নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবুজ বানরের জগাখিচুরী ব্লগ ( হাইটেক বান্দর )

সবুজ বানর

আমি এক সবুজ বানর, খয়েরী কলা খাই.

সবুজ বানর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুযোগ-একটি অপরিপক্ক হরর গল্প

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:০৯

জীবনে কোনদিন গপ্পো লেখি নাই, ভুল ভ্রান্তি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেইখেন, বিরাম চিনহ জায়গা বুইঝা দিতে পারি নাই, অন্যকোন গপ্পের সাথে মিল থাকলে আমার কিছু করার নাই। আমার যতোদূর সন্দেহ হয়, অনীশ দাস অপু ভাই এরাম কোনো গপ্পো অনুবাদ করছিলো, আমি শিউর না। বিরক্তবোধ করলেও গাইল দিয়েন না...... :D


রিয়া পরম মমতায় রান্না করছে, কলিজা ভুনা। খুব পছন্দ করে শামীম । শামীম রিয়ার হাসবেন্ড, একজন উঠতি নাটক নির্মাতা, উঠতি বলাও ঠিক হবে না, জীবনে একটাই নাটক অনেক কাঠ খড় পুড়িয়ে সে বানিয়েছিলো, তাও কোনো চ্যানেল নেয় নি, পেট চালানোর জন্য একটা অ্যাড ফার্মে চাকরী নিয়েছে সে। শামীমের এক বান্ধবি সায়মা বলেছিলো নাটক টা কোনো একটা চালানোর ব্যাবস্থা করে দেবে, ওর হাসবেন্ডের নাকি টিভি চ্যানেলগুলোতে অনেক পরিচিত আছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত হলো না, সায়মার হাসবেন্ড লঞ্চডুবিতে মারা গেলো। এরপর শামীমের সাথে ফষ্টিনষ্টি করতে শুরু করল মেয়েটা, শামীমও সারা দিতে লাগলো। কলেজে পড়ার সময় নাকি শামীমের সাথে একটু অন্যরকমই সম্পর্ক ছিলো সায়মার। সায়মার বিয়ের পর সম্পর্ক্টা টেকে নি। পুরুষ মানুষ, চরিত্রহীন একটা, সায়মাকে দেখেই পুরনো প্রেম জেগে উঠলো... বেচারী রিয়াই বা আর কি করবে, নিজের স্বামী কে তো আর কিছু বলা যায় না, তাই সে বাধ্য হয়ে সায়মাকে মিথ্যে বলে বাসায় ডেকে এনে নিজের হাতে খুন করেছে, লাশটা লুকিয়ে রেখেছে ষ্টোর রুমে, উফ! দম ছুটে গেছে লাশটা ড্রইংরুম থেকে ষ্টোর রুমে নিতে। পেটের ভিতর থেকে কলিজা টা আলাদা করে রান্না চড়িয়ে, সব ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে, গোসল করে এসেছে, কিছুক্ষনের মধ্যেই শামীম আসবে, শামীম কে নিয়ে ডিনার করবে রিয়া। শামীম খাবি তার পেয়ারের সায়মার কলিজা। আর রিয়া তো শাকাহারি। হঠাৎ ষ্টোর রুমের দরজায় খুট কত একটা শব্দ হোলো। রিয়া চমকে উঠলেও ভয় পেলো না, শব্দ হতেই পারে হয়তো ইদুর টিদুর কিছু হবে। আবার শব্দটা হলো, এবার আর রিয়া বসে থাকতে পারলো, না, উঠে গেলো, কিসে শব্দ করছে দেখতে, রিয়া দরজা খুলে ফেলল। সায়মা দাঁড়িয়ে আছে, পুরো শরীর রক্তে একাকার, পেটের ক্ষতটা হাত দিয়ে চেপে ধরে আছে, আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে নাড়িভুড়ি উঁকি দিচ্ছে। খুব কষ্ট করে সায়মা বলল,
-রিয়া, সোফার একটা কুশন দেয়া যাবে? কলিজা টা নেই তো, জায়গাটা কেমন খালি খালি লাগছে......
আজকে অফিসে অনেক কাজ ছিলো, বাসায় ফিরতে ফিরতে দেরী হয়ে গেলো শামীমের। অনেক্ষন ধরে নক করার পরও কেউ খুলল না দরজা। পাপোষের নিচে সব সময় একটা চাবি থাকে সেটা দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো শামীম। রিয়া মেঝেতে পরে আছে চিৎ হয়ে, শামীম দৌড়ে রিয়ার কাছে গেলো, যা ভয় করছিলো তাই, রোগটা আবার ফিরে এসেছে। প্রতিবার বাচ্চা কন্সিভ করলেই রোগটা ফিরে আসে। ৪ বছর আগে প্রথম ধরা পরে অসুখটা, ওদের প্রথম বাচ্চাটা কন্সিভ করার ২ মাস পর থেকে। প্রতিবারই শামীম কারও সাথে পরকীয়া করে, আর রিয়া শামীমের সেই প্রেমিকাকে খুন করে, পুরোটাই রিয়ার কল্পনা। পুরো ব্যাপারটার শেষ হয় রিয়ার অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, তারপর শকের কারনে পেটের বাচ্চাটা মারা যাওয়ার পর। এ পর্যন্ত দুটো বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে, এবারেরটাও হবে শামীম নিশ্চিৎ। শামীম একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে অজ্ঞান রিয়ার গলাটা চেপে ধরলো, আর না, এই রকম পাগল নিয়ে আর ঘর করা সম্ভব না। রিয়া মারা গেলে সায়মাকে বিয়ে করতে পারে সে, মেয়েটাও একা, অনেক টাকাও আছে। বাকি জীবনটা সুখেই কাটবে। এভাবে আর লুকিয়ে দেখা করতে হবে না সায়মার সাথে, সুবর্ন সু্যোগ!!!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:১৭

সবুজ বানর বলেছেন: ভালো হয় নাই :( :( :((

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৪:৫২

খেলাঘর বলেছেন:


গল্প লেখার চেস্টা করুন।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালোই। চালিয়ে যান।

কলিজা বুকের ভিতরে থাকে, পেটের ভিতরে নয়।

অনেক শুভকামনা ।।

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

সবুজ বানর বলেছেন: ধন্যবাদ অপূর্ণ রায়হান ভাই। তবে একটা কথা আছে, কলিজা/যকৃত/লিভার যাই বলেন, জিনিসটা কিন্তু পেটেই থাকে, বুকের ভিতরে থাকে হৃৎপিন্ড, ফুসফুস এইসব, বিশ্বাস না হলে দেখে নেন ছবি দিয়ে দিলাম। আপনাকে আবার ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.