নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামি চিন্তাবিদ

ইসলামি চিন্তাবিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাত্র ৭ দিনেই আরবী সহীভাবে পড়তে পারাসহ মোট ৪০ দিনেই আরবীভাষা শেখার সহজ পদ্ধতি

২৮ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:০৪


ইনশাহ আল্লাহ মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই সহীভাবে আরবী পড়তে পারা এমনকি লিখতে পারাসহ আরো ৩৩ দিন ধৈর্য্য ধরলে, মোট ৪০ দিনেই আরবীভাষা এমনভাবে শেখা সম্ভব যে ভালভাবে চর্চা করলে জের,জবরহীন আরবী কুরান-হাদিস ছারা অন্নান্য গ্রন্থও নিজে নিজেই তাফসির করতে পারা যাবে। আরবী ভাষা বলতে পারা যাবে এবং আরব দেশে গেলে আরবদের সকল কথাই বুঝা সম্ভব হবে। অথচ এই যোগ্যতা অর্জন করতে উপমহাদেশের মাদ্রাসাগুলোতে কমপক্ষে ৮-১০ বছর বা এক যুগই লেগে যায় শুধুমাত্র ভালভাবে সচেতন না হবার কারনে এবং পূর্ব হতে প্রনিত আরবী গ্রামারগুলোকে অন্ধের মতন গলঃধরন করার কারনে।

১ম দিন
অক্ষর চেনা
আল হামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন, ওয়াসালামু আলা রসুলিহী। সব ভাষা শিখতেই ১মে মৌলিক বর্ন বা হরফ মুখস্ত করতে হয় কেননা এই মৌলিক বর্ন হতেই সৃষ্টি হয় শব্দের এবং কয়েকটি শব্দের সমন্বয়ে যখন একটি বাক্য পরিপূর্নতা পায় তখনি মনের ভাব অন্যের কাছে প্রকাশ করা যায় ভাষার।
নিচের এই বর্ন বা হরফগুলির পাশে বাংলায় উচ্চারন দেয়া হয়েছে এবং কিছু কিছু হরফে দুই প্রকারের উচ্চারন দেয়া হয়েছে কেননা আরব দেশে দুটোরই প্রচলন আছে এবং দুটাই সহী। তবে আরবী হরফের সহী উচ্চারন এমন যে বাংলায় পরিপূর্নভাবে লিখে প্রকাশ সম্ভব নয় তাই যারা সহী উচ্চারন জানে বা পাশের মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন বা ক্বারীর কাছে হরফের উচ্চারনগুলি সরাসরি কয়েকবার শুনলে খুবই ভাল হবে। তবে সাবধান তাদের প্যাঁচানীতে পরবেন না কারন তারা নিজেরা যেভাবে মাসের মাস চেষ্টা করে কঠিন নিয়মে আরবী পড়া শিখেছে আপনাদেরও সেভাবেই শিখতে বলবে নয়ত সহীভাবে সম্ভব নয় বলবে। সমস্যা নেই, তাদের কথা একান দিয়ে শুনে ঐকান দিয়ে বের করে দিন।
নিম্নে উল্লেখিত আরবী হরফগুলো সহী উচ্চারনের সাথে মূখস্ত করুন আর যারা আরবী লেখাও শিখতে চান তারা লিখুন এবং পড়ুন এতে আরো দ্রুত মুখস্ত হবে। নিম্নে সবগুলি আরবী হরফের বাংলা উচ্চারণ পর পর দেয়া আছে।
আরবী সবসময়ই ডান দিক হতে শুরু হয়-
ا ب ت ث ج ح خ د ذ ر ز س ش ص ض ط ظ ع غ ف ق ك ل م ن و ه ء َى ي
(আলিফ)-- (বা/বে )-- (থা/থে) -- জিহবা দাতের সংগে লাগিয়ে নরম করে(ছা/ছে)-- (জিম) --হলকের মধ্যখান বা গলার ভিতর থেকে(হা/হে)-- হলকের শেষ বা কন্ঠনালী হতে(খ/খে) -- (ডাল) -- জিহবা দাতের সংগে লাগিয়ে নরম করে(যাল)-- (র/রে)-- (ঝা/ঝে) --(ছিন)-- (শিন) -- (ছোয়াত) -- (দোয়াত)-- (তোয়া/তই)-- জিহবা দাতের সংগে লাগিয়ে নরম করে(যোয়া/যই) -- হলকের মধ্যখান বা গলার ভিতর থেকে (আইন) -- হলকের শেষ বা কন্ঠনালী হতে (গইন) -- (ফা/ফে) -- জিহবার গোড়া উপরের তালুর সংগে ধাক্কা লাগিয়ে(ক্বফ) -- (কাপ) -- (লাম) --(মিম) -- (নুন) --(ওয়াউ) -- (হাহ্/হেহ্) --(হামযাহ্) --(ইয়া) -- (ইয়া)
বিঃদ্রঃ যতদুর সম্ভব চেষ্টা করতে হবে সহীভাবে পড়ার তবে অনারব বা বৃদ্ধদের জন্য আল্লাহ সুবঃ ছার দিয়েছেন যে কেউ যদি অশুদ্ধ বা ভুল উচ্চারনে কুরান পড়ে তবে একজন ফেরেশতা নিযুক্ত আছে শুধু এজন্য যে কেউ ভুল উচ্চারন করলে সেই ফেরেশতা আল্লাহর নিকট তা শুদ্ধ করে পৌছিয়ে দেয় এবং এজন্য অশুদ্ধ উচ্চারণকারীর কোন গুনাহও হয় না এবং নেকিও কম করা হয় না এমনকি আরবদেরও তাদের দেশের মোট ৭ ধরনের আঞ্চলিক উচ্চারণে কুরান পড়াকে জায়েজ করেছেন শুধুমাত্র কুরান পড়াকে দুঢ়হ না করার স্বার্থে তাই পুরোপুরি আরবদের মতন সহী উচ্চারন না পারলেও সমস্যা নেই আল্লাহ সুবঃ ঠিকই কবুল করবেন ইনশাহ আল্লাহ।

