নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি আর আমার একফালি আকাশ

যখন একা বসে ভাবি তখন সেই ভাবনাগুলোই গান হয়ে যায়। তারপর গীটারটা হাতে নেই সেই ভাবনাকে সুরের মূর্ছনায় ছড়িয়ে দিতে। এভাবেই চলছে গান, ভাবনা আর বেচে থাকা।

জন রাসেল

প্রিয়জন চলে গেলে মানুষই ব্যথিত হয়, আকাশ নির্বিকার, আকাশ কখনও নয়। তোমরা মানুষ, তাই সহজেই দুঃখ পাও, হে ঈশ্বর, আমাকে আকাশ করে দাও।

জন রাসেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানচিত্র থেকে বাংলাদেশ হারিয়ে যাওয়াটা ওদের কাছে সাধারণ হয়তো কারণ নিয়মগুলো ওদেরই তৈরী

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

বাগদাদে বোমা হামলায় নিহত ৩২ জন। এটি ছোট্ট একটি ঘটনা। আফগানিস্তানে এবং পাকিস্তানে প্রতিদিন বোমা হামলায় মারা যাচ্ছে ২০-২৫ জন। এটি আরো সামান্য ঘটনা। ফিলিস্তিনে প্রতিদিন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে কয়েজ ডজন তাজা প্রাণ। এটি কোন ঘটনাই নয়।







এসব অতি তুচ্ছ আর সামান্য ঘটনার ফাকে ফাকে দুই একটি বিরাট বড় ঘটনাও ঘটে। বোষ্টনে বোমা হামলায় ৩ জন নিহত। এটি বিশাল বড় একটি ঘটনা। এটি এত বড় ঘটনা যে, সারা বিশ্বের প্রতিটি মিডিয়ার হেডলাইন জুড়ে এটি থাকে। প্রতিদিন মানবাধীকার সংস্থাগুলো শত শত মানুষের মৃত্যু অবলীলায় হজম করে বোষ্টনের ৩ জনের জন্য তারা শংকিত হয়ে ওঠে। তারা প্রশ্ন তোলে, “পৃথিবীর নিরাপত্তা কোনদিকে যাচ্ছে? মানুষের জীবন কি তবে এতই সস্তা?” সারাবিশ্ব এই ঘটনায় ছি ছি করতে করতে ছি ছি এর স্টক শেষ করে ফেলে।







পৃথিবীর নিয়মগুলো কি অদ্ভুত। কোথায় বোমা হামলা হলে মানুষ শোক প্রকাশ করবে সেটিও পুর্বনির্ধারিত।



পৃথিবীর সব সহানুভূতি শুধু আমেরিকা, রাশিয়া, চীন, জাপান, ইংল্যান্ডের জন্যই তোলা থাকে। এদের দেশে একটি পটকা ফুটলে সেটিও বিরাট ঘটনা সুতরাং গনহারে সহানূভুতি আর চোখ মুখ খিচে শোক প্রকাশ বাধ্যতামূলক।



আমেরিকার মত দেশ অবশ্য আজীবন সারাবিশ্বের কাছে সহানুভূতিই পাবে। ভালোবাসা কোনোদিন পাবেনা। ভালোবাসা এখনো সস্তা হয়নি। সহানুভূতি এয়ারটেলের ফ্রি মিনিটের মত যত্রতত্র পাওয়া যাচ্ছে।



বাংলাদেশ নামক তৃতীয় বিশ্বের একটি দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ যদি মানচিত্র থেকে কোনদিন বিলিনও হয়ে যায় তবে সেটিও মনে হয় এদের কাছে খুব সামান্য ঘটনাই হবে।



(এটি আমার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস। ব্লগে লেখালেখি অনেক আগেই বন্ধ করে দিয়েছি। এই ব্লগেরই এক বন্ধু ফেসবুকে স্ট্যাটাসটি পড়ে আমাকে অনুরোধ করলো এটিকে সামুতে পোষ্ট করার জন্য। সেজন্যই পোষ্টটি দেয়া।)



সবাইকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেয

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: এমনটাই হয়..................।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

