নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার দেশ

রুবেল১৯৮৭

আমি বিশ্বস করি ধর্ম নিরপেক্ষ বাংলাদেশ কিন্তু ধর্মহীনতায় নয়।

রুবেল১৯৮৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদ্রাসা শিক্ষা কি ধর্ম শিক্ষা !

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০৬

এদেশে মুসলমানের ছেলেদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য রয়েছে বিশেষ ধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসা শিক্ষা বলে পরিচিত রকমারী এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অস্তিত্ত্ব রয়েছে দেশ জুড়ে। ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে এর সংখ্যা ১৫ হাজার ৫শ ৪১টি। এর মধ্যে এবতেদায়ী মাদ্রাসা (প্রাথমিক, শিক্ষাকাল ৫ বছর) মোট ৯ হাজার ৫শ ৬১টি, দাখিল (মাধ্যমিক, শিক্ষাকাল ৫ বছর) মাদ্রাসা রয়েছে ৪ হাজার ১শ ২১টি, আলিম (উচ্চ মাধ্যমিক, শিক্ষাকাল ২ বছর) মাদ্রাসার সংখ্যা ৮শ ৮১টি এবং কামিল (স্নাতকোত্তর, শিক্ষাকাল ২ বছর) মাদ্রাসার সংখ্যা ১শ ৭টি। বর্তমানে সব মিলিয়ে প্রায় দুই লক্ষাধিক।

দেশে এই বিপুল পরিমাণ মাদ্রাসার অস্তিত্ব দেখে কারো মনে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগতে পারে, এই পূণ্য(!) উদ্যোগটি এদেশে কে বা কারা নিয়েছিল? এই বিপুল পরিমাণ মাদ্রাসা সৃষ্টির জাগরণটিই বা কখন হলো? ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি থেকে শুরু করে শত শত বছরে কয়েক'শ মুসলিম নৃপতি, ভূপতি তথা রাজা-বাদশা এই বঙ্গভূমি শাসন করে গেলেও কেউ মুসলমানের সন্তানকে 'জবরদস্ত' মুসলমান বানানোর জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন অনুভব করেননি। ভারতবর্ষ দখলের পর 'খ্রীষ্টান'(!) ইংরেজরাই কেবল মুসলমানদের ইসলাম শিক্ষার জন্য 'মাদ্রাসা' স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলো! আর 'ইসলাম দরদী' (?) ইংরেজ শাসক লর্ড হেস্টিংস তাই ১৭৮০ সালে কোলকাতায় আলীয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।



ইসলাম শিক্ষা দেয়ার মহান (!) ব্রত নিয়ে এই আলীয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর তার প্রথম অধ্যক্ষের পদ অলংকৃত করেন একজন ইংরেজ (নও মুসলিম নয় !)। শুধু তাই নয় এর পরিচালনা পরিষদের ঈমানদার (?) ইংরেজদের রাখা হয়।



এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালে ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হয় এবং সে বছরই মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গঠন করা হয়। ১৯৭৩ সালে এই বোর্ডকে নতুন করে গঠন করা হলেও ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্বশাসন প্রদান করেন এবং জিয়া ১৯৮০ মাদ্রসা শিক্ষকদের জন্য বেতন কাঠামো প্রদান করেন।



এর ফলে সরাসরি রাষ্ট্রীয় অর্থানুকূল্যে দেশ জুড়ে হু হু করে গড়ে উঠতে থাকে রকমারী মাদ্রাসা। এসময়ই মাদ্রাসা শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠান জমিয়েতুল মুদাররেছিন রাজাকার মান্নানের নেতৃত্বে শক্তিশালী হয়ে উঠে। হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের শাসনামলে মাদ্রাসা শিক্ষা সম্পূর্ণরূপে সাধারণ শিক্ষার সমান্তরাল হয়ে ওঠে দেশজুড়ে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সরকারী অর্থ আত্মসাৎ আর লুটপাটের তাড়না থেকে ধর্ম ব্যবসায়ী মোল্লারা গড়ে তোলে ভুয়া মাদ্রাসা।



শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক তদন্ত রিপোর্টে দেখা যায়, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার সরকারী মঞ্জুরী প্রাপ্ত মাদ্রাসা রয়েছে ৫৬টি। ১শ ৬৪ বর্গকিলোমিটার এই থানাতে ১৯৯১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী মোট লোকসংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬শ ৫৯ জন। ওই থানায় প্রতিটি মাদ্রাসায় গড়ে কমপক্ষে ১শ করে ছাত্র ধরলেও মোট ছাত্রের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ১২ হাজার। অনুরূপভাবে, একটি জেলায় ১টি করে কামিল মাদ্রাসা থাকায় নিয়ম থাকলেও উল্লেখিত তদন্তে শুধু চট্টগ্রাম জেলাতেই ১৪টি কামিল মাদ্রাসা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, দিনাজপুর ও সিলেট জেলায় ৫টি করে এবং নোয়াখালিতে ৭টি ও ঢাকা জেলায় ৪টি কামিল মাদ্রাসা রয়েছে। এমনকি ১৯৯৬ সালেও প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরো ১০টি কামিল মাদ্রাসার অনুমোদন দেয়।



তদন্তে দেখা গেছে সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায় জনৈক ডাঃ শামসুল হকেরই ৪টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা রয়েছে। স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে এসব মাদ্রাসার শিক্ষক দেখিয়ে ডাঃ শামসুল সরকারী অনুদানের টাকা আত্মাসাৎ করে।



ভুয়া মাদ্রাসার মত ভুয়া সার্টিফিকেটধারী মাদ্রাসা শিক্ষকও রয়েছে বিস্তর। রয়েছে একই শিক্ষক একই সঙ্গে একাধিক মাদ্রাসায় কর্মরত দেখিয়ে সরকারী অনুদান আত্মসাৎ এর ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত। ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার মাকরাইল ছালেহা মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ভুয়া সার্টিফিকেট জমা দিয়ে দীর্ঘদিন অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালনের ঘটনা ধরা পড়ে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের তদন্তে দেখা যায় উল্লিখিত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা (?) আলতাফ হোসেন ৩য় শ্রেণীতে কামিল পাস করা সত্ত্বেও ২য় বিভাগের ভুয়া সার্টিফিকেট জমা দিয়ে মাদ্রাসাটিতে অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন।



অপরদিকে জনৈক আব্দুল ওয়াদুদ ১৯৮০ সালে একই মাদ্রাসায় যোগ দিয়ে ১৯৮৮ সালে পরিচয় গোপন করে একই সঙ্গে মাগুরা জেলার সদর থানার উত্তর বীরপুর কাদের মুন্সী দাখিল মাদ্রাসার সুপার হিসাবে যোগ দেয় এবং উভয় মাদ্রাসা থেকে সরকারী ভাতা গ্রহণ করতে থাকে।



দেশের মাদ্রাসা শিক্ষার উল্লিখিত প্রতীকি চিত্রের পাশাপাশি আঁতকে উঠার মতও চিত্র রয়েছে। তা হলো শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দের প্রায় এক তৃতীয়াংশ গড়ে প্রতিবছর ব্যয় হচ্ছে মাদ্রাসা খাতে। সরকারী পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় ১৯৯৬-৯৭ অর্থ বছরে রাজস্ব বাজেটে বেসরকারী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষা খাতে ব্যয় হয় মোট ৬শ ৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১১ হাজার ৩শ ৭০টি বেসরকারী সেকেন্ডারী স্কুলের জন্য ব্যয় হয় ৩৫৪ কোটি টাকা অর্থাৎ ৫২.৮২ শতাংশ। এবং ৯৯৬টি বেসরকারী কলেজের জন্য ব্যয় হয় ৮৮কোটি টাকা এবং ১২.৭৭ শতাংশ।



অপরপক্ষে মাত্র ৫ হাজার ৭শ ৮৫টি বেসরকারী মাদ্রাসার পেছনে সরকারী ব্যয় হয় ২শ ২ কোটি টাকা অর্থাৎ ৩২.৯৫ শতাংশ। এতে দেখা যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যার বিচারে বেসরকারী মাদ্রসার ব্যয়ের পরিমাণ বেসরকারী স্কুল ও কলেজের চেয়ে বেশি ছিল।