২য় দিন
যুক্তাক্ষর পরিচিতি
১ম দিন উচ্চারন শেখার পাশাপাশি যেসব আরবী হরফ চেনা হয়েছে তা হল উক্ত হরফগুলির আসল বা একক রুপ মাত্র কিন্তু যখন হরফগুলির সমন্বয়ে একটি শব্দ গঠিত হবে তখন হরফগুলি আর আসলরুপে থাকবে না বরং দেখতে একটু পরিবর্তন হবার পরই একটি আরেকটির সংগে যুক্ত হয়ে শব্দ তৈরী করবে। শব্দ তৈরীর নিয়ম শেখার পূর্বেই হরফগুলো যুক্ত অবস্থায় দেখতে কেমন দেখায় তা চিনলে সুবিধা হবে।

সাধারনত শব্দের মাঝে মিলিত হরফগুলির শুধুমাত্র ডান দিকের মাথার অংশটুকু দেখেই আসল হরফ নির্নয় করতে হবে যা ধীরে ধীরে চর্চা করতে করতেই চেনা হয়ে যাবে তবে আশার কথা হল ৭টি হরফ কিছুতেই আকার পরিবর্তন করে না এমনকি বাম হরফের সাথে অংগাআংগি মিলিতও হয় না তাই এরা আসল রুপেই থাকে এমনকি শুধুমাত্র ডান হরফের সাথে মিলিত হলেও দেখতে কিন্তু পূর্বের আসল রুপেই থাকে।
এই হরফ ৭টি হল(ا د ذ ر ز و ء ) এছারা বাকী ২২ হরফ একে অপরের সাথে এবং বামদিকের সবগুলো হরফের সাথেই মিলিত হতে পারে তাই এদের আকৃতি কিছুটা পরিবর্তন হলেও ডান দিকের মাথার অংশটুকু দেখেই চিনা যায়।
একত্রে ২২ হরফগুলো হল (بتثجحخسشصضطظعغفقكلمنهَى ) সাধারনত শুধুমাত্র "থা" হরফই শব্দের শেষের দিকে লিখলে হাহ্ এর উপর দুই বিন্দু বা দুই নুকতা দ্বারা লেখা হয় যেমন-(ة) এছারাও ২২ হরফ বিভিন্নভাবে লেখা যায় যেমন-কাপ লাম মিম থা(كلمة)
হা ত বা( حطب), খ লাম ক্বফ( خلق), ইয়া আইন ত ইয়া কাপ( يعطيك), আইন ক্বফ বা ইয়া হাহ্(عقبيه ), মিম খ লাম ছোয়াত ইয়া নুন(مخلصين ), ইয়া হা (يح )
উপরের হরফগুলি ভালভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় শব্দের ১ম এবং মাঝের হরফগুলি একটু আকৃতি পরিবর্তন হলেও একদম শেষ হরফ কিন্তু ঠিকই মোটামুটি অবিকৃত থাকে যদিও পূর্বের হরফের সাথে যুক্ত অবস্থায় থাকে। কিন্তু এই ৭টি হরফ(ا د ذ ر ز و ء ) ১মত:- নিজেদের মাঝে ডান দিক থেকে এবং বাম দিক থেকেও যুক্ত হয় না অর্থাৎ একটু ফাক রেখেই পরপর লিখতে হয় যেমন-(دا)ডাল আলিফ, (را)র আলিফ, (ءا)হামযাহ্ আলিফ, (اا) আলিফ আলিফ, (اذ)আলিফ যাল, (ود)ওয়াউ ডাল, (زر)ঝা র। ২য়ত:- এই ৭টি হরফ বাম দিক থেকে অন্য ২২টি হরফের সাথেও মিলিতভাবে লেখা যায় না যেমন-(زلك)যাল লাম কাপ, (رجل)র জিম লাম, (اوتى)আলিফ ওয়াউ থা ইয়া।
৩য়ত:- ২২টি হরফের সাথে আবার ডান দিক থেকে ঠিকই উক্ত হরফগুলি(তবে হামযাহ্ ব্যাতীত) মিলিতভাবে লেখা যায় যেমন-(قرىء)ক্বপ র ইয়া হামযাহ্
(با لا كا ضا ظا) বা আলিফ, লাম আলিফ, কাপ আলিফ, দোয়াত আলিফ, যোয়া আলিফ।
(حشر)হা শিন র, (فهو)ফা হাহ্ ওয়াউ, (سرق)ছিন র ক্বফ, (اخذ)আলিফ খ যাল, (ذكر)যাল কাপ র।
বাক্যের মাঝে আরবী হরফগুলি চেনার জন্য নিজে নিজেই কিছু ব্যাপার খুব ভালভাবে খেয়াল করতে হবে যেমন- বিন্দু, ফোটা, পয়েন্টা বা নুকতা যদি নিচে একটা থাকে তবে সেটা-"বা" আর যদি নুকতা উপরে থাকে তবে তা হল "নুন" আর নিচে দুই নুকতা থাকলেই "ইয়া" উপরে হলে "থা" উপরে তিন নুকতা হলে "ছা" এছারা "খ" এর উপরে ১ নুকতা থাকে আর "জিম" এর নিচে বা মাঝে ১ নুকতা থাকে।

বিঃদ্রঃ ভালভাবে চর্চার জন্য যেকোন একটি কায়দা কিনে কায়দার মাঝে যেসব সিরিয়ালী এক্সারসাইজ দেয়া আছে শুধুমাত্র সেগুলো দেখে দেখে চর্চা করা যেতে পারে তবে সাবধান! কায়দার মাঝের নিয়মের দিকে নজর দেয়া যাবে না শুধুমাত্র আরবী হরফগুলো দেখে দেখে চর্চা করতে হবে এমনকি কুরান খুলেও শুধুমাত্র হরফগুলি পড়া যেতে পারে যে সত্যি সত্যিই হরফগুলির বিভিন্ন রুপ চেনা যাচ্ছে কিনা কারন কিছু কিছু হরফ শব্দের শুরুতে দেখতে একরম শব্দের মাঝে আবার আরেকরম কিন্তু শব্দের শেষে সব হরফই আসল রুপেই থাকে। যারা একইসাথে আরবী লেখাও শিখতে চান তাদের জন্য ২য় দিনের এই পাঠগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ন।
৩য় দিন
হরকত ও তানবীন
আরবী হরফের উপরে যবর, যের, পেশ(َُِ)হরকত থাকলে তা যথাক্রমে "আ-কার","ই-কার","উ-কার" এর কাজ করে যেমন- সাধারন হরফগুলোর ক্ষেত্রে(بَ بِ بُ)বা, বি, বু (تَ تِ تُ) থা, থি, থু (ثَ ثِ ثُ) ছা, ছি, ছু । শব্দের মাঝে আলিফ এবং হামযাহ্ এর উচ্চারন একই ধরনের হয়
যেমন-(اَ اِ اُ ) আ , ই , উ । আবার (ءَ ءِ ءُ) আ , ই , উ। ব্যাতিক্রম ১০ হরফ বাদে বাকী সাধারন ১৯টি হরফে এইভাবে কায়দা খুলে নিজে নিজে প্র্যাকটিস করুন-(نَ نِ نُ) না নি নু (هَ هِ هُ) হা হি হু।

