![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইসতেকার আহমেদ সাকিব।আমি একজন খহুদে লেখক এবং আমি আমার সবরকমের মতামত দিতে এসেছি তাি আমার বলগ পড়থে হলে এখানে ছওখ রাকুন।
বিয়ে করতে এসে গেইটে তাকিয়ে আছে দীপ। কারণ গেইট এ দাড়িয়ে আছে তার অনেকদিনের ভালোবাসার মানুষটি। তবে বধু বেশে নয় তার শালিকা হিসেবে। আরোহিকে দেখেই মনে পরল নিজের করা অন্যায়ের কথা কিভাবে কষ্ট পেয়ে দুরে চলে গেছে মেয়েটি। আজ সাত বছর পরেও ঠিক তেমনি আছে দেখতে একটুও বদলায় নি। তাকে দেখে মনে পরে যাচ্ছে সেদিনের কথা গুলো।
৭ বছর আগে,,
দীপ অনার্স 3rd ইয়ার এর ছাত্র। ভর্তি পরিক্ষা শেষ তাই নতুন নতুন স্টুডেন্টরা আসছে আর দীপের গ্যাং এক এক করে ডেকে সকল কে রাগিং করছে। ঠিক এমন সময় দীপের বন্ধু অনিকেত একটা মেয়েকে ডাক দিল।
- এই মেয়ে এই দিকে শোনো?? ( অনিকেত)
- জ্বি আমাকে বলছেন?? ( মেয়েটি)
- নাম কি তোমার?? কোন ডিপার্টমেন্ট?? ( অনিকেত)
- আরোহি, বাংলা ডিপার্টমেন্ট।
- বাহ এতো সুন্দর নাম। তা বড়দের সম্মান করতে হয় জানো না?? সালাম দাও নি কেন?? ( অনিকেত)
- সরি আসলে আমি আপনাদের কে দেখি নি। মাফ করবেন ( আরোহি)
- বাহ বললেই হলো? শাস্তি তো পেতেই হবে। ( অনিকেত)
- প্লিজ এবারের মতো মাফ করুন। বলেই কান্না শুরু করলো আরোহী।
- কান্না করে লাভ নেই। শাস্তি পেতেই হবে আর শাস্তি হলো আমার এই বন্ধুটাকে ( দীপ কে দেখিয়ে) প্রপোজ করতে হবে। তাও সুন্দর করে। বাংলা সাবজেক্ট এর মান রাখতে হবে। বলেই সবাই হেসে উঠল।
আরোহি দেখল এদের কথা না মেনে কোনো উপায় নেই তাই ওদের কথা মতো গোলাপ আনতে গেল। ও যাওয়ার পর
- ওই হারামি। সব সময় কি বলির পাঠা আমাকেই পাস তোরা? ( দীপ)
- কেন?? কি হলো?? ( রুদ্র)
- তোরা জানিস আমার গফ আছে। তাও এটা করাচ্ছিস কেন। জানিস না। ছোয়া রাগ করবে। ( দীপ)
- আরে দোস্ত চিল। ছোয়াকে আমরা বোঝাব। আর এই মেয়েটাকে দেখ। কেমন বোকা বোকা টাইপ। ওর সাথে মজা করতে না পারলে জীবন বৃথা ( অনিকেত কথাটা বলেই হেসে উঠল)
এমন সময় তারা খেয়াল করলো আরোহী গোলাপ নিয়ে আসছে। তাকে দেখেই সবাই চুপ করে গেল। কারণ আরোহী রিতী মতো কাপতেছে।
- কি হলো করো প্রপোজ ( রুদ্র)
- ঠিক আছে ( আরোহী)
- ঢং না করে শুরু করো ( অনিকেত)
- ভালোবাসা কাকে বলে আমার জানা নেই। তবে শুনেছি ভালোবাসা একটা সুন্দর অনুভুতি। কিন্তু এই অনুভূতি কখন কিভাবে কার উপর কাজ করে বলা যায় না৷ কারণ কখনো প্রথম দেখায় ভালো লেগে যায়। আবার কখনো অনেক দিন মেশার পর। আমার ক্ষেত্রে ভালোবাসাটা প্রথম দেখার। হয়তো লোকে এই কথাটা শুনে হাসবে, প্রথম দেখায় ভালোবাসা হয় নাকি?? কিন্তু মন তো কোনো রুলস মানতে রাজি নয়। কখন কিভাবে কাকে ভালো লেগে যায় বলা মুশকিল। কিব্তু তোমায় দেখে একটা অনুভূতি মনে কাজ করে। হয়তো এটাই ভালোবাসা। তাই মনের এই গভীর অনুভূতি থেকে বলছি ভালোবাসি তোমায়। ( আরোহি)
(কখনো কাউকে প্রপোজ করি নি। তবে এটা কারোর ভালো লাগলে বলবেন এভাবে প্রপোজ করব স্বপ্নের রাজকুমার কে - লেখিকা)
আরোহীর কথা গুলো শুনে এক দৃষ্টিতে সবাই তাকিয়ে আছে ওর দিকে। কি বলবে বুঝতে পারছে না।
দীপ এতো ক্ষন মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকলেও কথা গুলো শুনে আরোহীর দিকে তাকায়। মেয়েটা অনেক ফর্সা না হলেও মায়াবী। টানা টানা চোখ, মুখটা যেন বাচ্চাদের মতো। গোলাপি ঠোট। কোমর অবধি একরাশ চুল। সব মিলিয়ে একটা বারবি ডল।
এদিকে আরোহী যে দীপ কে প্রপোজ করেছে সেটা দেখে ছোয়া মনে মনে খেপতেছে। কিন্তু কিছু বলার আগেই আরোহী ক্লাসে চলে যায়।
ক্লাসে ঢোকার পর পরই স্যার চলে আসে। তাই কোনো কথা না বলে ক্লাস করতে থাকে। ক্লাস শুরু হবার কিছুক্ষন পর একটা ছেলে ক্লাসের দরজায় আসে।
- মে আই কাম ইন স্যার ( ছেলেটি)
- ইয়েস কাম ( স্যার)
অনুমতি পাওয়ার সাথে সাথেই ছেলেটি রুমে প্রবেশ করে। কোথাও জায়গা না থাকায় আরোহীর সাথে বসে। কিছুক্ষণ পরে স্যার চলে যায়।
- হাই আমি অর্নব। তোমার নাম কি??
