নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দেশ

রুবেল১৯৮৭

আমি বিশ্বস করি ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ কিন্তু ধর্মহীনতায় নয়।

রুবেল১৯৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজতীদের কাছে একজন মুসলমানের প্রশ্ন

২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭

হেফাজতীদের কাছে একজন মুসলমানের প্রশ্ন-১



নবী (স.) ও তাঁর সাহাবা, ৪-খলিফাগণ কোন আল্লামা, শাইখুল হাদিস, মুফতী ইত্যাদি লোক দেখানো ডিগ্রী না লাগালেও, আপনারা এই জাতীয় ডিগ্রী নিজের নামের সঙ্গে লাগিয়ে কি দেখালেন ইসলামের নামে?



পবিত্র কোরান-হাদিস ও অন্যের সম্পত্তি পোড়ালেন, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস করলেন। বাংলাদেশে আপনারা ইসলামের নামে যা করলেন, সৌদি আরবসহ অন্য যে কোন মুসলিম দেশে তা করলে, হাজার হাজার লাশ পড়তো ও আপনারা সবাই এখন জেলে থাকতেন। কে প্রকৃত মুসলমান, আর কে নাসিত্মক-মুরতাদ তার পরীক্ষিা আপনাদের কাছে দিতে হবে কেন? আপনারা কি কোন নবী-রাসুল? কোরান-হাদিস পড়ে আপনারা যা জেনেছেন, আমরাও তা জেনেছি? আপনার ব্যাখ্যা আমার জন্য মানা বাধ্যতামূলক কেন? তাহলে তাফসির-গ্রন্থ (ব্যাখ্যা) হাজার হাজার কেন? বাংলাদেশে ও বিশ্বের সকল মানুষের কাছে ‘পবিত্র ইসলাম’কে আপনারা কিভাবে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে তুলে ধরছেন? এর জবাব কি কিয়ামতে আপনাদের দিতে হবেনা?



নবী (স.) ও তাঁর সাহাবা, ৪-খলিফাগণ কোন আল্লামা, শাইখুল হাদিস, মুফতী ইত্যাদি লোক দেখানো ডিগ্রী না লাগালেও, আপনারা এই জাতীয় ডিগ্রী নিজের নামের সঙ্গে লাগিয়ে কি দেখালেন ইসলামের নামে?



পবিত্র কোরান-হাদিস ও অন্যের সম্পত্তি পোড়ালেন, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস করলেন। বাংলাদেশে আপনারা ইসলামের নামে যা করলেন, সৌদি আরবসহ অন্য যে কোন মুসলিম দেশে তা করলে, হাজার হাজার লাশ পড়তো ও আপনারা সবাই এখন জেলে থাকতেন। কে প্রকৃত মুসলমান, আর কে নাসিত্মক-মুরতাদ তার পরীক্ষিা আপনাদের কাছে দিতে হবে কেন? আপনারা কি কোন নবী-রাসুল? কোরান-হাদিস পড়ে আপনারা যা জেনেছেন, আমরাও তা জেনেছি? আপনার ব্যাখ্যা আমার জন্য মানা বাধ্যতামূলক কেন? তাহলে তাফসির-গ্রন্থ (ব্যাখ্যা) হাজার হাজার কেন? বাংলাদেশে ও বিশ্বের সকল মানুষের কাছে ‘পবিত্র ইসলাম’কে আপনারা কিভাবে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে তুলে ধরছেন? এর জবাব কি কিয়ামতে আপনাদের দিতে হবেনা?



পবিত্র কোরআন পোড়ানোয় হেফাজতী ও জামাত-শিবিরের কাছে একজন মুসলমানের প্রশ্ন-২



হেফাজত না পুড়িয়ে আওয়ামী লীগ বা এই ঘরানার কেউ যদি এভাবে কয়েকশ’ পবিত্র কোরান-হাদিস গ্রন্থ পুড়িয়ে দিতো, তবে মনে হয় হেফাজত-জামায়াতপন্থীরা আজ বাংলাদেশের আকাশ-পাতাল-সাগর একাকার করতো ‘ইসলাম গেল বলে’ কিন্তু তাদের হাতে কাজটি হওয়াতে তারা ও তাদের সমর্থকরা একদম চুপ। এখন ‘‘তৌহিদী ইমানী জজবাধারী’’-দের আকিদায় কি একটুও আঘাতে লাগেনি? [একেই বোধহয় বলে ‘‘দেবতারা করলে লীলাখেলা আর মানুষে করলে পাপ’’]। হায় বাংলাদেশে কারা পেল ইসলামের ‘হেফাজতের ঠিকা’? কয়েকশ’ গরিব হকারের দোকানে আগুন, অফিস-আদালত লুট-ভাংচুর, রাসত্মার গাছ ও ইট-পাথর উপড়িয়ে প্রতিবাদ দেখানোর হিকমত দেখে মনে হচ্ছে কোন আদিম অসভ্য মানুষের কাজ এগুলো। কোন মুসলমানের ভাষা ও কাজ যদি এমন হয়, তবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্য দেশের মানুষরা মুসলমানকে ‘সন্ত্রাসী’ বলবে না কেন?