জন রাসেল বলেছেন: হ্যা ভাই। সত্যিই তাই। কথাগুলো দীর্ঘশ্বাস থেকে বের হয়েছে

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সফিক এহসান বলেছেন: We Shall Overcome Some Day...
:)

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৬

জন রাসেল বলেছেন: ইনশাল্লাহ। তেমন একটি সম্ভাবনাই আমাদের বাচিয়ে রাখে আগামী দিনের জন্য

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৪

লিংকন১১৫ বলেছেন: কিছুই বলার নেই

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

জন রাসেল বলেছেন: হ্যা শুধুই আক্ষেপ করা ছাড়া।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০১

প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: কি বলব ভাই এটা তো মানুষ বোঝে না

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

জন রাসেল বলেছেন: হ্যা ব্রাদার। মানুষ নিজের স্বার্থেই হয়তো বোঝে না। বুঝলে হয়তো নিজের স্বার্থে টান পড়বে।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

এন এফ এস বলেছেন: আপনার এই চমত্‍কার লেখাটাকে প্লাস দিলাম ।
দেখেন আমরা তো মানুষ না আমরা তো পশ্চিমা না আমরা তো কোন লিডিং কান্ট্রির নাগরিক না তাই আমাদের কোন মূল্য নাই অনেকে লজ্জা ঢাকতে বলবে যে আমরা অমূল্য ! কিন্তু এই পৃথিবীতে আমাদের শোচনীয় অবস্থানের জন্য আমরাই দায়ি নই কি?
আশাকরি উত্তর দিতে ভুলবেন না ।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

জন রাসেল বলেছেন: কখনও আমরা দায়ী, কখনও বাস্তবতা দায়ী, কখনও আবার তিনি দায়ী যিনি এ মহাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রন করেন।

তার সৃষ্টি ক্ষতবিক্ষত হয় আরেক সৃষ্টির হাতে। তিনি দেখেন, দেখেও কিছু বলেন না। তখন চিৎকার করে তাকে বলতে ইচ্ছে করে "আপনি কেন নিশ্চুপ, ওরা তো শেষ করে দিল আমাদের। আমাদের জন্য কেউ কাদলোনা কেন? আমরা তো আপনারই সৃষ্টি। এই পৃথিবীতে ওদের যতটুকু অধিকার আমাদেরও তো ততটুকু।"

মানুষে মানুষে যে বিভাজন এর বেশীরভাগ মানুষেরই সৃষ্টি। তাই প্রধানত মানুষ নিজেরাই এজন্য দায়ী। তবে আরো কিছু ব্যাপার এসে মানুষে মানুষে এই দুরত্বকে আরো প্রলম্বিত করেছে।

আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫০

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: কিছুই বলার নাই ! আমরা এখন তাদের দালাল হয়ে গেছি । :(

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

জন রাসেল বলেছেন: একমত

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৩

এন এফ এস বলেছেন: মূলত তিনি কোনভাবেই দায়ী নন কারন আমরা শুধুমাত্র দুইটা জিনিস ফলো করলেই বিশ্ব শ্মাসন করতে পারি ইতোপূর্বে যা করা হয়েছিল

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

জন রাসেল বলেছেন: একটা প্রশ্নের উত্তর অনেকগুলো দৃষ্টিকোন থেকে দেয়া যায়, একজন বিজ্ঞানী একটা জিনিসের উত্তর যেভাবে দেবেন একজন ধর্মপ্রচারক সেভাবে দেবেন না, আবার একজন দার্শনিক দেবেন আরেকভাবে। এদের প্রত্যেকের উত্তরই অন্য জনের কাছে ভুল মনে হবে কারণ তাদের চিন্তার প্লাটফরমটা আলাদা।

আপনি ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে ভাবলে আপনার উত্তর ঠিক আছে। আমি অন্যভাবে ভেবেছি তাই আপনার সাথে আমার উত্তরটা মিলে নি।

আপনার উত্তর ঠিক আছে। ধন্যবাদ

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪০

এন এফ এস বলেছেন: মূলত আপনি কোন প্রকার প্রতিবাদ না করেই টম চাচা বা দাস হয়ে যাচ্ছেন তাদের । নিজের মনকে আমরা তাদের দাস বা দালাল বানিয়ে ফেলেছি যা আমাদের ছাড়তে হবে

