নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দেশ

রুবেল১৯৮৭

আমি বিশ্বস করি ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ কিন্তু ধর্মহীনতায় নয়।

রুবেল১৯৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কুরআনিক ইসলাম চাই জামাতে ইসলাম চাই না

১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

জাগরণ মঞ্চের গণসংলাপে বক্তারা বলেছেন, - আমরা ইসলাম চাই কিন্তু জামাতে ইসলাম, মওদুদী ইসলাম চাই না। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি কখনোই মানুষের জন্য সুফল বয়ে আনেনি। জামায়াত ধর্ম পালন নয়, বিক্রি করছে। সরকার আন্তরিক হলেই তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সম্ভব। এজন্য জনমত পক্ষেই রয়েছে। যে খুঁটির জোরে জামায়াত টিকে রয়েছে, তা উৎখাত করতে হবে। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে সময়ক্ষেপণ করা হলে বা ‘টালবাহানা’ করলে দেশে ভয়ংকর বিপর্যয় নেমে আসবে। গত শুক্রবার বিকালে রাজধানীর শাহবাগে ‘জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ শীর্ষক গণসংলাপে বক্তারা একথা বলেন। গণজাগরণ মঞ্চ এ সংলাপের আয়োজন করে।



সংলাপে বাংলা একাডেমীর চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর জামায়াত-শিবির সারাদেশে তান্ডব চালিয়েছে। এ সূত্র ধরেই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ১৯৭১ সালে জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। আবার ৭১-এর পর কিছুদিন আত্মগোপন করেছিল। রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়াতেই তারা স্বনামে বেরিয়ে এসেছে।



সাহিত্যিক অধ্যাপক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের গল্প-সত্য এখন দেশের তিন কোটি স্কুলগামী শিশু জানে। তারা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভালোবাসে। রাজাকারদের ঘৃণা করে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া এবং জামায়াত-শিবির বর্জনের কাজ এদের হাত ধরেই সম্পন্ন হবে। নিষিদ্ধ করার কাজটি সরকারকে করতে হবে। জাফর ইকবাল বলেন, ধর্ম শুধু তাদেরই নয়। আমরা যে ইসলাম ধর্ম পালন করি, তাতে পবিত্রতা, সহমর্মিতা ও মুগ্ধতা রয়েছে। জামায়াতের ইসলাম আমাদের ইসলাম নয়। আমরা ধর্মের অবমাননা করি না। আমরা হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সকল ধর্মের মানুষকে পাশে রাখি। তারা নিজেদের মতো করে ধর্ম চর্চা করে, ধর্মের ব্যবসা করে। শিক্ষাবিদ ড. অজয় রায় এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মাদ্রাসার ছেলেরা বিনীত-নম্র বলে একটা প্রচারণা আছে। বাস্তবে এটির তেমন সত্যতা নেই। সহিংসতায় তাদের দেখা যায়। চট্টগ্রামের ঘটনা তার বড় প্রমাণ। জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল বারকাত বলেন, জামায়াত-শিবিরের বড় শক্তি তাদের মৌলবাদের অর্থনীতি। গত ৩৫ বছরে তারা ৬০ থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। এতবড় অর্থনৈতিক শক্তি দিয়ে তারা অনেক কিছুই সম্ভব করছে। জামায়াত নিষিদ্ধ করতে হলে মৌলবাদের অর্থনীতি ধ্বংস করতে হবে। ইসলামী ব্যাংককে জাতীয়করণ কিংবা বাজেয়াপ্ত করতে হবে। সাংবাদিক হারুন হাবিব বলেন, বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের মানুষকে প্রতারিত করে জামায়াত-শিবির দেশের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে। যদি কোনো কারণে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ না করে রাজনৈতিক কৌশল গ্রহণ করা হয় তবে দেশে বিরাজমান গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি নষ্ট হবে।