হেফাজত না পুড়িয়ে আওয়ামী লীগ বা এই ঘরানার কেউ যদি এভাবে কয়েকশ’ পবিত্র কোরান-হাদিস গ্রন্থ পুড়িয়ে দিতো, তবে মনে হয় হেফাজত-জামায়াতপন্থীরা আজ বাংলাদেশের আকাশ-পাতাল-সাগর একাকার করতো ‘ইসলাম গেল বলে’ কিন্তু তাদের হাতে কাজটি হওয়াতে তারা ও তাদের সমর্থকরা একদম চুপ। এখন ‘‘তৌহিদী ইমানী জজবাধারী’’-দের আকিদায় কি একটুও আঘাতে লাগেনি? [একেই বোধহয় বলে ‘‘দেবতারা করলে লীলাখেলা আর মানুষে করলে পাপ’’]। হায় বাংলাদেশে কারা পেল ইসলামের ‘হেফাজতের ঠিকা’? কয়েকশ’ গরিব হকারের দোকানে আগুন, অফিস-আদালত লুট-ভাংচুর, রাসত্মার গাছ ও ইট-পাথর উপড়িয়ে প্রতিবাদ দেখানোর হিকমত দেখে মনে হচ্ছে কোন আদিম অসভ্য মানুষের কাজ এগুলো। কোন মুসলমানের ভাষা ও কাজ যদি এমন হয়, তবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্য দেশের মানুষরা মুসলমানকে ‘সন্ত্রাসী’ বলবে না কেন?



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার হাদিস নং ৩



‘‘আবদুল্লাহ’’ ও ‘‘আব্দুর রহমান’’ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নাম (তিরমিযী-২৮৩৩)



কিন্তু হেফাজত ও জামাত শিবিরের মধ্যে অধিকাংশ সদস্যের নাম ‘‘আবদুল্লাহ’’ বা ‘‘আব্দুর রহমান’’ নয়। তারা ক’জনে নিজের নাম বদলিয়ে উপরোক্ত নাম রেখেছেন? কাজেই নিজেরা আল্লাহর ‘‘সবচেয়ে প্রিয় নাম’’ না রেখে অন্যের জন্য কিভাবে ১৩-দফা বাজারে ছাড়ছেন বা চালু করতে চান?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে তোমরা পা দিওনা, যারা বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের একা ফেলে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায়।



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ - ৪



হাদিস : নবী (স.) বলেছেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে যখন কেউ কিছু খায়, তখন তা মোছার আগে সে যেন তার হাত চাটে কিংবা অন্য কাউকে দিয়ে চাটায়’’ (বুখারী-৫০৫২)



এখন ১৩-দফা প্রদান ও সমর্থনকারীগণ দয়া করে বলুন, বাংলাদেশ কিংবা বিশ্বের অন্য কোন দেশে বর্তমানে কি এটা বাস্তবায়ন সম্ভব? আপনারা কি আপনাদের হাত অন্যকে দিয়ে চাটাবেন কিংবা হোটেলগুলোতে একে অন্যের হাত চাটবে? বিশ্বের কোন্ দেশে এটি এখন অনুসরণ করা হচ্ছে? যদি বর্তমান বাস্তবতায় আপনারা বিষয়টি মানতে না পারেন, তবে অন্যের জন্য ১৩-দফা মানতে বলছেন কেন?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের একা ফেলে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায়।



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ - ৫



হাদিস : “৩-বার মালিককে ডেকেও না পাওয়া গেলে তার অনুপুস্থিতে পশুর দুধ দোহন করে খাওয়া যাবে কিন্তু সাথে নেয়া যাবেনা” (তিরমিযী-১২৩৩), “কারো বাগানে প্রবেশ করে ফল খাওয়া যাবে কিন্তু পুটুলী বেঁধে নেয়া যাবেনা” (তিরমিযী-১২২৪)



এখন ১৩-দফা প্রদান ও সমর্থনকারীগণ দয়া করে বলুন, বাংলাদেশ কিংবা বিশ্বের অন্য কোন দেশে বর্তমানে কি এটা বাস্তবায়ন সম্ভব? আপনারা কি আপনার পশু অন্য দোহন করলে কিংবা আপনার বাগানের ফল অন্যে খেলে তা সহজে মেনে নেবেন? যদি বর্তমান বাস্তবতায় আপনারা বিষয়টি মানতে না পারেন তবে অন্যের জন্য ১৩-দফা মানতে বলছেন কেন?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের একা ফেলে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায়।



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ - ৬



হাদিস : নবী (স.) বলেছেন, “শিঙ্গা লাগানো সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসা” (আবু দাউদ-২০৯৮), “নবী রোযা, ইহরাম ও স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তমোক্ষণ (শিঙ্গা) করিয়েছেন এবং শিঙ্গাকে সবচেয়ে উত্তম চিকিৎসা বলেছেন” (বুখারী-৫২৮২-৪), “মিরাজের রাতে দেখা হওয়া সকল ফিরিস্তা নবীকে ও তার উম্মতকে শিঙ্গা লাগাতে বলেছেন” (তিরমিযী-২০০৩)



