নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দেশ

রুবেল১৯৮৭

আমি বিশ্বস করি ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ কিন্তু ধর্মহীনতায় নয়।

রুবেল১৯৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেফাজতীদের কাছে একজন মুসলমানের প্রশ্ন পর্ব ---- ৩

৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৪৮

হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ১৬



হাদিস : নবী (স.)বলেছেন, ‘‘জানোয়ারের চামড়া ও তন্তু কোন কাজে ব্যবহার নিষেধ" (তিরমিযী-১৬৭৪)



এখন বিশ্বের জাতিসংঘভুক্ত ১৯৩-টি দেশের কোনটিতে জন্তর চামড়া ও তন্তু ব্যবহার করা হয়না বলুন। বাংলাদেশের ট্যানারিগুলো কি তবে বন্ধ করে দিতে হবে? তন্তু ও তন্তুজাত মিল-কারখানাগুলো কি পৃথিবী থেকে উঠে যাবে? চামড়ার জিনিসপত্র কি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে? আপনারা কি জানোয়ারের চামড়াজাত জিনিসপত্র ব্যবহার করেন না? বর্তমান বাস্তবতায় আপনারা কিভাবে ২০১৩ সনে উপরোক্ত হাদিসটির বাস্তবায়ন করবেন? যদি না পারেন, তবে আপনারা ইসলাম পরিপূর্ণভাবে মানছেন কই? আমার বাছাইকৃত উপরোক্ত হাদিস যদি আপনারা মানতে না পারেন, তবে আপনাদের স্বার্থে বাছাইকৃত ও নির্বাচিত ১৩-দফা মানতে ১৫-কোটি মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন কেন?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে [এবং পবিত্র কা’বা ঘরের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার ও সাঈদীকে চাঁদে দেখার মিথ্যাচার করাসহ] বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের অরক্ষিত রেখে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায় মন্ত্রী হওয়ার বাসনা নিয়ে।



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ১৭



হাদিস : নবী (স.)বলেছেন, ‘‘জানোয়ারের চামড়া ও তন্তু কোন কাজে ব্যবহার নিষেধ" (তিরমিযী-১৬৭৪)



এখন বিশ্বের জাতিসংঘভুক্ত ১৯৩-টি দেশের কোনটিতে জন্তর চামড়া ও তন্তু ব্যবহার করা হয়না বলুন। বাংলাদেশের ট্যানারিগুলো কি তবে বন্ধ করে দিতে হবে? তন্তু ও তন্তুজাত মিল-কারখানাগুলো কি পৃথিবী থেকে উঠে যাবে? চামড়ার জিনিসপত্র কি ব্যবহার বন্ধ করতে হবে? আপনারা কি জানোয়ারের চামড়াজাত জিনিসপত্র ব্যবহার করেন না? বর্তমান বাস্তবতায় আপনারা কিভাবে ২০১৩ সনে উপরোক্ত হাদিসটির বাস্তবায়ন করবেন? যদি না পারেন, তবে আপনারা ইসলাম পরিপূর্ণভাবে মানছেন কই? আমার বাছাইকৃত উপরোক্ত হাদিস যদি আপনারা মানতে না পারেন, তবে আপনাদের স্বার্থে বাছাইকৃত ও নির্বাচিত ১৩-দফা মানতে ১৫-কোটি মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন কেন?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে [এবং পবিত্র কা’বা ঘরের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার ও সাঈদীকে চাঁদে দেখার মিথ্যাচার করাসহ] বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের অরক্ষিত রেখে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায় মন্ত্রী হওয়ার বাসনা নিয়ে।



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ১৮



হাদিস : নবী (স.)বলেছেন, ‘‘ওজনে মক্কাবাসীর ও মাপে মদীনাবাসীর ওজন-মাপই গ্রহণযোগ্য’’ [আবু দাউদ-৩৩০৭]



