![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইসতেকার আহমেদ সাকিব।আমি একজন খহুদে লেখক এবং আমি আমার সবরকমের মতামত দিতে এসেছি তাি আমার বলগ পড়থে হলে এখানে ছওখ রাকুন।
চাঁদনীর প্রতিশোধ
- দিপালী দে সামন্ত
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য
আজ পেরেছে চাঁদনী, প্রতিশোধ নিতে। কোনো অনুশোচনা নেই ওর মধ্যে। পাপীটার যে শাস্তির দরকার ছিল। ওটা একটা নরকের কীট। ওর বাঁচার কোন অধিকার নেই।
পূর্ণিমা রাত। জোৎন্সার আলোয় চিকচিক করছে ওর সারা শরীর।
হা হা হা হা একটা নিষ্ঠুর তৃপ্তির হাসি হাসলো চাঁদনি।আর শুনতে পেলো দূর থেকে ভেসে আসা আপনজনদের আহ্বান আউউউউ
.....................................................
আজ পূর্ণিমা, চারিদিক চাঁদের আলোয় ঝলমল করছে। রাত বারোটা।নার্সিংহোমের ডেলিভারি রুমে জন্ম হোল এক কন্যা সন্তানের।
কিন্তু বাচ্চাটা জন্মের পর ওয়্যায়া ওয়্যায়া করে না কেঁদে ,কেমন যেন আউউউউ করে কেঁদে উঠলো। রুমের ভিতরে থাকা সকলেই যেন চমকে উঠল। কিন্তু অর্ধ চেতন মা তার কিছুই টের পেল না।
বাচ্চাটা বড়ই সুন্দর। ফর্সা , বাদামি চোখ। সরু সরু আঙ্গুল। মুখটা বড়ই মায়াবী।
পূর্ণিমায় জন্ম বলে বাবা মা আদোর করে নাম রেখেছে চাঁদনী।
আর পাঁচটা মেয়ের মতই বড় হতে থাকে চাঁদনী। শুধু পূর্নিমা আসলেই ও খুব ছটফট করে। আর কান্নাটাও বড় অদ্ভুত।কিন্তু ওর মা এটাকে সাধারণ ভেবেই গুরুত্ব দেয় না।
একটু বড় হতেই ওর থাকার জন্য আলাদা রুমের ব্যবস্থা করা হয়। তাই চাঁদনীর ভিতরে একটু একটু করে হতে থাকা অস্বাভাবিক পরিবর্তন গুলো সবার নজর এড়িয়ে যায়।
এদিকে বড় হওয়ার সাথে সাথে নিজের ভিতরের হতে থাকা পরিবর্তন গুলো ভাবিয়ে তোলে চাঁদনীকে। ও বুঝতে পারে না,কেন পূর্ণিমা আসলে ওর শরীরটা অস্থির হয়ে ওঠে। একটা ভয়ঙ্কর শক্তি ভর করে ওর ওপর।কেন মনে হয় ওর বাবা মা ওর আপন নয়। যারা আপন তারা অন্য কোথাও আছে। এত আলো, আওয়াজের মধ্যেও তাদের ডাক শুনতে পায় ও। আর একটা অন্য রকম পিপাসা অনুভব করে , সেটা মটেই জলের না। অন্য কিছুর..