এখন ১৩-দফা প্রদান ও সমর্থনকারীগণ দয়া করে বলুন, বাংলাদেশ কিংবা বিশ্বের অন্য কোন দেশে (এমনকি সৌদি আরবসহ মুসলিম দেশগুলোতে) বর্তমানে শিঙ্গা লাগানোর চিকিৎসা আছে কি? আপনারা কি আধুনিক চিকিৎসার বদলে ‘শিঙ্গা চিকিৎসা’ ব্যবহার করেন? বর্তমান হাসপাতালে-চিকিৎসায় এটা কি বাস্তবায়ন সম্ভব? যদি বর্তমান বাস্তবতায় আপনারা বিষয়টি মানতে না পারেন, তবে অন্যের জন্য ১৩-দফা মানতে বলছেন কেন?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের একা ফেলে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায়।



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ৭



হাদিস : নবী (স.) বলেছেন, “ইহুদী-খ্রীস্টানদের প্রথমে সালাম দিওনা, রাস্তায় দেখা হলে তাদের রাস্তার পাশে ঠেলে দিও” (তিরমিযী-১৫৪৯)



এখন ১৩-দফা প্রদান ও সমর্থনকারীগণ দয়া করে বলুন, বাংলাদেশ কিংবা বিশ্বের অন্য কোন দেশে বর্তমানে নন-মুসলিম কাউকে সালামের বদলে রাস্তার পাশে ঠেলে দেয়া সম্ভব কি? এটা কি বিশ্বের সভ্য মানুষ মেনে নেবে? আপনারা কি এভাবে নন-মুসলিমদের সালামের বদলে পাশে ঠেলে দেন? গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে নয়, মক্কা-মদিনার হেফাজতকারী মুসলিম রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবেও কি এটি বাস্তবায়ন করা হয়? আসলে একুশ শতকে অবাস্তব বলে বিশ্বের কোথাও এটি প্রতিপালিত হয় না। যদি বর্তমান বাস্তবতায় একুশ শতকে ১৪০০ বছরের পুরণো বিষয়বস্ত্ত/বিষয়টি আপনারা মানতে না পারেন, তবে অন্যকে ১৩ দফা মানতে ভয়-ভীতি দেখাচেছন কেন?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের একা ফেলে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায়।



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ৮



হাদিস : ‘‘নবী (স.) ইয়ামেনী নন-মুসলিম প্রত্যেক ব্যক্তি থেকে ‘জিযিয়া কর’ হিসেবে ১-দিনার কিংবা ১টি মুয়াফিনি কাপড় আদায়ের জন্য মুআযকে (রা.) নির্দেশ দেন’’ (আবু দাউদ-৩০২৮), ‘‘নবী নাজরানের খ্রীস্টানদের সঙ্গে এইমর্মে চুক্তি করেন যে, নিমণরূপ শর্তে তাদের গীর্জা ধ্বংস করা হবেনা ও পাদ্রীদের বের করে দেয়া হবেনা : ১) সফর মাসে ১০০০-জোড়া কাপড় ও রজব মাসে ১০০০ জোড়া কাপড় খ্রীস্টানরা মুসলমানদের দেবে, ২) তা ছাড়া ৩০টি বর্ম, ৩০-টি ঘোড়া, ৩০-টি উট ও অন্যান্য যুদ্ধাপকরণ ৩০-টি ধার হিসেবে মুসলমানদের দেবে। তাছাড়া খ্রীস্টানরা সুদ খাবেনা। কিন্তু উপরের সব শর্ত মানার পরও খ্রীস্টানরা সুদ বহাল রাখলে, সুদের কারণে নবী (স.) তাদের দেশ থেকে বের করে দেন’’ (আবু দাউদ-৩০৩১)



এখন ১৩-দফা প্রদান ও সমর্থনকারীগণ দয়া করে বলুন, বাংলাদেশ কিংবা বিশ্বের অন্য কোন দেশে বর্তমানে নন-মুসলিম থেকে কি ‘নন-মুসলিম কর’ আদায় করা সম্ভব? তা ছাড়া কোন গির্জাকে কি উপরোক্ত শর্ত দিলে ২০১৩ সনের বিশ্বের মানুষ মানবে? তাহলে সংখ্যালঘু মুসলিম বসবাসকারী দেশে তো ‘মুসলিম কর’ প্রয়োগ করা হতে পারে। তাই না কি? আর অন্য ধর্মের লোকেরা সুদ গ্রহণ করলে মুসলমানদের কি? এ ছাড়া বর্তমানে সৌদি আরবসহ বিশ্বের প্রায় সকল ব্যাংকিং ব্যবস্থাই সুদ-নির্ভর। এখন আপনারাও কারো থেকে জিযিয়া কর আদায় করছেন না কিংবা বাংলাদেশ ও বিশ্বের গির্জাগুলো উপরোক্ত শর্ত না মেনেই তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে, সুতরাং বর্তমান প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতায় একুশ শতকে ১৪০০ বছরের পুরণো বিষয়বস্ত্ত/বিষয়টি আপনারা মানতে না পারেন, তবে অন্যকে ১৩ দফা মানতে ভয়-ভীতি দেখাচেছন কেন?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের একা ফেলে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায়।