এখন মক্কা-মদিনার হেফাজতকারী সৌদি আরবে কি ওজনে নবী (স.) এর আমলের ‘‘ওসক’’ (খেজুরের পরিমাপক একক) ‘‘মুদ’’ (প্রায় ১-কেজি), ‘‘সা’’ (প্রায় ৪-কেজি), ‘‘দিনার’’ (স্বর্ণমুদ্রা), ‘‘দিরহাম’’ (রৌপ্যমুদ্রা) প্রচলিত আছে? বরং বিশ্বের ১৯৩-টি দেশের মত সৌদি আরবেও ওজনে ইউরোপিও গ্রাম-কিলো, মিটার-লিটার, রিয়াল-হালালা প্রচলিত। বৈদেশিক বাণিজ্যে তারাও ডলার-ইউরো ব্যবহার করে। আপনারা হজ্বে গেলেও অবশ্যই ওসক, মুদ, সা, দিনার, দেরহামের পরিবর্তে আধুনিক জামানার গ্রাম-লিটার-মিটার-ডলার ব্যবহার করেন না কি? কাজেই ১৩-দফা প্রদানকারী ও সমর্থনকারীরাও অন্যদের মতো (যাদেরকে আপনারা নাস্তিক বলেন, এ সম্পর্কিত হাদিস: কোন মুসলমানকে কাফির/নাস্তিক বলা তাকে হত্যা করার শামিল-[বুখারী-৬১৮৯]) ইসলাম অমান্য করছেন না কি? সে ক্ষেত্রে নিজেরা ইসলাম না মেনে অন্যকে ইসলাম মানতে বাধ্য করার ‘ছবক’ দেয়ার অধিকার কি আপনাদের আছে? আমার বাছাইকৃত উপরোক্ত হাদিস যদি আপনারা মানতে না পারেন, তবে আপনাদের স্বার্থে [মানুষের চোখে ধুলা দেয়ার জন্য] বাছাইকৃত ও নির্বাচিত ১৩-দফা মানতে ১৫-কোটি মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন কেন?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে [এবং পবিত্র কা’বা ঘরের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার ও সাঈদীকে চাঁদে দেখার মিথ্যাচার করাসহ] বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের অরক্ষিত রেখে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায় মন্ত্রী হওয়ার বাসনা নিয়ে।







হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ১৯



হাদিস : ‘‘নবী (স.) ১-মুদ (প্রায় ১-কেজি) পরিমাণ পানি দিয়ে উযু ও ১-সা’ (প্রায় ৪-কেজি) পরিমাণ পানি দিয়ে গোসল করতেন (তিরমিযী-৫৬), নবী তার ঘরে আগামী দিনের জন্য কোন কিছু সঞ্চয় করে রাখতেন না’’ (তিরমিযী-২৩০৪)



এখন ১৩-দফা প্রদানকারী ও সমর্থনকারীগণ দয়া করে বলুন, নবীর অনুসরণে আপনারা প্রায় ১-লিটার পানি দিয়ে অজু ও ৪-লিটার পানি দিয়ে গোসল শেষ করেন কিনা? আর আপনাদের হাতও আগামি দিনের জন্যে সঞ্চয়শূন্য থাকে কিনা? তা ছাড়া ২০১৩ সনের পৃথিবির কোন মানুষ কি এতো কম পানি দিয়ে ওজু-গোসল সারে? আর সঞ্চয় করা-তো এখন বাংলাদেশসহ পৃথিবির সকল মানুষের একটি রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও ব্যক্তিগত প্রধান বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ! আপনারা কি এ কাজ থেকে বিরত থাকেন? আসলে আপনারাও ইসলাম ১০০% মানেন না কিন্তু আমরা ‘এই যুগে মানা সম্ভব নয়’ বলাতে আমাদেরকে আপনারা নাস্তিক বলে নিজেদের জ্ঞানহীনতার হাস্যকর পরিচয় দেন কিন্তু এ সম্পর্কিত হাদিস হচ্ছে : “কোন মুসলমানকে কাফির/নাস্তিক বলা তাকে হত্যা করার শামিল"-[বুখারী-৬১৮৯], আসলে উপরোক্ত হাদিস না মেনে আপনারা ইসলাম অমান্য করছেন না কি? সে ক্ষেত্রে নিজেরা ইসলাম না মেনে অন্যকে ইসলাম মানতে বাধ্য করার ‘ছবক’ দেয়ার অধিকার কি আপনাদের আছে? আমার বাছাইকৃত উপরোক্ত হাদিস যদি আপনারা মানতে না পারেন, তবে আপনাদের স্বার্থে [মানুষের চোখে ধুলা দেয়ার জন্য] বাছাইকৃত ও নির্বাচিত ১৩-দফা মানতে ১৫-কোটি মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন কেন?