একইভাবে ছাত্র প্রতি মাথাপিছু ব্যয় সাধারণ শিক্ষার চেয়ে মাদ্রাসা শিক্ষায় বেশি। দেখা গেছে, সরকারী মাদ্রাসায় একজন ছাত্রের মাথাপিছু ব্যয় যেখানে ৭হাজার ৬শ ৩ টাকা সেখানে সরকারী স্কুলের একজন ছাত্রের জন্য ব্যয় হয় ২ হাজার ৮শ ১৩ টাকা এবং সরকারী কলেজে ২ হাজার ৯শ ৫৯ টাকা।



অনুরূপভাবে, বেসরকারী মাদ্রাসায় একজন ছাত্রের পেছনে সরকারের ব্যয় যখন ১ হাজার ২শ ১১ টাকা তখন বেসরকারী স্কুলে তা মাত্র ৬শ ৭৮ টাকা এবং বেসরকারী কলেজে এর পরিমাণ ১ হাজার ৮৯ টাকা।



মাদ্রাসা শিক্ষার উল্লিখিত চিত্র থেকে সঙ্গত কারণেই কিছু প্রশ্ন জাগে। ইংরেজ প্রবর্তিত এই মাদ্রাসা শিক্ষা ইসলাম ধর্ম শিক্ষায় কি নূন্যতম ভূমিকাটুকু রাখছে? প্রতিবছর যে হাজার হাজার কোমলমতি শিক্ষার্থী এসব মাদ্রাসায় ভর্তি হচ্ছে তারা কি আদৌ তাদের জীবনে প্রকৃত ইসলামী শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারছে? নাকি মতলববাজ ধর্ম ব্যবসায়ী তথাকথিত মোল্লাদের স্বার্থ হাসিলের উপায়-উপকরণ হিসাবেই ব্যবহৃত হচ্ছে? কষ্টার্জিত এই স্বাধীন দেশে জনগণের ট্যাক্সে কোটি কোটি টাকা কি প্রকৃত মানুষ গড়ায় ব্যয় হবে নাকি ধর্মান্ধ, ধর্মগোড়াঁ একদল ফতোয়াবাজ, কর্মবিমুখ মোল্লা গোষ্ঠী তৈরির পেছনে অপচয় হবে?



ভারতবর্ষকে চিরদিন গোলামীর শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখার ঘৃণ্য মতলব নিয়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ইংরেজরা মাদ্রাসা শিক্ষার প্রবর্তন করেছিলো। স্বাধীন জাতি কেন তা বয়ে বেড়াবে? কেন এর পেছনে ব্যয় করবে কোটি কোটি টাকা?

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬

আম্মানসুরা বলেছেন: মাদ্রাসা গুলো নিয়ে আমিও ভাবি, আসলে এখানে ধর্মীয় শিক্ষা কি দেয়া হয়। কোরান বুঝা, গবেষণা করা, অন্য ধর্মের মুল গ্রন্থ গুলোর সাথে কোরআনের মিল বা অমিল বের করা, ধর্ম কি ও কেন ইত্যাদি বিষয় গুলো কোন মাদ্রাসায় শেখানো হয় বলে আমার জানা নেই।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৫১

দর্পন বলেছেন: ওরে আমার বিনোদনরে ঃ হা হা হা ।

আসলেই, স্কুল হলো সহি ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্র ।

" ভারতবর্ষকে চিরদিন গোলামীর শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখার ঘৃণ্য মতলব নিয়ে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ইংরেজরা মাদ্রাসা শিক্ষার প্রবর্তন করেছিলো।"

তাইলে এক কাজ করি, ইংলিশদের আইন-কানুন ফেলে আবার সেই নবাবি আমলের মুসলিম শরিয়া আইনে চলে যায় "

বৃটিশদের আগে যে মাদ্রাসার ভার্সন ছিল ? সেইটাতেও ফিরলে ভালু হয় ।


" বর্তমানে সব মিলিয়ে প্রায় দুই লক্ষাধিক" মাথা ঠিক আছে তো । এই সোর্সের উৎস কী । এভারেজ ২০০ ছাত্র হলে মোট ছাত্র সংখ্যা হবে ৪ কোটি যা মোট জনসংখ্যার ২৫% !!!!

