![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সারা পৃথিবীর মানুষকে নাড়া দিয়েছিল।ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার প্রতিবাদে নিন্দার ঝড় উঠেছে বিশ্ব মানচিত্রের প্রায় প্রতিটি কোণ থেকেই,সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অসংখ্য মানুষ।বাংলাদেশে যখন পঙ্গপালের মতো মানুষ হত্যা করা হচ্ছে ঠিক তখনই ভারতের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পথে নেমেছে শরণার্থীদের সাহায্যের জন্য অর্থ সংগ্রহে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন ও সরকার যখন স্পষ্ট ভাবে দাঁড়িয়ে গেছে গণহত্যার মূল নায়কদের পক্ষে,হোয়াইট হাউসের সামনে তখন চলছে গণহত্যার প্রতিবাদে অনশন।
কোন ধরণের রাজনৈতিক সুবিধা বা উদ্দেশ্য ছাড়াই প্রতিবাদে যুক্ত হয়েছে অসংখ্য মানুষ।পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে কিংবা প্রয়োজনের তুলনায় এসব সাহায্য কিংবা প্রতিবাদ হয়তো খুব বড় কিছু বলে বিবেচিত হবে না,কিন্তু এক কোটি শরণার্থী কিংবা তিরিশ লক্ষ নিহত মানুষের জন্য তাদের উদ্বেগটুকু মিছে নয়।সেই ঘোর দুঃসময়ে এমন এক এক বিন্দু ভালোবাসা দিয়েই গাঁথা হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্ব জনমত।এইভাবে,গুটিকতক স্বার্থান্বেষী কিংবা ধর্মান্ধ মানুষ ছাড়া সারা পৃথিবীর সভ্য মানুষেরা হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের একান্ত আপনজন।১৯৭১ তাই একদিকে যেমন মানবতার বর্বরতম নিগ্রহের বছর,অন্যদিকে ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে চিরন্তন মানবতার জয়গান গাওয়ার বছর।
উপরের ছবিটি প্লাইট অফ পাকিস্তানি রিফিউজি ওর্সেনস শিরোনামের একটি ব্রোশিওরের প্রচ্ছদ,প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংগঠন স্টুডেন্টস ওয়ার্ল্ড ইউনিয়ন।ব্রোশিওরে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে ভিটেহারা শরণার্থীদের সাহায্যের জন্য চাঁদা চাওয়া হয়েছে।সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের অনুরোধ করা হয়েছে গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে,পাকিস্তানের পক্ষে প্রেসিডেন্ট নিক্সনের অবস্থানের প্রতিবাদ করতে।ব্রোশিওরে পাঁচটি বিষয়ে জনমত গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছিল -
১) পশ্চিম পাকিস্তানে সব ধরণের বৈদেশিক সাহায্য বন্ধ করে দেয়া।কারণ লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যার জন্য তারা দায়ী।
২) আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোতে অনুদান বৃদ্ধি করা যাতে তারা দুর্দশাগ্রস্থদের সাহায্য করতে পারে
৩) ভারতকে যে ঋণ দেয়া হয়েছে তার সুদ এক বছরের জন্য স্থগিত করা যাতে ভারত শরণার্থীদের যে সহায়তা করছে তাতে চাপ কমবে।
৪) ভারতকে আরো ২৫০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য দেয়া
৫) প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে চাপ দেয়া যাতে তিনি অযথা হত্যা বন্ধ করেন এবং ত্রাণ সামগ্রীর সরবরাহ অব্যাহত রাখার অনুমতি দেন।
কথাগুলো কি খুব আহামরি কিছু মনে হয়?এক বছরের জন্য সুদ স্থগিত করার দাবিটিকে বরং কিছুটা বালখিল্যতাই বলা যায়।তবুও,প্রতিটি শব্দই যেন বাঙালীকে জানিয়ে দিচ্ছে - তোমরা একা নও,সমস্ত পৃথিবী আছে তোমাদের পাশে।
পূর্বপুরুষের ভিটে,স্বজনের মৃতদেহ আর বারুদের গন্ধ পিছনে রেখে ছুটছে এক কোটি শরণার্থী,গন্তব্য - ভারত।সীমান্তের এপাশে নিশ্চিত মৃত্যু,ওপাশে অনিশ্চিত বেঁচে থাকা।মৃত্যু শুধু বুলেটের বেশে আসেনি তখন,এসেছে বন্যা হয়ে কিংবা কলেরার চেহারায়।সেই সময়ে জীবন আর মৃত্যুর মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়ালেন পশ্চিম বঙ্গের কাঁঠালি গ্রামের নলিনী মোহন বিশ্বাস।লাইফ ম্যাগাজিনের জন সার লিখেছেন -
In the village of Kanthalia,a tubby,globe faced man named Nalini Mohan Biswas,welcomed 125 cholera victims into the courtyard of his home when they collapsed while passing through town.Biswas himself was unprotected by a vaccination.Even so,he nursed the stricken refugees so conscientiously that only four died.
