নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা পড়িয়া রয় অবহেলায়, তাহা সমগ্রই আমার কী-প্যাডের, দূর্দান্ত গতি ছড়ায়। যদি কোন অন্ধ/বদ্ধ মনের দ্বার একবার খোলা যায়?\n

আসিফুজ্জামান জিকো

অাইন বিভাগ..

আসিফুজ্জামান জিকো › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ রেখে অপ্রসাঙ্গিকতা গুলো যখন অাসল দায়টাকে বিলুপ্ত করে দিচ্ছে...

৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:২৪

ধর্ষনের জন্যে পোশাক না মানসিকতা দায়ী নামক বিষয়টি অনেকদিন ধরে সবার অালোচ্য বিষয়। খারাপ কিছু বন্ধের জন্য পক্ষ্য-বিপক্ষের তর্ক পজিটিভ এবং ফলপ্রসু একটা জিনিস। যার শেষে পাঠক সিন্তান্তে পৌছুতে না পারলে ও বোঝেন অার যাই হোক ধর্ষণ এক ঘৃনিত অপরাধ।

অতীতেও অামাদের দেশে ধর্ষণ, এ্যাসিড নিক্ষেপণ হতো, তবে তা গত কয়েক বছরের মত টানা ধর্ষণের পরে হয়ে অাসা ছিন্নভিন্ন দেহে মেয়েদের নৃশংস হত্যা করা লাশ গুলির ছবির মত হৃদয় বিদারক লাগেনি।

ধর্ষণ অাগে ও ছিলো, অাছে সামনে ও থাকবে।
পোশাকের শালীনতা অশালীনতা ও ছিলো অাছে থাকবে। কিন্তু বর্তমানে ধর্ষণের মাত্রা যেমনি তীব্র তেমনি সেগুলোর এন্ডিং হচ্ছে অসহ্যকর নৃসংসতায়।

অাসলে বিষয়টা কি, কেনো এমন হচ্ছে?

- মাঝে মাঝে ছুটি ছাটায় যারা মফস্বল/ গ্রামের বাড়িতে গিয়ে এলাকার যুব সম্প্রদায়ের সাথে চলাফেরা করেন, তারা মনে মনে কেমন একটু চমকে যাননা এই দেখে যে, গোটা এলাকার টীনেজার ছেলে পেলে থেকে মধ্যবয়সী সমস্তেরাই ইয়াবা - তে অাসক্ত। কি অাজব রে বাবা, শহরে ও এত্ত ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের নেশায় বুদ হতে দেখিনা।

অবাক তো লাগেই, সাথে এ ও ভাবেন, অামি থাকি ঢাকা বা অন্য কোন বিভাগীয় শহরে অনেকদিন তবু ইয়াবা বা অন্যান্য নেশা দ্রব্যেরা এতটা সহজলভ্য নয় সেখানে যতোটা সহজলভ্য এবং সুলভে তা জেলা শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামে পাওয়া যাচ্ছে!

মেথাফেটাইমিন - ইয়াবার উপাদান।
ড্রাগসটি হিটলার ১৯৪২ এর যুদ্ধে সৈনিকদের স্নায়ু অার শরীর চাঙ্গা রাখতে ব্যাবহার করেছিলো।
সেই ড্রাগস ফিলিপিনো, রাশিয়া, অামেরিকা, পোলাণ্ড, ব্রিটেনে ঢুকলো মিত্র বাহিনীর সৈন্য যারা ১৯৪৪ এ জার্মানী দখল করে টানা কয়েকবছর সেখানে ছিলো তাদের মাধ্যমে।

এই মেথাইফেটামিনের উল্লেকযোগ্য দিক হচ্ছে স্নায়ুর অতি সচেতনতা।যেটা গ্রহণের পরে স্নায়ু যেদিকে খেয়াল করবে শুধু সেদিকেই খেয়াল থাকবে তীব্র। ফলে খুব অসাধ্য হলে ও তা মানুষ করে ফেলতে পারে।

অনেকে ভাবেন এবং বলেন ইয়াবা যৌন উত্তেজক, ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভূয়া, এতে একটু ও যৌন উত্তেজক কোন মেডিসিন থাকেনা। ব্যাপার হচ্ছে তা সেবনের পরে স্নায়ু যেটি চায় অসাধ্য হলে ও তা হয়ে যায়।
এটাই চমক।

