নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখার সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।আমার অনুমতি ছাড়া এই ব্লগের লেখা কোথাও প্রকাশ করা যাবে না।
কাঁচ নামিয়ে দিলাম আমি।ওয়াসা, বিটিআরসি আর পিডিবি’র কল্যাণে চট্টগ্রাম শহরের যে রাস্তা দিয়েই গাড়ি চালাই, শুধু ধূলা ওড়ে। সেই ধূলার সমুদ্র পেরিয়ে এসেছি অনেকক্ষণ হল। অনেকক্ষণ ধরে ড্রাইভ করছি, প্রায় আধঘন্টা হয়ে গেছে হাইওয়েতে উঠেছি, মাঝে মাঝে দুয়েকটা গাড়ি আমার গাড়িটাকে ক্রস করে যাচ্ছে, কখনোবা বিপরীত দিক থেকে দুয়েকটা গাড়ি ছুটে আসছে।
দুপাশে এখন সারি সারি গাছ, মাঝখানে রোড ডিভাইডার।রোদ পড়ে চিকচিক করছে পীচঢালা রাস্তার বুক, মনে হচ্ছে যেন ভেজা রাস্তায় সূর্যের আলোর প্রতিফলন হচ্ছে।
আমি বাইরে তাকালাম। শীতের সকালে গাড়ীর জানালা দিয়ে ঢুকে পড়া নরম রোদ অসাধারণ ওম দিচ্ছে, মনে হচ্ছে স্টিয়ারিং-এ হাত রেখে এভাবেই ঘুমিয়ে পড়ি। ড্রাইভ করার জন্য অসাধারণ পরিবেশ।
আমি বামে তাকালাম। আমার পাশে, প্যাসেঞ্জার সীটে এক ভদ্রমহিলা বসে আছেন, শাড়ীর ওপর একটা হালকা ঘিয়া রঙের শাল চাপানো। ভাল করে লক্ষ্য করলাম। মহিলার বেশকিছু চুল ধূসর হতে শুরু করেছে।
-আম্মু, আমি কেমন ড্রাইভ করি? আমি জানতে চাইলাম।
-খারাপ না। আম্মুর ছোট্ট জবাব।
-খারাপ না! আব্বুর সাথে বসলে দেখতা। গত দুই ঘন্টায় একটা ঝাকিও খাইছ?
-লাইসেন্স পাইছস দুইদিন হল না আর এর মধ্যে নিজের বাপের সাথে তুলনা।
আম্মুকে নিয়ে এই এক সমস্যা। কোন কথার সরাসরি জবাব দিবে না, দিবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে। আর আব্বুর চাইতে কোন কিছু ভাল করি কিংবা পারি-এই স্বীকৃতি জীবনেও দিবে না।
-গান-টান দে কিছু, শুনি।
-এদিকে কোন রেডিও চ্যানেলের সিগনাল পাবা বলে মনে হয় না।
-দিয়ে দেখ।
আমি রেডিওটা অন করলাম। কয়েকটা চ্যানেল ঘুরে ফেললাম।যা ভেবেছিলাম, তা-ই। ঘর ঘর শব্দ ছাড়া আর কিছু পাওয়া গেল না।
-ধুর্বাল।
-ল্যাংগুয়েজ। আম্মু ধমকের সুরে বলল।
-আচ্ছা বাবা, সরি।
রেডিওটা অফ করে দিলাম।
-মাহীন।
-জ্বি।
-তোর আব্বুকে একটা ফোন দে তো।
-কেন?
-ফোন দিতে বলেছি, ফোন দে। এত কথা কিসের?
আমি ফোনটা বের করে আব্বুর নম্বর ডায়াল করলাম।
-ধর, রিং হচ্ছে।
আম্মু ফোনটা নিল।
-এই শোন…
আম্মু কথাটা শেষে করতে পার না, তার আগেই খুকখুক করে কাশতে লাগল। চেয়ে দেখি আমাদের ঠিক সামনেই একটা বালুভর্তি ট্রাক হাইওয়ের বুক চিড়ে উড়ে চলেছে, তেরপল দিয়ে ঢাকাঢাকির কোন বালাই নেই, ট্রাকের গতির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাতাসে ভাসতে থাকা বালুকণা।
-ইডিয়টের বাচ্চা…
আম্মুর দিকে তাকিয়ে কথাটা শেষ করলাম না, দুই সাইডের কাঁচ তুলে দিলাম।
-এসি দিয়ে দে। আম্মু বলল।
চালু করে দিলাম।
-আব্বু এখনো লাইনে? আমি জানতে চাইলাম।
আমার কথা শুনে আম্মুর হুশ হল। স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে দেখে কলটা কেটে গেছে।এবার আম্মু নিজেই আব্বুর নম্বরটা ডায়াল করল, আমার আর করে দেয়া লাগল না।
-আরে বইল না আর, একটা ট্রাক থেকে এত ধূলা আসতেছিল, আর কি কথা বলব তোমার সাথে? শাহীন ঘুম থেকে উঠছে?