মানবতা কাকে বলে?শুভবোধের কোন কবচ-কুণ্ডল ধারণ করলে সম্পূর্ন অরক্ষিত অবস্থায়,নিজে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা জেনেও অজানা-অচেনা শতাধিক মানুষের চিকিৎসায় নিজেকে সঁপে দেয়া যায়?
রাষ্ট্রীয়ভাবে চিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে,গণহত্যায় সমর্থনও দিয়েছে।সেই চিনেও একদল তরুণ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে মিছিল করেছেন,চিন সফররত জুলফিকার আলী ভুট্টোকে গণহত্যার নায়ক বলে ঘোষণা করেছেন তারা।মুক্তাঞ্চল থেকে প্রকাশিত আমার দেশ পত্রিকার ১১ নভেম্বর ১৯৭১ তারিখের খবরে জানা যায় -
চীন সফরকালে পাকিস্তানী প্রতিনিধিদলের নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোর বিরুদ্ধে চীনা তরুণরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে বলে বি,বি,সি জানিয়েছেন।চীনা তরুণেরা বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে 'পূর্ব বাংলার গণহত্যার নায়ক ফিরে যাও' , 'পূর্ব বাংলার গণহত্যা বন্ধ কর' , 'মুজিবের হাতে ক্ষমতা দাও' , পাকিস্তান ধ্বংস হঊক ' প্রভৃতি শ্লোগান দেয়।
গণহত্যার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল আন্তর্জাতিক পরিবহন শ্রমিক সভা।সারা পৃথিবীর ডক শ্রমিক ও নাবিকদের অনুরোধ করা হয়েছিল যেন পাকিস্তানের জন্য পাঠানো অস্ত্র ও অন্যান্য মালপত্র তারা খালাস না করেন।সাপ্তাহিক জন্মভূমির ৬ সেপ্টেম্বরের খবর -
বোম্বাই,৩রা সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক পরিবহন শ্রমিক সভা বিশ্বের সমস্ত নাবিক ও ডক শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে এক নির্দেশপত্র প্রকাশের মাধ্যমে আবেদন করেছে যে,তারা যেন সাধ্যমত পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য প্রেরিত যুদ্ধের মালপত্র বহন এবং খালাস করতে অস্বীকার করেন।ভারতের জাতীয় নাবিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মিঃ লিও বার্নেসের নিকট থেকে এই নির্দেশপত্র সম্পর্কে জানা গেছে।
বাংলাদেশের ব্যাপারে একটি সমাধানে আসার আগে পাকিস্তানকে সব ধরণের সাহায্য বন্ধ করা হোক - এই আবেদন জানিয়েছিলেন ফ্রান্সের আশিজন বুদ্ধিজীবী,ফ্রেঞ্চ সরকারের কাছে।বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়ে তারা গঠন করেন বাংলাদেশ সহায়ক সংসদ।এর উদ্যোক্তাদের মধ্যে ছিলেন নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী আলফ্রেড কাস্টলার এবং অদ্রে ভলক।এই সংগঠন থেকে প্রকাশিত একটি ঘোষণাপত্রে পাকিস্তানকে 'সামরিক ও আর্থিক সাহায্য' প্রদান বন্ধ করে দেয়ার জন্য ফ্রেঞ্চ সরকারকে অনুরোধ করা হয়।তাদের বক্তব্য ছিল - বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীন ইচ্ছাকে দাবিয়ে রাখবার নীতিকে কোন মতেই সমর্থন করা যায় না।তারা আরো অনুরোধ করেন - শরণার্থীদের জন্য সাহায্যের পরিমান যেন বাড়িয়ে দেয়া হয়।এর পাশাপাশি আলফ্রেড কাস্টলার বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার প্রতিবাদে লিখেছিলেন ফ্রান্সের লা ফিগারো পত্রিকাতে ৮ অক্টোবর,১৯৭১।সেই ছোট্ট লেখাটির একটি অনুবাদ প্রকাশ করে প্রথম আলো ১৮ মার্চ,২০১০।কাস্টলার বলেছিলেন -
এটা কী করে সম্ভব, এই ট্র্যাজেডি আমাদের চোখে পড়বে না। আমরা সম্পূর্ণ নির্বিকার থাকব, আমরা এই শিশুদের যন্ত্রণা কিছুমাত্র অনুভব করব না। এই শিশুদের মায়েদের হতাশার মুখোমুখি বিবেকহীন দাঁড়িয়ে থাকব?
