নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমাদের স্বাধীনতা

মুজাহিদ হোসাইন সজিব

আমার প্রথম পরিচয় আমি মুসলিম, দ্বিতীয় পরিচয় আমি বাংলাদেশী, বাংলা আমার মায়ের ভাষা, লক্ষ প্রাণের বিনিময় আমাদের অর্জিত স্বাধীনতা অর্জন করা তাই আমার প্রাণের বিনিময় হলেও বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে সচেষ্ঠ থাকার তওফিক কমনা করছি মহান সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে। “আমীন”

মুজাহিদ হোসাইন সজিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাবিজ! তাবিজ!! তাবিজ!!!

০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩১

অনেকদিন আগে "তাবিজ ব্যবহার একটি শিরক" বলে পোষ্ট করেছিলাম। যেহেতু আমাদের দেশে তাবিজ ব্যবহারকারী অনেক তাই এর পক্ষে অনেকে বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়েছেন। আমি তাদের বলেছিলাম, তাবিজ ব্যবহার করা হালাল এমন কোন কোরআনের আয়াত বা সহিহ হাদিস দেখাতে। কিন্তু কেউ দেখাতে পারেনি।

তাবিজ ব্যবহার যে একটি শিরক তার কিছু হাদিস আজ সবাইকে দেখাচ্ছিঃ

হাদিস ১: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,“যে ব্যক্তি মাদুলি বা তাবিজ ঝুলাল, সে শিরক করল” (মুসনাদে আহমাদ)।

হাদিস ২: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন “কোনো উটের গলায় যদি মালা বা বালা জাতীয় কিছু থাকে, তাহলে তা কেটে ফেলতে হবে”(বুখারী)।

হাদিস ৩: রাসুল (সঃ) বলেন,“যে ব্যক্তি তার দাড়িতে গিঁঠ দিল (পেঁচিয়ে রাখল) অথবা সূতার মালা পরিধান করল অথবা পশুর মল বা হাড্ডি দিয়ে ইস্তেনজা করল, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জিম্মাদারী থেকে মুক্ত” (আহমাদ)।

হাদিস ৪: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন,“ঝাড়-ফুঁক এবং মাদুলি ও তেওয়ালা ব্যবহার করা শিরক” (আবু দাউদ)।

অন্য হাদীসে তিনি আরো বলেন,“যে ব্যক্তি মাদুলি ব্যবহার করবে, আল্লাহ তা'আলা তার উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেন না” (ইবনে হিব্বান)।

হাদীসে ‘তেওয়ালা’ বলতে এমন বস্তুকে বুঝানো হয়েছে, যা স্বামীকে স্ত্রীর নিকটে অধিকতর প্রিয় করে বলে ধারণা করা হয়। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট।

আর ‘তামীমাহ’ বা ‘তামায়েম’ বলতে এমন জিনিসকে বুঝানো হয়েছে, যা সাধারণতঃ বাচ্চাদের গলায় হিংসা, বদ নজর ইত্যাদি প্রতিরোধের জন্য ঝুলানো হয়। এটি নিছক শিরক।

কেননা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে না।

আমরা সবাই জানি আল্লাহ রব্বুল আলামিন শিরক এর গুনাহ মাফ করবেন না। তাবিজ ব্যবহার শিরক এটা আমার মন গড়া কথা নয়। আমি আপনাদের সহিহ হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে বুঝিয়েছি। আপনি এতদিন তাবিজ সম্পর্কে না জেনে ব্যবহার করে থাকলে আজ থেকে তওবা করে নিজেক সংশোদন করুন।



আর তারপরও যদি আপনি রাসুল (সঃ) এর সহিহ হাদিস না মেনে আপনার নিজের যুক্তি দিয়ে আপনার হুজুর বা পীরের দেওয়া তাবিজ ব্যবহার করতে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আপসোস করা ছাড়া আর কিছু বলার নেই।



ষ্ট্যাটাসটি শেয়ার/কপি করে অন্যদের জানার সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ করছি।



লেখাটি সংগৃহীত:

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৫

জলপরী১৮ বলেছেন: তাবিজ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানালে খুব উপকৃত হবো সবাইকে বোঝাতে সুবিধা হবে।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

মুজাহিদ হোসাইন সজিব বলেছেন: পরবর্তী লেখায় চেষ্টা করবো।

২| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭

মোমের মানুষ-২ বলেছেন: আলেম-উলামাদের থেকে যতুটুকু শুনেছি, তাবীজের মধ্যে যদি শিরক জাতীয় কিছু না থাকে যেমন শিরকের বা কোন ধরনের কুফরী কালাম না থাকে তাহলে সে তাবীজ বৈধ.......

০৪ ঠা মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

মুজাহিদ হোসাইন সজিব বলেছেন: পরবর্তী লেখায় চেষ্টা করবো।

০৪ ঠা মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৪

মুজাহিদ হোসাইন সজিব বলেছেন: আপনি কি সহি হাদিস মানেন নাকি তথাকথিত তাবিজ ব্যাবসায়ীদের মানেন?

৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: মোমের মানুষ-২ বলেছেন: আলেম-উলামাদের থেকে যতুটুকু শুনেছি, তাবীজের মধ্যে যদি শিরক জাতীয় কিছু না থাকে যেমন শিরকের বা কোন ধরনের কুফরী কালাম না থাকে তাহলে সে তাবীজ বৈধ......

জানতে চাই এটা কি ঠিক?

০৪ ঠা মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

মুজাহিদ হোসাইন সজিব বলেছেন: আমি সহি হাদিস সহ উল্লেখ করলাম, আর কি জানতে চান?

৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৭

মোমের মানুষ-২ বলেছেন: বাহ বাহ এখন দেখি ব্লগেও ফতুয়া দেওয়া হইতাছে..........তাবীজে যদি কোন ধরনের শিরকী বা কুফরী কালাম না থাকে তাহলে তা বৈধ হওয়ার ব্যাপারে কারো কোন দ্বিতম নেই, দ্বীমত কেবল আছে আপনার মত হাদীস বিশারদদের নিকট যারা নিজদের খেয়াল-খুশি মত এক হাদীস মানেন আরকে হাদীস মানেন না.......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.