হাদিস : ‘‘নবী (স.) ইয়ামেনী নন-মুসলিম প্রত্যেক ব্যক্তি থেকে ‘জিযিয়া কর’ হিসেবে ১-দিনার কিংবা ১টি মুয়াফিনি কাপড় আদায়ের জন্য মুআযকে (রা.) নির্দেশ দেন’’ (আবু দাউদ-৩০২৮), ‘‘নবী নাজরানের খ্রীস্টানদের সঙ্গে এইমর্মে চুক্তি করেন যে, নিমণরূপ শর্তে তাদের গীর্জা ধ্বংস করা হবেনা ও পাদ্রীদের বের করে দেয়া হবেনা : ১) সফর মাসে ১০০০-জোড়া কাপড় ও রজব মাসে ১০০০ জোড়া কাপড় খ্রীস্টানরা মুসলমানদের দেবে, ২) তা ছাড়া ৩০টি বর্ম, ৩০-টি ঘোড়া, ৩০-টি উট ও অন্যান্য যুদ্ধাপকরণ ৩০-টি ধার হিসেবে মুসলমানদের দেবে। তাছাড়া খ্রীস্টানরা সুদ খাবেনা। কিন্তু উপরের সব শর্ত মানার পরও খ্রীস্টানরা সুদ বহাল রাখলে, সুদের কারণে নবী (স.) তাদের দেশ থেকে বের করে দেন’’ (আবু দাউদ-৩০৩১)



এখন ১৩-দফা প্রদান ও সমর্থনকারীগণ দয়া করে বলুন, বাংলাদেশ কিংবা বিশ্বের অন্য কোন দেশে বর্তমানে নন-মুসলিম থেকে কি ‘নন-মুসলিম কর’ আদায় করা সম্ভব? তা ছাড়া কোন গির্জাকে কি উপরোক্ত শর্ত দিলে ২০১৩ সনের বিশ্বের মানুষ মানবে? তাহলে সংখ্যালঘু মুসলিম বসবাসকারী দেশে তো ‘মুসলিম কর’ প্রয়োগ করা হতে পারে। তাই না কি? আর অন্য ধর্মের লোকেরা সুদ গ্রহণ করলে মুসলমানদের কি? এ ছাড়া বর্তমানে সৌদি আরবসহ বিশ্বের প্রায় সকল ব্যাংকিং ব্যবস্থাই সুদ-নির্ভর। এখন আপনারাও কারো থেকে জিযিয়া কর আদায় করছেন না কিংবা বাংলাদেশ ও বিশ্বের গির্জাগুলো উপরোক্ত শর্ত না মেনেই তাদের কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে, সুতরাং বর্তমান প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতায় একুশ শতকে ১৪০০ বছরের পুরণো বিষয়বস্ত্ত/বিষয়টি আপনারা মানতে না পারেন, তবে অন্যকে ১৩ দফা মানতে ভয়-ভীতি দেখাচেছন কেন?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের একা ফেলে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায়।



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ৯



হাদিস : ‘‘নবী (স.) ক্রয়-বিক্রয়ে বায়না নিষেধ করেছেন (দাউদ-৩৪৬৬), নবী গ্রামের লোকদের জিনিসপত্র শহুরে লোকদের বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন (তিরমিযী-১১৬০), নবী পানি বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন’’ (তিরমিযী-১২০৮)



এখন ১৩-দফা প্রদান ও সমর্থনকারীগণ দয়া করে বলুন, বাংলাদেশ কিংবা বিশ্বের অন্য কোন দেশে ক্রয়-বিক্রয়ে বায়না কি বন্ধ করা সম্ভব? পৃথিবীর সর্বত্র এখন বায়নার মাধ্যমে কেনা-বেচা চলে [যেমন এদেশে বাড়ি-জমি, ব্যাংকে এলসি ইত্যাদি], এখন বিশ্বময় গ্রাম-শহরের লোকেরা একত্রে কেনা-বেচা করছে, সৌদি আরবসহ সবদেশেই পানি বিক্রি হচ্ছে (মিনারেল, সাপস্নাই ইত্যাদি]। ১৩-দফা প্রদানকারীগণ কি কোন কাজে বায়না করেননা, গ্রাম-শহর মিক্স (গ্রাম-শহর বসবাসকারী কে নির্ধারণ করবে?) ও পানি ক্রয়-বিক্রয় করেন না? যদি নিজেরা উপরোক্ত কাজগুলো করে থাকেন এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতায় যদি একুশ শতকে বিষয়টি আপনারা মানতে না পারেন, তবে অন্যকে ১৩-দফা মানতে বাধ্য, ভয়-ভীতি বা দেশে বিভ্রান্তি ও অশান্তি সৃষ্টি করছেন কেন?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে [এবং পবিত্র কা’বা ঘরের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার ও সাঈদীকে চাঁদে দেখার মিথ্যাচার করাসহ] বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের অরক্ষিত রেখে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায়।



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ১০



হাদিস : ‘‘যতদিন পৃথিবীতে দু’জন লোকও অবশিষ্ট থাকবে, ততদিন শাসনভার চিরকাল কুরাইশদের হাতেই থাকবে (বুখারী-৩২০৪), ১২-জন আমীর হবেন যারা মুসলিম বিশ্ব শাসন করবে এবং সকলে হবে কোরাইশ বংশের (বুখারী-৬৭১৬), খিলাফত সব সময় কুরাইশদের মধ্যে বিরাজমান থাকবে, এমনকি তাদের মধ্যে ২-জন লোক অবশিষ্ট থাকলেও (বুখারী-৬৬৪১), রাজত্ব কুরাইশদের, বিচার বিধান আনসারদের, আযান হাবশীদের, আমানতদারী ইয়ামানীদের’’ (তিরমিযী-৩৮৭১)