ব্যাতিক্রম ১০ হরফ হল (خ ر ص ض ط ظ غ ق و ي ) এরমাঝে শুধু ওয়াও এবং ইয়া হরফ বাদে বাকী ৮টি হরফের ক্ষেত্রে যবরের বেলায় "আ-কার" না হয়ে "অ-কার" হয় এছারা যের এবং পেশের বেলায় উপরের সাধারন নিয়মেই হয়।
যেমন- এক্ষেত্রে (خَ خِ خُ) খা খি খু হবার কথা কিন্তু হবে খ, খি, খু। একইভাবে(رَ رِ رُ) র রি রু (صَ صِ صُ) ছ ছি ছু (ضَ ضِ ضُ) দ দি দু (طَ طِ طُ) ত তি তু (ظَ ظِ ظُ)যোয়া যি যু (غَ غِ غُ) গ গি গু (قَ قِ قُ) ক্ব ক্বি ক্বু ।

এবারে পুরোই ব্যাতিক্রম হরফ হল ওয়াও এবং ইয়া তাই এ দুটির হরকত মুখস্ত করতে হবে।
যেমন- (وَ) ওয়াও যবর ওয়া, (وِ) ওয়াও যের ভী, (وُ)ওয়াও পেশ ভু---( وَ وِ وُ) ওয়া ভী ভু
[এখানে ভী আর ভু বাংলায় লিখা হয়েছে তা আসলে সরাসরি ভী বা ভু না হয়ে ব এবং ভ এর মাঝামাঝি এক ধরনের উচ্চারন হবে যা একমাত্র সহীভাবে পড়তে জানে এমন কারো মুখে সরাসরি শুনলেই বোধগম্য হবে]
আবার-( يَ)ইয়া যবর ইয়া, (يِ)ইয়া যের ই, (يُ)ইয়া পেশ ইউ---( يَ يِ يُ)ইয়া ই ইউ।

এবারে আরবী হরফের উপরে দুইযবর, দুইযের, দুইপেশ(ًٌٍ)তানবীন থাকলে তা যথাক্রমে
"আ-কার"+ন=আন,"ই-কার"+ন=ইন,"উ-কার"+ন=উন এর কাজ করে যেমন- সাধারন হরফগুলোর ক্ষেত্রে (اً اٍ اٌ)আন ইন উন (بًا بٍ بٌ)বান, বিন, বুন (داً دٍ دٌ) ডান ডিন ডুন (فًا فٍ فٌ) ফান ফিন ফুন । এখানে একটি ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে যে শুধুমাত্র দুই যবরের ক্ষেত্রে হরফের বামে একটি অতিরিক্ত আলিফ লিখতে হয় এটা নিয়ম কিন্তু এর কোন উচ্চারন নেই এবং মুখে পড়তেও হয় না শুধুমাত্র লিখার সময়ই লিখতে হয় আর শুধুমাত্র তা দুই যবরের ক্ষেত্রেই। এবার ব্যাতিক্রম ১০ হরফ বাদে বাকী সাধারন ১৯টি হরফে এইভাবে কায়দা খুলে নিজে নিজে প্র্যাকটিস করুন-
(شًا شٍ شٌ)শান শিন শুন, (لًا لٍ لٌ)লান লিন লুন, (مًا مٍ مٌ)মান মিন মুন।
ব্যাতিক্রম ১০ হরফ হল (خ ر ص ض ط ظ غ ق و ي ) এরমাঝে শুধু ওয়াও এবং ইয়া হরফ বাদে বাকী ৮টি হরফের ক্ষেত্রে যবরের বেলায় "আন" না হয়ে "অন" হয় এছারা যের এবং পেশের বেলায় উপরের সাধারন নিয়মেই হয়।
যেমন- এক্ষেত্রে (خًا خٍ خٌ)খন, খিন, খুন। একইভাবে(راً رٍ رٌ) রন রিন রুন (صًا صٍ صٌ) ছন ছিন ছুন (ضًا ضٍ ضٌ) দন দিন দুন (طًا طٍ طٌ) তন তিন তুন (ظًا ظٍ ظٌ) যন যিন যুন
(غًا غٍ غٌ) গন গিন গুন (قًا قٍ قٌ) ক্বন ক্বিন ক্বুন ।
এবারে পুরোই ব্যাতিক্রম হরফ হল ওয়াও এবং ইয়া তাই এ দুটির তানবীন মুখস্ত করতে হবে।
যেমন- (واً) ওয়াও দুইযবর ওয়ান, (وٍ) ওয়াও দুইযের ভীন, (وٌ)ওয়াও দুই পেশ ভুন---
(وًا وٍ وٌ)ওয়ান ভীন ভুন। আবার-( يًا)ইয়া দুই যবর ইয়ান, (يٍ)ইয়া দুই যের ইন, (يٌ)ইয়া দুই পেশ ইউন---(يًا يٍ يٌ)ইয়ান ইন ইউন।

৪র্থ দিন
জযম এবং মদ/টান
নিয়ম-১) কোন হরফের মাথার উপর জযম বা ছাকিন(^ / , / ْ) থাকলে তা দ্বারা ডানের হরফের সাথে বামের জযমওয়ালা হরফের সংযুক্ত বুঝায় আর তাই উচ্চারণ করতে হয় একত্রে যেমন বাংলা শব্দের ক্ষেত্রে আমরা উচ্চারন করি "বাহ্" "আম" "আখ" ইত্যাদি। ঠিক একইভাবে আরবীর ক্ষেত্রেও-
(اَتْ)আথ( اِتْ)ইথ( اُتْ)উথ, (تَجْ)থাজ (حِثْ)হিছ (خَتْ)খথ (غَضْ)গদ (ضَغْ)দগ। ব্যাতিক্রম কিছু উদাহরণ-(وَلْ)অল (وِلْ)ভীল (وُلْ)ভুল (مَوْ)মাও (مِوْ)মিউ (يَمْ)ইয়াম (يِمْ)ইম (يُمْ)ইউম (نَيْ)নাই (نُيْ) নুই। এভাবে কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন। তবে (رَاْ رِاْ رُاْ), ( يَعْ يِعْ يُعْ) এবং
( بَحْ بِحْ بُحْ) এই ৩টি উচ্চারন আরবী সহীভাবে পড়তে জানে এমন কারো কাছ থেকে শুনে উচ্চারন করবেন। এছারা কায়দা খুলে বড় শব্দগুলো আরো প্র্যাকটিস করুন যেমন-( لَسْتَ)লাছতা (اِهْدِ)ইহ্ দি
( عَشْرٍ)আশরিন (تَعْبُدُ)থা' বুদু ইত্যাদি ।

