নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\'জোনাইদ সাইম\'এর কল্পজগতে আপনাকে স্বাগতম...

জোনাইদ সাইম

আ...আ...আমি জোনাইদ সাইম....এমন ভাব নিয়ে বলছি যেন বড়ধরনপর একখানা লেকচার দিয়ে দিব।আসলে আমার সম্পর্কে বলার মত তেমন কিছুই নেই।কারন আমি আপনার মতো অসাধারন কেউ না, খুবই সাধারনের একজন।সব সময় সকলের সাথে মিলেমিশে ভাল হয়ে চলার চেষ্টা করি। কিন্তু কিছু বদঅভ্যাস আছে যেমন:ফাকিবাজি,সবসময় সর্টখাট খোজাঁ,পড়ার সময় ফেবু ও সিওসি,পড়তে বসলে ঘুম আসা ইত্যাদি।আমি আপনার এক ছোট ভাই।এখনো মাধ্যমিকের গন্ডি পার হতে পারিনি।ছাত্র হিসেবে তেমন একটা খারাপ না,মোটামোটি ভালই।সাইন্স বিভাগপ পড়লেখা করছি।একটু আধদু লেখালেখি করি।তেমন ভাল লিখতে পারি না, তবুও চেষ্টা করি ভাল কিছু লেখার।

জোনাইদ সাইম › বিস্তারিত পোস্টঃ

"আয়নাবাজি" তামিল কোন ডিরেক্টর বানালে যা হতো...