বাংলাদেশ হাক্কানী খানকা শরীফের সভাপতি শাহ্‌ সূফী ড. এমদাদুল হক বলেন, ‘জামাত একটি রাজনৈতিক দল। ইসলাম আল্লাহর মনোনীত ধর্ম। ইসলাম কোন রাজনৈতিক দল নয়। আল্লাহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী, আসমান জমিনের মালিক, ইহকাল পরকালের মালিক। আল্লাহ রাজনীতি করেন না। সুতরাং কোন রাজনৈতিক দলের নামের সাথে ইসলাম শব্দের ব্যবহার হারাম, হারাম। আমরা ইসলামীক ফাউন্ডেশন, সরকারের ধর্মমন্ত্রণালয়ের কাছে জবাব চাইতে পারি ‘কেন রাজনৈতিক দলের সাথে ইসলাম শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে না।’ আমি নিশ্চিত জামাত এই প্রশ্নের কোন জবাব দিতে পারবে না। তিনি বলেন - রাজনীতিতে ‘ইসলাম’ ব্যবহারের লক্ষ্য হচ্ছে - ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতিকে ব্যবহার করে, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মসনদে বসা, ইহজাগতিক স্বার্থ সিদ্ধি করা। কুরআন সুরা বাকারার ৮৬ নং আয়াতে বলছে- যারা পারলৌকিকতার বিনিময়ে ইহজাগতিকতা খরিদ করে তাদের শাস্তি শিথিল করা হবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না। জামাতে ইসলাম বলে, মহানবী (সা.) নাকি রাজনীতিক ছিলেন! এটা মহানবীর (সা.)-এর অবমাননা। নবী (সা.)-কে অবমাননার দায়ে জামাতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। মোহাম্মদ (সা.) রাজনীতি করেননি, মহান আল্লাহ তায়ালা রাজনীতি করার জন্য কোন নবী, রাসুল প্রেরণ করেননি। কুরআন মতে রসুল (সা.) ছিলেন - স্পষ্ট সতর্ককারী, বার্তাবাহক, সুসংবাদদাতা, প্রেরিতদের মধ্যে একজন, পথপ্রদর্শক ও সাহায্যকারী কিন্তু রাজনীতিক অবশ্যই নন। আল্লাহ সুবানুতায়ালা মোহাম্মদ (সা.)-কে ‘হে রসুল’ বলে ডাক দিয়েছেন। এটা কল্পনা করতেও শরীর শিউরে উঠে যে, আল্লাহ সুবানুতায়ালা মোহাম্মদ (সা.)-কে ‘হে রাজনীতিক’ বলে ডাকবেন। জামাতে ইসলাম রাসুল (সা.)-কে রাজনীতিক বলেছে এখনও বলছে। এরা মোহাম্মদ (সা.)-কে অসম্মান-অবমাননা করছেন এবং এই অবমাননার দায়ে জামাতকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।



রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার ধর্ম ও মানবতার প্রতি অপরাধ। এসব অপরাধীদের ব্যাপারে নবী মোহাম্মদ (সা.) এর আদেশ হলো - ‘যে কেহ কাউকে অপরাধরত দেখবে তৎক্ষণাৎ তাকে হাত তথা বলপ্রয়োগ করে হলেও তা থেকে বিরত করবে, আর যদি সে ক্ষমতা না থাকে তাহলে মুখে বারণ করবে, আর তাও যদি না পার, তাহলে ঐ অপরাধকারীকে মনে মনে ঘৃণা করবে, এটা হলো দুর্বল ঈমানের পরিচয়। সুতরাং ঈমানের পরিচয় দিতে হলে আজকে মুসলিমদেরকে জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়তে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে ধর্মীয় চেতনার কোন বিরোধ নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে - সাম্যের চেতনা, শান্তির চেতনা, সকল মানুষের ভাত, কাপড়, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের চেতনা, বাকস্বাধীনতার চেতনা। আর এই চেতনাই হলো ধর্মচেতনা। সুতরাং আসুন, জামাত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ বিনির্মাণের আন্দোলনকে বেগবান করি।”



গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, এ মঞ্চ, এ প্রজন্ম চত্বর কোটি জনতার মনে যে আশা এবং স্বপ্নের বীজ বুনেছে তা কখনো বিফল হতে পারে না। মঞ্চের কার্যক্রম নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। গণজাগরণ মঞ্চ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল মানুষের। জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ফাঁসি নিশ্চিত করতে সময়ের প্রয়োজনে আমরা আবারো রাজপথের আন্দোলনে নামবো। মঞ্চের কার্যক্রম থেমে নেই। থেমে থাকবে না।



সংলাপে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাছিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ড. তুরিন আফরোজ। সংলাপ পরিচালনা করেন গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম উদ্যোক্তা মারুফ রসুল।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

2013 বলেছেন: এক কানা কয় আরেক কানারে চল এবার ভব পাড়ে,
নিজে কানা, পথ চিনেনা পরকে ডাকে বারংবার,
এসব দেখি কানার হাট-বাজার।

ঈশ্বর সবকিছুর ব্যপারে ভাল জানেন।

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

এ জাফর বলেছেন: আমরা অবশ্যই কুরআনিক ইসলাম চাই। কিন্তু কথা হলো আমরা নিজেরা কতটা আলকোরআন জেনেছি এবং আমল করছি।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

শাহ আলম৬৭ বলেছেন: দের জন্যই সিটি নির্বাচনে গু হারা হেরেছে আওয়ামীলীগ---আরো বাশ দেয়ার জন্য এই জনবিচ্ছিন্নরা মরিয়া!!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.