![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ১৪
হাদিস : মদিনার মাহযুরা জমিতে পানি বন্টন নিয়ে বিবাদ লাগলে নবী (স.) ফয়সালা দেন ও বলেন, ‘‘উপরের জমিতে পায়ের গিরা পর্যন্ত পানি নেয়ার পরেই নিচের (ভাটির) জমিতে পানি পাবে (মিশকাত-২৮৬৩), প্রাকৃতিক নালার পানি সেচকাজে ব্যবহারের বিষয়ে নবী (স.) এর সিদ্ধান্ত ছিল, আগে বা উঁচুতে যার জমি পড়বে সে পর্যাপ্ত (পায়ের গিরা পর্যন্ত) পানি তার জমিতে নেয়ার পর, ভাটির জমিতে পানি প্রাপ্তির অধিকার পাবে’’ (বুখারী-২১৮৯)।
উপরের হাদিস দুটো থেকে স্পষ্ট হয় যে, ইসলামি রীতিতে পানি বন্টন হলে, ভারত আগে তার নিজস্ব জমিতে পর্যাপ্ত (পায়ের গিরা পর্যন্ত) পানি নেয়ার পরই ভাটির বাংলাদেশ পানি পাবে। সে হিসেবে শীত মৌসুমে পানি অপর্যাপ্ত বিধায় বাংলাদেশের পানি পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু আপনারা ইসলামের এই গুরুত্বপূর্ণ হাদিস না মেনে, কম পানি বন্টনের জন্য সব সময় একতরফা ভারতকে দায়ী করছেন, এমনকি ফারাক্কা ভেঙে দিতে চাইছেন ইত্যাদি। এখন আপনাদের মতে শীত মৌসুমে ভারতের জমি শুকনো রেখে কিভাবে বাংলাদেশে পানি দিতে পারে বলবেন কি? যদি বলতে না পারেন, তবে আপনারা ইসলাম পরিপূর্ণভাবে মানছেন কই? আমার বাছাইকৃত উপরোক্ত হাদিস যদি আপনারা মানতে না পারেন, তবে আপনাদের স্বার্থে বাছাইকৃত ও নির্বাচিত ১৩-দফা মানতে ১৫-কোটি মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন কেন?
সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে [এবং পবিত্র কা’বা ঘরের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার ও সাঈদীকে চাঁদে দেখার মিথ্যাচার করাসহ] বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের অরক্ষিত রেখে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায় মন্ত্রী হওয়ার বাসনা নিয়ে।
হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ১৫
হাদিস : নবী (স.)মুসলমানদের বলেছেন, ‘‘যে গ্রামে গিয়ে তোমরা থাকবে ও যেখানে যাবে, তার অংশ তোমাদের হয়ে যাবে (আবু দাউদ-৩০২৬), আল্লাহ ও তার রসুল ছাড়া কেউ চারণভূমি সংরক্ষণ করতে পারবে না’’ (বুখারী-২১৯৭)।
এখন বিশ্বের জাতিসংঘভুক্ত ১৯৩-টি দেশের কোনোটিতে গিয়ে মুসলমানরা বসবাস করলে সে জমি কি মুসলমানদের হয়ে যাবে? পৃথিবীর অন্য জাতিরা কি তা মানবে? সৌদি আরবে ২০-২৫ বছর অনেক বাঙালি মুসলমান বসবাস করেও সেখানে এক টুকরো জমি বা নাগরিকত্ব পায়নি। মিয়ানমারের লাখ-লাখ মুসলমানকে বার্মিজরা অত্যাচার করলেও, মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল ভূখন্ডের মালিক রাষ্ট্রগুলো তাদের দেশে প্রচুর জনঘাটতি থাকা সত্বেও, রোহিঙ্গা মুসলিমদের সেখানে স্থান দিচ্ছেনা, বরং তারা অবৈধভাবে বসবাস করছে ঘনবসতির বাংলাদেশে। বিহারী বলে কথিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারী পাকিস্তানী মুসলিমদের পাকিস্তান কিংবা অন্য কোন মুসলিম দেশ গ্রহণ করছে না। বরং বাংলাদেশ এখনো তাদের আশ্রয় দিচ্ছে মানবিক কারণে। তা ছাড়া বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সকল দেশের চারণভূমির ভিন্ন ভিন্ন মালিকানা বিদ্যমান। বর্তমান বাস্তবতায় আপনারা কিভাবে ২০১৩ সনে উপরোক্ত হাদিস ২-টির বাস্তবায়ন করবেন? যদি না পারেন, তবে আপনারা ইসলাম পরিপূর্ণভাবে মানছেন কই? আমার বাছাইকৃত উপরোক্ত হাদিস যদি আপনারা মানতে না পারেন, তবে আপনাদের স্বার্থে বাছাইকৃত ও নির্বাচিত ১৩-দফা মানতে ১৫-কোটি মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন কেন?
সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে [এবং পবিত্র কা’বা ঘরের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার ও সাঈদীকে চাঁদে দেখার মিথ্যাচার করাসহ] বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের অরক্ষিত রেখে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায় মন্ত্রী হওয়ার বাসনা নিয়ে।
২| ২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
মোঃ জুম্মা বলেছেন: এটাই সমস্যা আমরা যে যার যার মতো করে সব বুঝি । ধন্যবাদ
৩| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:০১
মাহিরাহি বলেছেন: He also proclaimed that high lying areas should be irrigated before
lowlying areas; and to prevent the hoarding of water, he ordained that the quantity of water retained should not reachover the ankles.
In addition, the Prophet recognized that
the ownership of canals, wells, and other water sources entailed the ownership of a certain area of bordering land or
harim on which it was for bidden to dig new wells so as
not to damage the quality or lower the quantity of the water in the existing ones (Yahyaibn Adam 1896, 75).
আপনি ত ভাই উল্টা অর্থ করলেন!
উপরের লেখা দিয়ে বুঝা যায় যে ভারত কোন পানির আধার বানাতে পারবেনা যাতে করে পানির পরিমান কমে যায়।
prevent the hoarding of water, he ordained that the quantity of water retained should not reachover the ankles
পানির মজুদ ঠেকানোর জন্য নিয়ম করা হয় যে উপর দিকের জমির মালিকেরা গিড়ার উপর পানি জমাতে পারবেনা।
তারমানে এই নয়কি ভারত ড্যাম নির্মান করে পানি মজুদ করতে পারবেনা
৪| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:০৮
রাজীব দে সরকার বলেছেন: পোস্টে প্লাস
৫| ২৭ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৩৯
রুবেল১৯৮৭ বলেছেন: ভাই শাশ্বত স্বপন, মোঃ জুম্মা, মাহিরাহি ও রাজীব দে সরকারকে ধন্যবাদ । আর কেউ যদি জেগে ঘুমায় কারো কিছু করার নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: চমৎকার