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৮

যদি "আয়নাবাজি" সিনেমাটা তামিল কোন ডিরেক্টর বানাতো তাহলে য়েমন হতে পারতোরতো....
.
★ আয়নার এন্ট্রি সিন হতে পারত এমন... বাজারে সরগরম অবস্থা,
চারদিকে কোলাহল, হঠাত সব নীরব। দূরে পায়ের আওয়াজ, ঠকাস ঠকাস
শব্দে কেউ আসছে, সবাই সেই দিকে কৌতুহল নিয়ে তাকিয়ে! পর্দায়
ভেসে উঠত জিন্স - কেডস পড়া কারো পা, তারপর দেখা যেত ১৫-২০টা
ব্রেসলেট পড়া হাত, তারপর কোমরে বিশাল সাইজের বকলেস ওয়ালা
বেল্ট আর তাতে শার্টের কোনা গুজে রাখা, তারপর কনুই এর নিচ
থেকে কবজি পর্যন্ত ট্যাটু করে লেখা "AYNA-the mirror man"। তারপর চোখে
সানগ্লাস, মাথায় জেল দিয়ে খাড়া চুল। তারপর আয়না দু পায়ের
মাঝখানে দুইহাত ফাক রেখে বাজারে ঢোকার মুখে দাঁড়ায়। সাথে
সাথে এক তুমুল বাতাস এসে ভাসিয়ে দেয় বাজার। তারপর সাই সুই সাই
করে ৩-৪ এঙ্গেল থেকে আয়নাকে দেখানো যেত। এখানে নির্মাতার
অনেক গাফিলতি দেখা গেছে।
.
★ মাছ ওয়ালার সাথে কথা এমন হতে পারত...
"চাচা মাছ কত?"
"দাম দেওয়া লাগব না বাবা, ঐদিন তুমি আমার মেয়েকে গুন্ডাদের
হাত থেকে বাঁচিয়েছ। তোমাকে কী বলে যে ধন্যবাদ দিব! তুমি এইটা
এমনেই নিয়ে যাও বাবা।" এতে আয়নার সমাজের অসঙ্গগতির প্রতি
বিদ্রোহী চরিত্র প্রকাশ পেত।
.
★ নায়িকার এন্ট্রি সিন হতে পারত এমন... নায়িকার গলা থেকে তার
মায়ের শেষ স্মৃতি একটি চেইন নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেস্টা করে
ছিচকে চোররা। আয়না তা দেখতে পেয়ে দৌড়ানি দিয়ে তা ছাড়িয়ে
আনে। তারপর
"এই নিন আপনার চেইন"।
"এটা আমার মায়ের শেষ চিহ্ন। আপনাকে যে কী বলে ধন্যবাদ দিব!
আসুন না এক কাপ চা খেয়ে যান?"। তাহলে নায়ক নায়িকার পরিচয়
আরও রোমান্টিক হতে পারত। তারপর বাজারে গিয়ে নায়িকাকে
বাজারের ব্যাগ নিতে সাহায্য করানোর মাধ্যমে পরস্পরের প্রেম
দেখানো যেত। তারপর শুরু হত ফ্যান্টাসি কিংডমে গিয়ে নাচ। হৃদি
মাজা ঝাকিয়ে নাচত, তার মাজার পাশে আয়না কল্লা ডানে বামে
করে নাচত। পুরো সিনেমাতেই কোরিওগ্রাফির অভাব বেশ লক্ষ্যনীয়।
.
★ মোসাদ্দেক চরিত্রটিকে দর্শকের আনন্দ দানের জন্য রাখা যেত।
হিটলারি মোছ দিয়ে চোখমুখ ভেংচিয়ে তাকে দিয়ে টেনে টেনে
কথা বলিয়ে হল ভর্তি দর্শকদের হাসিয়ে সিনেমাটি আরো আনন্দময়
করা যেত।
.
★ হৃদির বাবার মৃত্যুটা বড় রসকষহীন হয়ে গেছে। এটা এমন হতে পারত...
আয়নাকে না পেয়ে নেতার লোকজন আসে হৃদিকে ধরতে, মেয়েকে
বাচাতে গিয়ে প্রান দেন মুরুব্বী।
.
★ জেল থেকে পালানোর সিনটা আরো রিয়েলিস্টিক হতে পারত।
যেমন... নিজের দাঁড়ি ছিঁড়ে ছিঁড়ে রশির মত পাকিয়ে চাবির মত একটা
জিনিস বানিয়ে ফেলে আয়না। সেটা দিয়ে একরাতে তালা খুলে
ফেলে বাইরে বেরিয়ে আসে সে। সেই সময়ে পিছন থেকে দেখে
ফেলে জেলার। সে হুইসেল বাজিয়ে সতর্ক করে দেয় সবাইকে। সাথে
সাথে হুরমুর করে ৮-১০ জন লাঠি ওয়ালা পুলিশ জাপটে ধরে আয়নাকে।
কিন্তু হঠাত "হুওয়াইক" বলে এক ঝাড়া দিয়ে সবাইকে উড়িয়ে দেয়
আয়না। স্লো মোশনে দেখানো যেত সেই উড়ে যাওয়ার দৃশ্য, সেই
সময়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজত 'মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন'
গানটি। তারপর আরো কয়জন আসত আয়নাকে থামাতে। কিন্তু আয়নার
এক "ভিশুমাইক" ঘুষি খেয়ে উড়ে একজন গিয়ে পড়ত জেলের বাইরে
থাকা এক বাদাম ওয়ালার গাড়ির উপর, আরেকজন তরকারির গাড়ির
উপর। একটু পরপর দেখানো হত জেলারের হতবাক চেহারা। তারপর
আয়না হাটু দিয়ে একজনের কল্লা পেচিয়ে ধরে হুঙ্কার দিয়ে বলত,
"পৃথিবীর কোন জেলখানা আয়নাকে আটকাতে পারবে না!!"
.
★ জেল থেকে পালিয়ে আয়না আসত নিজাম সাঈদ চৌধুরীর বাসায়।
ততক্ষনে ঘটনাচক্রে আয়না জেনে যায় এই নিজাম সাঈদ আসলে
তাদের গ্রামের দেলু চোরা। তার বাবার হত্যাকারী। বজ্র কন্ঠে
আয়না বলত "চৌধুরীইইইইই!!! বেড়িয়ে আয় শয়তান!!!!" তারপর রাম
ধোলাইয়ের পর বিসিএস সেকেন্ড পুলিশ সাজ্জাদ এসে বলত "আয়না
আইন নিজের হাতে তুলে নিও না"। অতঃপর গ্রেফতার করে নিয়ে যেত
নেতা ও তার সাঙ্গ পাংগদের।
.
পরিশেষে বলা যায় সিনেমায় অনেক কিছুর অভাব বোধ করা যায়। নাচ
গান, আইটেম সং, মারামারির তো দুর্ভিক্ষ চলেছে সিনেমাটিতে।
সর্বোপরি, নায়কের ড্রেসাপ। নায়কের ড্রেসাপ হবে নায়কের মত। সে
কেন কোটি কোটি সাধারন জনতাকে রিপ্রেজেন্ট করবে? নায়ক কেন
সাধারন জনগনের মত পোশাক পড়বে? মাঝে মাঝে তো সিনেমার
নায়ককে খুঁজেই পাই নাই। সবাই সাধারন পোশাক!
আশা করব পরিচালক পরবর্তী সিনেমায় এইসব ভুল এড়িয়ে ভাল কিছু
করার চেস্টা করবেন।
[ইহা নিচক বিনোদনের জন্য।কেই সিরিয়াসলি নিয়েন না...।]

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪৮

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: যতই বলেন কেউ সিরিয়াসলি নিবেন না, কিছু অতি উতসাহী পরিচালক কিন্তু আপনার লেখা পড়ে তাদের নতুন সিনেমার প্লট পেয়ে গিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.