বড় উদাহরণ হচ্ছে, জার্মান সোলজার এটি সেবনের পরে দিনরাত যুদ্ধে মনোযোগ দিতো ঘুম, ক্লান্তি, ক্ষুধা ভুলে। অন্যদিকে পরাজিত জার্মানীতে অবস্থানরত মিত্র বাহিনীর যথাক্রমে- অামেরিকা, পোলাণ্ড, রাশিয়া, ফিলিপিন এবং ব্রিটেনের সোলজারেরা এই মেথাইফেটামিন পেলো পরাজিত জার্মান সোলজারদের থেকে, এবং তা গ্রহন শুরু করলো ডিউটি তে রিলিফ পাবার অাশায়।
তখনকার সময়ে কোন দেশ যুদ্ধে পরাজিত হলে অনেকদিন অাগে ঘরবাড়ি ফেলে অাসা জয়ী সৈনিকদের চিন্তায় থাকতো পরাজিত দেশকে লুট করা, প্রচুর খানা খাদ্য মদ্য পান এবং সে দেশের নারী ভোগ করে কয়েকদিন সেলিব্রেট করে অাবার দেশে ফিরে যাওয়া। হঠাৎ পরাজিত জার্মান বাহিনীর কাছ থেকে ওরা পেলো মেথাফেটাইমিনের মত স্নায়ু উত্তেজক ড্রাগস। ফলাফলে ওদের স্নায়ুতে থাকা নারী ভোগের ব্যাপারটি এবার তীব্র ধর্ষণে বদলে গেলো।
যার ফলে ৪ মিলিয়ন জার্মান নারী ধর্ষিত হয় অন্তত এক বছর ধরে চলে এই টানা লৌহমর্ষক ধর্ষণ।
যা অতীত এবং বর্তমানের ইতিহাসে প্রভুত দেশের সৈনিকদের মাঝে অার কখনোই দেখা যায়নি।

এই মেথাফেটাইমিন তিন চার বছর হচ্ছে শহর থেকে অামাদের সবুজ গ্রাম বাংলায় অতি সহজে চাইলেই হাতে পাচ্ছে ক্লাস নাইন টেন থেকে এলাকার মধ্যবয়সীরা। শহরে তো এর চলন হরহামেশাই।
তবু ও অামার এলাকায় এর যে সহজ প্রাপ্তি তা বলে দেশের প্রায় প্রত্যেকটি গ্রাম পাড়া মহল্লায় সাম্যাবস্থা।
শহরে এই ড্রাগসটি পেতে বেগ পাইতে হয়,
বর্তমানের গ্রামে পাইতে বেগের কোন বালাই নাই!

এবারে অাসি দেশে ধর্ষণের পরে হত্যার যে নৃশংসতায়, খেয়াল করলে দেখবেন শহরে নয় ঘটনা গুলোর নব্বই শতাংশই হচ্ছে একটু চুপচাপ নিরিবিলি গ্রাম অঞ্চলের দিকে। কুমিল্লার তনু, মৌলভীবাজারের রেলের নীচে কাটা পড়া মেয়েটা, কয়েকদিন অাগের ইউপি সদস্যের ছেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েটারে রেইপ করে ডোবায় পুতে রাখা, ময়মনসিংহ হাইওয়েতে চলন্ত বাসে ধর্ষণ শেষে ইট দিয়ে মেরে মাথা থেতলে দেওয়া গুলো থেকে বাদ যাওয়া প্রতিটি ধর্ষিত হত্যা গুলো সবই মফস্বল অথবা গ্রামে।

গ্রামের দিকে রেইপের পরে হত্যার সংখ্যা কেনো বেশি বলে মনে হয় ?