কিন্তু সেটা কি বুঝতে পারে না?কেন হয় এমন? ভেতর ভেতর অস্থিরতা অনুভব করে ও। কোন উত্তর পায় না খুঁজে পায়না চাঁদনী। কেই বা দেবে উত্তর। ও ওর বাবা মা কে কিছুই জানায় না। তাঁরা চিন্তা করবেন বলে। ওর বাবা মা দুজনেই চাকরি করেন। সকালে বেরোন আর রাতে ফেরেন। তাই আর কিছু বলা হয়না ওর।
সময় বয়ে যায় কালের নিয়ম মেনেই। সেদিন রাতে পড়তে বসেছে চাঁদনী । স্কুলের কিছু প্রাক্টিক্যাল এর কাজ করছে। কাঠ পেন্সিলে সিসটা ভোতা হয়ে গেছে। পেন্সিলটা কাটা দরকার।
শার্পনার টা খুঁজে না পেয়ে ব্লেড দিয়ে পেন্সিলটা ছুলতে গিয়ে বাম হাতের তর্জনীটা কেটে যায়। অভ্যেস বশে আঙ্গুল চলে যায় মুখে। আজ রক্তের স্বাদটা যেন অন্যরকম। যেন মনে হয় এই সেই পানীয় যা খেলে পিপাসা মেটে। ঈসস কি সব ভাবছে ও যা তা। আনমনে চোখ চলে যায় বাইরে। পূর্ণিমার চাঁদটা কে কি মায়াবী লাগছে। সুদূর কোথা থেকে ভেসে আসছে আপনজন দের আহ্বান আউউউউ।
চাঁদনী এখন খুব ব্যস্ত। কলেজে পরে। কজন ভালো বন্ধু হয়েছে ওর। দিন গুলো ভালোই কাটছিল। ওর বাদামি চোখ, গজ দাঁতের হাসি অনেকেরই মন কেড়েছে।
সমস্যা তৈরি হল কিছু দিন আগে। ওদের ইউনিয়নের লিডার রনিত কে নিয়ে। এক নম্বরের বদমাশ ছেলে। রাজনীতি আর মেয়ে এই দুই নিয়ে মেতে থাকতে বেশি পছন্দ ওর। মেয়েরা যেন ওর নিজস্ব সম্পত্তি। সম্মতিতে হোক বা বলপূর্বক কোনো মেয়েকে পছন্দ হলে যত দিন না তাকে ভোগ করতে পারছে তত দিন শান্তি নেই ওর। আর রাজনৈতিক বাবা আছে ওর পিছনে। যার জন্য একটা নর খাদকে পরিণত হয়েছে রনিত।
Best Bengali Novels For Adults
এমনি একদিন রনিতের চোখ পরে লাল কুর্তি পরা মেয়েটার দিকে। ফর্সা বাদামি চোখ। উফফ কি দারুন হাসিটা। এই মেয়েকে ভোগ করতে না পারলে কি আর করল এত দিন সে।
রনিত চাঁদনীর সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। আলাপ করতে চায় ওর সাথে। এত দিনে চাঁদনীরও রনিতের কুকীর্তির কথা জানতে বাকি নেই। ও ব্যস্ততার অজুহাত দিয়ে চলে যায় ওখান থেকে। রনিতের মনখুন্ন হলেও কিছু বলে না। শুধু টার্গেট করে রাখে।
এরপর চাঁদনীর কলেজে যাওয়াই দুষ্কর হয়ে ওঠে। যেখানেই যাবে সামনে রনিত। কিন্তু চাঁদনীর এড়িয়ে যাওয়া রনিতকে খেপিয়ে তোলে। এবার তো অন্য পথ নিতে হবে। মনে মনে ভাবে রনিত।
এমনি একদিন কলেজ যাওয়ার সময় রনিতের লোকেরা তুলে নিয়ে যায় চাঁদনীকে। হাত মুখ বেঁধে , চাঁদনীকে তোলে রনিতদের বাগানবাড়িতে। একটা ইনজেকশন দেওয়াতে সব বুঝতে পারলেও প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকেনা ওর।
অবশেষে চাঁদনীকেও হতে হয় রনিতের লালসার শিকার। যথারীতি রনিত ওকে ভয় দেখায় ভিডিও ক্লিপ নিয়ে। হা হা হা হা রনিত হাসে জয়ের হাসি।
বিধ্বস্ত চাঁদনী বাড়ি ফেরে। না কান্না নয়। ওকে যে কাঁদলে চলবে না। বাবা মা কেও জানায় না ওর জীবনে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার কথা।
