নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়েল তাজিম

জুয়েল তাজিম

অলস হবেন, তো হতাশা পাবেন। শুরু করুন,শেষ হবেই। সামনে এগোতে থাকুন, পথ কমবেই।

জুয়েল তাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

♦আবার আন্দোলন♦

১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামীলীগের অনেক বড় নেতা বলেছিলেন এই নির্বাচন শুধু নিয়ম রক্ষার নির্বাচন ! ৫ জানুয়ারির নির্বাচচের পরে খুব শিগ্রই একটা গ্রহনযোগ্য নির্বাচন কিভাবে করাযায় সেভাবে ব্যবস্তা নেওয়া হবে ! যাই হউক সে ছিল কথার কথা !এই কথার জবাবে বি এন পি'র ও কম কথা ছিল না !! তারা আন্দোলন করে এই সরকারকে টেনে হিসড়ে নামিয়ে ফেলবে ! কিন্তু এখন পর্যন্ত বি এনপি'র কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে ৫ নির্বাচনের পর আওয়ামিলীগ সরকার খুব খোশ মেজাজে আছে এবং তাঁদের আগের বলা কথা সবই ভুলে গেছে ! পরীক্ষা , উপজেলা নির্বাচন সব মিলিয়ে হরতাল বা সহিংসতামুক্ত বাংলাদেশ বেশ ভালই যাচ্ছিল !

কিন্তু গতকালকের তৃতীয় পর্যায়ের উপজেলা নির্বাচনে বি এন পি'র সমর্থিত প্রার্থীরা কম সংখ্যক বিজয়ী হওয়াতে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্নই তুলেছেন বি এন পি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া !! নির্বাচন কি হয়েছে গতকাল মিড়িয়ার কল্যানে দেশবাসী সারাদিন তা দেখেছে ! মিড়িয়ার মধ্যে বেশির ভাগ টিভি চ্যানেল সরকারের প্রচার মাধ্যম হিসেবে কাজ করলেও নির্বাচনী সহিংসতা , কেন্দ্র দখল , জালভোট এইসব কিছু এড়িয়ে যেতে পারেনি !! বিশেষ করে ফেনী'তে উপস্তিত ভোটারের সংখ্যা আর বিজয়ী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের হিসেবের গড়মিলের কারণে বেশ ভালোভাবেই বুঝা যাচ্ছে কি পরিমান ভোট ডাকাতি বা জালভোট হয়েছে সেখানে ! যাই হউক সবকিছুর পরে ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন যা বললেন তা বাংলাদেশের ইতিহাসে একটা নতুন কৌতুক হিসেবেই গন্য হবে ! তিনি বলেছেন "নির্বাচনী সহিংসতায় খুন হওয়া হচ্ছে আল্লাহর মেহেরবাণী " আসলে লিখিত নোট ছাড়া মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দেওয়ার যোগ্যতা নিয়ে যতেষ্ট সন্দেহ রয়েছে !! তার পরেও নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র হিসেবে এইচ টি এমাম সাহেব বেশ ভালোভাবেই কভার দিয়েছেন !ওনার দাবি নির্বাচন সুষ্ট এবং অবাধ হয়েছে এবং শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে যে সুষ্ট নির্বাচন হয় তা আবার প্রমান করলেন তারা!

সবকিছুর মিলিয়ে বি এন পি প্রধান বেগম খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করলেন এবং বরাবরের মত এবারও আন্দোলন করবেন ঘোষণা দিলেন , তবে খালেদা জিয়া কিন্তু এবার রোজার পরে, ঈদের পরে, উপজেলা নির্বাচনের পরে আন্দোলন করেবে বলেননি! বলেছেন, সময় এলে তিনি মাঠে নামবেনই! কেউ তাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবেনা! তিনি বলেছেন নির্বাচন যদি সুষ্ট হত তবে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ভরাডুবি হইতো! ওনার কথা শুনে মনে হলো ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওনারা যে অংশ গ্রহণ না করে ভুল করেছে তা বুঝতে পেরেছেন !! বেগম জিয়া বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে কারচুপি করার সুযোগ নেই বলে সেখানে বি এন পি জিতে, আর উপজেলা নির্বাচনে কারচুপি করে, কেন্দ্র দখল করে , ভোট ডাকাতি করে জয়ী হচ্ছে! সুপ্রিম কোর্টের উদাহরণ আমার কাছে বেশ জুৎসই মনে হলো না ! সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনকে বি এন পি কেন যেন বিশেষ অর্জন মনে করছে !

সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা বিপুল হেরেছেন! অনেক মিডিয়া বিষয়টিকে এমনভাবে তুলে ধরছে যেন, বিষয়টি খুবই নতুন! আদতে বাংলাদেশের সত্য হচ্ছে যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকেন তার সমর্থক পেশাজীবী সংগঠনগুলো নির্বাচনে পরাজিত হয়! যেমন বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে ব্যারিষ্টার আমির উল ইসলাম বা তার অনুসারী আইনজীবী নেতারা বরাবর বারের নির্বাচনে জিততেন! এসব পেশাজীবীদের বেশিরভাগ মূলত ব্যক্তিগত লাভক্ষতির হিসাব-নিকাশের ভিত্তিতে ভোট দেন! একটি সরকার ক্ষমতায় থাকলে যেহেতু সবাইকে সব সুযোগ অথবা পদ দিয়ে দিতে পারেনা, তাই বঞ্চিতরা তার বিপক্ষে অবস্থান নেন! আর আওয়ামী লীগের আরেক বিমার আছে! এখানে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে লোকজন বেশি থাকাতে কে থাকলো কে না থাকলো, এর নেতৃত্ব তা পরোয়া করেনা। গণভবন ঠিক থাকলেই মনে করে সব ঠিক আছে! সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে এই সরকার বেশি ভালই টিকে যাচ্ছে ! বেগম খালেদা জিয়ার ওয়ান্দলন যেহেতু যখন প্রয়োজন তখন শুরু করবেন বলে নতুন ঘুসনা দিয়েছেন ! সেই হিসেবে প্রয়োজন টা যত দেরিতে হয় ততই মঙ্গল , দেশবাসী অন্ততপক্ষে হরতালের হিংস্রতা থেকে কিছুকাল মুক্ত থাকবে , পেট্রল বোমা থেকে সাধারণ যাত্রী নিরাপদে থাকবে ! যদিও এখনো সাধারণ মানুষ নিরাপদে নেই , প্রতিদিনই ক্রস ফায়ার , কথিত বন্ধু যুদ্ধে কেউ না কেই হারিয়ে যাচ্ছে সুন্দর এই পৃথিবী থেকে !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.