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে [এবং পবিত্র কা’বা ঘরের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার ও সাঈদীকে চাঁদে দেখার মিথ্যাচার করাসহ] বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের অরক্ষিত রেখে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায় মন্ত্রী হওয়ার বাসনা নিয়ে।



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ২০



হাদিস : ‘‘৩টি বাদে মুসলমানের সমস্ত ক্রীড়া-কৌতুক অযথা তা হলো - তীরনিক্ষেপ, ঘোড়ার প্রশিক্ষণ ও স্ত্রীর সাথে ক্রীড়া-কৌতুক (তিরমিযী-১৫৮৪), ৩টি ছাড়া সব অনর্থক লেখাধুলা হারাম : তা হলো-তীরধনুকের খেলা, অশ্বচালনা শিক্ষা ও স্ত্রীর সাথে আমোদ-প্রমাদ" (মেশকাত)



এখন ১৩-দফা প্রদানকারী ও সমর্থনকারীগণ দয়া করে বলুন, ফুটবল, ক্রিকেট, দৌঁড়সহ পৃথিবির যাবতীয় লেখাধুলা কেউ করবে না? ২০১৩ সনের মানুষও কি শুধু তীর নিক্ষেপ, অশ্বচালনা ও স্ত্রীর সাথে ক্রীড়াকৌতুক করে বাকিগুলো বাদ দেবে? আপনারা শুধু এই ৩-টাকেই বিশ্বের একমাত্র অনুসরণযোগ্য খেলা মনে করেন? নবী (স.)-এর নির্দেশে বাংলাদেশসহ পৃথিবির সকল মানুষ কি এ কথা মানবে? আসলে আপনারাও উপরোক্ত হাদিস ১০০% মানেন না কিন্তু আমরা ‘এই যুগে মানা সম্ভব নয়’ বলাতে আমাদেরকে আপনারা নাস্তিক বলে নিজেদের জ্ঞানহীনতার হাস্যকর পরিচয় দেন কিন্তু এ সম্পর্কিত হাদিস হচ্ছে : “কোন মুসলমানকে কাফির/নাস্তিক বলা তাকে হত্যা করার শামিল"-[বুখারী-৬১৮৯], আসলে উপরোক্ত হাদিস না মেনে আপনারা ইসলাম অমান্য করছেন না কি? আপনারা বুকে হাত দিয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলুন, কোরানে ও সহি ছিত্তায় (বুখারী, মুসলিম, আবু-দাউদ, ইবনে-মাযাহ, তিরমিযী, নাসাঈ, মুয়াত্তা=৭) বর্ণিত সকল কথাবার্তা ও নির্দেশাবলী ১০০% আপনারা মেনে চলেন? নিজেরা আংশিক ইসলাম মেনে অন্যকে পরিপূর্ণ ইসলাম মানতে বাধ্য করার ‘ছবক’ দেয়ার অধিকার কি আপনাদের আছে? আমার বাছাইকৃত উপরোক্ত হাদিস যদি আপনারা মানতে না পারেন, তবে আপনাদের স্বার্থে [মানুষের চোখে ধুলা দেয়ার জন্য] বাছাইকৃত ও নির্বাচিত ১৩-দফা মানতে ১৫-কোটি মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন কেন?



আর আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমেরিকাসহ পৃথিবির অন্যদেশে কেউ কোরানের অবমাননা করলে বর্ণিত হেফাজতি গ্রপ এতোদিন বাংলাদেশের আকাশ-পাতাল একাকার করে ফেলতো কিন্তু নিজেরা কাজটি করাতে তারা ও তাদের সমর্থনকারিগণ মুখে কুলুপ দিয়ে একদম চুপ! তাদের আচরণে মনে হচ্ছে, কোরান পোড়ানো কোন অপরাধ নয়! হায় ইসলাম রক্ষার নামে ভন্ডামি!



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে [এবং পবিত্র কা’বা ঘরের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার ও সাঈদীকে চাঁদে দেখার মিথ্যাচার করাসহ] বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের অরক্ষিত রেখে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায় মন্ত্রী হওয়ার বাসনা নিয়ে।