ওকে যে ভেঙ্গে পরলে চলবে না। ওই পাপীটা কে যে শাস্তি দিতেই হবে, না হলে যে আরও কত মেয়েকে নরকের কীটটার লালসার শিকার হতে হবে।
মনে মনে হিসেব করে নেয় চাঁদনী আর কত দিন বাকি আছে পূর্ণিমার। এত দিনে তো ও ভালোই জেনে গেছে ওর ভিতরের শক্তির কথা। এখন শুধুই প্রতীক্ষা।
ভগবান সহায় থেকে সুযোগটাও করেদিলেন। যদিও সেদিনের পর থেকে রনিত ছিল ওর একমাত্র লক্ষ্য। রনিতের সব খবর রাখাই ছিল চাঁদনীর একমাত্র কাজ।
খুব সুন্দর করে সাজিয়ে নিল নিজেকে চাঁদনী। একটা লাল রঙের শাড়ি পড়েছে ও। লাল নাকি রনিতের প্রিয় রং। লাল লিপস্টিক। আজ অপরূপ লাগছে ওকে।
চাঁদনী সন্ধ্যে বেলায় হাজির হল রনিতের বাগানবাড়িতে। বাড়িতে ও ছাড়া আর কেউ নেই। কলিং বেলের শব্দে বিরক্ত রনিত। ধুর, মদ খাওয়ার সময় বিরক্ত মোটেই পছন্দ নয় ওর। কোন বাল এসেছে কে জানে। রাগে গজর গজর করতে করতে দরজা খুলে অবাক রনিত। ঢুলু ঢুলু চোখে দেখতে থাকে চাঁদনীকে। কি দারুন লাগছে ওকে।
চাঁদনী হেসে বলল, কি বাইরেই দাঁড় করিয়ে রাখবে নাকি। ভিতরে ডাকবে না ? রনিত খুসিই হয়। সে মনে মনে ভাবে ,আজ মন টা বড়ই মেয়ে মেয়ে করছিল। এত মেঘ না চাইতেই জল। চাঁদনীকে সাদর আমন্ত্রণ করে ও।
নেশা ভালোই হয়েছে রনিতের ,আর এটাই তো চাইছিল চাঁদনী। ভুলিয়ে ভালিয়ে রনিতকে বাগানে নিয়ে আসে ও। কি দারুন মোহময়ী লাগছে চারিদিক। চাঁদের আলো আজ যেন বেশিই উজ্জ্বল। আর এই চাঁদকেই তো ও ওর প্রতিশোধের সাক্ষী রাখতে চায়। চাঁদের সাথে চাঁদনীর যে আত্মার সম্পর্ক।
বাগানে বেঞ্চ টাতে বসে দুজনে। রনিত ঘনিষ্ঠ হতে চায় চাঁদনীর। রনিদের অবাধ্য হাত খেলা করতে চাইছে চাঁদনীর শরীরজুড়ে। চাঁদনীও আজ বেপরোয়া। শিকারের আগে শিকারিকে খেলাতে হবে তো। ওর ঠোট খেলা করতে থাকে অবাধে। আস্তে আস্তে নিজের মুখটাকে নিয়ে আসে রনিতের ঘাড়ের কাছে। ভালোবাসার কাঁমড়ের বদলে রনিতের ঘাড়ে দেয় এক মরন কাঁমড়। আজ যে ওর গজদন্ত গুলো একটু বেশিই বড় আর ধারালো। নখ গুলো আরও বড় আর তীক্ষ্ম।
যন্ত্রণায় কঁকিয়ে ওঠে রনিত।চিৎকার করে ওঠে আর ভাবতে থাকে এ কে ? ওই নরম মেয়েটির মধ্যে এমন পাশবিক শক্তি এল কোথা থেকে। ওর নরম শরীরটা এমন লোমশ হয়ে গেল কি করে। কিন্তু চাঁদনীকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা নেই রনিতের। চাঁদনী মরন কামড় দিয়ে তুলে নেয় রনিতের ঘার থেকে এক খাবলা মাংস। ফিনকি দিয়ে রক্ত ছোটে। আস্তে আস্তে রনিত ঢোলে পরে মরনের কোলে।
Also read, পরকীয়া প্রেমের গল্প
রনিতের রক্তে রাঙিয়ে নিয়েছে নিজের ঠোঁট। সারা শরীর পবিত্র করে নিয়েছে ও রনিতের রক্ত মেখে । চাঁদের আলোয় চিকচিক করছে রক্তে মাখা চাঁদনির শরীর। চাঁদও মনে হয় আজ খুব খুশি। চাঁদের হাসি যেন আজ বাঁধ ভেঙ্গেছে।
হা হা হা হা হাসছে চাঁদনী। দূর থেকে ভেসে আসছে ওর আপনজনদের ডাক। তারা যেন সমস্বরে সংবর্ধনা জানাছে চাঁদনিকে আউউউউ।
....
