![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেদিন রাতে মাঠের মাঝখানে দাড়িয়ে পড়েছিলাম আমরা কজন। কোন এক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই গেয়েছিলাম জাতীয় সংগীত। কিন্তু হয়তো সবারই মনে হচ্ছিলো কেমন যেন ভালো লাগছে না,এই দাড়ানোর মাঝেও কোথায় যেন অসন্মান টের পাচ্ছিলাম আমি। আর অন্য সবাই হয়তো খানিকটা অস্বস্তি। আমরা আবার বসে পড়েছিলাম সবাই।
তারপর গুনগুন করতে করতে আবার শুরু। প্রচন্ড আবেগ নিয়ে তীব্রতায় অদ্ভুদ সুন্দর গেয়েছিলাম আমরা সেদিন, বসেই। আর গাইতে গাইতেই আমার মনে হলো এই এত সুন্দর প্রাণের গানটা আমরা কেন প্রাণহীন মুর্তির মতো দাড়িয়ে গাই? আবেগ, ভালোবাসা, সন্মান সে তো মনে, প্রাণে। তারজন্য যদি প্রাণহীন হতে হয়, তবে আবেগ ভালোবাসা যাবে কোথায়?
হ্যাঁ,এ কথাও ঠিক যে স্কুলের এসেম্বেলিতে সবাই একসাথে দাড়িয়ে গাইতে আমার অদ্ভুদ ভালো লাগতো, সবার সাথে একসাথেএকাত্ততা। বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার মাঠে খেলোয়ারদের সমবেত জাতীয় সংগীত দেখে মনে হয় শুধুঐ সময়টুকুর জন্য হলেও একদিন আমাদের বিশ্বকাপে যেতে হবে।
কিন্তু তবু তীব্র আবেগে যদি আমি গেয়ে উঠি কখনো কোথাও, অথবা আমার পাশের বন্ধুটি গেয়ে ওঠে আমার সাথে, আমাদের কি দাড়িয়ে পড়তে হবে?
তখন প্রাণ থাকবে কি সেখানে?
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৫২
অতিথি বলেছেন: ভালোবাসা তো একান্তই নিজস্ব ব্যাপার। কে কী ভাবে তা প্রকাশ করলো সেটা তো মুখ্য নয়। তবে আমরা হয়তো লোকদেখানো সম্মান আর ভালোবাসায় অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি...
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৫৮
যীশূ বলেছেন: এটা তো শুধু অভ্যস্ততা নয়। আমি যদ্দুর জানি জাতীয় সংগীতের সময় দাড়িয়ে পড়াটাই নিয়ম।
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:০৭
অতিথি বলেছেন: নিয়মটা কার করা।
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:১৫
অতিথি বলেছেন: জাতীয় সংগীতটা যদি হাসানের সুরে গাওয়া একটা গান হতো পারতো, তবে সেটায়ও আমাদের চোখ ভেজাতো, আমরা আবেগ আপ্লুত হইতাম।
একটা রাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত কখন রচনা করা হয়? রাষ্ট্রের অভ্যুত্থানের পরপরই তো, না? আমাদের বাঙলার জন্মের বহু আগে এই কবিতটা রচিত, এবং কবিতার সুরটাও নকল।
পুরো কবিতা পড়লে যেকেউই বিরক্ত হবে। আমাদের দেশের অনেক ভালো ভালো কবিতা ছিল। যা সহজেই জাতীয় সংগীত হিসাবে নির্বাচিত করা যেত, করা হয় নাই। কারণ, আমরা বাঙালী মাত্রই তেলীয়। আমরা ব্যক্তিবিশেষের কবিতা খুঁজলাম, হাতের নাগালেই ছিল নোবেলধারী দাঁড়িওয়ালা। বেশ, দেরী কেন? নজরুল যতই ক্ষেপা হোকনা, কিংবা যতই বাংলাদেশের প্রতি ভালোবাসা জীবনানন্দ তার কবিতায় ফুটাক না কেন, নোবেলের কাছে সব কিছুই কাঁচকলা!
আমরা আজ আবেগে চোখের পানি ফেলাই, হাহ!
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:১৭
অতিথি বলেছেন: আরেকটা কথা, কবিতায় কোথাও বাংলাদেশের কথা উল্লেখ নাই। উল্লেখ আছ সোনার বাঙলার কথা। যা তৎকালীন সময় হিসাবে পূর্ব ও পশ্চিম বাংলাকে যৌথভাবে বোঝায় । এত রক্ত ঝরার পরও যদি এমন পঁচন, তবে এত কিছুর দরকার ছিল কি?
৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:২৪
অতিথি বলেছেন: আমিও জাতীয় সংগীত মাঝে মাঝে গাই, আসলেই দারুন এবং দারুন । আর আমারা নেভীর ভিতর থাকি , এখানে সকালে একবার আর বিকাল একবার পতাকা উঠানো এবং নামানো হয় তখন জাতীয় সংগীত এর সুর বাজানো হয় , সেই সময় রাস্তা দিয়ে যেই যাক না কেন তাকে দারিয়ে সম্মান জানাতে হয় । এই সময়টা দারুন লাগে আর সেই সুর শুনলে গায়ের লোম খারা হয়ে যায় ।
৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:২৮
অতিথি বলেছেন: স্বপ্নময়, আমি জানিনা আপনি কিভাবে স্বপ্নময়। আপনার স্বপ্নগুলোও কি এমন সংকীর্ণ?
