ঠিকই ছিল এবং তখনকার সময়ে হাফেজদের ঠিকই মুখস্ত ছিল।ইমাম মাহদী আলী রাঃ কুরান ফিরিয়ে আনলে সেখানে উক্ত আয়াত আবার পাওয়া যাবে তখন সকলেই তা নামাজে তিলায়াতও করতে পারবে। মোটকথা ঐ দুই আয়াত এর জন্য তেমন কিছুই যায় আসবে না কেননা আমরা উক্ত দুই আয়াতে কি নির্দেশ ছিল তা ঠিকই মানছি আর আল্লাহ সুবঃ সমস্ত কুরান নাজিল করেছেন সাহাবারা তা মুখস্তও করেছেন আবার লিপিবদ্ধও করেছেন তাদের লিপিবদ্ধ পান্ডুলিপি হতে দু-একটি আয়াত ছাগলে খেয়ে ফেললেই কি আল্লাহ কুরান রক্ষা করতে ব্যার্থ হলেন যেখানে নবী সাঃ যুগে কুরান লিপিবদ্ধ অবস্থায় ছিল না ছিল শুধু মুখস্ত। লিখিত কুরান মানুষ লিখেছে এর দায়িত্ব মানুষেরই আজও মুসলিমরা দাবী করে কুরান আল্লাহ হেফাজত করছেন হাজার হাজার হাফেজদের সৃতির মাধ্যমে , কেউ ই মনে করে না বই আকারে ছাপিয়ে তাকে সংরক্ষন করা হচ্ছে তাই যদি হত তবে বেশ কয়েকবার কুরানে পরিবর্তন করতে গিয়ে ধরা পরেছিল কারন হাফেজদের মাথায় তা সংরক্ষিত ছিল এভাবেই ১৪০০ বছর পরও কুরানের একটি হরফও কেউ পরিবর্তন করে পারে নাই।
নাস্তিকঃ-বর্তমান কোরানের যেখানে মূল পাণ্ডুলীপিই নাই, ক্যামনে বুঝবেন এই কোরানই সেই আসল মোহাম্মদী কোরান? খলিফা ওসমানের সময়ে মূল কোরানের সব লিখিত অংশ প্রথম সংকোলনের সময়ে সম্পূর্ণ ভষ্মিভুত করা হয়। এর পরেও প্রায় প্রত্যেক খলিফার রাজত্ত্বে কোরানের আগের সমস্ত কপি সংগ্রহ করে সংকোলনের পর জ্বালিয়ে ফেলা হয়।
আস্তিকঃ-আমার খুব ভালভাবেই জানা আছে কুরান সংকলনের ইতিহাস। বর্তমানে আমাদের কাছে যেটা সংকলিত আছে তা হল উসমান রাঃ টি তখনকার সময় আলী রাঃ, ইবনে মাসউদ রাঃ, আবু বকর রাঃ উনাদের আলাদা আলাদা সংকলিত কুরান ছিল এবং সকলের সংকলিত কুরানই নবী সাঃ কুরান হতে সম্পূর্নভাবেই নেয়া হয়েছিল শুধুমাত্র কিছু সুরা ও আয়াতের আগ পিছ হয়েছিল সংকলনে যদিও এতে তেমন সমস্যা নেই কেননা মূল কুরানই ছিল। নবী সাঃ এর জীবদ্দশায় কুরান লিপিবদ্ধ নিষেধ করেন কারন আল কুরান এবং হাদিস দুটিই একসাথে লিপিবদ্ধ করা হচ্ছিল এতে কুরান ও হাদিস দুটির সংমিশ্রন হবার সম্ভাবনা ছিল তাই কুরান শুধুই মুখস্ত এবং হাদিসগুলোই তখন লিপিবদ্ধ করা হচ্ছিল কিন্ত নবী সাঃ মৃত্যুর পর অনেক সাহাবী সাধারন মুসলিমদের সুবিধার্থে বিশেষ করে অনেক কুরানের হাফেজ শহীদ হওয়ায় কুরানও সংকলন করেন কিন্তু মূল কুরান ঠিক থাকলেও একেক জনের সংকলনে সুরা আয়াতের সিরিয়াল একই রকম না থাকায় পরে ফিতনা হতে পারে এই শংকায় উসমান রাঃ এর সময় একটি কুরান ব্যাতীত কুরানের অন্য সকল সংকলন পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।আসল পাণ্ডুলীপি তখনকার সময়ে সকল হাফেজদের মস্তিস্কে ছিল পরে সাহাবীরা সুবিধার্থে তা লিপিবদ্ধ করেছেন(কিছু সুরা সিরিয়ালে আগ পিছে কি জায় আসে যদি সেটা সকলেরই জানা থাকে) এখন শুধু একজনেরই সংকলন বেশী পাওয়া যায় সুন্নিদের কাছে সেটাও মূল পান্ডুলিপির অনুকরন আর এই কুরান যে ঠিক তা নবী সাঃ বলে গেছেন --" তোমরা লিপিবদ্ধ কুরান আর হাদিস অনুসরন করলে পথভ্রষ্ট হবে না।"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.