এখন ১৩-দফা প্রদান ও সমর্থকারীগণ দয়া করে বলুন, জাতিসংঘের আওতাভুক্ত ১৯৩-টি দেশের কোনোটিতে কি কুরাইশ বংশের লোকেরা শাসন করছে? আপনারা নিজেরা কি কুরাইশ বংশের? যদি উপরের হাদিস আপনারা মানতেন, তবে অবশ্যই দ্রাবিঢ়-কোল-ভীল-মুণডা সমৃদ্ধ অকুরাইশ নৃ-গোষ্ঠির বাংলাদেশে তাণডব না গড়ে, সৌদি আরবে গিয়ে কুরাইশ বংশের লোকদের নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতেন, যাতে সৌদি রাজবংশকে হটিয়ে আরব দেশগুলোতে ‘কুরাইশ শাসন’ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। কিন্তু তা না করে বাংলাদেশের ‘অকুরাইশ লোকজনদের শাসন ক্ষমতায় আনার জন্য’ আপনারা নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছেন, যা উপরোক্ত হাদিস বিরোধী। সুতরাং যা আপনারা নিজেরা মানতে পারছেন না, তার নামে ১৩-দফা দিয়ে বাংলাদেশে অশান্তি সৃষ্টি করছেন কেন?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে [এবং পবিত্র কা’বা ঘরের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার ও সাঈদীকে চাঁদে দেখার মিথ্যাচার করাসহ] বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের অরক্ষিত রেখে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায়।



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ১১



হাদিস : ‘‘প্রতিবেশি ঘরের দেয়ালের সাথে পিলার স্থাপন করতে চাইলে তাকে অনুমতি দাও (তিরমিযী-১২৯০), দালান-কোঠা নির্মাণের ব্যয়ে কোন কল্যাণ নেই (তিরমিযী-২৪২৩), রাস্তা ৭-হাত প্রশস্ত করে বানাও ’’ (তিরমিযী-১২৯২)



এখন ১৩-দফা প্রদান ও সমর্থনকারীগণ দয়া করে বলুন, আপনার প্রতিবেশি কেউ তার বাড়ি নির্মাণকালে তার ঘরের পিলার (৩/৬-ফুট না ছেড়ে) আপনার পিলারের সাথে স্থাপন করতে চাইলে আপনি কি তাকে অনুমতি দেন? নবী (স.) ‘কল্যাণহীন’ বলেছেন বিধায়, আপনারা কি দালান-কোঠা বানানো বন্ধ রেখেছেন? আপনারা এবং বিশ্বের ১৯৩-টি দেশের কেউ কি বর্তমান যুগের চাহিদা মোতাবেক মাত্র ৭-হাত প্রশস্ত রাস্তা বানায় বা বানাবে? আমার বাছাইকৃত উপরোক্ত হাদিসগুলো যদি আপনারা মানতে না পারেন, তবে আপনাদের স্বার্থে বাছাইকৃত ও নির্বাচিত ১৩-দফা মানতে ১৫-কোটি মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন কেন?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে [এবং পবিত্র কা’বা ঘরের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার ও সাঈদীকে চাঁদে দেখার মিথ্যাচার করাসহ] বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের অরক্ষিত রেখে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায় মন্ত্রী হওয়ার বাসনা নিয়ে।



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ১২



হাদিস : ‘‘নবী (স.)-এর স্ত্রীগণ প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে কেবল রাতের বেলাতেই (পর্দাজনিত কারণে) ঘর থেকে বের হতেন’’ (বুখারী-৫৭৯৮)



এখন ১৩-দফা প্রদান ও সমর্থনকারীগণ দয়া করে বলুন, সৌদি আরবসহ বিশ্বের ১৯৩-টি দেশের কোনোটিতে কি এখন মহিলারা শুধু রাতেই বের হন? আপনাদের ঘরের নারীরা কি দিনে টয়লেটে যান না? আপনারা কি উপরের হাদিসের আলোকে মহিলাদের ‘প্রকৃতির ডাক’ নিয়ন্ত্রণ করেন? যদি না করে থাকেন, তবে আপনারা ইসলাম পরিপূর্ণভাবে মানছেন কই? সহীহ বুখারী শরীফ থেকে আমার বাছাইকৃত উপরোক্ত হাদিস টি যদি আপনারা মানতে না পারেন, তবে আপনাদের স্বার্থে বাছাইকৃত ও নির্বাচিত ১৩-দফা মানতে ১৫-কোটি মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন কেন?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে [এবং পবিত্র কা’বা ঘরের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার ও সাঈদীকে চাঁদে দেখার মিথ্যাচার করাসহ] বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের অরক্ষিত রেখে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায় মন্ত্রী হওয়ার বাসনা নিয়ে।

হাদিস : ‘‘নবী (স.)-এর স্ত্রীগণ প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে কেবল রাতের বেলাতেই (পর্দাজনিত কারণে) ঘর থেকে বের হতেন’’ (বুখারী-৫৭৯৮)