আপনার মন্তব্য পড়ে কিছু বলার ইচ্ছা হয়েছিলো। লিখতে গিয়ে দেখলাম আপনার উপর সেই ভক্তিটুকুও হচ্ছে না।
৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:৩৬
অতিথি বলেছেন: আপনার দয়া @ বেনামী। আমি অন্ধ নই, কিংবা অন্ধ সাজি না। চোখ বন্ধ করে মনের দুয়ার খুলে প্রভাতের সূযর্্য দেখুন।
১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:৪২
অতিথি বলেছেন: মাঝ রাত্তিরের রাখাল বালকের কথাগুলোই বলতে চাইছিলাম। কোথাকার কোন হিন্দুর পোলার লিখা গান জাতিয় সঙ্গীত হয় কেমনে? গোআর লিখা একখান হামদ-নাত হইলেই না হয় জাতিয় সঙ্গীত হিসেবে মেনে নেওয়া যেত। মানি না, মানুম না। ফাকেস্তান, জেন্দাবাদ। ভুদাই চুদা পাবলিক। ইসলামের নামে খালি চোদনবাজি কইরাই যাইবো।
১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:৪৯
সততা বলেছেন: পুরান রেফারেন্স
Click This Link
১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:৫১
অতিথি বলেছেন: জাতিয় সংগীত কবিতাটা খারাপ। সুরটা নকল। এসব মুল্যায়ন করার মত মেধা আমার নাই। তবে গানটা কেন সিলেক্ট করা হয়েছে! গানটা সিলেক্ট করার আগে থেকেই গানটা দেশাত্মবোধক ভক্তির চরমে ছিল, বাঙালী মাত্রই এ গানটা শুনলে আবেগে আপ্লুত হতো। আমার বাংলার শিক্ষক এ কথাগুলো বলেছিলেন যখন তখন তার বয়স ছিল 97 বছর।
আমারও তেমন হয়। এ গানটা শুনলে আমি এর সুরে এর কথায় দেশের জন্য যে ভালোবাসা বোধ করি, অন্য কোন গান শুনলেতো এটা হয় না। আমার সেই শিক্ষক স্বাধীনতার আগে এ গানটা গেয়ে যেমন বোধ করতেন, আমারও তেমন হয়। জাতিয় সংগীত না হলেও সেটা আমার হতো!
১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:৫২
সততা বলেছেন: শেষে মুখফোড় আর অপ বাকের কমেন্ট 2 টা সেরকম হয়েছে।
১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:০০
অতিথি বলেছেন: হায়রে.. পাবলিক এত এত গ্যানজাইমমা!
১৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:১০
অতিথি বলেছেন: কৌশিক, লিরিকটা খারাপ? কেন মনে হলো আপনার এ কথা? জীবন থেকে নেয়া সিনেমায় আমার সোনার বাংলা গানটি পুরোটা পাওয়া যায়। দেখেছেন নিশ্চয়ই। একবারও কি মনে হয় লিরিকটা খারাপ?
১৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:৩০
অতিথি বলেছেন: বাকী, বলছিলাম স্বপ্নময়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে। আমার কাছে তো লিরিকটাকে শ্রেষ্ঠ মনে হয়।
১৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:৩৩
যীশূ বলেছেন: বিল্লু, তুমি বোধহয় একটু ভুল বুঝেছো। কৌশিক বোধহয় বিনয় করে বলতে চেয়েছেন কবিতাটা ভালো না খারাপ তা মূল্যায়ন করার মতো মেধা ওনার নেই। উনি লাইনে দাড়ির বদলে কমা দিলে বুঝতে সহজ হতো।
১৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:৩৬
অতিথি বলেছেন: "পাক সার জমিন সাদ পাদ" এইটা ছাড়া আর কোনটা জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে মানুম না।
১৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:৩৬
অতিথি বলেছেন: "পাক সার জমিন সাদ পাদ" এইটা ছাড়া আর কোনটা জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে মানুম না। FUCKISTAN ZINDABAD.
২০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:৪২
অতিথি বলেছেন: আমার সোনার বাংলা ধ্বনিতে প্রতিটি কোষ জেগে উঠে....
২১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৭:৪৬
অতিথি বলেছেন: স্বপ্নময় আপনার কথার সাথে আমিও একমত । আর চোর তুমি কিন্তুু বড্ড বেশী ভারতের দালালীতে অভ্যস্ত হয়ে গেছ ।
২২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৮:০৯
অতিথি বলেছেন: হ্যাঁ ভাই চোর ভারতের দালালি না করে পাকিস্তানের দালালি করলে অসুবিধা কি? তাহলে তো জামাতের দালাল প্রশিক্ষণ খুশি হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৪১
নাজিরুল হক বলেছেন: আমার কাছে জাতীয় সংগীত শুনলে গা শিহরিয়ে উঠে। দেশের কথা মনে পড়ে প্রচন্ড ভাবে।