কিন্তু চাঁদনীকে ভাবিয়ে তুলছে একটা কথা ওর মধ্যে এই শক্তি এলো কি করে? কি এর পেছনের ইতিহাস ওকে যে জানতেই হবে ।
না হলে যে....
শিঁউরে উঠলো ও।ওর জন্য কোনো নিরীহ মানুষের প্রাণ যাবে না তো?
এ প্রশ্নের উত্তর যে ওকে জানতেই হবে, কিন্তু কি করে? কীভাবে ওর বাবা মাকে প্রশ্ন করবে ?ওনারা কি জানেন চাঁদনীর এই আর একটা রূপের কথা?
মধ্যরাত,খুব সন্তর্পনে ও বাড়ির দিকে এগোতে থাকে।
বাড়ির সামনে এসে হতবাক হয়ে যায় ও। থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে সেখানেই।
বেশ খানিকটা দূরে দুজন নেকড়ে মানব আর মানবী চাঁদের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
যেন চাঁদের আলো গায়ে মেখে নিচ্ছে ওরা।
ও সামনে যেতেই হতচকিত হয়ে যায় ওরা দুজন।
চাঁদনী যা বোঝার বুঝে গেছে। বাকি কথা আগামীকাল হবে। ক্লান্ত বিধ্বস্ত চাঁদনী ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় নিজের ঘরের দিকে।
Boroder Golpo
পরদিন ডাইনিং টেবিলে চা পান করছে ওরা তিনজন।
চাঁদনীর মা-বাবা দুজনই মাথা নিচু করে বসে আছে।
চাঁদনী প্রথম শুরু করল,
বল মা কী আমাদের পরিচয়? কি করে পরিনত হলাম আমরা নেকড়ে মানবে ?
অতীতের স্মৃতিচারণায় হারিয়ে গেলেন চাঁদনীর বাবা-মা অমৃতা দেবী এবং সুপ্রীত বাবু।
------------
সেদিন সন্ধ্যা,বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে ফেরার পথে বছর সাতেকের একটি বাচ্চা ছেলেকে রাস্তার পাশে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছিলেন একজন নিঃসন্তান দম্পতি। রাস্তায় আলো না থাকলেও পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল সবকিছু। বাচ্চা ছেলেটির হাত দিয়ে তখন গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে।
গাড়িতে থাকা ফার্স্ট এইড বক্স থেকে তুলো গজ কাপড় দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর বাচ্চাটিকে নিয়ে যায় হাসপাতালে।
বড়দের গল্প
বেশ কিছুদিন পর সুস্থ হয়ে ওঠে ছেলেটি। কিন্তু বাচ্চা ছেলেটা কে নাম, বাড়ির ঠিকানা, বাবা মার নাম জিজ্ঞাসা করলে কিছুই বলতে পারে না ও। সবকিছুই যেন স্মৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
নিঃসন্তান মিত্র দম্পতি সাদরে গ্রহণ করে বাচ্চাটাকে। আইনের সাহায্যে দত্তক নেয় ছেলেটিকে। নাম দেয় সুপ্রীত মিত্র।
আস্তে আস্তে প্রকৃতির নিয়ম মেনে বড় হতে থাকে সুপ্রীত। কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে ওর শরীরে কিছু অস্বাভাবিক পরিবর্তন হতে থাকে। সবার অলক্ষ্যে। হায়ার স্টাডি জন্য সুপ্রীত পাড়ি দেয় বিদেশে।
সেখানেই সুপ্রীতের পরিচয় হয় অমৃতার সাথে। দুজনেই বাঙালি হওয়ায় বন্ধুত্ব থেকে প্রেম হতে বেশি সময় লাগেনি।
বাড়ির সম্মতিতেই ওদের এমবিএ কমপ্লিট হওয়ার পর গাঁটছড়ায় বাঁধা পড়ে দুজনে।
