![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুণীজনেরা বলেন, ব্লগ লেখা মানে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো। আমার অনেক মোষ তাড়ানোর ইচ্ছা আছে। সমাজের অসঙ্গতি দেখলে মনটা বিদ্রোহ করতে চায়। উপায় না দেখে তখন মোষ তাড়ানোর চেষ্টা করি। দেখা যাক কতদূর কি করা যায়। কারন , ব্যস্ততা আমাকে দেয়না অবসর। ব্যস্ততার ফাঁকে চেষ্টা থাকবে ব্লগে সচল থাকার।
জাতীয় সংসদে পাশ হয়েছে পিতামাতার ভরণপোষণ বিল-২০১৩; এ বেসরকারি বিল টি ২০১১ সালে সংসদে উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। এটি পাশের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ একটি মানবিক দায়িত্ব পালন করল। পাষাণ হৃদয়ের অধিকারী নির্দয় সন্তানদের অবহেলা, অনাদর থেকে বৃদ্ধ পিতা মাতাদের সুরক্ষায় এই আইন রক্ষাকবচের কাজ করবে বলে প্রতীয়মান।
যা আছে এ আইনেঃ
‘পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ বিল-২০১৩’ বিলে পিতার ঔরসে এবং মাতার গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান তার পিতা-মাতাকে ভরণ-পোষণ না করলে তা হবে জামিন অযোগ্য অপরাধ। তবে আপোসযোগ্য।
ভরণ-পোষণ ও এর খরচ না পেলে বাবা-মা আদালতের আশ্রয়ও নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সন্তান সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা জরিমানা বা অর্থ দণ্ডসহ অনাদায়ে অনূর্ধ্ব ৩ মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
কোনো সন্তানের স্ত্রী বা স্বামী পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ প্রদান না করতে প্ররোচনা দিলে উক্ত স্ত্রী বা স্বামীও কিংবা অন্য সহায়তাকারী উপরিউক্ত অপরাধে অভিযুক্ত হবেন।
প্রত্যেক সন্তানকে তার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করতে হবে। বিলের বিধান অনুযায়ী সন্তানের আয়ের যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ পিতামাতাকে দিতে হবে। কোনো পিতা-মাতার একাধিক সন্তান থাকলে সেক্ষেত্রে সন্তানরা নিজেদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে বাবা-মার ভরণপোষণ নিশ্চিত করবে।
বিলে বলা হয়েছে, ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে পিতা-মাতার সঙ্গে একই স্থানে বসবাস নিশ্চিত করতে হবে। কোনো সন্তান তার পিতা বা মাতাকে বা উভয়কে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বৃদ্ধনিবাস, বা অন্য কোথাও বা আলাদা আলাদভাবে বসবাস করতে বাধ্য করতে পারবেন না।
প্রত্যেক সন্তান তার পিতামাতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখবেন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও পরিচর্যা করবে। তারা পৃথকভাবে বসবাস করলে সন্তানদের নিয়মিত সাক্ষাৎ করতে হবে।
শুধু পিতা বা মাতার ভরণ-পোষণই নয়, পিতা বা মাতার মৃত্যুর পরও যদি দাদা-দাদী বা নানা-নানী বেঁচে থাকেন তবে তাদেরও ভরণ-পোষণ দেওয়া নাতী-নাতনীর আইনি দায়িত্ব বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিলে।
অপরাধের আমল-যোগ্যতা, বিচার ও জামিন-সংক্রান্ত বিধানঃ
এ ব্যাপারে বলা হয়, ‘এ ধরনের অপরাধ প্রথম শ্রেণীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে বিচারযোগ্য হবে। তবে কোনো আদালত এ আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ সংশ্লিষ্ট সন্তানের পিতা বা মাতার লিখিত অভিযোগ ছাড়া আমলে নেবে না। অভিযোগকারী পিতা বা মাতাকে শুনানির সুযোগ না দিয়ে কোনো আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেবে না।
কিছু কথাঃ
যে পিতামাতা অপত্য স্নেহে সন্তানদের লালন পালন করতে গিয়ে নিজেদের যাবতীয় সুখ স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননা, নিয়তির নির্মম পরিহাসে জীবন সায়াহ্নে এসে তাঁরা ছেলে মেয়েদের সংসারে হয়ে পড়েন অপাংত্তেয়, অনাকাঙ্ক্ষিত; পরিগণিত হন বিরাট বোঝা হিসাবে!