আব্বু-আম্মুর খাজুরে আলাপ চলতে থাকে। প্রিয় পাঠক, এই সুযোগে আপনাদের বলে রাখিঃ আম্মু আর আমি যাচ্ছি আমাদের গ্রামের বাড়িতে, একটা আত্মীয়ের বিয়ে এটেন্ড করার জন্য। আব্বু আর আমার ছোটভাই শাহীন গতকালই চলে গেছে।আমার সেমিস্টার ফাইনাল চলছিল বলে সবাই একসাথে যেতে পারিনি। গতকাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে, তাই আজ সকালেই আম্মু আর আমি রওয়ানা হয়েছি।
আসলে সেমিস্টার ফাইনালতো ছিল একটা অজুহাত মাত্র। মাত্র অল্প কয়দিন আগেই আমি ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছি, তাই মনে মনে সুযোগ খুঁজছিলাম হাইওয়েতে গাড়ী চালানোর। রূপা আপুর বিয়ে আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে।
-ধর। আম্মু ফোনটা এগিয়ে দিল আমার দিকে।
-কি?
-তোর আব্বু কথা বলবে।
-দাও। আমি ফোনটা নিলাম। হ্যা, আব্বু, বল।
-শোন…
আব্বুর সাথে কথা বলতে গিয়ে খেয়াল করতে পারিনি, কোথা থেকে একটা লরি এসে হাজির হয়েছে সামনে। লরিটা আগাচ্ছে খুব ধীর গতিতে, আমার গাড়ীটা এভাবে এগোতে থাকলে ঠিক লরিটায় গিয়ে ধাক্কা খাবে!
-মাহীন, ব্রেক চাপ।
আম্মুর চিৎকারে হঠাৎ যেন ব্রেইনে তালা গেল। এত করে চেষ্টা করছি, অথচ আমার পা কোনভাবেই ব্রেকটা খুঁজে পাচ্ছে না!
-মাহীইইইন …
আম্মু এখনো তারস্বরে চিৎকার করে চলেছে, সেসব কিছু আমার ব্রেইন প্রসেস করতে পারছে না। আমার মাথায় শুধু একটা কথাই ঘুরছে, ব্রেকটা কোথায়? ব্রেকটা কোথায়?
-মাহীইইইন…
আম্মু প্যানিকড হয়ে গেছে, কোনভাবেই শান্ত হয়ে নিজের সীটে বসতে পারছে না।
ইয়েস, পাইছি।অবশেষে পাওয়া গেছে তাকে, পায়ের সর্বশক্তি দিয়ে চাপ দিলাম ব্রেকে।
এইবার থামবে গাড়ীটা।
কিন্তু এ কি?
গাড়ীর থামার বদলে স্পিড আরো বাড়ছে কেন?
তবে কি ব্রেকের বদলে এক্সেলেটরে চাপ দিয়ে ফেলেছি?
এই চিন্তাটা আসতেই মাথাটা এলোমেলো হয়ে গেল, পা দুটো উন্মাদের মত খুঁজতে লাগল গাড়ীর ব্রেকটাকে। ব্রেক কোথায়?
-মাহীন, কি করতেছিস বাপ?