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ২১



হাদিস : ‘‘ইসলাম গ্রহণের পর উকল গোত্রের ৮-লোক তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যে নবী (স.)-র সম্মতিতে একটি উটের পালের সঙ্গে বসবাস শুরু করলো। উটের দুধ ও মূত্রপানে স্বাস্থ্য উন্নতির পর রাখালকে হত্যা করে তারা উটগুলো নিয়ে পালালে, নবীর তাদেরকে পাকড়াও করে, তাদের হাত-পা কেটে, গরম লৌহ শলাকা চোখে বিদ্ধ করে, মরুভূমিতে ফেলে রাখার নির্দেশ দিলেন, সেখানে ঐ অবস্থায় তারা পানির অভাবে মাটি চাটতে চাটতে মৃত্যুবরণ করলো (বুখারী-২৭৯৬), উকল গোত্রের কিছু লোক রাসূলের কাছে এসে ইসলাম গ্রহণ করল। মদীনার আবহাওয়ায় তারা খাপ খাওয়াতে পারল না, তখন নবী তাদেরকে বাইতুল মালের উটের পালে গিয়ে সেগুলোর দুধ ও মুত্র পান করার নির্দেশ দিলেন (বুখারী-৮:৮২:৭৯৪), উকল গোত্রের কিছু লোক মদীনায় নবীর কাছে আসল কিন্তু তাদের কাছে সেখানের আবহাওয়া খুব প্রতিকুল মনে হল, তখন নবী তাদের বললেন, তোমরা যদি চাও তবে সাদকার উটের পালে গিয়ে সেগুলোর দুধ আর মূত্র পান কর, তারা তা করল এবং সুস্থ হল (মুসলিম-১৬:৪১৩), নবী (স.) বলেছেন, চোখ উঠলে ঘৃতকুমারীরর রস দাও" (তিরমিযী-৮৯৪)



এখন ১৩-দফা প্রদান ও সমর্থনকারীগণ দয়া করে বলুন, আপনাদের শারিরিক সমস্যার কারণে এখন আপনারা উটের পালের সঙ্গে বসবাস করে উটের মুত্রপান করেন কিনা কিংবা চোখ উঠলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে না দিয়ে ঘৃত কুমারির রস দেন কিনা? বিশ্বের কোন মানুষ এমনকি সৌদি আরবের কোন লোকও এখন উটের মুত্র পানের চিকিৎসা ও চোখে ঘৃত কুমারির পাতার চিকিৎসা করেন না। আপনারাও করেন না। আসলে উপরোক্ত হাদিস না মেনে আপনারা ইসলাম অমান্য করছেন না কি? আপনারা বুকে হাত দিয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলুন, কোরানে ও সহি ছিত্তায় (বুখারী, মুসলিম, আবু-দাউদ, ইবনে-মাযাহ, তিরমিযী, নাসাঈ, মুয়াত্তা=৭) বর্ণিত সকল কথাবার্তা ও নির্দেশাবলী ১০০% আপনারা মেনে চলেন? নিজেরা আংশিক ইসলাম মেনে অন্যকে পরিপূর্ণ ইসলাম মানতে বাধ্য করার ‘ছবক’দেয়ার অধিকার কি আপনাদের আছে? আমার বাছাইকৃত উপরোক্ত হাদিস যদি আপনারা মানতে না পারেন, তবে আপনাদের স্বার্থে [মানুষের চোখে ধুলা দেয়ার জন্য] বাছাইকৃত ও নির্বাচিত ১৩-দফা মানতে ১৫-কোটি মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন কেন?



আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমেরিকাসহ পৃথিবির অন্যদেশে কেউ কোরানের অবমাননা করলে বর্ণিত হেফাজতি গ্রুপ এতোদিন বাংলাদেশের আকাশ-পাতাল একাকার করে ফেলতো কিন্তু নিজেরা কাজটি করাতে তারা ও তাদের সমর্থনকারিগণ মুখে কুলুপ দিয়ে একদম চুপ! তাদের আচরণে মনে হচ্ছে, কোরান পোড়ানো কোন অপরাধ নয়! হায় ইসলাম রক্ষার নামে ভন্ডামি!



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা পবিত্র কোরান পুড়িয়ে [এবং পবিত্র কা’বা ঘরের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার ও সাঈদীকে চাঁদে দেখার মিথ্যাচার করাসহ] বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের অরক্ষিত রেখে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায় মন্ত্রী হওয়ার বাসনা নিয়ে।



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ২২



হাদিস : নবী (স.)বলেছিলেন, ‘‘আমি মুমিনদের জন্য তাদের আপন সত্তার চেয়েও অধিক কল্যাণকামী। মুমিনদের মধ্যে কেউ ঋণ রেখে মৃত্যুবরণ করলে তা পরিশোধ করার দায়িত্ব আমার, আর যে সম্পদ সে রেখে যায়, তা তার উত্তরাধিকারীদের প্রাপ্য’’ (বুখারী-৪৯৭১)