মানবজাতির মুক্তির জন্য রোমে যে ধর্মসভা হয়ে থাকে তা কি এ অবস্থার পরও শান্তিপূর্ণভাবে চলতে থাকবে? এই অবস্থাকে বিবেচনায় না এনে যে ট্র্যাজেডি আমাদের সবার উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাকে অগ্রাধিকার না দিয়ে জাতিসংঘ কি কেবলই বকবক করে যাবে? বিবেক জাগাতে কোনো আঘাত কি আসবে না—এই গ্রহে মানুষের সংহতি দৃঢ় করতে?
মানবতা যদি নির্বিকারভাবে এই ট্র্যাজেডির কেবল সাক্ষী হয়েই থাকে, তাহলে নিজ থেকে এর ধ্বংসের সময় কি এখনো আসেনি?
বাল্টিমোর প্রতিরোধের কথা জানেন অনেকেই।সেইদিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর বন্দরে পাকিস্তানি জাহাজ পদ্মায় মার্কিন যুদ্ধাস্ত্র বোঝাইয়ে বাধা দেয়ার উদ্দেশ্যে যারা জড়ো হয়েছিলেন তাদের মধ্যে দু'জন ড. উইলিয়াম গ্রিনাফ এবং ড. ডেভিড নালিন - বাংলাদেশের অকৃত্রিম দুই বন্ধু।দুইজনই কাজের সূত্রে বাংলাদেশে থেকেছেন।১৯৭১ সালে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে চুপ করে থাকেননি তারা।এই দুইজনের সাথে ড. গ্রিনাফের স্ত্রী অ্যানা ব্রাউন টেইলর এবং প্রবাসী বাঙালী মহসীন সিদ্দিক মিলে গঠন করেন বাংলাদেশ ইনফর্মেশন সেন্টার (বিআইসি)।ড. গ্রিনাফ ছিলেন এই সংগঠনের সভাপতি।বিআইসির উদ্দেশ্য ছিল চারটি -
১) পাকিস্তানে সামরিক ও আর্থিক সাহায্য পাঠানো বন্ধ করা
২) পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দ্বারা সংগঠিত গণহত্যার প্রতিবাদ
৩) শরণার্থীদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য জনমত গঠন
৪) বাংলাদেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে গণমাধ্যমে কভারেজ বৃদ্ধি
বিআইসির উদ্যোগে শরণার্থীদের জন্য আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করা হয়।মাসিক সংগ্রহের পরিমানটা ৩০০০-৪০০০ ডলারের মতো ছিল।যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠনে বিআইসি সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়।বোস্টন ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ,যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তিরিশটির মতো প্রবাসী বাঙালীদের সংগঠনের কার্যক্রম সমন্বয় করতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তারা।যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি এবং প্রশাসনিক মহলে বাংলাদেশের পক্ষে লবিং চালিয়ে যায় বিআইসি।যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে সাহায্য দেয়া বন্ধ করে যে বিল পাশ করা হয় তার পিছনে বিআইসির লবিং এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।
বিআইসির আরেকটি বড় সাফল্য ছিল নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন,যাতে প্রকাশিত হয়েছিল নিউজার্সিতে পাকিস্তানে পাঠানোর জন্য জাহাজে মার্কিন অস্ত্র বোঝাইয়ের খবর।এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিটি সরবরাহ করা হয়েছিল বিআইসির আর্কাইভ থেকে।ড. গ্রিনাফের ভাষাতেই শুনুন -
One of the actions that was most embarrassing to Nixon and Kissinger was the front page story by Tad Szulc in the New York Times which showed photographs of weapons being shipped from New Jersey to Pakistan when the official position by the U.S.