আমার ব্রেন তখন আর আম্মুর কথা প্রসেস করার মত অবস্থায় নেই। মাথায় শুধু একটা কথাই ঘুরছে, এই গাড়ী থামাতে না পারলে আজ আমাদের মা-ব্যাটার মৃত্যু নিশ্চিত।
অবশেষে সিদ্ধ্যান্তটা নিয়েই ফেললাম। গাড়ীটাকে বাড়ি খাওয়াতে হবে ডিভাইডারের সাথে। এটা ছাড়া গাড়ীটা থামানোর আর কোন রাস্তা নেই। ব্রেক চেপে এই গাড়ী থামানো আমার পক্ষে থামানো সম্ভব না।
কিন্তু মানুষ ভাবে এক আর হয় আরেক।
আমি ভেবেছিলাম গাড়ীটাকে একবার ডানদিকে ঘোরাতে পারলেই ডিভাইডারের সাথে বাড়ী খেয়ে থেমে যাবে।কিন্তু গাড়ীটা বাড়ি খেয়ে থামল না, বরং লাফ দিল একটা। সেই এক লাফেই গাড়িটা ডিভাইডার পার হয়ে চলে এল রাস্তার অন্য প্রান্তে, রঙ সাইডে।
ডিভাইডার পার হওয়া এতই সোজা?
মাথায় এসব ঘুরছিল, তখনো বুঝতে পারিনি আমরা রাস্তার উলটো সাইডে চলে এসেছি, বিপরীত দিক থেকে ফুলস্পীডে আমাদেরকে সব গাড়ী অতিক্রম করে যাচ্ছে!
এতক্ষণ ভয় আর টেনশনে আম্মুর দিকে তাকাতে পারিনি, এবার তাকালাম। আম্মু জ্ঞান হারিয়েছে আগেই, মাথায় আঘাত পেয়েছে কিনা কে জানে, কপাল কেটে রক্ত পড়ছে। ভাগ্যিস সীটবেল্ট লাগানো ছিল, নাহয় কি হত কে জানে।
-আম্মু।আমি ডাকলাম।
কোন সাড়া নেই।
-এই আম্মু।
এবার আম্মু চোখ খুলে তাকাল।
-মাহীইইন, সামনে দেখ। আম্মু চিৎকার করে উঠল।
আম্মুকে নিয়ে এতক্ষণ ব্যস্ত ছিলাম, তাই বুঝতে পারিনি। ডিভাইডার পার হওয়ার পরও গাড়ীর ইঞ্জিন বন্ধ হয়নি, বিপরীত দিক থেকে ছুটে আসা গাড়ীগুলোকে লক্ষ্য করে ছুটে চলেছে ফুলস্পীডে। আমি রোবটের মত স্টিয়ারিং-এ হাত দিয়ে ‘আম্মু, আম্মু’ করে চিৎকার করছি আর আমার গাড়ীটা ছুটে চলেছে এক উন্মাদ দানবের মত।
আমি স্টিয়ারিং চেপে ধরে প্রানপণ চেষ্টা করতে লাগলাম গাড়ীটা সোজা করার জন্য, সেই সাথে সমানে বাজিয়ে চলেছি হর্ন। চোখে দেখে হোক, শব্দ শুনে হোক, যেভাবেই হোক-লোকজন আমার সামনে থেকে সরে যাক।
যাক, অবশেষে মনে হয় ব্রেকটা খুঁজে পেয়েছি।গাড়ীটা স্লো হতে শুরু করেছে।
প্যা… প্যা… প্যা...
কোলে পড়ে থাকা ফোনটা হঠাৎ বাজতে শুরু করল। আব্বুর সাথে কথার মাঝখানে ফোন কেটে গিয়েছিল, মনে হয় আব্বুই আবার ফোন করেছে। ফোনটা তুলতে যাব, হঠাৎ…
বুমমম …
মনে কোন খানাখন্দে পড়েছিল পেছনের চাকাটা, প্রচন্ড শব্দে তার টায়ার ফাটল।
গাড়ীটা প্রায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিলাম, আবার গাড়ীটা বাঁকা হয়ে পাশের লেনের দিকে যেতে শুরু করল। গাড়ীটা এখন রঙ সাইডে দুই লেনের মাঝখানে কোণাকুণি পথ ধরে ছুটে চলেছে…
বিপরীত দিক থেকে প্রচন্ড গতিতে একটা প্রাইভেট কার ছুটে আসছে।মাঝবয়সী একটা লোক ড্রাইভ করছে, পাশের সীটে বছর পাঁচেকের ছোট্ট একটা বাচ্চা। নিজের পুতুলটাকে জড়িয়ে সীটে হেলান দিয়ে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে রয়েছে বাচ্চাটা।
লোকটার চোখেমুখে আতংকের ছাপ স্পষ্ট। বারবার হাত নেড়ে আমকে সরে যেতে বলছে।
লোকটা তখনও জানে না, এই গাড়ী কিংবা রাস্তা-কোনটার ওপরই আমার আর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই …
{Theodore Thomas এর Test গল্প থেকে অনুপ্রানিত হয়ে}
-আমি তুমি আমরা
১৭.১২.২০১৯
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: চট্টগ্রাম রোড আর ছবি দিয়েছেন কোন দেশের ফিটফাট হাইওয়ের আল্লামালুম!
ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের বাস্তব ছবি দিলে গল্পের প্ল্যামার কমে যাবে-সেজন্যই এই ফিটাফাট রাস্তার ছবি দেয়া
তার উপরে ঢাকা চিটাগাং রোডে ( সম্ভবত এটাকেই হাইওয়ে বলেছেন) কোথায় পেলেন যে মাত্র দু'একটা গাড়ীর দেখা পেলেন মাঝে মাঝে? আবার অনেকক্ষন ধরে ব্রেক না করতে পেরে কোনও গাড়ীর সাথে মোটেও টক্কর খেলেন না, আজব ব্যাপার।
সেদিন হয়ত পরিবহন ধর্মঘট (আংশিক, পুরো না ) চলছিল, সজন্যই মাঝে মাঝে দুয়েকটা গাড়ীর দেখা পাওয়া যাচ্ছিল। আর যে দুয়েকটা গাড়ি আসছিল, তার ড্রাইভারেরা অতি দক্ষ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিল, আর টক্কর খাওয়া লাগেনি।
আর প্যানিকড অবস্থায় সামনের গাড়ীতে যে ছোট বাচ্চাটা পুতুল নিয়ে সীটে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে গেছে তা-ই বা দেখলেন কি ভাবে?
শেষ সময়ে মানুষের ইন্দ্রিয় খুব সক্রিয় হয়ে যায় বলে শুনেছি। সম্ভবত সেটারই ফলাফল।
গল্পপাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রইল
২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১১
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি তুমি আমরা,
এইবার কিছুটা নিয়ন্ত্রনে এসেছে। কিন্তু..................
কিন্তু শেষ সময়ে মানুষের ইন্দ্রিয় খুব সক্রিয় হয়ে যায় বলে যদি শুনে থাকেন তবে ও রকমের "শেষ সময়" অবস্থা তো আগেও ছিলো ডিভাইডার পার হয়ে ওপারে যাওয়ার কালে !
যাই হোক, গল্প তো গল্পই, মজা করা গেলো বেশ।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: তাও ঠিক। ডিভাইডার পার হওয়ার আগেই ইন্দ্রিয় আরো সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল। কি আর করা, বাপ্পীর সাবানতো স্লো ...
৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:২১
শের শায়রী বলেছেন: ছোট গল্প সব সময়ই ভালো লাগে, মাহীনের কি হল? বাচ্চাটার?
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: মাহীন কিংবা বাচ্চাটার কি হল সেটা ভেবে নেয়ার দায়িত্ব এখন পাঠকের।
গল্প পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় শের শায়েরী
৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো গল্প।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও ভাল লাগল। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫১
জুন বলেছেন: ভয়ংকর গল্প আমি তুমি আমরা
ভালো লাগা রইলো অনেক।
+
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পটি আপনার ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমি তুমি আমরা,
শেষ হয়েও হইলো না শেষ !
আচ্ছা ভেবে নিলাম কোনো অলৌকিক ঘটনা ঘটবে শেষে ! কিছু হবে না কারো ।
আপনার লেখাটা ভালো হয়েছে ।কন্টেন্ট বা থিম নিয়ে যাই বলা হোক না কেন ।
আরো লিখুন ।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১০
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আমিও এটাই চেয়েছি, পাঠক শেষটা ভেবে নিক নিজের মত করে।
আমাদের সবার জীবনেই অলৌকিক কিছু ঘটুক, শেষ পর্যন্ত কারও যেন কিছু না হয়।
মন্তব্যে ভাল লাগা রইল।
৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মোটামুটি।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
বেশ কিছুদিন পর আপনাকে ব্লগে দেখলাম। আশা করি ভাল আছেন।
৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পটা সুন্দর, তবে বেশ কিছু অসামন্জস্যতা না থাকলে আরো সুন্দর হতো। যেমন, একজন নতুন ড্রাইভারের হাইওয়েতে মোবাইল ব্যবহার করা (অন্ততঃ মায়ের এটা দেখা উচিত ছিল), ঘুমিয়ে পরার মতো অবস্থা ড্রাইভ করার জন্য অসাধারন পরিবেশ হতে পারে না! ইত্যাদি।
ইদানীং গল্প লেখার সময়ে বেশী মনোযোগ দেন না মনে হয়!!