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

জন রাসেল বলেছেন: প্রতিবাদী কথা বলা এবং লেখা খুব সহজ কারণ মানুষের লেখনী আর মুখের উপর কোন আইন তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর না। কিন্তু সেগুলো বাস্তবায়ন অনেকক্ষেত্রেই অসম্ভব। অসম্ভব বলেই আমরা লিখি কিংবা বলি। নাহলে লেখা এবং বলাকে বাদ দিয়ে আগে বাস্তবায়ন করতাম।

পরিবর্তন আনতে হলে সারাবিশ্বে আনতে হবে, সারা দুনিয়ার মানুষের মনে আনতে হবে। আর যদি খালি বাংলাদেশকে আমরা উপরে উঠাতে চাই অন্যদের রেখে তাহলে সেটা আমেরিকার মত আরেকজনের পেটে লাথি মেরেই সম্ভব, অন্যভাবে নয়।

আমি যা ভাবি সমগ্র পৃথিবীকে নিয়েই ভাবি। শুধু প্রতিবাদ দিয়ে অধিকার আদায়ের যুগ এখন আর নেই। কারণ এখন রাজত্ব চলে কৌশল দিয়ে, শক্তি দিয়ে নয়।

মানুষকে পূর্ন অধিকার শুধু মানুষই দিতে পারে। পৃথিবী সেদিনই বদলাবে যেদিন পৃথিবীর মানুষগুলো বদলাবে। উপরে একটা ছবি দিয়েছি পোষ্টে, একটা কালো বাচ্চাকে একজন শ্বেতাংগ মেয়ে কোলে ধরে রেখেছে। এমন ছবি যেদিন খুব সাধারন একটি ছবি হয়ে যাবে সেদিন আমরা সত্যিই বদলাবো, ভুবনটা বদলাবে।

৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

নাহিদ সৈকত বলেছেন: আর যাহারাই অ্যামেরিকায় বোমা মারে, তাহারাই মুসলিম !!

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০৪

জন রাসেল বলেছেন: হা হা। ব্যাপারটা কাকতালীয়ই বটে। আমেরিকায় যেসব বাংলাদেশীরা ধরা পড়ে এদের সবারই আবার আল কায়েদার সাথে যোগসূত্রও থাকে।

১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

এন এফ এস বলেছেন: তবুও আমরা লিখেই যাচ্ছি কিন্তু কাজ হচ্ছেনা এমন আফসোস করা হাস্যকর বটে আমি বলি মুসলিম রাষ্ট্রগুলো একটা সংঘ করুক।

০৩ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

জন রাসেল বলেছেন: সেটাও সম্ভব না ব্রাদার। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকেও আড়াল থেকে আমেরিকাই নিয়ন্ত্রন করে। ইরাক-ইরান যুদ্ধে আমেরিকা অর্থ সাহায্যও দিয়েছিল। সৌদি আরব থেকে বিশাল অংকের তেল কিনে আমেরিকা।

পৃথিবীর সব কিছু একটা চক্রের মধ্য দিয়ে চলছে। এই চক্রের ভেতরে সবাই বন্ধী। এখানে থেকে কেউ কৌশলে শোষন করছে, কেউ শোষিত হচ্ছে।

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২২

দূর্যোধন বলেছেন: :(

০৩ রা মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

জন রাসেল বলেছেন: ভাই, আপনি মন খারাপ কইরেন না। আপনার মন খারাপ করা উচিত না। আপনি তো আপনার স্ট্যাটাসে সব সময় সত্য সরাসরি বলেন। এমন মানুষরা আক্ষেপ কেন করবে? আপনাদের সত্য বলার বলিষ্ঠ ভঙ্গিমাই তো আমাদের অনুপ্রাণিত করে সত্যের পাশে দাড়াতে।

ইদানিং শুনলাম সামুর কিছু ব্লগারের নাম ডিবি না কার কাছে যেন দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে আপনার নামও নাকি আছে। শুনে আমি খুবই শকড।

সত্য সহ্য করার ক্ষমতা মানুষের এত কম কেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.