নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতার আর্তচিৎকার ......

আসক্তির প্রাক্কালে প্রারম্ভিক যোগ্যতর সামান্য কস্টার্জিত আবেদন লেখায় ফুটিয়ে তোলার কিছু ব্যর্থ চেস্টা

জনৈক কবি

কিছু কথা বলতে গিয়েও তা বলতে না পারার যে আফসোস থাকে তা ঘুচাতে এলাম সামুর তীরে ....

জনৈক কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেসবুকের মাধ্যমেই নির্বুদ্ধিতাঃ ভাবার বিকাশ স্পষ্ট

২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৩





ইদানিং ফেসবুকে কিছু ডায়ালগ প্রায় শোনা যাচ্ছে অনেকের মুখ থেকে (হাত দিয়ে কীবোর্ড কিংবা কি-প্যাডের মাধ্যমে বললে ভালো হয়) । যেমনঃ কেউ আমারে মাইরালা কিংবা শুধুই মাইরালা কিংবা পানিতে চুবাইয়া মাইরালা কিংবা হুতাইয়া জবই কইরালা কিংবা হুতাইয়া মাইরালা ইত্যাদি । আসলেই ? আপনি কি সত্যি মরতে এত আগ্রহী ? নাকি আপনি নিজেও বুঝেন না, যে আপনি অজান্তে মজা করতে করতে কি বললেন ? আসলে আপনার কথা শুনে কেউ যদি সত্যি সত্যি আপনাকে মেরে ফেলে, তবে সেটি কিন্তু হত্যা না, এটি আত্মহত্যা বলেই গণ্য হবে । কারণ আপনি নিজেই নিজের মরার ইচ্ছা করছেন । এক্ষেত্রে কেউ একজন শুধু আপনার ইচ্ছাকে পূরণ করছে, এই আর কি ।

এই তো কয়েকদিন আগেই ফেসবুকে যুক্ত হয় ফোটো কমেন্ট অপশনটি । তখন “কস কি মমিন ?” এই ডায়ালগটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল । কিন্তু যে বা যারা গড্ডালিকা প্রবাহে গাঁ ভাসিয়ে এই ডায়ালগটি দিত তারা আসলে মমিন বলতে বোকা কিংবা গদর্ভ কিংবা বোধহীন ব্যক্তিকেই বুঝাতো । কিন্তু আপনি মমিন (প্রকৃত উচ্চারণ মুমিন) শব্দের অর্থ জানেন কি ? মুমিন কিংবা মমিন শব্দের অর্থ আল্লাহ্‌র প্রকৃত বান্দা । যে আল্লাহ্‌র সকল হুকুম-আহকাম এবং ইবাদত নিয়মিত আকারে পরিপূর্ণ বিশ্বাসের সাথে করে । তাই যে বা যারা এই ডায়ালগ আবিস্কার করে, তারা আর যাই হোক প্রকৃত মুসলমান নয় । ঠিক তেমনি, মাইরালা বলার মাধ্যমে আপনি যে আত্মহত্যার ইচ্ছা পোষণ করছেন সেটিও ঠিক প্রকৃত মুসলমানসুলভ কাজ নয় । এখানেও পরিস্কার, ফেসবুকে প্রথম এই ডায়ালগটিও কেউ একজন বলা শুরু করেছিল । একবার ভাবুন, এটিও যদি মুসলমানসুলভ উক্তি না হয়, তাহলে কি, এমন কিছু মজার মাধ্যমেই মুসলমানরা এরকম কাজ বা উক্তি বলে গুনাহের কাজ করছে না ? আরেকটি উদাহারন দিই তাহলে । আপনার বাবা-মাকে কেউ যদি মজা করে গালাগালি দেই, তাহলে আপনি কি হেসে উড়িয়ে দেবেন । জানি দেবেন না ।

তবুও আপনি যদি এটিকে শুধু মজা বলে উড়িয়ে দেন, তাহলে ভুলে যাবেন না, মানুষ যত গুনাহের কাজে লিপ্ত থাকে তা সবই মজা (ফান) বলেই করে । তাহলে একজন মুসলমান হয়ে যেনেশুনে আপনি এসব কেন করবেন বা বলবেন ?

কথাগুলো মজা মনে না করে সিরিয়াসলি নিন এবং শুধুমাত্র একবার হলেও ভাবুন ।


(আইডিয়া সংকলিত)

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৪

ভরকেন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৫০

জনৈক কবি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

শাহরিয়ার খান রোজেন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৯

জনৈক কবি বলেছেন: ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন ।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:০৫

তামিম ইবনে আমান বলেছেন: সবকিছুতে বেশি বুঝা ভালো না। অতিরিক্ত আতলামি স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৪৮

জনৈক কবি বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।

বেশি কোনটা হলো ? সেটাই তো বুঝলাম না ... একটু চিন্তা ধারার বিকাশ ঘটিয়ে ভাই-ব্রাদারদের সচেতন করতে গিয়ে স্বাস্থ্যের অবস্থা যদি একটু খারাপ হয়, দোষ দেখছি না ।


আর আমার কথার সাথে আতলামি শদটা ঠিক যায় না । কেন বললেন, বুঝলাম না ।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৪১

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: তামিম ইবনে আমান এর স্বাস্থ্য খারাপ যাইতেছে কিনা!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.