এখন ১৩-দফা প্রদান ও সমর্থনকারীগণ দয়া করে বলুন, পৃথিবির কোন জাতির পক্ষে কি বর্তমানে এই হাদিস মানা সম্ভব? তাহলে তো সবাই ব্যাংক, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি থেকে ঋণ গ্রহণ করে আর তা পরিশোধ করবে না এবং না করলেও তার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারিদের কাছেও তা চাওয়া যাবেনা। বাংলাদেশের ঋণখেলাফিরা সবাই ঋণ করে তা পরিশোধ না করে উপরোক্ত হাদিস রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করবে। তাহলে দেশের অর্থনীতির কি অবস্থা হবে? আপনারা কি উপরোক্ত হাদিসটি ১০০% মানেন? আপনারা বুকে হাত দিয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলুন, কোরানে ও সহি ছিত্তায় (বুখারী, মুসলিম, আবু-দাউদ, ইবনে-মাযাহ, তিরমিযী, নাসাঈ, মুয়াত্তা=৭) বর্ণিত সকল কথাবার্তা ও নির্দেশাবলী ১০০% আপনারা মেনে চলেন? সময়ের প্রেক্ষাপটে নিজেরা আংশিক ইসলাম মেনে অন্যকে পরিপূর্ণ ইসলাম মানতে বাধ্য করার ‘ছবক’দেয়ার অধিকার আপনাদের আছে কি? আমার বাছাইকৃত উপরোক্ত হাদিস যদি আপনারা মানতে না পারেন, তবে আপনাদের স্বার্থে বাছাইকৃত ও নির্বাচিত ১৩-দফা মানতে ১৫-কোটি মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন কেন?



উল্লেখ্য যে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে ইতোমধ্যেই তুরস্ক ‘‘একুশ শতক উপযোগি আধুনিক হাদিস’ সংকলন প্রকাশ করেছে, যাতে আধুনিক যুগে অচল হাদিস বাদ দেয়া হয়েছে (সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন ও আমাদের সময় ২৯.৫.১৩)। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমেরিকাসহ পৃথিবির অন্য দেশে কেউ কোরানের অবমাননা করলে বর্ণিত হেফাজতি গ্রুপ এতোদিন বাংলাদেশের আকাশ-পাতাল একাকার করে ফেলতো কিন্তু নিজেরা কাজটি করাতে তারা ও তাদের সমর্থনকারিগণ মুখে কুলুপ দিয়ে একদম চুপ! তাদের আচরণে মনে হচ্ছে, কোরান পোড়ানো কোন অপরাধ নয়! হায় ইসলাম রক্ষার নামে ভন্ডামি!



সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা মাদ্রাসার ফান্ডে বিলাসী জীবনযাপন করে, পবিত্র কোরান পুড়িয়ে [এবং পবিত্র কা’বা ঘরের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার ও সাঈদীকে চাঁদে দেখার মিথ্যাচার করাসহ] বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের অরক্ষিত রেখে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায় মন্ত্রী হওয়ার বাসনা নিয়ে।



হেফাজত ও জামাত-শিবিরের ইসলাম না মানার উদাহরণ – ২৩



হাদিস : নবী (স.)বলেছিলেন, ‘‘যে স্ত্রীলোক সোনার হার, সোনার কানপাশা ব্যবহার করে, কিয়ামতের দিন তার গলায় আগুনের হার ও কানপাশা পরিধান করানো হবে" (দাউদ-৪১৯০), যে কেউ তার প্রিয়জনকে আগুনের বালা, আগুনের হার ও আগুনের কাঁকন পড়াতে চায়, সে যেন তাকে সোনার বালা, হার ও কাঁকন পড়ায়। অবশ্য রূপা ব্যবহার করা যায় (আবু দাউদ-৪১৮৮), নবী (স.) জিজ্ঞেস করেন, ‘‘হে মহিলারা তোমাদের জন্য এটাই যথেষ্ট নয় যে, তোমরা রূপা দিয়ে অলঙ্কার তৈরি করবে’’? (আবু দাউদ-৪১৮৯)। (যদিও অন্যত্র মহিলাদের সোনা ব্যবহারের কথাও আছে কিন্তু সেখানে মহিলাদের সোনার অলঙ্কার ব্যবহার কোথাও ‘ফরজ’ বা ‘অবশ্যই পরতে হবে’ এমন কথা বলা হয়নি কিন্তু ‘না পরার কথা’ উপরোক্ত হাদিসে অত্যন্ত সুষ্পষ্ট)



