| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
গণতান্ত্রিক সংগ্রামে এদেশের মানুষ এখন আর একা নেই 
=================================
গণতান্ত্রিক বিশ্ব গত কয়েক বছরে টের পেয়েছে যে গত কয় বছরে এদেশে  ভয়ানক এক ফ্রাংকেনস্টাইনের জন্ম হয়েছে  ।   দেশটির গণতান্ত্রিক চেহারা বদলে পুরাপুরি একটি কম্যুনিষ্ট সমাজের চেহারা ধারণ করেছে ।
 মুক্ত বিশ্বকে আল কায়েদা বা জঙ্গী জুজুর  ভয় দেখিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করেছে এদেশের  একটি ফ্যাসিবাদি দল । এখন আবার ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে  নিজেরা ইসলামপন্থী সেজে গেছে ।  সঙ্গত কারণেই  আমি এদের  নাম দিয়েছিলাম আল -ফায়েদা । নিজেদের ফায়েদা হাসিলের জন্যে এমন হীন কাজ নেই যা এরা করতে পারবে না ।
এরা প্রথমেই মানুষের বাক স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছে । ফলে   জনগণের সম্পদ ছিনিয়ে নেয়া সহজ হয়েছে । এই আল ফায়েদাদের সঙ্গী হয়েছে সমাজের সকল লুটেরা ,  ক্রিমিনাল এবং নানা কিছিমের অধার্মিক কিংবা বক ধার্মিকের দল । জনগণের সাথে সবচেয়ে বড় প্রতারণাটি করেছে নিজেদেরকে একটি গণতান্ত্রিক দল হিসাবে দেখিয়ে । গণতন্ত্রের বদৌলতে ক্ষমতায় এসে এরা গণতন্ত্রকে গলা কেটে হত্যা করেছে । 
রাষ্টযন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণকে জিম্মি করে ফেলছে । এরা  গণতন্ত্র ও মানবতার চরম শত্রু হিসাবে নিজেদের চেহারা স্পষ্ট করেছে । আফগানিস্তানে আল কায়েদারা মেয়েদের স্কুলে যেতে মানা  করে  । বাংলাদেশে আল ফায়েদারা বিরোধী পক্ষকে ভোটকেন্দ্রে না যেতে হুমকি দেয়  । আলকায়েদা এবং আলফায়েদাদের ভেতরের চেহারা হুবহু এক । 
 
২. 
মুক্ত বিশ্ব এই আলফায়েদাদের একটু দেরিতে হলেও এখন  চিনতে পেরেছে । 
 বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস একটি রেজুলেশন পাশ করেছে । গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অবরুদ্ধ হলে  এই রেজুলেশনের মাধ্যমে দরকার পড়লে বর্তমান রেজিমের উপর অর্থনৈতিক অবরোধও আরোপিত হতে পারে বলেও আভাষ পাওয়া গেছে ।   
আমেরিকার  রাষ্ট্রদূত গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনের সাথে দেখা করে তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন । 
জাতিসংঘ , ইউরোপীয় ইউনিয়ন , ব্রিটেনও বার বার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্যে চাপ অব্যাহত রেখেছে । 
বিশ্বের নামী দামী  পত্র পত্রিকাও বিরোধী দলের উপর সরকারের দমন নীতি নিয়ে  আগেই সরব হয়েছে  ।  
এমতাবস্থায় নিরস্ত্র জনতার উপর গুলি চালিয়ে তাদেরকে স্তব্ধ করার সাহস এই সরকার হয়তোবা আর দেখাবে  না । এদেশের নিরীহ মানুষকে হত্যা করে তাদেরকে জঙ্গী হিসাবে দেখানোর কৌশলটিও এখন আর কাজে লাগবে না । বিশ্ব এই আল ফায়েদাদের চিনে ফেলেছে । 
এদেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আগের মত  নির্লজ্জভাবে দাঁড়ানোর সাহস ইন্ডিয়াও খুব বেশি দেখাবে না বলেই মনে হচ্ছে । এদেশের ষোল কোটি মানুষের সাথে সাথে ইন্ডিয়ার ত্রিশ পয়ত্রিশ কোটি মুসলমান বাংলাদেশকে নিয়ে ইন্ডিয়ার এই খেলাটি ভালো চোখে দেখছে না । এটি ইন্ডিয়াও টের পেয়েছে  । বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিপন্ন হলে সেটা ইন্ডিয়ার  নিজের জন্যেও সুখকর হবে না । 
বিশ্ব রাজনীতিও এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আশা আকাঙ্খার অনুকূলে সরে এসেছে । সরকার কোনো মতে  জনগণের বিজয়কে ছিনিয়ে নিলেও সেটাকে   হজম করা কঠিন হবে । 
কাজেই ৩০শে ডিসেম্বর শেষ নয় , শুরু মাত্র । আবারো বলছি ৩০শে ডিসেম্বর শুরু মাত্র , শেষ নয় । 
সকল ভয় কাটিয়ে  সবাই এগিয়ে আসুন, ৩০ শে ডিসেম্বর সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে আসুন , নিজের ভোটটি যথাযথভাবে প্রয়োগ করুন । 
মনে রাখবেন , ভোট কেন্দ্রে  আপনার  উপস্থিতিই ভোট ডাকাতদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিবে । 
  
  
  
  
©somewhere in net ltd.