- আমি আরোহী।
- বাসা কোথায় তোমার?? ( অর্নব)
- রংপুরে আর তোমার?? ( আরোহী)
- আমার বাসা এখানেই কিন্তু বাবা মা আমেরিকাতে থাকে। আমি এখানে পড়া শুনার জন্য ( অর্ণব)
- ও আচ্ছা। ভালো। ( আরোহী)
- যদি কিছু মনে না করো তো বন্ধু হতে পারি?? ( অর্ণব)
- অবশ্যই। কেন নয়।
কিছুক্ষণের মধ্যে ওদের বন্ধুত্ব হয়ে যায়। সাথে আরও ৩ জন বন্ধু বানিয়ে নেয় আরোহী৷ জিসান, অর্ক আর নিলা।
অন্যদিকে,,
- দোস্ত মেয়েটা কিন্তু জোশরে তাই না?? ( রুদ্র)
- তা আর বলতে, সেই লুক ( অনিকেত)
- দীপ। তুই যদি এই মেয়েকে পটায় নিয়া ৬ মাস প্রেম করতে পারিস তাহলে তোর জন্য প্রাইস আছে। ( রুদ্র)
- কি গিফট দিবি বল( দীপ)
- তোর পছন্দের স্পোর্টস বাইক দিব যা ( অনিকেত)
- স্পোর্টস বাইকের জন্য তো আমার বেবি সব করতে পারবে। আর তাছাড়া ওই খালাম্মা টাইপ মেয়েকে সত্যিই ভালোবাসবে নাকি আমার বেবি। হাহাহা ( ছোয়া ন্যাকামি করে)
- ওকে তোরা বাইক রেডি রাখ ( দীপ)
- ওদের কথা এখন বাদ দাও। তুমি বলেছিলে আজ আমাকে শপিং করাবে। কখন সেটা চলো না প্লিজ ( ছোয়া)
- ওকে চলো ( দীপ)
ছোয়াকে মার্কেটিং করায় দিয়ে দীপ নিজের বাসায় আসে। একটা শাওয়ার নিয়ে নিচে খেতে যায়।
- আব্দুল চাচা গুড্ডু এখনো ফেরে নি। ( দীপ)
- না বাবা। আজ ওর ভার্সিটির প্রথম দিন তো তাই হয়তো ঘুরছে। ( আব্দুল কাকা)
- এই দেশ ওর জন্য একদম নতুন। বেশি বাইরে থাকা ভালো না। যাই হোক ও এলে আৃার রুমে পাঠিয়ে দিও একবার। ( দীপ)
খাওয়া শেষ করে দীপ নিজের রুমে গিয়ে শুয়ে পরল। লক্ষ্য একটা লম্বা ঘুমের। কিন্তু তার ঘুম একদম আসছে না। কারণ আরোহীর কথা গুলো তার কানে বাজছে।
ভালোবাসি তোমায়
- হা হা হা দীপ তুই কি ওই মেয়েটার প্রেমে পড়লি দীপ। ভুলে যাস না তোর পিছে এমন হাজার মেয়ে ঘোরে। সো ফরগেট হার৷ বলেই ঘুমের রাজ্যে পাড়ি দেয় দীপ।
বন্ধুদের সাথে আড্ডা মেরে প্রায় সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে গুড্ডু। দীপ তখন টিভি দেখছিল। ওকে ঢোকা দেখে
- কি রে এতো দেরি কেন। তোদের ক্লাস তো অনেক আগেই শেষ.
- আসলে ভাই, নতুন কিছু বন্ধু হয়েছে তাই ঘুরতে গিয়েছিলাম। তুমি কি রাগ করেছো??
- না রাগ করি নি। তবে দেশ টা তোমার জন্য নতুন সাবধানে থাকিস।
- ওকে ভাই তোমার কথা শিরোধার্য।
- থাক মি, ড্রামা বাজ এতো ঢং করতে হবে বা। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করবি আয়। তোর পছন্দের খাবার বানিয়েছি।।
- খাওয়া যাবে??
- কি বললি?? তোর কি মনে হয় আমি রান্না পারি না??
- পারো তো?/ তবে সেটা খাওয়া যায় না।
- বাদরামি না করে খাবি আয়।
- ইসসসস একটা ভাবি থাকলে কি এসব খেতে হতো??
কথাটা বলেই দৌড় দিল গুড্ডু। কারণ ভাই হাতে পেলে তাকে আস্ত রাখবে না।
এইদিকে ,,
বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় পা টিপে টিপে ঘরের দিকে যায় আরোহী। কিন্তু ওই যে বলে যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়। তাই বাবার কাছে ধরা পড়ে যায়।
পুরা ১৫ মিনিট বকা খাবার পর ছাড়া পায় সে।
চলবে,,,,
দ্য লেডি ডন
আরো পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন...https://isthekarvoice1908.blogspot.com/
©somewhere in net ltd.