![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছু কথা বলতে গিয়েও তা বলতে না পারার যে আফসোস থাকে তা ঘুচাতে এলাম সামুর তীরে ....
লেখাটি যে লিখবো সে আশা ছিল না । কিন্তু কি আর করার । হঠাৎ এই লিংকের লেখাটি পড়ে কিছু না লিখে পারলাম না ।
লিংকটিঃ জায়েদুল আহসান পিন্টু - বাঙালি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতি
আসলেই জায়েদুল আহসান পিন্টু ভাইয়ের লেখাটি পুরোটাই ধৈর্য্য ধরে পড়লাম । (আমার পরবর্তী লেখা পড়ার জন্য আপনারাও একটু কষ্ট করে পড়বেন) । তার লেখাটির সারমর্ম ছিল আমরা বাঙালীরা নাকি সর্বক্ষেত্রেই ধর্মকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করি । (লেখাটি অনেকটাই এরকম) তাছাড়া তার আরও প্রশ্ন আমরা কেন এত ধর্মপ্রবণ ? বাংলদেশে বেশিরভাগ মুসলমান, তাই তিনি মূলত মুসলমানদের কারণেই এই কথা বলেছেন এটা পরিস্কার । তার লেখাটি আর কমেন্টগুলো পড়লাম । পড়ে আমার মনে তার প্রশ্নের কয়েকটি উত্তর তৈরি হয়েছে । সেগুলোই দেয়ার জন্য আসলাম । আপনারা দেখুন তো, উত্তরগুলো কেমন ।
(আমার করা প্রশ্নগুলো জাহেদুল আহসান পিন্টু ভাইকে উদ্দেশ্যে)
১. ৫ই মে তে ঢাকার শাহবাগে হেফাজতে ইসলামের নামে যে তান্ডব চালানো হয়েছিল, আপনি কি তার চাক্ষুষ সাক্ষী ? নাকি আপনি মিডিয়ার লোক হয়ে সেখানটা পুরোপুরি কভার করেছেন ? ভুলে যাবেন না, সেই ঘটনা সরাসরি দেখানোর অপরাধে এখনও ইসলামিক টিভি ও দিগন্ত টিভি এখনও বন্ধ করে রাখা হয়েছে ।
২. আপনি বাক স্বাধীনতার নামে লতিফ সিদ্দিকিকে ডিফেন্ড করেছেন অনেকটাই । আসলে আমরা বাঙালি মুসলমানরা পুরোপুরি ধার্মিক না হতে পারি, কিন্তু আমাদের অনেকের মাঝেই আমি চেষ্ঠাটা দেখেছি । এমন লেখা পড়িয়ে তাদেরকে আরও কনফিউজড করা হচ্ছে ।
৩. ধর্মভিত্তিক দলগুলা বেশি ভোট পায়না, এর একটি কারণ হতে পারে ভোটের আগের অবস্থা । আমি শুনিনি, হয়তো আপনি শুনেও থাকতে পারেন কিন্তু আজ পর্যন্ত ধর্মভিত্তিক দলগুলার বিরুদ্ধে ভোটের আগের রাতে টাকা ছড়িয়ে ভোট কেনার খবর জানা যায়নি । কিংবা মরণঘাতি হুমকিও দিতে শুনা যায়নি ।
৪. ধর্মভিত্তিক দলগুলার ছাত্র সংগঠন তেমন থাকে না । আর যদি থাকেও তাদের মধ্যে অন্তকন্দলের খবর আপনি শুনতে পাবেন না । কিন্তু বাকী দলগুলার অবস্থা দেখুন ।
৫. একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশের কথা যদি বলেন, তাহলে তো অনেক কথায় বলতে হয় । আমার এক ফেসবুক বন্ধু সেদিন দেখলাম একটি লিংক শেয়ার করেছেন পশু হত্যা করে কুরবানি কেন ? অবশ্যই তিনি অন্য ধর্মাবলম্বী । কই, আমি বা আপনারা তো তাকে সেদিন কিছু বলতে যায়নি ? এরপরও কি আপনি বলবেন আমরা অন্য ধর্মাবলম্বী মানুষদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেই না । কিছু মানুষ হয়তো মন্দির ভাঙ্গছে, গির্জা ভাঙ্গছে । হ্যাঁ, ভাঙ্গছে । আপনি তাদেরকে মুসলমান বলছেন ? কোথায়, ইসলামে কি এসবের প্রতি সমর্থন আছে ? খোঁজ নিয়ে গিয়ে দেখেন তারা এক ওয়াক্ত নামায পড়ে না । খালি নামে মুসলমান হলেই কি সে মুসলমান হয় ?