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:১৫

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ''ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি থেকে শুরু করে শত শত বছরে কয়েক'শ মুসলিম নৃপতি, ভূপতি তথা রাজা-বাদশা এই বঙ্গভূমি শাসন করে গেলেও কেউ মুসলমানের সন্তানকে 'জবরদস্ত' মুসলমান বানানোর জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন অনুভব করেননি। ''- এ তথ্য আপনি কোথায পেলেন ? ছোট্ট একটা লিঙ্ক দিলাম-
Click This Link

আপনি লিখেছেন,'' ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার সরকারী মঞ্জুরী প্রাপ্ত মাদ্রাসা রয়েছে ৫৬টি।...ওই থানায় প্রতিটি মাদ্রাসায় গড়ে কমপক্ষে ১শ করে ছাত্র ধরলেও মোট ছাত্রের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ১২ হাজার।'' ৫৬কে ১০০ দিয়ে গুন করলে ৫৬০০ হবার কথা।
মাদ্রাসা শিক্ষায় (আলিয়া) ব্যয় বেশি কারণ আরবীর পাশাপাশি সেখানে সাধারণ শিক্ষার বিষয়গুলোও আছে। সেখানে বিষয় বেশি বলে শিক্ষকও বেশি। ভূয়া এমপিওর মাদ্রাসা যেমন আছে ভূয়া এমপিওর স্কুল কলেজও আছে। কারিগরী বোর্ডের অধীনের প্রতিষ্ঠানেও আছে।
কোন কোন জায়গায় (আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় উত্তরবঙ্গের কিছু স্থানে) স্কুল ও মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রী ঘাটতি আছে। কিন্তু চট্টগ্রাম, কুমিল্লা,নোয়াখালী এলাকায় মাদ্রাসা বা স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী ঘাটতি নেই বললেই চলে। দূর্গম কোন এলাকায় কদাচিৎ সেটা হতে পারে।

আর মাদ্রাসা মানে যে শুধু ধর্মীয় শিক্ষা না তার একটা লিঙ্ক দিলাম-
http://en.wikipedia.org/wiki/Madrasa

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

আহলান বলেছেন: আমার দেশটা নষ্ট করতে দুই দলই সমান দায়ী। আলীগ ও বেন্পি

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

শাহীন ভূইঁয়া বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষা মূলত মানুষকে শারীরীক ও মানসিক ভাবে পংগু করে দেয়................

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: আম্মানসুরা বলেছেন: মাদ্রাসা গুলো নিয়ে আমিও ভাবি, আসলে এখানে ধর্মীয় শিক্ষা কি দেয়া হয়। কোরান বুঝা, গবেষণা করা, অন্য ধর্মের মুল গ্রন্থ গুলোর সাথে কোরআনের মিল বা অমিল বের করা, ধর্ম কি ও কেন ইত্যাদি বিষয় গুলো কোন মাদ্রাসায় শেখানো হয় বলে আমার জানা নেই।>>>বাংলাদেশের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখানো হয় এমনও আমার জানা নাই ।


আর সবচেয়ে বড় কথা হল শিক্ষা অর্জন করা ফরয । আমরা কিছু গরিব লোকের জন্য ইসলাম শিক্ষা অর্জনের দায়িত্ব দিয়ে আমাদের হক আদায় করতেছি । উচিত ছিল আমাদের সকলের মুসলিম হিসাবে ইসলাম শিক্ষা অর্জন করা । টাহলে এত সমস্যা হত না । আমাদের ইসলামি শিক্ষা এত নিম্ন যে কে সঠিক আর কে ব্যাঠিক এটা পর্যন্ত আমরা আলাদা করতে পারি না ।

