নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্তিযুদ্ধ গবেষক। বাবার চাকরির সুবাদে সৈসব কেটেছে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গাতে।

মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ

গবেষক।

মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫১

২৮ অক্টোবর ২০২০ যুগান্তর শিরোনাম, “মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই ছেঁটে ফেলতে হবে ভুয়াদের নাম।”
৩ ডিসেম্বর প্রথম আলো শিরোনাম, “জামুকার সভা আজ যাচাই হবে ৪২ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ।

আমার প্রশ্ন এইসব যাচাই বাছাই করবে কারা? যারা আগের কমিটিতে ছিল তাদেরকে দিয়েই যদি কাজটা আবার করানো হয় তাহলে আরও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বাড়বে। আর এটা তো একটা শিশুও বুঝবে যে, মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তারা দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা খেয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছে ,তারা নিশ্চয়ই ভুয়াদের বাতিল করে নিজে বিপদে পড়বে না।

যদি পুরনো কর্মকর্তাদের রেখেই আবার যাচাই বাছাই করা হয়, সেক্ষেত্রে এটা পরিষ্কার যে এটা লোক দেখানো। মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র লোক দেখানো একটা পদক্ষেপ নিয়েছে আমলাদের আরও কিছু টাকা খাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে। পুরানো যাচাই-বাছাই করালে তারা আরেক দফা ভুয়াদের কাছ থেকে পয়সা খাবে। যা ছিল তাই হবে নতুন করে। আর মাঝখান দিয়ে ভুয়াদের আসন পোক্ত হবে। আর ভুয়ারা টাকা দিতে কার্পণ্য করবে না এই কারণে যে এই ব্যবসায় আয় ভাল।

মীর মহি উদ্দিন স্বাধীনতা বিরোধী ছিল যা সর্বজনবিদিত। সে আইয়ুব খানের ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ছিল। আর জাইদুল ছিল সভাপতি। মীর মহি উদ্দিন যে এনএসএফের সাধারণ সম্পাদক ছিল সে কথা সুলতান জোয়ার্দার যিনি সর্বশেষ আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনিও বলেছেন।

মীর মহির আপন ভাইও মনে করেন না সে মুক্তিযোদ্ধা ছিল। কিন্তু আলমডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির একজনও সেটা মনে করেন না। যে মীর মহি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। অন্তত লিখিত মন্তব্যে সেটাই প্রকাশ পাচ্ছে। যদিও মৌখিকভাবে ওই কমিটির একজন ছাড়া কেউ মনে করেন সে মুক্তিযোদ্ধা। এই একজন হলেন শেখ নুর মোহাম্মদ জকু। জকু কেন মনে করেন সেটা সবাই জানে। পৌরসভায় চাকরির সময় তাদের নাও আর দাও চুক্তি ছিল। যাচাই বাছাই কমিটিতে যারা আছেন তারা মনে করেছিলেন তাদের কুকর্ম প্রকাশ হবে না। তারা কাগজে-কলমে কি লিখছেন সেটা জনগণ জানতে পারবে না। কিন্তু কথা আছে পাপ বাপকেও ছাড়ে না। আমরা প্রমাণসহ আপনাদের কাছে অভিযোগগুলো উত্থাপন করছি। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে আমরা প্রমাণগুলো পেয়েছি।

যাচাই বাছাই কমিটিতে ছিলেন সাত জন এদের মধ্যে ইউ.এন.ও-র কী ভূমিকা আমি জানি না। কেন তাকে এই কমিটিতে রাখা হয় জানি না। এখন যে ইউ.এন.ও সে তো একাত্তর সালে জন্মায়নি। তারপর একটা ইউ.এন.ও দেখা যাচ্ছে সিলেটের মানুষ সে নিয়োগ পাচ্ছে আলমডাঙ্গাতে সে কেমনে সিদ্ধান্ত দিতে পারে কে ভুয়া কে সঠিক? মোটা কথা পয়সার ভাগ যাতে আমলারাও পায় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে ভারসাম্য রক্ষায়।

মীর মহির ক্ষেত্রে ৫জন একই রকম মন্তব্য করেছেন সে সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা ছিল। জকু চামচামি করেছে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দিয়েছে। না করলে মীর মহি জকুর কাছা খুলে দিত, পৌর সভায় যে চুরি করেছে। সরকারি কামলা ইউ.এন.ও কেমনে জানলো তিনি সহযোগিতা করেছেন মাত্র? যদি কাগজ পত্রের ভিত্তিতে বলে তাহলে কোন কাগজের বলে সেলুন জোয়ার্দ্দার বললো ,”তিনি ভারতীয় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ছিল?”

মীর মহি যে হাই প্রোফাইল কেস ছিল সেটা বোঝা যাচ্ছে। কথিত আছে আলমডাঙ্গা থেকে যদি ২০ জন আওয়ামী লীগ নেতা ছেলুন মিয়াকে যেয়ে বলে, “ছেলুন ভাই এই কাজটা করবেন না।” আর আলমডাঙ্গা বসে মীর মহি যদি টেলিফোন করে বলে, “ছেলুন ভাই যে যাই বলুক আপনি কজাটা করেন।” ছেলুন জোয়ার্দ্দার ২০ জন আওয়ামী লীগ নেতার কথা শোনে না, তিনি শোনেন মীর মহির কথা। মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য মীর মহি নাকি দশ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিল। এটা প্রমাণ করা যাবে না। তবে এই অঙ্কটা সে সময় সবার মুখে মুখে ছিল। সুলতান জোয়ার্দারের মীর মহির সাথে ব্যবসা আছে। এবার পৌর নির্বাচনেও মীর মহি এগিয়ে থাকবে। ছেলুন জোয়ার্দ্দার সেটাই চাই। মীর মহি তাকে ভাগ দেয় ভাল। আওয়ামী লীগের কেউ মেয়র হলে সেটা হয় না।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.