ছবিটা বদলে লেফট হ্যান্ড ড্রাইভ করে দেন, দেশেও তাই। এটা সম্ভবতঃ আমেরিকার হাইওয়ের ছবি। ইওরোপ মেইনল্যান্ডেরও হতে পারে।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: গল্পটা সুন্দর, তবে বেশ কিছু অসামন্জস্যতা না থাকলে আরো সুন্দর হতো। যেমন, একজন নতুন ড্রাইভারের হাইওয়েতে মোবাইল ব্যবহার করা (অন্ততঃ মায়ের এটা দেখা উচিত ছিল), ঘুমিয়ে পরার মতো অবস্থা ড্রাইভ করার জন্য অসাধারন পরিবেশ হতে পারে না!
গত বছর কিংবা তার আগের বছরের ঘটনা। ঈদের এক বা দুদিন পরের ঘটনা। বের হয়েছি কোথাও যাব বলে, গলির মুখে বিশাল জ্যাম। একটা গাড়ি গলির মুখে এমন বেকায়দায় আটকে গেছে, না তাকে ক্রস করে পেছনের কোন গাড়ি গলি থেকে বের হতে পারছে, না বিপরীত দিক থেকে কোন গাড়ি এসে গলির মধ্যে ঢুকতে পারছে। দুপাশের অনেক চেঁচামেচি, হর্ন বাজানোর পর দেখা গেল সেই গাড়ির ড্রাইভিং সীট থেকে নেমে এল এক কিশোর, বয়স সর্বোচ্চ পনের-ষোল, হয়ত নাইন-টেনে পড়ে কিংবা এরকম কিছু। ঈদের সময় সে বন্ধুদের নিয়ে বেরিয়েছে গাড়িসহ, গলি থেকে গাড়ি বের করতে না পেরে আটকা পড়েছে একেবারে মুখে। পরে অন্য গাড়ির আরেকজন অভিজ্ঞ ড্রাইভার শেষ পর্যন্ত ওদের গাড়িটা গলি থেকে বের করে দিয়েছিলেন, সেই কিশোর ছেলেটা পারে নি।
এই ঘটনাটা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি সাধারণত নতুন ড্রাইভাররাই ওভার কনফিডেন্সের কারণেই হোক বা অসচেতনতার কারণেই হোক হয়ত সীটবেল্ট লাগায় না, ব্যস্ত সড়কে হাই স্পীডে গাড়ি ছোটায়, এক হাতে স্টিয়ারিং হুইল ধরে অন্য হাতে মোবাইল টেপে ইত্যাদি। অভিজ্ঞ চালকেরা সড়কে নিজের, যাত্রীর আর গাড়ির নিরাপত্তা নিয়ে অনেক বেশি সচেতন থাকে। এই ব্যাপারটা তুলে ধরার জন্যই আমি মোবাইল ফোন নিয়ে এই দৃশ্যের অবতারণা করেছি।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ছবিটা বদলে লেফট হ্যান্ড ড্রাইভ করে দেন, দেশেও তাই। এটা সম্ভবতঃ আমেরিকার হাইওয়ের ছবি। ইওরোপ মেইনল্যান্ডেরও হতে পারে।
আচ্ছা, আপনার কথা মেনে নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের একটা ছবি দিলাম।
৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বিদেশী গল্প থেকে নিলে সব সময়ই ই কিছু অসামঞ্জস্যতা থেকে যায়।
গল্প তো দুর্দান্ত !
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৯
আমি তুমি আমরা বলেছেন: তা ঠিক। যেকোন গল্পকে বিদেশী বাস্তবতা থেকে নিজের বাস্তবতায় আনতে গেলে অনেক রকম বড় ছোট পরিবর্তন আনতে হয় গল্পের ঘটনায়, বর্ণনায়। সবসময় হয়ত সব অসামঞ্জস্যতা দূর করা সম্ভব হয়ে ওঠে না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। আশা করি ভাল আছেন।
১০| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: যখনই দেখলাম, "লাইসেন্স পাইছস দুইদিন হল... তখনই বুঝেছি কিছু একটা ঘটবে!
যা ঘটল তার বর্ণনা একটানে রুদ্ধশ্বাসে পড়তে হল! ভয়ংকর, কিন্তু চমৎকার গল্প। +++++
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার
১১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: নতুন ড্রাইভাররাই ওভার কনফিডেন্সের কারণেই হোক বা অসচেতনতার কারণেই হোক হয়ত সীটবেল্ট লাগায় না, ব্যস্ত সড়কে হাই স্পীডে গাড়ি ছোটায়, এক হাতে স্টিয়ারিং হুইল ধরে অন্য হাতে মোবাইল টেপে ইত্যাদি। আপনার কথা মানছি। কিন্তু আমার পয়েন্ট হলো তার মা-ই তাকে হাইওয়েতে ড্রাইভ করতে করতে মোবাইল ব্যবহারে ইনসিস্ট করলো!! নতুন ড্রাইভার ছেলে, মায়ের এখানে এটা করা বেমানান। আবার রেডিও ছাড়তেও বললো!!!
ভেরী কেয়ারলেস মাম!!!
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৯
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার সাথে একমত। ছেলে নতুন ড্রাইভার, মায়ের অবশ্যই আরো কেয়ারফুল থাকা উচিত ছিল। সমস্যা হচ্ছে, ভদ্রমহিলা জানতেন না আর একটু পরেই কি ভয়ানক বিপদে পড়তে যাচ্ছেন। জানলে তার এপ্রোচ নিশ্চয়ই ভিন্ন হত।
১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভাল। আপনিও ভাল আছেন নিশ্চয় ?
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৬
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ।
সহব্লগাররা সবাই ভাল থাকুক-আমিও এটাই চাই।
১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার গল্প পড়ে আরবী আর বাঙালীর সেই কথোপকথন মনে পড়লো...
বাঙালীতো মূখস্ত সূরা পড়ে। অর্থ বা আয়াত শেষ হেলা কোথায় অত খেয়াল করে না।
তো, দুজনে একসাথে নামাজে সূরা ইউসুফ থেকে তেলাওযাত করে নামাজ শেষ করলো।
নামাজ শেষে আরবী তখন বাঙালিকে বললো- এইটা একটা কাম করলা?
বাঙালি অবাক। নামাজে কোন ভুল হয় নিতো?
তার অবাক চোখ দেখে আরবী বললো- এই যে শেষ রাকাতে তুমি ইউসুফ আ: কে কুয়ার মধ্যে ফেইলা রুকুতে চইলা গেলা!!!!
বাঙালীর মূখ হা)
আপ্নে এইঠা কি করলেন- পাঠকেদর ইন্নালিল্লাহ পড়ার মূখে ছাইড়া দিলেন ব্রেকফেল স্টিয়ারিং ফেল রং সাইডেড গাড়ীতে
গল্পে +++
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: অসাধারণ একটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার এই মন্তব্যে আমি ভাললাগা দিলাম।
১৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: গাড়ি কি অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছিলো?
চট্টগ্রামের রাস্তাগুলো কি এখনও ধুলোময় হয়ে আছে? না পাল্টাইছে?
১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: এখনোরে ধূলারে ভাই। মাঝে মাঝে মনে হয় মরুঝড়ের মাঝখানে আছি!!!
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি তুমি আমরা,
এই গল্পেও আপনার কোনও নিয়ন্ত্রন নেই।
চট্টগ্রাম রোড আর ছবি দিয়েছেন কোন দেশের ফিটফাট হাইওয়ের আল্লামালুম!
তার উপরে ঢাকা চিটাগাং রোডে ( সম্ভবত এটাকেই হাইওয়ে বলেছেন) কোথায় পেলেন যে মাত্র দু'একটা গাড়ীর দেখা পেলেন মাঝে মাঝে? আবার অনেকক্ষন ধরে ব্রেক না করতে পেরে কোনও গাড়ীর সাথে মোটেও টক্কর খেলেন না, আজব ব্যাপার।
আর প্যানিকড অবস্থায় সামনের গাড়ীতে যে ছোট বাচ্চাটা পুতুল নিয়ে সীটে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে গেছে তা-ই বা দেখলেন কি ভাবে?
শেষটা চমৎকার হয়েছে। ইন্নালিল্লাহ পড়াটা ঝুলিয়ে রাখলেন শুধু।