এখন ১৩-দফা প্রদান ও সমর্থনকারীগণ দয়া করে বলুন, সৌদি আরবসহ বিশ্বের ১৯৩-টি দেশের কোনোটিতে কি এখন মহিলারা শুধু রাতেই বের হন? আপনাদের ঘরের নারীরা কি দিনে টয়লেটে যান না? আপনারা কি উপরের হাদিসের আলোকে মহিলাদের ‘প্রকৃতির ডাক’ নিয়ন্ত্রণ করেন? যদি না করে থাকেন, তবে আপনারা ইসলাম পরিপূর্ণভাবে মানছেন কই? সহীহ বুখারী শরীফ থেকে আমার বাছাইকৃত উপরোক্ত হাদিস টি যদি আপনারা মানতে না পারেন, তবে আপনাদের স্বার্থে বাছাইকৃত ও নির্বাচিত ১৩-দফা মানতে ১৫-কোটি মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন কেন?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে [এবং পবিত্র কা’বা ঘরের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার ও সাঈদীকে চাঁদে দেখার মিথ্যাচার করাসহ] বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের অরক্ষিত রেখে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায় মন্ত্রী হওয়ার বাসনা নিয়ে।



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ১৩



হাদিস : মদীনার মেয়েদের খতনা (ভগাঙ্কুর কাটা) প্রসঙ্গে নবী (স.) বলেন, “মেয়েদের যৌনাঙ্গ বেশি গভীর করে কেটোনা, কারণ এটা মেয়েদের শরীরের এমন ১-টা অংশ, যা পুরুষের কাছে খুবই প্রিয়” (আবু দাউদ-৫১৮১, পৃ.১০৯২)।



সৌদি আরব, বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশেই এখন মেয়েদের খতনা বেআইনী তথা নিষিদ্ধ। ইসলামে মেয়েদের খতনা নিষিদ্ধ করেনি, কেবল ‘অগভীর’ করে কাটতে বলেছে। নারীর খতনা বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। খতনার উদ্ভব ইহুদী সমাজে। এটি সতীদাহের মতো অমানবিক ও নিষ্ঠুর। যদিও এখনো সিয়েরা লিয়নে কাজটি রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃত। ২০১৩ সনে বাংলাদেশে এ কাজটি করা কি বাস্তবসম্মত বলে আপনারা মনে করেন? যদি বাস্তবসম্মত না বলেন, তবে আপনারা ইসলাম পরিপূর্ণভাবে মানছেন কই? আমার বাছাইকৃত উপরোক্ত হাদিস যদি আপনারা মানতে না পারেন, তবে আপনাদের স্বার্থে বাছাইকৃত ও নির্বাচিত ১৩-দফা মানতে ১৫-কোটি মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন কেন?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে [এবং পবিত্র কা’বা ঘরের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার ও সাঈদীকে চাঁদে দেখার মিথ্যাচার করাসহ] বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের অরক্ষিত রেখে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায় মন্ত্রী হওয়ার বাসনা নিয়ে।



সরকারকে অনুরোধ পবিত্র ইসলামের নামে এইরূপ ভন্ডামি ‘নিষিদ্ধ’ করুন ।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: এত বিরাট গবেশণা!
এত কিছুর কী দরকার ছিল?
সোজা গুলিকরে দিলেইতো হয়! ( তার আগে অব্শ্ব লাইট/মিডিয়া বন্ধ করে নিতে হবে! )

এইসব লোকদের গুলি করে মারা ছাড়া আমাদের স্বাধীনতার চেতনা রক্ষার আর কোন উপায় আছে কি??

২৩ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

রুবেল১৯৮৭ বলেছেন: ভাই কাঙ্গাল মুরশিদ তাহলে যানোয়ার আর মানুষে পার্থক্য থাকবে না।

২| ২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:০২

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: কাঙ্গাল মুরশিদ -সহমত

৩| ২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১২

মাহমুদুর রাহমান বলেছেন: ১ নং কাঙ্গাল মুরশিদ জাঝা।



কয় শত ক্রশ করিয়া ভ্রমন তেনার অন্বেষণে ব্রাদার? পুরোটা পড়ার টাইম নাই, প্রথম দিকে দেখেই লেঞ্জা দেখে সময় নষ্ট করলাম না।

যে টুকু পড়লাম তার উত্তরে ঃ সৌদি আরবের শাস্তির কথা বলেছেন , সেখানে এমন কিছু ঘটেনা যাতে এমন আন্দোলন করতে হয়, সেখানের চিপ মিনিস্টার কোন নাস্তিক কে শহীদ বলে না, আল্লাহর উপর সরকারী ভাবে আস্থা তুলে ফেলেনা যতটুকু জানি।

আর ছাগলের মত প্রশ্ন >> আপনারা কি কোন নবী-রাসুল?