নিয়ম-২) যদি এই ৫টি হরফ (ق ط ب ج د) এর মাথার উপর জযম(^ / , / ْ) থাকে তবে একটু ধাক্কা দিয়ে উচ্চারণ করতে হয় বলে এই হরফকে ক্বলক্বলা হরফ বলে। উক্ত জযমওয়ালা হরফটি এমনভাবে উচ্চারন করতে হবে যেন হরফটি ডবল আছে যেমন- (اَقْ) আক্কো (اِطْ)ইত্তো (اُبْ)উব্ব (اَخْ)আজ্জ (اِدْ)ইড্ড (بَطْ)বাত্ত (يَدْ) ইয়াড্ড (يُدْ)ইউড্ড ইত্যাদি কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন যথা-( اِقْرَأْ)ইক্করো'- (حَبْلٌ)হাব্বলুন
(يَدْخُلُ)ইয়াড্ডখুলু (بَطْشَ)বাত্তশা ইত্যাদি।

নিয়ম-৩) যদি জযমওয়ালা (رْ) র হরফের পূর্বে যবর বা পেশ থাকে তবে "র" কে পোর করে বা মুখের মধ্যে গোল করে উচ্চারন করতে হয় যেমন- নিময় অনুযায়ি হবার কথা (اَرْ) আর কিন্তু পূর্বে যবর থাকায় হবে( اَرْ)আরো ঠিকই একইভাবে পেশ থাকলেও হবে
( اُرْ)উরো কিন্তু যের থাকলে স্বাভাবিক উচ্চারন অর্থাৎ (اِرْ)ইর। এমনটি শুধু "র" এর বেলাতেই হয়, কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন যথা- (فَرْ فِرْ فُرْ)ফারো ফির ফুরো (ثَرْ ثِرْ ثُرْ) ছারো ছির ছির, (بَرْقِ)বারোক্বি (اَرْسَلَ)আরোছালা (مُرْسَلْ)মুরোছাল। এবারে যের থাকায় স্বাভাবিক (مِرْيَةٍ)মিরইয়াতিন (فِرْعَوْنَ)ফিরআউনা ।
এইরকম নিয়ম ঠিক আল্লোহ্ শব্দ উচ্চারনের ক্ষেত্রেও হয় যেমন- আল্লোহ্ শব্দ উচ্চারনের সময় যদি পূর্বে যের বা পেশ থাকে তবে পড়তে হয়-আল্লোহ্ বা উল্লোহ্ যথা- আল্লোহু আকবার, নাছরুল্লোহ্, ইয়ারহামুকুমুল্লোহ্ ইত্যাদি আবার যদি যের থাকে তবে স্বাভাবিক উচ্চারনেই পড়তে হয় যেমন- বিসমিল্লাহ্, আল হামদু লিল্লাহি , আউযুবিল্লাহি ইত্যাদি। এই রকম আরো উদাহরণ পরবর্তীতে কায়দার শেষের দিক হতে চর্চা করতে পারেন।
নিয়ম-৪) যদি কোন হরফের সাথে যবরের বাম পার্শ্বে খালি আলিফ অথবা যের এর বাম পার্শ্বে জযমওয়ালা ইয়া অথবা পেশ এর বাম পার্শ্বে জযমওয়ালা ওয়াও থাকে তবে উক্ত হরফকে হরকত অনুযায়ি ১ আলিফ বা ১ সেকেন্ড টেনে লম্বা উচ্চারনে পড়তে হয় যেমন- (بَا) বা...আ...আ (بِيْ)বি...ই...ই (بُوْ)বু...উ...উ । সাধারনত বাংলা এবং ইংরেজিতে টানওয়ালা কোন শব্দ না থাকলেও আরবী ভাষাতে আছে আর এজন্য শব্দের অর্থও পরিবর্তন হয়ে যায়। কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন যথা-( ءَا) ...আ...আ (ءِىْ)...ই...ই (ءُوْ) ...উ...উ (اِيْ)...ই...ই( اُوْ) ...উ...উ (شَا)শা ...আ...আ (شِيْ)শি...ই...ই (شُوْ)শু ...উ...উ ইত্যাদি। এবারে ব্যাতিক্রম ১০ হরফের মাঝে ৮টি হরফের ক্ষেত্রে কায়দা খুলে প্র্যাকটিস করুন যথা- (رَا) র ...অ...অ (رِيْ) রি...ই...ই (رُوْ) রু ...উ...উ এবারে পুরোই ব্যাতিক্রম হরফ হল ওয়াও এবং ইয়া- (وَا) ও ...অ...অ (وِىْ) ভি...ই...ই (وُوْ) ভু ...উ...উ আবার ( يَا)ইয়া...আ...আ (يِى)ই...ই...ই
(يُوْ)ইউ ...উ...উ এছারা যুক্ত শব্দগুলো কায়দা খুলে প্র্যাকটিস করুন যথা- (نَاصِيَةٍ) না...আ ছিইয়াথিন (وَالِدٍ)ও ...অ লিডিন (يَتِيْماً)ইয়াথি-ই-মান (وُخُوْهٌ) ভুজু-উ-হুন (هَارُوْنَ)হা-আ-রু-উ-না।
নিয়ম-৫) উপরের ৪ নং নিয়মের মত না হবার পরও যদি কোন হরফের উপর শুধুই খারা যবর, খারা যের, উলটা পেশ ( ) থাকে তবেও উক্ত হরফকেও হরকত অনুযায়ি ১ আলিফ বা ১ সেকেন্ড টেনে লম্বা উচ্চারনে পড়তে হয় যেমন- (ب) বা...আ...আ (ب)বি...ই...ই (ب)বু...উ...উ । এখানে টাইপজনিত সমস্যার কারনে খারা যবর, যের, পেশ এর উদাহরন দেয়া সম্ভব হল না তাই কায়দা খুলে প্র্যাকটিস করুন এবারে ব্যাতিক্রম ১০ হরফের মাঝে ৮টি হরফের ক্ষেত্রে কায়দা খুলে প্র্যাকটিস করুন যথা- (ص) ছ ...অ...অ (ص) ছি...ই...ই (ص) ছু ...উ...উ এছারা যুক্ত শব্দগুলো কায়দা খুলে প্র্যাকটিস করুন।
বিঃদ্রঃ ভালভাবে প্র্যাকটিস করতে চাইলে বাজার থেকে এমন কায়দা ক্রয় করুন যেখানে বেশী বেশী উদাহরণ দেয়া আছে অর্থাৎ মোটা ও দামী কায়দা কিনুন দেখতে চিকোন ও সস্তা কায়দা পরিহার করুন। তবে সমস্যা হল এখানে উল্লেখিত নিয়মের সিরিয়াল অনুযায়ি ঐসব কায়দার উদাহরনগুলো পর পর একদম হুবহু ক্রমান্বয়ে না মেলার সম্ভাবনা বেশী তাই নিজে নিজেই কষ্ট করে মিলে মিলে উদাহরনগুলো বের করে প্র্যাকটিস করুন প্রয়োজনে অন্যকারো সাহায্য নিন। মনে রাখবেন বেশী বেশী কায়দার উদাহরন প্র্যাকটিস ব্যাতীত দ্রুত কুরান পড়তে পারা অসম্ভব। তাই এই ৭দিন প্রত্যহ সর্বনিম্ন ২ ঘন্টা হতে সর্বচ্চ ৫ ঘন্টার মত সময় ব্যয় করা লাগতে পারে। যে যত বেশী ট্যালেন্ট তার সময় কম লাগলেও ২ ঘন্টার নিচে সম্ভব নয়।