government was that this was not happening. The documents listing the arms being
shipped were provided to Mr. Szulc by the BIC and he did a superb job of investigative
reporting to provide not only documentary, but photographic evidence for his articles
এর পাশাপাশি নিয়মিতভাবে গণহত্যার প্রতিবাদ অব্যাহত রাখে বিআইসি।এর অংশ হিসেবে হোয়াইট হাউজের সামনে অনশন শুরু করেন অ্যানা ব্রাউন টেইলর এবং ড. নালিন।অনশনের ছবি যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি প্রভাবশালী পত্রিকায় প্রকাশিত মার্কিন জনগণের মানসিকতায় তার ব্যপক প্রভাব পড়ে।
ছবি : হোয়াইট হাউজের সামনে অনশনরত বিআইসি সদস্যরা - ( বাম দিক থেকে ) মিসেস মার্গারেট আইসেনম্যান এবং তার মেয়ে,অ্যানা ব্রাউন টেইলর এবং ড. ডেভিড নালিন
বিআইসির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ ছিল ওয়াশিংটন ডিসির থমাস সার্কেলে।এটি গুরত্বপূর্ণ এই কারণে - যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান এমব্যাসি ছিল এর কাছাকাছি।এরকম একটি জায়গায় প্রতিবাদ বেশ সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছিল।
ছবি : থমাস সার্কেলে প্রতিবাদরত বিআইসি সদস্যরা - ( বাম দিক থেকে ) নর্বার্ট হার্শন,ড. ডেভিড নালিন,অ্যানা ব্রাউন টেইলর, ( ডান দিক থেকে দাঁড়িয়ে ) মিসেস ডরোথি রাদারফোর্ড,মহসিন সিদ্দিক,ড. উইলিয়াম গ্রিনাফ, ( ডান দিক থেকে বসে ) ড. চার্লস কার্পেন্টার।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার একাত্তরের ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা দেয়ার জন্য যেসব বিদেশী ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে তার মধ্যে ড. উইলিয়াম গ্রিনাফ,অ্যানা ব্রাউন টেইলর এবং ড. ডেভিড নালিন রয়েছেন।
এইভাবে সারা পৃথিবীর শান্তিকামী,বিবেচনাবান মানুষ বাংলাদেশের পক্ষে এসে দাঁড়িয়েছেন,দাঁড়িয়েছেন মানবতার পক্ষে।নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে তারা নিরন্তর সমর্থন যুগিয়ে গিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের,বাঙালীদের।বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য এমন অসংখ্য ব্যক্তির অসংখ্য অবদানের কাছে আমরা ঋনী।আমাদের ঋণ যেমন সেই মুক্তিযোদ্ধার কাছে যার করোটি ভেদ করে গিয়েছিল ঘাতকের বুলেট,ঠিক তেমনি ঋণ আছে সাড়ে নয় বছর গড় বয়সের সেইসব স্কুল ছাত্রীদের কাছে যারা সম্মিলিত উদ্যোগে ছাপ্পান্ন দশমিক পনেরো পাউন্ড স্টার্লিং সংগ্রহ করে পাঠিয়েছিল অক্সফাম কর্তৃপক্ষের কাছে।যতদিন বাংলাদেশ থাকবে,বাঙালী বলে কোন জাতির অস্তিত্ব থাকবে পৃথিবীতে ততদিন আমাদের এই একান্ত সুহৃদদের নাম অভ্রস্পর্শী শ্রদ্ধা আর বুকভরা ভালোবাসায় উচ্চারিত হবে।
ঋণ শোধ করার সাধ্য নেই।আমার সর্বোচ্চ সামর্থ্যে যতটুকু কূলোয় ততটুকুই করে গেলাম - ঋণ স্বীকার।
তথ্যসূত্র :
১) মুক্তিযুদ্ধের ছিন্ন দলিলপত্র - মুনতাসীর মামুন
২) The Testimony of Sixty On Crisis of Bengal - Published by Oxfam
৩) গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ( দশম খণ্ড ) - হাসিনা আহমেদ
৪) The Bangladesh Information Center, Washington, DC 1971 - Wajeda J. Rab
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: অসাধারন পোস্ট, অসাধারন লেখনী।
+++++++++++
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১০
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: ++++++