উত্তর ঃ আলেম রা নবীর উত্তরাধিকারী

আপনি যেকন একটা তাফসীর আগে মানুন তাহলেই সমস্যা সমাধান হবে। তবে মাওলানা তানিয়া আমীর আর মাজারপসারিনি মাইজভাণ্ডারী কিংবা মাওলানা ইনুর তাফসীর যদি মানেন তাইলে আর কোন কথা নাই।


জাকির নায়েক যখন ধর্মীয় কথা বলে আপ্নারাই বলেন সেতো আলেম না, সে কেন ইসলাম ধর্মের ব্যাখ্যা দিবে,
আপনাদের পকেটের ফরিদুদ্দিন মাসুদ , চামচা মিসবাহ , কাদিয়ানী ড্যান্স শামিম দের কেন ব্যবহার করেন তাইলে ? এগুলো লোক দেখানো না।



ক্যাচাল লাগানো পোস্ট দিয়েন না। অনেক বিষয় আছে। আর এটা পেশা হলে মাফ চাই। ভালো থাকুন।

৪| ২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১২

এই আমি রবীন বলেছেন: কোন কোন ক্ষেত্রে লেখা একাধিকবার এসেছে/পেষ্ট হয়েছে।
দয়া করে ঠিক করুন।

২৩ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

রুবেল১৯৮৭ বলেছেন: লেখা একাধিক কারণ প্রশ্ন প্রয়োজনে

৫| ২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

প্রকৌশলী আতিক বলেছেন:
নবী (স.) ও তাঁর সাহাবা, ৪-খলিফাগণ কোন আল্লামা, শাইখুল হাদিস, মুফতী ইত্যাদি লোক দেখানো ডিগ্রী না লাগালেও, আপনারা এই জাতীয় ডিগ্রী নিজের নামের সঙ্গে লাগিয়ে কি দেখালেন ইসলামের নামে?

পবিত্র কোরান-হাদিস ও অন্যের সম্পত্তি পোড়ালেন, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস করলেন। বাংলাদেশে আপনারা ইসলামের নামে যা করলেন, সৌদি আরবসহ অন্য যে কোন মুসলিম দেশে তা করলে, হাজার হাজার লাশ পড়তো ও আপনারা সবাই এখন জেলে থাকতেন। কে প্রকৃত মুসলমান, আর কে নাসিত্মক-মুরতাদ তার পরীক্ষিা আপনাদের কাছে দিতে হবে কেন? আপনারা কি কোন নবী-রাসুল? কোরান-হাদিস পড়ে আপনারা যা জেনেছেন, আমরাও তা জেনেছি? আপনার ব্যাখ্যা আমার জন্য মানা বাধ্যতামূলক কেন? তাহলে তাফসির-গ্রন্থ (ব্যাখ্যা) হাজার হাজার কেন? বাংলাদেশে ও বিশ্বের সকল মানুষের কাছে ‘পবিত্র ইসলাম’কে আপনারা কিভাবে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে তুলে ধরছেন? এর জবাব কি কিয়ামতে আপনাদের দিতে হবেনা?[/si

এইটুকু পড়ে, নেক্সট দেখলাম, আবার কপি পেষ্ট। সো, আপনি অন্য কোথাও হতে কপি করেছেন অর নিজে অন্যখানে লিখে পেষ্ট করেছেন। যেই টাই হোক, দুইটাই আপনার সাথে যায়। অন্যের লেখা না পড়ে/বুঝে পেষ্ট দেয়া অথবা নিজের মাথা থেকে এরকমের জ্ঞান গর্ভ পোষ্ট শুধু ভাদাদের ক্ষেত্রেই ঘটে।

ভোদাই, সেই আমলে কয়টা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বল? আর কোরান হাদিস এবং এর পড়াশুনা বলতে কি বুঝিছ সেটা ও বল।

তোর জন্যে একটা ভিডি ও আছে। এখানে দেখ।
http://ireport.cnn.com/docs/DOC-970037

আমারে যে ছাগু কইব ঐ একটা খানকির পোলা।

৬| ২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

মুঘল সম্রাট বলেছেন: সরকার ভুল করছে সবগুলারে না মাইরা। কারন এরা সবাই রাজাকার।

এইসব লোকদের গুলি করে মারা ছাড়া আমাদের স্বাধীনতার চেতনা রক্ষার আর কোন উপায় আছে কি ?


আল্লাহ্ ছাড়া কোন মাবুদ নাই। মোহাম্মদ (সা: ) আল্লাহর রাসুল।

৭| ২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

কসমিক রোহান বলেছেন: Islam k jante o shikhte hobe emon ekjon er kache theke jar islam er ilm esheche urdhokrome shoyong rasul (sm) kache theke. Eka eka boi-kitab pore nijer moner moto kore ortho kore nile obossoi prokrito islam k jana jabena.
Mr. Moududi srishto bortomane JAMA'AT ISLAM ejonnoi tara poripurno sohih na. Tader besh vranti ache.
Islam k shothik rupe jante o poripurno vabe bujhte hole obossoi ekdom root level theke bujhte hobe , majhkhan theke bujha jabena.
Bangladesh a Islam totha AL-QUR'AN ebong SUNNAH shikhte chaile obossoi je kono hakkani koumi madray shikkha nilei cholbe.


R hifazat-e-islami hakkani alemgon er e ek bishal orajnoitik shongothon. Jader duniabi kono shartho nei. Tara shudhumatro AL-QUR'AN ebong NOBIJI (sm) er SUNNAH ke rokkha korar kolpei tader shokol andolon. Tarai ekmatro poripurno islam k mana ek bishal goshthi.
Jader ontore QUR'AN, jara QUR'AN er ayeen protishthar dabite eto boro nissartho andolon korlen, ebong eto shohosradhik jon alem shohid holen shudhu AL-QURAN k rokkha -kolpe.