৫ম দিন
তাশদীদ ও গুন্নার টান
নিয়ম-১) যদি কোন হরফের উপর তাশদীদ(اّ) থাকে তবে বুঝতে হবে উক্ত হরফটি ঐখানে দুটো আছে ১ম হরফটি জযমওয়ালা ২য়টি সাধারন যেমন-(اَبَّ)=( اَبْ)+( بَ)=আব্বা, একইভাবে (اِبُّ)ইব্বু
(رَبَّ) রব্বা । কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন যথা-( قَدَّدَ) ক্বড্ডাডা (صَرَّفَ)ছর্ রফা (صَدَّقَ)ছড্ডাক্বো (قُوَّةٍ)ক্বুউওয়াথিন (مُطَهَّرَةٍ)মুতোহ্ হারোথিন (مُدَّثَّرُ)মুড্ডাছছারু ইত্যাদি।

নিয়ম-২) কিন্তু তাশদীদ যদি মীম বা নুনের(نّ مّ) উপরে থাকে তবে অতিরিক্ত কিছু করনীয় আছে বুঝতে হবে আর তা হল ১ম মীম বা নুনকে ১ আলিফ বা ১ সেকেন্ড পরিমান লম্বা করতে হবে মুখ বন্ধ রেখে, একে আরবীতে গুন্নাহ বলে যেমন-(اِنَّ)ইন্...ন...না (ثُمَّ)ছুম্...ম...মা একইভাবে কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন যথা- (فَلَمَّا)ফালাম্...ম...মা-আ (لَتَرَوُنَّ)লাথারভুন্...ন...না । ভালভাবে উচ্চারন শিখতে আরবী সহীভাবে পড়তে জানে এমন কারো কাছ থেকে এসব গুন্নাহগুলো এবং পূর্বের টানওয়ালা হরফগুলোও ১বার হলেও শুনে উচ্চারন করবেন।
বিঃদ্রঃ এখন পর্যন্ত উপরে যতগুলো নিয়ম শেখানো হয়েছে মূলত এগুলোই আরবী পড়া শেখার মূল নিয়ম এরপর নিচে যতগুলো নিয়ম শেখানো হবে সেসব নিয়ম হল অতিরিক্ত এবং কুরান পুর্নাংগ সহীভাবে পড়তে অবশ্যই নিচের নিয়মগুলোও শিখতে হবে কিন্তু এই নিয়মগুলো একদিনেই আত্ত্বস্থ্য সম্ভব নয় এই নিয়মগুলো কুরান সহীভাবে অনেকদিন পড়তে পড়তে আপনা আপনিই মনের ভিতরে গেঁথে যাবে ইনশাহ আল্লোহ।
নিয়ম-৩) যার দ্বারা শব্দের শেষে "ন" উচ্চারন আসে যেমন-(نْ)জযমওয়ালা নুন/নুন ছাকিন বা তানবীন(ًٌٍ) এর মাধ্যমে কোন শব্দের শেষে "ন" উচ্চারন আসতে বাধ্য। এখন যদি কোন শব্দের মাঝে নুন ছাকিন বা তানবীন এর পরপরই নুন বা মীম(ن م) দেখা যায় তবে নুন ছাকিন বা তানবীন এর কারনে যে "ন" উচ্চারন আসার কথা ছিল তাকে উচ্চারন না করে পরবর্তী নুন বা মীমের উপর তাশদীদ সহকারে ১ আলিফ গুন্নাহ করতে হবে যেমন- হবার কথা( مِنْ ماَءٍ)মিন মা-আ-ইন,
কিন্তু হবে (مِنْ مّاَءٍ)মিম্...ম...মা...আ...ইন, একইভাবে কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন যথা-
(مِنْ نَّعْمَةٍ)মিন্…ন…না'মাথিন, (حَبْلٌ مّنْ مَسَدٍ)হাব্বলুম্…ম…মিম্…ম…মাছাডিন।
নিয়ম-৪) আবার যদি কোন শব্দের মাঝে নুন ছাকিন(نْ) বা তানবীন(ًٌٍ) এর পরপরই "বা" হরফ(ب) দেখা যায় তবে নুন ছাকিন বা তানবীন এর কারনে যে "ন" উচ্চারন আসার কথা ছিল তাকে উচ্চারন না করে মীমের "ম" উচ্চারন দ্বারা পরিবর্তন করতে হবে ১ আলিফ পরিমান গুন্নাসহ অর্থাৎ আরবরা "ব" উচ্চারনের পূর্বে "ন" উচ্চারন না করে শব্দ শ্রুতিমধুর করতে "ম" উচ্চারন করে যেমন-
হবার কথা(مِنْ بَعْدِ)মিন বা'ডি কিন্তু হবে (مِنْ بَعْدِ)মিম্...ম...বা'ডি, তবে বেশীরভাগ কুরানের মাঝেই "বা" হরফের উপরে ছোট্ট করে একটা মীম লেখা থাকে যদ্দরুন পাঠকের পড়তে সুবিধা হয়, এবার কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন যথা-( فَاَنْبَتْنَا)ফাআম্...ম...বাথনা...আ...
( مَا يَنْبَغِىْ)মা...আ...ইয়াম্...ম...বাগী...ই...( بُشْرًابَيْنَ)বুশরোম্...ম...বাইনা
(صُمٌّ بُكْمٌ)ছুম্...ম...মুম্...ম...বুকমুন ইত্যাদি।