৬. আপনার লেখাটির কমেন্টগুলা পড়ে আরেকটু হাসলাম । কেউ কেউ মুসলমান হয়ে লজ্জা পাচ্ছে আবার কেউ আবার মুসলমান হয়ে জন্মগ্রহণ করেছে বলে নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছে । আচ্ছা, ভাই, একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন তো, আপনি কি সাচ্চা মুসলমান ? ইসলামে পাক্কা মুসলমান আর কাফেরদের মধ্যে মধ্যবর্তী কোন জায়গা নেই । তাহলে আপনি কোন দলে পরছেন ? উত্তর আশা করছি ।
৭. আমরা তো পকিস্তানকে গালাগালি করছি ২৩ বছর আমাদের উপর অমানুষিক অত্যাচার করার জন্য । আসলেই ঠিক, করাই উচিৎ । সত্যি কথা বলতে গেলে, মাঝেমাঝে আমিও করি । কিন্তু পরের এই ৪৩ বছর অত্তাচার করার জন্য আপনি ভারতকে কতটুকু গালাগালি করছেন ? অবাক হবেন না, এর যথেষ্ঠ প্রমাণও আছে । কই, আপনি তো ভারতের লোকদের রোল মডেলই ভাবছেন । তাই না ?
৮. আজ ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতার সাথে বাংলাদেশের ধর্ম নিরপেক্ষতার মিল খুজে পেলেন নাকি আপনি ? তাই ? আচ্ছা, বলুন তো, ভারতে হিন্দু ধর্মের লোকদের দ্বারা অন্য ধর্মের কত লোক প্রতি বছর অত্যাচারিত হয় ? অথবা মারা যায় ? এর হার কত ? আর বাংলাদেশে ? হা হা হা, বুঝছি, ভুল বুঝতে পেরেছেন । থাক, আর কিছুই বলবো না ।
ভাই, আমরা বাঙ্গালী । মুসলমান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই । কিন্তু সাচ্চা মুসলমান হয়তো হতে পারেনি । আপনি কি সেই সুযোগটিও দেবেন না ? নাকি চাচ্ছেন না ? নাকি ধর্মীয় নিরপেক্ষতার কথা বলছেন (আসলে ধর্মীয় নিরপেক্ষতা বলতে কিছুই নেই । স্রেফ রসিকতা । হয় এস্পার নয় ওস্পার) ?? কেন, জানি, অনেক অনেক কিছু জানতে ইচ্ছে করে ।
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:৩৭
জনৈক কবি বলেছেন: ভাই, জিহাদ আর সেবা দুই জিনিস । প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ ডাক্তারি, নার্স কিংবা সেবামুলক শিক্ষা নিয়ে পাশ করছে । তাদেরকে যদি ইবোলা আক্রান্ত এলাকায় পাঠানো হয়, কয়জন স্বেচ্ছায় যাবে বলে আপনার মনে হয়? তাছাড়া, প্রকৃত কিংবা সাচ্চা মুসলমান বলতে তো শুধু ইমামদেরকেই বুঝানো হয় না, তাই না ? ধর্মের রূপটি একেকজনের কাছে একেকরকম । আপনার কাছে হয়তো সেবা একটি ধর্ম, তার কাছে হয়তো ধর্মের উন্মুক্ত রূপটিই পছন্দ মানে জিহাদ পছন্দ ।
আচ্ছা, আপনাকে যদি বলা হয়, আপনাকে একটি মসজিদ তদারকির দায়িত্ব নিতে হবে, তবে আপনি কোনটি করবেন ? মসজিদে আযান দিবেন নাকি মসজিদ পরিস্কার করবেন ? এবার বলুন তো । আপনার কাছে কোনটি উত্তম ?
ভাই, ধর্মীয় ব্যাপারগুলো সম্পর্কে আমরা কতটুকুই বা জানি । এটি শুধু একটি বিশ্বাস নয়, একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা । আমি ধর্মীয় ব্যাপারগুলো সম্পর্কে যতটুকুই জানি, ততটুকুই আরেকজনকে সঠিক ব্যাপারগুলো জানাতে আগ্রহী । কারণ ধর্মে আংশিক বিশ্বাস কিংবা শুধুমাত্র সহমত কিংবা অন্যরকম অর্থের কোন সুযোগ নেই ।
আশা করি, কি বলতে চাই, বুঝতে পেরেছেন ?
ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৭:২১
কলাবাগান১ বলেছেন: জাপানিজরা ধর্মের কোন ধারে কাছেও নাই কিন্তু মানুষের জন্য যে ব্যাকুলতা প্রকাশ করে সেটা ধর্মের চাইতেও বেশী।
আপনি তো প্রকারন্তরে জিহাদ কে ই সাপোর্ট দিলেন।
ইবোলা রোগীকে সেবা করার সাথে মসজিদ পরিস্কার করার তুলনা বড়ই naive thinking..............
মিশনারীরা তো এই যুগে ক্রুসেড করতে যায় না??? তাদের কাছে মানব সেবাই তো মুখ্য বলে প্রতীয়মান হয়
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৫
জনৈক কবি বলেছেন: কেন, জানি, কিছুক্ষেত্রে আমি ভাইয়ের সাথে সহমত হতে পারছি না । আপনার কথার সারমর্ম হল "সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই" । বুঝলাম । আচ্ছা, আমাদের দেশে ইসলাম পালনকারী দল বা জামাত বা গ্রুপগুলো লক্ষ্য করুন । আপনি কি কোন পার্থক্য ধরতে বা বের করতে পারছেন ? তাহলে আমি বলি । আমাদের দেশে ইসলাম পালনকারী অনেকগুলো দল বা জামাত কিংবা গ্রুপ রয়েছে । যেমনঃ হেফাজতে ইসলামী, জামায়াতে ইসলামী, তাবলীগ, আহলে সুন্নাহ, পীর ও পীরের মুরিদ, চরমোনাই ইত্যাদি ইত্যাদি আরও অনেক । এখন আপনি বা আমি এদের চলার নিয়মকানুন কিংবা সিস্টেম সম্পর্কে কতটুকু জানি ?
আপনি এতটা শিউর কিভাবে হচ্ছেন, যে আপনার মানব ধর্মের উপর এদের কারও জোর নেই কিংবা সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালনের সাথে সাথে মানব ধর্ম পালন করছেন না ?
আর আপনি জাপানিজদের কথা বলছেন, আমি যদি উদাহারন হিসেবে আরব স্বর্ণযুগের কথা বলি, তাহলে । জাতি কিংবা যুগ নির্বিশেষে মানুষের ধর্ম কিন্তু পরিবর্তন হয়না । যেটা পরিবর্তন হয় সেটা হল নিয়ত কিংবা আমল কিংবা কোন কিছু করার ইচ্ছা কিংবা কোন কিছু করার চেষ্ঠা । আপনি কয়েকজনকে দিয়েই সবাইকে বিচার করছেন কিভাবে ?
আর মিশনারিদের কথা আমি কিছুই বলবো না । কারণ তাদের গভীরের খবর কতটুকুই বা জানেন আপনি ? আজকের দিনে সেই পুরানো তলোয়ার কিংবা বন্দুক নিয়ে সম্মুখ যুদ্ধের সিস্টেম আপনি কোথায় পাচ্ছেন ? তাদের অরিজিনাল ক্রুসেড তো আপনার নজর এড়িয়েই যাচ্ছে ।
৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১১
শার্লক_ বলেছেন: এই জিহাদ সেই জিহাদ না। এটা যে পশ্চিমাদের সাজানো তা একটা শিশুও বোঝে আর জ্ঞানীরা যে কেন বোঝে না সেটাও বুঝি না। পুতুলের মতো একই বচন ঝাড়তে থাকে। যা হোক অবস্থা যা দেখছি খুব বেশি দেরি নাই ইমাম মাহদি এবং ঈসা (আঃ) আসার। তাঁরা এসে যখন সব কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে তখন কোন কিছু বলার সময়ও পাবেন না। আর তারপরে যখন মানুষরূপী জন্তুগুলি পাহাড় থেকে নেমে আসবে তখনও কিছু বলার সময় পাবেন না। তাদের কি বলবেন? যখন মানুষগুলিকে পিপঁড়ার মতো মারবে। দুনিয়ায় আবার নতুন আবাদ হবে তখন কেউ এসব নিয়ে কথা বলবে না মনে রাইখেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৫২
কলাবাগান১ বলেছেন: দলে দলে মমিন লোকেরা আই এস জয়েন করছে ... জিহাদ করবে বলে ......।
আর মিশনারীর লোকেরা ইবোলা আক্রান্ত লোকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে আবার তারা নিজেরাও ইবোলাতে আক্রান্ত হচ্ছে........ আমাদের একজন ইমামকে ও দেখলাম না যে ইবোলা আক্রান্ত কোন রোগীকে সেবা করতে আফ্রিকায় যেতে কিন্তু ইরাকে যেতে রেডি........ কেমনে কি????