এখন ১৩-দফা প্রদানকারি ও সমর্থনকারিগণ দয়া করে বলুন, আপনাদের স্ত্রী, কন্যা, বোন বা মাকে আপনারা ‘স্বর্ণ-বর্জিত করে’ কিংবা হাদিস মোতাবেক কেবল রূপার গহনা পড়ান কিনা? এই হাদিস মোতাবেক বাংলাদেশের কোন মহিলাকে স্বর্ণ ব্যবহার বর্জন করতে দেখিনি। এ ক্ষেত্রে নাস্তিক-বিধর্মী মহিলারা হাদিস মোতাবেক ‘কিছুটা কম’ কিংবা ‘স্বর্ণহীন’ থাকলেও, আরব তথা সৌদি মুসলিম মহিলারা প্রত্যেকেই বিশ্বে সর্বোচ্চ স্বর্ণ ব্যবহার করে। অনেকে সোনার ভারে হাঁটতে পারে না। আপনারা কি উপরোক্ত হাদিস ১০০% মানেন? আপনারা বুকে হাত দিয়ে চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলুন, কোরানে ও সহি ছিত্তায় (বুখারী, মুসলিম, আবু-দাউদ, ইবনে-মাযাহ, তিরমিযী, নাসাঈ, মুয়াত্তা=৭) বর্ণিত সকল কথাবার্তা ও নির্দেশাবলী ১০০% আপনারা মেনে চলেন? সময়ের প্রেক্ষাপটে নিজেরা আংশিক ইসলাম মেনে অন্যকে পরিপূর্ণ ইসলাম মানতে বাধ্য করার ‘ছবক’দেয়ার অধিকার আপনাদের আছে কি? আমার বাছাইকৃত উপরোক্ত হাদিস যদি আপনারা মানতে না পারেন, তবে আপনাদের স্বার্থে বাছাইকৃত ও নির্বাচিত ১৩-দফা মানতে ১৫-কোটি মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন কেন?



উল্লেখ্য যে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে ইতোমধ্যেই তুরস্ক ‘একুশ শতক উপযোগি আধুনিক হাদিস’ সংকলন প্রকাশ করেছে, যাতে আধুনিক যুগে অচল হাদিস বাদ দেয়া হয়েছে (সূত্র : বিবিসি, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও আমাদের সময় ২৯.৫.১৩)। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমেরিকাসহ পৃথিবির অন্য দেশে কেউ কোরানের অবমাননা করলে বর্ণিত হেফাজতি গ্রুপ এতোদিন বাংলাদেশের আকাশ-পাতাল একাকার করে ফেলতো কিন্তু নিজেরা কাজটি করাতে তারা ও তাদের সমর্থনকারিগণ মুখে কুলুপ দিয়ে একদম চুপ! তাদের আচরণে মনে হচ্ছে, কোরান পোড়ানো কোন অপরাধ নয়! ইসলাম রক্ষার নামে ভন্ডামি বাংলাদেশের অসচেতন মানুষ আর কত দেখবে? হেফাজতিরা এসব প্রসঙ্গ আসলে বলতে চেষ্টা করেন যে, হাদিসটি ‘ওমুক’ প্রেক্ষাপটে ‘ওমুক’ সময়ে বলা হয়েছে, এটি এখন বাতিল কিন্তু কে, কিভাবে, কেন, কোন অধিকারে বাতিল করলো কিংবা বাতিল করলে তা এখনো হাদিস গ্রন্থে কেন? তার কোন যৌক্তিক জবাব তাদের কাছে নেই। এই হচ্ছে হেফাজতিদের ইসলাম ও প্রজ্ঞা।



কাজেই সচেতন বাঙালি সবাই দৃঢ়কণ্ঠে আওয়াজ তুলুন, আগে হেফাজত-জামাত-শিবির নিজেরা ১০০% ইসলাম মানার দৃষ্টান্ত সমাজে স্থাপন করুক, তারপরই অন্যকে পালনের ‘ফতোয়া’ দেয়ার ব্যাপারে চিন্তা করুক।