৮| ২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

শফিক আলম বলেছেন: সময়োপযোগী লেখা। যদিও খুব দীর্ঘ, যার প্রয়োজন ছিল না। আমিও এই সব নিয়ে ভাবছিলাম। হেফাজতীরা তো তাদের জীবনের সব ইবাদত-বন্দেগী বরবাত করে দিয়েছে। এরা হচ্ছে ধর্মান্ধ। কোরান-হাদিসের এমন অনেক অংশ আছে যা তারা লুকিয়ে রাখবে এবং মাদ্রাসার ছেলে-মেয়েদেরও পড়তে দেবে না। নিজেদের কর্তৃত্ত্ব কুক্ষিগত করে রাখার জন্য সীমাবদ্ধ সিলেবাসের মধ্যেই এদের লেখাপড়ে করিয়ে থাকে। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, এই রকম নিষ্ঠুর ভাবে মসজিদে আগুন এবং কোরআন-হাদিস পোড়ানোর পরও তারা দু্ঃখ করে কোন বিবৃতি পর্যন্ত দিল না? এতগুলো টুপি-দাড়িওয়ালা মানুষ, তারা অন্ধ হয়ে গেল! শয়তানের এতো শক্তি? সেদিনের সেই দৃশ্যগুলো মনে হলে এখনো চোখে পানি এসে যায়। আলেম কাকে বলে? আমি এদের কখনো আলেম বলি না। ইলম কি শুধু কোরান হাদিসেই সীমাবদ্ধ থাকার কথা? একজন আলেম সে-ই যে সকল জ্ঞান ধারন করে। মার-মার, কাট-কাটের কথা কোথায় লেখা আছে? নিচের আয়াতগুলো একবার দেখে নেই...
"আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দযুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।" (16 An-Nahl, Ayat 125)
"সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্বজন, এতীম-মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।" (2 Al Baqara, Ayat 177)
"তারা যা বলে, তা আমি সম্যক অবগত আছি। আপনি তাদের উপর জোরজবরদস্তকারী নন। অতএব, যে আমার শাস্তিকে ভয় করে, তাকে কোরআনের মাধ্যমে উপদেশ দান করুন।" (50 Qaf, Ayat 45)

৯| ২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

কসমিক রোহান বলেছেন: Tara QUR'AN puriyeche ekotha pagoleo bissash korbena.
Media te agun deyar sthane jader dekhano hoyeche shekhane daritupi dhari ekjon lok-ke-o dekha jayni. Borong onnanno media-te DEBASHISH BISSASH namer hindu bongshodvuto ek awami-shovapotir biruddhe AL-QUR'AN poranor ovijog esheche.
Oder dolio sharthe eta j natok shajiye hefajot er ghare chapano hoyeche ta je keu bujhte pare.

"ora chokranto kore, ALLAH oporikolpona koren, r porikolponakarider moddhe ALLAHOI uttom"
"borong tader chokranto tader biruddhei jay"

Al-QUR'AN er duti ayat.

১০| ২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

কসমিক রোহান বলেছেন: Tara QUR'AN puriyeche ekotha pagoleo bissash korbena.
Media te agun deyar sthane jader dekhano hoyeche shekhane daritupi dhari ekjon lok-ke-o dekha jayni. Borong onnanno media-te DEBASHISH BISSASH namer hindu bongshodvuto ek awami-shovapotir biruddhe AL-QUR'AN poranor ovijog esheche.
Oder dolio sharthe eta j natok shajiye hefajot er ghare chapano hoyeche ta je keu bujhte pare.

"ora chokranto kore, ALLAH oporikolpona koren, r porikolponakarider moddhe ALLAHOI uttom"
"borong tader chokranto tader biruddhei jay"

Al-QUR'AN er duti ayat.

১১| ২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৮

ফরিদ আলম বলেছেন: খুব সুন্দর লেখাটা। আমার মতে ইসলামী রাষ্ট্র জবরদস্তি কায়েম করা সম্ভব নয়। যখন সকলে ইসলাম মানবে, ইসলামকে ভালোবাসবে তখন এমনিতেই ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়ে যাবে। কিন্তু হাদীস গুলো নিয়ে আমি সন্দিহান। কারণ আজ পর্যন্ত এধরণের হাদিস আমার নজরে পড়েনি।
যেমন,

..... কিংবা অন্য কাউকে দিয়ে চাটায়’’

......রাস্তায় দেখা হলে তাদের রাস্তার পাশে ঠেলে দিও”

এগুলো কোথা থেকে নিয়েছেন। মানে সরাসরি বই থেকে নাকি অনলাইন থেকে। আমাকে খটকা লাগছে।

২৩ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

রুবেল১৯৮৭ বলেছেন: এগুলো আমান মনের প্রশ্ন। উত্তর গুলো বিভিন্ন বই থেকে নেওয়া।

১২| ২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

আলাপচারী বলেছেন: স্যালুট।
আরো লেখা চাই।

১৩| ২২ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

পিচ্চি পোলা বলেছেন: হেজাফাতিদের দুই গালে
জুতা মারো তালে তালে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.