নিয়ম-৫) আবার যদি কোন বাক্যের মাঝে ২টি শব্দের ১ম শব্দের শেষে নুন ছাকিন(نْ) বা তানবীন(ًٌٍ) এর পরপরই বা ২য় শব্দের শুরুতেই ওয়াও বা ইয়া হরফ(و ي) দেখা যায় তবে নুন ছাকিন বা তানবীন এর কারনে যে "ন" উচ্চারন আসার কথা ছিল তাকে উচ্চারন না করে পরবর্তী ওয়াও বা ইয়ার উপর তাশদীদ সহকারে ১ আলিফ গুন্নাহ করতে হবে আর এই গুন্নাতে ম বা ন মুখের ভিতর দীর্ঘক্ষন ধরে না রেখে এবার ওয়াও বা ইয়াকে মুখের ভিতর ধরে রাখতে হবে আর তা অনেকটাই নাকের মধ্য হতে গুন্নাহ হবে যেমন- হবার কথা(خَيْرًا يَر)খইরন ইয়ারো, কিন্তু হবে(خَيْرًا يَّرَ)খইরই...ঞ...ইয়ারো এবার কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন যথা-(لَهَبٍ وَّتَبَّ)লাহাবিউ...ঙ...ওয়াথাব্বা,
(مَنْ يَّخْشَ)মাই...ঞ...ইয়াখশা, (اَنْ يَّسْتَقِيْمَ)আই...ঞ...ইয়াছথাক্বি...ই...মা ইত্যাদি।
বিঃদ্রঃ উপরোক্ত নিয়মে গুন্নাহ তখনই করতে হবে যখন কোন বাক্যের মাঝে দুটি শব্দকে সংযুক্ত করা হয়ে থাকে কিন্তু যদি একই শব্দের মাঝে নুন ছাকিন(نْ) এর পরপরই ওয়াও বা ইয়া আসে তখন কিন্তু গুন্নাহ করতে হবে না বরং সাধারনভাবেই পরতে হবে যেমন-( دُنْيَا)ডুনইয়া-আ (بُنْيَانًا)বুনইয়া-আ-নান (قِنْوَانٌ)ক্বীনওয়া-অ-নুন (صِنْوَانٌ)ছিনওয়া-অ-নুন ইত্যাদি
নিয়ম-৬) যদি কোন শব্দের মাঝে নুন ছাকিন(نْ) বা তানবীন(ًٌٍ) এর পরপরই "র" অথবা "লাম" হরফ(ر ل)দেখা যায় তবে নুন ছাকিন বা তানবীন এর কারনে যে "ন" উচ্চারন আসার কথা ছিল তাকে উচ্চারন না করে পরবর্তী "র" অথবা "লাম" এর উপর তাশদীদ সহকারে গুন্না ছারাই স্বাভাবিকভাবে পড়তে হবে। সাধরনত আরবরা ন বাদ দিয়ে র এবং ল এর উচ্চারনকেই অগ্রাধিকার দেয় উচ্চারনকে সহয এবং শ্রুতিমধুর করতে যেমন- হবার কথা(مِنْ رَحِيْقٍ)মিন রহি-ই-ক্বীন কিন্তু হবে(مِنْ رَّحِيْقٍ)মির্ রহি-ই-ক্বীন, এবার কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন যথা-(مِنْ رُّسُلِنَا) মির্ রসুলিনা-আ ,
(مِنْ لَّدُنْهُ)মিল্লাডুনহু , (بَشَرًا رَّسُوْلًا)বাশারোর্ রছুলা ইত্যাদি।

নিয়ম-৭) যদি কোন শব্দের মাঝে নুন ছাকিন(نْ) বা তানবীন(ًٌٍ) এর পরপরই এই ১৫টি হরফের (ت ث ج د ذ ز - س ش ص ض ط ظ ف ق ك)[থায়োছায়োজিমোডালোযালোঝা- ছিনোশীনোছতোদতো তয়োযয়োফায়ো ক্বফোকাপ] কোন একটি থাকে তবে নুন ছাকিন বা তানবীন এর কারনে যে "ন" উচ্চারন আসার কথা ছিল তাকে "আং/ইং/উং" উচ্চারনে পরিবর্তন করে নাকের ভিতর ১ আলিফ গুন্নাহ ধরে রাখতে হবে যেমন- হবার কথা( اَنْتُمْ)আনথুম কিন্তু হবে( اَنْتُمْ)আং...ঙ...থুম , এবার কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন যথা-( عَذَابًا قَرِيْبًا) আযা-আ-বাং-ঙ-ক্বরি-ই-বান , (مِنْ شَرَّ)মিং-ঙ-শার্ রো , (عَيْنٌ جَارِيَةٌ)আইনুং-ঙ-জা-আ-রিইয়াথুন ইত্যাদি।