সুতরাং দেশের লাখো কোমলমতি অল্পবয়স্ক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অনুরোধ করবো, রাজনৈতিক স্বার্থে তোমাদেরকে ব্যবহারকারী হেফাজত জামাত-শিবির নেতাদের ফাঁদে পা দিওনা, যারা মাদ্রাসার ফান্ডে বিলাসী জীবনযাপন করে, পবিত্র কোরান পুড়িয়ে [এবং পবিত্র কা’বা ঘরের গিলাফ নিয়ে মিথ্যাচার ও সাঈদীকে চাঁদে দেখার মিথ্যাচার করাসহ] বিপদের সময়ে মতিঝিলে তোমাদের অরক্ষিত রেখে নিজেরা যার-যার নিরাপদ আশ্রমে চলে যায় মন্ত্রী হওয়ার বাসনা নিয়ে।





মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: জনাব আপনাকে সবিনয়ে বলতে চাই আপনি যেসকল যুক্তি তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন তা কেবলমাত্র নাবালক বাচ্চাদেরই শোভা পায়। আপনি হয়তো জানেনই না ইসলামী শরীয়াতের চারটি ভিত্তি রয়েছে। এক. মহাগ্রন্থ আল-কোরআন, দুই. মহানবী (স)এর পবিত্র বানী তথা হাদিস, তিন. ইজমা, চার. কিয়াস। সুতরাং শরীয়াতের ব্যাপারে প্রধান তাবেদার হবেন নবী-রাসুলগন, তারপর সাহাবায়ে কেরামগন, তাবেঈন গন, তাবে-তাবেঈনগন, এরপর ক্রমান্বয়ে আলেমগন। আমার মতো সচেতন অকেনেই স্বীকার করবেন বর্তমান সময়ের আলেমসমাজও ভুলের উর্দ্ধে নয়। তাই বলে এভাবে আলেম সমাজরে উপর নগ্নভাবে তথ্য-সন্ত্রাস, দমন-নিপীড়ন চালানো কোন ভাবেই কাম্য নয়। জামায়াত-শিবিরের কথা বলতে পারব না তবে কওমী মাদ্রাসার প্রত্যেকটা ছাত্র-শিক্ষক ইসলামের অনুশীলন, প্রচার-প্রসারের কাজে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে পবিত্র গ্রন্থ আল-কোরআন পড়ানোর ঘটনা কোন পাগলেও বিশ্বাস করবেনা। এ এক তথ্য সন্ত্রাস ছাড়া আর কিছুই নয়। মহান আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন-----------

২| ৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

আহেমদ ইউসুফ বলেছেন: আর একটা কথা হ্যা ..নবী রাসুল ছাড়া কোন মানুষের পক্ষে ১০০% ইসলাম মানা সম্ভব নয়। আপনি নিজেকেই যাচাই করুন না আপনি কতুটুকু মানেন? আপনার থেকে যদি কেউ .০০০১% বেশী মানে তবে সে কি আপনার থেকে উত্তম নয়?

৩| ৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৯

ভালবাসা007 বলেছেন: মিরাজের ফজিলত

৪| ৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

চোরাবালি- বলেছেন: প্রশ্ন করার আগে একজন মুসলমানের গুনাবলী ও কর্তব্যগুলি ভাল করে পড়ে তারপর হেড লাইন নির্বাচন করা দরকার। আপনি তো বিশ্বাসই না। মুসলমান হলেন কি করে?

৫| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

কাজী ভাইয়া বলেছেন: @রুবেল১৯৮৭, আমার ধারোনা আপনি ইসলামের প্রজ্ঞা জানেনই না। আলেমসমাজ থেকে শিখুন।

৬| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

শাহীন উল্লাহ বলেছেন: তার কনেটা আগে পোড়াবে ????

পবিত্র কোরআন শরীফ না কি মুধুমিতা সিনেমা হল ???????



৭| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: জামাত এবং হেফাজত আমার চেয়ে উত্তম মনে করি ,তার অন্তত ৫ ওয়াক্ত নামজ পড়ে,কোরান পড়তে দেখি.নবীর সুন্নতি লেভাস তাদের মধ্যে পাওয়া যায় ,আমি চাই এই পর্যয় আগে অর্ন্তভুক্ত হই ,তারপর অন্য বিষয় নিয়ে জেন কাথা বলব।

আশা করি আপনিও নামাজ,রোজা এইগুলো করে থাকবেন.....

ভাল থাকবেন...

৮| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫১

মো ঃ আবু সাঈদ বলেছেন: হেফাজতরে ১৩ দফার সাথে সহমত...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.