সুপ্রীত যে একজন নেকড়ে মানব এতদিনে তা ভাল করে বুঝেছে ও। কিন্তু কি করে ও নেকড়ে মানবে পরিনত হল তা আজও ওর কাছে অজানা।
তবে ওর মধ্যে এই অস্বাভাবিকত্ব গোপন করে যায় অমৃতার কাছে। এরপর পূর্ণিমার রাত গুলোতে কোন বাহানায় সুপ্রীত আলাদা থাকতো অমৃতার থেকে। তবে তা ভাবিয়ে তুলত অমৃতাকে।
একদিন প্রায় জোর করেই অমৃতা সঙ্গমে লিপ্ত হতে চায় সুপ্রীতের সাথে।
নানান উছিলায় বাধা দিতে চেয়েও হতাশ হয়ে সুপ্রীত। অমৃতার কিছুতেই ওকে নিরস্ত করা যাচ্ছে না।
অমৃতার নগ্ন শরীরের মাদকীয় ঘ্রানে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে সুপ্রীত। এদিকে রাত বারোটা দশে পূর্ণিমা লাগবে। তার আগেই অমৃতার থেকে সরে যেতে হবে।
কিন্তু শরীরি খেলায় কোন দিন সময়ের জ্ঞান থাকে? সুপ্রীত মনে রইল না আর কিছুক্ষণের মধ্যেই পূর্ণিমা লাগবে।
অমৃতার অনাবৃত বুকে মুখ ঘষতে ঘষতে অসাবধানতাবশত কাঁমড় লেগে যায়। হঠাৎ শরীরের ভেতর অস্থির লাগতে শুরু করে সুপ্রিতের। যে করেই হোক পুরোপুরি নেকড়ে মানব হওয়ার আগে ওকে সরে যেতে হবে অমৃতা থেকে।
কিন্তু অমৃতার বাহুডোর থেকে কেন নিজেকে নিরস্ত করতে পারছে না সুপ্রীত?
অবশেষে সুপ্রীত পরিণত হল নেকড়ে মানবে। ওর ভারী লোমশ শরীরটার নিচে এখন অমৃতা?
সুপ্রীত লক্ষ্য করলো অমৃতা বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে।
আতঙ্কগ্রস্ত অমৃতার মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না।
অমৃতার মনুষ্য শরীরের ঘ্রানে আনচান করছে সুপ্রীতের শরীর। ভীষণ টাটকা রক্ত খেতে ইচ্ছা করছে ওর।
কিন্তু ও যে অমৃতাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে। ওকে যে ভাবেই হোক নিজেকে সংযত করতে হবে।
খুব কষ্ট হচ্ছে ওর ভিতরে ।একবার অমৃতার ঘাড় পর্যন্ত মুখটা নিয়ে এসেও নিরস্ত করে নিজেকে।
হঠাৎ লক্ষ্য করে অমৃতের বুকে যেখানে অসাবধানতাবশত দাঁত লেগে গিয়েছিল সেখানে কিছুটা রক্ত বেরিয়ে এসেছে।
তৃপ্তিভরে সেদিকে তাকিয়ে হালকা লেহন করে নিল জায়গাটা।
ইতিমধ্যে জ্ঞান হারিয়েছে অমৃতা।
Also read, গৃহবধূর পরকীয়া কাহিনী - পর্ব ১
পরদিন যখন জ্ঞান ফিরলো অমৃতার, দেখল সবকিছুই স্বাভাবিক। যেন কোন দুঃস্বপ্ন দেখেছিল গতরাতে।
সেদিনই অতীতের সব কথা খুলে বলেছিল অমৃতাকে সুপ্রীত। তবে ও কি করে নেকড়ে মানবে পরিনত হয়েছে ও জানেনা।
পরের পূর্ণিমায় চমক যে বাকি ছিল জানতো না ওরা।
অমৃতাও পরিণত হয়েছে নেকড়ে মানবী তে।
-------------
সবকিছু শোনার পর চাঁদনীর হিসেব মিলে গেছে। তার মানে ওর মা-বাবা নেকড়ে মানব মানবী।
চাঁদনী মনে মনে ভাবতে থাকে,
আচ্ছা ওদের এই শক্তিকে অশুভ শক্তি দমন করার জন্য কাজে লাগানো যায় না?
যেমন রনিতের মত অশুভ শক্তিকে নাশ করেছে চাঁদনী।
সমাপ্ত
প্রাপ্ত বয়স্কদের গল্প
গৃহবধূর অবৈধ সম্পর্ক
আরো পড়তে হলে এখানে পড়ুন....https://isthekarvoice1908.blogspot.com/
©somewhere in net ltd.