৬ষ্ট দিন
নিয়ম-১) যদি কোন শব্দের মাঝে মীম ছাকিন(مْ) এর পরপরই মীম অথবা বা হরফ(م ب) থাকে তবেই শুধুমাত্র মীমকে ১ আলিফ পরিমান গুন্নাহ করতে হবে এছারা অন্য যেকোন হরফ থাকলে স্বাভাবিক নিয়মেই পড়তে হবে অর্থাৎ পূর্বের নুন ছাকিন ও তানবীনের মত এতবেশী নিয়ম নেই । তবে মীম ছাকিন(مْ) এর পরপরই মীম থাকলে ২য় মীমের উপর তাশদীদ বসে ১ম মীমছাকিনের উচ্চারণ বাদ যায় যেমন-
(هُمْ مَّنْ)হুম্-ম-মান এবং (اَكْثَرُهُمْ مُّشْرِكِيْنَ) আকছারুহুম্-ম-মুশরিকি-ই-না। এবারে বা হরফের উদাহরন-( هُمْ بِهِ)হুম্-ম-বিহি এবং (بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ)বাইনাকুম্-ম-বিলবা-আ-তিলি, ইত্যাদি কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন।
নিয়ম-২) যদি জযমের বামে বা পরপরই তাশদীদ থাকে তবে সাধারনত জযমওয়ালা হরফের উচ্চারণ বাদ হয়ে তাশদীদওয়ালা হরফ উচ্চারনে অগ্রাধিকার পায় যেমন- (عَاهَدْتُّ)আ-আ-হাথ্ থু, (قُلْ رَّبَّ)ক্বুর্ রব্বা, (اِذْهَبْ بَّكِتَابِى)ইযহাব্বাকিথা-আ-বি-ই... , (اَحَطْتُّ) আহাথ্ থু ইত্যাদি কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন।
আবার সাধারনত দেখা যায় তানবীনের বামে বা পরপরই তাশদীদ থাকে তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তানবীন বাদ হয়ে হরকতে রুপান্তরিত হয়ে তাশদীদওয়ালা হরফের সাথে উচ্চারনে অগ্রাধিকার পায় যেমন- এই নিয়মগুলো কিন্তু ৫ম দিনের উদাহরনের মাঝে কিছু অংশতেও রয়েছে ।
নিয়ম-৩) মাঝে মাঝে আরবী শব্দ বা বাক্যের মধ্যে এমন কিছু কিছু হরফ থাকে যাদের লেখার সময় ঠিকই লিখতে হয় কিন্তু পড়ার সময় উচ্চারনে বাদ পরে যেমন( ال ى و ء) সাধারনত এসব হরফের পরে জযমওয়ালা হরফ বা তাশদীদওয়ালা হরফই উচ্চারনে অগ্রাধিকার পায় কেননা বেশিরভাগ সময়ে এসব হরফের উপর না থাকে কোন হরকত বা তানবীন আর থাকে কোন জযম বা তাশদীদ তাই বাক্যের মাঝে খুব সহজেই চেনা যায় যে এদেরকে উচ্চারন করতে হবে না যেমন-
এখানে আলিফ বাদ পরেছে (رَبّ الْعَالَمِينَ)রব্বিল আ-আ-লামি-ই-না। এখানে আবার আলিফ ও লাম বাদ পরেছে (يَوْمِ الدّينِ)ইয়াওমিড্ডি-ই-না । এখানে ১মে লাম এবং পরে আলিফ ও লাম বাদ পরেছে (الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ)আর রহমানির রহি-ই-মি। এখানে ১মে দুই আলিফ ও লাম এবং পরে শুধু আলিফ বাদ পরেছে (اهْدِنَا الصّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ)ইহ্ ডিনাছছি্রো-অ-তলমুছথাক্বি-ই-মা।এখানে ইয়া বাদ পরেছে (قُرِئَ)ক্বরিয়া (طُوًى)তুঅন (هُدًى)হুদান। এখানে
হামযাহ বাদ পরেছে (اِقْرَأْ)ইক্বরো'- । এখানে ওয়াও বাদ পরেছে (يُؤَاخِذُ)ইউয়া-আ-খিযু। এখানে আলিফ বাদ পরেছে (وَماَاُمِرُوْا)ওমা-আ-উমিরু-উ- । এছারা কিছু কিছু কুরান শরীফে যেসব আলিফ উচ্চারনে বাদ যায় তাদেরকে আলাদাভাবে চিনার জন্য মাথার উপর একটি ফোটা দেয়া থাকে এসব আলিফকে আলিফে যায়দা বলে যেমন-এখানে ১মেই লামের পরেই ১টি আলিফে যায়দা আছে তাই উচ্চারন হবে (لَآ اَنْتُمْ)লাআং-ঙ-থুম । এখানে ফা এর সাথে১টি আলিফে যায়দা আছে তাই
উচ্চারন হবে ( اَفَآءِنْ مَّاتَ)আফাইম্-ম-মা-আ-থা। এগুলো কায়দার মাঝে আবারও প্র্যাকটিস না করলেও চলবে।

নিয়ম-৪) এতদিন শেখা হয়েছে ১ আলিফ বা ১ সেকেন্ড পর্যন্ত টান কিন্তু কুরান পড়ার সময় আরো বড় টান শিখতে হবে যেমন- ৩ আলিফ বা ৩ সেকেন্ড পর্যন্ত টান এবং ৪ আলিফ টান। এই টান দেয়ার সরাসরি সহজ নিয়ম হল যে হরফের উপরে ~ এইরকম চিহ্ন দেয়া থাকবে সেখানে ৩ আলিফ টান দিতে হবে আর যে হরফের উপরে ঐরকমই আরো মোটা এই চিহ্ন দেয়া থাকবে সেখানে ৪ আলিফ পর্যন্ত টানতে হবে, কুরান পড়ার সময় এটিই সর্বচ্চ বড় টান।
এছারাও কখন কোন হরফে কয় আলিফ টান হবে তার জন্য কিছু নিয়ম মনে রাখলে ভাল যেমন- ১ আলিফ টানওয়ালা কোন হরফের পর পরই যদি লম্বা আলিফ থাকে তবে সাধারনত ঐ ১ আলিফ টানকে বৃদ্ধি করে ৩ আলিফ পরিমান টানতে হবে উদাহরনস্বরুপ-[যদিও এখানে টাইপজনিত সমস্যার কারনে ঐ চিহ্নটিসহ দেয়া সম্ভব হল না তবুও বুঝে নিতে হবে] (اِلى اَجَلٍ) ইলা-আ-আ-আ-আজালিন। এবং (يَدَا اَبِىْ)ইয়াডা-আ-আ-আ-আবি-ই- । ইত্যাদি কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন।
আবার যদি ১ আলিফ টানওয়ালা কোন হরফের পর পরই যদি গোলাকার হামযাহ থাকে তবে সাধারনত ঐ ১ আলিফ টানকে বৃদ্ধি করে ৪ আলিফ পরিমান টানতে হবে উদাহরনস্বরুপ- (جَاءَ)জা-আ-আ-আ-আ-য়া। ( اُولءِكَ)উলা-আ-আ-আ-আ-ইকা। (بِسُوْءٍ)বিছু-উ-উ-উ-উ-ইন। ইত্যাদি কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন।
আবার যদি ১ আলিফ টানওয়ালা কোন হরফের পর পরই যদি তাশদীদ থাকে তবে সাধারনত ঐ ১ আলিফ টানকে বৃদ্ধি করে ৪ আলিফ পরিমান টানতে হবে উদাহরনস্বরুপ- (اَلْحَاقَّةُ)আলহা-আ-আ-আ-আ-ক্কথা এবং ( وَلَاضَّالّيْنَ) ওলাদ্দো-অ-অ-অ-অ-লি-ই-না। ইত্যাদি কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন।
আবার যদি ১ আলিফ টানওয়ালা(বিশেষ করে খারাযবর যের পেশ) কোন হরফের পর পরই যদি জযম থাকে তবে সাধারনত ঐ ১ আলিফ টানকে বৃদ্ধি করে ৪ আলিফ পরিমান টানতে হবে উদাহরনস্বরুপ-
( ا لْءَنَ)আ-আ-আ-আ-লআনা। ইত্যাদি কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন।
এবার যদি দেখা যায় শুধুমাত্র হরফের উপরেই ঐসব টানওয়ালা চিহ্ন দেয়া আছে তবে ঐ হরফকেই ৪ আলিফ টেনে পড়তে হবে যেমন- (المّ)আলিফ লা-আ-আ-আ-আম-ম-মি-ই-ই-ই-ইম( طسمّ)তো-অ-ছি-ই-ই-ই-ইম-ম-মি-ই-ই-ই-ইম (يس)ইয়া-আ-ছি-ই-ই-ই-ইন। ইত্যাদি কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন।