যে সকল স্বার্থপর সন্তান ধর্মীয়, পারিবিরিক ও সামাজিক মূল্যবোধ তথা অনুশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করতঃ বৃদ্ধ পিতামাতাকে অবজ্ঞা করেন, প্রাকৃতিক নিয়মেই তাদের জীবনে অভিশাপ নেমে আসবে। পিতামাতা বদ দোয়া না করলেও তাদের কর্মফল ভোগ করতে হবে ইহকালিন জীবদ্দশায়। আর পরকালে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ভয়াবহ আজাব। কিন্তু বর্তমানে ধর্মীয় অনুশাসন আর সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ অনেকের কাছে ঠুনকো হয়ে দাঁড়িয়েছে বিধায় কুলাঙ্গার সন্তানদের জন্য সতর্ক বার্তা হিসাবে এ আইন রাখতে পারবে যুগান্তকারী ভূমিকা। অবশ্য কয়জন বাবা মা চাইবেন সন্তানের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে সেটাও এক বিরাট প্রশ্ন।
দেশে পারিবারিক মূল্যবোধ ও চেতনা বিরোধী যে সকল বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠেছে সেগুলিকে আইন করে বন্ধ করে দেওয়া কিংবা অপরিহার্য ক্ষেত্রে লিমিটেড স্কেলে চালু রাখার বিষয়ে আইনি নজরদারি থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে যৌবন চিরস্থায়ী নয়। একদিন সবাইকে বার্ধক্যে উপনীত হতে হবে। নিজের বাবা মা কে অবহেলা করা হলে আপনার নিজের ক্ষেত্রেও যে ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবেনা এর কোন গ্যারান্টি আছে কি ? আপনার সন্তান কিন্তু আপনাকে দেখেই শিখছে। অতএব একবার শুধু চোখ বন্ধ করে পিতামাতার স্থলে নিজেকে কল্পনা করুন, তাহলে আর এ আইন প্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবেনা কখনো।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
এম ই জাভেদ বলেছেন: হুম, এর সকল কৃতিত্ব জাতীয় পার্টির সাংসদের।
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪০
আনোয়ার ভাই বলেছেন: বিলে যার কোন সন্তান নেই তাকে রাষ্ট্রীয় ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা থাকলে ভাল হত।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
এম ই জাভেদ বলেছেন: উত্তম প্রস্তাব। আশা করি সরকার এ বিষয়ে চিন্তা করবে।
দেশে বয়স্ক ভাতা চালু আছে স্বল্প পরিসরে। এ ভাতা প্রদানে সন্তানহীনদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
ভিটামিন সি বলেছেন: কোন মাতা যদি তার শেষ বয়সে মাতার বাপ-ভায়ের বাড়ি চলে যেতে চায় এবং সন্তান যদি যেতে দিতে না চায় তাহলে কি হবে?
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
এম ই জাভেদ বলেছেন: আইনে বলা আছে ইহা আপোষযোগ্য । এ ক্ষেত্রে মাতার ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিতে হবে। তবে মাতার খোঁজ খবর নেওয়া এবং ভরন পোষণের দায়িত্ব সন্তানকে পালন করতে হবে।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪
ল্যাটিচুড বলেছেন: অনেক অনেক ভালো একটি সংবাদ - এই বিল উপস্থাপন ও পাশ করার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন।
তবে এই বিলে সাথে - যাদের কোন সন্তান সন্ততি নাই তাদের জন্য রাষ্ট্রিয় ভাতার প্রস্তাব থাকলে ও তা পাশ হলে আরো ভালো হত।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
এম ই জাভেদ বলেছেন: সহমত। বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনার দাবি রাখে।
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৪
মামুন রশিদ বলেছেন: অনেক নিরাশার মাঝে একটা শুভ সংবাদ ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
এম ই জাভেদ বলেছেন: জ্বি মামুন ভাই, শুভ সংবাদ ওই সব হতভাগা বাবা মায়েদের জন্য যারা তাদের সন্তানকে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের জন্য।
আমাদের পারিবারিক বন্ধন কত ঠুনকো হয়ে পড়েছে এই বিল পাসই তার প্রকৃষ্ট উদাহরন।
এ বিষয়ে সন্তানদের বিবেক আর মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত না হলে আইন দিয়ে কার্যকর করা দুরূহ ব্যাপারই বৈকি। তবে এ বিল প্রভাবক হিসাবে কিছুটা হলেও কাজ করবে সমাজে।
৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আমরা যে অধঃপতিত হয়েছি, দ্বীন ইসলামের অনুশাসন থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছি, এই বিল তার প্রমাণ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে ফিরে আসতে সাহায্য করুন, আমিন।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩০
এম ই জাভেদ বলেছেন: সহমত জহির ভাই। পিতামাতার প্রতি কর্তব্যের কথা পবিত্র কোরআন শরীফে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ রয়েছে। ধর্মীয় অনুশাসন যথাযথভাবে মেনে চললে সমাজে কোন সমস্যা থাকার প্রশ্নই আসেনা।
৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:১৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অনেক নিরাশার মাঝে একটা শুভ সংবাদ
কমেন্ট কার্টেসি মামুন ভাই !
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১
এম ই জাভেদ বলেছেন: ধন্যবাদ অভি ভাই। মামুন ভায়ের কমেন্টে দেওয়া জবাব দেখে নেবেন কষ্ট করে!
৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪০
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: ভালো লাগলো ব্যাপারটা জেনে । পোস্টটা প্রিয়তে রাখলাম ।
কিন্তু আমার কেন যেন মনে হয় এই ব্যাপারটা আসলে আইন করে বাস্তবায়ন করা যাবে না । সামাজিক সচেতনতা এবং মানুষের মধ্যে বিবেক বোধ জাগ্রত করাই সম্ভবত একমাত্র কার্যকর উপায় ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪
এম ই জাভেদ বলেছেন: হুম , পারিবারিক এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা নির্ভর করে নিজের বিবেক, বুদ্ধি, বিবেচনার উপর। আইন দিয়ে সব কিছু হয় না। তারপরও সময়ের প্রয়োজনে কোন কোন ক্ষেত্রে আইন জরুরি হয়ে পড়ে।
৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: আমি অতন্ত খুশি হয়েছি, এই বিলটি পাশ হওয়ায়।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:২০
এম ই জাভেদ বলেছেন: বেসরকারি এ বিলের জনক এম পি সাহেব কে শুভেচ্ছা না জানালেই নয়।
সংসদে বেসরকারি বিল পাসের ঘটনা কিন্তু খুব রেয়ার।
ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
মেঘযাত্রা বলেছেন: অনেক দিন পরে একটি ভালো বিল পাশ হইল, ব্যাক্তিগতভাবে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ।