নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীকে যেমন দেখার প্রত্যাশা করি, সে প্রত্যাশার আগে নিজেকে তেমন গড়তে চাই। বিশ্বাস ও কর্মে মিল স্থাপন করতে আজীবন যুদ্ধ করতে চাই নিজের সাথেই।

হিমন

ভিন্নমত সহ্য করতে পারা এক বিরাট গুণ। সকল ভিন্নমত উদার দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টায় আছি।

হিমন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৭


ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে। হিসাব করে দেখলেই বোঝা যাবে। গত পাঁচ-ছয় বছরে তিনটি ভিন্ন ধারার আন্দোলন মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। শুরুটা গণজাগরণ মঞ্চ দিয়ে। এরপর কোটা আন্দোলন। আর শেষেরটা বিচ্ছুবাহিনী আজ অব্দি দেখিয়ে দিচ্ছে আঠারোর আগুন কী জিনিস।

শাহবাগের আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন জামাতিরা বিপদে। এটা থামানো দরকার। জামাতিদের পুরনো অস্ত্র ধর্ম। চুয়ান্ন সালের নির্বাচনেও তারা বলেছিল নৌকায় ভোট দিলে বিবি তালাক হয়ে যাবে। গণজাগরণের সাথে জড়িতদের নিয়ে এমন কোন নোংরামি নাই যা জামাতিরা করে নাই। ফেসবুকে ফটোশপ করে নানা অশ্লীল ছবি পোষ্ট থেকে শুরু করে চৌদ্দ শিকের মধ্যে থেকে কাউকে কাউকে চাঁদেও দেখা গেল। একদিনে মারা গেল ১১৩ জন। ধর্মকে হাতিয়ার করে হেফাজতের গুরু ফরহাদ মজহার ও মাহমুদুরররা কী করতে পারে আমরা দেখলাম।

 এরপর কোটা আন্দোলন। ছাত্রলীগের পছন্দ নয়। ২০১৩ সালে জামাতিরা গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছিল, আজ এতদিন পর ঠিক একই কাজ করতে দেখলাম ছাত্রলীগকে। কোটা আন্দোলনের কে কোথায় কার সাথে রাত কাটায়, সেসবের ফটোশপ করা ছবি দিয়ে ফেসবুক ভরে দিল। কিন্তু জামাতিদের মত ধর্ম মেশাতে পারেনি বলে এত মেরে কেটেও এই আন্দোলনকে জনমানুষের মন থেকে ভুলিয়ে দিতে পারেনি।

আজ বিচ্ছুবাহিনী আমাদের নষ্ট হৃদয়ে বিবেকের হুল ফুটিয়ে দিয়েছে। ঘুণে ধরা নষ্টের চূড়ান্ত একটি বেহায়া সমাজব্যবস্থাকে জাতে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। এখানেও নষ্টলীগের একই ভূমিকা। দুই একটা বাচ্চা কোন পোস্টারে কি লিখল, তারমধ্যে ফটোশপের গু মিশিয়ে নিষ্পাপ শিশুদের চরিত্রে কালিমা দিচ্ছে। এদের ভূমিকায় মনে হয় ছাত্রলীগাররা পৃথিবীর পবিত্রতম সংগঠন। গত ৯ বছরে এরা প্রায় ষাটজন শিক্ষার্থীকে খুন করেছে, সবই নিজেরা নিজেরা। এটা খুব শ্লীল কর্ম তাই না? আর ওদিকে বাচ্চারা সামান্য বালছাল লিখলে অশ্লীল হয়ে যায়।

আমি বুঝি না, এ কি সরকারবিরোধী আন্দোলন? শাহবাগের আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন, তাঁরও ইচ্ছে করে শাহবাগে গিয়ে বসে থাকতে। আজ কেন প্রধানমন্ত্রীর বাচ্চাদের সাথে কণ্ঠ মেলাতে কার্পণ্য করেন? সরকারে কি ওই চোর চোট্টার ভাগাড় নৌমন্ত্রীর এতই প্রয়োজন? মানুষের পালস বুঝতে আর কত দেরী হে পাঞ্জেরী!



বাংলা সিনেমার নায়ক নায়িকার শুরুটা হয় একটা ধাক্কা দিয়ে, ধাক্কার পর নিয়মানুযায়ী নৃত্যগীত। মুহুর্তের মধ্যে নায়িকার পেছনে তিন হাজার সখী এসে নাচতে থাকে। তাঁদের পোশাক আসল নায়িকার থেকে খানিকটা স্বল্প। থলথলে উরুর পুরোটা বের করে রাখে, তবু এই এক্সট্রাদের দিকে কেউ তাকায় না। জামাতিদের আবাসিক নেতা নয়াপল্টন থেকে বানীর পর বানী দিয়ে চলেছেন। কারো কোন মনোযোগ নাই। নায়ক নায়িকার সখা সখীর মতই মূল্যহীন তারা। আসল নায়ক তো আজকের বিচ্ছুরা। কিন্তু ওই এক্সট্রাদের দিকে বখাটে দর্শক ঠিকই হা করে থাকে, ফাটাকেস্ট কাদেরিয়া সাব ওই বখাটে দর্শকের মত, শয়নে স্বপনে জামাত শিবির ছাড়া তিনি কিছু দেখেন না। কলিকাতা হারবাল খাইয়ে এই স্বপ্নদোষ বন্ধ করা জরুরী।



#আঠারোর_আগুন_হোক_দ্বিগুন
#নিরাপদ_সড়ক_চাই

#We_Want_Justice

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১১

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: শেষের প্যারাটা এককথায় তুলনাহীন।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৩১

হিমন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী কি সাধারণ মানুষের অনুভূতি বুঝতে পারছেন না। নাকি মাফিয়া-টাফিয়া আর পুলিশ বব্যবহার করে ইহাহিয়াদের স্টাইলে ক্ষমতা ধরে রাখবার স্বপ্ন দেখছেন। বুঝতে পারছি না।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৩২

হিমন বলেছেন: জনভিত্তি থাকলে বুঝত। সেটি তো নাই রে ভাই!

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:২১

যবড়জং বলেছেন: হুম , BTV দেখে দেই ঘুম ।।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৩২

হিমন বলেছেন: হা হা হা

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:২০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @ মানুষের পালস বুঝতে আর কত দেরী হে পাঞ্জেরী!
.... সব সরকারের ব্যার্থতা এখানেই। তারা সব সময় জুজুর ভয়ে(বিরোধী দলের) থাকে আর জনগণকে ভুলে যায়।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৩২

হিমন বলেছেন: কথা ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:২২

রাজীব নুর বলেছেন: লেবু বেশি কচলালে যা হয়, তা-ই হতে যাচ্ছে বোধকরি।সীমা অতিক্রম কোরো না--- ধর্মে বার বার বলে, ধর্মে না বললেও সেটা অধর্মই তৈরি করে।

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫

এটম২০০০ বলেছেন: (Those) WHO ARE CONTINUING THE MOVEMENT ARE NOT MERE CHILDREN, THEY ARE THE LIFE BLOOD OF BANGLADESH. They are the only One or One of two dearest children of the elite group, that includes Army, Police, Intelligence Service, Businessmen, Doctors, Engineers, Bureaucrats etc. of Bangladesh.
Damaging one son or daughter of such important personalities can bring fatal consequences.

SO, HASINA NEED TO BE CAREFUL BEFORE UNLEASHING HER WEAPONS.

৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

ক্স বলেছেন: শাহবাগের আন্দোলন সরকার বিরানী ও নিরাপত্তা দিয়ে উস্কে দিয়েছে, কারণ সেই আন্দোলন ছিল তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দুর্বল করার আন্দোলন। সরকারের সমস্ত মন্ত্রণালয় তাতে অকৃপণভাবে সাহায্য দিয়েছে।

কোটা আন্দোলন ছিল ১৮-২৪ বছর বয়েসী তরুণ যুবকদের আন্দোলন, যা সরকার মেরে ঠাণ্ডা করে দিয়েছে। আন্দোলনের প্রথমদিকে মেয়েরা রাস্তায় নেমে এসেছিল বলে পুলিশ বা ছাত্রলীগ খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি।

চলমান আন্দোলন হচ্ছে কচিকাচাদের নিয়ে, তাই সরকার বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেনা। কিন্তু এ অবস্থা চলতে থাকলে সরকার বেশিদিন সহ্য করবেনা।

মিশরে সিসি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরকার মেশিনগান দিয়ে ওপেন ফায়ার করেছিল, কে শিশু কে বৃদ্ধ কে নারী - সেদিকে ফিরেও চায়নি। সেরকম ভয়ংকর গণহত্যা করেও সরকার কিন্তু বীর বিক্রমে টিকে আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.