৭ম দিন
নিয়ম-১) একমাত্র আরবী ভাষার ক্ষেত্রে বাক্যের শেষ শব্দে অর্থাৎ যেখানে থামা হয় সেখানেও কিছু উচ্চারনের নিয়ম রয়েছে যেমন- বাক্যের একদম শেষ শব্দের শেষ হরফে গিয়ে যদি হরকত বা দুই যের বা দুই পেশ থাকে তবে উচ্চারনের সময় ঐগুলো বাদ দিয়ে সেখানে শুধু জযম থাকলে যে উচ্চারন হত সেই উচ্চারনই করতে হবে একে আরবী ভাষায় ওয়াকফো করা বা থামা বলে উদাহরনস্বরুপ-(ذَالِكَ)যালিকা না হয়ে পড়তে হবে যালিক একইভাবে( كَسَبَ)কাছাব (شَهْرٍ)শাহরিন না পড়ে বলতে হবে শাহ্ র্, (اَمْرٍ) আম্ র্ । ইত্যাদি কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন।


তবে ব্যাতিক্রম শুধু দুই জবরের ক্ষেত্রে অর্থাৎ শেষ শব্দে দুই জবর থাকলে সেটা জযম না বানিয়ে এক যবর বানিয়ে উচ্চারন করতে হবে আর এক যবর বানালে যেহেতু যবরের বাম পাশে খালি আলিফ থাকে তাই এখানে ১ আলিফ টানও হবে যেমন- (اَبَدًا) আবাদা-আ-, ( سَرَابًا)ছারো-অ-বা-আ- ইত্যাদি কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন।
আবার বাক্যের একদম শেষ শব্দের শেষ হরফের পূর্বের দুটি হরফের মাঝে যদি দেখা যায় যে যবরের বামেই জযমওয়ালা ওয়াও বা ইয়া আছে তখনও ১ আলিফ টেনে বাক্য শেষ করতে হবে
যেমন-( نَوْمٍ)নাও-উ-ম (وَالصَّيْفِ)অছছই-ই-ফ ইত্যাদি কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন।

এছারাও বাক্যের একদম শেষ শব্দের শেষ হরফের পূর্বের একটি বা দুটি হরফের মাঝে যদি দেখা যায় যে এখানে পূর্ব হতেই নিয়মানুযায়ি ১ আলিফ টান আছে তবে সেখানে ১ আলিফ এর জায়গায় ৩ আলিফ পরিমান টেনে বর্ধিত করে বাক্য শেষ করতে হবে যথা- (وَالْاِكْرَامِ) অলইকরো-অ-অ-অম ।
আবার (مُؤْمِنِيْنَ)মু'মিনি-ই-ই-ইন( يَنْتَهُوْنَ)ইয়াং-ঙ-থাহু-উ-উ-উন, (بِسُلْطنِ)বিছুলতো-অ-অ-অন।
ইত্যাদি কায়দা খুলে আরো প্র্যাকটিস করুন।

আবার যদি বাক্যের একদম শেষ শব্দের শেষ হরফটি এই ة থা হয় তবে এটি সরাসরি "হা" তে রুপান্তরিত হবে যদিও এর সাথে হরকত বা তানবীন থাকুক যেমন-(نِعْمَةٍ) নি'মাহ্ ( بَرَرَةٍ)বারো রোহ্ । ঠিক একই ভাবে (مُؤْصَدَةٌ) মু'ছডাহ্ ।
নিয়ম-১) যবরের বাম পাশে খালি আলিফ থাকলে ১ সেকেন্ড টানতে হয় কিন্তু এই (اَنَا)[অর্থ-আমি] শব্দতে টানা যাবে না বাকীগুলোতে ঠিকই ১ আলিফ টানতে হবে যেমন- নিচের ৪টি ( اَنَابَ)আনা-আ-বা
এবং ( اَنَابُوْا) ( اَنَامِلَ) (اَنَاسِيَّ) ইত্যাদি।
বিঃদ্রঃ এই ৭ দিনে আরবী পড়ার নিয়ম শেখা হল মাত্র এখন নিজে নিজেই কুরান পড়তে পারবেন ইনশাহ আল্লাহ। তবে প্রথম কিছুদিন প্রত্যহই কুরান পড়তে হবে এবং এমন কারো সামনে পড়লে আরো বেশী ভাল হবে যে সহীভাবে শিখেছে। মনে রাখবেন ১ম দিকে প্রায়ই ভুল হবে ধীরে ধীরে ভুল কমতে থাকবে কয়েকমাস এক নাগারে চর্চা করলে ভুল আর হবে না ইনশাহ আল্লাহ। কিন্তু অনেকেই উপহাস করে বলতে পারে কোথায় শিখলে যে এত ভুল হয়? এসব কথায় কান না দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যান আল্লাহর উপর ভরসা করে

সকল প্রশংসা আল্লাহর।
() () ()() () ()()() () ()() () ()() () ()()() () ()() () ()() () ()()() () ()() () ()() () ()()() () ()() () ()() () ()

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.