কারন হচ্ছে শহরে স্নায়ু উত্তেজিত ঈয়াবা সেবনকারী গুলো চাইলেও এই পরিবার পরিকল্পনাহীন অসংখ্য বাঙ্গালীতে গিজগিজ করা শহরে শিকার হিসেবে কোন নারী বা মেয়েকে সুবিধামত জায়গা, নির্জনতায় পাবার উপায় নাই বললেই চলে। অন্তত ঢাকায় তো এটা ভাবা ও দুরুহ ব্যাপার।

তাছাড়া শহরে বিভিন্ন জায়গা থেকে জড় হওয়া নর-নারী গুলো কোন না কোন ভাবে এদের শারীরিক ব্যাপার গুলো মিটিয়ে ফেলেন, অাশপাশ দেখে অামার তাই মনে হয়। যাতে সেক্সের জন্যে যে চাপ মানব দেহ মনে সৃষ্টি হয় তা অনেকাংশে কমে ও অাসে।

পক্ষান্তরে, গ্রাম রক্ষণশীল, মানুষের অাভাস সন্ধ্যা রাত্রির পরে এখনো উধাও হয়ে যাওয়া গ্রামের সংখ্যাই বেশি। সেইসব গ্রামের দু একটি কুকুরের মত স্নায়ু উত্তেজিত অমানুষেরাই গ্রাম রাত্রির হর্তা কর্তা হয়ে ওঠে.. ওদের যে অবাধ্য রুপ হয় রাতে তা কারো জানা না থাকলে এসবের ভয়াভহতা উপলব্ধি করা ও যাবেনা।

সেখানে বি সি এস দিতে যাবে বলে যে মেয়েটি দশটার ট্রেন ধরতে রেল লাইন ধরে স্টেশনের দিকে হাটছে, তার পিছু নিয়েছে কয়েকজন স্নায়ু উত্তেজনার রুগী, অারেকটু নির্জনতায় গেলেই ঝাপিয়ে পড়বে ঝোপের অাড়ালে, তারপর অনেক রাত অব্দি পালাক্রমে ধর্ষণ করতে করতে অজ্ঞান মেয়েটা। এই সমস্ত ধর্ষণের ক্ষেত্রে মেয়েটিকে মেরে তখন ই ফেলা হয় যখন ধর্ষকদের কেউকে/সবাইকেই মেয়েটি চিনতে পারে।
অচেনা কোন মেয়েকে ধর্ষণ শেষে ফেলে গেলেই বা কি হবে, সে তো সনাক্ত করতে পারবেনা। কিন্তু গ্রাম ছোট্ট, কয়েক গ্রামের পরের মানুষ ও একে অন্যের চেনাজানা।

লৌহমর্ষক গল্পেরা ঠিক এমনই হয়, কিছু অমানুষের বাচ্চা শহরে গ্রামে চলতে ফিরতে অামরা চিনে নিই রাস্তায় তাদের কর্মকাণ্ডে। সমস্যা হচ্ছে তখন যদি অামরা ওদের বাধা দেই তাহলে হয়তো ওদের সাহস এতোটা বেপরোয়া হতে পারতোনা, অামাদের ও শুনতে হতোনা কোন এক সকালে রাত দুপুরে গুলিস্তানে বা কমলাপুর নামা কোন ইউরিভার্সিটি ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে ফেলে গিয়েছে কোন এক রাস্তার মোড়ে।

সেসব যাক, কথা হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার ইয়াবাকে নিষিদ্ধ করেছে, ড্রাগসের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারী করছে মন্ত্রণালয়ে বসে, ধড়-পাকড় কতো কি করার অর্ডার দিচ্ছেন পুলিশকে! নগদ এ্যাকশনে অাসে পুলিশ, অামরা সবাই দেখি বিহারী ক্যাম্পকে ঘিরে রাখে টোটাল ফোর্স, কিন্তু হায়, কেউ ধরা পড়েনা, মাদক উদ্ধার হয়না। তারপরের দিন ও যা তাই, বাবার সাথে ছেলে ঢুকে হাটছে হয়তো, ওরা প্রকাশ্যে ফেরি করার মতো এসে বলবে, মামা কয়টা লাগবে?

মন্ত্রীরা প্রশাসনের কাছে দায়িত্ব দিয়ে নিস্তার লাভ করেন, খেয়াল করেন না যে ওদের যেদিন অর্ডার দেয়া হয় অভিযানের, সেদিন রাতেই ওরা মালামাল হয়ে যান। টাকা সেদিন তিনভাবে অাসে, প্রথমত, ইনফর্মেশন দেবার জন্যে, পালা অামরা অাসছি!
দ্বিতীয়ত, সেই সব ঝটিকা এ্যাকশনে হুড়পাড় করে মাদক বিক্রেতার দোষে নিরপরাধী ব্যাবসায়ী বা অসক্ত কোন ছেলে কে ধরে কিছুক্ষণ গাড়ীতে বসিয়ে সুবিধামত এ্যামাউন্ট নিয়ে তারপর ছেড়ে দেওয়াতে অাসে মোটা টাকা।
এবং শেষে অাসে প্রতিদিনের স্পটের বখরা।