আর যারা সবার জন্য ইসলাম শিক্ষার বদলে ইসলাম শিক্ষাকে সবার জন্য নিষিদ্ধ করতে চায় । তারা এককথায় বলা যায় ইসলামের শত্রু । তাদের মিস্টি কথায় ভুলা চলবে না । তাদের সব সময় দৌড়ের উপর রাখতে হবে ।

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

ৈতয়ব খান বলেছেন: ইংরেজ শাসনামলে হিন্দুদের আধিপত্য বাড়তে থাকে। তখনকার সময় মুসলিম ছাত্রদের পড়াশোনার ভালো ও উপযুক্ত পরিবেশ ছিলো না। এ সময় কিছু ইসলামী নেতৃবৃন্দ মুসলিমদের পড়াশোনার জন্য আলাদা ও স্বতন্ত্র একটি প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন দেখে। যার ফলশ্রুতিতে ভারতের মুসলিম অধ্যুষিত বিভিন্ন স্থানে মাদ্রাসা গড়ে উঠতে শুরু করে।
মাদ্রাসা যে শিক্ষা দান করে তা পরিপূর্ণ একজন মানুষ তৈরি হতে যা প্রয়োজন তাই দেয়। যেমন, মুসলমানদের জীবনে আবশ্যকীয় বিষয় নামাজ, রোজা ইত্যাদির উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়। পাশাপাশি কোরান, হাদিস, ফিকাহ, ইজমা কিয়াস এগুলো শিক্ষা দান করে। যা ইহকাল ও পরকালীন অর্থাৎ আখেরী জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
একজন ব্যক্তির জীবন যে আদর্শে গড়ে তুললে সে সমাজে রাষ্ট্রে ও পারিবারিকভাবে ভালো থাকতে পারে, মাদ্রসা তারই শিক্ষা দেয়। ইসলামী শিক্ষা না থাকলে জীবন অচল। আমরা বিভিন্ন ধর্মের মূল আদর্শ সম্পর্কে মোটামুটি ওয়াকিবহাল। এর মধ্যে ইসলামী অর্থাৎ আল্লাহ মনোনীত ধর্ম ইসলামকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেই আমাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পড়তে পাঠাই। যাতে তারা সত্যিকারের মানুষ হতে পারে।

ধরুন, একজন দাতা কিছু লোককে টাকা পয়সা দান করলেন। এখন সেই দান গ্রহণ করে কেউ কেউ জীবনের আবশ্যকীয় উপাদান কিনলো বা ভালো কাজে লাগালো। আবার কেউ সেই টাকা দিয়েই বোমা বানালো, মানুষ মারলো। এখন প্রশ্ন হলো, এর জন্য কাকে দায়ী করবেন? যে টাকা দিলো তাকে না যে টাকাটা ভুল পথে খরচ করলো তাকে?
ধর্ম নিয়ে ব্যবসা প্রায় সব ধর্মেই আছে। কিছু সুবিধাবাদী লোক ধর্মকে পুঁজি করে এটা করে যাচ্ছে। প্রশ্ন হলো, তাতে করে কি ধর্মের মূল আদর্শ খারাপ? মোটেও নয়। যারা একে খারাপ কাজে ব্যবহার করে দায়ী তারা। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
প্রিয় লেখক, আপনি যে তথ্য উপাত্ত দিয়েছেন, তা সর্বৈব সত্য নয়। নিজের ভেতর ডুব দিন। উত্তর পেয়ে যাবেন।
দয়া করে আমার কথায় কষ্ট পাবেন না।

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

রিয়াজ৩৬ বলেছেন: প্রথমত, ডেটার কোনো সোর্স নেই।ডেটা ম্যনিপুলেশনে ভুল।
আর লেখক কে বলি, মাদ্রাসা না থাকলে আপনার জানাযার নামায পড়ানোর মানুষ পাবেননা ভাই। অসঙ্গতি সব জায়গাতেই আছে ভাই, কষ্টার্জিত এই স্বাধীন দেশে জনগণের ট্যাক্সে কোটি কোটি টাকা কে কিভাবে খরচ করছে তা দেখতেই পাচ্ছি!

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

ৈতয়ব খান বলেছেন: এই লিংক টি দয়া করে উপেন করে পড়ুন

Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.