অামরা দেখে ও দেখিনা।
অামরা জেনে ও জানিনা।

অন্যতিকে গ্রামাঞ্চলের মাদকের ব্যবসা চলে স্থানীয় প্রভাবশালী, দলীয়, কোন ব্যাক্তির ডান/বাম হাত দ্বারা। নেতারা ও অদৃশ্য ড্রাগ ডীলার! এবং প্রশাসণ টাকা পায় মাসোহারা হিসেবে।

এখন ভাবেন, বর্তমানের এই ধর্ষণ শেষের নৃশংস হত্যাকান্ডেরর অাসলে দায় কার কতোটা ?..

অাসলে যে জাতি সামান্য লাভের জন্যে প্রকাশ্যে মাদকের স্পট এ্যালাউ করে, যুব সমাজ মরে যাচ্ছে জেনে ও স্পট বন্ধ হয়না। বন্ধ হয় তারুণ্যের অজস্র জীবন। পরিবার লজ্জায়, ভয়ে, ক্ষোভে সেসবকে হাইলাইটস করতে দেননা। করলে যে অনেক জীবনের অালো জ্বলেই থাকতো তা বোঝেনা।
সেই জাতিকে এসব বলে কোন ফল হবেনা বলেই ধারনা।

যে বাবা মা তার ছেলে মেয়ের জন্যে প্রশ্ন কিনতে পারে,
যে দেশের ছাত্রেরা সিণ্ডিকেট করে প্রশ্ন বিক্রি করতে পারে,
যে দেশের নেতাদের ক্ষমতার ঊদ্দেশ্য শুধুই দেশটারে চুষে নিজে ফুলে ফেপে ওঠা- তাদের কাছে প্রতিদিন কোথাকার কার না কার মেয়েটারে কে বা কারা ধর্ষণেরর পরে হাত পা কেটে মেরে ফেলে রেখে যাচ্ছে তাতে কি যাবে অাসবে! ওদের স্নায়ু উত্তেজিত,
ওরা শুধু সেবনের পর নিজের ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দিবে...

Is there no one else who realise that its the real fact?
Is there no one else who is capeable to send my voice to the supreme Leader of Bangladesh?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৫৫

লতিফপুর বহরদার বাড়ী বলেছেন: superb bro selut ...i am also a yaba addicated person but nobody guess about this reson ...i'm take this drugs how can change our prvrty ,needy etc i thought about this matter and i also found my goal but every one tell me i'm a mentally sick i need a syicretes etc..i dont take seriously there speech bcz i knw i dont abuse this money time etc.already some few country knock everyday to give thre problem and solution .if dont belife my speech i will show you there mail and you can contact them ..you r a jenous to explin what our fault and whos r main victm

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

ক্স বলেছেন: ধর্ষণের পর হত্যা - এরকম ঘটনা বিশ বছর আগেও কেউ খুব একটা শোনেনি। কিন্তু এখন ধর্ষণ করলে হত্যা করাটা জরুরী হয়ে যায়, কারণ ধর্ষণের পর বাঁচিয়ে রাখলে কালপ্রিটের ধরা পড়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। ধর্ষণের শিকার মেয়েরা ছেড়ে দেয়না সহজে, ধর্ষিতার হাতে ধর্ষকের খুন হবার ঘটনাও নেহাত কম নয়। ক্ষণিকের প্রয়োজন মেটানোর জন্য কে লাইফ রিস্ক নিতে চাইবে? তাছাড়া ধর্ষণের ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে সেটা হবে আরেক ঝামেলা। তাই মেরে ফেলাই শ্রেয় মনে করা হয়। একটা কিশোরী মেয়েকে খুন করতে বেশি কিছু লাগেনা - একটা ডান্ডা, একটা ছুরি অথবা শক্ত দুই হাত। খুন করলে ধর্ষক অনেকটাই নিরাপদ বোধ করে।

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব ভাল পোস্ট। তথ্যে ভরা।ইয়াবার ভয়ঙ্করতা পড়ে শিউরে উঠলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.